Main menu

কবিতার বই: যেইখানে নিয়া যায় আমার মুখুস্ত সমাজ

যেইখানে নিয়া যায় আমার মুখুস্ত সমাজ। ইব্রাকর ঝিল্লী। ৫৪ পেইজের কবিতার বই। দাম ১৫০ টাকা। কিনতে পারেন ফেসবুক পেইজে। অথবা রকমারিতে

বই থিকা কয়েকটা কবিতা।

 

………………………….

বিশ্বনায়িকা পপি ।। জীবনানন্দ দাশ ।। মায়া ।। স্পিলবার্গের জীবন ।। মানুষ ।। কবিতা নাই ।। ব্যাড লাক ।। দর্শন অথবা কবিতা ।।  যেইখানে নিয়া যায় আমার মুখুস্ত সমাজ ।।

………………………….

 

বিশ্বনায়িকা পপি

কে বলবে, তোমার এত বয়েস!
কে বলবে, তুমি শহরে একলা একলা হাঁটো,
মনে মনে আর কথা বল না!
তোমারে দেখলে বুঝাই যায় না, তুমি ভাসতেছো।
কী মাখো বলো তো?
দেখলে বুঝার কোন উপায়ই নাই, ডায়লগ মারা শ্যাষ-
সেই কবে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হইয়া গেছো।
কী খাও বলো তো?
ব্যায়াম করো? জিমে যাও?
একদম আগের মতোই আছো!
কে বলবে, তোমার তিনশ সত্তুর বছর হইছে, মইরা গেছো; ফুটুশ!

 

জীবনানন্দ দাশ

পৃথিবীতে আমার মতো আরও চারটি প্রাণী আছেঃ
একটি ঘাশ পোতে,
একটি ঘাশ কাটে,
একটি ঘাশ খায়,
আর একটি- ঘাশ।

 

মায়া

একবার দেখা হয়েছিল আমাদের শুদ্ধ ভাষাতে;
গুছিয়ে গুছিয়ে বলা কথার ভেতরে হারিয়ে গিয়েছিনু।
পরে আর দেখা হয়নাই অনেকদিন।
সে এক ক্রন্দনরতা নিশ্চই
আমারই প্রতীক্ষায় চেয়ে আছে
বসে আছে শুয়ে আছে ভেবেছিনু।
একদিন দেখি সে কার সাথে যেন হাসে অশুদ্ধ ভাষায়;
যেন সেই নদী তার ভালো লেগেছে!
অথচ আমি তো জানি সেই হাসি- মিছা কথা;
সে কান্দে রাত্রেবেলা একটু শুদ্ধ ভাষার জন্যে!
আমার সাথেই নিশ্চই কথা বলতে চায়!
ওই পোলার লগে স্রেফ সময় কাটায়।
সেই ছেলের জন্যে ভারি মায়া লাগে আমার!

 

স্পিলবার্গের জীবন

স্বপ্নে দেখলাম, মশারির ভিতর আমি।

মশারি টাঙ্গাইলে মশারির ভিতরে যেমন মাঝে মাঝে একটা দুইটা মশা ঢুইকা যায়, ওইভাবে একটা ঈগল ঢুইকা গেছে; মশারির ভেতর। এবং মশারির ভেতর মশা আমি যেমনে মারি ওইভাবেই ঈগলটারে মারার চেষ্টা করতেছি।

ঈগলটা আমার দিকে চাইয়া আছে, সেই চাহনিতে একটা ক্লিয়ার প্রশ্ন, এই ভোকচোদটা কী করতে চাইতেছে!?

কিন্তু লো অ্যান্ড বিহোল্ড, মশারির ভেতর মশা আমি যেমনে মারি, সেমনে ঈগলটারেও মারতে পারলাম শেষ পর্যন্ত! হে হে!

ঈগলটা ধরতে পারে নাই এইটা স্বপ্ন, মানুষের স্বপ্ন; হেথায় রিজন ও রিয়েলিটি অলওয়েজ মানুষের পক্ষে হেইলা থাকে।

 

মানুষ

মানুষ সব সময়ই অন্য আরেকটা
মানুষের মত হইতে চায়। হয়ত
তারে দেখেনাই, অথবা দেখছে-
অন্য আরেকটা মানুষের স্বপ্নে।
এইটাই মানুষের আদি ও
অরিজিনাল চাওয়া।


কবিতা নাই

একদিন সংগীত ধ্বংস হয়ে যাবে, হইয়া যাবে।
নাটক সিনেমা তার অন্তর্গত এনট্রপি ফলয়ে ধীরে ধীরে
নিঃশেষিত হবে।
ঘোড়াদের যুগে প্রবেশ করবো আমরা।

কবিতা নাই।

 

ব্যাড লাক

একটা দানবীয় ব্যাড লাক যখন আসে, তখন কিন্তু মনে হয়না যে অত ব্যাড লাক! সিনেমার সিরিয়াল কিলারদের মত- হাসিমুখে কথা বলে, একসাথে লাঞ্চ করে; সিগারেট ধার চায়, সিগারেট খায়ও না অনেক সময়। এইরকম স্বাভাবিক একটা হিউজ সর্বগ্রাসী ব্যাড লাক। মনে হয় যেন আসার নিয়মেই আসছে এইটা। সেইটা যে ব্যাড লাক টেরও পাইবেননা। শান্তভাবে ভদ্রভাবে কোন আহাজারি ছাড়াই পুড়বেন। ব্যাড লাক জিনিসটা যতটা বেক্তিগত হইয়া আসছে এতদিন, সহসাই তার সোশালাইজেশনে আপনে আর ঠাহর করতে পারেন না সেইটা ব্যাড লাক কিনা! বিপদ বইলা কইয়া আসলে তা আর যেন বিপদ হইতে পারে না, সেইরকম এইসব ব্যাডলাক।

আমার সাজেশন হইল, কান্দেন। দুনিয়ার ক্রন্দন দুনিয়ায় কাইন্দা যান। শান্তি।

 

দর্শন অথবা কবিতা

আমি যেটা করি তা অসভ্যরে ব্যঙ্গ করা না।
আমি আসলেই অসভ্য হইয়া যাই।
তারপর নিঃসঙ্গ যখন এক স্টেপ পিছায়ে গিয়া নিজেরে দেখি,
তখন মনে হয়
আমার অসভ্য না হওয়াটা নিছকই এক মামুলি ঘটনা।

 

যেইখানে নিয়া যায় আমার মুখুস্ত সমাজ

সকালবেলা শার্ট পেন্ট ও জুতা
পরতে পরতে এবং
ঘর হইতে বের হতে হতে এবং
গাড়িতে উঠতে উঠতে ও
নামতে নামতে,
নামতে উঠতে, উঠতে নামতে
হাটতে হাটতে দেখি এক সময়
পৌছায় গেছি যেইখানে আমার পৌছানোর কথা;
অন্য কোথাও নয়। ভুলেও
আমি পৌছাইতে পারি ঠিক জায়গায়
সঠিক পোশাক পরে; এইরকম
হয়ে গেছি যদিও,
আগে থেকেই এমন হওয়ার জন্য দীর্ঘ প্রস্তুতি।
যেন ভাত খাইতে খাইতে টিভি দেখতে দেখতে
দেখতে থাকার মতন সক্রিয়তায়
বিলুপ্ত হয়ে গেছি গভীর জীবন যাপনে।
নিদ্রায় জাগায় হাটায় বসায়
লেপ্টায়ে গেছি এবং
এমন সম্যক মেডিটেশনেই আমি পৌছাইতে পারতেছি
আমার গোছানো থাকায়, না থাকায়-
যেইখানে নিয়া যায় আমার মুখুস্ত সমাজ।

 

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →