Main menu

আমার গান কি সাহিত্য? – বব ডিলান

[বব ডিলান মিউজিক্যায়ারজ পারসন অফ দ্য ইয়ার ২০১৫ এওয়ার্ড পাওয়ার পর ত্রিশ মিনিটের এই ভাষনটা দেন। ২০১৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলস কমিউনিটি সেন্টারে।  ভাষনটাতে উনার পুরা মিউজিক ক্যারিয়ার নিয়া ইন্টারেস্টিং আর কন্ট্রোভার্সাল বেশ কিছু কথাই বলেন। উনার এত এত সাপোর্টার আর যারা যারা কিনা উনার গানকে পুরা দুনিয়ায় ছড়ায়া দিছিলেন তাদেরকে থ্যাংকস জানানোর পাশাপাশি যারা উনার গান নিয়া বিভিন্ন টাইমে আজেবাজে কথা বলছিলেন তাদেরকে উনার তেরছা কথাবার্তা দিয়া এক হাত দেইখা নেন।]

আমার গানরে যে এইভাবে অনার করা হইতেছে এজন্য আমি খুশি। কিন্তু আপনারা কম-বেশি জানেনই এইটা এত সহজে হয় নাই। এইটা বিশাল লম্বা একটা জার্নি আছিল আর এর পিছনে বহুত মেহনতও করতে হইছে। এই যে আমার গানগুলা, এগুলা একেকটা রুহানি গল্পের মতই, অনেকটা শেইকস্পিয়ার বাইড়া উঠার সময় যে খোয়াবের ভিতর দিয়া গেছিল ওইরকমই। আপনেরা নিশ্চয় বুঝতেছেন কেন আমারে এত বছর আগের কথা বলতে হইতেছে। গানগুলা তখন যেমন দলছুট টাইপের আছিল এখন আইসা শুনলেও দলছুট টাইপেরই মনে হবে আপনার। গানগুলার ভিত কিন্তু মজবুতই আছিল।

এতটুকু পথ পাড়ি দিয়া আইসা আমাকে কিছু মানুষের নাম নিতেই হয়। কলম্বিয়া রেকর্ডের ট্যালেন্ট হান্টার জন হ্যামন্ডের (John Hammond) নাম নিতেই হবে। উনি আমার সাথে যখন চুক্তি করেন তখন আমারে কেউই চিনতো না। এনাফ ভরসা না থাকলে এই কাজ পসিবল না, আর এইটা করতে গিয়া উনাকে অনেকে তাচ্ছিল্যও করছিলেন, কিন্তু উনার জায়গায় উনি স্ট্রেইট আর সাহসী আছিলেন। এইজন্য আমি উনার কাছে আজীবন গ্রেটফুল। আমার আগে লাস্ট উনি এরেথা ফ্রাংকলিন (Aretha Franklin)রে খুঁইজা বাইর করেন, আর এরও আগে কাউন্ট বেসি (Count Basie), বিলি হলিডে (Billie Holiday) সহ উনার খুঁইজা বাইর করা আরো আরো আর্টিস্টরা তো আছেনই। এরা সবাই নন-কমার্শিয়াল আর্টিস্ট আছিলেন।

জন চলতি ট্রেন্ডে গা ভাসাইতেন না, আর আমি তো একেবারেই নন-কমার্শিয়াল আছিলাম বাট উনি আমাকে ছাইড়া যান নাই। উনার আমার ট্যালেন্টের উপর আস্থা আছিল আর এইটার কারণেই উনি আমার সাথে আছিলেন। উনারে খালি থ্যাংকস দিলে কমই হয় আসলে।

ল্যু লেভি (Lou Levy) তখন লিডস মিউজিক চালাইতেন, উনারা আমার প্রথম দিককার গানগুলা বাইর করছিলেন, কিন্তু উনাদের সাথে আমি বেশি দিন আছিলাম না, লেভি নিজেই এইটারে অনেকদূর টাইনা নিছিলেন। উনি আমারে ওই মিউজিক কোম্পানির সাথে চুক্তি করান এবং বেশ কিছু গান রেকর্ড করেন আর আমি ওই গানগুলা জাস্ট টেপ রেকর্ডারেই গাইছিলাম। উনি আমারে ডাইরেক্ট বলছিলেন যে, আমি যেই গানগুলা করতেছিলাম এইরকম কিছু আগে কখনো হয় নাই, তার মানে দাঁড়ায় হয় আমি আমার টাইম থিকা আগেই জন্মাই গেছি নাইলে আমার টাইমরে আমিই রিপ্রেজেন্ট করতেছি, এবং আমি যদি উনারে তখন “Stardust” এর মতন গান দিতাম উনি হয়ত মানাই কইরা দিতেন এই বইলা যে এসব গান তো বহুত আগেই গাওয়া হইয়া গেছে অলরেডি।

তো উনি আমারে বললেন যে আমি যদি সত্যিই আমার টাইমের আগেই জন্মায়া যাই, আর এইটার ব্যাপারে ওইভাবে উনি শিউরও আছিলেন না তখন, এরকম কিছু যদি আসলেই ঘটতে যাইতেছে আর এইটা যদি ট্রু হয়, পাবলিক এই গানগুলা নিতে হয়তো আরো তিন থিকা পাঁচ বছরও লাইগা যাইতে পারে, আমারে এইজন্য তৈরি থাকতে বললেন উনি। আর সত্যি সত্যি হইলোও তাই। কিন্তু মুসিবত হইল যে, পাবলিক যখন গানগুলা নিতে পারলো আমি তখন আরো তিন থিকা পাঁচ বছর আগাইয়া গেলাম, যার ফলে একটা ঝামেলাই হইল আসলে। কিন্তু উনি আমারে সাহস দিয়াই গেলেন, উনি আমারে মাপতে চাইলেন না, আর এরজন্য আমি উনারে সবসময় মনে রাখি।

উনার পরে যে মিউজিক কোম্পানি আমার সাথে চুক্তি করে সেইটা হল আর্টি মোগালের উইটমার্ক মিউজিক, এবং উনি আমারে যে যাই বলুক না কেন গান লিইখা যাইতে বললেন, আমার কাছে ভাল লাগলেই হইল। তো, উনিও আমারে ব্যাকাপ দিছিলেন, আর বিনিময়ে উনারে আমি কী দিচ্ছি না দিচ্ছি এইটা নিয়া উনি ভাবতেনও না। এর আগে আমি নিজেরে কোনভাবেই গীতিকার বইলা ভাইবা উঠতে পারতাম না। আমি উনার কাছে, উনার ওই বিহেইভের কাছে আজীবন গ্রেটফুল হয়া থাকবো।

পুরান কিছু আর্টিস্টের নামও আমি নিতে চাই যারা একদম বলতে গেলে শুরুর দিকেই চোখ বন্ধ কইরা আমার গান রেকর্ড করছিলেন। ওই গানগুলা জাস্ট উনাদের ভাল লাগছে বইলাই এসব গান রেকর্ড করেন উনারা। পিটার, পল আর ম্যারি এরা গ্রুপ করার আগ থিকাই সবাইরে আলাদা কইরা আমি চিনতাম, তাদেরকেও আমি থ্যাংকস দিতে চাই। আরেকজন আমার লেখা গান গাইবে এইটা ভাইবা কখনো গান লিখবো এইটা চিন্তা করি নাই কিন্তু সেটা শুরু হইলেও বেশিদিন আগায় নাই, অন্তত এর চাইতে বড় একটা গ্রুপের জন্য গান আর লেখি নাই পরে।

উনারা আমার একটা গান হারায়া যাওয়ার আগে ওই গানটা আবার নিজেরা রেকর্ড করছিলেন, পরে ওইটা হিউজ মার্কেট পাইছিল তখন। আমি আমার লেখা গানটারে যে জায়গায় নিতে পারি নাই তারা বেশ ভাল কইরাই সেটা পারছিল। এরপর থিকা কমপক্ষে একশ জন একশ জায়গা থিকা ওই গানটা বাইর করছিল, কিন্তু আমার মনে হয় উনারা যদি ফার্স্টে এইটা বাইর না করতেন, অন্যরাও সেটা করতেন না। উনারা আমার জন্য একটা দরজা খুইলা দিলেন জাস্ট।

The Byrds, the Turtles, Sonny & Cher- ইনারা আমার কিছু গানরে সেরা দশের ভিত্রে নিয়া আসতে পারছিলেন কিন্তু আমি তো আসলে পপুলার গান লেখতে চাই নাই, আমি মোটেই ওইরকম কিছু হইতে চাই নাই, কিন্তু যা হইছে ভালই তো হইছে। তাদের ওই গানগুলা যদিও কমার্শিয়াল ঢংয়ে গাওয়া হইছিল, কিন্তু আমার এইটা তেমন গায়ে লাগে নাই কারণ পঞ্চাশ বছর পরে আইসা তো সে গানগুলা ঠিকই কমার্শিয়াল ব্যাসিসেই ইউজ হচ্ছে। তো উনারা গাইছেন ভালই হইছে, উনারা গাইছেন আমি খুশিই হইছি।

পার্ভিস স্টেইপেলস (Pervis Staples) আর স্টেইপল সিংগার (Staples Singer) – উনারা যত দিন স্ট্যাক্সে আছিলেন ইপিক আছিলেন আর উনারা আমার কাছে সবসময়কার সেরাদের ভিত্রে একজন হইয়া থাকবেন সবসময়। বাষট্টি-তিষট্টির দিকে উনাদের সাথে আমার দেখা হইছিল। উনারা আমার গান লাইভ শুনছিলেন এবং তিন কি চারটা গান পার্ভিস রেকর্ডও করতে চাইছিলেন এবং স্টেইপল সিংগারদের নিয়া করছিলেনও। উনাদের মতন আর্টিস্টরাই আমার গানগুলা রেকর্ড করুক সেটা আমি চাইছিলাম সবসময়।

নিনা সিমোন (Nina Simone), নিউইয়র্ক সিটির ভিলেজ গেইট নাইটক্লাবে উনার সাথে প্রায়ই আমি দেখা করতে যাই। এই ধরনের আর্টিস্টদেরই আমি খুঁইজা বেড়াইতাম। উনি আমার কিছু গান রেকর্ড করছিলেন যেগুলা উনি আমারে [পরের অংশ শুনা যায় নাই]। উনি চমৎকার আর্টিস্ট যেমন আছিলেন, ভাল পিয়ানোও বাজাইতেন, আবার সিঙ্গারও আছিলেন। বেশ স্ট্রং উইম্যান উনি, যা বলতেন ডাইরেক্ট বলতেন। আমার সব কিছু মাইনা নিয়াই উনি আমার গানগুলা রেকর্ড করছিলেন।

ও আচ্ছা, আমি জিমি হেন্ড্রিক্স (Jimi Hendrix)কেও ভুলতে পারবো না। জিমি হেন্ড্রিক্স যখন Jimmy James and the blue flames বা এই টাইপের একটা ব্যান্ডে কাজ করতেন তখন আমার সাথে তার দেখা হয়। জিমি গান টান গাইতেন না। গিটার বাজাইতেন। আমার যে গানগুলা অন্যরা পাত্তা দিত না উনি ওই গানগুলাই বাইছা নিলেন আর এগুলারে ফুলায়া ফাঁপায়া পুরা এলাকা করলেন এবং এগুলা তো এখন একেকটা ক্লাসিক হইয়া গেছে। আমাকে জিমিরে থ্যাংকস বলতেই হয়। উনি এখানে উপস্থিত থাকলে আমার ভালই লাগতো।

জনি ক্যাশ (Johnny Cash) তেষট্টি সালের আগে পরে আমার কিছু গান রেকর্ড করছিলেন, তখন উনি দেখতে একদম ম্যাড়া টাইপের আছিলেন। উনি গানের পিছে মেলা দিন খাটছেন, বেশ হার্ড ওয়ার্ক বলা যায়, তো, উনি কিন্তু আমার কাছে একজন আগাগোড়া হিরো হইয়াই আছিলেন। আমি যখন উঠতি বয়সি তখন উনার এত এত গান শুনতাম। আমার নিজের গুলার চাইতেও উনাদের গানগুলা আমি বেশি ভাল কইরা বুঝতে পারতাম। ওই যে Big River, I Walk the Line গান দুইটা।

How high’s the water, Mama? গানটা শুনার পর থিকাই এইটা আমার মাথার ভিত্রে এতটাই বাজতে থাকে যে It’s alright Ma (I’m Only Bleeding) গানটা আমি লিইখা ফেলি। আমার কাছে জনি হইলো একটা ডীপ ফিলিংস আসলে। যখন উনি দেখলেন লোকজন আমার গানগুলা সমালোচনা কইরা ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি দিয়া গাইতেছে নিজেরা তখন উনি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় পাবলিকরে গালিগালাজ কইরা চিঠি লেখতে শুরু করলেন আর বললেন তারে প্লিজ তার মতোই গাইতে দাও।

জনি ক্যাশের দুনিয়ায় হার্ডকোর সাউদার্ন ড্রামা টাইপ কোন বিষয় আছিল না। কেউ কাউরে বইলা দিবে না কী গাইতে হবে আর কেমনে গাইতে হবে। হার্ডকোর সাউদার্ন ড্রামায় এইরকম স্বাধিনতা আছিল না। আমি উনারে এইজন্য সবসময় থ্যাংকস দিয়াই যাই। জনি ক্যাশ দেখতে ইয়া লম্বা-চূড়া কালো কইরা একজন মানুষ আছিলেন। আর তার সাথে আমার যে ফ্রেন্ডশিপ আছিল এইটা আমার জীবনের শেষমুহুর্ত পর্যন্ত আমি মনে রাখব।

ও আচ্ছা, আমার গাফিলতির কারণে যদি জোয়ান বায়েজের নাম আমি না নিই সেইটা খুব খারাপ হবে। উনি তখন তো মাস্ট, এখনো ফোক গানের রানী হইয়া আছেন। উনি আমার গান শুইনা পছন্দ করছিলেন এবং উনার সাথে এক লগে কনসার্টে গাওয়ার জন্য নিয়া গেলেন, সেই কনসার্টে উনার গান আর রূপ-সৌন্দর্য্যে মোহিত হওয়া হাজার হাজার দর্শক উপস্থিত আছিল।

সেইদিন হয়ত পাবলিকরা উনারে চিল্লায়া বলতে পারতো “কই থিকা এই উরাধুরা ফকিন্নি মার্কা লোক একটারে ধইরা আনলা?” জবাবে হয়ত উনি তেমন কিছুই বলতেন না, খালি বলতেন হয়ত, “বরং চুপচাপ উনার গান শুনো।” আমরা বেশ কয়েকটা গান একসাথে গাইছিলাম সেইদিন। গানগুলা যেমন পোক্ত আছিল, তেমনি জোয়ান বায়েজও পোক্তমনেই গানগুলা গাইছিলেন। ভালবাসা দিয়া। আর উনার ভিতরটা একদম ফ্রি আর ইনডিপেনডেন্ট। উনি যেটা করতে চাইতেন না, দুনিয়ার কেউ উনার উপর জোর খাটাইতে পারতো না। আমি উনার কাছ থিকা অনেক কিছুই শিখছি। উনার নারী মন ভয়ঙ্কর সততায় ভরা, আর উনার আমার প্রতি যে লাভ আর ডিভোশন আমি দেখছি তা জীবনেও শোধ করতে পারবো না।

আমার গানগুলা তো হাওয়ায় উইড়া আসে নাই। আজগুবি গল্পের মত এগুলা বানাই নাই আমি। লুইয়ের (Lou Levy) কথার বিপক্ষেই যায় তবুও বলি, এগুলার পিছে অবশ্যই এত্ত এত্ত কাহিনি আর মানুষজন আছে। আমি তো এগুলা ট্রেডিশনাল মিউজিক থিকাই পাইছি: যেমন ধরেন ট্রেডিশনাল ফোক মিউজিক, ট্রেডিশনাল রক এন রোল এবং ট্রেডিশনাল বিগ-ব্যান্ড সুইং অর্কেস্ট্রা মিউজিক এগুলা থিকা।

আমি মানুষের মুখ থিকা ফোকগুলা শুনলাম আর ওই ফোক গান থিকা কেমনে গান লিখতে হয় তাও আয়ত্ত করলাম। এবং ওগুলা আমি রেকর্ড করতে থাকলাম, আবার কারা এগুলা রেকর্ড করতে রাজি আছে তাদেকেও খুঁইজা বাইর করলাম কারণ প্রায় কেউই এগুলা গাইতে রাজি আছিল না। তারা খালি এই ফোকই গাইত, আর আমারে তারা আসলে সব উজাড় কইরাই দিত, দুনিয়ায় প্রত্যেকটা জিনিস প্রত্যেকটা মানুষ থিকা আইসা আইসা এক জায়গায় জড়ো হয় আসলে।

তিন থিকা চার বছর আমি খালি ফোক স্ট্যান্ডারের গানগুলাই শুইনা যাইতে থাকলাম। ফোক গান গাইতে গাইতে আমি ঘুমায়া পড়তাম। আমি উঠতে বসতে ফোক গানই গাইতাম, ক্লাবে, পার্টিতে, বারে, কফিহাউজগুলাতে, ময়দানে বইসা, কোন ফেস্টিভ্যালে। আর আমি চলতে ফিরতে অন্য যারা ফোক গাইতো তাদের সাথেই দেখা সাক্ষাত করতাম এবং আসলে আমরা একে অন্যজন থিকা ফোক গান কেমনে গাইতে হয় তারই ছবক নিতাম। আমি একবারে একটা গানই শেখার ট্রাই করতাম এবং খালি একবার শুনলেও পরের ঘন্টাখানেকের ভিতর সেটা গাইয়া ফেলতে পারতাম।

জন হেনরির এই গানটা আমি যতবার গাইছি আপনি যদি ততবার গাইতেন: John Henry was a steel-driving man/ Died with a hammer in his hand / John Henry said a man ain’t nothin’ but a man / Before I let that steam drill drive me down / I’ll die with that hammer in my hand.”

আপনে যদি আমি যতবার গানটা গাইছি অতবার গানটা গাইতেন আপনিও আমার মত “How many roads must a man walk down?’ গানটা লেইখা ফেলতেন।

 

বিগ বিল ব্রুঞ্জির “Key to the Highway” নামের একটা গান আছে। “I’ve got a key to the highway / I’m booked and I’m bound to go / Gonna leave here runnin’ because walking is most too slow”. আমি গানটা কত বার যে গাইছি!

আপনিও যদি অতবার গানটা গাইতেন আপনিও লেখতেন,

Georgia Sam he had a bloody nose
Welfare Department they would’nt give him no clothes
He asked poor Howard where can I go
Howard said there’s only one place I know
Sam said tell me quick man I got to run
Howard just pointed with his gun
And said that way down on Highway 61

আপনেও এই গান লিখতেন যদি আমার মত এত অসংখ্যবার ” Key to the Highway” গানটা শুনতেন।

“Ain’t no use sit ‘n cry / You’ll be an angel by and by / Sail away, ladies, sail away” “I’m sailing away my own true love.” “Boots of Spanish Leather” — গানটা শেরিল ক্রো-ই গাইছিলেন।

“Roll the cotton down, aw, yeah, roll the cotton down / Ten dollars a day is a white man’s pay / A dollar a day is the black man’s pay / Roll the cotton down.” এই গানটা এত শত-সহস্র বার আমি গাইছি যে আপনি হইলেও আমার মত “I ain’t gonna work on Maggie’s farm no more” গানটা লিখতেন।

গানের কথায় “Come all you” আছে এরকম গান আমি হিউজ গাইছি। ভুরি ভুরি গান গাইছি এইরকম। আপনি চাইলে একটা একটা কইরা গুনতে পারবেন ওগুলা। “Come along boys and listen to my tale / Tell you of my trouble on the old Chishom Trail.” বা আরেকটা ধরেন এরকম, “Come all ye good people, listen while I tell / the fate of Floyd Collins a lad we all know well / The fate of Floyd Collins, a lad we all know well.”

“Come all ye fair and tender ladies / Take warning how you court your men / They’re like like a star on a summer morning / They first appear and they’re gone again.” “If you’ll gather ’round, people / A story I will tell / ‘Bout Pretty Boy Floyd, an outlaw / Oklahoma knew him well.”

গানের কলির ভিত্রে “Come all ye” আছে এইরকম গান আপনে সারাদিন গাইতে থাকলে আপনেও আমার মত লেখবেন: “Come gather ’round people where ever you roam, admit that the waters around you have grown / Accept that soon you’ll be drenched to the bone / If your time to you is worth saving / And you better start swimming or you’ll sink like a stone / The times they are a-changing.”

এই গানগুলা শুনলে আপনিও লিখতে পারতেন এসব গান। এখানে লুকানোর কিছুই নাই। এই গানগুলা এমন যে, আপনিও শুনলে, আনকনশাসলি বলেন আর একদম মইজা গিয়া বলেন, যে গানগুলা আমি লিখছি ওইরকমই লিখতেন, কারণ হইলো আসলে গানগুলার শক্তিই এমন, আর এই গানগুলাই আমি গাইতাম সারাদিন। আমার কাছে এই গানগুলাই গাইতে ভাল লাগতো কেবল। ওই গানগুলা শুনলেই আমার ভিতরটা জাইগা উঠতো।

“When you go down to Deep Ellum keep your money in your socks / Women in Deep Ellum put you on the rocks.” এই গানটা আপনে খানিকক্ষণ গান দেখবেন আপনার ভিতরে যে গানের লাইনগুলা আসবে সেগুলা এইরকম: “When you’re lost in the rain in Juarez and it’s Easter time too / And your gravity fails and negativity don’t pull you through / Don’t put on any airs / When you’re down on Rue Morgue Avenue / They got some hungry women there / And they really make a mess outta you.”

গানগুলা একটা আরেকটার সাথে কানেক্টেড। অবাক হওয়ার কিছুই নাই। আমি জাস্ট ওই একই কথাগুলাই বলার জন্য নতুন একটা ওয়ে খুঁইজা নিছি। এইটা জাস্ট সেইম জিনিসটাকে অন্যভাবে বলা আসলে। আর পুরা প্রসেসটা অর্ডিনারি কিছু থিকা আসছে এমন না ব্যাপারটা।

তো আপনেরা তো জানেনই, আমি ন্যাচারাল কিছু করার ইচ্ছা থিকাই সামনে আগাইতেছিলাম, কিন্তু সেই প্রথম থেইকাই গানগুলারে কেন্দ্র কইরা পাবলিক দুই ভাগ হইয়া গেল। গানগুলা মানুষরে দুই দিকে নিয়া গেল। আমি চিন্তা কইরা কূল পাইনা এইটা কেন হইল। কেউ কেউ এইগানগুলা শুইনা ফুঁইসা উঠলো, আবার কেউ কেউ ভাল পাইলো গানগুলা। আমি বুঝতে পারলাম না কেন গানগুলার বিরোধি যেমন আছে এগুলার সাপোর্টারও বা কেনও আছে। এক গুবলেট মার্কা পরিবেশে গানগুলা গাইয়া যাইতে হইল আমাকে। কিন্তু আমি গান গাওয়া থামাই নাই কোনভাবেই।

শেষে এই বইলা বুঝ নিলাম যে আমার লেখা গান নিয়া কে কী ভাবতেছে এইটা কেয়ার করার কিছু নাই। আমি খালি নিজের মত লিইখাই গেলাম। আমার মনে হইলো না যে আমি আহামরি ডিফারেন্ট কিছু করতেছি। আমার মনে হইতে থাকলো আমি তো জাস্ট এক লাইনের পর আরেক লাইন লিইখা যাচ্ছি। হয়তো এইটা করতে গিয়া নিয়ম কানুন ওইভাবে মানতেছি না, কিন্তু আমি আমার তৎকালীন সিচুয়েশনরে খোলাসা করার কাজটাই করতেছিলাম। সমালোচনার পাল্টা কোন কিছু কইরা তাদের থামানো হয়ত বেশ কঠিনই, কিন্তু তাতে আর কী-বা আসে যায়। এত্ত নিন্দুকরে জিনিসটা বুঝাইয়া চুপ করানো বেশ হার্ডই। আপনারে ওইটা সহ্য কইরাই যাইতে হবে। লিভার এন্ড স্টোলার ( Lieber and Stoller) আমার গান নিয়া কী ভাবতেছে ওইটা ভাইবা আমার কাজ নাই।

তারা আমার গান লাইক করে নাই, বাট ডক পোমাস (Doc Pomus) তো করছে। তারা আমার গান লাইক করে নাই ভালই হইছে, আমারও তাদের গান ভাল লাগতো না ওইভাবে। “Yakety yak, don’t talk back.” “Charlie Brown is a clown,” “Baby I’m a hog for you.” এগুলা তখন বাজারে নতুন আসছিল। তারা গানে আহামরি শোনার মত তেমন কিছু তো বলে নাই। অথচ ডকের গানগুলা দেখেন, ওগুলা দারূন: “This Magic Moment.” “Lonely Avenue.” Save the Last Dance for Me.

উনার গানগুলা আমার হৃদয় জয় কইরা নিতে পারছিল। আমি বুঝতে পারতাম এই গানগুলাই আমারে একদিন ভাল কিছু আইনা দিতে পারবে, ওই ওদেরগুলা না।

আহমেত এর্তেগুন (Ahmet Ertegun) আমার গানরে ওইভাবে ধরতে পারেন নাই, কিন্তু স্যাম ফিলিপস (Sam Phillips) সেটা পারছিলেন। আহমেত আটলান্টিক রেকর্ডের ফাউন্ডার আছিলেন। উনি বেশ ভাল ভাল কিছু আর্টিস্টের গান রেকর্ড করছিলেন তখন, এই মুহূর্তে র‍্যা চার্লস, র‍্যা ব্রাউন ইনাদের কথা মনে আসতেছে। ওইখানে নাম নেয়ার মত অনেকগুলা গানই ছিল, এইটাতে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু স্যাম ফিলিপসের দিকে দেখেন, উনি রেকর্ড করলেন এলভিস আর জেরি লি (Jerry Lee)’র গান, উনি রেকর্ড করলেন কার্ল পারকিনস (Carl Perkins) আর জনি ক্যাশের গান। সব কিছু নাড়ায়া দেয়ার চোখ দিয়া উনি হিউম্যানিটির যে ডেফিনিশন সেটাই আউলায়া দিলেন। গানের স্টাইল আর স্কোপে একটা আমূল চেঞ্জ আনলেন উনি। বিশালাকারে বলা যায়, এক নতুন ঢংয়ে। রন্ধ্রে রন্ধ্রে চেঞ্জটা টের পাওয়া গেল। গানে যা না থাকলেই নয় ওগুলা ছাড়া বাকি সবই বাদ দিলেন। নিয়ম ভাঙার খেলায় এক ডিগ্রি বাড়ায়া খেললেন, এমন সব গান বানাইলেন যেগুলা কোনদিন নিঃশেষ হইতে পারে না, আপনি দেখেন এখনো ওই গানগুলা কেমন জ্বলজ্বল করতেছে। আহারে, স্যাম ফিলিপসরে যদি কাছে পাইতাম কখনো আরেকবার।

মার্লে হ্যাগার্ড (Merle Haggard)ও আমার গানে তেমন কিছু পায় নাই। আমি জানতাম উনার আমার গান ভাল লাগবে না। উনার যে ভাল লাগেনাই এইটা উনি আমারে বলেন নাই, কিন্তু আমি বুঝি যে [এরপর বুঝা যায় নাই]। কিন্তু বাক ওয়েনস (Buck Owens) আবার আমার গান পছন্দ করতেন, এবং উনি আমার প্রথমদিককার কিছু কিছু গান রেকর্ডও করছিলেন। মার্লে হ্যাগার্ডের “Mama Tried,” “The Bottle Let Me Down,” “I’m a Lonesome Fugitive.” ওয়েলন জেনিংস (Waylon Jennings) যে গাইবেন “The Bottle Let Me Down” এইটা আমি ভাবতেও পারিনাই।

“Together Again” গানটা? বাক ওয়েনের গান, আর ব্যাকার্সফিল্ড শহরে বাইর হওয়া যেকোন গান থিকা এই গানটা অন্তত উপরে থাকবে। বাক ওয়েনস না মার্লে হ্যাগার্ড? আপনারে যদি যেকোন একজনরে বাইছা নিতে বলা হয় আপনি কারে নিবেন — আপনিই বলেন।

আহারে দুঃখের কথা। ক্রিটিকরা আমি গান লিখার সেই শুরুর দিন থিকা প্রচুর পেইন দিয়ে আসতেছে। ক্রিটিকরা বলে আমি গাইতেই পারিনা। গাইলে কাউয়ার ডাক বাইর হয়। ব্যাঙের ডাকের মত শোনায়। ক্রিটিকরা সেইম কথাগুলা টম ওয়েটস (Tom Waits)’র ব্যাপারে বলে না ক্যান? ক্রিটিকরা বলে আমার গান নাকি জাস্ট কোঁতানি। আমার গলায় কিছু নাই। এই টাইপের কথা তারা লিওনার্দ কোহেনের বেলায় বলে না ক্যান? খালি আমার ব্যাপারেই বলতে হইতেছে কেন? ক্রিটিকরা বলে আমার গলা বেসুরা আর নিজের নরমাল কথাগুলাই গান বইলা চালাই আমি। রিয়েলি? কই আপনেরা তো এগুলা লুই রীড (Lou Reed)’র বেলায় বলেন না। উনারে ক্যান আপনারা ছাড় দিতেছেন তাইলে?

কি করলে আপনারা আমারে এই স্পেশাল ছাড়টা দিবেন? গলা উঠা-নামা না করাইয়া গাইলে? লাস্ট কবে ড. জনের গান শুনছেন আপনারা? উনার গলা যে কাঁপে এইটা আপনেরা বলেন না কেন? গান গাওয়ার সময় আমার শব্দগুলা জড়ায়া যায়, গানের কথা বুঝা যায় না। আপনারা কোনদিন Charley Patton বা Robert Johnson, Muddy Waters ইনাদের শুনেন নাই নাকি। উনারা গান গাওয়ার সময় যে গানের কলি ঠিকটাক বুঝা যায় না সেটা বলেন। [কি বললেন বুঝা গেল না] এসবে আমার কিছু যায় আসে না।

“ও খোদা খালি আমার বেলায় কেন এসব হয়?” আমি নিজে নিজে এইটাই বলি খালি।

ক্রিটিকরা বলে আমি গানের মেলোডি বিকৃত কইরা গাই, যাতে অন্য কেউ আমার গানটা ধরতে না পারে। আসলে কি তাই? আপনাদের কিছু কথা কই তাইলে। কয় বছর আগে একটা বলিখেলা খেলা দেখতে গেছিলাম, ফ্লয়ড মেওয়েদার আর পুয়ের্তু রিকানের এক লোকের মধ্যে ফাইট আছিল। তো এক লোক পুয়ের্তু রিকানের জাতীয় সংগীত গাইলো, দারুণ গাইলো সে। মন ভইরা গেল শুইনা, হৃদয়গ্রাহী যারে বলে।

এরপর আমাদের নিজেদের জাতীয় সংগীত গাওয়া শুরু হইল। এবং সৌল সিংয়িং ব্যান্ডের নামকরা এক শিল্পীই গাইলো গানটা। সে গানের প্রত্যেকটা নৌট যেটা যেমনে আছে গাইলো, আবার যেটা নাই সেটাও গাইলো। এবার তার সুর বিকৃতির কথা বলেন দেখি আপনেরা। আপনে একটা শব্দরে পনেরো মিনিট ধইরা গ্যাঁজাইয়া গ্যাঁজাইয়া গাইলেন না? উনি লাগলো যে গলার ব্যায়াম শুরু করছেন, ট্রাপেযে উইঠা এথলেট যেমনে কসরত করে ওইরকম। আমার কাছে তো ফানি লাগে নাই এইটা।

ওই ক্রিটিকরা কই এখন? গানের কথা বিকৃতি হয় না এখন? সুর বিকৃতি হয় না এখন? একটা দামি গানরে এখন বিকৃত করা হইল না? না, আমি ব্লেইমের শিকার হইছি খালি। কিন্তু আমি মনে করি না আমি গান বিকৃতি করছি। বুঝাইতে চাইলাম যে ক্রিটিকরা মনে করে আমি গান বিকৃতি করছি।

স্যাম কুক (Sam Cooke)-রে উনার গলা সুন্দর বলার পর উনি আমারে যেটা বললেন তা হইল: উনি বলছিলেন, “আপনি কথাটা বলছেন থ্যাঙ্কিউ কিন্তু গলার ব্যাপারটা আসলে তা কতটা সুন্দর তা দিয়া মাপা হয় না। বরং ওই গলার ভয়েসটাই দারুণ যেটা শুইনা আপনার মনে হবে যে ভয়েসটার ভিতর কোন ভান নাই।” তো পরের বার থিকা চিন্তা কইরা দেখেবেন যে [পরেরটা ভাল কইরা বুঝা যায় নাই]।

টাইম তো চেঞ্জ হইতে থাকে। সময় সত্যিই আগেরটা থাকে না। এবং আপনাকে সামনে কি আসবে সেইটার ব্যাপারে আগে থিকাই রেডি থাকতে হবে আর হয়ত যেটা আসবে ওইটা আপনার মন মত নাও হইতে পারে। পিছনের একটা কথা বলি, আমি তখন নাসভ্যালিতে কিছু গানের রেকর্ড করতেছিলাম, আর তখনই আমি টম টি. হলের ইন্টারভিউ পড়তেছিলাম। তো ওই ইন্টারভিউতে টম টি. হল তখনকার কিছু নতুন গানরে ইচ্ছামত গালি দিচ্ছিল, এবং উনি বুঝতেই পারতেছিলেন না এসব আজগুবি নতুন গান কোথা থেইকা আইসা ঢুকতেছে।

তো এখন, উনি তখনকার ন্যাসিভ্যালির বাঘা বাঘা গীতিকারদের মধ্যে একজন আছিলেন। কত মানুষ উনার গান গাইল আর নিজেও উনি অনেক গান গাইছিলেন। কিন্তু উনি জেমস টেইলরের পিছে উঠে পড়ে লাগলেন, জেমসের ‘কান্ট্রি রোড’ বইলা একটা গান আছে। টম ওই ইন্টারভিউতে বললেন, “কই জেমস তো ওই গানে কান্ট্রি রোড কি জিনিস এইটা ছাড়া আর কিছুই বললেন না। উনি জাস্ট গ্রামের রাস্তা ধইরা হাঁইটা যাওয়ার সময় আপনার কি ফিলিংসটা হবে এইটাই বলছেন। ব্যাপারটা তো বুঝলামই না কাহিনি কী।”

এখন আপনারা হয়তো বলবেন টম তো গ্রেট একজন গীতিকার। আমার কোন সন্দেহ নাই তাতে। উনি যখন ওই ইন্টারভিউ দিচ্ছিলেন তখনো আমি রেডিওতে উনার একটা গান রেগুলার শুনতেছিলাম।

গানটার নাম ছিল “I Love”। আমি গানটা একটা রেকর্ডিং স্টুডিওতে বইসা শুনতেছিলাম, গানটাতে উনি কি কি পছন্দ করেন সেইটাই বলতেছিলেন, সবার ভাল লাগবে টাইপের গান, গানটা দিয়া মানুষের কাছে যাওয়ার ট্রাই করা হইছে। উনি যে আর সবার মতন আর সবাই যে আসলে উনার মতই এইটা বলাই আছিল গানটার উদ্দেশ্য। আমরা সবাই তো আসলে কমন জিনিসগুলাই লাইক করি ঘুরেফিরে, আর এমনেই তো আমরা একজনের সাথে আরেকজন মিইলা যাই। টম ছোট্ট হাঁসের বাচ্চা লাইক করেন, লাইক করেন আস্তে আস্তে চলা মালগাড়ি ট্রেইন আর হালকা রেইন। উনি পুরাতন পিকাপ ট্রাক আর ছোট ছোট গ্রামীন ঝর্ণা লাইক করেন। দুঃস্বপ্ন ছাড়াই সকালে ঘুম থিকা উঠা। গ্লাসে ঢালা মদ। কাপ ভর্তি কফি। ক্ষেতে পাকা টমেটো আর পিঁয়াজের থোকা।

তো শোনেন, আরেকজন গীতিকাররে ছোট করার জন্য আমি এসব বলতেছি না। আমি সেটা করবো না। আমি এটাও বলতেছি না গানটা বাজে। আমি বলবো যে গানটাতে আসলে একটু বেশিই কসরত করা হইছে। কিন্তু, আপনারা হয়ত জানেনই, তখন গানটা টপ টেনের একটা আছিল। পুরা ন্যাসেভিলে শহরের গানের কারবার টম আর কয়েকজনের হাতের মুঠায় থাকতো। আপনি যদি গান রেকর্ড করতে চান আর ওই গানটা যদি টপ টেনেও থাকুক এইটা চান তাইলে আপনারে ওদের কাছেই যাইতে হইতো, আর টম আছিল এই লোকগুলার ভিত্রে এক নম্বর। ওরা এই কাজে বেশ পারদর্শী আছিল।

এইটা ওই সময়ের কথা যখন উইলি নেলসন (Willie Nelson) সুস্থ হইয়া উঠলো এবং টেক্সাস চইলা গেল। এইসব ঘটনার পুরা সময়টা উনি টেক্সাসেই আছিলেন। ফলে পরিস্থিতি দারুন নিয়ন্ত্রণে রইল। সব কিছু ঠিকঠাকই আগাইতেছিল যতদিন না…যতদিন না শহরে ক্রিস্টোফারসন আইসা হাজির হইল। আরেহ তারা তো এই কিসিমের লোক আগে অন্তত দেখে নাই। সে একটা হুলো বিড়ালের মত নিঃশব্দে আইসা নামলো শহরে, অন্যান্য গীতিকারদের মত উনিও হেলিকপ্টার উড়াইয়া জনি ক্যাশের বাড়ির পিছে আইসা নামলেন। এবং “Sunday Morning Coming Down” গানটা গাওয়া শুরু দিলেন।

Well, I woke up Sunday morning
With no way to hold my head that didn’t hurt.
And the beer I had for breakfast wasn’t bad
So I had one more for dessert
Then I fumbled through my closet
Found my cleanest dirty shirt
Then I washed my face and combed my hair
And stumbled down the stairs to meet the day.

 

আপনে ন্যাসেভিলে শহরের গানে প্রি-ক্রিস্টোফারসন আর পোস্ট-ক্রিস্টোফারসন সময়ের ভিতরে ডিফারেন্স খুঁইজা পাবেন, উনি আইসা প্রায় সব চেঞ্জ কইরা ফালাইলেন। ওই একটা গানই টম ট. হল (Tom T. Hall)’দের সাজানো আস্তানা ভাইঙা তছনছ কইরা দিল। এই গানটা উনারে মে বি পাগলাগারদেই পাঠায়া দিছে। খোদা জানে উনি আমার কোন গান শুনছিলেন কিনা।

You walk into the room
With your pencil in your hand
You see somebody naked
You say, “Who is that man?”
You try so hard
But you don’t understand
Just what you’re gonna say
When you get home
You know something is happening here
But you don’t know what it is
Do you, Mister Jones?
“Sunday Morning Coming Down”

গানটা যদি টম আর তার সাঙ্গপাঙ্গদের শিবিরে ত্রাস ছড়ায় দিতে পারে, তাদেরকে গানটা শুইনা যদি মেন্টাল হাসপাতালে যাইতে হয়, তাইলে আমার গান শুনলে তো তারা নিজের মাথায় গুলি ঠেকায়া আত্মহত্যা করতো, ভ্যানে কইরা লাশ নেয়া লাগতো। আমার মনেহয় তারা আমার গান শোনে নাই কোনদিন।

স্ট্যান্ডার্ড গানগুলা নিয়া আমি একটা এলবাম বাইর করলাম, ওই এলবামের বেশিরভাগ গান মাইকেল বাবেল (Michael Buble) আর জুনিয়র হ্যারি কনিক (Harry Connick Jr.)’র করা, দুয়েকটা গান মে বি ব্রায়ান উইলসন (Brian Wilson) আর লিন্ডা রোনস্ট্যাড (Linda Ronstadt) করছিলেন। কিন্তু দেখা গেল আমি গানগুলা করলে যেরকম রিভিউ করতো সবাই তাদের বেলায় ওইরকম রিভিউ করলো না।

তাদের রিভিউতে কেউ কিচ্ছু বলল না। অথচ আমার রিভিউগুলাতে দেখেন, চুল চেরা বিশ্লেষণ করে তারা। উনাদের রিভিউতে দেখা গেল সব গীতিকারের সুনাম করা হইল। সবার নাম নিছে তাতে আমার আপত্তি নাই। আফটার অল, উনারা এক একজন গ্রেট গীতিকারই আছিলেন এবং ইনারাই আছিলেন তাদের কাছে স্ট্যান্ডার্ড। উনাদের রিভিউগুলাতে আমি দেখলাম, পুরাটার অর্ধেক জুইড়াই ওই গীতিকারদের নাম যাতে কইরা সবাই নাম জানতে পারে। কোন লোকেই আগে উনাদের নাম শুনে নাই, এমনকি এখনো। বাডি ক্যায়ে (Buddy Kaye), সি কোলম্যান (Cy Coleman), ক্যারোলিন লেইগ (Carolyn Leigh) এই কয়েকজনের নাম বললাম।

কিন্তু, আপনারা জানেনই, তাদের নাম যে তখন ছাপা হইছিল আমি খুশিই হইছি, আপনারা এইটা জানেন না? তাদের নাম যে খালি ছাপার অক্ষরেই আছে এর বাইরে নাই এজন্য আমি খুব খুশি। খালি অবাক লাগে এইটা ভাইবা যে এই ঘটনা ঘটতে এত লম্বা সময় কেন লাগলো। তাদের পরিণতি দেখার জন্য যে তারা বাঁইচা নাই এইটা ভাবলে কিছুটা মন খারাপ হয়।

ট্র‍্যাডিশনাল রক এন রোল নিয়া তো আমরা এখন অনেক কথাই বলতেছি। এটা পুরাই রিদমের খেলা। জনি ক্যাশ এটা নিয়া খুব ভাল একটা কথা বলছিলেন, “রিদমে গাও, যখন তুমি ব্লুজ গাইবা তখন রিদমে গাও।” খুব কম রক এন রোল ব্যান্ডই এখন এইটা মানতে চায়। তারা জানেই না এটা কি জিনিস। রক এন রোল তো ব্লুজের কম্বিনেশনই, আর এই আজিব মার্কা ব্লুজই দুইটা জিনিসরে জোড়া লাগায়। অনেক লোকই জানে না ব্লুজ কি জিনিস, এটা অনেকে ভাবে আমেরিকান মিউজিক, তারা যেইটা ভাবে সেটা আসলে ওইটা না। এটা মূলত আরব দেশের বেহালার সুরের কম্বিনেশন আর এই কম্বিনেশনের কাজটা স্ট্রস ওয়ালজেস (Strauss waltzes) বেশ ভাল কইরাই করতে পারছিলেন। আপনি না মানলেও এটাই সত্যি।

রক এন রোলের আরেকটা পার্ট হইলো পল্লীগীতি। এবং এইটা আসলে ইনফর্মাল ওয়ার্ডই, কিন্তু আমার কাছে তেমন যুতসই মনে হয় না। এই টার্মটা আসলে ডেলমোর ব্রাদার (Delmore Bros.), স্ট্যানলি ব্রাদার (Stanely Bros.), রসকো হলকোম্ব (Roscoe Holcomb), ক্ল্যারেন্স এসলে (Clarence Ashley) বা এই টাইপের গ্রুপগুলার গানরে বুঝাইতে বলা হয়। চোরাকারবারির মাথা রাইগা-মাইগা আগুন। দামি গাড়ি গ্রামের কাদাভরা রোড দিয়া যায়। এইটাইপের লাইনের যে কম্বিনেশন সেইটা রক এন রোলে ইউজ হয়, এবং এইটা কিন্তু আপনে সাইন্সল্যাব বা স্টুডিওতে রেসিপির মত বানাইতে পারবেন না।

এই ধরনের গান গাইতে হলে আপনাকে রিদম ঠিকঠাক রাখতে হবে। আপনি যদি ব্লুজই গাইতে না পারেন তাইলে [এরপর কি বললেন শোনা গেল না] অন্য দুইটা টাইপের গান কেমনে ওইখানে? আপনে ফেইক কিছু হয়ত করতে পারবেন, ওইটা রক এন রোলের কিছুই হবে না আসলে।

ক্রিটিকরা আমার গান উনাদের মন মতো কিছু হইতেছে না বইলা বেড়াইয়া ক্যারিয়ার গড়তে চাইছিলেন। আসলেই আমি ওইরকম? আমি রক এন রোল ওইভাবেই গাইছি বইলা আমার দোষ? আমি রক এন রোলের ব্যাপারটা ওইভাবে ভাবি বইলা? আমার গান তাদের মন মতো হইতেছে না।

“তুমি কি কাজ পারো, ভাইসাব?”

“আরেহ, আমি মানুষরে হতাশ করার কারবার করি।”

আপনি চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গেলেন, মালিকে জিজ্ঞেস করলো, “আপনি কি কাজ পারেন?” “ও আচ্ছা আমি তো মানুষরে হতাশ করার কাজটা করি। : এইটা শুইনা মালিক বলল, ” আচ্ছা, আমাদের এই পোস্টটা তো আগেই ফিলাপ হয়ে গেছে। কিছুদিন পরে ফোন দিয়া দেইখেন খালি হইল কিনা বা ফোন দিয়েন না, আমরা নিজেরাই ফোন দিব খালি হইলে। মানুষরে হতাশ করার কারবার। এইটা দিয়া আসলে কি বুঝাইলো তারা? ‘ও খোদা আমার বেলায় এগুলা হয় খালি? আমি নাকি তাদের হতাশ করছি, আমি নিজেই জানি না এই কাজটা কেমনে করে।’

ব্ল্যাকউড ব্রাদার (Blackwood Bros.)’র সাথে গান রেকর্ড করার কথা উনারা বেশ কয়দিন ধইরা বলতেছেন। এইটা হয়ত উনাদের মন মত নাও হইতে পারে কিন্তু সেটা হওয়া উচিতও হবে না। এইটা অফ কোর্স একটা যিশু খ্রিস্টরে নিয়া এলবাম। এইটা আমার কাছে কোন অর্ডিনারি কাজ না আসলে। কোন অবস্থাতেই না। ব্ল্যাকউড ব্রাদারের “Stand By Me” গানটা ওই এলবামে গাওয়ার চিন্তা করতেছি আমি। পপ গান “Stand By Me” না। কখনোই না। আমি আসল “Stand By Me” গানই গাইতে চাই।

আসল গানটা এরকম:

When the storm of life is raging / Stand by me / When the storm of life is raging / Stand by me / When the world is tossing me / Like a ship upon the sea / Thou who rulest wind and water / Stand by me
In the midst of tribulation / Stand by me / In the midst of tribulation / Stand by me / When the hosts of hell assail / And my strength begins to fail / Thou who never lost a battle / Stand by me
In the midst of faults and failures / Stand by me / In the midst of faults and failures / Stand by me / When I do the best I can / And my friends don’t understand / Thou who knowest all about me / Stand by me

এই গানটার কথা বলতেছি। একই নামের পপ গানটার চাইতে এই গানটাই আমার বেশি ভাল লাগে। আমি একই নামেই যদি গানটা রেকর্ড করি তাইলে এই নামে আমারটাই টিইকা থাকবে। আমি একটা গান আলাদা কইরাও রেকর্ডের কথা ভাবতেছি, ওই এলবামে না আরকি, তবুও: “খোদারে, কেউ যাতে আমারে ভুল না বুঝে।’

তো, খালি আমারে কেন, আমি কি দোষটা করছি খোদা?

যাইহোক, আজকের রাতে মিউজিক্যায়ারজের এই প্রোগ্রামে থাকতে পাইরা আমার খুব প্রাউডই লাগতেছে। এই যে এত এত আর্টিস্ট আমার গানগুলা গাচ্ছে এইটা আমারে বেশ অনারই করে। এর চাইতে বেশি অনার আর কীসে আছে বলেন। গ্রেট আর্টিস্ট [হাততালির শব্দে এরপর কী বললেন শুনা গেলনা]। উনারা বেশ অন্তর দিয়াই গানগুলা গাইতেছেন, আর এইটা যে ভান না সেটা আপনারা তাদের ভয়েসেই টের পাবেন।

আজকের রাতের মিউজিক্যায়ারজের এই প্রোগ্রামে থাকতে পাইরা আমি প্রাউড। এই অরগানাইজেশান নিয়া আমি অনেক কিছুই ভাবি। উনারা কত শিল্পীরে যে হেল্প করলেন। এইসব মিউজিশিয়ানরা সবাই মিইলা আমাদের কালচাররে কম বেশি আরো উপরে তুইলা ধরলেন। উনারা আমার বন্ধু বিলি লি রিলে (Billy Lee Riley)’কে যেভাবে হেল্প করছেন এজন্য আমি পারসোনালি উনাদের থ্যাংকস দিতে চাই। আমার এই বন্ধু যখন প্রায় ছয় বছর ধইরা অসুস্থ আছিল এবং কাজ কাম করতে পারতো না তখন উনারা তাকে হেল্প কইরা গেছেন। নিঃস্বন্দেহে বিলি রক এন রোলের যোগ্য উত্তরসূরী।

সে আসলেই অন্তর থেইকা এইটা গাইতো। সে নিজেই সব করতো: সে বাজাইতো, গাইতো, লেখতো। সে অনেক বড় স্টার হইতে পারতো কিন্তু জেরি লি আইসা গেল মাঝে। আর আপনারা জানেনই জেরি লিয়ের মত লোক আইসা গেলে কি ঘটনা ঘটতে পারে। আর কেউই সুযোগ পায় না।

তো বিলি হয়ে গেলেন মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে যাকে বলে – ছাই চাপা আগুন – কারণ উনার তো খালি একটা গানই হিট হইতে পারছিল। কিন্তু অনেক সময় দেখবেন, মানে আবার সব সময় না, একটা হিট গানের শিল্পীর ইমপ্যাক্ট বিশ-ত্রিশটা হিট গান গাইছেন এমন শিল্পি থিকাও বেশি। এবং বিলির হিট গানটার নাম আছিল ‘রেড হট (Red Hot), আর আসলেই ওই গানটা আগুনের মতই গরম আছিল। গানটা আপনার মাথারে নাড়ায়া দিবে এবং গানটা শোনার পর আপনার শান্তি শান্তি লাগবে। আপনার লাইফরে চেঞ্জ কইরা দিবে।

এইটা উনার স্টাইল আর নিজের বুঝাপড়া দিয়া করছিলেন উনি। উনার এই জিনিসটা আপনি রক এন্ড রোল হল অফ ফেইমে পাবেন না। উনারে ওইগানে আপনি পাবেন না। মেটালিকায় পাবেন। এব্যেতে পাবেন। দ্য মামাস এন্ড দ্য পাপাস ব্যান্ডের গানেও আপনি এইটা পাবেন আমি জানি। জিফারসন এয়ারপ্লেন (Jefferson Airplane), এলিস কুপার (Alice Cooper), স্টীলে ডান (Steely Dan) – এসব মিউজিক্যাল ব্যান্ডের বিরুদ্ধে আমি কিছু বলতেছি না। সফট রক, হার্ড রক, সাইকেডেলিক পপ। আমি এগুলা নিয়া কিছু বলি না, কিন্তু যাই বলেন না কেন, কিন্তু আপনি যদি রক এন্ড রোল হল অফ ফেইম গানটার নাম নেন তখন বলি। ওই গানে আপনি বিলি লি রিলের জিনিসটা পাবেন না। এখনো, তখনো।

আমার সাথে উনার বছরে কয়েকবার দেখা হইতো এবং দেখা হইলেই আমরা এক সাথে অনেক আলাপ-সালাপ করতাম। উনি রকাবিলি ফেস্টিভ্যাল নস্টালজিয়া সার্কিট হাউজে থাকতেন এবং ওখানে আমাদের প্রায় যখন-তখন দেখা হইতো। আমরা সব সময় এক সাথে আড্ডা দিতাম। উনি আমার হিরো আছিলেন। আমি “রেড হট” গানটা শুনছিলাম। যখন ফার্স্ট শুনি তখন আমার বয়স আছিল পনেরো-ষোল এবং এখনো এইগান শুনলে আমাকে ভালই নাড়া দেয়।

আমি গানটা শুইনা কখনো বিরক্ত হই নাই। এমনকি বিলি লি’র কোন পারফরম্যান্স শো দেখতেও বিরক্ত লাগে নাই। আমরা সারারাত গল্প আর গান-বাজনা কইরা পুরা রাত কাটাইয়া দিছি কত। উনি খুব আন্তরিক আর আস্থাবান আছিলেন। উনি কারো সমালোচনা বা পুরান দিনের ঘাঁটাঘাঁটি করতেন না। উনি সব কিছু মাইনা নিতেন। উনি কই থিকা উইঠা আসছেন সেইটা জানতেন আর উনি যা সেইটা উনি আনন্দের সাথেই মাইনা নিতেন।

এরপর উনি একদিন সিক হয়া গেলেন। এবং আমার আরেকজন ফ্রেন্ড জন মিলেনক্যাম্প (John Mellencamp) যেটা গানের ভিতরে গাইছিলেন সেটাই আজকে সত্যি হয়া গেল, একদিন আপনে সিক হইয়া যাবেন এবং আর সুস্থ হবেন না জীবনেও। এটা উনার গান “Life is Short Even on its Longest Days.” এটা বিগত কয়েক বছরের ভিতর গাওয়া ভাল গানগুলার একটা। আমি মিথ্যা বলতেছি না এইটা।

আমি এইটাও মিথ্যা বলতেছি না যে মিউজিক্যায়ারস আমার বন্ধুর হাসপাতালের বিল পে করছে এবং উনার যাবতীয় খরচ-টরচ দিছে। তারা তো অন্তত উনার জীবনটা কমফোর্টেবল করতে পারছেন, শেষ পর্যন্ত সহ্য করার মত সাপোর্ট দিয়া গেছেন। এই ঋন জীবনেও শোধ করার মত না। এইধরনের কোন অর্গানাইজেশন যারা এই কাজটা করেন তাদের প্রতি আমার অনেক ভালবাসা থাকে।

এখন আমি বিদায় নিচ্ছি। যাই গা তাইলে। আমি মনে হয় অনেকজনের নামও নিই নাই আবার কয়েকজনের নামে বেশি বেশি বলছি। যা বলছি, বলছি আরকি। স্পিরিচুয়াল গানটার মত, ‘I’m still just crossing over Jordan too.’ আবার হয়ত দেখা হবে। কখনো হয়ত। এবং আমরা হয়ত বলব, হ্যাংক উইলিয়ামস যেমনটা বলছিলেন, “the Good Lord willing and the creek don’t rise.”

 

৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
লস এঞ্জেলস কনভেনশন সেন্টার, ইউ এস এ।

The following two tabs change content below.
Avatar photo

মঈন উদ্দিন

মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →