Main menu

এডিটোরিয়াল: বাকশালি ডিসিশান নাগরিকের এজেন্সিরেই আরেকবার বাইপাস করে মূলত

মজলুমের পক্ষে প্রত্যেকটা এক্টরে আনরিমার্কেবল প্রমাণ কইরা, ইনসিগনিফিকেন্ট তকমা দিয়া আপনে যতই জালিমের বিরোধিতা করেন না কেন, আদতে ওইভাবে জালিমের এক্টরে লেজিটিমাইজই করতে থাকেন ধাপে ধাপে।

পারভেজ আলম এই কাম করতেছেন ধারাবাহিকভাবে। তিনি মোদি আসার প্রতিবাদে গরু জবাই করারে ভিলিফাই করছেন। গরু জবাইকারিদের সাইকো সাব্যস্ত করতে চাইছেন। কেন মোদি বিরোধিতায় গরু জবাই করা যাবে না? সেই প্রসঙ্গে উনি যেইসব কথা বলছেন, তাতে বাংলাদেশে গরু জবাই করাই ইলেজিটিমেট হইয়া যায়। কইছিলাম ওই সময়, গরু জবাই যদি থাকে বাংলাদেশে মোদি বিরোধিতায় গরু জবাই না থাকতে পারার কোন এক্সক্লুসিভ কারণ নাই।

মাদ্রাসার ছাত্র খুন করার পর, উনিও কইতে থাকলেন হেফাজতের ইউজ করার কথা। ওই কর্মসূচি হেফাজতের ছিল না। মাদ্রাসার ছাত্রদের যে কোন স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদরেও যখন ওই ইউজ করার নেরেটিভ দিয়া বোঝা লাগে, তখন আসলে ওই ছাত্রদের যে কোন সময় খুন করার রাইটই সরকারি বাহিনীর হাতে তুইলা দেওয়া হয়। মাদ্রাসার স্টুডেন্টদের খুনের প্রতিবিধানে কার্যত আর কোন পথই খোলা থাকে না এর পর। ওই নেরেটিভ এতটাই উবিকুইটাস।

আর এখন উনি, ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ দিয়া যে কোন লাভই নাই, ইসরায়েলের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক না রাখার যে কোন মানেই নাই, সেই তত্ত্ব উৎপাদনে হাত দিছেন। প্রশ্নটা হইতেছে যেমনে সিভিল সমাজের সাথে কোন প্রকার আলোচনা ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত নিছে বাকশালি জোচ্চোরগুলি সেইটা নেয়া যায় কিনা। এই প্রশ্ন টপকায়ে যখন- ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ রাইখা কোন লাভই নাই- এমন আলাপের অবতারণা ঘটে, তখন তখনই তার মধ্য দিয়া সরকারি ওই চোরা ডিসিশানের হালালিফিকেশন শুরু হয়। পারভেজ আলমের এই এপ্রোচ র‍্যান্ডম নয়; ধারাবাহিক। ফলেই সন্দেহজনক।

আর যদি আপনে লাভের কথাই চিন্তা করেন, মিডল ইস্টের ইসরায়েল-ফিলিস্তিনে কি হইতেছে না হইতেছে বাংলাদেশে বইসা বাংলাদেশের পিপল তাতে কখনোই প্রভাব ফেলতে পারবে না, পারে নাই; পারভেজেরা সত্তর-আশির দশকের কথা কন, আসলে ওই সময়ও এর কোন সিগনিফিকেন্স ছিলো না। ওই কনক্রিট সিগনিফিকেন্স দিয়া মাপার এইখানে কোন বেসিসই নাই। এর সিগনিফিকেন্স সব সময়ই সিম্বোলিক। এবং এই সিগনিফিকেন্স এখন আরও বেশি, যখন মিডলইস্টেও ইসরায়েলি জুলুমের একটা সার্বিক নর্মালাইজেশন শুরু হইছে, তখনও এর বিপক্ষে নীতিগত অবস্থান ধইরা রাখার বাংলাদেশী সিটিজেনদের যে কসম, সেইটা বিডির সিটিজেনদের এজেন্সিরে প্রিজার্ভ করার কসম মূলত। সেইখানে ইসরায়েলের লগে সম্পর্ক ঠিক করার বাকশালি ডিসিশান(কার্যত) নাগরিকের এজেন্সিরেই আরেকবার বাইপাস করতে চায়। পারভেজেরা বুইঝা হউক বা, না বুইঝা তারেই আবার নর্মালাইজ করতে লাগছে।

এই নর্মালাইজেশন দুইটা কাম করেঃ এক বাকশালের যে ‘দরমুজ টাইপ’ ডিসিশান নেয়ার স্ট্রাটেজি তারে কবুল কইরা লয়, এবং দুই সিটিজেনদের ন্যায় ও অন্যায়ের ফারাক করতে পারার যে অর্গানিক এবিলিটি তারে ধীরে এনিস্থেটাইজ করতে থাকে। দীর্ঘাবসারে এই দুইটার কোনটাই কাম্য হইতে পারে না যদি না কেউ নিঝুম মজুমদারবৎ ঘোর বাকশালি হইয়া থাকে। বাকশালিরা দেশের ‘মুসুলমান’দের ব্যাপারে খোলামেলাভাবেই দরমুজ টাইপ ডিসিশান নেয়ার পক্ষপাতি এখন। উনারা ইসরায়েলরে সাপোর্ট দেয়ার ক্ষেত্রেও ন্যায্যতার জায়গা নিয়া ভাবতে চায় না আর। এই লাইনে যেকোনো ভাবনারে আমাদের তাই রিচেক-রিভিউয়ের ভেতর রাখা দরকার, তা পারভেজ আলম, মানে দৃশ্যত নন-বাকশালি কেউ, ভাবলেও।

মে ২৬, ২০২১

২.
পারভেজ আলম কওমী তরুনদের বলতেছেন, হেফাজতে ইসলামের রাজনীতিতে সময় না দিতে, সম্ভব হইলে ইগনোর করতে।

যে রিসেন্ট প্রেক্ষাপট বিবেচনায় তিনি এই কথা কইলেন, সেই প্রেক্ষাপটে হেফাজত কেমনে রিলেভেন্ট হইছে সেইটা না বুঝলে এই কথা কওয়া যাইতে পারে।

এখন যেভাবে হুজুর বা মাদ্রাসার পোলাপানদের মোদিবিরুধী প্রোগ্রামের সাথে হেফাজতরে জড়ানো হইছে তা তো মূলতই বাকশালি প্রোপাগান্ডা ছাড়া আর কিছু না। এখন এই প্রোপাগান্ডারেই সত্য জ্ঞানে যদি ব্যাখ্যা হাজির হইতে থাকে, তাইলে যেই আলাপের জমিনে এই মত ব্যাখ্যা হাজির হইতে পারে, সেই জমিন ভবিষ্যতে থাকবে না তার গ্যারান্টি কই?

মানে এই যে বলা হইল, হেফাজতের রাজনীতিরে সময় না দিতে, কিন্তু কওমি তরুণরা কোন প্রোগ্রাম দিবে আর তার লগে হেফাজতরে (বা পরবর্তীতে সরকার যারে সামনে রাখতে চায়) জড়ানো হবে না, সেই পরিস্থিতি আসলে কতটা রিয়েল? মানে যদি বাকশালের তৈরি কইরা দেয়া আলাপের প্রেক্ষিতটারে আপনে এখন ডিনাই করতে না পারেন, ভবিষ্যতে সেইটা পারা যাবে সেই বিবেচনা কই! আমি তো দেখি না!

বর্তমানে হেফাজত কীভাবে প্রাসঙ্গিক হইতেছে তা ট্রেস করতে না পারার ফেইল্যুর থেকে বাইর হইতে হবে পারভেজ আলমদের। আমি বলবো সামনের দিনে এইটাই হইল বড় কাজ।

এপ্রিল ২১, ২০২১

৩.
ইন্ডিয়ার সদগুরুর একটা পোগ্রামে একজন উনারে জিগাইলেন, ইন্ডিয়াতে যে গোরক্ষকেরা গরু খাওয়া ঠেকাইতে পিটাপিটি করতেছে, তো এই গরু খাওয়া নিয়া উনার কী মত? উনি কইলেন অন্য পশুর মাংস খাওয়া যাইতে পারে কিন্তু গরুরটা খাওয়া যাইবে না। কারণ গরুর দুধও খাই আমরা তার মানে গরু হইল মা। মায়ের মাংস খাওয়া যাইবে না। এবং এই আইন নতুন না। আগে থেকেই ছিল; জাস্ট এফেক্টিভ ছিলো না। উনি এক বারও পিটাপিটির প্রসঙ্গে গেলেন না। কইলেন না, গরু বাচাইতে মানুষ মারাটা প্রোপর্শনেটলি ঠিকঠাক থাকে কিনা। আসলে এইসব না কইয়া যখন ডাইরেক মা বানাইয়া ফেললেন গরুরে তখনই আমরা বুইঝা ফেলছি, গরুর চেয়ে মুসুলমানের ভেলু ওইখানে কমই হইবে। ইন্ডিয়ার আতেলেরা এই কাম করছে বয়ানে বয়ানে।

এদিকে বাংলার আতেলেরা বয়ান দিতেছে, গরু কাইটা মোদির ভিজিটের পোতিবাদ করলে নাকি হিন্দুর অপরায়ন ঘটে। অথচ এইটা পষ্ট এই গরু কাটা একজন পাড় হিন্দুত্ববাদীরে ইন্ডিকেইট কইরা, যেই হিন্দুত্ববাদের জাগরণে ইন্ডিয়ায় মুসুলমানের লাইফ গরুর তুলনায় নেগলিজিবল হইতে পারে। এই নেতার এগেইনস্টে তাইলে গরু কাটার চে মোক্ষম এক্টিভিজম বাংলাদেশী মুসুলমানদের তরফে কী হইতে পারে! মোক্ষম, প্রোভোকেটিভ, ইফেক্টিভ কোন এক্টিভিজম হইলেই এই বাম আতেলগুলিরে আপনে পোতায় যাইতে দেখবেন।

আমার কথা হইল, যে গরু কাটা ইন্ডিয়ান গোরক্ষকদের ওস্তাদরে লক্ষ্য কইরা, সেই গরু কাটায় যদি হিন্দুর অপরায়ন ঘটে, তাইলে বাংলাদেশে প্রতিদিন হোটেলে রেস্টুরেন্টে যে হাজার হাজার গরু কাটা হইতেছে, কুরবানিতে যে পথে ঘাটে, হিন্দুর চোখের সামনে গরু জবে হইতেছে তাতে হিন্দুর অপরায়ন ঘটবে না কেন? ঘটবে না কারণ এগুলা কোনটাই বাংলাদেশের হিন্দুদের লক্ষ্য করে নয়। যেমন এই গরু কাটাও মোদিরে দেখাইতেই।

তাইলে এই গরু কাটাতে যারা হিন্দুর অপরায়ন হইয়া যাইতেছে মর্মে বয়ান সাপ্লাই দিতেছে, তারা আসলে কী করতাছে? এই বয়ানের টার্গেট কী?

এই বয়ানের টার্গেট হইল গরু কাটা নিয়া বাংলাদেশে একটা ইন্ডিয়ান পরিস্থিতির উন্মেষ ঘটানো। এইটা ডেঞ্জারাস- এই বয়ান ও বয়াতিগণ। এম্নে দেশে যে হিন্দুর অপরায়ন নাই তা না। যখন গরু কাইটা, হাড্ডিগুড্ডি হিন্দুর বাড়ির সামনে ফেলা হয়, তখন তা অপরায়ন, ট্রিক কইরা হিন্দুরে গরু খাওয়ায়ে দেয়া অপরায়ন, হিন্দুর বাড়িঘর পুড়ায় দেয়া অপরায়ন। কিন্তু গোরক্ষক মোদির এগেইনস্টে পোতিবাদ যখন অপরায়ন হিসাবে রিড হয়, তখন এই ব্যাপারে কেয়ারফুল হইতে হইবে। কারণ কিছু অপরায়ন তো মোদির বিরুদ্ধে অন্য সব বাম পোতিবাদেও ঘটতেই পারতো, যেমন পারতো কুরবানিতে, গরু খাওয়ায়। কিন্তু এখনো ওইসব ক্ষেত্রে হিন্দু, মুসুলমান আর পাবলিকের সাধারণ পলিটিকাল এখতিয়ারের বয়ান শক্ত আছে। সেই অবস্থা ধীরে বদলাইতেছে। আবরারের মরায়, তা আমরা টের পাইছি। এখন সেইটা আরও বাড়তেছে। সেই জায়গায় এইরকম পোতিবাদগুলিরে হিন্দুর অপরায়ন হিসাবে রিড করার ট্রেন্ড আমাদের সিভিল রাইটস এক্সারসাইজ করার স্পেসগুলিরে আরও টাইট কইরা ফেলবে। বিশেষ কইরা যখন তা বামদের তরফ হইতে আসবে না। ইতিমধ্যে আমরা দেখতেছি সমস্ত সঠিক(এবং নির্বিষ) পোতিবাদ সমাবেশ যেনবা শুধু উনারাই করতে পারেন।

মার্চ ২৫, ২০২১

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →