Main menu

ইনছাফের পুলছেরাত অথবা ওয়াকিং অন দ্য এজ অব জাস্টিস

This entry is part [part not set] of 12 in the series রকম শাহ'র বয়ান

মানুশের জনম কেমন ঘটনা? বাপ-মা, অন্তত এই ২ জন মানুশের জনমের মতো ঘটনাটা ঘটায়। তারা দুইজন তাইলে কি একটা কেরাইম করলো? একটা পাপ করলো? কেরাইম অথবা পাপ হইলে দুই জনের ভিতর কার ভাগ বড়ো?

এই পোশ্নগুলার ফয়ছালার আগেই পাপ আর কেরাইমের ভিতর ফারাক অথবা রিশতা একটু বিচার করা দরকার।

দুনিয়ার ধর্মগুলার ভিতর কেরাইম আর পাপের আইডিয়া আছে; ধর্মের ইজারাদার বইলা দাবি করা লোকেরা পেরায়ই পাপ আর কেরাইমের ভিতর ফারাক করতে রাজি হয় না, তারা জেই খোদার গোলাম, নিজেরাই শেই খোদা হিশাবে দাবি করে পেরায়ই, ধর্মরে ভালোবাশার নামে ধর্ম দখল কইরা নিজেদের খোদার শরিক হিশাবে হাজির করে দুনিয়ায়!

তাইলে ফারাকটা কই? কেরাইম অথবা পাপের আইডিয়ার গোড়ায় আছে হকের আইডিয়া; মানুশের কাছে/উপর অন্ন মানুশের (অন্ন মাকলুকাতের) হক আছে, তার লগে আছে খোদার হক। খোদার হক মারার নাম পাপ, আর (খোদার) বান্দার/মাকলুকাতের হক মারার নাম কেরাইম। এখন তাবত মাকলুকাতের জিম্মাদার জেহেতু খোদা, তাই মাকলুকাতের হক মারাও খোদার হকের উপর হামলা কতকটা; তাই কেরাইমগুলাও পাপ; কিন্তু খোদার হক মারলে মাকলুকাতের হক মারা হয় না! তাই মানুশের উপর খোদার হক আদায় করা না হইলে ছেরেফ পাপ হইলো, কেরাইম হইলো না!

এখন মানুশের উপর খোদার হক কি? খোদার হক ২ টা ধরা জাইতে পারে বা ১ টাই আখেরে–ইমান এবং/বা এবাদত। নামগুলা জুদা হইলেও ধর্মগুলার ভিতর বৌদ্ধ আর ছেকুলারিজম/ইভলুশনিজম বাদে ইমান আর এবাদতের আইডিয়া খুবই পোক্ত, ঐ দুইটায় একটু আলগা বটে। তাই এই দুই ধর্মে ঐ অর্থের পাপের আইডিয়া তেমন পাইতেছি না; বৌদ্ধ ধর্মে পাপ আর কেরাইম, দুইটা একলগে মনে হয় ‘পাপ’ হিশাবেই আছে, কিন্তু এই পাপের শাজা খুব নেচারাল– কোন খোদায়ি বিচার বাদেই আবারো দুখের জিন্দেগিতে ফেরত আশতে হওয়া। আর ছেকুলারিজম/ইভলুশনিজম নামের ধর্মে পাপের আইডিয়া থাকার উপায় নাই, এদের মরালিটির আইডিয়া খুবই ঝাপশা, তবে কেরাইমের কিলিয়ার আইডিয়া আছে মনে হয়, এবং এই আইডিয়ার গোড়া হইলো–শমাজ বানাবার চুক্তি না মানা, চুক্তি থিকা বাইরাইয়া জাওয়া।

বহু টাইপের শমাজের ভিতর বহু বহু ধর্মের হাজিরা থাকলেও কেরাইমের আইডিয়া মোটামুটি একই! শমাজ বানাবার চুক্তির ভিতর দিয়া জেমন কতগুলা হক পয়দা হয়, বেশিরভাগ ধর্মেও তেমনি মাকলুকাতের হক পাওয়া জাইতেছে এবং এই হকগুলা আদায় না করলে কেরাইম ঘটতেছে। বৌদ্ধ ধর্মে ‘পাপ’ এবং ‘শাজা’ খুব পার্ছোনাল হইলেও শমাজে জখন এই ধর্মটা ১ নাম্বার হয়, তখন কোন এক তরিকায় মরালিটি বানাইয়া লইতে হয়, লয়; চিনে জেমন মনে হয় কনফুছিয়াস থিকা মরালিটি লইয়া বৌদ্ধ ধর্ম শামাজিক হইয়া উঠতেছে।

তো, এই জে হকের আইডিয়া, এই হক মারার নাম কেরাইম এবং কারো হক মারা গেলে/হইলে তার ফয়ছালা করার নাম জাস্টিস ছিস্টেম বা ইনছাফ; তাইলে ইনছাফের মোকাম বা মনজিল হইলো ভিকটিম বা মজলুমকে খুশি করা, জুলুমের খতিপুরন, তার মাইরা দেওয়া হক আদায় কইরা দিয়া তারে খুশি করার ছিস্টেম। দুনিয়ার শকল জাস্টিস ছিস্টেমই তাই, মাকলুকাতের হকের তদারক করা, মাকলুকাতের উপর ছেরেফ খোদার হকের বা পাপের ফয়ছালা করা না।

পাপের ফয়ছালা বা মাকলুকাতের উপর খোদার হকের তদারক করতে জাবার নাম খোদার শরিক হইতে চাওয়া; তখন কিছু মাকলুকাত আর মাকলুকাত থাকতে চাইতেছে না, তখন তাগো কাছে অন্ন মানুশ/মাকলুকাতের হক ঝুকিতে পড়ার শম্ভাবনা, তারা বেশি পাওয়ারফুল হইয়া উঠতেছে, দুনিয়াবি জিস্টিস ছিস্টেমের আওতায় থাকতেছে না, খোদ জাস্টিস ছিস্টেম তাগো দখলে চইলা জাবার ঝুকি পয়দা হয় তখন!

এখন তাইলে শুরুর পোশ্নে ফেরত জাই; মানুশের জনম দেওয়া পাপ কিনা; জানি না আমরা, কোন ধর্ম অন্তত তেমনটা কইতেছে না, এমনকি বৌদ্ধ ধর্মও না। ধর্মগুলার এই বলাবলির বাইরে কিছু আছে কিনা, তা মানুশের চিন্তার আওতার বাইরে, তা খোদায়ি মামলা। বরং কেরাইম কিনা, শেই আলাপ করা জায়; এবং শেইটা ছোট্ট আলাপই, কেননা, জনম দেওয়াটা কেরাইম হিশাবে দেখাদেখি নাই দুনিয়ায়! তবে, কেউ কেউ পার্ছোনালি নিজের জনমকে বাপ-মায়ের কেরাইম হিশাবে দেখে, দেখতে পারে; কিন্তু শেইটা পোরমান করার উপায় নাই! কারন, কেরাইম হইতে হইলে তার হক মারতে হবে মা-বাপের; খোদ জনমের আগে শামাজিক/দুনিয়াবি অর্থে শে জেহেতু আছিলোই না, তাই তার হক বইলাও কিছু পাওয়া জাইতেছে না! আর একবার শে পয়দা/নাজিল হবার পরে তারে বাচাইয়া রাখাটাই বরং মা-বাপের কাছে তার হক! তবে শে জতোদিন নাবালক ততোদিন তারে পালার মানে হইলো আশলে মা-বাপ তারে কর্জ দিতেছে! শাবালক হবার পরে এই কর্জ আবার ফেরত দেবার কথা তার; ঐটা কর্জ হবার কারনেই পরে মাইয়া-পোলার কাছে মা-বাপের হক পয়দা হইতে পারলো। তবে একটা ভালো ছোসাইটি/শমাজ একটা ছিস্টেম খাড়া করায়, তারা একটা কমন ফান্ড বা বায়তুল মাল বানায়, জেইখান থিকা গরিব বা বুড়াদের মদদ দেয়; নাইলে মাইয়া-পোলার উপর অনেক অনেক চাপ পড়তে পারে, নিজেদের মাইয়া-পোলা পালার লগে লগে বাপ-মা’রে পালতে হওয়া বিরাট চাপ হইতে পারে অনেকের জন্নই।

শুরুতে ঐ জনম দেওয়া পাপ বা কেরাইম কিনা, শেই ফয়ছালার দরকার আছিলো। নাইলে জে কেউ তার উপর অন্নের হক মানতে নারাজ হইতে পারে! কইতে পারে জে, আমি কি কইছি জনম দিতে? আমারে জনম দিয়া আমার মা-বাপ জেই কেরাইম করলো, আমার মা-বাপের শোয়ার এন্তেজাম কইরা শমাজ জেই কেরাইম করলো, তাতে তাগো কাছে আমার বেশুমার হক পয়দা হয়, আমার শারা জিন্দেগি তাগো কাছে/উপর আমার হক আদায় করতে হবে শমাজ আর আমার মা-বাপের! তাই শুরুতেই দেখাইলাম জে, তেমন দাবি করার উপায় নাই এবং মানুশের উপর অন্নের হকই নর্মাল এবং শেইটা আদায় করতে হবে, নাইলে কেরাইম ঘটে!

ধর্মগুলায় দেখতেছি, খোদা মানুশকে ইনছাফ কায়েম করতে কইতেছে, মানে আপনার কাছে অন্ন মানুশের বা মাকলুকাতের জতো হক আছে, শেইগুলা আদায় করতে কইতেছে; মানুশের কাছে খোদার হকের জিম্মাদার খোদা নিজেই, মানুশকে তার জিম্মাদার বানায় নাই। বান্দার লগে খোদার রিশতা খুবই ডাইরেক, খুবই পার্ছোনাল; কোন কোন ধর্মে আমরা কতক ইজারাদার দেখি, চার্চ বা বামুন জেমন খোদার হকের জিম্মাদার হবার দাবি করে পেরায়ই; কিন্তু এইটা খোদ ধর্মের মর্মে ততো নাই! নাই জে, তার পোরমান হইলো, বেহেস্ত-দোজখের আইডিয়া, বান্দারে দোজখের/বিচারের ব্যাপারে হুশিয়ার করা, পোরতি বান্দার কাছে ছেজদা আদায় করতে চাইতেছে খোদা। খোদার আইডিয়া জদি খেয়াল করি আমরা, তার পরম পাওয়ার জদি আমলে লই তাইলে বুঝবো জে, খোদার জিম্মাদার লাগে না, তার ইচ্ছা মোতাবেক ঘটতে বাদ্ধ দুনিয়াদারি!

ওদিকে, মানুশ খোদার হক আদায় কইরা দেবে কি, তারা তো মানুশের/বান্দার/মাকলুকাতের হকই পুরা আদায় কইরা দিতে পারে না! ধরেন, একটা খুব ভালো ইনছাফ/জাস্টিস ছিস্টেমেও একজন মানুশ জদি খুন হয়, লাশ পুরা গুম কইরা ফেলে খুনি, ঐ মানুশটার জদি কেউ না থাকে, কেউ জদি আদৌ না খোজে তারে, ছিস্টেমের কাছে কেউ নালিশ না করে, শে জে খুন হইলো, এইটাই কেউ জানবে না! তার মানে, হক মারা গেল, কিন্তু তা উশুল হইলো না। আবার ইনছাফ ছিস্টেমে শাক্ষি-পোরমান লাগে, কেরাইমের আলামত লাগে; কেননা, মানুশ অটোমেটিক জানে না শত্ত, মানুশের জানার শিমা আছে, মানুশ একটা আন্দাজি এস্পেছিস/মাকলুকাত, আন্দাজ দিয়া ইনছাফ পুরা কায়েম করা জায় না। অথচ এই মানুশই জদি দাবি করে জে, শে খোদার হক আদায় কইরা দেবে, এর চাইতে হামবড়া চাপাবাজি আর কি আছে!

খোদার হক আদায় কইরা দেওয়া তো দুর, মাকলুকাতের হক আদায় কইরা দিতে না পারা দুনিয়ায় খোদার জরুরত জারি রাখতে থাকে; তার লগে জোগ হয় মানুশের আরো বেশুমার না পারা! মরন ঠেকাইতে না পারা, শরিলের খয় ঘটতে থাকা, মানুশকে খুবই নাজুক কইরা রাখে। শমাজের বেশিরভাগ মানুশ তাই নিজেরে খোদায় ছোপর্দ করতে থাকে, এই দুনিয়ায় তার হক উশুল না হবার পরেও দুনিয়ার পোরতি তার মায়া কাটে না, পরকালে, খোদায় ভরশা রাখতে থাকে ফয়ছালার, ইনছাফের। উল্টাদিকে, আমরা জদি পারার দেমাগ না ছাড়ি, না পারাগুলা শিকার কইরা না লই, তাইলে ১০০{855ff4e32ca5c8db0719e8f837cd158afce0d103a8821dfb7d995472b79aa6d7} কামিয়াব হইতে না পারা, আন্দাজ-শন্দেহ-মিছা পোরমান/আলামত-ভুল বিচারে ভরা জাস্টিস ছিস্টেমই আর জাস্টিফাইড থাকতে পারে না! তাইলে জাস্টিস ছিস্টেমের ১০০{855ff4e32ca5c8db0719e8f837cd158afce0d103a8821dfb7d995472b79aa6d7} কামিয়াব হইতে না পারাই মানুশের মনে খোদার জরুরতের পাটাতন; এবং এইভাবে ইভলুশনিজম বা ছেকুলারিজম খোদারে খেদাইয়া দিতে চাইবার পরেও, খোদারে গায়েব কইরা দিলেও ঐ না পারা খোদ গায়েবানা বা এবছেন্সের ভিতর দিয়াই খোদারে হাজির রাখতে থাকে!

এখন ইনছাফকে আরেকটা দিক থিকা বোঝা দরকার আমাদের, ইনছাফের পারপাস বা মনজিল কি? মানুশ/মাকলুকাতের হক আদায় কইরা দেবে কেন ইনছাফ? পুরা দিতে পারবে না, তবু কেন দিতে চাইতে থাকবে? ইনছাফের শোজা মনজিল হইলো শমাজে শান্তি হাছিল করা, এবং শান্তি হইলো মানুশের শুখের পাটাতন, তাই ইনছাফ এবং শান্তির আখেরি মর্মের নাম শুখ; হক আদায় না হইলে মানুশের গোলামি বাড়ে, গোলামি মানেই জুলুম, জুলুম তাই ইনছাফের কাতিল, জুলুম-গোলামি বাড়লে অশান্তি বাড়ে, শুখ তখন অশম্ভব। এই দিক থিকা ভাবলে খোদ ধর্মের দুনিয়াবি মনজিলও হইলো, মানুশের/মাকলুকাতের মেক্সিমাম শুখ, মানে মিনিমাম গোলামি! গোলামি বা জুলুমের আরেক নাম তাইলে অধর্ম! ধর্মগুলার ভিতর কেবল ইছলামই নিজের ডাইরেক অর্থে শান্তি, কিন্তু আর শব ধর্মও আখেরি মর্মে শান্তিরই কোশেশ!

কিন্তু বাস্তবে ধর্মের চর্চার ভিতর মানুশের উপর জুলুম এবং গোলামির পক্ষের আলামতও পেরায়ই দেখতে পাই আমরা! মানে ইনছাফের খেলাপ দেখতে পাই। তার শবচে বড়ো কারন শরিকি, ধর্মের লোকদের ভিতর মানুশের না পারাগুলি অশিকার করতে থাকা, মানুশের শিমা পার হইয়া খোদার শরিক হিশাবে নিজেদের দাবি করা; শোজা কথায় কইলে, কেরাইম এবং পাপ জুদা করতে নারাজ হওয়া, কেরাইম উতরাইয়া পাপের বিচার করতে চাওয়া! বাস্তবে পাপের বিচার করতে চাওয়া বা খোদার হক আদায় কইরা দেবার এখতিয়ারের দাবি করলে কেরাইমের বিচারও ঘইটা ওঠে না পেরায়ই, বরং কেরাইম বাড়ে! কেননা, তখন খোদার বিচার পাবার হক আদায় হইতে পারতেছে না মানুশের, মানুশকে খোদা মানতে বাদ্ধ করার ভিতর দিয়া জোলুম এবং গোলামি বাড়ে!

দুই চারটা নজির দেখাইয়া আলাপটা আরেকটু কিলিয়ার করার টেরাই করি। ধরেন, জেনা কি পাপ নাকি কেরাইম? পোরতিটা কেরাইম কতকটা পাপও বটে, কিন্তু এমনে চিন্তা করা জাক, জেনায় কার হক মারা জায়, খোদার নাকি মানুশের? তেমনি মিছা কথা কইলে? মদ খাইলে? পর্দা না করলে?

খেয়াল করলে দেখবেন, এগুলার শবই পাপ হিশাবে পাইতেছেন ধর্মে, কিন্তু মিছা কথার বেলায় কেবল কেরাইম ঘটলেই তার বিচার করতেছে মানুশ, জতোখন কেরাইম না হয়, ততোখন বিচার করতেছে না! জেমন, মিছা কথা কইছে বইলা নালিশ পাইতেছেন না, ধোকাবাজি পাইতেছেন নালিশ হিশাবে! ওয়াদা না রাখা, আদালতে কছম খাইয়া অন্নের ব্যাপারে মিছা কথা কইলে খোদ মিছায় কেরাইম হয় না, বরং মিছা শাক্খ্য, কছমের বরখেলাপের কেরাইম ঘটলো, খোদ মিছা কথাটাই কেরাইম না! দোস্তের লগে দোস্ত মিছা কইলে তাতে নাক গলাইতেছে না আদালত/জাস্টিস ছিস্টেম বা ধর্মের লোকজন, বা বউয়ের লগে ভাতারের মিছায়; ওদিকে জারে আমরা মশকরা বা খুনশুটি হিশাবে চিনি, তাও পেরায়ই মিছা কথা!

মানে কইতে চাইতেছি জে, মিছা কথা পাপ, কিন্তু কতটা পাপ হইলো, তার বিচার করার এখতিয়ার মানুশের নাই, মানুশ খুব দাবিও করে না এই বিচারের, বেশিরভাগ মিছা খোদার উপর ছাইড়া দেয়, খোদাই ভালো জানবেন জে, কতটা পাপ হইলো! কিন্তু খেয়াল করলে দেখবেন, মিছা কথার ব্যাপারে কেরাইম উতরাইরা পাপ হইয়া ওঠাটা খোদার উপর জেমন ছাড়তেছে, এখতিয়ার দাবি করতেছে না মানুশ, এই ছাড় বা দাবি না করাটা আপনে পর্দা বা হোমোছেক্সুয়ালিটি বা মদ বা জেনার ব্যাপারে পাইতেছেন না!

কিন্তু আমরা জেন পচ্চিমের হিউম্যান রাইটসের খপ্পরে পইড়া না জাই! হিউম্যান রাইটস ডিছকোর্স মানুশের কতগুলা লাগাম খুইলা দিয়া আশলে কতগুলা গোলামি কনফাম করে! জেনা বা মদ বা হোমোছেক্সুয়ালিটি থিকা পর্নোর লাগাম কখনো পুরা খোলে, কখনো বা আলগা কইরা মানুশকে রাশ্টে বন্দি করে! এই মায়া বা ইলুশনটা বুঝতে ‘ট্রুম্যান শো’ নামে একটা ছিনামা দেখতে কইবো, পচ্চিমা ফিরিডমের মায়া আরেকটু মালুম হইতে পারে তাইলে!

হকের আইডিয়া বহু পুরানা, এবং শবচে মজবুত গোড়াটা পাই ইছলামে, ইছলামের এই আইডিয়াই মনে হয় পরের জামানায় পচ্চিমে হিউম্যান রাইটস ডিছকোর্স পয়দা হবার উছিলা, কিন্তু হকের আইডিয়া মানে হিউম্যান রাইটস বুঝায় না! এই দুয়ের গোড়ার তফাত হইলো, হকের আইডিয়া বাস্তবে আপনে এস্তেমাল করতে পারবেন, কিন্তু ইউম্যান রাইটস মায়াবি, ইলুশনারি, মিথিক্যাল, লগে পাইবেন শমাজে মানুশের দায়িত্ত জিনিশটারেই হেলা করা! হকের ভাবনার ভিতর আপনার হকের লগে আপনার উপর অন্নের হকও শমান ওজনে হাজির থাকে, এইটা আপনের ফিরিডমের কেচ্ছা না, বরং আপনে জে হরদম পুচকে একটা মাকলুকাত মাত্র, শেইটা খুবই তাজা রাখে ভাবনায়! কিন্তু হিউম্যান রাইটসের ভাবনায় আপনে ফিরিডমের ইউটোপিয়া বা হাওয়াই ফেনার দালানে ঢুইকা পড়তে থাকেন! কেপিটাল আপনারে খাইয়া ছাইড়া দেয়, আপনে শেইটারে ভাবতে থাকেন আপনের রাইটসের উশুল! মানুশের ভিতর ফুটানি বা এক্সিবিশনিজম পয়দা কইরা তারে খায়, তাতে মজা পাইতে থাকে শে, রাইটস ডিছকোর্স পেরায়ই ছ্যাডো-ম্যাছোকিজমের চাশবাশ করে মানুশের ভিতর! এই দিক থিকা রাইটস ডিছকোর্স হইলো হকের একটা পারভার্শন!

পারভার্শন ব্যাপারটা বুঝতে আমরা ফ্যাশনের দুনিয়ায় একটা ঢু মারতে পারি! খেয়াল করলে দেখবেন, ফ্যাশনের দুনিয়া কনটোল করে পোলারা, পোলা বা মাইয়া–দুইয়ের ফ্যাশনই। এই ফ্যাশনের দুনিয়ায় দেখতে পাই, পোলাদের তুলনায় মাইয়াদের ফ্যাশন অনেক বেশি রিভিলিং বা খোলামেলা; তারচে বড়ো ব্যাপার হইলো, পোলাদের ফ্যাশন তুলনা করলে দেখবেন বেশি আরামের! ধরেন, হাই-হিল কোন আরামের জুতা না, হাই-হিল মাইয়াদের শরিলকে অটোমেটিক কার্ভি কইরা তোলে, গেরাভিটির লগে এডজাস্ট করতে শরিলের উপরের দিকটা, বুক শামনের দিকে ঠেইলা রাখতে হয়, তাতে পাছা অটোমেটিক পিছে চইলা জায় এবং এইটা মাইয়াদের শরিলের জন্নও খুবই খতিকর। মাইয়াদের প্যান্টের তুলনায় পোলাদের প্যান্ট গড়ে বেশি আরামের, মাইয়াদের ৯৯{855ff4e32ca5c8db0719e8f837cd158afce0d103a8821dfb7d995472b79aa6d7} প্যান্টে বা জামায় পকেট থাকে না; স্কার্ট পরাইয়া আশলে মাইয়াদের পা কামাইতে বাদ্ধ করা হইতেছে! এই খোলামেলা ফ্যাশনে মাইয়াদের কি কি লাভ হয়? এতে শবচে বড়ো লোকশানটা হইলো, মাইয়াদের বেলায় বুদ্ধির তুলনায় গতর বড়ো হইয়া ওঠে! পোলারা এই ফ্যাশন বানাইয়া নিজেদের নজরের খায়েশ মিটাইতে পারলো জতো, লগে মাইয়াদের জতোটা লোকশান হইলো, তার তুলনায় এমন কি ফিরিডম পাইলো মাইয়ারা জা তাদের জিন্দেগি এবং শুখের জন্ন খুব দরকারি?

তবু কোটি কোটি মাইয়া জে এইটারে ফিরিডম হিশাবে দেখতে চায়, দেখে, আরাম পায়, শুখি হয় এই ফ্যাশনে, তার কি কারন–এগুলাও ভাবতে হবে আমাদের! দুনিয়ায় পাওয়ারফুল ডিছকোর্সগুলা ইতিহাশ মোতাবেক আমরা দেখবো, পোলারাই দখলে নিছে, এর ভিতর এছথেটিক্সও তো আছে! আর এই ডিছকোর্সগুলা জে কেবল পোলাদের মন বানাইতেছে শমাজে, তা তো না, মাইয়াদের মনও বানাইতেছে! এইটাও হয়তো একটা কারন, এই কারনে হয়তো বহু মাইয়া নিজেদের লাভ-লোকশানের হিশাবে কিছু গড়মিল কইরা ফেলে! ভাশা ভাশা নজরে আমার মনে হইছে জে, বয়শ একটু বাড়লে মাইয়ারা পেরায়ই ঐ ডিছকোর্সগুলার পাওয়ারফুল মায়া কতক কাটাইয়া উঠতে পারে!

কিন্তু হিমালয়ের দখিনের এই ভুবনের দেশগুলায়, বাংলাদেশে বা ইনডিয়ায় বা পাকিস্তানে আরো কতোগুলা ব্যাপার আছে; ধর্মের লগে একটা রিশতা পাইবেন এইখানে। পর্দা লইয়া এখনকার কোন আলাপে ইছলামের কথাই বারে বারে পাইবেন আপনে, কিন্তু এইটা খুবই ভুল। বাংলায় ঘোমটা বা হিন্দি/উর্দুর ঘুংঘট শব্দটা ইছলামের শুতায় ফার্সি বা আরবি থিকা আশে নাই, এইটার গোড়া শংস্কৃত এবং হিন্দু ধর্ম; ইছলামে বহু মাওলানার ফতোয়ায় জেইটা হেজাব, জেই শব্দটা এখন বাংলাই, এইটারই আরেকটা বাংলা ধরতে পারেন ঘোমটারে। কই জেন পড়ছিলাম, ১৯ শতের কলোনিয়াল কলিকাতায় খান্দানি হিন্দু বউয়েরা জখন গংগায় নাইতে জাইতেন, তারা পালকিতে পর্দার ভিতর বইশা থাকতেন, চাকরেরা পালকি লইয়া গংগায় নামতেন, খান্দানি হিন্দু মাইয়ারা পালকি থিকা নামতেনও না, পালকি ডুব দিতো গংগায়, তখন পালকির ভিতরেই তারা চান করতেন।

তাইলে পর্দা কেবল ইছলামের মামলা না, তার বাইরে কেবল হিন্দুও না, দুনিয়ার পেরায় শকল কালচারে পর্দার আইডিয়া আছে এবং এইটা কেবল মাইয়াদের না, পোলাদেরো। পর্দার আইডিয়ারে আরেকটু খোলাশা করলে খাড়ায় ছতরের আইডিয়া এবং ছতর ঢাকার।

দুনিয়ার পেরায় শব কালচারে ছতর ঢাকার ব্যাপারটা পাইতেছেন। ধর্মগুলাতেও ছতরের আইডিয়া আছে। কোন একটা আইডিয়ালের লগে তুলনা করার উপায় নাই জে, এইটা ভালো নাকি খারাপ! নিজে ধর্মের লোক হইয়া ছতরের আইডিয়ারে ভালো কইলে এইটা জে ভালো, তা আশলে পোরমান হয় না! কিন্তু ভালো খারাপের ফয়ছালা বাদেই দুনিয়ার শমাজগুলার গড় আইডিয়া থিকা আমরা ভাবতে পারি জে, আপনের ছতর ঢাকা আপনের কাছে অন্নের/শমাজের হক হিশাবে ভাবা হইছে। এবং ছতর ঢাকার এই কানুনকে খুব অল্প মানুশই গোলামি হিশাবে ভাবছেন। দুনিয়ায় কিছু নুড বিচ আছে, তারা কি ছতর ঢাকার কানুনকে গোলামি হিশাবে দ্যাখে? ঠিক জানি না আমি! কিন্তু এইটা ঠিক জে, দুনিয়ার শবচে লিবারাল শমাজেও ছতর খুইলা রাখার দাবি কইরা কোন ছিটিজেন মুভমেন্ট পাই নাই আমরা।

কইতে চাইতেছি জে, এইটা খারাপ বা ভালো, জেইটাই হৌক না কেন, শামাজিক চুক্তির ভিতর ছতর ঢাকার কানুন গড়পরতা আছে, এবং এইটারে জুলুম হিশাবে দাবিও করতেছেন না অনেক অনেক মানুশ! এইখান থিকা আমি ধইরা নিলাম জে, আমার ছতর ঢাকা আমার কাছে অন্নের/শমাজের হক। এবং আর শব হকের মতোই এইটাও আদায় করতে হবে আমার! আমি পার্ছোনালি নিজের ছতর ঢাইকাই রাখতে চাই, শমাজের চাপ বাদেই শরম করে আমার, ছতর ঢাকার এই কানুনকে জুলুম ভাবি নাই কখনো, এবং এইটা খুইলা রাখার ভিতর ফিরিডমের কোন ফিলিংও হয় নাই কখনো, ছতর খুইলা রাখায় আর কোন লাভের শম্ভাবনাও দেখি নাই! আরেকটা দিক দিয়া ভাবা জাইতে পারে ব্যাপারটা: দুনিয়ায় জতো বড়ো বড়ো নিঠুরিয়া, হামবড়া, পাবলিক ছেন্টিমেন্টের থোড়াই কেয়ার করা রানি বা রাজা হইছে, তারা কেউই গদি দখলের পরে কোন কিছুর তোয়াক্কাই জখন করার দরকার হয় নাই, তখনো ল্যাংটা থাকা শুরু করে নাই, ছতর দেখাইয়াও বেড়ায় নাই। মানে তাদের ফিরিডমের দুশমন ভাবে নাই ছতর ঢাকার কানুনকে।

অনেকের কাছেই ফালতু লাগলেও ছতর ঢাকার এই ব্যাপার লইয়া এতো কিছু কইবার দরকার আছে আশলে; কারন, এইটা পর্দার আইডিয়ার গোড়া এবং আমার ছতর ঢাকা জে আমার কাছে শমাজের হক, এবং এই হক আদায় করলে জে জুলুম ঘটে না বইলা ভাবা জায়–এই দাবিটা নাইলে করবার উপায় থাকে না।

তো ছতর ঢাকার ব্যাপারটা মানলে আমরা আলাপ করতে পারি, ছতরের আইডিয়ার বহুতা লইয়া। শকল কালচার বা ধর্মে ছতরের আইডিয়া এক না এবং তা কতটা ঢাকতে হবে বা না ঢাকলে শমাজ কি একশন নেবে, তাও এক না। শমাজ এবং রাশ্টো নামে শাশন ও খমতার দুইটা বডি জখন আছে, এই দুইটার কে কেমনে খমতা এস্তেমাল করবে?

এইটার ফয়ছালা জটিল। কেননা, একটা রাশ্টে বহু কালচার থাকে, ধর্ম থাকে; কেবল তাই না, রাশ্টো বা শমাজ বেক্তির উপর কতটা চাপাইয়া দিতে পারে কালচার বা ধর্ম, শেই ফয়ছালাও লাগবে লগে।

এইখানে অন্তত তিনটা জিনিশ ভাবতে হবে আমাদের:

১. রাশ্টের বহু ধর্ম-কালচার-বেক্তির ভিতর একটা ডায়লগ। বাস্তবে এইটা খুবই শম্ভব মনে হয় আমার। ছতর কি, পোলা আর মাইয়াদের বেলায় এইটা কতটা জুদা, তা কতটা ঢাকবো আমরা, অন্তত নিচের শিমাটা কি হবে, শেই ব্যাপারে একটা চুক্তি হওয়া শম্ভব। শেই চুক্তিটা হবে আইন এবং শেইটা রাশ্টো দেখভাল করবে, একশন নেবে রাশ্টো; কেননা, এই একশন শমাজের হাতে ছাড়লে আইনের বদলে কোন একটা কালচারের রুচি দিয়া কোন বেক্তির উপর বাড়তি জুলুম ঘটতে পারে! মানে অমন একটা চুক্তি করতে জেই কালচার কতকটা ছাড় দিলো, তার হাতে একশনের এখতিয়ার দিলে শে চুক্তির বাইরে জাইয়া নিজের ডেফিনিশনের ছতর ভাবনা এস্তেমাল করতে পারে।

২. পর্দা বা ছতরের মনজিলে মকছুদ কি? একটা ছিভিল শমাজ বানানো, মানুশের উপর জুলুম করা, মানুশকে গোলাম বানাইয়া রাখাটা কোনভাবেই না। মানুশকে অশুখি রাখা, গোলামিতে রাখা, এইটা কোন ধর্মেরও এজেন্ডা না। তাই এই চুক্তি কেউ না মানলে তার ব্যাপারে একশনের জেন মাত্রা থাকে একটা; বারবার ঘটাবার বেলায় জেন কদমে কদমে বাড়ে একশনের পরিমান। এগুলা আমাদের ঐ ডায়লগের ভিতর দিয়াই ঠিক করতে হবে।

৩. পাপ এবং কেরাইম জেন গুলাইয়া না ফেলি আমরা, আমরা জেন খোদার শরিক না ভাবি নিজেদের, পুরাটা জানা-বোঝার দাবি জেন না কইরা ফেলি! পর্দার ব্যাপারে একেকটা ধর্মে একেকটা বিধি আছে, একই ধর্মের ভিতরও শবাই একমত হয় না, বহু মত/মাজহাব আছে। কারো খোদা হয়তো মাথায় ঘোমটা দিতে কইছে বইলা ফতোয়া দিলো কোন আলেম-পুরোহিত, কেউ বা কইলো পুরা মুখ ঢাকতে হবে লগে; এইটা হয়তো আবার কেবল মাইয়াদের বেলাতেই! কিন্তু শকল ধর্মেই মোটামুটি নজরের পর্দার কথাও আছে, কি কি কতটা দেখবেন, কারো দরজার ফুটায় চোখ দিয়া বইশা থাকতে পারেন কিনা, তারও কতক বিধি আছে। ঐ মিছা কথার মতোই নজরের পর্দা না করলে আমরা জেমনি জুলুম করি না, খোদার উপর ছাইড়া দেই, খোদার হক আদায়ে নাইমা পড়ি না নিজেরাই, তেমনি কতোটা ঘোমটা দেবে, শেইটাও জেন খোদার লগে ঐ ঐ মানুশের রিশতার ব্যাপার হিশাবে মাইনা লই।

এই পর্দার ব্যাপারে জেমন, তেমনটাই আমাদের ভাবা দরকার জেনা, মদ বা ব্যাভিচার লইয়া। আমরা জদি দুনিয়ার কালচারগুলা বা ধর্মগুলা দেখি, আমরা দেখবো, এগুলাতে জেনা, মদ বা ব্যাভিচারে ফুশলায় না, বরং ঠেকাইতে চায়। এই ব্যাপারে খোদা কেন ঠেকাইতে চাইতেছেন তা তো খোদাই ভালো জানেন, কিন্তু শমাজের দিকে মানবিক-দুনিয়াবি নজর দিলে দেখবো, এগুলা ঠেকাইতে চাওয়ার ভিতর আশলে মানুশের হক মারা জাবার ডরের মামলা আছে একটা। শকল কালচার-শমাজ আশলে চায় জে, জাউরা বাচ্চা জেন পয়দা না হয়! কেননা, জাউরা বাচ্চা তার হক বুইঝা পায় না, এস্পেশালি বাপেরা জাউরা বাচ্চার হক আদায় করে না। মানে তাতে একটা জুলুম ঘটতেছে, জাউরা বাচ্চা একটা বাড়তি গোলামিতে পড়তেছে। এমন ঘটনার গোড়ায় জেনাকে দেখে শমাজ-কালচার। এই জামানায় ভ্যাছেকটমি, লাইগেশন বা আর শব বার্থ কনটোল ছিস্টেমের উছিলায় মনে হইতে পারে জে, রিক্স/ঝুকি নাই আর! বাস্তবে তা কিন্তু দেখি না আমরা!

এইখানে বইলা রাখা ভালো জে, জেনা আর ব্যাভিচার দুই জিনিশ। জেনা হইলো বিধির বাইরের ছেক্স, আর ব্যাভিচার হইলো, জেনার পশার ঘটাবার পাবলিক ক্যাম্পিং (ইংরাজিতে জেইটা ক্যাম্পেইন বা প্রমোশন)। ব্যাভিচারি শমাজ মানে জেই শমাজ জেনাকে পাবলিকলি আশ্কারা দেয়, ফুশলায়।

এখন ব্যাভিচার বুঝতে আমাদের বিয়াও বোঝা দরকার। বিয়া একটা পাবলিক ঘটনা; একটা ধর্ম অন্ন একটা ধর্মের জেই দুয়েকটা জিনিশকে মাইনা নেয়, তার ভিতর বিয়া একটা! ধরেন, হিন্দু ধর্মের বিয়া ইছলামের মতো না, কিন্তু ইছলামের বিয়াটারেও হিন্দুরা বিয়া হিশাবে মানে, বা মোছলমানরা হিন্দুর বিয়ারে। দুইটাই বিয়া হিশাবে মানতেছে আশলে ঐ পাবলিক ঘটনা হবার উছিলায়! পাবলিক ঘটনা হওয়া মানে কি? মানে হইলো, বাচ্চাটা তাইলে জাউরা হইতে পারতেছে না, বাচ্চার হক রক্ষার তাবিজ এইটা! তাইলে দেখা জাইতেছে, ‘ইন এ রিলেশনশিপ’ বইলা হালের জামানায় একটা পাবলিক ঘটনা আছে, ঐটা বিয়াই, অন্তত ধর্মের মর্মে, পুরা লিগাল পাটাতনে ওঠে নাই এখনো, কতক ইনফর্মাল। ঐটা বিয়া কারন, দুইটা মানুশ শাক্খি রাইখা, শমাজকে জানাইয়া একলগে হইতেছে, একজন আরেকজনকে কবুল করছে তারা, শমাজ জানে বইলা জাউরা বাচ্চাও পয়দা হইতে পারতেছে না। তাই এইটা ব্যাভিচার হয় না, এইটা শমাজের বিধির বাইরের চর্চা হইলো না!

তাইলে কোন একটা শমাজ একটা বাচ্চার হক আদায় করতে ব্যাভিচারকে ভালো ঘটনা হিশাবে দেখতে পারে না। কিন্তু এইটা কনটোল করবে কেমনে শমাজ? শমাজের হাতে ঐ খমতা থাকবে, নাকি রাশ্টের ভিতর দিয়া একটা জেনারেল আইনে চলবে?

এই ব্যাপারেও আমাদের ঐ পর্দার মতোই ভাবা দরকার! মানুশের উপর জুলুম না কইরা, মানুশকে গোলামিতে না ঢুকাইয়া আমরা কেমনে একটা মাছুম বাচ্চার হক আদায় কইরা দিতে পারি?

ধর্মের দিক দিয়া ভাবলে জেনা হইলো মিছা কথার মতোই মহাপাপ, ফলে ব্যাভিচারও এবং জেনাই কেরাইম হইয়া উঠলো ব্যাভিচার হইয়া উঠে। একটা খুব পার্ছোনাল ঘটনা হবার পরেও জেই জেনা শুরুতে কেউই জানলো না, শেইটাই একটা জাউরা বাচ্চা পয়দা করার ভিতর দিয়া পাবলিক হইলো, ফলে ব্যাভিচার হইয়া উঠলো!

পচ্চিমের হিউম্যান রাইটস ডিছকোর্স ব্যক্তি মানুশের জন্ন ব্যাভিচারের এমন একটা জানলা বানায়া জেইটা আখেরে জাউরা বাচ্চার হক আদায় করা অশম্ভব কইরা তোলে! আমরা তাইলে কেমনে ফয়ছালা করবো এই মুশকিলের?

আবারো আমাদের ফেরত জাইতে হবে পাপ আর কেরাইমের ফারাকের কাছে! ধর্মে জেনা পাপ, এইটা ঐ ঐ বান্দার লগে খোদার রিশতা, আমরা এইটা লইয়া হুশিয়ার করতে পারি, হুশিয়ারির ছোশাল মেকানিজম আছেও, নাটক-ছিনামার মতো ফিকশন বাদেও আমাদের ফেমিলি, ধর্মের বয়াতি আর বয়ান বা শামাজিক আলাপ ইত্তাদি জেনার ব্যাপারে হুশিয়ার করতেছেও হরদম। কিন্তু তার বেশি একশন নেবার উপায় নাই; কেননা, পাপ হইলো বান্দার কাছে খোদার হক, এইটা আদায় না করার দায় ঐ ঐ বান্দার, এই বিচার খোদা করবে, শেই বিচারের তরে আখেরাত আর হাশর আছে, আমরা মানুশেরা খোদার শরিক দাবি করতে পারি না, তাই খোদার বিচার নিজের কান্ধে তুইলা লইতে পারি না, এই ব্যাপারে খোদাই ভালো জানেন।

আমরা তাইলে কদ্দুর পারি? হুশিয়ারি বাদে কোন পাপ কেরাইম হইয়া উঠলো কিনা, খোদার এখতিয়ার থিকা নাইমা মানুশের এখতিয়ারের শিমায় আইশা পড়লো, তখন ইনছাফ কায়েম করায় নামতে পারি, জার হক মারা গেল, বা জাবার শম্ভাবনা, ইনছাফ কায়েম করার ভিতর দিয়া শেই হক পাহারা দিতে পারি। এইখানে হুশিয়ার থাকার খুব দরকার, এইটা একটা দুনিয়াবি পুলছেরাত, জুলুম ঠেকাইতে জাইয়া উল্টা আমরাই জেন আরেকটা জুলুম কইরা না ফেলি! আমরা জদি এমন একটা রাশ্টো বানাই, ছিটিজেনরা জেইটারে জেলখানা ভাবে, চলতে ফিরতে গোলামির ভিতর আছে বইলা ভাবে, ঐ রাশ্টো থিকা বাইরাইতে পারলেই বাচে বইলা ভাবে, তাইলে আমরা কার জন্ন বানাইতেছি রাশ্টো! এই দুনিয়াবি পুলছেরাত পার হইতে আমার জেন কামিয়াব হইতে পারি, শেই কারনেই বহু পক্ষের ডায়লগের ভিতর দিয়া, শবাই কিছু কিছু ছাড় দিয়া একটা জেনারেল চুক্তিতে পৌছানো দরকার, জেইটার নাম আইন, জাস্টিস ছিস্টেম; শমাজের কোন একটা গুরুপের রুচির হুকুমত জেন কায়েম হইতে না পারে, অনেকগুলা ধাপে, একটা ছিস্টেমের ভিতর দিয়া না গেলে ইনছাফের বরখেলাপ হইতে পারে, ক্রছফায়ারের দিকে হাটতে না থাকি জেন আমরা!

এই একই ছকে আমাদের বুঝতে হবে হোমোছেক্সুয়ালিটি বা মদের ব্যাপারগুলাও; কালচার মোতাবেক আমরা এইগুলারে এড়াইয়া থাকারই ছবক দেই হরদম, অনেক বয়াতি তাদের বয়ানে হুশিয়ার করতে থাকেন। কিন্তু জতোখন এইগুলা কেরাইম হইয়া না ওঠে, পশার ঘটাবার এজেন্ডা লইয়া ময়দানে না নামে, পার্ছোনাল থিকা শামাজিক না হয়, ততোখন এইগুলা খোদার এখতিয়ারের উপর ছাড়তে হবে, মানুশ হইয়া খোদার এখতিয়ারের শরিক দাবি কইরা আমরা জেন পাপের বিচার করতে না নামি।

দুনিয়াবি পুলছেরাত পার হবার তৌফিক হৌক আমাদের, এলাহি ভরশা।

#রকমশাহেরবয়ান

Series Navigationবেক্তি বনাম শমাজ বনাম রাশ্টো >>
The following two tabs change content below.
Avatar photo

রক মনু

কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →