Main menu

এডিটোরিয়াল: শ্যামলা এরিয়া

This entry is part [part not set] of 9 in the series রকম শাহ'র বয়ান

বেরাজিলের খেলা দেখতে হবে, বাট বাশার টিভিতে ডিশ লাইন নাই 🙁 ! পির শাহেবরে কিছু পয়শা দিবো কিনা ভাবতেছি, মানে একটা আকাশ কিনবো নাকি! শেই পয়শাই বা কই, আফছোছ!

তবে ছেরেফ বেরাজিলের খেলাই দেখবো আমি! মানে আমি একজন বেরাজিল ফ্যান, নেইমার আমার পরান একদম! তার আগে আমি আছিলাম রোনাল্ডোর ফ্যান, দ্য চিজ!

কিন্তু কয় বছর আগে আমার মনে একটা পোশ্ন গজাইলো–আমি কেমনে বেরাজিল ফ্যান হইলাম! তেমন কোন কারনই পাইলাম না শুরুতে! মানে আমি তো কোনদিনই খেলা অতো দেখি নাই, ফুটবলের চাইতে কিরিকেট দেখতাম অনেক বেশি, একদম টেস্ট ম্যাচ দেখতেছি দিনের পর দিন, লারা থিকা মুরালি, ডি ছিলভা আমার মুখস্ত! তবু বেরাজিলের ফুটবল কেন আমারে এমন দোলায়!

পরে খেয়াল হইলো কেলাশ ফাইভের টেক্সটবুকের একটা জিনিশ, বেরাজিলের পেলে’র উপর শেই লেখা আমার ভিতর বেরাজিল ঢুকাইয়া দিছে, কলবে একদম পার্মানেন্ট ছাপ্পড় মাইরা দিছে!

এইটা খেয়াল করার পরে আমি খুব ডরাইতে থাকলাম! আমি একটা এমএ পাশ লোক, ছাইন্স-ইতিহাশ-ফিলোসফি-আর্কিওলজি-কছমোলজি-ধর্ম-জুরিছপুরুডেন্স-পলিটিক্স-পোয়েট্রি, এলেমের কতো কতো ডালপালা আমারে টানে, আমি দেশ-দুনিয়া লইয়া ভাবি, পলিটিক্স করতে চাই, ইতিহাশ লিখতে চাই, কিন্তু কেলাশ ফাইভের একটা জিনিশ জদি আমার কলবে অমন ছাপ্পড় মারতে পারে, অমন বায়াছ জদি পয়দা করতে পারে, তাইলে আরো কতো কি না জানি কতো কতো বায়াছ বানাইয়া রাখছে আমার ভিতর! ঐ ডর এখনো আছে আমার ভিতর, এমনকি আমি নিজেই ঐটারে তাজা রাখতে চাই, ঐ ডর আমার হুশ আর মনরে একটা শন্দেহের ভিতর রাখে, একটা আনছেটেলিং দশায় রাখে, জাজমেন্টের বেলায় নজরের কুয়াশা শরাইতে মদদ দেয় ঐ ডর, ইতিহাশের ব্যাপারে একজন বেদরদি কাজি হইয়া উঠতে হেল্প করে!

তো, আমি তখন জা কিছুই পড়ছিলাম জিন্দেগিতে, জতো বয়ান আমার কলবে ঢুকছিলো, শেইগুলারে বিচার শুরু করলাম, এবং অনেকগুলা ব্যাপারে এমন ঘোলা ঘোলা ব্যাপার দেখলাম জে, আমি বাংলা আর বাংলাদেশের ইতিহাশের উপর তাবত লেখালেখির উপর ভরশা হারাইলাম এবং এই ইতিহাশকে এস্ট্রেইটেন করায় মন দিলাম! আমারে জারা খেয়াল করেন, তারা জানেন জে, আমার পোজেক্ট ভাশা থিকা পলিটিক্স অব্দি, জিন্দেগির লগে রিশতা আছে, এমন শকল শামাজিক-কালচারাল কায়কারবার লইয়া কাম (বা আকাম ভাবেন অনেকেই) করি।

তো, ব্যাপারগুলা লইয়া ভাবতে জাইয়া আমি বোঝার টেরাই করলাম জে, আমার ছাইকি/মন/ভাবনা/ছেলফ পয়দা হইতে কোন কোন লেখাজোখা/বয়ানের আছর পড়ছে; একটু বেশি বয়শে, কেলাশ টেনে উইঠা আমি পড়া শুরু করছি বইলা বেশিরভাগ জিনিশই আমি মনে করতে পারলাম! এর আগে আমার ভাবাভাবি অনেকটা ছোয়াচে আছিলো, বড়ো ভাই’র ভাবনার ছাতার নিচে আছিলাম মনে হয় অনেকটাই; আমার বাপে ঠিক আইডিওলজি লইয়া বয়ান দিতো না তেমন, বা ইতিহাশ, উনি এথিক্স লইয়া ভাবতো বেশি খুব শম্ভব, আর শমাজ-মানুশের পোরতি একটা নেচারাল দায় আছিলো ওনার ভাবনায়; এখন আমার আন্দাজ এমন জে, ঐ জেনারেশনের মনে শবচে বড়ো আছর আছিলো হাজি মহশিনের!

তো, পলিটিকেল ইভেন্ট হিশাবে আমার শবচে পুরানা মেমোরি ১৯৮৮ শালের, তখন আমার বয়শ ১০। ইলেকশন করতেছে এরশাদ। আমরা তখন বরগুনায় থাকি, ফাইভে পড়ি। আব্বা আছিলো কোন একটা ছেন্টারের পিরিছাইডিং অফিছার। রাত ১২ টার দিকে এরশাদের এমপি কেন্ডিডেট ফরহাদ একটা বাহিনি লইয়া আমাদের বাশায় হাজির; ব্যালট কাইটা কাম আগাইয়া রাখতে চায় তারা। এই ব্যাপারে পুরানা একটা লেখা এমন,

“১৯৮৮ সালে বরগুণা থাকি। আব্বা বরগুণা গভ. কলেজের মাস্টার আছিলেন। কলেজ রোডেই থাকতাম, আরো কয়েকজন ভাইবোন আর আব্বা। আমার মায়েরা আমতলীর দুই বাড়িতে। দুই বাড়ি মাইল খানেক দূরে দূরে, আব্বা পেরতেক সপ্তায় বাড়ি যাইয়া বউদের মাঝে নিজেরে ভাগাভাগি কইরা দিতেন; এখনকার মতো ২ দিন ছুটি থাকলে তাগো সুখ বা অসুখ আরো বাড়তো মনে হয় 🙂!

না, এই মেমোরি বাপ-মা-মা ট্রায়োর লাইফ লইয়া না, এইটা ১৯৮৮ সালে এরশাদের ইলেকশন লইয়া। মেমোরি পাতলা আমার, তার উপরে অতি পুচকে আছিলাম। ইলেকশনে আব্বা আছিলেন কোন একটা সেন্টারের প্রিসাইডিং অফিসার। খুব সকালে বাইরাইতে হবে বাসা থিকা, তাই প্রিসাইডিং অফিসাররা ডিসি অফিস থিকা ব্যালট পেপার, বাক্স, সিল–এইসব বাসায় আইনা রাখতো মনে হয়–আগের রাইতেই।

তো এমন একটা আন্দাজের কারণেই হয়তো রাইত ১২টা/১টার দিকে আমাদের বাসার সামনের বড়ো খালি জাগাটা ভইরা গেল লোকে। এমপি ইলেকশনে জাতীয় পার্টির যিনি খাড়াইছেন, উনি আইছেন, একদল লোক লইয়া (লোক মানে পোলা, হিজড়া বা মাইয়া মনে হয় নাই একজনরেও!)। ঘুমাইয়া গেছিলাম আমরা, আওয়াজে জাইগা গেলাম। দোতলার পাটাতনের ফুটায় চোখ রাইখা চাইয়া দেখি, আব্বা কথা কইতেছে এমপি ক্যান্ডিডেটের লগে। আমাদের ক্যান্ডিডেট কাম আগাইয়া রাখতে চায় রাইতেই, লাঙলে সিল মাইরা ব্যালট ভরতে চায় বাক্সে :)।

আব্বা কইলো–আমি তো ব্যালট বা বাক্স, এইগুলা বাসায় আনি নাই, সকালে ডিসি অফিস থিকা লইয়া একবারে সেন্টারে যাবো! এমপি আর লোকেরা তো বিশ্বাস করে না! আব্বা তখন কইলেন, আপনেরা আমার বাসা সার্চ কইরা দেখেন। কালকে সেন্টারে আসেন আপনেরা; আমি তো আটকাইতে পারবো না আপনাদের, ঐখানে যাইয়াই যা করার কইরেন; বাসায় তো নাই।
হাছা কথা কইবার ব্যাপারে আব্বার নাম আছিল, ওনারা আর সার্চ করে নাই, চইলা গেছিল। ডরাইছিলাম খুব আমরা। এখনকার কথা ভাবি আমি; এখন হইলে আব্বারে লইয়া ডিসি অফিসে চইলা যাইতো মনে হয়; বা সরকারি দলকে হেল্প করতে চাইয়া ব্যালট আর বাক্স-সিল ডিসিই পাঠাইয়া দিলো :)। সরকারের ভিতরেই এই যে দুই তিনটা সেকশন আছিল, ভোট চুরি করতেও একটু যে ঝামেলা পোহাইতে হইতো, এমন আর হয় না মনে হয়।

আব্বা তো মইরা গেল সেই কবে, দুনিয়ার খবর কি আর লয় সে।

/জুন ১৮, ২০১৭”

তো, এরশাদকে আমরা লাইক করতাম না। ঐ ঘটনা বাদেও খুব শম্ভব আমার বড়ো ভাইর পজিশনই আমারে বেশি চালাইতো তখন!

এর পরের পলিটিকেল ইভেন্ট বলতে ১৯৯১ শালের ইলেকশন। আমি তো কিছুই বুঝতাম না, ছেরেফ এইটাই মনে আছে জে, ইলেকশনের আগে শবাই ধইরাই নিছিলো জে, আওমি লিগ জিতবে! মনে পড়ে, লিগ হারতেছে, হাসিনা নিজেই হারলো, খালেদা ৫টায় জিতলো নিজে, এই ঘটনা বিরাট শক আছিলো তখন, বরগুনার কালচারাল দুনিয়া মোটামুটি তব্দা খাইয়া পইড়া গেছিলো খুব শম্ভব!

বহু বছর পরে আমি রিভিউ কইরা দেখলাম, তখন বিএনপির অমন জয়ই নেচারাল আছিলো, লিগের জয় আশা করাটাই আছিলো জুক্তির জে কোন হিশাবের বাইরে! এই ব্যাপারে পরে ফিরতেছি।

কিন্তু ঐ শকটা খুবই রিয়াল এবং তার রিয়েকশন আছিলো হিউজ! তার পরে পরেই আমার ইতিহাশ-লিটারেচার পড়া শুরু এবং ঠিক তখনই ঐ রিয়েকশনের ফলগুলা আমার উপর আছড়াইয়া পড়ে!

১৯৯০ -২০০০, এই দশ বছরে জাদের জৌবন শুরু, পড়ালেখা করছেন–মানে টেক্সটবুকের বাইরে, তাদের আমি মনে কইরা দেখতে কইবো; ১৯৮৬ শাল থিকা খুবই পাওয়ারফুল কতগুলা ঘটনা হাজির হয় দেশে। পলিটিকেল ঘটনা হইলো, এরশাদের ইলেকশন এবং তাতে ওয়াদা ভাইংগা আওমি লিগের ইলেকশন করা। ঐ ঘটনার পরেই একজন বেইমান আরেকজন আপোশহিন নামে পরিচিত হয় দেশে। কিন্তু শেই বেইমানিরে বাংলা মিডিয়ামের কালচার্ড মানুশজনের মন থিকা পুরাই খেদাইয়া দেয় কতগুলা ইতিহাশের কেতাব! এন্থনি মাছকারেনহাছের নাম লইতে হয় শুরুতে–বাংলা মিডিয়ামের ধলা এরিয়ান পিরিতি হয়তো ওনার বয়ানরে আরো পাওয়ারফুল কইরা তোলে, তারপর শাহরিয়ার কবির, মুনতাসির মামুন, পোরফেছার আবু ছাইয়িদ। তারপর ১৯৮৮-৮৯ শালে আরেকটা বড়ো ঘটনার নাম হুমায়ুন, বহুবিরিহি।

এইগুলা একটা আরেকটার লগে মিলা একটা মজবুত বয়ানের কারিগর হইয়া ওঠে! ১৯৮৩ শালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এরশাদ ছাত্র-জনতার জেই মিছিলে গুলি করে, তাতে গনতন্ত্র চাইয়া ব্যানার আছিলো; তার মানে দেশের মানুশ জিয়া-সাত্তারের আমলকে গনতন্ত্র হিশাবে চিনছিলো, গনতন্ত্রে ফিরতে চাইবার মানে তো আর আরো আগের বাকশালে ফিরতে চাওয়া হইতে পারে না! ১৯৮৬ শালের আগে জিয়া আছিলেন দেশের ইতিহাশের নায়ক একজন; কিন্তু ইতিহাশ লইয়া ওনাদের কয়েকটা কেতাব পুরা ব্যাপারটারে ঘুরাইয়া দেয়, দেশের বাংলা মিডিয়ামের কালচার্ড মানুশজনের কাছে বাংলাদেশের ইতিহাশের একমাত্র ভিলেন হইয়া উঠলেন জিয়া! ১৯৭৩ ইলেকশন, রক্ষিবাহিনি, ৭৪ শালের আকাল, বেশুমার খুন, ডাকাতি, চান্দাবাজি, বাকশাল–এইগুলা চাপা পইড়া গেলো পুরা, জিয়া এমনকি এরশাদের চাইতেও খারাপ একটা লোক হইয়া উঠলো ঐ কেতাবগুলার ভিতর দিয়া!

এইখানে জিয়ার ব্যাপারে কথা খুব না বাড়াই, ঐ ব্যাপারে আরেকটা লেখায় কইতে হবে; কিন্তু ঐ লেখকেরা আর তাদের কেতাবগুলা মাথায় রাখতে কইবো। ১৯৮৬ শাল থিকা জারা লেখাপড়া করতেছেন, ১৯৯০-২০০০ জাদের জৌবন, কলেজ-ভার্ছিটিতে পড়েন, বাংলা লিটারেচার-ইতিহাশ পড়তেছেন, তাদের উপর ঐগুলা আছড়াইয়া পড়ছিলো, ঐগুলা আছর না পড়ার কোন অপশনই আছিলো না! বিএনপির ঘরের লোকেরাও এমনকি, তারা এড়াইতে চাইতেন হয়তো, কথা ঘুরাইতেন–জিয়ার বেশুমার উন্নয়নের গান গাইতেন–এখনকার নয়া বাকশালের মতোই জেন বা, কিন্তু ওগুলা মোকাবেলার বাশনা থাকলেও মোকাবেলার রাস্তা পয়দা করতে পারেন নাই তারা, শেই হিম্মত আছিলো না, জিয়ার পোরতি নালিশগুলার বেশিরভাগ হয়তো ভিতরে ভিতরে মানতেনও তারা!

তো, আমি হইলাম ঐ টাইমের একটা কালচারাল পোডাক্ট, আমার ছাইকি/মন/ছেল্ফ পয়দা হইতে ঐ কেতাবগুলারও মস্ত আছর আছিলো!

এখন এক লাফে ২০১৩ শালে আশেন; ইদানিং ফেছবুকে শাহাবাগ লইয়া একটা আলাপ হাজির হইছে আবার; জিয়া হাসান ‘শ্যামলা (gray)’ এরিয়ার কথা কইতেছেন, ফারুক ওয়াসিফরা নাকি ঐখানের লোক আছিলেন, পিনাকিও শাহাবাগে হাজির আছিলেন। এই জে ৩ জনরে আমরা চিনি, দেখি–এরা আমার চাইতে কিছু ছিনিয়র হবেন হয়তো, তার মানে আমার উপর জেই বড়ো ভাইর আছরের কথা কইতেছিলাম, ওনারা আশলে আমার শেই ভাইর ইয়ার-দোস্ত! ফাও হয়তো তাদের তুলনায় একটু ছোটই, কিন্তু এনাদের শকলের ছাইকি/মন/ছেল্ফ পয়দা হইছে ইতিহাশের ঐ কেতাব আর তখনকার জামানার ভিতর, কালচার্ড বাংলা মিডিয়ামে!

এই মন/ছাইকির তাই খুবই অটোমেটিক ভাবনা হইলো, ১৯৯১ শালের ইলেকশনে আওমি লিগ আলবত জিতবে, বাংলাদেশের মানুশ (বাংগালি ১০০%!) আওমি লিগ ছাড়া আর কারে ভোট দেবে! তাই ঐ ইলেকশনে আওমি লিগের হার অতো বড়ো একটা শক আছিলো তাদের (আমাদের) কাছে! অথচ তাই হবার কথা! জিয়ারেও তো লাগে নাই, ছেরেফ বিএনপির সাত্তারের কাছেই তো ড. কামাল হোসেন মস্ত তফাতে হারছেন! তারপর এরশাদ শেই ইলেকটেড গভমেন্ট খেদাইয়া বেদখল করলো, এরশাদ খেদানির মুভমেন্টেও একমাত্র এক কথার দল আছিলো বিএনপি, খালেদা আপোশহিন, আরেকজন ৮৬’র বেইমান, তার আগে শেই বাকশাল-আকাল-খুন-ডাকাতির মেমোরি, বাংলাদেশের মানুশ বিএনপিরে রাইখা কেন আওমি লিগরে ভোট দেবে!? ইতিহাশের ঐ বইগুলা বড়জোর দেশের ৫% জনতা, এডুকেটেড কালচার্ড বাংলা মিডিয়ামে আছর করতে পারছিলো, তাদের ভোট তো তাইলে ঐ ৫%ই!

এই শক এবং তার থিকা জেই টোরোমা, এর অনেকগুলা ফল ইলেকশনের পরে পরেই হাজির হইতে থাকে। ১ বছরের ভিতরেই ১৯৯২ শালের ফেব্রুয়ারিতেই আমরা পাইলাম ‘ভোরের কাগজ’, পরে শেই দায়িত্ত পালন করলো পরথম আলো, ১৯৯৮ থিকা। আরো আরো কেতাব ছাপা হইতে থাকলো, কলাম লেখা হইলো। ৯২ শালের মার্চেই আমরা পাইলাম গনআদালত।

খেয়াল করেন, গোলাম আজম বাংলাদেশে আশছে ১২/১৩ বছর আগে, ১৯৯২ শালের আগের ১৫ বছরে ওয়ার-কেরাইম বা জামাত বা গোলাম আজম ইশুতে কোন মুভমেন্ট পাইতেছি না; গনআদালতের ঐ মুভমেন্টে উপরের দিকে পুরানা কিছু লোক থাকলেও ঐটার পরন-ভোমরা আছিলো জোয়ানরা, শেখ শাহেবের লগে পলিটিক্স করা লোকেরা মুভমেন্ট করে নাই আগে, বরং জারা শেই টাইমটা দ্যাখে নাই, তারা মুভমেন্ট করতেছে, আমার বয়শি বা আরো কয়েক বছর বড়োরা, ১৯৭১ শালের পরে জারা পয়দা হইছে, শেখ শাহেবের টাইরানির ব্যাপারে জাদের কোন আইডিয়া নাই, তারা মুভমেন্ট করতেছে। একদম উপরের দিকের লোকগুলার আইডিয়া আছিলো, জারা আশলে শেই টাইরানির ছিপাই, জাহানারা ইমাম বাদে বাকিরা খুব শম্ভব বাকশালের মেম্বার আছিলেন! এবং পরেও ওনাদের আমরা আওমি লিগের লগেই দেখছি হরদম।

এখন, জারা জানেন না শেখ শাহেবের টাইরানির ব্যাপারে, তারা মুভমেন্ট করায় আপত্তির কি আছে? নাই। তারা আলবত মুভমেন্ট করতে পারবেন, হজরত এরশাদরে খেদাইতেও তারাই তো জোরদার মুভমেন্ট করলো! ওনাদের মুভমেন্ট করতে পারার পক্ষে থাকতে হবে আমাদের। পয়েন্টটা আরেকটা জায়গায়!

ওনারা হইলেন ১৯৮৬ শাল থিকা জেই ইতিহাশ লেখা হইতে থাকলো, তার ফশল। তাতেও আশলে আপত্তি করার উপায় নাই। ঝামেলাটা হইলো, ঐ ইতিহাশের গোড়ার বয়ানগুলা মিছা, ভুয়া! ঐ ইতিহাশ লেখা হইতেছে বাকশাল পতনের খেদ থিকা; এবং ঐটা বাংগালি নেশনালিস্ট, লিখতেছে বাকশালের মেম্বাররা, জারা ইলেকশন লাইক করে না, শোভিয়েতের রাদুগা’র কেতাব/বয়ানের গাহেক জারা গোলামিতেই মানুশের মুক্তি দ্যাখে।

এদিকে, বাংগালি নেশনালিজম গোড়া থিকাই মিছা কথা আর বয়ানের উপর খাড়াইয়া রইছে, ইছলামকে বিদেশি ধর্ম-কালচার হিশাবে জেই কলোনিয়াল ডিছকোর্ছ/বয়ান পয়দা হইছিলো, তার উপর খাড়াইয়া রইছে এই বাংগালি নেশনালিজম। এর হিরোরা ভুয়া, মিছা কথা এদের একদম শিরায় শিরায়! ২০১৮ শালে লেখা নিচের কথাগুলা পেস্ট করি এইখানে,

“মিথ্যা তেনাদের রগে রগে এবং থাকারই কথা; কারণ, তেনাদের কালচারাল আব্বা রঠা মিছা ইতিহাস বোনা শুরু করছিলেন, তেনারা সেইগুলাই জিকির করতেছেন তো হরদম!

সেই মিছা ইতিহাস বোনায় বিদ্যাসাগর থিকা ব্লাউজ, সবই আছে; কয়েকটা আবার কই, পড়েন।

ক. রঠা নাকি বিটিশের নাইটহুড ফালাইয়া দিছিলেন, ১৯১৯ সালে মনে হয়; কিন্তু ১৯৩২ সালে ঠিকই ‘স্যার’ রঠা হিসাবে নিজের পেইন্টিং এক্সিবিশন করছেন। ‘স্যার’ হিসাবে পোস্টার ছাপাইছেন, সেই এক্সিবিশনের পোস্টার আর ক্যাটালগ পুরা চাইপা যান ওনার কালচারাল বাছুরেরা।

খ. রঠা বিদ্যাসাগরের তারিফ কইরা এক লেখা লিখছিলেন, সেইটা ঐ বাছুরদের বিরাট রেফারেন্স। সেইটার শুরুই মিছা কথা দিয়া! খালি মিছা না, এখনকার এই প্রোপাগান্ডিস্ট বাছুরদের মতোই সত্য পুরা উল্টাইয়া দিছেন রঠা!

রঠা কইছেন, বিদ্যাসাগর নাকি হিন্দু কলেজে শূদ্র ভর্তি হবার মওকা বানাইছেন; মিছা কথা। পয়লা কথা হইলো, শূদ্র ভর্তি কেন করা হইতেছে না, সেই সওয়াল তুলছে ইংরাজ সরকার, শাস্ত্রের পণ্ডিত হিসাবে বিদ্যাসাগরের মত জানতে চাইছে ইংরাজ। বিদ্যাসাগর উল্টা চিঠি দিয়া কইছেন, এখন শূদ্র ভর্তি করা ঠিক হবে না, তাতে সমাজ অস্থির হইতে পারে। আরো কইছেন, শূদ্র আসলে অলরেডি পড়ে কলেজে! কারণ, মনু কইছেন তার সংহিতায় যে, কায়স্থরা আসলে শূদ্র; মানে বিদ্যাসাগর কইতেছেন, মধুসূদণ দত্ত ইত্যাদি কায়স্থ ছাত্ররাই তো শূদ্র! কিন্তু রঠার ভিতর দিয়া এই মিছা ইতিহাস বইতেছে বাছুরদের রগে।

গ. বাছুরেরা আরেক মিছা বানাইছে ‘গদ্য কবিতা’ লইয়া; এইটা নাকি পয়লা লিখছে রঠা; বাছুরেরা কইছেন আর সেই তেল খাইতেছেন স্মাইলিং রঠা! কিন্তু সত্য হইলো, ওনাদের ৭০ বছর আগে বাংলায় পয়লা গদ্য কবিতা লিখছেন বঙ্কিমচন্দ্র! ‘গদ্য কবিতা’–এই নামটাই বঙ্কিমের দেওয়া, আগামীর কবিতা গদ্যেই হবে, এমনটা কইয়া ইতিহাসের খোয়াবও দেখছেন বঙ্কিম।

ঘ. ব্লাউজের ব্যাপারেও সমান মিছা কথা চালু আছে। এইটা নাকি ঠাকুর বাড়ির লোকেরা (জ্ঞানদানন্দিনী মনে হয়, রঠার ভাবী) শুরু করছিলেন। এই মিছাটার আবার একটা কম্যুনাল ব্যাপার আছে, যার লগে রিশতা পাইবেন বিদ্যাসাগরের।

বিধবাদের বিয়া শুরু করছিলেন বিদ্যাসাগর, এমন একটা কথা আছে না? তা এইটা তো স্রেফ বর্ণহিন্দুদের মামলা! মোসলমানদের ভিতর তো বিধবাদের বিয়ায় পোবলেম আছিল না কোন! শূদ্র হিন্দুদের মাঝেও কিছু আছিল মনে হয়, রেফারেন্স মনে আসতেছে না।

ব্লাউজটাও এমন মোগল কালচারে আগাগোড়াই আছিল, বাংলার আশরাফ মোসলমানদের ঘরেও আছিল পুরাপুরি। কলিকাতার বাঈজীরাও ব্লাউজ পরতো, উড়িষ্যার আপার কাস্টেও পাওয়া যায়। ১৮ শতের পেইন্টিং দেখলেই বুঝবেন। ১৮৩৪ সালে জনম লওয়া, লাকসামের নবাব ফয়জুন্নেসার পোর্ট্রেটে ওনারে ব্লাউজ পরা দেখা যায়, ১৭ শতের মোগল পেইন্টিং-এ তো আকছার! তখনো এবং এখনো ফুলহাতা আর হাফহাতা–দুই কিছিমের ব্লাউজই আছিল, আছে।

শ্রীকৃষ্ণের মা যশোদা’র পোর্ট্রেটেও ওনারে ব্লাউজ পরা দেখা যায়, যশোদার অতি পুরানা পোর্ট্রেট পাই নাই আপাতত, তাই এইটা জোর দিয়া না কই বরং!

শূদ্র হিন্দু আর আতরাফ মোসলমানের ভিতর তখনো আছিল না, এখনো সবার নাই; কাপড় কিনতে পয়সা লাগে তো, ব্লাউজ যে পরা যায়, সেইটা সবাই জানে, কিন্তু ভাতের বদলে ব্লাউজ কেনা তো ফুটানি, ততো ফুটানির পয়সা তখন তো আছিলোই না শূদ্র-আতরাফের, এখন কিছু বাড়ছে হয়তো, অন্তত ফুটানির মন তো গজাইছেই, ভাতের বদলে MB কেনায় সেইটা দেখাই যাইতেছে হরদম! তা এই সুইসাইডাল কনজ্যুমারিজমকে ‘ডেভলাপমেন্ট’ হিসাবে দেখাইতে চাইতেছে, বেকুব না হইলে আপনে কেন মানবেন! এইটা যে সুইসাইডাল কনজ্যুমারিজম সেইটা বুঝতে গার্মেন্টস লেবারদের পুষ্টির খবর লইতে পারেন।

তাইলে বাংলায় এইটা ঠাকুর বাড়ির কালচারাল খয়রাত হিসাবে কেন কইবেন? নাকি যতখন কলোনিয়াল কলিকাতার হিন্দু এলিটের মাঝে না হবে কিছু, ততখন সেইটারে ‘বাংলায় হওয়া’ হিসাবে মানবেনই না! আর কলোনিয়াল কলিকাতা বিলাত থিকা লইতে পারেন সিধা, সেই মাল আগে থিকাই মোগলে থাকলে তাগো রিলিজিয়াস ইগোতে লাগে! এই কলোনিয়াল এলিটরা আগেও মনোথেইজমের ছবক পাশেই থাকা ইসলাম থিকা লইতে নারাজ, কিন্তু ইংরাজের খৃস্টের কাছে সেই ছবক লইয়া ‘ব্রাহ্ম’ হইতে পারলেন আরামেই…

এমনই কলোনিয়াল-কালচারাল-কম্যুনাল ইগো-এলিটিজম আর মিছা কথার ইতিহাস যাগো রগে রগে দেশের সেইসব কালচারাল এলিটের থিকা ভালো কিছু কেমনে আশা করবেন!//২৪ ডিশেম্বর ২০১৮”।
মিছা ইতিহাশের এই ছিলছিলা শমানেই চলতেছে বাংগালি নেশনালিজমে। মুশকিল হইলো, এই বাংগালি নেশনালিজম তার তাবত মিছা কথা আর ভুয়া বয়ান লইয়াই বাংলাদেশ পয়দা হবার ঘটনায় মস্ত রোল প্লে করছিলো, তাই একটা মায়া থাকাটা বেশ নর্মাল! এবং মায়া খুবই পাওয়ারফুলও বটে, নজর ঝাপশা কইরা দেয়! এখন আমরা বাংলাদেশ বানাইছি, এখন আমাদের ঐ মায়া কাটাইতে হবে, শাচ্চা ইতিহাশ লিখতে হবে, নাইলে এই গাড্ডা থিকা মুক্তি পাবো না আমরা!

তো, বাংলাদেশের ইতিহাশ বোঝাবুঝির বেলায় শাংস্কৃতিক জোট, শাহরিয়ার কবির, মুনতাসির মামুন, গাফফার চৌধুরি, কবির চৌধুরি, সৈয়দ মনজুর থিকা ভোরের কাগজ/পরথম আলো জেই বয়ান পয়দা করে তার গোড়ায় কতগুলা মিছা কথার লিস্টি বানাইতে পারি আমরা, তাইলে হয়তো কালচার্ড বাংলা মিডিয়ামের (আর কাউরে গালি দিতেছি না, এই আমরাই!) মন/ছাইকি বা চিন্তার ফাউন্ডেশনটা বোঝা জাবে আরামে এবং ঐটা বহাল রাইখা কেন জে আর ভালো কোন পলিটিকেল ডিছিশন লওয়া শম্ভব না, শেইটা বুঝতে শুবিধা হবে। উপরে জেই মিছা কথাগুলা কইলাম, তার শবই এই বাংগালি নেশনালিজমের গোড়ায় আছে এবং ১৯৮৬ শালের পরে আমরা জারা পড়ছি, বড়ো হইছি, তাদের ভিতর ঐগুলা আছে। আরেকবার তবু ঐগুলাও রাখি লিস্টিতে, তাইলে ইতিহাশের ছিলছিলাটা বুঝতে শুবিধা হবে।

১. শোনার বাংলা আছে ফাউন্ডেশনের একদম নিচে। বাংলা হইলো মা। এতে তাইলে অটোমেটিক আইশা পড়তেছে রঠা। আবার রঠা আশলে বঙ্কিমের নকল, বাংলারে মা হিশাবে দেখা শবচে পাওয়ারফুল লোকটার নাম বঙ্কিম, তার ‘বন্দে মাতরম’ বাংগালি নেশনালিজমের গোড়া। এমনিতে এইটা ভালো ব্যাপারই; ঝামেলা হইলো, এইটারে ইউনিভার্ছাল কইরা তোলা! দেশপেরেম তো খারাপ কিছু না আলবত, কিন্তু পেরেম জিনিশটা শকল কমিউনিটি একই ফর্মে চর্চা করে না! বঙ্কিম এইটা বুঝছিলেন, তাই উনি ঐটা তার কমুনিটিরে কইছেন, বন্দে মাতরম দিয়া উনি হিন্দু কমুনিটিরে মর্ডান দেশপেরেমের ছবক দিছেন। আমি তাই বঙ্কিমরে মোটেই দোশ দেই না। আমার বিচারে দোশটা কংগেরেছ আর রঠার! মানে বঙ্কিমের পরে রঠা আর কংগেরেছ কমুনিটির দেশপেরেমের ফর্মটারে ইউনিভার্ছাল কইরা তুলছে, এইটা খারাপ। একজন হিন্দু তার কমুনিটিরে ছবক দেবার ভিতর কমুনাল কিছু নাই, তাই বঙ্কিম কমুনাল না, বরং রঠা জখন তার হিন্দু পরিচয় লুকাইয়া ঘটনাটারে বাকিদের পিরিতের ফর্মও বানাইলেন, ঐটাই কমুনাল ঘটনা, খুবই টক্সিক! কংগেরেছ শেইটারে আরো বেশি পলিটিকেলি রিলেভেন্ট কইরা তুলছে, ঐটা আছিলো ছেরেফ রায়টের চাশবাশ করা! বাংলাদেশ পয়দা হবার পরে এইগুলা আমাদের খুব চোখা নজরে রিভিউ করা দরকার আছিলো, আমরা তা করি নাই। বরং বাংগালি নেশনালিজম ঐটারে আরো মজবুত কইরা তুলছে। তাই বাংগালি নেশনালিজমের কাছে ১৯০৫ শালের বংগভংগ একটা নেগেটিভ ঘটনা, এমনকি কমুনাল, এবং ভাবনার ঐ ছিলছিলাতেই তাগো কান্দনের একটা উছিলা হইলো পরের দেশভাগ, পাকিস্তান! অথচ বংগভংগ হইলো বাংলাদেশ পয়দা হবার হিস্ট্রিকেল শর্ত, এবং ঐটা একটা ইকোনমিক ঘটনা অনেক বেশি! ইকোনমিক ঘটনা বইলাই ঢাকা ভার্ছিটির শুরুতে দেখা জাইতেছে বেশিরভাগ ছাত্র-মাশ্টার হিন্দু, নট মোছলমান। ওদিকে, বংগভংগ আর দেশভাগ লইয়া কান্দনের মানে খাড়ায় তারা আশলে ইংরাজের বানানো জমিদারি ছিস্টেমের ভক্ত! এই বাংগালি নেশনালিজমের কাছে শবচে রেছপেক্টেবল বাংগালির নাম বিদ্দাশাগর, জেই লোক চিরস্থায়ি বন্দোবস্ত আর জমিদার ভক্ত, শিরাজুদ্দৌলা জার বিচারে ‘দুরাচার’, শিরাজের আমল একটা টাইরানি, ইংরাজ জেইখান থিকা আজাদ করলো বাংগালিরে! বাংগালি নেশনালিজম পরে শিরাজ বা চিরস্থায়ি বন্দোবস্তের ব্যাপারে কিছু রিভিউ করছে, কিন্তু শোনার বাংলা, বাংলা মা থিকা বিদ্দাশাগর একই মর্জাদার কুরছিতে বইশা রইছে।

শোনার বাংলার ঐ বয়ান বাংলা ভাশাটারেও গনতান্ত্রিক থাকতে দেয় নাই, আমজনতার শব্দ আর ভংগিমা হইয়া উঠছে ভালগার, জেই শংস্কৃতের লগে ফাইট কইরা বাংলা পয়দা হইছে, বাংলার শুলতানি আমল আর ফার্ছি জেইটার গোড়ায়, তারে এমন একটা ছুরত দিছে, শংস্কৃত না জানলে জেইটা বুঝে পারে না বাংলার আমজনতা, তাদের ঐ বাংলা ৯৫% বাংগালির বাংলারে ভেজাল বাংলা হিশাবে রায় দিলো!

২. শোনার বাংলার ঐ ডিছকোর্ছ জিন্নারে ভিলেন হিশাবে দ্যাখে। অথচ আর শব ব্যাপারে বহু আলাপ আছে, করছেন অনেকে, আমি আরেকটা দিক দিয়া একটু বুঝতে কইতেছি: জিন্না এবং মোছলমানদের পয়েন্ট আছিলো এই জে, তারা হিন্দুস্তানি, জেইটা নামের ভিতরেই একটা মোছলমানি হাজির রাখে; কিন্তু কংগেরেছ হিন্দুস্তান হিশাবে দেখতে নারাজ, তারা হিন্দু-ইনডিয়া-ভারত এই তিনটারে একই অর্থে দেখতেছে। তাইলে কংগেরেছের ঐ আইডিওলজির গাহেক হইলে মোছলমানি খারিজ হইয়া জাইতেছে! শেই ছিলছিলাতেই আজকে বিজেপিরা মোগলদের বিদেশি কইতেছে, ইনডিয়ায় ইছলাম তাগো বিচারে বিদেশি, ৬০০ বছরের গোলামির বয়ান পয়দা করছে কংগেরেছ, বিজেপি এখন ‘ঘর ওয়াপ্ছি’ করতেছে।

৩. ১৯৫২ শালের ফেব্রুয়ারির ঘটনারে বাংগালি নেশনালিজম ফাপাইয়া দেখায়। তার আগে ১৯৪৮ শালে জিন্নার এলান একটা মজার ঘটনা। রাশ্টের কমন ভাশাটা কি হবে, শেই পোশ্নের পছিবল জবাব আছিলো দুইটা–ইংরাজি অথবা উর্দু, বিটিশ কলোনি থিকা আজাদির ঠিক পরে পরেই একটা পোস্ট কলোনিয়াল জোশের কারনেই জিন্না উর্দুর কথা কইছে, এগেইন্সট ইংরাজি, এমনকি নিজেও শবচে বেশি ইংরাজিতে ফুলুয়েন্ট হবার পরেও। আজকেও ইনডিয়ার ছেন্টার জেমন হিন্দিরে ১ নাম্বার কমন ভাশা বানাইতে চায়, ইংরাজির বদলে, জিন্নার মর্মটাও তেমনই আছিলো।

ঝামেলা হইলো, জিন্না বাংলারে চিনতো না, চেনার দরকারও ভাবে নাই হয়তো, খুবই আনডেমোক্রেটিক একটা মুভ আছিলো ঐটা জিন্নার; জাতিরাশ্টের একটা কমন ভাশার এজেন্ডা থাকারই কথা, কিন্তু অমন একটা ডিছিশন মস্ত ডায়লগের ভিতর দিয়া, শমাজে বিরাট ডিছকোর্ছ/বাহাছ পয়দা কইরা ফয়ছালার পরের ঘটনা হবার কথা, ঐটা করার কথা ভাবেন নাই জিন্না, উনি পাকিস্তানের পুবের জনতার উপর নিজের অথরিটি ধইরা লইছেন, পাকিস্তান হবার আগে আর পরের হালত জে আর একই থাকে না, এইটা ভাবেন নাই। বাংলাদেশ হবার পরে জেমনি নয়া জামানা শুরু হইলো বইলা ভাবতে পারে নাই শেখ শাহেব বা বাংলাদেশের পলিটিকেল এলিট, জিন্নার ঐ ঘটনাও তেমন! উনি ছেরেফ মোগল হিন্দুস্তানের ছিলছিলারে অটোমেটিক ধইরা লইছেন।

কিন্তু তাতেই আমরা ১৯৫২ শালের ঘটনারে ফাপাবার হক পাইয়া গেলাম, তা তো হবার কথা না! ২১ তারিখ মিছিলে গুলি করে নাই পুলিশ, মিছিলই হয় নাই, ১৪৪ ধারাও ভাংগে নাই ছাত্ররা! তার উপর ঐ মুভমেন্টটা খুবই আরবান, কলোনিয়াল কলিকাতাই কেলাছিক বাংলা লিটারেচার পড়া এলিটের মুভমেন্ট।

বাংগালি নেশনালিজম ঐটারে মস্ত ঘটনা হিশাবে দেখাইছে এবং বাংলাদেশ পয়দা হইতে ঐ ফাপাবার একটা রোলও আছে আশলে! কিন্তু বাংলাদেশ হবার পরেও ঐটারে আমরা ফাপানো দশাতেই রাখলাম, তার আখেরি ফল হইলো, আমরা চাকমা-মান্দি-মারমা-উর্দু মাইনোরিটিরে গোনায় না ধইরা খোদ বাংলারেই জালেমের কুরছিতে বশাইলাম, শেই উর্দু/জিন্নার মতোই!

৪. রঠার গান পাকিস্তানে কখনো ব্যান করে নাই কেউ। হজরত আইউব রঠারে লাইক করতো না, এইটাই ছেরেফ ঘটনা। আজকে বিটিভিতে জেমন আপনে মাওলানা ভাশানি বা শিরাজ শিকদারের কোন লেখা কখনোই পাইতে পারেন না, ডিক্টেটর আইউব ছেরেফ তেমনি রাশ্টের টিভি/রেডিওতে রঠারে ঠেকাইতে চাইছে, এবং তাও ঐ ব্যাপারে ফর্মাল কোন হুকুমের ডকুমেন্ট এখনো পাই নাই আমি। কিন্তু ফর্মাল হুকুম থাকলেও শেইটা রাশ্টের মিডিয়ায় মাত্র, পেরাইভেটে রঠা বরং বেকুব ডিক্টেটর আইউবের হুকুমের পরে অনেক বাড়ছিলো, পুবের পাকিস্তানে থানা-মহকুমায় হাজারো মচ্ছব হইছে রঠার গানের, এবং তাতে কেউ কখনো গেরেপ্তারও হয় নাই। এমনকি রঠার বাড্ডে এখনো পচ্চিম পাকিস্তানে পালন করার নজির আছে। বাংগালি নেশনালিজম মিছা কথা কয় ঐ ব্যাপারে।

৫. ডিক্টেটর আইউব পুবের পাকিস্তানের মুভমেন্টে পড়ে নাই, দরকারে পুবে জে বেশুমার খুন করতে পারে পাকিস্তান আর্মি, ঐটা তো ১ বছর পরে বাংলাদেশ-পাকিস্তান জুদ্ধে দেখতেছেনই! পচ্চিম পাকিস্তান ঠিক বা আইউবের কনটোলে থাকলে পুবে পাইকারি খুন কইরাই ঠান্ডা করতে পারতো আইউব। পুবের পাকিস্তান না থাকলেও আইউবের কিছু জায় আশে না, তা তো ১৯৬৫ শালে ইনডিয়া-পাকিস্তান জুদ্ধেই মালুম হবার কথা, পুবের পাকিস্তান পোটেক্ট করার দিকে আইউবের কোন নজর আছিলো না, ইনডিয়া চাইলে পুবের পাকিস্তান ৭ দিনে দখল করতে পারতো। আইউবরে ফালানোর পলিটিকেল কেরেডিট ভুট্টোর, পচ্চিমের আর্মি-ছিভিল এলিটের ভিতর আইউবের মাটি আছিলো না, তাই বিদায় লইতে হইছে তার।

৬. ৭০’র ইলেকশনে পুবে আওমি লিগের জয়টারে বাংগালি নেশনালিজম মস্ত ঘটনা হিশাবে জাহির করে। কিন্তু ঐটা পচ্চিমে ভুট্টোর জয়ের তুলনায় ছোট ঘটনা! ১৯৭০ শালে ভুট্টোর পাট্টির বয়শ মাত্র ৩ বছর, আর লিগের বয়শ ২১; পুবে মুছলিম লিগের বেশিরভাগ আওমি লিগ বানাইছে, হক শাহেবের দলের লোকজনও বহুত পাইছে শেখ শাহেব; মুছলিম লিগ নাই হইয়া গেছে পুবে, কিন্তু পচ্চিমে তো তা হয় নাই, পচ্চিমে এখনো মুছলিম লিগের শরকার! ৩ বছরে ভুট্টো এতোই বড়ো হইছে জে, পচ্চিমের পুরাটাই পলিটিকেলি দখল করতে পারলো, শকলের লগে ফাইট কইরা, কিন্তু পুবে? পুবে শেখ শাহেবকে ময়দান ছাইড়া দিছে শবাই, ভাশানি ময়দানে থাকলেই ঘটনা আর কিছু হইতো। কারন, ভাশানিই তখন বড়ো লিডার পুবে, ১৯৬৯ শালে আইউব খেদানির মুভমেন্টে পুবে ভাশানিই ১ নাম্বার লিডার। পচ্চিমের লগে বার্গেইন করার মওকা বাড়াইতে ভাশানি শেখ শাহেবের হাতে ময়দান ছাড়ছে, বাকিরাও ছাড়ছে অনেকেই, অমন কোন ছাড় পচ্চিমে ভুট্টো পায় নাই।

৭. ১৯৭১ শালের ব্যাপারে বাংগালি নেশনালিজম ইনডিয়ার গুন গায় হরদম, কিন্তু এইটার তেমন কারন নাই। ইনডিয়া তার নিজের দরকারে বাংলাদেশরে মদদ দিছে। এখন বাংলাদেশে রোহিংগাদের শেলটার দেবার ঘটনার তুলনায় ইনডিয়ার শেলটার পুচকে, এখন বাংলাদেশের কোন পলিটিকেল শার্থ নাই রোহিংগাদের ব্যাপারে, আর তখন ইনডিয়ার শার্থ পুরাটাই। ওদিকে, রিফিউজিদের ইনডিয়া খাওয়ায় নাই, খাওয়াইছে ইউএন, এখন রোহিংগাদের জেমন খাওয়ায় না বাংলাদেশ। ইনডিয়া বরং বাধা দিছে, ইউএন ১০০ গাড়ি দিছিলো, ইনডিয়া ঐগুলা ইউজ করতে দেয় নাই। রিফিউজিদের উপর হামলার ঘটনা আছে, রিফিউজিদের থিকা কম দামে চাউল কিনা ইনডিয়ানরা বিজনেছ করতো, ইনডিয়ার ইকোনমিক লাভ হইছে বরং। কলিকাতার গুন গাইবারও ততো কারন নাই; কলিকাতা বাংলাদেশিদের রাখতে নারাজ আছিলো, তারা রিফিউজিদের ইনডিয়ার আর শব এস্টেটে পাঠাইয়া দিতে চাইছে। ইন্দিরার পলিটিকেল শার্থ আর ইউএনের কারনে ওয়েস্ট বেংগল কামিয়াব হইতে পারে নাই। ছো, ‘আভারি’র কোন কারন নাই।

৮. শেখ শাহেবের আমলের শুরু থিকা জিয়ার হাতে খমতা জাবার মাঝখানের টাইমটা লইয়া বাংগালি নেশনালিজম মিছা কথা কয় অথবা পুরাই চাইপা জায়। বাকশালি জুলুমকে এখনো তারা এমনকি পজিটিভ ঘটনা হিশাবে দ্যাখে, এখনো ‘দুছরা বিপ্লবের আদর্শ’ টাইপের কেতাব ছাপা হয়, এখনো কলাম লেখে বাকশালিরা। শেখ শাহেবের টাইরানিরে তারা শিকার করে না, ৭৩ শালের ইলেকশন লইয়া কথা কয় না, রক্ষিবাহিনির জুলুম লইয়া চুপ, এমনকি ৭৪ শালের আকালের ব্যাপারেও তারা শেখ শাহেবের কোন গলদ পায় না।

৯. তাদের শকল রাগ জাইয়া পড়ে জিয়ার উপর। শেই ছোট্টকাল থিকা শুনি, বাংলাদেশরে পাকিস্তান বানাইতে চাইছিলো জিয়া। কয় বছর আগে আমার মাথায় একটা পোশ্ন জাগলো–জিয়া পাকিস্তান বানাইতে চাইতেছে বুঝলাম, পাকিস্তানেরও তো ইন্টারেস্ট আছিলো, ভুট্টো এমনকি শেখ শাহেবকেও পরস্তাব দিছিলো খুব শম্ভব, জিয়ার আমলে তাইলে পাকিস্তান হইলাম না কেন আমরা, ঠেকাইলো কে? এই পোশ্নের জবাব পাইতে চাইয়া দেখলাম, আওমি লিগ তো নাই, আর্মি হেড জিয়া, পরে পেছিডেন জিয়া, কাদের ছিদ্দিকিরা পালানো, কমুনিস্টরাও নাই, ভাশানি লাইক করে জিয়ারে, মানে কেউ-ই তো নাই ময়দানে! তাইলে পাকিস্তান কেন হইলো না?! তখন হিশাব কইরা বুঝলাম জে, হয় নাই কারন হজরত জিয়া করে নাই, আর কোন কারন নাই! ১৯৭৬ শালের ৭ মার্চ রেছকোর্ছের ময়দানে মিটিং হইছে, ইছলামিক জলশার বাহানায় শেই পলিটিকেল মিটিং-এ ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ ছোলোগান উঠছে, শেখ শাহেব খুন হবার পরে মোশতাকের টাইমেই মুছলিম লিগ থিকা জামাত, কতো কতো পাকিস্তানবাদি ফোর্ছ ময়দানে নামছে, আর্মি টালমাটাল, কেবল জিয়া ছাড়া বাংলাদেশরে বাচাবার মতো আর তো কাউকে পাইতেছি না!

১০. জিয়ার ব্যাপারে বাংগালি নেশনালিজম বেশুমার মিছা কথা কয়। তার ভিতর ‘শামরিক শাশক’ বইলা গালি দেওয়া, সায়েমের মাথায় বন্দুক ধইরা দখল করছিলো নাকি জিয়া! পুরাটাই মিছা কথা। সায়েম তার কেতাবেই লেইখা রাখছেন জে, জিয়ারে উনি ডাইকা খমতা দিছেন, জিয়া নিজে দখল করতে জায় নাই। তার আগে কাজি সায়েম নিজের এডভাইজারদের জিগাইছেন, এয়ার আর নেভির হেডের লগে আলাপ করছেন। জিয়া এমনকি শামরিক শাশন নিজে জারি করে নাই, উনি ৩ নাম্বার শামরিক শাশক আছিলেন বাংলাদেশের, পয়লা জন আওমি লিগের মোশতাক, তারপর কাজি সায়েম এবং সায়েমই জিয়ারে তার কুরছিতে বশাইছেন।

১১. বিএনপি নাকি ক্যান্টনমেন্টে পয়দা হইছে। মিছা কথা। জিয়া নাকি আর্মি হেড থাইকাই পেছিডেন ইলেকশন করছে। এইটাও মিছা কথা। পেছিডেন কেন্ডিডেট হবার আগে আর্মির হেড হইছে হজরত এরশাদ, পোস্ট ছাইড়া দিছে জিয়া। জিয়া আর্মির পোস্ট ছাড়ছে ২৮ এপ্রিল ১৯৭৮, পেছিডেন ইলেকশন হইছে ৩ জুন ১৯৭৮, বিএনপি পয়দা হইছে ১ ছেপ্টেম্বর ১৯৭৮। জিয়ারে বাংগালি নেশনারিজম দখলদার শামরিক শাশক কয়, কিন্তু দেশের ইতিহাশে জিয়াই জে শবচে ডেমোক্রেটিক পলিটিশিয়ান, এইটা তারা খেয়াল করতে নারাজ। কেননা, ডেমোক্রেছি তো তারা চায় না, তারা চায় বাকশাল, তাদের আগ্রহ ছিভিলিয়ান টাইরানিতে। বহু ইলেকশন ঘটাইছেন জিয়া, তার ভিতর একদম পয়লা রেফারেন্ডাম বাদে বাকি ইলেকশনগুলা মোটামুটি একছেপ্টেবল, ৭৩ বা ২০১৪ বা ২০১৮’র মতো কোন ইলেকশন করেন নাই উনি। বা খালেদার ১৫ ফেব্রুয়ারির কথাও কইতে পারেন, ঐটার পরে কেয়ারটেকার বিল পাশ কইরাই গদি ছাড়ছেন খালেদা, কিন্তু অমন ইলেকশনো ঘটায় নাই জিয়া। আনলাইক খালেদা-হাসিনা, জিয়া ডাকশু ইলেকশন দিছেন এবং তাতেই মান্না ভিপি হইছেন, জিয়ার দল জেতে নাি ডাকশুতে; তুলনা করেন নুরুর ভিপি হবার ইলেকশনের লগে। এই ব্যাপারে আরেকটা লেখায় আরো ডিটেইলে কইবার বা বিস্তারের খায়েশ আছে।

১২. জিয়ার আমলের ব্যাপারে বাংগালি নেশনালিজমের আরেকটা মিছা কথা হইলো, কথা বলার ব্যাপারে; তখন নাকি মিডিয়ায় মস্ত ছেন্সরশিপ আছিলো! ভুয়া কথা। তবে শবচে মজার ব্যাপার হইলো, আগের বাকশালে পুরা মিডিয়াই জে ব্যান করলো, মাওলানা ভাশানিরে নজরবন্দি করলো, হক কথা বন্ধ কইরা দিলো এমনকি বাকশাল কায়েমের আগেই, শেই রেজিমের, শেই শেখ শাহেবের ভক্তরা মিডিয়ার ফিরিডম আর ছেন্সরশিপ লইয়া গান গায়!

তো, ওনাদের নালিশ হইলো, শেখ শাহেবের কথা ওনারা নাকি কইতে পারতেন না জিয়ার আমলে, ‘বংগবন্ধু’ লিখতে পারতেন না; মিছা কথা। না লেখা বা কওয়া ওনাদের চয়েছ আছিলো, জিয়ার কোন হুকুম আছিলো না ঐ ব্যাপারে। এবং জিয়ার আমলেই ইত্তেফাকে ‘বংগবন্ধু’ লেখা শুরু হইছে। তবে ব্যাপারটা শবচে ভালো বুঝবেন নির্মুলেন্দু গুনের ঘটনায়। নির্মুলেন্দু গুন লিখতেছেন:

“বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর তাঁকে নিয়ে লেখা এবং প্রকাশ্য জনসমাবেশে পঠিত আমার কবিতাগুলি।
ভয় নেই
( ১৯৭৬, ২১ ফেব্রুয়ারি, বাংলা একাডেমি)।
আমি আজ কারও রক্ত চাইতে আসিনি
( ১৯৭৭, ২১ ফেরুয়ারি, বাংলা একাডেমি)।

২৬ অক্টোবর ২০১৯”

দেখা জাইতেছে, ১৯৭৬ শালে কবিতা পড়ার পড়ে আবারো সেই বাংলা একাডেমিতেই ওনারে কবিতা পড়তে ডাকা হইতেছে। তাতে ওনার কি হইছে? কিছুই না, উনি এখনো বহাল তবিয়ত।

তাইলে এই জে গুজব গাইয়া বেড়ান কতগুলা লোক জে, তখন শেখ শাহেবের নামই মুখে আনা জাইতো না, তারে লইয়া কবিতা তো দুর, এই দাবি কেমনে হাচা হইতে পারে? জেইখানে বাংলা একাডেমিতেই ‘তারে’ লইয়া লেখা কবিতা পুরাটাই পড়তে পারতেছেন হজরত গুন!

এই কারনেই আমি কইতেছি, ‘তারে’ মুখে লওয়া বা কবিতা বা আলোচনা না করাটা ভক্তদের ডিছিশন; মোটিভ? হয়তো এমন একটা আন্দাজ জে, ‘তার’ ভক্ত মালুম হইলে শেই আমলে ফায়দা লোটা যাবে না! ওনারা তখন হজরত গুনের মতো শৎ ভক্ত আছিলেন না বইলাই এখন বাড়াইয়া কইতে থাকেন শেই আমলের ব্যাপারে! জেন বা জানের ডরে আছিল তারা, তাই তখন কোন কথা কন নাই, কাপুরুশরা তো বিপদরে এমনই ম্যাগনিফাই করে, নিজে জে কাপুরুশ, শেইটা ঢাকতে! করতে হয় অমন, নাইলে এখন ফায়দা লুটতে গেলে তখনকার নিরবতারে জাস্টিফাই করবেন কেমনে!?
১৩. কর্নেল তাহের। এখন কর্নেল তাহের বাংগালি নেশনালিজমের একজন হিরো; আবার তাহের জেই খালেদরে খুন করলেন, শেই খালেদও হিরো! ঘটনা কি! ঘটনা হইলো, ঐ দুই গং আখেরে জিয়ার কাছে হারছে, ঐটাই কমন দুই জনের মাঝে! কিন্তু তাহের হইলেন, ছিভিলিয়ান শাশনের বিপক্ষে আর্মির পয়লা রিভল্ট! ১৫ আগস্ট দেশের পেছিডেন খুন হইলেন, কিন্তু বদলে পেছিডেন হইলেন আরেকজন ছিভিলিয়ান, আর্মি গদি দখল করে নাই। শেখ শাহেবের খুনিদের লগে খুবই খাতির জমলো তাহেরের! শেই তাহের এখন হিরো! তাহেরের ব্যাপারে পুরা বয়ানটাই মিছা, জেই মিছা বয়ানরে আরো মজবুত কইরা তুলছে এখন শাহাদুজ্জান আর পরথম আলো গং।

উপরের এই ১৩ টা পয়েন্ট ভাবেন। ১৯৮৬ শালের পরে বাকশালিরা ইতিহাশের জেই বয়ান বানাইছে, তাতে এই পয়েন্টগুলা খুবই পাওয়ারফুল, জেইখানে ওনাদের শবগুলা দাবিই মিছা, ওনারা কেয়ারফুলি ঐ মিছা বয়ান বানাইছে এবং আগে থিকাই জেই বয়ানগুলা আছিলো, তারে ঠিকঠাক করার বদলে আরো মজবুত কইরা তুলছে।

আমি এবং ফাও বা জিয়া হাসান বা পিনাকি বা কালচার্ড বাংলা মিডিয়ামের বেশুমার মানুশ ঐ ইতিহাশের গাহেক হইছিলাম এবং এখনো ঐখান থিকা পুরা বাইরাইতে পারে নাই ওনারা কেউ! এখান থিকা বাইরাইতে বাংগালি নেশনালিজমরে জেমনে বিচার করা দরকার, পরখ করা দরকার তাদের শকল দাবি, তা ওনারা করেন নাই, আমার বিচারে কয়, কেউই করে নাই, এখনো না!

এবং এইগুলা কমবেশি অন্তরে রাইখাই ওনারা এখনো পলিটিকেল ডিছিশন লইয়া জাইতেছেন, জাতে আলবত কতগুলা ভুল থাকবে! ফলে ওনাদের শাহাবাগ বোঝাবুঝিতেও ভুলগুলা থাইকা জাবে! ওনারা নিজেদের বিবেকের কাছে শৎ থাকতে চাইলেও ভুলগুলা এড়াইতে পারবেন না ওনারা!

শাহাবাগের ব্যাপারে জেই ‘শ্যামলা’ এরিয়ার কথা কইতেছেন অনেকে, তারে বুঝতে উপরের ঐ পয়েন্টগুলার ব্যাপারে তাদের পজিশনটা বুঝতে হবে!

শাহাবাগে ফাশির দাবিতে খাড়ান নাই ওনারা, জামাতের লগে শরকারের /লিগের কোন গোপন চুক্তি হইছে, তেমন একটা অনুমান থিকা খাড়াইছেন ওনারা, এমন দাবি করতেছেন অনেকেই। কিন্তু আপনে জখন ১৯৯২ শালের গনআদালতের কন্টিনুশন হিশাবে ওয়ারকেরাইমের বিচার আর শাহাবাগরে দেখবেন, তখন ওনাদের দাবির লগে শাহাবাগের পরানভোমরার কোন রিশতা পাওয়া মুশকিল! গনআদালত আগেই ফাশির রায় দিছিলো, টেরাইবুনাল আছিলো শেই ফাশিরে ফর্মালাইজ করার এটেম্পট! কাদের মোল্লার ফাশি না হওয়া মানে গনআদালতের রায়কে না মানা, ঐটাই ওনারা মানতে নারাজ আছিলেন এবং ঐ কারনেই শাহাবাগে খাড়াইছেন।

এখন, ফাশি চাওয়া লইয়া আমার খুব বড়ো আপত্তি নাই আশলে! মানে, বাংলাদেশে ফাশি চাওয়া শবচে কমন ব্যাপার, মানহানির মামলায়ও ফাশি চাই আমরা, ফাশির জিনিশটা খুবই এছথেটিক আমাদের কাছে, শেই মুনির-খুকুর ফাশির ঘটনা মনে কইরা দ্যাখেন! আমরা এমনকি বিচার বাদেই ফাশি, মানে ধরেন, কোরোছফায়ারে খুনেও খুশি হই আমরা! ফাশি একটা কমন ঘটনা দেশে, এই তো বিডিআর রিভল্টের ঘটনায়ও ১৪৫ জনের ফাশি হইলো, জেলখানায় আগেই কতো জন খুন হইছে, তা তো জানারও উপায় নাই। তাইলে জিগান, আমার চিন্তাটা কোন খানে?

আমার চিন্তা হইলো, শাহাবাগে জমায়েতটা কেমনে হইলো, ঐ জমায়েতের মর্মটা কি এবং তার ফল কেমন! এই ব্যাপারে জেই আলাপগুলা আছে, তার শবগুলারেই খুবই আপত্তিকর অর্থে পার্শিয়াল লাগে আমার! মানে শবই তো পার্শিয়াল দুনিয়ার, কিন্তু মার্জিন অব এররের একটা মাত্রা আছে মনে হয়, হয়তো ২০%, কিন্তু ঐটা জদি ৬০% হয়, তাইলে তো মুশকিল! আমার অবজার্ভেশন হইলো, বাংলাদেশের ইতিহাশের ব্যাপারে আমার তোলা ঐ পয়েন্টগুলার মোটামুটি একটা রিভিউ না থাকায়, কেউ ইছলামি কোল টানায়, কেউ মার্ক্সের তরিকার দিকে কোল টানায়, কেউ বাংগালি নেশনালিস্ট কোল টানায় মার্জিন অব এরর হামেশাই মাত্রা ছাড়াইছে!

বিচারটা ঠিকঠাক করতে চাইলে একটা বটমলাইন ঠিক করতে হবে, আমাদের ভাবাভাবি শেই বটমলাইনের লগে কোরোছচেক কইরা দেখতে হবে হরদম। ঐ বটমলাইনের নাম দিলাম, ইনছাফ এবং বাংলাদেশ। কোন নেশনালিস্ট পাটাতন বাদেই বাংলাদেশটারে আমি একটা পলিটিকেল এবং ইকোনমিক ইউনিট হিশাবে ভাবতে কইবো জেইখানে বহু কিছিমের নাগরিক আছে, এবং তাদের শকলেরই ইনছাফ পাবার হক আছে।

তাইলে বাংলাদেশ পয়দা হইতে একটা জুদ্ধ করতে হইছে, তার আছর কোটি কোটি মানুশের উপর পড়ছে। তাতে বেশুমার মরন আর রেপ হইছে, ডাকাতি, ঘরে আগুন দেবার মতো ঘটনা ঘটছে, জেনোছাইড ঘটছে একটা। একটা পলিটিকেল ইউনিট হিশাবে এই দেশটা তাই তার অস্তি বা এক্সিস্টেন্সের ব্যাপারে চিন্তা করারই কথা এবং তার অস্তির পক্ষে জারা নাই, তাদের এই রাশ্টে পলিটিক্স করার হক নাই, একটা রাশ্টো হিশাবে নিজের অস্তির পোরতি এইটা তার জরুর দায়।
তাই তেমন পলিটিকেল পাট্টি ব্যান করলে তাতে বাকশালি বা ফেছিস্ট কর্ম হয় না। ইউরোপ-আমেরিকায় নাৎশি দলের উপর ব্যান আছে, হিটলারের ব্যাপারে কোন পজিটিভ কথাই কইতে পারবেন না আপনে, তাতে কি ঐগুলা ফেছিস্ট দেশ হইলো? মজার ব্যাপার হইলো, দেশে মার্ক্সের তরিকার কিছু লোক জামাত ব্যান করার দাবির ভিতর ফেছিজম পায়, কিন্তু এরাই আবার কিউবা বা চায়নায় কমুনিস্ট ছাড়া জে কিছুই হইতে পারে না কেউ, এগুলারে ফেছিস্ট রাশ্টো কয় না!

কিন্তু জামাতের ব্যাপারে বাংগালি নেশনালিস্ট পজিশনটারে আশলে বাংলাদেশ রাশ্টের নিজের অস্তির পোরতি জরুর দায় ভাবার উপায় নাই! জামাতের ব্যাপারে কতগুলা নালিশ আছে, শেই একই নালিশ মুছলিম লিগের ব্যাপারে করতে পারেন, এমনকি মার্ক্সের তরিকার কোন কোন দলও বাংলাদেশ নামের রাশ্টের অস্তির জরুর দায়ের নিরিখে একই কাতারে পড়বে।

তাইলে জামাতরে কেমনে ওনারা ছিংগেল আউট করলো? এই পোশ্নের জবাবেই আপনে বাংগালি নেশনালিজমের ভিতরের ইছলামোফোবিয়ারে পাইবেন, ইনডিয়ার বামুনবাদি মন, কেলাছিক বাংলা লিটারেচারের পয়দা করা মন ঐ আকামটা করে!

ওদিকে, খেয়াল করলে দেখবেন জে, জামাতের ব্যাপারে ঐ দাবিটা করা হইতেছে ১৯৯১ শালের ইলেকশনে বিএনপি জেতার পরে। আগে না কেন? ১৯৮৬ শাল থিকা ইতিহাশের জেই বাংগালি নেশনালিজম ময়দানে একটিভ হইলো, তারা জদি পিয়ার গুরুপ হিশাবে আওমি লিগের জয়ের ব্যাপারে শিওর না হইতো, তারা জদি বাংলাদেশ রাশ্টের অস্তির পোরতি ফেইথফুল হইতো আশলেই, তাইলে তাদের মুভমেন্ট করার কথা কাজি শাহাবুদ্দিনের কেয়ারটেকার গভমেন্টের আমলেই!

মুভমেন্ট তো দুর, জামাত ইত্তাদি এন্টি-বাংলাদেশ পলিটিকেল পাট্টিগুলার ব্যাপারে তেমন কোন দাবি কি তারা হাজির করছিলো আদৌ? তাদের তো উচিত আছিলো, তখনই মামলা করা একটা, শাহাবুদ্দিন-ইলেকশন কমিশনের কাছে দেন দরবার করা! আরো মজার ব্যাপার হইলো, ১৯৯৬-২০০০ আওমি লিগ আমলেও তারা মুভমেন্ট করতেছে না!

ওদিকে, ১৯৭১ শালে আলবত ওয়ার কেরাইম ঘটছে, এবং ইনছাফ কায়েমের দরকারে শেই ওয়ার-কেরাইমের বিচার হওয়া উচিত।

কিন্তু ১৯৯২ শালের গনআদালত ওয়ার কেরাইমকে ছেরেফ উছিলা বানাইয়া বাংগালি নেশনালিজমের ইছলামোফোবিয়া থিকা জামাত হান্টিং করতে চাইতেছে। অথচ ইনছাফের দরকারে ওয়ার কেরাইমের বিচার চাইতে গেলে ১ নাম্বারেই বিচার চাওয়া দরকার পাকিস্তান আর্মির, অন্তত ১৯৫ জনের নামধাম তো জানাই আছিলো! ইউএনে জাবার কথা আমাদের, আইছিছিতে জাবার কথা, বাংলাদেশের আদালতে জাবার কথা, আওমি লিগরে গালি দিয়া মুভমেন্ট শুরু করার কথা, কোন এখতিয়ারে শেখ শাহেব পাকিস্তানরে ছাড় দিতে পারেন, শেই পোশ্ন করার কথা!

এর কিছুই না কইরা গনআদালত একটা এনার্কিস্ট মুভমেন্ট শুরু করলো, গোলাম আজমের ছিটিজেনশিপ বাতিল চাইলো! আবারো খেয়াল করেন, ঐটা ঘটতেছে ১৯৯১ শালে আওমি লিগ ইলেকশনে হারার পরে, বিএনপি গভমেন্টের আমলে, আগে না কিন্তু! ওদিকে, ঐ মুভমেন্টটাও কতটা বেকুবিভরা ভাবেন, গোলাম আজমের ছিটিজেনশিপ তো বাতিল করার উপায় নাই এমনিতে, বেআইনি কাম হবে ঐটা, ছিটিজেনশিপ বাতিল করতে চাইলে আপনের আশলে মুভমেন্ট করতে হবে রাশ্টের মুছাবিদা বা কন্সটিটুশন পাল্টাবার, ছিটিজেনশিপের দফাটা এমেন্ড করতে হবে!

ছো, গনআদালতে গোলাম আজম বা জামাত থিকা ওয়ার কেরাইমের বিচার চাওয়া মুভমেন্ট, পুরা ব্যাপারটাই গোলমেলে এবং ছেরেফ ইলেকশনে আওমি লিগের হারের শক আর টোরোমা থিকা পয়দা হইছে, বাংগালি নেশনালিজমের এজেন্ডা ঐটা, বাংলাদেশ নামের রাশ্টো আর তার নাগরিকদের উপর হওয়া বেশুমার জুলুমের মর্ম থিকা গজায় নাই ঐগুলা! এবং অমনটা হইতে পারলো আশলে মিছা ইতিহাশের পাটাতনে কতগুলা বাকশালি লোকের পয়দা করা ভুয়া বয়ানের উপর খাড়াইয়া থাকার কারনে! এবং বাংলা মিডিয়ামের কালচার্ড লোকেরা, মানে আমরা জারা ১৯৮৬ শাল থিকা ময়দানে হাজির হওয়া মিছা ইতিহাশের ভিতর পয়দা হইছি, তারা ঐগুলায় কম বেশি মগজধোলাইর শিকার! ওগুলারে ঠিকঠাক রিভিউ করতে না পারলে ঐখান থিকা বাইরাবার উপায় নাই!

এদিকে, শেই গনআদালতের কন্টিনুশনই হইলো ২০১৩ শালের শাহাবাগ। ফলে ঐ একই মিছা ইতিহাশের গাড্ডায় পড়তে বাদ্ধ শাহাবাগ, শেই একই বাকশালি বাংগালি নেশনালিজমই ঐটা ঘটাইতেছে। গনআদালত জেমন আছিলো ১৯৮৬ শাল থিকা হাজির হওয়া কেতাব-কলাম-ডিছকোর্ছের ফল, শাহাবাগের আগেও তেমনই আরেকটা ব্যাপার ঘটছিলো, শাহাবাগে বেশুমার মানুশের হাজিরা শেইখান থিকাই।

এই পর্বের শুরুটা ২০০৮ থিকা। পরথম আলো, ডেইলি এস্টার থিকা অনেকগুলা টিভি চ্যানেল আর কয়েকটা ব্লগ হর রোজ বেশুমার হিউম্যান এস্টোরি ছাপাইছে/দেখাইছে। তাতে খুন, রেপ, হিন্দুদের উপর টর্চার, আগুন দেবার কাহিনি এবং তাতে জামাত নেতারা কে কেমনে কি করছিলো, তার বয়ান হাজির করছে। ঐগুলা কতটা ঠিকভুল, তা জানার উপায় ততো নাই, ইউএনের তরফে একটা পাবলিক ইনভেস্টিগেশন ছাড়া ঐ ব্যাপারে কারো উপর ভরশা নাই আমার। কিন্তু খেয়াল করার ব্যাপার হইলো, ঐগুলা মোটামুটি জামাত নেতাদের কথাই কইতেছে, শেই ১৯৫ জনের কারো ব্যাপারে এস্টোরি হইতেছে না ঠিক! ব্যাপারটা ভাবেন; হলোকাস্টের বিচার হইতেছে ধরেন, তাতে মামলা করলো ছেরেফ বেইমান ইহুদিদের নামে, নাৎশি বাহিনির কেউ আশামি হইলো না, কয়েকজন বেইমান ইহুদির মাত্র ফাশি দিলো, ঐটারে কি আপনে হলোকাস্টের বিচার মানবেন? আমাদের পেপার বা টিভিতে তেমন ঘটনাই ঘটছে, নাৎশি লইয়া আলাপ নাই, ছেরেফ বেইমান ইহুদিদের কেন ঝুলানো দরকার, শেই আলাপ চলতেছে! কিন্তু ঐগুলাই কামিয়াব হইছে, বেশুমার মানুশের মগজ ধোলাই করছে, মনের ভিতর জখম গজাইছে তাদের, পোরতি দিন খোচাইয়া খোচাইয়া শেই জখম তাজা রাখছে, তারপর শাহাবাগে আজান পড়তেই তারাই হাজির হইছে ঐখানে।

ঐ নয়া এস্টোরি আর বয়ানগুলাও আশলে শেই ১৯৮৬ শালের পরের কেতাবাদিরই ইলাস্ট্রেটেড ভার্শন, আরো ইমোশনাল, ফিকশনাল মায়াকাহিনি। ফলে শেই একই মিছা ইতিহাশের কন্টিনুশন; ফলে তা আলবত এন্টি-মোছলমান, বাংগালি নেশনালিস্ট ভুয়া বয়ান।

তাই ‘শ্যামলা’ এরিয়ার মানে ছেরেফ এই জে, ঐ ইতিহাশ জে ভুয়া, শেই ব্যাপারে বেহুশ থাকা! আমি জেমনে পেলে/বেরাজিল ভক্ত তেমন একটা মগজধোলাই জে হইয়া আছি, শেইটা বুঝতে না পারা নাবালক হইয়া থাকা। বাংলাদেশ নামের রাশ্টের অস্তি আর তার নাগরিকদের উপর হওয়া জুলুমের বিচারে মর্মে একিন রাখা কেউ ঐখানে বেখেয়ালে হাজির হইতেই পারে, কিন্তু শে ঐ বাংগালি নেশনালিজম (ইছলামোফোবিয়া), বাকশাল, আওমি লিগের ফান্দে গোড়া থিকাই পইড়া আছেন, ইতিহাশের মিছা বয়ানের ব্যাপারে অবুঝ থাকার ভিতর দিয়া। ছো, শাহাবাগরে পরে জাইয়া আওমি লিগের দখল করার দরকার নাই, বরং ঐটা বাকশালের পেটের ভিতরেরই গুরগুর আওয়াজ! বরং একটু উল্টা ব্যাপারটা, শাহাবাগ জখন পারতেছিলো না, মাইর খাইতে নিছে, আওমি লিগ তখন নিজ নামে ডাইরেক নাইমা পোটেকশন দিছে শাহাবাগরে, কেননা, নিজের বাছুরেরে কে না স্নেহ করে…! দোয়া করি, এনাদের ভিতর জারা শৎ, বিবেকের কাছে কিলিয়ার থাকতে চাইবেন, তারা জেন আমার ঐ পয়েন্টগুলা লইয়া একটু ভাবেন, জেন রিভিউ কইরা শাচ্চা ইনছাফের রাস্তায় হাটতে পারেন, অন্নের পোরতি ইনছাফ এবং নিজের পোরতিও ইনছাফ করতে পারেন!

বাড়তি নোট: আরেকটা ব্যাপার আলাপে আনার ছবর হইলো না আর 🙁 ! মানে বাংগালি নেশনালিজম আর বাকশালের ঐশব ভুয়া বয়ানের অনেকগুলাই বহাল রাইখাও অনেকে শাহাবাগরে শন্দেহ করতে পারছেন, কিরিটিকেলি দেখতে পারছেন। ঐ ঘটনার পিছে শবচে বড়ো কারনের নাম তালাল আছাদ। তার লগে এডোয়ার্ড ছাইদের নামও কতক লওয়া জায়। পোবলেম হইলো, ওনারা দেশের ইতিহাশের লগে কানেকটেড হইতে পারেন নাই ততো, ওনারা ফেছিজম কইবেন, কিন্তু বাকশাল কইবেন না! আছাদ আপনারে একটা নজর বানাইয়া দেবে, আপনের দায়িত্ত হইলো, শেই নজর এস্তেমাল কইরা দেশের ইতিহাশরে এস্ট্রেইটেন করা, ছেরেফ টার্মিনোলজি আর আমেরিকান ইম্পেরিয়ালিজম আর মার্ক্স আর লালন বা বড়ো বাংলার ভাবুক হবার লোভের ফান্দে পইড়া না থাকা। নাহ্, আর থাক…

#রকমশাহেরবয়ান

//২৪-২৭ ছেপ্টেম্বর ২০২২

Series Navigationবেক্তি বনাম শমাজ বনাম রাশ্টো >>
The following two tabs change content below.
Avatar photo

রক মনু

কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →