Main menu

কেমনে উতরাই তালুকদারি ছিস্টেম

রাশ্টো মেরামতের একটা শমিতি আছে দেশে, মাঝে মাঝেই ফেছবুকে তাগো পোস্টে দেখি। তারা হুলাহুলি (মুভমেন্টকে বাংলায় হুলাহুলি কইতে চাই আমি) করতেছেন। এনারা বাদেও বহু লোক চিনি আমি বা পোস্ট দেখি অনেকের জারা ইংরাজের কলোনিয়াল (তালুকদারি কইতে চাই এইটারে) আইনকানুন বদলাবার তোড়জোর করেন পেরায়ই, মানে একটা আলাপ মাঝে মাঝেই ভাইশা ওঠে, এবং ওনারা মন থিকাই এইটা চান বইলা ভাবি আমি।

কিন্তু এনাদের আলাপে জেইটা পাই না আমি শেইটা হইলো, তালুকদারি আইন কইতে কি বুঝাইতেছেন ওনারা এবং বদলাইয়া কোনখানে জাইতে চান! মনে আশা আমার, ওনারা একদিন বদলি আইনের মুছাবিদা বানাইয়া হাজির করবেন জনতার দরবারে, কেমন ছিস্টেম বানাইতে চাইতেছেন তার নকশা পেশ করবেন! এইখানে কিছু ইশারা দিতে চাইতেছি আমি, এমনকি ভুলভাল হইতেও, বেশ পাতলা হইলেও ওনারা এই ব্যাপারে আরো জমাট আলাপ করবেন, শেই উশকানি ধরা জাইতে পারে আর কি!

শুরুতেই একটা তালুকদারি ছিস্টেমের মর্মটা বোঝা দরকার আমাদের; বাংলাদেশ জে একটা তালুকদারি ছিস্টেমে চলে, কোন কোন আলামত দিয়া শেইটা বুঝি আমরা? কেমনে বুঝাবো আমরা?

তালুকদারি ছিস্টেমের মর্ম হইলো, এইটা দেশের জনতারে নিজের দুশমন হিশাবে দেখে এবং তাই হরদম জনতারে কনটোলের ফিকির করতে থাকে। ব্যাপারটা কিলিয়ার করতে আরেকটা ছিস্টেমের লগে একটা তুলনা করতে চাই, শেই ছিস্টেমটা আমেরিকার।

কয়দিন আগে বাংলাদেশের র‍্যাব/আর্মির কয়েকজনের উপর আমেরিকার একটা ব্যানের খবরে পক্ষ-বিপক্ষের মনে তুফান উঠছিলো, এবং এখনো তার রেশ চলতেছে; বাকশালি রেজিমের গার্জেন আতেল-বয়াতিরা এখনো লেইখা জাইতেছেন জে, আমেরিকায় পুলিশের হাতে আরো বেশি খুন হয় এবং তার মানে হইলো, আমেরিকায় মানুশের হক আরো বেশি খারাপ দশায় আছে!

তো, এনারা তর্কটা করতেছেন নাম্বারের, এবং নাম্বার দেখাইয়া হিশাব মিলাইয়া ফেলতেছেন এবং এইভাবে দুইটা ছিস্টেমের তফাত গায়েব কইরা ফেলার মতলবে আছেন।

আমরা জদি ছিস্টেমে নজর দেই তাইলে দেখবো, বাংলাদেশে পুলিশ মানে একটা মাত্র বডি, তার শর্দার একজন, শেই শর্দার আবার পিএমের বহু কিছিমের লাঠিয়ালের একজন মাত্র। কিন্তু আমেরিকায় পুলিশ কইলে একটা বডি বুঝায় না, আমেরিকায় পুলিশ মানে কয়েক হাজার বডি এবং তার বসও হাজার হাজার এবং এই বসেরা আমেরিকার কন্সটিটুশন ছাড়া কারোই তাবেদার না!

বাস্তবে কন্সটিটুশনের তাবেদারি মানে আদালতের তাবেদারি, শেই আদালত আবার অনেকগুলা এবং তা পেছিডেনের হুকুমে চলে না, পেছিডেনের তেমন কোন এখতিয়ারই নাই পুলিশ বা আদালতে। বাংলাদেশে কাগজে আদালত একটা কন্সটিটুশনাল বডি হইলেও বাস্তবে বাজেট নামে আদালতের নাকে একটা লাগাম আছে জেইটা পিএমের হাতে, জজ বানায় শরকার, বাস্তবে আইন মিনিস্ট্রির পাওয়ার আদালতের উপরে; এতো উপরেও জাইতে হয় না, ছেরেফ ওয়াশা-ডেসা-টেলিকমুনিকেশন-শুয়ারেজ ম্যানেজমেন্ট দিয়াই আদালত ছাইজ করার ঘটনা দেখছি তো আমরা!

উল্টাদিকে, আমেরিকায় বাজেট পেছিডেনের হাতে না, ছিটি কর্পোরেশনের হাতে বাজেট করার এখতিয়ার আছে, ছিনেট আছে, কংগেরেস আছে; মেয়রের হাতে পুলিশ আছে, পোরতিটা এস্টেটের হাতে পুলিশ আছে, ফেডারাল পুলিশ আছে; কাউন্টি আছে, শেরিফ আছে। মেয়র আর শেরিফ আবার ডাইরেক ভোটে ইলেকটেড। এর কোনটাই কোনটার হাতে বান্ধা না! আমেরিকার কন্সটিটুশন আছে, পোরতিটা এস্টেটেরও কন্সটিটুশন আছে, ফেডারাল কন্সটিটুশন আবার এস্টেটের কন্সটিটুশনের এখতিয়ার মানতে বাদ্ধ। তেমনি আদালতও অনেকগুলা; এই হাজার হাজার বডি নিজেদের ভিতর হরদম টেনশনের ভিতর দিয়া আমেরিকার ছিস্টেমটা চালায়।

মোদ্দা কথা হইলো, বাংলাদেশে পাওয়ারে কোন টেনশন নাই, একটা ছেন্টার আছে, শকল রাস্তা জাইয়া শেই ছেন্টারে মেলে, শেই ছেন্টারে বইশা থাকেন আশল খেলোয়াড়, উনি খেলান আর শকল দপ্তর তার ইশারায় ময়দানে খেলতে থাকে।

তালুকদারি ছিস্টেমে জনতা জেহেতু দুশমন, জনতারে জেহেতু কনটোল কইরা ডাকাতি করাই তালুকদারের মনজিল, তাই পাওয়ারে টেনশন রাখার উপায় নাই, তাতে তালুকদার খোদা হইয়া উঠতে পারে না।

তাই বাংলাদেশে র‍্যাব/পুলিশ জখন খুন করে, শেইটা ঐ আশল খেলোয়াড়ের খুন এবং তা ঐ ছেন্টারের ছিকিউরিটির জন্নই করা হইতেছে। ওদিকে, জেই পুলিশ খুন করলো, তার কাছেই আপনের মামলা দিতে জাইতে হবে; পুলিশ-হোম মিনিস্ট্রি-আইন মিনিস্ট্রি-আদালত-পিএম এগুলা আলাদা করার উপায় নাই, আপনে জদি পুলিশের বিপক্ষে মামলা করেন, তা আখেরে পিএমের বিপক্ষে মামলা এবং তাই আপনে একটা হুমকি, আপনারে গুম করা দরকার ছেন্টারের এবং ছেন্টারের নিজের দরকারেই খুনি পুলিশকে ছেভ করা দরকার!

কিন্তু আমেরিকায় এইটা ঘটবে না; জে কারো বিপক্ষে আপনে কইতে পারবেন, রাস্তায় নামতে পারবেন, মামলা করতে পারবেন; জে কোন দপ্তর আরেকটা কোন দপ্তরের দুশমন, দুশমন দপ্তর আপনারে শেলটার দেবে।

ছিস্টেমে পাওয়ারের অনেকগুলা ছেন্টার না থাকলে জনতা ঐ শেলটার পাবে না। ছিস্টেমে জনতার (আশলে দুর্বলের) এই শেলটারের মওকা না রাখার ভিতর দিয়াই কোন একটা ছিস্টেম তালুকদারি ছিস্টেম হইয়া ওঠে।

পাওয়ারের ভিতর এই টেনশন থাকা না থাকা আখেরে ভাশায়/কালচারে/মানুশের বোঝাবুঝিতে বিরাট ফারাক তৈয়ার করে! জেমন দেখেন, বাংলাদেশে শরকারি পয়শা/জমি, শরকারি চাকর ইত্তাদি, আমেরিকায় পাবলিকের পয়শা, পাবলিক পার্ক/জমি, পাবলিকের চাকর; ঐ টেনশনটা না থাকলে বেক্তি আর চেয়ার আলাদা করা জায় না, ফারাক মুইছা জায় আলগোছে, দপ্তরের শর্দার/হেডের শার্থই দপ্তরের শার্থ হইয়া ওঠে, কেননা, জনতা এই দুইয়েরই দুশমন!

দুই দেশে মানুশের হক মারার ব্যাপারে এইখানে আরেকটু কই; মানে ব্যাপারটা কোনভাবেই নাম্বারের মামলা না, ব্যাপারটা হইলো, আপনের মাইয়া পুলিশের ধোনে/হাতে রেপ/খুন হইলে, আপনের পোলা/বাপ পুলিশের ধোনে/হাতে রেপ/খুন হইলে কোন ছিস্টেমে কি করতে পারেন আপনে। বাংলাদেশে রেপ কেস করতে জাইয়া থানায় আরো দুইবার রেপ ঘটতে পারে আরামেই, এই দেশে আদালত লামে র‍্যাবেরই একটা বেরাঞ্চ থাকতে পারে! কিন্তু আমেরিকায় আপনে ছিটি পুলিশের নামে আদালতে মামলা করতে পারেন, শেরিফের কাছে নালিশ করতে পারেন; ঐ পুলিশের আওতার পুরা বাইরে জাইয়া হুলাহুলি করতে পারেন, মিডিয়ায় জাইতে পারেন, ফেছবুকে লিখতে পারেন; এর কোনটাই ঐ পুলিশের শার্থ দেখার কারন নাই খুব, বরং নিজেদের ঝালও আপনার উছিলায় মিটতে পারে তাগো! পুলিশ আপনারে ধরলে হিউম্যান রাইটস কমিশন হাজির হবে, রিমান্ডে পুলিশ কি করে, তাতে নজরদারি করতে পুলিশের উপর ঝাল থাকা আরেকটা দপ্তর হাজির থাকবে। বাংলাদেশে এর কোনটাই পারেন না আপনে, বাংলাদেশে একটা নয়া আইন মানে ঘুশের একটা নয়া মওকা মাত্র, জুলুমের আরেকটা উছিলা।

আমেরিকায় পুলিশের হাতে খুন বা তাবত খুনাখুনি বুঝতেই আরেকটা জিনিশ মাথায় রাখতেই হবে আপনের! আমেরিকায় পাবলিকের হাতে বন্দুক আছে, আর্মস রাখায় পাবলিকের লিগাল এখতিয়ার আছে। ঐখানে পুলিশের ভিতর রেছিজম বিরাট এক ইশু এবং পাবলিকের হাতে আর্মস রাখার লিগাল মওকা থাকায় পুলিশ কতক বাড়তি শুবিধা পাইতে পারে। এইটা কনটোলেই হিমশিম খাইতেছে আমেরিকা, কিন্তু পাওয়ার/ছিস্টেমে ঐ টেনশনটা থাকার কারনে হরদম একটা নজরদারি বহাল আছে। কিন্তু বাংলাদেশে পুলিশের দিকে গুলি ছোড়া পুরাটাই বানানো, পাবলিকের হাতে বন্দুক নাই এইখানে, পাবলিক তো দুর, এইখানে কত কত পুলিশও হয়তো ঠিকঠাক গুলি করতে পারে না! মানে হইলো, আমেরিকায় ডিফেন্ড করতে জাইয়া গুলির ব্যাপারটা ২০{855ff4e32ca5c8db0719e8f837cd158afce0d103a8821dfb7d995472b79aa6d7} হইলেও ঘটা শম্ভব, বাংলাদেশে এই টাইপের পেরেশনোটের পুরাটাই ভুয়া!

পাবলিকের হাতে বন্দুক থাকার এই ব্যাপারটা আরেকটু বোঝা দরকার আমাদের; পাবলিকের এই এখতিয়ার কেন আছে আমেরিকায়? কারন, আমেরিকার জনতা কেবল ছিস্টেমে অত শব টেনশন থাকাতেই পুরা ভরশা করতে পারে নাই। বাস্তবে আদিতে ঐ ঘটনায় আমেরিকার এবরোজিনালদের খুন করার একটা জরুরতের ভাবনা গোপনে থাকলেও কেবল ঐ জরুরতের বাইরেও মামলা আছে।
ছিস্টেমে এতো এতো টেনশন থাকলেও কখনো জদি পাওয়ারের ছেন্টারগুলা একই দলের দখলে চইলা জায়, তখন একটা তালুকদারি ছিস্টেম হইয়া উঠতে পারে! শেই জালেম ছিস্টেমের জুলুম থিকা নিজেদের ডিফেন্ড করার এখতিয়া আছে পাবলিকে, এবং তা করতে পাবলিকের হাতে আর্মস দরকার আছে; এখনো জারা আমেরিকায় পাবলিকের হাতে আর্মস রাখার পক্ষে, তাগো ভাবনায় এইটা আছে।

রাশ্টের খমতায় টেনশন থাকার পরেও তালুকদারি ছিস্টেম জে হইয়া উঠতে পারে তার নজির পাইতেছেন ইনডিয়ায়; এস্টেট আর ফেডারাল (রাজ্জ আর লোকশভা), দুই গদিতেই বিজেপি বশছে পেরায় শবখানে, তাতে ঐ টেনশন নাই হইয়া জাইতেছে, ইনডিয়ার মিডিয়া আর আদালত অলরেডি দখলে নিছে বিজেপি, ইলেকশন কমিশনও নেবে নেবে দশায় আছে শম্ভবত; ছেন্টারে টেনশন কমার কারনেই কাশ্মিরের এখতিয়ার কমাইতে পারছে বিজেপি।

ইনডিয়া আর বাংলাদেশ, দুইটাই একই ইংরাজের কলোনিয়াল/তালুকদারি আইনের ওয়ারিশ, দুইটাই বিরিটেনের পার্লামেন্টারি ছিস্টেমে চলে, এখনো; তবু ইনডিয়ায় জেইটা হইতেছে এখন, পুরাপুরি হইতে পারে নাই আগে, বাংলাদেশে কেন শুরু থিকাই শেই তালুকদারি শাশন চলে? এই পোশ্নের জবাব ঐখানে, ঐ টেনশনে; বাংলাদেশে ১ টাই এস্টেট, ইনডিয়ায় অনেকগুলা; ইনডিয়ায়ও পুলিশের কয়েকটা বডি আছে, বাংলাদেশে একটাই; ইনডিয়ার রাজ্জ আর লোকশভার টেনশন আছে, বাংলাদেশে পার্লামেন্ট একটাই। ইনডিয়ার এস্টেটগুলা জেই পাটে অভিনয় করে ছিস্টেমে, বাংলাদেশে উপজেলা/জেলা/বিভাগগুলা শেইটা পারবে না; না পারার কারন হইলো, বাংলাদেশে ছেন্টারের বাইরে কারো হাতেই কোন পাওয়ার নাই, বাজেট করার খমতা নাই, শকল পয়শা বিরাট ১টা বয়ামে জমা হয়, কেবল ছিটি কর্পোরেশন আর ইউনিয়নগুলা কয়েকটা পয়শা হাতে লইতে পারে, কিন্তু পুলিশ থিকা এডুকেশন কোনটাতেই মেয়রের কোনই এখতিয়ার নাই, ফলে জনতারও নাই, তার উপর মেয়রকে জেকোন শময়ে বরখাস্ত করতে পারে শরকার।

একটা তালুকদারি ছিস্টেম এমনই হবার কথা এবং এইটা আরো বেশি ছেন্টাল হইয়া উঠতে থাকার কথা। শেইটারই আলামত হইলো, রাশ্টের শকল দপ্তর পাবলিকের নজরের বাইরে চইলা জাওয়া, পাবলিকের শকল এখতিয়ার নাই হইয়া জাওয়া; এইটাই আইনে পাইতেছেন আপনে: রাশ্টের কোন দপ্তরে আপনে ছবি তুলতে পারবেন না, অডিও-ভিডিও করতে পারবেন না, রাশ্ট আপনারে কোন দলিল দেখাইতে বাদ্ধ না; কেননা আপনে গোলাম, তালুকদারের উল্টাদিকে আপনে এক বেশুমার গোলাম। তাই খেয়াল করেন, বাংলাদেশে আর্মস লাইছেন্স আছে; কার আছে? জে জনতার দুশমন হইতে পারছে, তালুকদারি ছিস্টেমের শরিক হইতে পারছে, জনতার গোশ্শা থিকা বাচতে তার আর্মস দরকার, শে আর্মস লাইছেন্স পাবে।

তাইলে ভাবেন, একই ইংরাজের তালুকদারি আইনের ওয়ারিশ হবার পরেও ইনডিয়ায় এখনো পুরা তালুকদারি ছিস্টেম হইয়া উঠতে না পারার উল্টাদিকে বাংলাদেশ জে গোড়া থিকাই তালুকদারি ছিস্টেমে চলতেছে, এতে আন্দাজ করা জায় জে, কেবল দুয়েকটা আইন পাল্টাইয়া কাম হবে না, মনজিল হাছিল করা জাবে না! বিজেপির দখলের ঘটনা খেয়াল করলে বুঝবেন জে, ইনডিয়ার মতো একটা ছিস্টেম বানাইতে পারলেও মনজিল হাছিল হবে না।

১ নাম্বার চিন্তা হইলো, পাওয়ারে একটা টেকশই টেনশন কেমনে বানাবো আমরা? এই পার্লামেন্টারি ছিস্টেম বহাল রাইখা কন্সটিটুশন বা আইন বদলাইয়া জা কিছুই করেন না কেন, কাম হবে না। একদম গোড়া থিকা ভাবতে হবে; রাশ্টের মালিক জদি পাবলিক, শরকার-পুলিশ-আমলা-আর্মি জদি জনতার গোলাম, তাইলে রাশ্টের লগে, দপ্তরের লগে জনতার কোন ফ্যাছাদ নাই, কিন্তু মালিকের লগে গোলামের শার্থের ফ্যাছাদ আছে; পাবলিকের গোলামের লগে মালিকের, মানে পাবলিকের/জনতার ফ্যাছাদই রাশ্টের লগে জনতার ফ্যাছাদ হিশাবে হাজির হয়। এই কারনেই রাশ্টো এবং শরকার জুদা করতে পারা দরকার আমাদের চিন্তায়; এবং দুইটা জেন জুদা করতে পারি আমরা, শেই দরকারেই পাওয়ারে/ছিস্টেমে ঐ টেনশনটা বানানো দরকার; গদিনশিন বেক্তিরা আতাত করলেও দপ্তরে দপ্তরে জেই গোড়ার টেনশন শেইটার ভিতর দিয়া পাবলিক জেন তার গোলামদের কনটোল করতে পারে! এইটাই হইলো তালুকদার হইয়া ওঠা, তালুকদারি ছিস্টেম হইয়া ওঠা ঠেকাবার পলিটিকেল রেছিপি।

শুরুতেই আপনের দরকার ইলেকশন কনফাম করা। ইলেকশন মানে কাউকে গদিতে বশানো না, ঐটা কর্মিদের কাম, জনতার জন্ন ইলেকশন মানে দরকারে কাউকে নামাইতে পারা। শকল তালুকদারি ছিস্টেম তাই ইলেকশন ডরায়, ঠেকাইতে চায়।

কিন্তু ইলেকশন পয়লা কদম মাত্র; তালুকদারি ছিস্টেম থিকা বাইরাইতে আরো অনেক দুর হাটতে হবে!

ইলেকশনের ভিতর দিয়া কাউকে নামাইতে মোটামুটি ফেয়ার একটা ইলেকশন হইলেই হয়, বাংলাদেশে ধরেন ৮৫{855ff4e32ca5c8db0719e8f837cd158afce0d103a8821dfb7d995472b79aa6d7} ফেয়ার ইলেকশন দরকার। কিন্তু বাংলাদেশে মোটামুটি ফেয়ার ইলেকশন কেবল দেশের মানুশ আদায় করতে পারে না, গত ৫০ বছরে পারে নাই; বাংলাদেশে মোটামুটি ফেয়ার শকল ইলেকশন বহু বিদেশি শক্তির চাওয়ার কারনে হইছে, জনতার আদায় করতে পারা না ঐগুলা! জেইটা হইছে, জনতার হুলাহুলি একটা মাত্রায় চড়লে বিদেশি শক্তিগুলা তখনকার শরকারের লগে লেনদেনে নারাজ হইছে, হবার হুমকি দিছে। পাবলিকের হুলাহুলি গুরুত্ত এইখানে; ঠিক এই কারনেই বাকশাল বিএনপিরে দেশের কোথাও খাড়াইতে দেয় না, লাখ লাখ মামলা দিয়া হাজারে-লাখে জেলে ঢুকাইয়া রাখছে। দেশে জনতার হুলাহুলি না ঘটলে বিদেশি শক্তিগুলার গরজ হয় না!

কিন্তু গুম-খুন-মামলা-জেলেরও একটা মাত্রা আছে, ঐটা ছাড়াইলে আরেকটা ক্যাটেগরিতে চইলা জায় ব্যাপারটা। ধরেন, হিটলারের জার্মানিতে অপোজিশন বা ইহুদিরা জে হিটলারকে ঠেকাইতে পারলো না, শেইটা ইতিহাশের লোকেরা তাগো ফেইলুর হিশাবে দেখে না, বরং হিটলারের চরম নিঠুরিয়া খুনে জুলুম হিসাবে দেখে। বাংলাদেশ এখন জুলুমের দিক দিয়া হিটলারের জার্মানির ক্যাটেগরিতে চইলা গেছে। বিদেশি শক্তিরা তেমনটাই ভাবা শুরু করারই আলামত আমেরিকার ঐ ব্যান, শেই কারনেই বাকশাল ডরাইতেছে! ময়দানে এখন বিএনপি জদি অল্প অল্পও নামতে পারে, জুলুমটা জদি হালকা নজরে ধরা পড়ার মতো দশায় নিতে পারে বিএনপি তাইলেই ইলেকশন হবে! বিদেশি শক্তিরা বাকশালের লগে লেনদেন আরো কমাবে; কেবল চায়নার পয়শায় টিকতে পারবে না বাকশাল!

একটা ইলেকশন কনফাম হইলে, বাকশাল খেদাইতে পারলে আমাদের নজর দিতে হবে পরের ধাপে, ঐ টেনশন বানানির উপায় তালাশ করতে হবে।

এখনকার পার্লামেন্টারি ছিস্টেমের বদলে একদম উপরে আমাদের দুইটা ইলেকটেড পোস্ট দরকার। পেছিডেন আর পিএম, দুইটাই ডাইরেক ভোটে হবে; পেছিডেন হবে পপুলার/ডাইরেক ভোটে, পিএম হবে ডাইরেক ভোটে জেতা দলের এমপিদের ভিতর দিয়া।

তারপর রাশ্টের দপ্তরগুলা ভাগ কইরা ২ দুই জনের এখতিয়ারে রাখতে হবে। ভাগগুলা এমন: হিউম্যান রাইটস-অর্থ/পুলিশ, আর্মি/ডিপ্লয়মেন্ট, আদালতে জজ বানানি/ইমপিচমেন্ট, এন্টি-করাপশন/পোজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন; দুই ইলেকশন এক লগে হইতে পারবে না; ইলেকশন কমিশন অটোনোমাস, তার বাইরে মিনিমাম জেই ছুপারভিশন শেইটা ইলেকশন মোতাবেক অল্টারনেট কইরা দুই জনের এখতিয়ারে থাকবে। মেয়র-চেয়ারম্যান (পার্ছন)-পেছিডেন একদিকে, আর দিকে পার্লামেন্ট; পার্লামেন্টারি দলগুলা মেয়র কেন্ডিডেট দিতে পারবে, কিন্তু মেয়রেরা থাকবেন পেছিডেনের এখতিয়ারে। মেয়রের এখতিয়ারে লোকাল পুলিশ থাকবে, তার বাইরে এস্টেট/ছেন্টারের পুলিশ, ছেন্টারের পুলিশ মেয়র/চেয়ারপার্ছনের এলাকায় অপারেশনে জাইতে আদালত-হিউম্যান রাইটস কমিশন-এন্টিকরাপশন দপ্তরের এজাজত লইয়া জাবে। পয়শা লোকাল দপ্তরে থাকবে, বেক্তিদের ইনকাম ট্যাক্সও, ছেন্টার চলবে কর্পোরেট ট্যাক্স আর রেমিটেন্স দিয়া। জমি-জমা বেচাকেনার ব্যাপার লোকাল গভমেন্টের হাতে থাকবে। ডেভলাপমেন্ট পোজেক্ট বানাবে মেয়র-চেয়ারপার্ছনেরা, লোকাল পয়শায় না হইলে তারা পেছিডেনকে জানাবে, পেছিডেন আলোচনার জন্ন পার্লামেন্টে পাঠাবে, তারপর ডিছিশন নেবে পেছিডেন, কিন্তু পার্লামেন্টের হাতে থাকবে ভেটো পাওয়ার। শকল মামলা হবে আদালতে, আদালত পুলিশকে দরকারি হুকুম দেবে।

শকল শরকারি দপ্তর পাবলিকের নজরদারিতে থাকবে; শকল টেন্ডার, কেনাকাটা, নিলাম হবে ওপেন। পাবলিকের নজরের বাইরে পুলিশ কাউকে নিতে পারবে না; পুলিশ রিমান্ড হবে টেরান্সপারেন্ট কাচের পিছে, মিডিয়া/পাবলিক চাইলেই দেখতে পারবে। শকল দপ্তর থিকা জেলখানা, লাইভ-ইস্ট্রিমিং হবে, জে কেউ ছবি-অডিও-ভিডিও করতে পারবে। পার্লামেন্ট আইন বানাবে, কিন্তু শকল আইন গনভোটের ভিতর দিয়া পাশ করতে হবে, অন্তত ৬০{855ff4e32ca5c8db0719e8f837cd158afce0d103a8821dfb7d995472b79aa6d7} ভোট লাগবে। শকল জাতি-ধর্মের লোকেরা নিজেদের জন্ন আলাদা আইন চাইতে পারবে, পাবে, অছিয়ত করতে পারবে; কিন্তু জে কোন বেক্তি/নাগরিক জাতি-ধর্মের আইন, নাকি কমন আইনে ফয়ছালা চান, শেইটা বাছাই করার এখতিয়ার রাখবে। কোন অছিয়ত/উইল না রাইখা কেউ মরলে তার ধনদৌলত ইত্তাদির ফয়ছালা হবে কমন আইনে। মানুশের ছেক্সলাইফে ভ্যাট বশানো জাবে না, বিয়া এবং তালাক রেজিস্টেশন হবে ৫ টাকার ফর্মে, অনলাইনে থাকবে দলিল, নাগরিকেরা নিজে বাদে কেবল আদালত এবং হিউম্যান রাইটস দপ্তর দেখতে পারবে মানুশের পার্ছোনাল ইনফো।

ছো, তালুকদারি ছিস্টেম থিকা বাইরাবার একটা নকশা দিতে টেরাই করলাম আমি; গোড়ার থিয়োরিটা আশা করি বুঝতে পারতেছেন, এইটার ফাইনটিউনিং হইতে পারে, জুক্তিতে না মিললে রদবদল হইতে পারে। কিন্তু ছিস্টেমের ভিতর ঐ টেনশন বানাইতে না পারলে তালুকদারি ছিস্টেম থিকা মুক্তি নাই। এই ব্যাপারে জারা হুলাহুলি করতেছেন, জলশা-মিটিং-টকশো করেন, তারা নিজেদের পজিশন, ঠিক কি করতে চান, কেন করতে চান, শেইটা কিলিয়ার কাট হাজির করবেন জনতার দরবারে, শেই আশা থাকলো।

এলাহি ভরশা।

The following two tabs change content below.
Avatar photo

রক মনু

কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →