Main menu

বাংলাদেশে মাইয়াদের হালত

১.

হে মাইয়া শকল,

এইটাই আমাদের দেশ, এইটারে বাস্তব জাইনাই ডিছিশন লন – তাইলে কি করা জায়, কেমনে চলা জায়, কোনটায় ফায়দা বেশি, কোনটায় লোকশান!

আপনারা জানেন কি, দেশে এমন একটা রেপ কেছ পাইবেন না জেইটার শুনানিতে আশামির উকিল বারবার ঐ একই দাবি করে নাই জে, মাইয়া বেশ্যা? আপনে জিগাইতে পারেন জে, বেশ্যারে কি রেপ করা জায়? না। আইন মোতাবেক শেইটাও শমান রেপই, কিন্তু বাস্তবে বেশ্যা হিশাবে পোরমান করতে পারলেই রেপ আর রেপ থাকে না, শাজা কমতে কমতে খালাশও হইয়া জাইতে পারে! তাইলে ভাবেন, আপনাদের জন্য রাস্তাটা কত লম্বা–আইডিয়াল আইনের এমন একটা বাস্তব হালতে জাইতে হবে আমাদের, জেইখানে বেশ্যারে রেপও শমান রেপই, একই শাজা, অথচ আমাদের বাস্তব হালত এখনো এমন জে, জে কাউকে বেশ্যা ভাবা হইতে পারে, আমাদের উকিলরা জোর তদবির করতে থাকে, জে কাউকে বেশ্যা হিশাবে ভাবানো গেলেই রেপ ধরাই হইতেছে না আর!

এই জে ডাহা অবিচার, এইটা আবার খাড়াইয়া থাকে অন্য কতগুলা অবিচার আর ১০০% উল্টা জুক্তির উপর! কেমন? কোন মাইয়া জে বেশ্যা, শেই দাবির পক্ষে আলামত হিশাবে কি কি হাজির করে? মদ বা অন্য কোন নেশার শাক্ষি, ছবি তো বটেই, এমনকি ছিগারেট, এমনকি শন্ধার পর আন্ধারে ২টা পোলার লগে বইশা থাকার একটা ছবি! না, কাপড়চোপড় আউলা হবার দরকার নাই, চুমাচাট্টিরও দরকার নাই, ছেরেফ বইশা থাকা! ফেরেন্ড বা নাগরের লগে চ্যাট হিস্ট্রিও হইতে পারে, এমনকি আপনে কেমন খবর শেয়ার করেন ফেছবুকে, তাও হইতে পারে!

হ, এইখানেই আছি আমরা; জেই ফেরেন্ডের লগে বইলেন, শে-ই শাক্ষি হইতে পারে, খোদ তার কাছেই আপনে হয়তো একটা ‘মাল’, আপনে জখন মুততে গেলেন, শেই ফাকে আপনেরই লগের দুই পোলা একটা মাল হিশাবে আপনারে লইয়া আলাপ করতেছে! আর মাল তো ইয়ার-দোস্তদের লগে ভাগাভাগি কইরাই খায়! জারে আপনে ভালোবাশেন, শে হয়তো তার পোলা ছার্কেলের রাংগাচাংগা পোলাটা, তার দায়িত্ব মাল জোগাড় করা, তারপর ছার্কেল লইয়া ভাগাভাগি কইরা খাওয়া; শে জেহেতু মালটা জোগাড় করতেছে, তাই পয়লা রেপটা শে-ই করার হক রাখে, ছার্কেলের বোঝাপড়া এমনই! পরে রেপের মামলায় পড়লে আপনের নাগরের লগে আপনের ছবিই আপনারে বেশ্যা বানাবে!

হ, এই দেশেই আপনে আছেন, আমরা আছি। এইখানে মাইয়া লিডার পলিটিকেল বড় ভাইরে মাল ছাপ্লাই দেয়, রেপ করার মওকা বানাইয়া দিয়া বড়ো পোস্ট বাগায়।

এগুলা একদম মালুম না থাকলেই কেবল কতগুলা স্টেটমেন্ট দেবার খায়েশ হইতে পারে আপনার! ধরেন, মদের বোতল বা ছিগারেট ঠোটে লইয়া ছবি দিলেন ইন্সটায়, পোলা ফেরেন্ডের গলায় হাত দিয়া খাড়ানো ছবি দিয়া এস্মার্ট হিশাবে স্টেটমেন্ট দিলেন, রিকশায় পোলা ফেরেন্ডের ঠ্যাঙের চিপায় বইশা জাইতেছেন ৩ জন। এইশব অতি পুচকে ঘটনাগুলাই আপনে বিপদে পড়লে শেইটা বাড়াইয়া দেবে ১০০ গুন!

ছো, জাই করেন না কেন, স্টেটমেন্ট দেবার খায়েশটা ছাড়েন পিলিজ, এতো দেখাবার কিছু নাই তো! স্পেশালি জাদের দেখাইতেছেন, তারা পেরায় শবাই পারভার্ট, একটা পোলা হিশাবে এশিওর করতেছি আপনাদের, ট্রুলি পারভার্ট!

পিলিজ, ছবি তুইলেন না, তুলতে দিয়েন না, শেয়ার কইরেন না। বরং হিপোক্রিট হন, পারছোনাল রাখেন পেরায় শব, মানুশ চেনেন আরেকটু, ফুর্তি কামে করেন লাগলে, এক্সিবিশনটা মুলতবি রাখেন পিলিজ!

লগে ভাবেন, কেমনে আমরা এমন হইলাম! দুয়েকটা ক্লু দেই আমি! ধরেন, নাটক-ছিনামায় এমন বহু পোলা পাইবেন, জে খুব দুখি, দুখের কথা কইতেছে কাউকে, নিজের উপর জুলুমের কাহিনি জানাইতেছে, আর আনমনে বিড়ি খাইতেছে; এই বিড়িতে স্পেশাল কোন স্টেটমেন্ট নাই, নরমাল লাইফস্টাইলের পাট মাত্র! উল্টাদিকে ভাবেন, বাংলার মর্ডান আর্ট-কালচারে এমন কোন মাইয়া ক্যারেকটার পাইছেন কি, জে স্টেটমেন্ট দেবার দরকারের বাইরে খুবই নরমাল লাইফস্টাইলের পাট হিশাবে বিড়ি খাইতেছে? ছেরেফ পান খাওয়া মাইয়া ক্যারেকটারগুলার লগে তুলনা কইরা দেখতে পারেন। বখাটে মাইয়া দেখাবার উপায় হিশাবে ১ নাম্বারে থাকে ছিগারেট, কিন্তু পোলাদের পাইপ-চুরুট হইলো খান্দান।

অথচ ১০০ বছর আগে দেখেন, খান্দানি ভাতার-বউ একলগে হুকা-পান খাইতে পারতো আরামছে, এখনো গরিব মাইয়াদের ভিতর বিড়ি খাওয়া মাইয়া পাইবেন আকছার, জারা ইট ভাংগার ফাকে হয়তো পান-বিড়ি খাইতেছে উদাশ-কাহিল একটা হালতে! আপনাদের পেয়ারা রঠার দুই ক্যারেকটার তুলনা করেন তো–কিটি আর লাবন্য! পুরা বাংলা লিটারেচারের কোন ভালো মাইয়াটা বিড়ি খায় নরমালি? বরং মাইয়াদের খারাপি আর বখাটেপনা দেখাবার উপায় হিশাবে বিড়ি পাইবেন আকছার!

আর্ট-কালচারের কি জে হিউজ পাওয়ার! ছেরেফ নামের বেপারেই ভাবেন; আছিয়া নামের একটা এস্মার্ট মাইয়া দেখান লিটারেচার-ছিনামা-টিভিতে, পাইবেন না, শমাজেও পাইবেন না; আপনাদের কে নিজের মাইয়ার নাম রাখছেন আছিয়া? কেন রাখেন নাই? এমনকি নুরজাহান-দিলারা-রামি? আর্ট-কালচার এগুলার ইজ্জত খাইয়া দিছে, তাই শমাজেও আর নাই! আমার কথা না মানলে ভাবেন, জবাব দেন, ৭০/৮০ বছর আগেও তো আছিল এগুলা, কেন নাই আর? কেমনে নাই হইয়া জায়?

এইটা জদি করতে পারে, তাই বিড়িকে ডেমোনাইজ কেন করতে পারবে না!? আমাদের এই হালত থিকা জদি মুক্তি চান, তাইলে স্টেটমেন্ট কম কম দিয়া নরমাল লাইফস্টাইল হিশাবে হাজির করেন আর্টে, নো এরোগেন্স পিলিজ! আর্ট-কালচারে মানুশকে ভাবাইবেন একটা, আর দাবি করবেন উল্টাটা, কামিয়াব হইতে পারবেন না! কেননা, মানুশ ছবক লয়, মানুশ জা খায়, তাই উগড়ায়, এনিমেল ইন্সটিংক্ট ছাড়াইয়া ওঠে মানুশ শিখতে শিখতেই, শেইটা ভালোর দিকেও হইতে পারে, খারাপের দিকেও…

আপনাদের দরবারে,
রক মনু

//১৫ আগস্ট ২০২০

২.
কালকে কার জেন পোস্টে পড়লাম, হুমায়ুন আজাদের এক কাহিনিতে রেপ ভিকটিম মাইয়া গাভিন হইয়া একটা পোলা বিয়ায়, পরে নিজের পোলারে খুন করে, কাইটা টুকরা টুকরা কইরা ফালায়। শেই মামলা ওঠে আদালতে; মাইয়া আদালতে জেরায় জানায়, ৪ পোলা তারে রেপ করছিল, তাতেই গাভিন হইছে শে, শেই ৪ ‘শুয়ার’কে তো খুন করতে পারে নাই, তাই ‘শুয়ারের বাচ্চা’রে খুন করছে।

এইটা হইলেন ফিকশনের হুমায়ুন আজাদ। হয়তো এইটারেও উনি ফেমিনিস্ট ফিকশন হিশাবেই দাবি করতেন। আবছাভাবে মনে পড়ে সেলিনা হোসেনের এক কাহিনি, ঐটাতে মনে পড়ে, পাকিস্তান আর্মির রেপে গাভিন এক বাংগালি মাইয়া নিজের পেটে রাইফেল ঠেকাইয়া গুলি কইরা ছুইছাইড করে। শেই মাইয়াও তাইলে ‘শুয়ারের বাচ্চা’ই খুন করলো, শুয়ার খুন করতে না পাইরা।

তো, এই জে ফিকশন, ফিকশনের হুমায়ুন আজাদ, এই উনিই নকল হৌক বা জেমনেই হৌক ফেমিনিস্ট বই লিখছেন ২/৩টা, চিন্তার বই, কাহিনি টাইপের না। তাতে উনি পোলাদের দখলের বহু নজির দেখাইছেন, রঠা এবং আরো অনেকের কাহিনি ভাইংগা দেখাবার চেশ্টা করছেন। তাতে মাইয়াদের পেট থিকা বাইরানো বাচ্চা কেমনে বেদখল করলো পোলারা, শেই বেপারও কোন না কোন ভাবে আশছে আলোচনায়। ঠিক ঐ লোকই ফিকশনে দেখাইলেন–ঐ বাচ্চাটা ঐ মাইয়ার না আশলে, ও ছেরেফ ‘শুয়ারের বাচ্চা’!

না, আমি কন্ট্রাডিকশন দেখাইতে বশি নাই, আমি আরেকটু পিছের, আমার হিশাবে আরেকটু দরকারি একটা পোশ্ন করতে চাই: কোন হুমায়ুন আজাদ বেশি পাওয়ারফুল?

এই পোশ্নের জবাব তালাশে আরেকটা বেপার দিয়া শুরু করি; দুই কিছিমের লেখা, চিন্তা আর লজিক বনাম ফিকশন, পাঠকের মনে কোনটা কেমনে কাম করে? আমি ফিকশনের ঘটনারে দেখি এছথেটিক্স হিশাবে, আর চিন্তা-লজিকের লেখারে দেখি নিতিকথা টাইপের জিনিশ হিশাবে; দুইয়ের ভিতর এছথেটিক্স কাম করে ইন্টার্নাল/আনকনশাছ হিশাবে, আর নিতিকথা হইলো এক্সটার্নাল, কনশাছ ছেল্ফ, আইনের মতো কাম করে–মনের ভিতর থিকা আশতেছে না, রেশনাল হিশাবে চুরি করায় লছ, তাই হয়তো করতেছে না একজন। বেপারটা অনেকটা ধরেন আমার শুটকি খাইতে না পারার মতো, বা ফুটানো পানি দিয়া ধোয়া বদনায় পানি খাইতে একজন বিজ্ঞানমনস্কের আনইজি ফিল করার মতো; আমরা রেশনালি জানি নো পোবলেম, শুটকি ভালো বা বদনাটাও ঠিকাছে, কিন্তু খাইতে জাইয়া দেখি বমি আশে!
তাইলে মানুশের উপর কনটোল দুইভাবে কাম করে, এক্সটার্নাল একটা–নিতিকথা, লজিক, ধর্ম ইত্যাদি; আরেকটা ইন্টার্নাল–ফিকশনাল বা এছথেটিক্স!

আমার আন্দাজ হইলো, ফিকশনাল হুমায়ুন আজাদ পাওয়ারফুল; এছথেটিক্সের মামলা বাদেও এটা শমাজের পপুলার ভাবনারই রিপোডাকশন, করতেছেন আমাদের ‘পোরথাবিরোধি’ আব্বাজান! একজন মাইয়া তার বাচ্চারে ভালোবাশে, এইটারে কি পোলাদের বানাইয়া দেওয়া মাইয়াদের মনের কাম ভাবেন? তা না ভাবলে বুঝবেন জে, অমন দশায় ঐ বাচ্চারে খুন করাই বরং পোলা শমাজের ছাজেশন, মাইয়া করতে না চাইলে পোলারা/শমাজই খুনটা কইরা দেয়, আরেক হুমায়ুনের ‘নন্দিত নরকে’ মনে কইরা দেখতে পারেন।

এখন এছথেটিক্স বা ফিকশনের এই পাওয়ার মানলে পরে, এই দেশের বহু ছেক্টরে নজর দেন।

আমাদের পুরা কেলাছিক বাংলা লিটারেচার এবং তার কন্টিনুশনকে আমার ওভারঅল পার্ভার্ট লিটারেচার মনে হয়! আমাদের বাংলা এবং আরবি মিডিয়ামের বাচ্চারা হয় ঐ পার্ভার্ট লিটারেচার পড়ে, বা পড়েই না। পার্ভার্ট কইছি বইলা মাইন্ড করবেন অনেকেই; শুরু জেই দুই ফিকশনের কথা কইলাম, তা বাদেও রঠার শমাপ্তি গপ্পের কথা ভাবতে পারেন; ঐ কেচ্ছায় জেই এছথেটিক্স আপনের মনে ঢোকে তা আপনারে আশলে পেডোফাইল বানাইয়া তোলে! ভাবেন, একটা চনচল বাচ্চা মাইয়া দেইখা তার লগে শোয়ার পেলান করতে শুরু করেন! রঠা নিজের বউরে শাড়ে ১৩ বছরে গাভিন বানাইছে, নিজের মাইয়া ৮/৯ বছরে বিয়া দিছে, এক মাইয়া মরছেও বিয়ার পরে, ২০ পার হবার আগেই মনে হয়!

এনিওয়ে, এই লিটারেচারের এছথেটিক্স কেমন মানুশ দেবে আপনারে? এর চাইতে গেরামের অজানা মানুশের বানানো এক কেচ্ছা কই, দেখেন কত বেটার এছথেটিক্স দেয়:

“এক লোক তার চাচির কাছে জাইয়া তার দুঃখের কাহিনি কইতেছে; শোনেন চাচি আম্মা, আপনেই জেন আমার বউ; আপনারে কইলাম, জামা ধুইয়া রাখতে, আপনে ধুইলেন না! এখন কি করতে পারি আমি, আমি কি আপনের বাল ধইরা ঝুইলা পড়বো!”

এই কেচ্ছায় দেখেন, একটা বেকুব টাইপের লোক, চাচি আম্মারে কি কওয়া জায়, কি জায় না, শেই আক্কেল নাই; তার জামা তার বউয়ের ধোয়া উচিত মনে করার পরেও শিমাটা বোঝে, জামা ধোয় নাই বইলা বউরে ধইরা পিটাইতে পারে না শে, বাধ্য করতে পারে না বউরে, কেবল দুঃখই পাইতে পারে! কি মনে হয়, এই এছথেটিক্সের লোক কি বউরে রেপ করবার কথা? অন্য কাউকে?

তো, একদল আমাদের ঐ পার্ভার্ট কেলাছিক লিটারেচার পড়ে, ৮০% মনে হয় চটি বাদে কোন ফিকশনই পড়ে না; ফিকশনের ভিতর হয়তো বাংলা ছিনামা দেখে জেইখানে ইজ্জত হারানো এড়াইতে ছুইছাইড করে নায়িকা, নায়ক মানে গনধোলাই দেবার ছিস্টেম কইরা দেওয়া লোক, ভিলেনরে মবের হাতে তুইলা দেয়, গোল হইয়া শেই মব ভিলেনরে কিলাইতে থাকে!

আমাদের আরবি মিডিয়াম দেখেন; মাঝে মাঝেই আমরা নিউজ পাই বাচ্চাদের রেপের, খুনের; মশজিদে রেপের খবর পাই। মাদরাশায় বাইরের লোক ঢুইকা খোজখবর লইবার মওকা নাই; আগে ইশকুলে আছিল, এখন জেমনে চারপাশে ওয়াল তুইলা দুর্গ বানাইয়া তুলছে, ঢোকা জায় না আর! ইশকুল-মাদরাশার কমিটিগুলা বাচ্চাদের গার্জেনদের বদলে শরকারি লোকের বেদখলে!

আমাদের কেলাছিক/কলোনিয়াল লিটারেচার পার্ভার্ট, আর পুরানা শমাজের পুরানা, দেশি লিটারেচার আমরা ছোটলোকি, বেকুব, গাইয়া, হয় না ইত্যাদি নাম দিয়া ছুইয়াও দেখি না, বাচ্চাদের লগে পরিচয় ঘটতে দেই না। ইশকুল মাদরাশায় কত কত নিতিকথা পড়াই আমরা, শব এক্সটার্নাল হইয়া থাকে, মানুশ হিশাবে দরদের, পিরিতের, মায়ার, অন্যের হকের কোন এছথেটিক্স পয়দা করার ফিকশন পড়াই না আমরা; আমাদের ডাক্তারি মানে কাটাছেড়ার ছবক, হার্টলেছ মেকানিকাল, আমাদের আর্মি-পুলিশ মানে মাইরের-খুনের টেনিং। আমরা পাই কিশোর গ্যাঙ, এক বাচ্চা রেপ করে আরেক বাচ্চারে, র্যাগ ইত্যাদি।

ইংরাজি মিডিয়ামের এক্সপোজার বহু কিছুতেই হয়, খুবই খারাপ জেমন আছে, একটু গাইড করলে মাঝারি থিকা দরদি এছথেটিক্সের ছবক দেওয়া অতো কঠিন না। শব মিডিয়ামেই আমাদের বাপ-মা’রা অবশ্য এতো বেশি ছিজিপিএ-মশগুল, এগুলা ভাবার মওকা পান না তারা!

এই রেজিম একদিন থাকবে না, আমাদের বাচ্চারা থাকবে। এই রেজিমের কুনজর থিকা আমাদের বাচ্চাদের জদি না বাচাই, এরা জম্বি হইয়া উঠবে! এই রেজিমের গদি ধইরা রাখা বাদে কোন চিন্তা নাই, ডাকাতির পয়শাপাতি বিদেশে লইযা জাবে, নিজেরা থাকবে না এই দেশে; এরা দেশের মানুশকে নশ্টো কইরা ফেলতেছে, মায়া-দরদ-ইমানদারি-পিরিতিকে গায়ের জোরের চাইতে ইনফিরিয়র, পেরায় বেদরকারি গুন হিশাবে হরদম ছবক দিতেছে, তার ছিকিউরিটির জন্য গুন্ডা লাগে, খুনি-রেপিস্ট গুন্ডা, তাই বানাইতেছে তারা, শকল আয়োজনের আখেরি মনজিল শেইটাই ওনাদের! নিজের নিজের বাচ্চাদের বাচান, অন্যদের তো করবেই, এরা একদিন আপনারেও কম খুন করবে না।

#৯ অক্টোবর ২০২০

The following two tabs change content below.
Avatar photo

রক মনু

কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →