Main menu

গনতন্ত্রের বুনিয়াদি ঘাপলা

This entry is part [part not set] of 12 in the series রকম শাহ'র বয়ান

‘শাম্ম, মানবিক মর্জাদা আর ইনছাফ’, এই নিশান উড়াইতে তো দেখছেন আপনারা, নাকি? এই নিশান জারা উড়ায় তাগো বানানটা আমার থিকা একটু জুদা, তাই আমারটা অচেনা লাগতে পারে; তারা কন এমন: সাম্য, মানবিক মর্জাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার [আমার হরফে ‘য’ নাই বইলা ওনাদের ঢঙে লিখতে চাইয়াও ‘মর্জাদা’ লিখতে হইলো!]।

মানে হইলো, ওনারা এইগুলা চান; ভালো তো! আমি তো আবার ছিনিকেল বা ফুটাতালাশি, তাই এইটাতেও কিছু ঘাপলা দেখি আমি! কেমন? পড়েন নিচে।

বাংলায় দেখেন, ‘অবিচার’ মানে ইংরাজির ‘ইনজাস্টিস’, আর জাস্টিস হইলো ‘বিচার’, তাইলে বিচারের আগে ‘ন্যায়’ কেন লাগান ওনারা? খোদা মালুম! ওনাদের তরিকায় ভাবলে ‘বিচার’ অর্থ আশলে ‘অবিচার/ইনজাস্টিস’, তার উল্টা হইলো ‘ন্যায়বিচার’!

না, গেরামার/কানুন লইয়া আমার অতো মাথাব্যথা নাই, আমি আমজনতার বাংলার পোরতি ওনাদের নাক-ছিটকানির ব্যাপারটা দেখাইতে চাইতেছি; ‘দেশে বিচার-আচার নাই’, আমজনতার এই কথায় ওনারা হয়তো বোঝেন, ‘দেশ জাস্টিসে ভরা’ কইতেছে আমজনতা! ওদিকে, ইনছাফ শব্দে তো অনেক এলার্জি অনেকেরই!

আবার, ‘শামাজিক ন্যায়বিচার’ কেন কইতে হয়? জিনিশটা শমাজের বাইরেও কোথাও থাকার শম্ভাবনা দেইখা কি ওনারা জে শমাজের ইনছাফ/ন্যায়বিচারের কথা কইতেছেন, শেইটা জানান দিলেন!? আবারো, খোদা মালুম!

ওদিকে, শাম্ম/সাম্য/শমতা আর মানবিক মর্জাদা কেন লাগতেছে ঐ নিশানে! ওনাদের এই শাম্ম মনে হয় লিগাল নজর অর্থে ছেরেফ, মানে মার্ক্সের কাচি দিয়া ধনির ধনদৌলত ছাইটা শবাইরে শমান করার কথা কইতেছেন না মনে হয়। এখন কন তো, লিগাল শাম্ম আর মানবিক মর্জাদা বাদেও ‘ন্যায়বিচার/ইনছাফ কি হইতে পারে? মানে, আমরা কি এমনে কইতে পারি: অমুক শমাজে লিগাল শাম্ম বা মানবিক মর্জাদা নাই, কিন্তু বেশুমার ইনছাফ!? তা না পারলে দেখতেছি, ওনারা অতোগুলা শব্দে জা কইতে চাইতেছেন তা আশলে ‘ইনছাফ/ন্যায়বিচার’–এই একটা শব্দেই কইয়া ফেলা জায়! ওগুলা ইনছাফের শর্ত, নিশানা, ওগুলা নাই মানে ইনছাফও নাই!

কিন্তু এগুলার একদম বাইরে, আশল আফছোসের ব্যাপার হইলো, আমার এই আলাপটা হুদাই আলাপ, কেননা, ঐ নিশান উড়াইয়া ওনারা বিচার বা অবিচার বা শাম্ম বা মানবিক মর্জাদা–এগুলার কিছুই কইতেছেন না! ঐ নিশান উড়াইয়া ওনারা আশলে আওয়ামি/বাকশালরে একটা খবর দিতেছেন, জে, ‘আমরা মুক্তিজুদ্ধের পক্ষের লোক’! আর আমজনতারে খবর দিতেছেন জে, ‘আমরা কিন্তু বাকশাল না’! ভাইবা দেখেন, কতোটা মস্ত ধোকাবাজি! ঐ নিশান নাকি বাংলাদেশের মুক্তিজুদ্ধের ইশতেহার/এলানে আছিল; কিন্তু এইটা বাকশাল কয় না, হয়তো ‘জয় বাংলা’ কইয়া আর টাইম পায় না; তাইলে ‘শাম্ম, মানবিক মর্জাদা এবং শামাজিক ন্যায়বিচার’ কইয়া খুব আরামেই নিজেদের মুক্তিজুদ্ধের পক্ষের লোক দাবি করা গেল, বাকশাল না হবার দাবিও করা গেল!

ওহ্ ছরি, আমার এই লেখাটা পুতিন, রাশিয়া, ইউকেরেন ইত্তাদি লইয়া, অথচ কই কই ঘুরতেছি!

তবে, উপ্রের পুরাটাই বেহুদা আলাপ না, ইনছাফের আলাপ লাগবে আবার! কেন লাগবে? আরেকটা পোশ্ন দিয়া শেইটা বোঝার চেশ্টা চালাই একটু!

মানে, ছিভিলাইজেশন, ছিভিল, ছিভিলাইজড, শব্ভ–এই শব্দগুলা তো জানেন আপনারা, কিন্তু কারে কন ছিভিলাইজেন? ছিভিলাইজড পিপল কইলে কি বুঝবো আমরা?

বহু কিছিমের অর্থ পাইবেন ছিভিলাইজেশনের; ধরেন, ‘বুদ্ধির মুক্তি’ নামে একটা হুলাহুলি এক জামানায় ঢাকায় হইছিলো, ঐটা আশলে ছিভিলাইজড হইয়া ওঠারই কোশেশ আছিলো! বা ধরেন, বিগ্গান বা হুমায়ুন আজাদেরা জে ‘কুশংস্কার’, মদ্ধজুগ থিকা বাইরাইতে চাইছেন, ঐগুলাও ছিভিলাইজেশনের আলাপই! বা ধরেন, পিরামিড বা রোমান কংকিরিট বা মেছোপটেমিয়ার কুনিফর্ম লেখালেখি বা ১/২/৩ গুনতে পারা বা কাচা গোশত খাবার বদলে রাইন্ধা খাওয়া বা লিবারাল ডেমোক্রেসি–এগুলা শবই ছিভিলাইজড হবার কোশেশ, মানে ছিভিলাইজেশনের তারিফ বা ডেফিনিশনে এগুলা ধরে লোকে!

কিন্তু আমার বিবেচনায় ছিভিলাইজেশনের আলাপ আশলে ইনছাফের আলাপ! এখন ধরেন, আন্দামানে বা আমাজনে বা আফরিকায় এমন এমন শমাজ আছে জেইখানে ইনছাফের আলাপটাই বাতিল! মানে ইনছাফের আলাপ কেবল তখনই করা শম্ভব জখন জুলুম এবং গোলামির আইডিয়া পয়দা হইছে শমাজে! আর জুলুম এবং গোলামির লগে ডাইরেক রিশতা হইলো জমির পেরাইভেট মালিকানা, ছারপেলাস আর তার ডাকাতির; ঐ ডাকাতির জবাব দিতে পারে জনতা, তাই দরকার ‘ল এন্ড অর্ডার, এমনি কদমে কদমে আগাইয়া রাশ্টো তার ছুরত পায়। এর মানে আশলে এই জে, ইনছাফের আলাপ দুনিয়ায় রাশ্টো পয়দা হবার পরের আলাপ, জুলুম আর গোলামির ভিতর থাকা জনতা রাশ্টের লগে বলে না পাইরা ছিস্টেমের ভিতর দিয়াই গোলামি আর জুলুম মিনিমাম রাখতে চাইতেছে, ঐ চাওয়ারই থিয়োরেটিকেল চেহারাছুরতকেই আমরা হয়তো ইনছাফ হিশাবে চিনি! ওদিকে, রাশ্টোও ইতিহাশের কোন একটা পাটে ইনছাফের আইডিয়া নিজের ভিতর ঢুকাইয়া লইছে; লইছে কারন, এইটা দিয়া তার আদি বাশনা গোপন রাখার পাশাপাশি ইনছাফ ডেলিভারি দেবার বয়ানের ভিতর দিয়া নিজের লেজিটিমেছি দাবি করতে পারলো, জনতার এজাজত পাওয়া আরেকটু শোজা হইয়া উঠলো। রাশ্টের আগে জুলুম এবং গোলামির আইডিয়া এতোই মিনিমাল মনে হয় জে, ইনছাফের আলাপের দরকার খুব মালুম হয় না! মানে, কইতে চাইলাম, রাশ্টো পয়দা হবার পরে জুলুম আর মস্ত গোলামির ভিতর মানুশের থাকতে হইতেছে এবং এই জুলুম আর গোলামি থিকা আজাদির জেই লড়াই, তারই নাম ইনছাফের আলাপ এবং ঐটাই ছিভিলাইজেশনের আলাপ।

তাইলে জেই শমাজ-রাশ্টে ইনছাফ জতো বেশি শেই শমাজ-রাশ্টো ততো শব্ভ, ছিভিলাইজেশনের আর আর ইন্ডিকেটর বা মিটার ততো দরকারি না; দরকারি না কইলাম কারন, ঐগুলা একলা একলা হাজির হইয়া আখেরে ইনছাফের আলাপটাই পেরায় নাই কইরা দেয় [ধরেন ফিরিডম অব এক্সপেরেশন বা এলজিবিটি মুভমেন্ট]! ঐগুলারে বরং কখনো বা ইনছাফের মিটার ধরা জাইতে পারে।

এমনিতে জুলুম কিন্তু একটু গোলমেলে; ধরেন কইলাম, অমুক আপনের গরু খুন করছে, বেশ জুলুম জুলুম লাগলো; কিন্তু ঘটনা এই জে, আপনের মায়ের কুলখানিতে গরু জবাইয়ের দরকারি কামটা ঐ অমুক কইরা দিছে! কিন্তু ঐ অমুকই জদি আপনের গরু জবাই কইরা খাইয়া ফেলে, শেইটা তো জুলুমই! তাইলে প্যাচটা হইলো, আপনের কবুল করা বা না করার মামলা, আপনের দরকারে করলে তো বটেই, অন্তত আপনের কবুলিয়ত লইয়া করলো কিনা, শেইটাতেই ছাফ ছাফ বুঝতে পারতেছি, আপনের গরুটা জবাই করাটা জুলুম হইলো কিনা!

পুরা ব্যাপারটারে এমনে বোঝা জাইতে পারে: আপনের জিন্দেগির জতোগুলা দিক আছে, শেই দিকগুলায় আপনের কবুলিয়তের দাম জতো কম আপনের গোলামি ততো বেশি, মানে জুলুম ততো বেশি, ইনছাফ ততো কম। আপনে কই থাকবেন, কেমনে চলবেন, কি করবেন, কি খাইবেন–এই শব ব্যাপারে ধরেন আপনের কবুলিয়তের কোন মামলা নাই, রাশ্টের মোতোয়ালিরা তাদের খেয়ালখুশি মতো আপনারে চালাইতেছে, তার মানে আপনে তুমুল গোলামির ভিতর আছেন, কড়া জুলুম ঘটতেছে ঐ রাশ্টে।

তাইলে ছিভিলাইজেশন মানে আপনের ঐ গোলামি মিনিমাম করার দিকে জাইতে থাকার লড়াই। রাশ্টের শুরু থিকাই গোলামি আর কবুলিয়তের টেনশনের ভিতর দিয়া ছিভিলাইজেশনের ইতিহাশ হাটতেছে; কবুলিয়তের আইডিয়া মোটেই মর্ডান ঘটনা না, রাশ্টে কবুলিয়তের দাম কেবল লিবারাল ডেমোক্রেসির ঘটনা না, শেই পুরানা গিরিক-রোমান ডেমোক্রেসির ঘটনাও না কেবল!

এবং কবুলিয়ত এখনো পার্শিয়াল, ১৮ বছরের নিচের নাগরিকদের কবুলিয়ত লয় না ডেমোক্রেসিতে, মাইয়াদের কবুলিয়ত নেবার শুরুটা মাত্র ১০০ বছর আগের ঘটনা। তাইলে রাশ্টের শুরুতে কবুলিয়তের ব্যাপারটা কেমন আছিলো? পাকিস্তানে আইউব খানের বেছিক ডেমোক্রেসি ধরেন রাশ্টের শুরুর শেই কবুলিয়ত নেবারই আরেকটা টাইপ! আপনের গোত্রের হেড ধরেন আপনের হইয়া কবুলিয়ত দিতো [খোলাফায়ে রাশেদিনের টাইমে কবুলিয়তের ফর্ম আছিলো বায়াত লওয়া, আমার মতে ভোট শব্দটা আরবি বায়াত থিকাই আশছে], এখনো বংশের হেড হয়তো ডিছিশন লয়, তার ডিছিশন মোতাবেক ভোট দেয় বংশের লোক।

এই ভোট বা বায়াত আমার বিচারে কবুলিয়ত লওয়া; লিবারাল ডেমোক্রেসির আইডিয়াগুলার ব্যাপারে আমার আপত্তি আছে কতগুলা, আমি তাই ডেমোক্রেসির উকিল না ঠিক, আমার পলিটিকেল বয়ানের নাম ‘কবুলিয়তের শাশন’; এই নামে আমার একটা কেতাব আছে, তালাশ করলে পাইবেন।

দুই কথায় ব্যাপারটা এমন: জনতার শাশন কথাটা ভুয়া–এমনকি মেজরিটির শাশনও, শাশন কেবল কয়েকজন লোকেই করে; শাশনের জে কোন ছিস্টেম ভাড়াটে আতেল পালে, জারা নাগরিকদের মিছা কথায় ভজায়, কয়েকজনের শাশনকে নাগরিকদের শাশন হিশাবে জাহির করে, একটা মায়া পয়দা করে ডেমোক্রেটিক রাশ্টে। কিন্তু এইটার চাইতে মারাত্তক ব্যাপার হইলো, জনতা/মেজরিটির শাশন হইলেও শেইটা তো মাতবরি করতেই চাওয়া, এই অর্থে আগের বাদশাহি শাশনের মর্মেরই ছায়া পাওয়া জাইতেছে এইখানে; ওদিকে, শাশক হইতে চাওয়ারা মাতবরি তো করতেই চাইবে, কিন্তু আতেলদের পলিটিকেল থিয়োরি/বয়ান হবার কথা এমন জে, নাগরিকরা কেমন তরিকার শাশনে থাকতে চায়! জারা মাতবরি করতে চায়, তাদের চাওয়াটাই জদি হয় পলিটিকেল থিয়োরির মর্ম তাইলে তারা তো ঐ কয়েকজনের ভাড়াটে আতেল, নাগরিকদের দুশমন!

খ.

নেটোর ব্যাপারে দুনিয়ার দরবারে পুতিনের মস্ত নালিশ আছে; ইউকেরেনরে ফুশলাইছে নেটো, পুতিনের বরাতে রাশিয়ার আপত্তি পাত্তা না দিয়া আরো পুবে আগাইতেছে নেটো।

ইউকেরেনে পুতিনের হামলায় বরং খোলাশা হইলো জে, ইউকেরেন উল্টা নেটোরে ফুশলাইতেছিলো, তারে নেটোতে ঢুকাইতে! নেটোই বরং লয় নাই ইউকেরেনরে, পুতিনের আপত্তিরে বেশি বেশি পাত্তা দিছে!

রাশিয়ার লগে নেটো বর্ডার আছে কয়েকটা নেটো দেশের লগে রাশিয়ার বর্ডার থাকায়; এস্তোনিয়া, লাতভিয়া ইত্তাদি। এগুলা জখন নেটোতে ঢোকে, রাশিয়ার আপত্তি আছিলো তখন; এখনো আপত্তি আছে নেটোতে ছুইডেন, ফিনল্যান্ড বা ইউকেরেনের ঢোকায়। মানে হইলো, নেটোর লগে রাশিয়ার কোন বর্ডার চায় না রাশিয়া। ইউকেরেন বারবার ঢুকতে চাইবার পরেও নেটো জে তারে নিলো না, এতেই কিলিয়ার হইলো জে, নেটোও আশলে রাশিয়ার লগে বর্ডার রাখারে রিস্কি মনে করে। ওদিকে, রাশিয়ার দাবি জদিও এমন জে, নেটোই ফুশলায়, কিন্তু এস্তোনিয়া আর লাটভিয়ারে কি নেটো ফুশলাইছে, নাকি এই দেশ দুইটাই ঢুকতে চাইছে নেটোতে? ইউকেরেন মামলায় আন্দাজ করা জায় জে, ইউকেরেনের মতো এরাও ঢুকতে চাইছে নেটোতে! এখনো ফিনল্যান্ড আর ছুইডেনও নেটোতে ঢুকতে চায়। পোশ্ন হইলো কেন, এই দেশগুলা কার ডরে, কেন ঢুকতে চায় নেটোতে?

ইউকেরেনে খেয়াল করেন, রাশিয়ার পুতুল শরকার আছিলো গদিতে, ইউকেরেনের জনতা তারে খেদাইছে, উনি এখন রাশিয়ার শেলটারে। বেলারুশে জেমন পুতিন ডাইরেক মদদ দিয়া লুকাশেংকোরে গদিতে রাখছে, তেমন ছিস্টেম করতে চাইছিলো ইউকেরেনেও। একই ঘটনা পাইবেন কাজাখস্তানে। ইউকেরেনে পারে নাই পুতিন। তার ফল হইলো পুতিনের কিরিমিয়া দখল। ইউকেরেনের পুবের দিকের আরো কতকটা মনে হয় আখেরে দখলে নেবে পুতিন।

ফলে জিনিশটা ছিম্পল। এস্তোনিয়া বা লাটভিয়া বা ইউকেরেন বা ফিনল্যান্ড বা ছুইডেন নিজ নিজ দেশে একেকজন লুকাশেংকো চায় না, তেমন কিছু রাশিয়া করবে, শেই ডরেই এরা নেটোর শেলটার চায়। নেটো দেশগুলার ভিতর কেবল তুর্কিতেই এরদোয়ান আছে পুতিনের তরিকায় দেশ চালায় এবং নেটো শেইটা চায় না।

কিন্তু আরেকটা দিক দিয়াও ভাবা দরকার আমাদের। নেটো ইরাক বা আফগানিস্তানে হামলা চালাইয়া লাখ লাখ খুন করছে, তবু কিন্তু নেটোরে ঠিক ইম্পেরিয়াল এলায়েন্স হিশাবে দেখতেছে না লোকে, এমনকি ইউকেরেনে পুতিনের হামলায় পুতিনের পক্ষ লওয়া বাংলাদেশিরাও! মুখে জদিও পেরায়ই তেমনটা কয়, অথচ তেমনে দেখে না, একটা ডিফেন্সিভ এলায়েন্স হিশাবেই দেখে! কেমনে?

খেয়াল করেন, পুতিন/রাশিয়া ইউকেরেন দখল করতে পারে, শেই ডরে ইউকেরেন নেটোতে ঢুকতে চায়; কিন্তু নেটোরেও ডরায় কি ইউকেরেন? এই পয়েন্টে কোন আলাপ নাই! ধরেন, পোল্যান্ড বা জার্মানি জদি ইউকেরেন দখলে নিতে চায়, শেইটা কে ঠেকাবে? নেটো-আমেরিকার ইম্পেরিয়ালিজমের আলাপে কেন ইউকেরেন বা ফিনল্যান্ড দখল করতে পারে নেটো, এইটা পুরাই গড়হাজির?

পুতিন কইবে, আমি বাচাবো তোমারে, আমার কোলে ওঠো! কিন্তু ভাবেন, পুতিন-রাশিয়ার হাত থিকা বাচাইতে পারে নেটো, নেটোর হাত থিকা বাচাইতে পারে রাশিয়া, কোনটার দাম কতো? রাশিয়ার কোলে উইঠা নেটোর হাত থিকা বাচার দাম হইলো একজন লুকাশেংকোর শাশন, জিনি গদিতে থাকতে হাজার হাজার ছিটিজেন খুন করতে পারে, জেলে নিতে পারে, ইলেকশনরে একটা ফালতু জিনিশ হিসাবে ফালাইয়া দিতে পারে, জিনি ছিটিজেনদের বিলিয়ন ডলার ডাকাতি করবে, জনতা কিছুই করতে পারবে না, রাস্তায় নামলে গুলি করবে রাশিয়ার বন্দুক! নিজের বর্ডারে পুতিন কোন ইলেকশনই বরদাশত করতে নারাজ, কেননা, শেইটা বাশিয়ায় পুতিনের বাকশালের জন্ন হুমকি! তাই ইউকেরেনে হামলা পুতিনের জন্ন মাস্ট, নেটোর ফুশলানি আদৌ দরকার নাই তাতে! আমি আন্দাজ করি, ছুইডেনে পুতিন জদি কোন বাম লুকাশেংকো বশাইয়া দেয় গদিতে, দুনিয়ার বামেরা তারে বেশ ছাপোর্টও দেবে! এমনকি ইরাক-ইরান-আফগান-বাংলাদেশে আমেরিকান ইম্পেরিয়ালিজমের কিরিটিকরা তাতে ছাপোর্ট দেবে।

আর নেটোরে দিয়া পুতিনের হাত থিকা বাচার দাম কতো? এতোই কম জে, টেরাম্প কইছিলো–মাগনা ছিকিউরিটি দিতেছে আমেরিকা, ইউরোপের দেশগুলার কাছে পয়শা চাইতেছিলো শে। ওদিকে, নেটোর ছিকিউরিটির দুইটা লেয়ার আছে! ধরেন, ইউকেরেন ঢুকলো নেটোতে, তারপর হাংগেরি হামলা করলো ইউকেরেনে, কে কি করবে তখন? রাশিয়া তখন মদদ দিতে পারে ইউকেরেনরে, আবার বাকি নেটো দেশগুলাও হাংগেরির লগে জুদ্ধে নামবে, নেটোর দুই দেশের জুদ্ধ লাগলে হামলাকারি দেশের লগে জুদ্ধে জাবে বাকিরা, ভিকটিম দেশের পক্ষে! তখন বরং রাশিয়াই হাংগেরিরে মদদ দিতে পারে, নেটোরে শায়েস্তা করতে! কিন্তু নেটোর বাইরের কোন দেশে নেটোর কোন মেম্বার হামলা করলে নেটোর কিছু করার নাই, বাকি দেশগুলা ঐ হামলার বিপক্ষে থাকলেও কিছু করার নাই! তাইলে নেটো কেবল রাশিয়ার থিকা ছিকিউরিটি দেয় না, বাকি নেটো দেশগুলার থিকাও ছিকিউরিটি দিতেছে!

গ.

কিন্তু পলিটিকেল ইকোনমির এই আলাপের বাইরে আমাদের আবার ফিরতে হবে ফিলোসফিকেল আলাপে। এই জামানায় দুনিয়ার ইতিহাশ খেয়াল করলে আমরা দেখতে পাই, ডেমোকেরেছি আছে তেমন দেশগুলা নিজের ছিটিজেনদের লুকাশেংকো বা পুতিন বা বাংলাদেশের বাকশালের মতো গুম-খুন করে না ঠিকই, কিন্তু বিদেশে মিলিয়ন মিলিয়ন খুন করতেছে! ইরাক-আফগানিস্তান-ইয়েমেন বাদেও ইজরাইল একটা ডেমোকেরেটিক দেশ, কিন্তু শেইটা ফিলিস্তিনে খুন-হামলা ঠেকাইতেছে না আদৌ! এমনকি ইনডিয়ায় নিজের দেশেরই মাইনোরিটির উপর তুমুল হামলা জারি থাকতে পারতেছে! খোদ জেলেনস্কি, জিনি ইউকেরেনে ৭৩% ভোটে ইলেকটেড, শে ইজরাইলের পক্ষ নিছে, ফিলিস্তিনিদের উপর লাগাতার হামলার ব্যাপারে!

এর মানে হইলো, ডেমোকেরেছি নামে আমরা জারে চিনি তাতে কোন বুনিয়াদি গলদ আছে! এইটা খুবই হুশিয়ার আক্কেল দিয়া বিচার করা দরকার আমাদের। এই গলদের কারনেই, আমার হিশাবে, বহু চেনা বাংলাদেশি বাদেও দুনিয়ার বহু মানুশই ইউকেরেনে পুতিনের হামলায় মজলুমের পক্ষ নিতে চাইতেছে না এবং তাতে কোন এথিকেল ডিলেমাতেও পড়তেছে না! ব্যাপারটা হয়তো ঠিক তাও না, তারা মজলুমই চিনতে পারতেছে না! ঐ গলদের কারনেই হয়তো দুনিয়ায় মজলুম চেনার নজরই ঝাপশা হইয়া গেছে অনেকটা! এর লগে আরেক ইশু আনতে হয়; ছেরেফ দুই কথায় কই, পুরানা কোন লেখায় আরেকটু বেশি কথায় কইছিলাম: ফেরেন্চ ফিলোসফি টুরুথ বা শত্ত জিনিশটারেই ঝাপশা বানাইয়া দিছে, তার আখেরি ফল হইছে এই জে, মানুশের মরন অনেকের কাছেই আর মরনের ইজ্জতই পায় না, আশলেই কি মরে মানুশ! একটা গুলি জদি তোমার বুকে ঢুকলো, ঐটা তো তোমার ভার্শন, বন্দুকের ভার্শন আছে, বন্দুকঅলার ভার্শন আছে, ঐ জে উপরে উড়তেছিলো একটা চিল (আমার ভার্শন, নাকি ও খাগদোন নদির শারশ!), ঐ চিলের ভার্শন আছে, বহু কিছুই আছে, ছেরেফ টুরুথ নাই বা বেখবর, জানার উপায় নাই কোন, খোদ মানুশই মেটাফিজিক্স।

তো, তাইলে গনতন্ত্রের বুনিয়াদি গলদটা কেমন হইতে পারে?

গনতন্ত্রের আছিলো ইনছাফের কছম, আর শব পলিটিকেল ছিস্টেমের উল্টা দিকে গনতন্ত্রের নিশান ডাকতেছিলো মানুশকে, ইনছাফ দেবে শে; ইনছাফ দিতে পারে না রাজা, ফিউডালিজম বা শৈরাচার বা অলিগার্কি বা টেরাইবাল শাশন, অন্তত গনতন্ত্র জতোটা পারে তার ধারেকাছেও কেউ নাই! আর শকল শাশক নিজেরে খোদা ভাবে, আর কোন শাশকের আমলনামার উপর দুনিয়াবি বিচারের উপায় নাই, উল্টাদিকে গনতন্ত্রে শাশক মানে জনতার খাদেম, তার আমলনামা মোতাবেক বিচার করার খমতা এবং এখতিয়ার আছে জনতার। তাই গনতন্ত্র মানে মজলুমের বিচার পাবার শবচে কম খারাপ ছিস্টেম!

এখন ভাবেন, শবচে বেশি জুলুমের শিকার হবার শম্ভাবনা কার? ইনছাফ শবচে বেশি কার দরকার, কার ইনছাফ পাওয়া শবচে কঠিন? দুর্বল। তাইলে শমাজের শবচে দুর্বল জে, তার পক্ষে থাকার কথা গনতন্ত্র নামের ছিস্টেমের। এবং তা জদি দেশের ভিতরে হয়, দেশের ছিটিজেনদের ব্যাপারে হয়, দেশের বাইরে কি আর কিছু হবার কথা? না তো!

তাইলে কেমনে হইলো এমন ঘাপলা!? এমন ঘাপলা হইতে পারলো কারন, গনতন্ত্র তার কছমের লগে বেইমানি করছে; জেই বয়ান দিয়া লেজিটিমেছি পাইছিলো শে, শেই বয়ানে আর ফেইথফুল থাকে নাই। অথবা ফিউডালিজমের রিয়েকশন হিশাবে খাড়াইতে খাড়াইতে খোদ নিজের বয়ানটারে মজবুত গাথুনি দেবার টাইম পায় নাই!

বাদশাহি পলিটিকেল ছিস্টেমের লজিক আছিলো শক্তিমানের শাশন; ফিউডালিজমে শক্তির লগে জোগ হইছিলো খান্দান, আখেরে শেইটাও শক্তিই। এগুলা খেদাইয়া গনতন্ত্র কি দুর্বলের শাশন কায়েম করলো? না। থিয়োরেটিকেলি গনতন্ত্র আশলে কইতেছে জে, শাশক মাত্রই পছন্দ না করার মতো একটা জিনিশ! কিন্তু রাশ্টো তো আছে, শাশন আছে, তাইলে শাশকও থাকবে। কিন্তু শাশক জেহেতু নেছেছারিলি/জরুর নাপছন্দের জিনিশ–নেছেছারি ইভিল, তাই শাশকরে জতোটা শম্ভব বাইন্ধা রাখতে হবে! শাশকের আমলনামার বিচার আর ইলেকশন হইলো শাশকরে ঐ বাইন্ধা রাখা। ইলেকশন মানে তাইলে কাউকে গদিতে বশানোর কশরত না, বরং কাউকে গদি থিকা নামানোর বা কাউকে গদিতে বইতে না দেবার লড়াই। পাট্টির মেম্বাররা তো বশাইতেই চায়, চাইবে, কিন্তু আমজনতার জন্ন ঘটনাটা উল্টা। তার মানে হইলো, পাট্টির মেম্বাররা ভোট দেয়, কিন্তু আমজনতা ছেরেফ কবুল করে, এজাজত দেয় মাত্র।

শাশকরে জনতার নাপছন্দ জদি গনতন্ত্রের ডিফল্ট হিশাবে শামনে রাখতো আতেল-বয়াতি-আর্টিশরা, তাইলে শাশকের ফিকির হইতো রাশ্টের শবচে দুর্বলের কবুলিয়ত আদায়, তারে রাজি-খুশি করার ধান্দা, শবচে দুর্বলের জন্ন ইনছাফ আদায় করার আর কোন রাস্তা নাই।

কিন্তু এর বদলে গনতন্ত্র আশলে আরেক শক্তিমানের শাশন হইয়া উঠছে; তফাত এই জে, বাদশাহি ছিস্টেমে শক্তিমান হইলো বাদশা, আর আমরা জেই গনতন্ত্র দেখি, তাতে শক্তিমান হইলো জনতা! আবার এই জনতা মানে আলবত মেজরিটি, কখনো নেশনালিটি, কখনো ধর্ম ইত্তাদির বয়ান দিয়া মেজরিটি পাওয়া জাইতেছে আরামেই, তাই শবচে দুর্বলের কোন কোন দরকারই নাই এইখানে! তাই এই তরিকার গনতন্ত্রের আখেরি মনজিল হইয়া পড়ে পপুলিজম। খেয়াল করলে দেখবেন, ব্যাপারটার ভিতর বায়োলজিকেল ইভলুশন আর নেচারাল ছিলেকশনের একটা নিঠুরিয়া কায়কারবার চলতে থাকে, দুর্বলের জন্ন একমাত্র রাস্তা থাকলো ছেরেফ নাই হইয়া জাওয়া!

পলিটিকেল ফিলোসফির এই গোড়ার ব্যাপারটা দিয়া ভাবেন, শক্তিমানের শাশনই জদি বহাল থাকে, দুর্বলের এজাজত জদি বেহুদা জিনিশ হইয়া ওঠে গনতন্ত্রে, জিবজগতের নেচারাল ছিলেকশনই জদি মানবশমাজে জায়েজ ধরি আমরা, তাইলে গনতন্ত্রের ভিতর দিয়াই আপনে কাশ্মির বা ফিলিস্তিন বা ইয়েমেন ঘটাইতে পারেন আলগোছে, ঐ গনতন্ত্রের লগে ফিলিস্তিনিদের খেদাইয়া দেওয়া মোটেই খাপছাড়া লাগে না তখন! আর তখনই দেখেন, ইনছাফ কায়েমের কছম খাওয়া গনতন্ত্র খোদ নিজেই জুলুমের কারখানা হইয়া ওঠে! এই ব্যাপারটারেই কইলাম, গনতন্ত্রের বুনিয়াদি গলদ। শক্তিমানের আর মেজরিটির শাশনের আইডিয়া থিকা বাইরাইতে না পারলে গনতন্ত্রের ঐ বুনিয়াদি ঘাপলা থিকা মুক্তির উপায় নাই!

ঘ.

ইলেকশন পছন্দ করে না, দুনিয়ায় এমন বহু মানুশ তো আছেই, পাওয়ারফুল বয়ানও আছে। আর ইলেকশনঅলা গনতন্ত্র জদি অমন জুলুমই করে আদতে, দুর্বলের ইনছাফের হক না মানে, তাই লুকাশেংকো বা পুতিনে কি ঝামেলা? এনাদের লগে ইলেকটেড জেলেনস্কির এমন কি আর তফাত পাইলাম আমরা! অন্তত নিজের দেশের ছিটিজেন জে ততো খুন করে না, ছেরেফ এই তফাতটাই কাফি আশলে!

কিন্তু আরেকটা দিক দিয়া ভাবি আমি ব্যাপারটা। বাস্তবে ঘটনা হইলো, ইলেকশন নাই, এমন কোন কালেকটিভ নাই দুনিয়ায়! ইলেকশন কেবল একটা ফর্মেই ঘটে না। চায়নায় বা তালেবানের আফগানিস্তানে কি ইলেকশন নাই? আলবত আছে; লুকাশেংকো বা পুতিন বা এরদোয়ানের তুর্কিতে ইলেকশন আছেই! চায়নায় ধরেন কেবল পাট্টিমেম্বাররা ভোট দেয়, তালেবানেও ইলেকশন আছে, ঐখানেও পাট্টির মেম্বাররাই কেবল ভোটার! লুকাশেংকো বা পুতিনের গ্যাঙের মেম্বাররা ভোটার, তাদের কবুলিয়ত অথবা ভোটেই ডিছিশন লন ওনারা এবং এই ভোটারদের পাওয়ার একটু কম, কেননা, ওনারা পুতিন বা লুকাশেংকোরে গদি থিকা নামাবার এখতিয়ার রাখে না, ঐ শর্তেই ওনারা ঐ গ্যাঙের মেম্বার।

ইতিহাশের শকল জামানায় ইলেকশন আছিলো, শেই টেরাইবাল ছিস্টেম থিকা বাদশাহি ছিস্টেম, তফাত হইলো, ইলেকশন ছিস্টেমে আর ভোটার কারা, তাতে। কেবল অতি খেয়ালি কিছু রাজা আছিলো হয়তো, জারা দরবারের কারো ভোট বা কবুলিয়তের তোয়াক্কা করতো না, তারা কয়েকদিনের ভিতর মরছে!

শবাই ভোটার আছিলো না বইলাই জে তারে ইলেকশন কইবেন না, তার উপায় নাই; কেননা, দুনিয়ায় তাইলে কোন ইলেকশনই নাই! এখনো ১৮ বছরের নিচের কেউ ভোটার হইতে পারতেছে না, এই ৪৫ বছর আগেও পর্তুগালে ভোট দিতে পারতো না মাইয়ারা!

মর্ডান জামানায়, পাকিস্তানে আইউব খান একদম ফর্মালি বাদশাহি ছিস্টেমের ইলেকশন চালু করছিলো মোটামুটি, তার বেছিক গনতন্ত্রে। তাইলে চায়না বা পুতিন বা তালেবানরা জে ইলেকশন করে না, এইটার অর্থ কি? অর্থ ছেরেফ এই জে, ঐ ঐ ছিস্টেমে শাবালক ছিটিজেনদের বেশির ভাগের ভোট দেবার হক মানে না ওনারা, আর কিছু না। তালেবানরা ইলেকশন লাইক করে না মানে হইলো, তার পাট্টি মেম্বার না হইলে আপনে ভোট দিতে পারবেন না, মানুশের কবুলিয়ত দেওয়া বা না দেবার হক মানে না তারা।

ঙ.

আমাদের তাইলে একটা বটমলাইনে একমত হবার চেশ্টা করা দরকার। আমার হিশাবে ঐ বটমলাইনের নাম ইনছাফ, মানুশের শমাজের মনজিল হইলো, শবচে দুর্বলের পাওনা ইনছাফের হক বুঝাইয়া দেওয়া। দুনিয়ার শকল থিয়োরি-পলিটিকেল চিন্তা, ধর্মের ছেন্টারে ইনছাফ আছে, এমনকি পেলেটোর টুরুথের শাশনও আখেরে ইনছাফের দাবিই করে, কেননা, টুরুথ ছাড়া ইনছাফ কায়েম হইতে পারে না; ফেরেন্চ ফিলোসফি টুরুথের জেই ভার্শনের কথা কয়, তার পিছেও তো আছে টুরুথকে আরো নিখুত বোঝাবুঝির বাশনা!

শবচে দুর্বলের পাওনা ইনছাফ বুঝাইয়া দিতে হইলে পলিটিকেল ছিস্টেমে শবচে দামি জিনিশ বানাইয়া তুলতে হবে শবচে দুর্বলের কবুলিয়তকে! কেননা, কবুলিয়তের অভাবেই জুলুমের শুরু, জুলুমের শুরু মানেই মানুশের গোলামি বাড়তে থাকা, এবং গোলামি আর ইনছাফ রিশতা উল্টা, গোলামি জতো বেশি, ইনছাফ ততো কম। এমনকি আরো দুরে ভাবা দরকার আমাদের, মানুশের শমাজের আখেরি মনজিল কেবল মানুশের শিমানায় খতম হয় না, মানুশের শমাজের আখেরি মনজিল হইলো, তাবত মাকলুকাতের জন্নই ইনছাফ কায়েম করা, একটা শুখি বা দুখি কুত্তাও কুত্তা তো বটেই, মানুশের মনেও শুখ বা দুক্খের উছিলা হইতে পারে!

আমাদের আরো খেয়াল রাখা দরকার জে, কবুলিয়ত কোন শোজা মামলা না। জেমন, প্যারেন্টিং আর জুলুমের শিমানা ঠিক করতে হবে আমাদের, তালিম দেওয়া কি জুলুম? বাচ্চাদের রাজি-খুশি করাইয়া তালিম দিবো, নাকি নাবালকের কবুলিয়তের কোন দাম নাই? খেয়াল করেন, নাবালকের কবুলিয়তের কোন দাম না দিয়া তারে খোদ কবুলিয়তের দামের ছবক/তালিম কি আদৌ দেওয়া শম্ভব? আরো কত কি! হাশপাতাল জেলখানার লিমিট ফয়ছালা করতে হবে আমাদের; একজন ছুইছাইডাল মানুশের কবুলিয়তের দাম কতোটা?

দুনিয়ার তাবত শাবালক, আক্কেল পয়দা হওয়া শকল মানুশের কবুলিয়তের দাম দেওয়া থিকাই এতো এতো পিছাইয়া থাকি, জেলখানা বা নাবালক বা হাশপাতালের লিমিট লইয়া কবে ভাবার টাইম পাবো আমরা? আর কবে আমরা মানুশ উতরাইয়া তাবত মাকলুকাতের শুখ-দুক্খ লইয়া ভাববো!

//রকমশাহেরবয়ান, ৭-৩১ মার্চ ২০২২

Series Navigationবেক্তি বনাম শমাজ বনাম রাশ্টো >>
The following two tabs change content below.
Avatar photo

রক মনু

কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →