Main menu

ছুপারহিউম্যান

মার্ভেল এভেন্জারর্স। হাল্ক, থর, আয়রনম্যান, এস্পাইডারম্যান, অ্যান্টম্যান, ওয়ান্ডার ওম্যান, বেলাক উইডো, ক্যাপ্টেন আমেরিকা, বেলাক প্যানথার, অ্যাকোয়াম্যান, আরো অনেকে। ডিজনি, ইউনিভার্ছাল, ছনি। হলিউডে ছুপারহিউম্যান ক্যারেক্টার বহুত, কোম্পানিও কয়েকটা, তার ভিতর আবার একটা আরেকটারে কেনে, বেচে, কত কি কাহিনি!

জনরা হিশাবে এইগুলা অনেকেই লাইক করে না, বাচ্চাদের ছিনামা মনে করে অনেকে, অনেকে ধুম-ধারাক্কা মারামারিতে বিরক্ত।

কিন্তু জনরা ইত্তাদির বাইরে দুয়েকটা ব্যাপার একটু ভাবতে কইবো আমি। লগে কিছু তুলনার ভিতর দিয়াও কয়েকটা শম্ভাবনার ইশারা দিতে চাই!

অনেক ডিটেইল না পইড়াই আমার একটা আন্দাজ দিয়া শুরু করি! হলিউডের এই ঘটনাগুলার লগে দুইটা জিনিশের খুবই ঘন রিশতা দেখতে পাই আমি; একটা হইলো, গিরিক মিথোলজি এবং আরেকটা হইলো নিৎশের ছুপারহিউম্যান!

ইউরোপ অফিশিয়ালি খিরিস্টান হইলো ৩০০ শালের পরে, তার আগে ইউরোপের ধর্ম মানে গিরিক মিথোলজি; ইব্রাহিমি ধর্ম লইয়া ইহুদিরা অনেক আগেই হয়তো ইউরোপে গেছে, রোমানরাও জেরুজালেম দখল করছে অনেক আগেই, কিন্তু ইহুদি ধর্মটা অনেকটাই এথনিক মেম্বারশিপের মামলা, নাইলে ইউরোপ হয়তো খিরিস্টান হবার বদলে ইহুদি হইতো!

তো, খিরিস্টান হবার পরে জিউসরা বেকার হইয়া পড়লো, ধর্ম থিকা ছেরেফ মিথোলজি হইয়া থাকতে হইলো ইউরোপের প্যাগান ধর্মরে!

এদিকে, অনেকগুলা লোকাল ইউরোপিয়ান ভাশায় বাইবেল তরজমা হইতে থাকলো ১২/১৩শ শাল থিকা, ছাপাখানা গজাইলো, তার পরের ইউরোপে, রেনেছার পরে, ছাইন্স, লজিক, ফিলোজফির তুমুল জোয়ারে খিরিস্টানদের ভিতর পোটেস্ট্যান্ট তো হইছেই অনেকে, আরো বেশি ছড়াইছে হিউম্যানিজম। একটাই অভাব আছিলো, ধর্মের কছমোলজির হিউম্যানিস্ট অল্টারনেটিভ এবং শেইটার পাটাতন বানাইয়া দিলো ডারউইন। এই হিউম্যানিজমের আখেরি ফল হিশাবে ইতিহাশে ছুপারহিউম্যান আশবারই কথা! কেবল ছুপারহিউম্যানের নয়া আইডিয়া না, পুরানা মিথোলজির অনেকেও তাদের ডিভিনিটি বা আছমানি কুদরত হারাইয়া মানুশ হইয়া পড়লো! কিন্তু তাদের ফিচার তো মানুশের তুলনায় বড়ো, তাই তাদের ভিতর হিউম্যানিজম পাইয়া গেল ছুপারহিউম্যানের নজরকাড়া ছুরত! জেমন ধরতে পারেন একিলিছের কথা!

তবু হিউম্যানিজম মেটাফিজিকেল থাইকা জাইতেছিলো, ঐ মেটাফিজিক্স থিকা হিউম্যানিজমের শাচ্চা নাজাত ঘটে নিৎশের হাতে! নিৎশের মানুশেরা দুইটা ক্যাটেগরির, পুচকে মানুশ আর ছুপারহিউম্যান, নিৎশের কাছে ‘বিবেক’ হইলো পুচকে দুর্বলের হাতিয়ার, ছুপারহিউম্যানকে বন্দি কইরা রাখার পায়তারা, বিবেক মানুশকে মেটাফিজিকেল বানাইয়া রাখে এবং নিৎশে হইলেন পুচকে দুর্বলের ঐ হাতিয়ার থিকা মানুশের শাচ্চা নাজাত বা মুক্তির নবি! নেচারাল ছিলেকশনরে মানুশের বিবেকের হাত থিকা মুক্তি দিতে চাইছেন নিৎশে, দুনিয়ায় কেবল শেরা মানুশ পয়দা করতে চাইছেন, দুর্বলেরা নিৎশের কাছে বেহুদা আবর্জনা। ইউরোপে জেছাসকে রিপ্লেছ করতে চাইছেন নিৎশে, হিউম্যানিজম নামের ধর্মের নবি হইলেন নিৎশে, আর তার বদলা লইতে খিরিস্টান ইউরোপ লিবারালিজমের ছুরতের তলে লুকাইয়া নিৎশেরে পাগল বানাইয়া দিছে।

মার্ক্স আছিলেন আরেক হিউম্যানিস্ট, উনি নিৎশের উল্টা হইয়া ধর্মরে (ধর্মই নিৎশের বিচারে বিবেক) পাওয়ারফুলের হাতিয়ার হিশাবে দেখছেন, তাই মার্ক্সেও বিবেক বেহুদা জিনিশ (দেশি মার্ক্সিস্টদের পুরাই উল্টা!)। মার্ক্সে ছাইন্টিফিক পোছেস আছে একটা, ডায়ালেক্টিক্সের ভিতর দিয়া একটা কেয়ামত হবার কথা জানাইছেন উনি, শেই কেয়ামতের পরে দুনিয়ার ইতিহাশে বেহেস্ত কায়েম হবে।

নিৎশের মেটাফিজিক্সের লগে মার্ক্স মোটামুটি একমতই তাইলে, দুই জনেই তাই হিউম্যানিজমের নবি। মার্ক্সও জে বিবেক জিনিশটা বেহুদা হিসাবে দেখছেন, শেইটা মার্ক্সিস্টরা শিকার না করলেও বাস্তব পেরাকটিছে ঐটা খুবই আছে! আজকের চিনে উইঘুর মোছলমানদের ফার্মের মানুশ বানাবার পোজেক্ট ঘটতেই পারতো না, মার্ক্সের ঐ এজাজত ছাড়া! বা এস্টালিনও আশলে একজন শাচ্চা মার্ক্সিস্টই আছিলেন, খুনে এনাদের কোন পোবলেম হয় না, ইভোলুশন আর নেচারাল ছিলেকশনের কলে ঐভাবেই মানুশ পয়দা এবং ছাইজ হবার কথা মার্ক্সের খোয়াব মোতাবেক, শাচ্চা ছাইন্টিফিক পোছেস, ইতিহাশের গতি আলবত বেদরদি! মার্ক্সিজমের বহু ফেনার নিচে এই বেদরদি হিউম্যানিজম লুকাইয়া আছে বইলাই নিৎশে আর মার্ক্সের একটা গোপন খাতির আছে, ঐ ফেনার কারনে অতো নজরে পড়ে না জেইটা!

এখন, লিবারাল দুনিয়া দেখেন, তারা খুবই হিউম্যানিস্ট, বিগ বাঙ থিয়োরি তাগো আখেরি মুশকিলও আছান কইরা দিছে, কিন্তু তারা নিউম্যানিজমের রাস্তা পুরাটা হাটবে না, তারা নিৎশে বা মার্ক্সকে নবি মানতে নারাজ, অতোটা হিউম্যানিস্ট হবে না তারা! এই নারাজি তাদের শামনে আরেকটা নয়া মুশকিল বা প্যারাডক্স হাজির করে বা নয়া গাড্ডায় পড়তে হয় তাদের [এই প্যারাডক্স লইয়া আরেকটা চাপ্টারে আমার আলাপ পাইবেন]!

লিবারাল দুনিয়ার এই মুশকিলটাই আছান করায় নজর দিছে হলিউড এবং নিৎশের পেরেশার উতরাইতে তারা গিরিক মিথোলজিতে শওয়ার হইয়া নিৎশের ছুপার হিউম্যান বানাইছে, বাট উইথ বিবেক! এভেন্জাররা হইলেন শেই ছুপার হিউম্যান, কিন্তু নিৎশের মুরিদ হইতে জেহেতু নারাজ, তাই নিৎশেরে খুবই গোপনও করতে হয়! বরং নিৎশেরে তারা ভিলেন বানাইছে উল্টা, এভেন্জার্স ছিনামাগুলার ভিলেনরাই নিৎশের আশল ছুপার হিউম্যান, জেমন থানোছ, হাল্কের লগে তার তফাত কি? তফাত হইলো ঐ বিবেক ছেরেফ! হিউম্যানিজমে ইনফেক্টেড মানুশের আখেরি মনজিল নিৎশের দরবারে জাওয়া ঠেকাইতে হলিউডের ভিতর দিয়া লিবারাল ছিস্টেম এই দাওয়া হাজির করছে।

এই ঘটনার ভিতর থিয়োরেটিকেল একটা ধোকাবাজি আছে আলবত, কিন্তু ঘটনা হিশাবে এইটা অতো খারাপ না, এমনকি ভালোই! এই ঘটনা আশলে ঐ প্যারাডক্সের জেই ফ্যাটাল আছর, শেইটারে ঠেকনা দিয়া রাখতেছে, ফলে জতোটা ফ্যাটাল হইতে পারতো, ততোটা হইতে পারে নাই।

ছেরেফ ঠেকনা দেওয়া না, হলিউডের এই ছুপার হিউম্যানদের ভিতর দিয়া লিবারাল দুনিয়া তার কিছু ছোশিও-পলিটিকেল মুশকিলের নিদান বা দাওয়া বাইর করাতেও মন দিছে।

খেয়াল করেন, হলিউডে ছুপার হিউম্যান শুরু হইছিলো শাদা মানুশ দিয়া, কিন্তু এখন আমরা শাদা, কালা, হিস্পানিক, মংগোলয়েড, ইনডিয়ান, ছেমিটিক, নেটিভ আমেরিকান টাইপের ছুপার হিউম্যান পাইতেছি; কেবল পোলা ছুপার হিউম্যান থিকা এখন মাইয়াও পাইতেছি। এখনো শবাই মনে হয় হেটারোছেক্সুয়াল, আগামিতে হিজড়া, বাই-ছেক্সুয়াল, কুইয়ার – এমন মানুশও দেখতে পাবার শম্ভাবনা আছে। খিরিস্টান হোয়াইট হেটারোছেক্সুয়াল পোলার লিবারাল দুনিয়া আর শব জেন্ডার, রেছ, ধর্ম, কালচার, আইডি একোমোডেট করতেছে ধিরে। শাদা দুনিয়ায় হাজার বছরের রেছিজম, জেনোফোবিয়া থিকা বাইরাইতে এই ছুপার হিউম্যানরা রাস্তা দেখাইতেছে। ভিলেনেরও কনছেপ্চুয়াল চেইন্জ আশছে; কোন ভিলেন হয় এক্সট্রাটেরিস্ট্রিয়াল, এমনকি একজন এনভায়রনমেন্টালিস্টও ভিলেন হইতে পারে, এমনকি ভালো কেউ, জিনি ছেরেফ এক্সট্রিম মেজার নিতে চায় দুনিয়া মেরামতে, আগামির ভালো দুনিয়া বানাইতে এখনকার মানুশকে বেদরদি কোরবানি দিতে চায়–এমন লোকও ভিলেন হিশাবে পাইতেছি আমরা। এইভাবে, দোস্তি আর দুশমনির নয়া মডেল হাজির কইরা পুরানা নকশারে ঢাইকা দিতেছে নয়া নয়া রঙে।

ছোশিও-পলিটিকেল চেইন্জে ছিনামা হইলো দুনিয়ার শবচে বড়ো এজেন্ট, এই দিক দিয়া হিশাব করলে ছিনামাই দুনিয়ার শবচে পাওয়ারফুল আর্ট, আর কোন আর্ট ছিনামার মাপে কামিয়াব হয় নাই। মাত্র ১০০ বছর আগেও আমেরিকায় মাইয়ারা প্যান্ট পরতে পারতো না, এই ১০০ বছরে মাইয়াদের পোশাকের ব্যাপারে আমেরিকায় জতোটা বদল হইছে, আগের ২০০০ বছরে দুনিয়ায় তা হয় নাই! মানে টেকনোলজিকেল ব্যাপার না, পোশাকের ব্যাপারে মানুশের ভাবনা আর কি! বা রেছিজম, ছেক্সুয়ালিটির ব্যাপারেও ভাবা জায়।

এই বদলের এজেন্ট হইলো ছিনামা, হলিউডের কথাই কইতে হয় ১ নাম্বারে। মানুশের কালেকটিভ ভাবনার ব্যাপারে দুইটা জিনিশ খেয়াল রাখা দরকার আমাদের। ১ নাম্বার হইলো, রিপ্রোডাকশন; মানে ধরেন, কোন একটা ভাবনা জদি ‘ভালগার’ হিশাবে দেখানো জায়, এবং এই দেখানোটা জদি খুব পাওয়ারফুল হয়, শমাজের পোরতিটা তলায় পৌছায়, তাইলে ঐ ভাবনাটা লোকে ভাবতেছে ঠিকই, কিন্তু তার মেনিফেস্টেশন এতো কম হবে জে, বাচ্চারা ঐটার ছবক পাবে না, তাই শিখবেও না; তার মানে ১ টা জেনারেশন পরেই ভাবনাটা পেরায় নাই হইয়া জাবে!

২ নাম্বারে হইলো, মনের ভিতর পুরানা ভাবনার উপরে ধুলা বা রঙ পইড়া ছেরেফ ঢাইকা জাওয়া। জেমন ধরেন, বাংলাদেশে জেই মানুশজন ১০ বছর আগে ওয়ার কেরাইমের বিচার লইয়া হরদম ছোশাল ডিছকোর্ছে বিজি থাকতো, শেই লোকগুলাই এখন পদ্দা বিরিজ লইয়া একই মাত্রায় বিজি! বা জেই লোকগুলা ১৯৪৭ শালের আগে পাকিস্তানের জন্ন হুলাহুলি করলো, শেই তারাই কয়েক বছরের ভিতর বাংগালি নেশনালিস্ট হইয়া উঠতে থাকলো! মানে হইলো, পুরানা ভাবনা আছে এখনো মনে, কিন্তু ঢাইকা গেছে, শেই ভাবনা এনাদের আর দোলাইতেছে না; ওয়ার কেরাইমের বিচার খতম হয় নাই মোটেই, কিন্তু শেই ভাবনায় আর দোলে না তাদের মন!

এই দুইটা কামই শবচে ভালো পারে ছিনামা; কেতাবের বেলায় হরফ চিনতে হয়, পড়তে পারতে হয়, অডিওর বেলায় কান থাকতে হয়, শবখানে পৌছাইতে হয় এইগুলার, কিন্তু ছিনামার বেলায় হরফ বা এমনকি কানের লিমিটেশনও উতরানো শোজা, ছিনামা হল আর বাশায়, চায়ের দোকানে টেলিভিশনের ভিতর দিয়া ছিনামা শমাজের একদম কোনায় কোনায় হাজির হইতে পারে! ছিনামা তাই পলিটিকেল পোপাগান্ডা থিকা ছোশিও-কালচারাল মেরামত বা ভাংচুরে শবচে কামিয়াব হইছে গত ১০০ বছরে। এবং হলিউড তাই ছিনামা দিয়া ছেরেফ আমেরিকার মুশকিলগুলার আছান করতেছে না বরং দুনিয়ায় একটা হোমোজেনাইজেশন পোজেক্ট চালাইতেছে! এইটা আবার মোকাবেলার একটা তদবিরও চলতেছে দুনিয়ায়, শেইটা চায়না বা বলিউড বা কোরিয়ান ছিনামা টেরাই করতেছে।

তো, হলিউড জেমনে গিরিক মিথ, হিউম্যানিজম বা নিৎশে দিয়া হালের মুশকিলগুলা মোকাবেলা করার তদবির করতেছে, তেমনটা হইতে পারতো ইনডিয়ার বলিউডেও! গিরিক মিথের মতোই হিন্দুস্তানি মিথ আছে, আমরা ঐগুলারে হিন্দু মিথ কইতে পারি, শংস্কৃত মিথও কইতে পারি; জেই নামেই ডাকি, রামায়ন-মহাভারতের মস্ত পোটেনশিয়াল আছে, আছিলো। আবার লাইলি-মজনু, ছোরাব-রুস্তম, চান শদাগর, ৭ ভাই চম্পা–এমন মিথগুলাও এখন মোগল হিন্দুস্তানের শিমানার ভিতরের ঘটনাই। বলিউড চাইলে এগুলারে এই জামানার মুশকিলগুলা মোকাবেলায় এস্তেমাল করতে পারতো।

আজকে রাম হইতে পারতেন একটা আরেক কিছিমের নায়ক, বউরে আগুনে ফালাইতে নারাজ হওয়ায় তার দরবারি এলিটের কন্সপিরেছি উতরাইয়া উনি আরেকবার ইনছাফের নিশান উড়াইতে পারতেন, লংকা হইতে পারতো এক্সট্রা-টেরিস্ট্রিয়াল কোন গোরোহ। হিন্দুস্তানে মাইয়া বাচ্চা খুন কইরা ফেলার জেই শামাজিক অশুখ তার নিদান হইয়া উঠতে পারতো হালনাগাদ রামায়নের কাহিনি!

তেমনি মহাভারত হইতে পারতো আজকের বিজেপির পোজেক্টের একদম উল্টা! মহাভারতের ভিতর দিয়া জাতপাত, রেছিজম, ধর্ম ইশুতে মারামারি ইত্তাদি মোকাবেলায় এস্তেমাল করা জাইতো মহাভারত! হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, মোছলমান, খিরিস্টান শবার ভিতর থিকাই মহাভারতের কোন না কোন নায়ক বাইরাইতে পারতো; দুইটা মোর্চার জুদ্ধ, দুই মোর্চাতেই হিন্দু আছে, মোছলমান আছে, শিখ-বৌদ্ধ-খিরিস্টান আছে, বামুন আছে, শুদ্র, খত্রিয় আছে; আমার একটা আন্দাজ এমন–গেম অব থ্রোনসের ভিতর মহাভারতের কোন একটা ছায়া আছে!

মহাভারত এখন হইতে পারতো আমেরিকার ছিভিল ওয়ারের মতো একটা ঘটনার কাহিনি, অমন একটা জুদ্ধের ভিতর দিয়া হিন্দুস্তান একটা ফেডারেল রিপাবলিক হইয়া উঠতে পারতো।

মানে হইলো, জেই মিথ এখন শমাজের ভিতরের হাজারো দুশমনি উতরাইয়া মানুশের গোলামি কমাইতে পারতো, ইনছাফ কায়েমের দিকে কদমে কদমে হাটাইতে পারতো, শেইটা এখন হিন্দুস্তানে দুশমনি আরো বাড়াবার কামে এস্তেমাল করতেছে বলিউড। হাজার বছর ধইরা জেইটা শমাজে মিথ হিশাবেই আছিলো, তারে এখন লিখিত ইতিহাশ হিশাবে পড়াইতেছে বিজেপি, শেই আগুনে হাওয়া দিতেছে বলিউড, পুরা বলিউড হইয়া উঠতেছে বিজেপি ডিছকোর্ছের ময়দান! টেরেলার দেইখা মনে হইলো, রনবির কাপুরের লেটেস্ট ছিনামা ‘শিবা’য়ও বিজেপি ডিছকোর্ছ আরেকটু মজবুত হবে!

এইটা বেশ চিন্তার ব্যাপার জে, হলিউডকে টক্কর দিতে হিন্দুস্তানের লিবারালরা জখন পোস্ট-কলোনিয়ালিজম করে, তার ছুরতও অবিকল বিজেপি ডিছকোর্ছের মতোই হয় বাস্তবে!

The following two tabs change content below.
Avatar photo

রক মনু

কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →