Main menu

উইনস্টন চার্চিলের লেকচার: হাল ছাইড়ো না, নেভার, নেভার, নেভার (১৯৪১)

উইন্সটন চার্চিল ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন— দুই মেয়াদে, একবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে (১৯৪০-১৯৪৫), দ্বিতীয়বার শীতল যুদ্ধের সময়ে (১৯৫১-১৯৫৫)। চার্চিলের পলিটিকাল ক্যারিয়ার খুবই মিক্সড ন্যাচারের ছিল, একবার তিনি কনজারভেটিভে ছিলেন, আরেকবার তিনি লেবার পার্টিতে ছিলেন, পরে আবার কনজারভেটিভে ফেরত আসেন। একবার চ্যান্সেলরের হয়ে এক্সচেকারের ভূমিকা পালন করছেন, ফার্স্ট লর্ড অফ এডমিরালটি হিসাবে কাজ করছেন, আবার তার ‘ওয়াইল্ডারনেস পিরিয়ডে’ গভর্নমেন্টের অপজিশনে হাউজে বসতেন। চার্চিলের পলিটিকাল এক্সেপ্টেন্স সাধারণত বিচার করা হয় তার ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় মনোভাব জাগায়ে তুলার ক্ষেত্রে (পজিটিভলি) এবং তার ইম্পেরিয়ালিস্ট মনোভাব বিশেষত তিনি ভারতবর্ষের সাম্রাজ্য কোনভাবেই ব্রিটেনের হাতছাড়া হওয়ার পক্ষে ছিলেন না (নেগেটিভলি)।

এই ধরণের বিচার-আচার হাস্যকর।

চার্চিলের পলিটিকাল ক্যারিয়ার বিবেচনা করার শুরুর মেইন পয়েন্ট হইতেছে চার্চিল একজন মনেপ্রাণে ব্রিটিশ ছিলেন। তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরুই হইছে ব্রিটেনের সাম্রাজ্যবাদী শাসনের মধ্যে থেইকা, অতএব তিনি কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে থেইকা চাইবেনই যেকোন মূল্যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য টিকা থাকুক।

এই কনটেক্সটটা জরুরি যদি কোন রাজনৈতিক ব্যক্তির পলিটিকাল স্পিচ আমরা রিড করতে যাই। পলিটিকাল স্পিচ আমার কাছে দুইধরণের হইতে পারে: ক্লিশে পলিটিকাল স্পিচ (যেইটা মূলত গভর্নমেন্টের অফিশিয়াল স্ক্রিপ্ট, ব্যক্তির পার্সোনাল অপিনিয়ন এইখানে উহ্য থাকে), পার্সোনাল-পলিটিকাল স্পিচ (ব্যক্তির পার্সোনাল ফিলিংস, প্যাশন যেইসকল স্পিচে গভীরভাবে কাজ করে)। খুব নিয়ন্ত্রিত এনভায়রনমেন্ট, একক নেতৃত্বের দেশে সাধারণত ক্লিশে পলিটিকাল স্পিচ চলে বেশি এইখানে নিজেদের মতামত যত উহ্য রাখা যায় তত সরকারপক্ষের জন্য ভালো। পার্সোনাল-পলিটিকাল স্পিচে ব্যক্তি যেকোনরকম পলিটিকাল বয়ানে নিজেকে গভীরভাবে ইনক্লুড করে। প্যাশন/আবেগ এইসমস্ত স্পিচের অন্যতম অনুষঙ্গ। এই কারণে, এই স্পিচগুলার অ্যাপিল জনমানুষের কাছে অত্যন্ত বেশি হয়।

চার্চিলের স্পিচগুলো মূলত পার্সোনাল-পলিটিকাল স্পিচ। এইখানে তার পাঁচটা স্পিচ সিলেক্ট করা হইছে। স্পিচগুলার বিশেষত্ব হইতেছে, সবগুলাই চার্চিলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মেয়াদকালের সময়ে করা, অর্থাৎ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মধ্যে। এবং এই স্পিচসমূহ থেকে তিনটা পয়েন্ট উল্লেখ করবার মতো।

ফার্স্ট পয়েন্টঃ চার্চিল সেকেন্ড মেয়াদে ফার্স্ট লর্ড অফ এডমিরালটি বেশিদিন থাকতে পারেন নাই, মেইনলি তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এমনসময়ে চুজ করা হইছিল, এবং যার হাউজের ইন্টারনাল পলিটিকাল রিজনও ছিল (এর সাথে যুক্ত ছিল চার্চিলের এক্সেপ্টেন্স নিয়া নিজের পার্টির মধ্যেই ঝামেলা), তার মেইন টার্গেটই হইয়া গেছিল, যুদ্ধ লিড করা। চেম্বারলেইনসহ অন্যান্য নেতারা কখনোই ভাবেন নাই তাদের এই যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে। এইরকম ক্রিটিকাল ঝামেলায় তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল, ব্রিটিশদের জাতি হিসাবে এক কইরা এই যুদ্ধ যে আসলে ন্যায়যুদ্ধ, সার্ভাইভালের যুদ্ধ সেই ডিসকোর্স প্রতিষ্ঠা করা। চার্চিলের স্পিচগুলায় আপনারা এই জিনিসটা খেয়াল করবেন, কীভাবে তিনি ব্রিটিশ জাতির কথা বারবার বলতেছেন, কীভাবে তিনি ব্রিটিশদের সার্ভাইভালের প্রশ্ন বারবার আনতেছেন।

সেকেন্ড পয়েন্টঃ ব্রিটিশদের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্ট্র্যাটেজির প্রশ্নে এই স্পিচগুলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুই যুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়ে (১৯১৮-১৯৩৯) জার্মান ও ব্রিটিশদের মধ্যে ব্যাটলশিপ নিয়া প্রতিযোগিতা হইছিল। জার্মানরা ব্রিটিশদের ব্যাটলশিপ নির্মাণে একেবারে ছাড়ায় গেছিল অথচ ব্রিটিশদের রয়াল নেভি ছিল সেইসময়ে অপ্রতিদ্বন্দ্বী। দুই টাইমে চার্চিল নেভির এডমিরালটি ছিলেন। অতএব তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একেবারে শেষ থেকেই লক্ষ্য করছেন জার্মানরা কীভাবে ব্যাটলশিপ নির্মাণে আগাইতেছে। ইকোনমিক ডিপ্রেশনের পরে তার ধারণা আরও বদ্ধমূল হইছে জার্মানরা এইবার ফাইটার এয়ারক্রাফটও তৈরি করতেছে। চার্চিলের পলিটিকাল প্রুডেন্সের সাথে তার যুদ্ধের সময়কার অভিজ্ঞতা তাকে এই যুদ্ধেও নানানভাবে সাহায্য করছে। এই কারণে ডানকার্কের অপারেশন ডায়নামো খুব দারুণভাবে কনডাক্ট করা গেছে, আবার একইসাথে ফ্রান্সের যুদ্ধে ব্রিটিশরা এয়ারক্রাফট সরবরাহ করে নাই যেইটায় তারা প্রথমে গালিগালাজ খাইলেও পরের বড় যুদ্ধে ব্রিটিশদেরই উপকার হইছে। একটা ইন্টারেস্টিং নোট হইল, চার্চিল এইসকল স্ট্র্যাটেজি তার স্পিচে ডিটেইলে তো বয়ান করছেনই একইসাথে এই স্ট্র্যাটেজিগুলা কীভাবে ব্রিটিশফোর্সের সুপিরিয়রটিকে বারবার প্রমাণ করতেছে সেইটাও বারবার উল্লেখ করছেন। যুদ্ধের টাইমে এই কারণে ব্রিটিশদের পক্ষে শুধু ইউরোপে না, আমেরিকাতেও তীব্র জনমত তৈরি হইছিল— এইটাও একটা ফ্যাক্টর দুই বছর দোনোমোনো করার পরে ১৯৪১ সালে আইসা আমেরিকার ব্রিটিশদের এইড দিতে পুরাপুরি রাজি হওয়ার ঘটনায়।

থার্ড পয়েন্টঃ চার্চিল তার স্পিচে একইসাথে খুবই পার্সোনাল। জেনসেন তার বিশ্লেষণে এক জায়গায় বলছেন, চার্চিলের স্পিচগুলা তার জন্য ক্যাথারটিক রিলিজ হিসাবে কাজ করতো। চার্চিল ব্যক্তিহিসাবে খুবই প্যাশনেট ইন্ডিভিজুয়াল, এইরকম প্যাশন গভর্নমেন্টের স্ফিয়ারে সবসময় ডিসকারেজ করা হয়। এইদিক থেকে ১৯৩৯ সালে চার্চিল যখন আবার গভর্নমেন্টে ফিরা আসলেন সেই সময়ে মাঝখানের এই পুরো দশ বছরে (১৯২৯-১৯৩৮) তার জার্মানদের নিয়া চিন্তাভাবনার ব্যাপক পরিবর্তন হইছে। সেই মনোভাবেরই প্রকাশ- ক্যাথারটিক রিলিজ তীব্রভাবে ব্রিটিশ কায়দায় তার স্পিচে জ্বলজ্বল করে ফুটে উঠছে। এইরকম ইমোশনাল ডেলিভারিও ব্রিটিশদের জনযুদ্ধের মনোভাব তৈরিতে বড় ভূমিকা রাখছে।

আপাতত এইটুকুই থাক। এইখানে আরও কিছু পয়েন্ট হয়তো অ্যাড করা যাইতো, সেইটা রিডারদের হাতেই ছেড়ে দিলাম। রিডাররাই স্পিচ-রিড কইরা বাইর করুক আর কী কী ইন্টারেস্টিং জায়গা থাকতে পারে চার্চিলের এই বয়ানগুলায়। ততক্ষণ পর্যন্ত হ্যাপি রিডিং!


তৌকির হোসেন
আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম
৯ মে, ২০২২

হাল ছাইড়ো না, নেভার, নেভার, নেভার
২৯ অক্টোবর, ১৯৪১ ।। হ্যারো স্কুল

প্রায় এক বছর হইয়া গেছে এইখানে আপনাদের হেডমাস্টারদের ইনভাইটেশনে নিজের কিছু পুরানো গান গাওয়ার জন্যে আসছি। মূলত নিজেরে আর নিজের কিছু বন্ধুবান্ধবদের মনমেজাজ চিয়ার আপ করবার জন্য। গত দশ মাস পৃথিবীতে ডিজাস্টারের ঘটনার দিন গেছে- অনেক আপস অ্য়ান্ড ডাউনসের ভিতর দিয়ে, অনেক দু:খ-বেদনা-কষ্টের ভিতর দিয়া আমরা গেছি। কিন্তু এই বিকালে আপনারা যারা আছেন কারো মধ্যে কি এখনও সংশয় আছে বা এখনও ফিল করেন না আমরা যার ভিতর দিয়া গেছি, যে সময় পার করছি তা মূলত আমাদের দেশের জন্যে এক রকম চরম সুখবর নিয়া আসতেছে? কারণ, যখন আমি এইখানে শেষবার আসছিলাম আমরা মূলত একাই ছিলাম, ভয়ংকরভাবে অ্য়ালোন ছিলাম এইরকম অবস্থায় প্রায় পাঁচ-ছয় মাস গেছে। আমাদের হাতে তেমন অস্ত্র ছিল না। আজকে এখন আমাদের হাতে যে অনেক বেশি অস্ত্র আছে তাও না, কিন্তু তখন আমরা আরও অনেক বেশি গরিব ছিলাম। আমাদের উপর শত্রুরা ক্রমাগত আক্রমণ কইরা যাইতেছিল, আকাশে তারা আমাদের ভয়ংকরভাবে মাইর দিতেছিল এবং আপনারা নিজেরাও সেই আক্রমণ এক্সপেরিয়েন্স করছেন। আমার মনে হয় আপনারা নিশ্চয়ই এই ধরণের শান্তির আলাপে বিরক্ত হইতে লাগছেন- কিসের কী সুসময়, নতুন কোন ডেভেলপমেন্ট তো দেখাই যাইতেছে না!

কিন্তু আমাদের এইটাও ভালো কইরা বুঝতে হবে, ছোট হইলেও কোনটায় ধার বেশি আর লম্বা হইলেও কোনটা ব্যথা বেশি। জেনারেলি বলা হইয়া থাকে, ব্রিটিশরা শেষ টাইমে বাঘ হইয়া উঠে। তারা আশা করে না এক ক্রাইসিস শেষে আরেকটা ক্রাইসিস আসবে আর সেইটার মোকাবেলা করতে হবে। তারা মনে করে না যে প্রতিটা দিন মহান কোন যুদ্ধ নিয়া আসবে আর সেই যুদ্ধ লড়াই কইরা জিততে হবে। কিন্তু যখন তারা কোনকিছু নিয়া মনস্থির কইরা ফেলে, তাহলে তারা কাজটা শুরু করে এবং যেকোনমূল্যেই হোক তা শেষ করে- এমনকি যদি সেইটা মাস সময় নেয় কিংবা বছর- তারা কাজটা শেষ করে।

দশ মাসে আগে এইখানে যে মিটিংটা হইছিল আর এখনের মিটিং থেকে আরেকটা লেসন আমার মনে হয় যে আমরা নিতে পারি- অ্যাপিয়ারেন্স দেইখা ধোঁকা না খাওয়া। কিপলিং খুব ভালো বলছিলেন- “…বিজয় আসবে, বিপর্যয়ও আসবে। কিন্তু এই দুই প্রতারককে একইভাবে ট্রিট করো।” i

আপনি অ্য়াপিয়ারেন্স থেকে পরে কী হবে তা কখনো ডিটারমাইন করতে পারবেন না। কখনো ইমাজিনেশন “কী হইতে পারে”-কে বাস্তবের থেইকা বেশি ভয়াবহ বানায়া ফেলে; যদিও ইমাজিনেশন ছাড়া আসলে বিশেষ কিছু করা সম্ভবও না। যে সকল মানুষ ইমাজিনেটিভ তারা যা আছে তার তুলনায় আরও অনেক অনেক বেশি ডেঞ্জার দেখে; সত্যসত্যই তার মধ্যে অনেকগুলা ঘইটাও যায়; কিন্তু এরপরেও তাদের প্রার্থনা করা উচিত যেন তারা যথেষ্ট কারেজ পায়- তাদের এই দূরদৃষ্টির ইমাজিনেশন যেন তারা ক্যারি কইরা সামনে নিয়া আগাইতে পারে। যারা এই সময়ের ভিতর দিয়া গেছেন তাদের প্রত্যেকের জন্যেই- আমি নিজেকে অ্যাড্রেস করার মধ্য়ে দিয়া এই স্কুলের সবাইকে উদ্দেশ্য কইরাই বলতেছি- আমরা যারাই এই দশ মাস সময়ের ভিতর দিয়া গেছি, তা আমাদের জন্যে এই লেসন রাইখা গেছে: কখনো হাল ছাইড়ো না, কখনো হাল ছাইড়ো না, নেভার, নেভার, নেভার, নেভার- ছোট হোক, বড় হোক, মহৎ কিছু হোক, তুচ্ছ কিছুই হোক কিংবা কোনকিছুই না হোক- বিশ্বাস কিংবা ফিলিংস এর প্রশ্ন ছাড়া কোনকিছুতেই হাল ছাইড়ো না। শক্তির কাছে কখনো মাথা নামাইও না। শত্রুর আপাত অদম্য শক্তির কাছেও না। এক বছর আগে আমরা একেবারে একা ছিলাম। অনেক দেশের কাছে মনে হইছিল আমাদের একাউন্ট বন্ধ হইয়া গেছে- আমরা শেষ। আমাদের সমস্ত ট্র্যাডিশন, আমাদের গান, আমাদের স্কুল-হিস্ট্রি, এই দেশের এই হিস্ট্রির অংশ সবকিছু বাদ হইয়া গেছে, শেষ হইয়া গেছে এবং আমরা বরবাদ (liquidated) হইয়া গেছি।

কিন্তু আজকের দিনের মুড গতদিনের থেকে অনেক আলাদা। অন্যান্য নেশন ভাবছিল ব্রিটেন তার স্লেটের আশপাশে স্পঞ্জ আঁইকা রাখছে। কিন্তু আমাদের দেশ ওই গ্যাপের মধ্যে উইঠা দাঁড়াইছে। এই দাঁড়ানোয় কোনরকম দোনামোনা বা হাল ছাইড়া দেয়ার কোন ভাব ছিল না। অন্য়দের কাছে যেইটা প্রায় সম্পূর্ণ এক মিরাকল ছিল তাই ঘটছে শেষমেশ। যদিও আমরা নিজেরা কখনো সেইটা সন্দেহ করি নাই। এখন আমরা এমন এক পজিশনে আছি যেইখানে দাঁড়ায়া আমরা মোটামুটি শিওর যে বিজয় আমাদের সামনে, আমাদের কেবল কিছু সময় ধৈর্য ধরতে হবে।

আপনারা এইখানে স্কুলের গানের একটা লাইন গাইছিলেন: আমার সম্মানে আরেকটা এক্সট্রা লাইন যোগ করছিলেন। ওই লাইনে আমার খুবই প্রশংসা করা হইছে এবং সেইটা আজকের গানে আবার রিপিট করছেন আপনারা। কিন্তু ওইখানে একটা শব্দ আছে যেইটা আমি একটু বদলাইতে চাই- আমি এইটা লাস্ট ইয়ারেই করতে চাইছিলাম কিন্তু তখন সাহস হইয়া উঠে নাই। লাইনটা এমন: “অন্ধকার দিনের প্রশংসা আমরা কম করি না”।

আমি হেডমাস্টারের অনুমতি নিয়াই ‘অন্ধকার’ শব্দ বদলে ‘কঠিন’ দিতে চাই: “কঠিন দিনের প্রশংসা আমরা কম করি না”।

আমরা অন্ধকার দিনের কথা না বলি: বরং আমরা কঠিন থেকে কঠিনতর দিনের কথা বলি। এই দিনগুলা কোন অন্ধকার দিন না; বরং এইগুলা হইতেছে আমাদের জন্যে মহান দিন- আমাদের দেশ তার ইতিহাসের সবচাইতে গ্রেটেস্ট দিনগুলা এখন পার করতেছে; এবং আমরা আমাদের গডের কাছে কৃতজ্ঞ যে এই কঠিন দিনগুলা আমাদের জাতির ইতিহাসে হিস্টোরিক কইরা রাখতে আমরা সবাই নিজের নিজের জায়গা থেকে সফলভাবে নিজেদের রোল প্লে করতে পারছি।

উইনস্টন চার্চিলের বাকি লেকচার পড়তে বইটা কিনতে পারবেন এই লিংকে ক্লিক কইরা।

The following two tabs change content below.
Avatar photo

তৌকির হোসেন

জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →