Main menu

এলভিস প্রেসলি

এলভিস প্রেসলির বায়োগ্রাফি নিয়া “Elvis” নামে একটা মুভি রিলিজ হইছে জুনে। মূলত এইটা একটা বায়োগ্রাফিক্যাল মিউজিক্যাল ড্রামা মুভি। এইটা পরিচালনা করছেন বাজ লুয়ারম্যান (Baz Luhrmann) । এইখানে এলভিস প্রেসলি ক্যারেক্টারে ছিলেন অস্টিন বাটলার( Austin Butler), কর্নেল টিম পার্কার ক্যারেক্টারে ছিলেন টম হ্যাংকস( Tom Hanks)। এই মুভিটা দেইখাই তারে নিয়া কিছু লেখার ইচ্ছা হইলো। মুভি থাইকা যা জানলাম এর বাইরেও আরো কিছু ঘাটাঘাটি কইরা লিখলাম এইটা।

এলভিস অ্যারন প্রেসলি যারে আমরা এলভিস প্রেসলি নামেই জানি। যিনি একই সাথে একজন আমেরিকান গায়ক ও অভিনেতা। তবে আমার মনে হয় গায়ক হিশাবেই তারে বেশি জানে লোকজন। দুনিয়ার বেস্ট সেলিং সলো আর্টিস্টের তালিকায় তিনি অন্যতম। এক বিলিয়নেরও বেশি রেকর্ড বেচা হইছে তার। তেত্রিশটার মতো মুভিতেও এক্টিং করছেন উনি।

” Elvis “ মুভিটার শুরুতেই দেখা যায় টম পার্কাররে। আসলে পুরা মুভিটার কাহিনী উনিই বলতেছিলেন। তো টম শুরুতে বলতেছিলেন যে মানুশ বলে যে এলভিসের মৃত্যুর জন্য টম দায়ী বাট আসলে উনি এর জন্য দায়ী নাহ। আসলে যেই এলভিসরে মানুশজন দেখছে অই এলভিসরে উনিই তৈরি করছেন। এইরকম কথাবার্তা দিয়া শুরু।

এলভিসের বাপ কুনু একটা কারণে জেলে যাওয়ার ফলে তেরো বছর বয়সে টেনেসির মেমফিস শহরে চইলা আসতে হয় তাদের ফ্যামিলিকে। মুভিতে এলভিসের স্টোরি এইখান থাইকাই শুরু। যে জায়গায় উনি বাইড়া উঠেন অইটা ছিলো ব্ল্যাকদের গরীব একটা নেইভারহুড। যেইখানে সবাই ব্ল্যাক ছিলো বলা যায়। ছোটবেলায় এলভিস অনেক কমিকস এইসব পড়তেন। আর নিজেরে সুপারহিরো ভাবতে পছন্দ করতেন। ভাবতেন যে সুপারহিরোর মতো গিয়া একদিন বাপরে উদ্ধার কইরা নিয়া আসবেন। আরেকটা জিনিশ হইলো এলভিসের যখন জন্ম হয় তখন তার আরেকটা জমজ ভাই হইছিলো যে অই সময় মারা যায়। তো তার মা বলতেন যে সে দুইটা পুরুষের ক্ষমতা নিয়া জন্মাইছে, কথাটা অনেকটা এইরকমই ছিলো।

তো ব্ল্যাক নেইভারহুডে থাইকাই ব্ল্যাকদের গান টান শুইনাই গানের প্রতি তার যে এট্রাকশন অইটা আরো বাড়ে। কাউন্টি মিউজিক আর পপ মিউজিকের প্রতি তার এট্রাকশন বাড়তে থাকে। এর বাইরেও রাইমস আর ব্লুজ জানরার গান গুলাও শিখতে শুরু কইরা দেন। ব্ল্যাক কমিউনিটিতে বাইড়া উঠার জন্য এলভিসের কথা বলায় মানে স্টাইলটা ব্ল্যাকদের মতো ছিলো। যেইটা মুভিতে খেয়াল করলেই বুঝা যায়। দারিদ্রতা এলভিসের পরিবারের নিত্যসঙ্গী ছিলো। ইয়ং বয়সে সে নাকি ট্রাকও চালাইছিলো কিছুদিন। কোম্পানিটার নাম ছিলো ক্রাউন ইলেকট্রিক, যেইখানে তার বাপও কাজ করতেন। এই জিনিশটা অবশ্য মুভিটায় ছিলো নাহ।

একটা সময় টম পার্কার এলভিসের দেখা পান আর বুঝতে পারেন যে এলভিস আসলে সুযোগ পাইলে অনেক বড় হইতে পারবেন। টম তখন কার্নিভাল ওয়ার্কার ছিলেন। তো এলভিসরে বলেন যে তারা দুইজনে মিইলা বড় কিছু করতে পারেন। এই জায়গায় এলভিস বলেন যে তার আসলে মনে হয় যে তিনি বড় কিছু হইতে পারবেন জীবনে। তো এই যে তার ড্রিম এইগুলা নিয়া একসময় তিনি আসলে পাবলিকলি বলছেনও। তিনি যা যা ড্রিম দেখছিলেন সবই ফুলফিল হইছে এইরকম বলছিলেন উনি।

“When I was a child, ladies and gentlemen, I was a dreamer. I read comic books and I was the hero of the comic book. I saw movies and I was the hero in the movie. So every dream I ever dreamed has come true a hundred times…I learned very early in life that: ‘Without a song, the day would never end; without a song, a man ain’t got a friend; without a song, the road would never bend – without a song.’ So I keep singing a song. Goodnight. Thank you.”

এই কথাগুলা উনি ১৯৭০ সালে “ Ten Outstanding Young Men of the Nation Award” সেরেমনিতে বলছিলেন।

টম পার্কারের লগে মিইলা একের পর এক গান গাইয়া যান বিভিন্ন প্রোগ্রামে। সেইগুলা তুমুল জনপ্রিয়তাও পাইতে শুরু করে। তো এলভিস যখন স্টেজে পারফর্ম করতেন তখন উইগ্লিং (Wiggling) করতেন মানে একটা স্টাইলে পা আর কোমর নাচাইতেন বলা যায়। তার ভিডিওগুলা দেখলে বুঝা যাবে স্টাইলটা। আর এইটা দেইখা মাইয়ারা বলা যায় ক্রেইজি হইয়া যাইতো। এমনকি মুভিতে এইটাও দেখানো হইছে যে মাইয়ারা তার উপর প্যান্টি ছুইড়া দিতেছে, আর শেষদিকে একটা জায়গায় দেখলাম ব্রাও ছুইড়া দিতেছিলো। রিয়েলিই আসলে এইরকম হইছিলো। মুভিতে এইগুলা দেখার সময় আমার আসলে ফানিই লাগতেছিলো বিষয়টা।

তো একটা সময় তার এই ডান্স মুভটারে ভলগার বইলা আইন দেখানো হয় আর তারে নিষেধ করা হয় যেন সে এইটা না করে। এইখানে আসলে রেসিজমের একটা জায়গা ছিলো, কারণ এলভিস তো ব্ল্যাক কমিউনিটি থাইকাই আসলে বিলং করতেন। অনেক ক্রিটিকরা অনেকরকম ক্রিটিসিজম করছেন তার গান নিয়া, তার ডান্স মুভ নিয়া। কেউ কেউ তার পারফরম্যান্সরে বলছেন ” noxious “ , তার গান গাওয়াটারে বলছেন “caterwauling “ মানে বিলাইয়ে যেমন চিল্লাইয়া ডাকে বা শব্দ করে অইরকমটা আরকি। এছাড়াও তার গানরে ” Black Music” বলছেন কেউ কেউ। একজন ক্রিটিক তো তার পারফরম্যান্স নিয়া এমনও বলছেন, ” the kind of animalism that should be confined to dives and bordellos.” তো এইসব নরমালিই একটা মানুশরে আসলে ডাউন ফিল করাইবো এমন কথাবার্তা। তো নিষেধ পাওয়ার পরে যখন ” Hound Dog “ গানটা পারফর্ম করলেন উনি তখন খুব বোল্ডলি তার মুভগুলা করলেন। মুভিতে আসলেই এই সিনটা ভাল্লাগছে আমার। মানে বুঝাই যাইতেছিলো এইটা যে এই নিষেধের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদই আসলে। কারণ তিনি মনে করতেন নাহ তার মুভটা ভলগার। তো এরপরে আসলে তার উপরে ওয়ারেন্ট আসলো তারে জেলে যাইতে হইবো নাইলে আর্মিতে যোগ দিয়া জার্মানি যাইতে হইবো। তো এই পারফরম্যান্সের পরে তার একটা ডাকনামও দেয়া হইছিলো সেইটা হইলো ” Elvis the Pelvis “।

উনি তখন জার্মানি যাইবেনই ঠিক করলেন। তার মা সবসময়ই আসলে ভয়ই পাইতেন যদি তার এই সন্তানটারেও হারাইয়া ফেলা লাগে। তো এইসব ভাবনা বা দুশ্চিন্তা থাইকাই বলা যায় এলভিস জার্মানি যাওয়ার আগেই তার মা মইরা গেলেন। তখনের একটা সিনে টম আইসা এলভিসরে বলতেছিলেন যে প্রেসের সামনে যাইতে হইবো তারে। তখন এলভিস তার মায়ের ক্লোজেটে বইসা তার মায়ের জামা কাপড় ধইরা কানতেছিলেন। তো টমরে তখন উনি বলতেছিলেন যেন তারে কখনো ছাইড়া না যান, কারণ এলভিস তারে বাপের মতোই ভাবেন।

এরপর এলভিস জার্মানিতে চইলা যান আর্মিতে যোগ দিতে। অইখানে প্রিসিলার সাথে তার প্রেম হয়। পরে বিয়া হয়। আবার আমেরিকায় ফিইরা এলভিস ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ঢুইকা যান। অইখানেও জনপ্রিয়তা পান। তার বউও তার সাথে এক্টিং করছেন বিভিন্ন মুভিতে। তাদের একটা মাইয়া হয় যার নাম লিসা ম্যারি। তো এলভিস ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে থাকার সময়কালে দেখা যায় যে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র মারা যান। তারে গুলি কইরা খুন করা হয় । এইটা এলভিসরে হার্ট করছিলো কারণ উনি মার্টিন লুথার কিং এর ফ্যানই ছিলেন বলা যায়। আর মার্টিন লুথার কিং ও মেমফিসের মানুশ ছিলেন এলভিসের মতো। অই টাইমটায় সিভিল রাইটস মুভমেন্ট চলতেছিলো। এলভিসের গান বা তার পারফরম্যান্স আসলে রেসিজমের বিরুদ্ধে একটা প্রতিবাদই ছিলো। উনি সোশ্যাল আর মোরাল ভ্যালু দুইটারেই চ্যালেঞ্জ করছেন এগুলা দিয়া।

এলভিস আবার গানে ফিইরা যান। বলা যায় আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা পান। টম পার্কারের গ্যাম্বলিং কইরা অনেক ঋণ ছিলো তো এইজন্য বলা যায় সে এলভিসরে ব্যবহার করা শুরু কইরা দেয়। এলভিসের শো এর টাকা দিয়া সে অইগুলা শোধ করতেছিলো। সে এলভিসের লাইফরে কন্ট্রোল করা শুরু কইরা দিছিলো বলা যায়। তো একটা সময় এলভিস এইটা জাইনা যান আর একটা শোতে স্টেইজে থাকা অবস্থাই বলেন যে টমরে উনি ফায়ার করতেছেন। টম উনার ম্যানেজার ছিলেন। টমের আসল পরিচয়ও এইটা ছিলো না। আমেরিকান পাসপোর্টও ছিলো নাহ তার।

এরপর এলভিসের বউ প্রিসিলাও একসময় তারে ছাইড়া চইলা যান। অই সময়ে এলভিস একটা কথা বলেন যে আমাদের আবার দেখা হইবো যখন আমার বয়স ৫০ আর তোমার বয়স ৪০।

এরপর এলভিসের ফিজিক্যাল কন্ডিশন খারাপ হইতে থাকে। আর অনেক আগে থাইকাই আসলে উনি ড্রাগস নিতেছিলেন। বলা যায় তার বউ চইলা যাওয়ার পিছনে এইটাও একটা কারণ। ৪২ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাক কইরা মারা যান এলভিস প্রেসলি।

আমার পছন্দের এলভিস প্রেসলির কয়েকটা গান এইখানে দিলাম-

1. “I Can’t Help Falling in Love with You”

2. “Hound Dog “

3. “Are You Lonesome Tonight?”

4. “Suspicious Mind”

5. “Always On My Mind “

6. “Burning Love“

7. “It’s Now or Never “

8. “And I Love You So “

9. “Oh my love“

10. “I will Remember You “

The following two tabs change content below.
সুরাইয়া দীনা

সুরাইয়া দীনা

মিশিগানের বাংলাটাউন খ্যাত ছোট শহর হ্যামট্রামিকে বাস।বেড়ে ওঠা সুনামগঞ্জে।
সুরাইয়া দীনা

Latest posts by সুরাইয়া দীনা (see all)

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →