Main menu

ঢাকা শহরের বইয়ের দোকান

নিলখেত

না চাইলেও ঢাকা শহরের বইয়ের দোকানগুলাতে যাইতে হয় আমারে; দরকারে, অ-দরকারে। 

বড় মেয়ে’র ভার্সিটির বই খোঁজার জন্য যাইতে হইছে দুই-তিনবার, নিলখেতের বইয়ের দোকানগুলাতে। ভার্সিটির নানান ডিপার্টমেন্টের বই পিডিএফ থিকা প্রিন্ট কইরা বেচে অরা। তো, অইখানে বই-বেচার বা কেনার মেইন ঘটনা’টা হইতেছে ভার্সিটির কোন কোর্সে পড়ায় কিনা। একটা-দুইটা চেপ্টার হইলে আলাদা কইরা প্রিন্ট নিয়া নেয়া যায়, কিন্তু কোর্সের মেইন বই হইলে তো তখন বইটা প্রিন্ট করানো লাগে। 

এখন দোকানগুলা যে খালি টেক্সট-বুক, রেফারেন্স-বই বেচে তা তো না; নতুন-পুরাতন অনেক বই-ই তাদেরকে রাখতে হয়, বেচতে হয়। তো, সেইখানে ডিসাইডিং-ফ্যাক্টর হইতেছে বইয়ের কনটেন্ট না, বরং বইয়ের কোয়ালিটি। বইয়ের কাগজ, প্রিন্টিং আর বাইন্ডিং। নিউজপ্রিন্টে তেমন কেউ-ই ছাপায় না, শাদা কাগজে ছাপাইলে একরকম দাম, ব্রাউনে একটু বেশি-দাম, এইরকম। কনটেন্ট কি – সেইটা তো আপনি জানেন-ই, সো, অইটা কোন ঘটনা না। 

এখন এই জিনিসটা অন্য বইয়ের ব্যাপারেও ছড়াইছে। মানে, যারা ক্লাসের বইয়ের বাইরেও বই কিনেন, একটু-আধটু ‘পড়াশোনা’ করেন, তারা নিলখেতের দোকানগুলাতে পিডিএফ দিয়া বই বানায়া নেন। কিন্তু এই ডিমান্ড তো সবসময় থাকে না, যার ফলে দোকানদারেরা যেই বইগুলা বেশি চলে, সেইগুলা ছাপায়া রাইখা দেন। যেমন, ইদানিং ভালো চলতেছে ‘বিফোর দা কফি গেটস কোল্ড’ সিরিজের বইগুলা। ফুটপাতে বেচা হইতেছে, একজন ‘মার্কেটিং’ করতেছে এইভাবে যে, ‘প্রিমিয়াম কোয়ালিটি’ বই; কোন পেইজ বাদ যায় নাই! মানে, কোয়ালিটি দুইটা – নরমাল এবং প্রিমিয়াম। প্রিমিয়াম কোয়ালিটির বই-ই পাইবেন ১০০ টাকায়!

আমি বলতে চাইতেছি, নিলখেতে পাইরেটেড বই বেচা হয় – এইরকম লিগাল জায়গা থিকা দেইখা কোন লাভ আসলে নাই, এইটা এমন একটা রিয়ালিটি যেইটারে বদলানোর তেমন কোন উপায় নাই, বরং এই পাইরেটেড বা পিডিএফ-বইগুলা বাংলাদেশে বইয়ের কনজামশনের জায়গাটারে কিভাবে চেইঞ্জ কইরা দিছে বা দিতেছে, সেইটা খেয়াল করাটা বেশি দরকার। 

যে, ছাপানো-বই হইতেছে সফট-কপি বইয়ের একটা সাবসটিটিউট; আপনি যদি সফট-কপি পড়তে পারেন, তাইলে তো আর ছাপাইয়া পড়ার দরকার নাই! আরেকটা হইতেছে, বইটার কোন সফট-কপি নাই; এই কারনে পুরান বাংলা বইও ছাপা হইতেছে কিছু। কিছু ইন্ডিয়ান-বাংলা বইও আছে এই লিস্টে, যারা পুরানা-দিনের সাহিত্য পড়তে চান।…

তার মানে কি? নতুন কোন বই কি ছাপা হইতেছে না বাংলাদেশে, যেইটা রিডার’রা পড়তে চান? নাই – বলাটা একটু বেশি-ই হবে, কিন্তু এই মার্কেট’টা খুবই ছোট, এতোটাই যে, মেবি খেয়াল না করলেও চলে। অইসব বই নিলখেতে পাইবেন না। অইগুলা কিনতে হইলে “পশ” বইয়ের দোকানে যাইতে হবে! 🙂

পাঠক সমাবেশ, বাতিঘর, বেঙ্গল বুকস…

পাকিস্তান আমলে পশ বইয়ের দোকান ছিল স্টেডিয়াম মার্কেটে ও নিউমার্কেটে, পরে ‘৯০-এর দশকে সেইটা  শিফট করে শাহবাগের আজিজ মার্কেটে। (মেইনলি সাহিত্যিক-আড্ডার উপর বেইজ কইরাই।) এখনো কিছু দোকান আছে অইখানে, কিছু দোকান কাঁটাবনে হিজরত করছে, কিন্তু অইগুলা এতোটা ‘পশ’ না, বরং লিটল-ম্যাগীয়ই হয়া আছে। শাহবাগের লিগাসি হইতেছে পাঠক সমাবেশ। যাদুঘরের বিল্ডিংয়ে যেই আউটলেট’টা আছে অইখানে গেছি কয়েকবার, বড় স্পেইস; কিন্তু বইয়ের ভেরিয়েশন কমই। ইংলিশ-ক্লাসিক বই বেশি, কনটেম্পরারি কমই। বাংলা-বইও সিলেক্টিভ। 

এখন কাঁটাবনেও একটা আউটলেট খুলছেন উনারা। অইখানেও একই অবস্থা দেখলাম, মাস-খানেক আগে। ডিফরেন্স হইতেছে ইন্ডিয়ান-বাংলার বই কিছু কমাইছেন, আর নিজেরা কিছু বই ছাপাইতেছেন, অইগুলারে শো করতেছেন বেশি। মানে, বইয়ের দোকান হিসাবে আপডেটেড হন নাই উনারা, বরং আরেকটু ন্যারো-ই হইছেন। আশির দশকের রাইটারদের একটা গোরস্থান-ই মনে হইলো মোটামুটি। 

বাতিঘর সেইদিক থিকা আপডেটেড, কিছুটা। ইন্ডিয়ান-বাংলা বই-ই উনাদের মেইন বিজনেস, বাংলাদেশে উনারাই মেবি মেইন এজেন্ট। তাই বইলা বাংলাদেশি বই উনারা রাখেন না – তা না, কিন্তু বাংলাদেশি বই তো কম-ই ছাপা হয়,  তারপরে বেচা-বিক্রি এবং প্রফিটও কম হওয়ার কথা; সব মিলায়া একটা সার্টেন কেটাগরির বা বলা ভালো  ‘শিক্ষিত-বাঙালি পাঠকদের’ একটা সাজেশন বাতিঘরে পাইবেন। উনাদের বইয়ের কালেকশনও বেশি। বইয়ের লিস্ট দিলে উনারা মেবি ইন্ডিয়া থিকা বই আইনাও দিতে পারেন। যেই কারনে, ঢাকা শহরে বই পড়েন – এইরকম ভাব-সম্পন্ন লোকজন বাতিঘরে যাওয়া-আসা করেন বইলা আমার মনে হইছে। 

তবে ভাব-সম্পন্ন লোকজন আরো বেশি যাইতে পারেন বেঙ্গল বুকসে, অইটা আরেকটু বেশি পশ। মানে, বই-পড়া ও আড্ডা দেয়া যে ফ্যাশনেবল একটা ঘটনা – অইটা প্রমান দিতে হইলে অইখানে যাওয়াটা মেবি মাস্ট। কিছু কনটেম্পরারি ইংলিশ বই অইখানে পাওয়া যায়। আমার বড় মেয়ের জন্য সায়েন্সের দুইটা পপুলার বই আমি বেঙ্গল বুকস থিকা কিনছি। বই কিনার পরে মনে হইছে, ছোট মেয়ের জন্যও কয়েকটা খাতা কিনি। তখন সেলস-গার্লরে জিগাইছি, আপনারা কি খাতা বেচেন নাকি? শে চোখ ছোট ছোট কইরা আমার দিকে তাকাইছে, খাতা! মানে, এইটা কি জিনিস! [ধানমন্ডি’র কালচারাল খ্যাতগুলা এইরকম এইরকমের ক্রিঞ্জ আসলে!] পরে কাউন্টারের লোকটা আমারে অই বেইজ্জতির হাত থিকা উদ্ধার করছে (যেহেতু আমি দুইটা ইংলিশ বই কিনছি), কইলো, নোটবুকগুলা অই কর্নারে পাইবেন… খাতা মানে নোটবুক, এইরকম একটা অবস্থা অইখানে! এইরকমের ‘আধুনিক’ উনারা! তবে অদের আলুর-চপ, সিঙ্গারাগুলা ভালো (কফি এভারেজ); এখন এইগুলা খাইলে পেটে গ্যাস হয়, এই কারনে এড়ায়া-ই চলি আমি। বয়স আরেকটু কম হইলে  বেঙ্গল-বুকসে মেবি একটু বেশি যাওয়া যাইতো। বই কিনতে না ঠিক, বই-বই ভাব নিতেই। 

এর বাইরে আরো কয়েকটা বইয়ের দোকান আছে গুলশানে, বনানিতে; অইখানে অরা ইংলিশ বই-ই বেচে; দোকানের মালিকের পছন্দের কিছু বাংলা-বই শো-পিস হিসাবে রাখে কয়েকটা। ইংলিশ বইগুলাও পপুলার বই-ই, এমনকি বুকার-টুকার পাওয়া বইও কমই। তারপরে শেফস টেবিল কান্ট্রি-সাইডে প্রথমার একটা আউটলেট আছে, ইউনিমার্টেও বই বেচে কিছু, গুলশান ২’র শাহাবুদ্দিন পার্কেও। কিন্তু অই তো, পপুলার ইংলিশ বই-ই বেচেন বা বেচতে চান উনারা।

যার ফলে যা টুকটুক যা বই কিনি, রকমারি থিকাই কিনতাম।

 

রকমারি, ফেইসবুক পেইজ, অনলাইন মার্কেট

একটা সময় আমার ধারনা ছিল যে, রকমারি-তে সব বই পাওয়া যায়; কিন্তু সব বই পাওয়া না গেলেও অনেক বই আসলে পাওয়া যায়। উনাদের ডেলিভারি সিস্টেমও ভালো। এখনো পর্যন্ত বেস্ট সোর্স আসলে রকমারিই। কিন্তু উনারা ইসলামি-বই বেশি বেচেন – ব্যাপারটা এইরকম না, উনারা বাজার-চলতি বই-ই বেশি বেচেন। আর বাজারে চাকরির বই, ধর্মিয় বই, মোটিভেশনাল বইয়ের বেচা-কেনাই বেশি; আর বিজনেস করার জন্য যেই জিনিস বেশি বেচা হয় অইগুলাই হাইলাইট করেন উনারা। এমনকি ‘সরকার-বিরোধি’ 🙂 বইও বেচেন না এখন। মানে, এই যে বাছাই’টা, এইটা উনাদেরকে ঠিকঠাক-মতো বিজনেস চালাইতে হেল্প করতেছে কিনা জানি না, কিন্তু মোরালি অবশ্যই উইক কইরা তুলছে। গত ১০-১২ বছরে উনাদের বেচা-বিক্রি যেমন বাড়ছে, উনাদের ইনফ্রাস্ট্রাকচারও মেবি বড় হইছে, এই কারনে হয়তো বইয়ের পাশপাশি চাল-ডাল বেচা শুরু করছেন। তবে আই হোপ, বই-বেচাটা তেমন একটা প্রফিটেবল না বইলা জিনিসটা বন্ধ কইরা দিবেন না। 

বাজারে রকমারি’র বাইরেও আরো কয়েকটা বই-বেচার সাইট আছে, কিন্তু কোনটাই রকমারি’র কম্পিটিটর হয়া উঠতে পারে নাই, মেইনলি বই সোর্সিং ও ডেলিভারি-এফেশিয়েন্সির জন্যই। তবে কিছু ফেইসবুক পেইজ  তিনটা নিশ কেটাগরি-তে ভালো পারফর্ম করতেছে – অরিজিনাল-প্রিন্টের ইংলিশ বই (ইমপোর্টেট),  পুরান বই (যেইগুলার কপি বাজারে নাই) এবং প্রিমিয়াম-কোয়ালিটি বই (পাইরেটেড বই)। এই জায়গাগুলা এখনো এতো বড় বাজার হয়া উঠতে পারে নাই আসলে। এরা জাস্ট ফিজিকাল মার্কেট’টারে অনলাইন স্পেইসে শিফট করতেছে, নতুন কিছু এড করতে পারতেছে না এখনো।

 

বাংলা-বাজার, ইসলামি বই, সরকারি বই…

তবে বাংলাদেশের বড় বইয়ের বাজার তো হইতেছে বাংলা-বাজার। অনেক বই বেচা-কেনা হয় এইখানে। সারা বাংলাদেশ থিকা বইয়ের দোকানগুলা এইখানে বই কিনতে আসে। কি বই কিনেন উনারা? মেইনলি স্কুল-কলেজ-মাদরাসার বই, গাইড-বই, নোট-বই; গল্পের বই বা ‘আউট-বই’ যে বেচা-কেনা হয় না – তা না, কিন্তু অইটা পারসেন্টেইজ কম-ই হওয়ার কথা। তারপরেও সংখ্যায় সেইটা কম না মেবি। বাংলাদেশের সব পাবলিশারদেরই শো-রুম, দোকান আছে বাংলা-বাজারে। পাইকারি বাজারের কারনেই এইখানে প্রেজেন্সটা জরুরি। এবং যেইটা অনুচ্চারিত থাকে, সেইটা হইতেছে সরকারি বই সাপ্লাইয়ের কাজ ধরার জন্য। এখন প্রাইমারি’র বই-পত্র ইন্ডিয়া থিকা ছাপানোর জন্য অইটার ভাগ-জোক মনেহয় কম-ই পাওয়া যায়। তারপরও বাংলাদেশের বইয়ের বাজারের সিন্ডিকেট’টা এইখানেই আর কি।… 

আরেকটা কথা খুব চালু আছে যে, ইসলামি-বইয়ের মার্কেট এখন অনেক বড়, অনেক ‘ইসলামি বই’ ছাপা হয়, কেনা-বেচা হয়। কিন্তু আমার ধারনা, এর লগে শিক্ষা-ব্যবস্থার রিলেশনটা অনেক বেশি; মানে, এইটা ধইরা নেয়াটা বেটার যে, বাংলাদেশে স্টুডেন্টরাই বই পড়ে; বাংলা-মিডিয়ামে পাঠ্য-পুস্তক যেইরকম ফিক্সড করা এবং সরকারি-ভাবে ছাপা হয়, মাদরাসা মিডিয়ামে সেইটা অনেক বেশি রিলাক্সড (এবং এইটা ভালো), যার ফলে একটা সাবজেক্টে অনেকগুলা বই পাওয়া যায়। বাংলা-মিডিয়ামে সরকারের ফিক্সড কইরা দেয়া টেক্সট-বুক পড়লেই হয়, এবং এমনকি রেফারেন্স-বই খালি নাই-ই না, যেন থাকতে না পারে এই জিনিসটারেও পুলিশি-কায়দায় নিশ্চিত করা হয়। অথচ উচিত ছিল একটা সাবজেক্টের জন্য কয়েকটা রেফারেন্স বই থাকা, একটা রিডিং-লিস্ট থাকা, তাইলে খালি রিডারদের জন্যই না পাবলিশার, রাইটাদের জন্য একটা মার্কেট ওপেন হইতো। যা-ই হোক… 

মানে, আমি বলতে চাইতেছি, বাংলাদেশে বইয়ের পাঠক নাই না, পড়ার মতো বই-ও আসলে নাই খুব একটা। আর এই না-থাকার সিস্টেমটা খুবই স্ট্রং, মোটামুটি সব দিক দিয়াই। আর বইয়ের দোকানে গেলেই সেইটা আরো ভালোভাবে টের পাওয়া যায় একভাবে।    

The following two tabs change content below.
Avatar photo
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →