বাপের জুলুম এবং জাতির আব্বারা
- রাজনিতির দাগ খতিয়ান: বাকশাল-দুছরা বিপ্লব এবং তার পর
- এস্টে কিরিয়েটিভ
- এডিটোরিয়াল: শ্যামলা এরিয়া
- মানুশ
- মাইনোরিটি লইয়া রকম শাহের বয়ান
- গনতন্ত্রের বুনিয়াদি ঘাপলা
- মারেফতি শাশন
- ইনছাফের পুলছেরাত অথবা ওয়াকিং অন দ্য এজ অব জাস্টিস
- বেক্তি বনাম শমাজ বনাম রাশ্টো
- বাপের জুলুম এবং জাতির আব্বারা
- খলিফা হইয়া ওঠা
- হিস্ট্রিওগেরাফি এন্ড পলিটিকেল লয়ালটি
শেখ মুজিবকে ‘জাতির আব্বা’ জারা কইতেছেন, তাদের এই জাতি আশলে কোনটা–বাংগালি নাকি বাংলাদেশি? বাংগালি জদি হয়, তাইলে এইটার জনম হয় ১৯৭১ শাল, তাইলে ‘হাজার’ বছরের ইতিহাশ কই গেলো!?
বাস্তবে এইটা বেশ রেছিস্ট আইডিয়া! এইখানে আশলে কইতেছে, রাশ্টো না থাকলে শেইটা খোড়া জাতি, এখনো ‘জাতি’ হইয়া ওঠে নাই। এইখান থিকাই বাংলাদেশের বাংগালি বাদে শবাইকে ওনারা ‘উপজাতি’ ডাকেন এবং বাংলাদেশটা ছেরেফ বাংগালির বইলা দাবি করতে থাকেন। এর শবচে খারাপ দিকটা হইলো, বাকি শবাইরে রাশ্টো বানাবার দিকে ঠেলতে থাকেন ওনারা, এবং এই কারনেই পাহাড়ে নিজেদের রাশ্টো বানাবার দরকার হইয়া পড়ে তাদের।
আর ঐ ‘জাতি’ জদি হয় ‘বাংলাদেশি’ তাইলে বাংগালি কে বা কারা, শেইটা এই রাশ্টে মোটামুটি ইরেলেভেন্ট, আরো আরো জাতি এই দেশে আছে, বাংগালিও আছে, তারা শকলে মিলা বাংলাদেশ নামে একটা কনফেডারেশন বানাইছে, জেমন বানাইছিলো ইশা খা। রেছিজমের বাইরে থিকা ‘জাতির আব্বা’ দাবি করতে হইলে এ ‘জাতি’ হইতে হবে বাংলাদেশি। এইখানে হুশিয়ার থাকা দরকার জে, জাতির আব্বা মানে জাতিরই আব্বা, এবং জাতি মানে তো কোন মানুশ না, মানুশের বাইরের কোন ইমাজিনড এনটিটি, মানে ব্যাপারটা বায়োলজিকেল না, এবং আমরা জে বেক্তি মানুশ, এই জাতির মেম্বার, আমাদের আব্বা না।
এখন বায়োলজিকেল না হইলে আব্বা মানে ছিংগুলার হবার তো দরকার নাই, অনেক আব্বা থাকতে পারে, শম্ভবও। ১৯৭২ থিকাই মরন তক শেখ মুজিব একজন ডাকু-শরদার হইলেও তার আব্বা হইতে বাধা নাই, ডাকুরা আব্বা হইতে পারে, বায়োলজিকেলি তো আরো বেশি পারে [এখনকার দুনিয়ার ১০% মানুশের ভিতর নাকি চেঙ্গিশ খানের জিন আছে! একজন ডাকু-শরদারও তো খমতার ঐ লেভেল এনজয় করে পেরায়ই।]
ফলে আমি দুই জন আব্বার কথা ভাবি, বাংলাদেশি জাতির অন্তত দুইজন আব্বা দেখতে পাই–ভাশানি এবং মুজিব; এবং বাংলাদেশের এই দুর্দশার জন্ন এই দুইজনকেই আমি দায়ি করি!
আমার হিশাবে শেখ মুজিব জে ডাকু-শরদার হইতে পারলো, বাকশাল কায়েম করলো, খুন হইলো, পরে শেখ হাসিনা জে নয়া বাকশাল কইরা হিটলার-এস্টালিনের মতো একজন হইয়া উঠতে পারলো, তার হিস্ট্রিকেল শর্ত জোগানিতে ভাশানিরে মস্ত দোশ দেই।
বাংলাদেশ নামের একটা রাশ্টের খোয়াব পয়লা দেখছেন ভাশানি; মোগল হিন্দুস্তান ভাগ হইয়া ইনডিয়া-পাকিস্তান এবং আরো কয়েকটা রাশ্টো হবার আগে ‘বাংলা’রে একটা রাশ্টো হিশাবে কেউ কেউ খোয়াব দেখছেন বইলা শুনতে পাই, বাট তাদের ছবিটা কতোটা কিলিয়ার আছিলো, কনফাম না আমি। তো, ছেরেফ খোয়াব দেখাই না, খোয়াবকে রিয়াল বানাইয়া তোলাতেও কাম করছেন ভাশানি। আওমি লিগ বানানি থিকা আইউব উৎখাতে লড়াই করছেন উনি; কিন্তু একদম আখেরি এস্টেজে জেই কামটা করছেন, শেইটাই পরের বাংলাদেশ পয়দা হওয়া শম্ভব করছিলো, তার লগেই বাংলাদেশ হবার পরের দুর্দশারও শর্ত জোগাইছে!
১৯৬৯ শালে পুবের পাকিস্তানে ভাশানি মস্ত নেতা, ১৯৭০ শালের ইলেকশনের আগে শেখ মুজিব ভাশানির থিকা বড়ো নেতা হইয়া ওঠে নাই। পুবের পাকিস্তানে মুছলিম লিগ বা ভুট্টোর দল জেন কোন ছিট না পায়, শেই জরুরত ভাশানি-মুজিব দুইজনেই ফিল করছে, বাংগালিদের বানানো/চালানো আরো কয়েকটা দলও শেইটা ফিল করছিলো। ভাশানি চাইলেই মুজিবের লগে মোর্চা বানাইতে পারতেন বা বাকিরাও; কিন্তু তা না কইরা ওনারা শবাই মুজিবরে বিনা শর্তে ময়দান ছাইড়া দিছেন, ছাইড়া দিয়া মুজিবরে নিজেদের চাইতে বড়ো নেতা হিশাবে মাইনা নিছেন! ভাশানির ভিতর এই ইনফিরিয়রিটি ১৯৫৪ শালেও দেখা গেছে, জখন উনি পাকিস্তানের পিএম হবার জন্ন ছোরাবর্দির লগে ফাইট দেন নাই! ১৯৭০ ইলেকশনে অমন মোর্চা বানাইলে বাংগালিরা শমান ছিটেই জিততো, কিন্তু ভাশানি-মুজিবের এমপি থাকতো পেরায় শমান শমান! ভাশানি মুজিবেরে ময়দান ছাইড়া দেওয়ায় মুজিব দেখলো, পুবের পাকিস্তান পুরাটাই তো তার, আর তো কেউ নাই! ভাশানি পলিটিক্সে পুরা ইরেলেভেন্ট হইয়া পড়লেন!
এইভাবেই বাংলাদেশের ফিরিডম-ওয়ার পুরাটাই আওমি লিগের দখলে গেলো, ১৭ এপ্রিলের শরকারটা পুরাই আওমি লিগের হইলো। পরের বাংলাদেশেও একই কথা, শেখ মুজিব তো একলাই, এই দেশটা জেন উনি বানাইছেন, আওমি লিগ বানাইছে, এইটা তাই ওনাদের তালুকদারি, জেমনে খুশি ভোগ করবেন!
এই তালুকদারি মনের ব্যাপারে দেশের জনতা জখন ভেটো দেওয়া শুরু করলো, তখন দেশের মানুশের বিরুদ্ধে জুদ্ধ শুরু করলেন মুজিব, বাকশাল বানাইয়া দেশটারে একটা জেলখানা বানাইয়া ফেললেন। কোথাও কোন আইন-কানুন থাকলো না, কয়জন তালুকদার আর বেশুমার গোলামে ভাগ হইয়া গেলো দেশ।
এই মওকাতেই কয়েকজন ঐ তালুকদারদের ঝাড়েবংশে খতম করতে খুন করলো কতোগুলা, তাতে গোলামদের ভিতর মুক্তির ফিলিং হইলো। পরে শেখ হাসিনা আইলেন বদলা নিতে, বদলা নিলেন, আবারো গোলাম বানাইলেন আমাদের, এইবার আমরা খেদাইয়া দিতে পারলাম তারে। ডাকু শর্দারের মাইয়া ভালো হইলে কি করবে শুরুতে? তার বাপে জে ডাকাত, শেইটা মাইনা নিয়া ডাকাতি ঠেকাইতে কাম করবে। শেখ হাসিনা তার পলিটিক্সের শুরুতে ঐটা মাইনা নিয়া ইনছাফ চাইতে পারতেন; ডাকাত খুনও খুন, ডাকাতের ছোট্ট বাচ্চাও শমান মাছুম; ডাকাতি শুরুর আগে শেই ডাকাতের ভালো কামও থাকতে পারে ইতিহাশে। এবং শে ডাকাত হইলেও বাপ আলবত! শাহাহান আওরঙ্গজেবের বাপই আছিলো, এবং বাপেরে বন্দিও করছিলো, দুইটাই শাচ্চা ইতিহাশ।
এখন ঝামেলায় পড়লাম আমরা কয়েকজন; জারা গোলামের মুক্তির চিৎকারকে দুনিয়ার শবচে বিউটিফুল জিনিশের একটা মানি, তার লগেই মানি বন্দির হক, ইনছাফের জরুরত বুঝি। আমরা জানি, তালুকদারি কেমনে গোলামের মনে পারভার্শন পয়দা করে, এবং শেই দায়ও তালুকদারের; গোলামির চিংকার জেন তালুকদারের পয়দা করা শেই পারভার্শন ময়লা কইরা ফেলতে না পারে–শেইটাই আমাদের মনজিলে মকছুদ বানাইতে হবে।
আমরা গোলামি চাই না, ঐ পারভার্শনও চাই না, তাই ঐ তালুকদারি কায়েম হইতে দিতে পারি না আমরা, শেই তালুকদার আগের গোলাম হইলেও।
#রকমশাহেরবয়ান, ১৫ আগস্ট ২০২৪
রক মনু
Latest posts by রক মনু (see all)
- হিস্ট্রিওগেরাফি এন্ড পলিটিকেল লয়ালটি - অক্টোবর 18, 2024
- খলিফা হইয়া ওঠা - সেপ্টেম্বর 2, 2024
- আমাদের নিয়ত এবং বাংলাদেশের ফিউচার - আগস্ট 25, 2024