Main menu

ডাকনামের পলিটিক্স Featured

This entry is part 14 of 14 in the series রকম শাহ'র বয়ান

বাংলাদেশের লগে শবচে বেশি বর্ডার শেয়ার করে জেই দেশ, তার নাম কি? ইনডিয়া। এইটাই তো নাম, নাকি? তাইলে বাংলাদেশের মিডিয়াগুলা ‘ভারত’ নামে একটা দেশ আছে বইলা লেখে, ঐটা কোন দেশ!? বাংলাদেশের বহু আতেল বয়াতিও কয়, আজকে হজরত জাহেদ নামে এক বয়াতির ইউটিউব বয়ান শুনলাম, উনিও বারবার ভারতের কথা কইতেছিলেন, কোনটা শেই দেশ!?

কোন একটা দেশকে কোন নামে ডাকা উচিত আমাদের? এই পোশ্নের জবাব খুব শোজা, ইউএন-এ জেই নামে কোন একটা দেশ মেম্বারশিপ নিছে, ঐটাই তার ইন্টারনেশনাল নাম। তাই ইউএছএ নামে ডাকা উচিত, আমেরিকা বলা/লেখার বদলে। ইউএছএ-কে আমেরিকা নামে ডাকার ভিতর দিয়া আমরা আশলে বেরাজিল বা চিলি বা কানাডারে গায়েব কইরা দেই; ওদিকে, ইউএন’কে হিশাবে রাখলে আমেরিকা বা ইউরোপ বা এশিয়া–এইগুলা অফিশিয়ালি কিছু মিন করে না, কেননা, ঐটা দুনিয়ার রাশ্টোগুলার অর্গানাইজেশন, কন্টিনেন্ট শেইখানে অফিশিয়ালি ব্যাপার না কোন! তবে, কোন কোন ব্যাপারে আমাদের ডিফরেন্ট মোরাল পজিশন থাকতে পারে, ইউএন’কে আমরা পেরেশার দিতে পারি তারে না মাইনা! জেমন ধরেন, প্যালেস্টাইনকে আমরা একটা ফুল রাশ্টো হিশাবে দাবি করতে পারি, ইউএছএ আর ইজরায়েল জেইটা হইতে দিতে নারাজ!

এখন তাইলে আমাদের ভাবা দরকার, ইনডিয়ার ব্যাপারেও কি তেমন কোন মোরাল পজিশন আছে আমাদের? ইউএছএ’র ব্যাপারে নাই খুব শম্ভব, ঐটারে আমরা আমেরিকা ডাকি ছেরেফ হেবিটের কারনে হয়তো, আর নামের ভিতরে আছেও তো, আবার ঐটাতে বাস্তবে তেমন কোন লাভ-লোকশান নাই, বেহুদা তর্ক! কিন্তু ইনডিয়ার ব্যাপারেও কি আলাপটা বেহুদা?

হজরত জাহেদ বা বাংলাদেশের মিডিয়া বা আতেল বয়াতিরা জখন ইনডিয়ারে ভারত কয়/লেখে, তখন কি ঘটে আশলে, এইটা লইয়া আমাদের কি মাথা ঘামানো আদৌ দরকার আছে, নাকি বেহুদা আলাপ!?

ইনডিয়া তার কন্সটিটুশনে আরেকটা নাম হিশাবে ‘ভারত’ লেইখা রাখছে শেই ১৯৫০ শালে, নিজেদের এই নামে ডাকে তারা, নিজেদের দেশের ভিতর, ইন্টারনেশনাল নাম জদিও ‘ইনডিয়া’। আরেকটা দেশ, দেশের মিডিয়া বা লোক হিশাবে আমরা কি আরেকটা দেশকে তার ইন্টারনেশনাল নামে ডাকবো, নাকি তার কন্সটিটুশন পইড়া তার ইন্টারনাল নামে ডাকবো? বাংলাদেশের হজরত জাহেদ বা আরো আরো লোক বা মিডিয়া দেখা জাইতেছে, ইনডিয়ার কন্সটিটুশন পইড়া তার ছেকেন্ডারি নাম, জেইটা কিনা একান্তই ইন্টারনাল, শেই নামে ডাকতেই আরাম পায়! কেন এমন? তাতে ঝামেলাটাই বা কি?

এইখানে আমাদের বুঝতে হবে, ‘ভারত’ কি। ‘ভারত’ হইলো ইতিহাশ ছাইড়া মিথের দিকে হাটা শুরু করা এবং মিথ মোতাবেক ইতিহাশ বানাবার ধান্দা। এইখানে শুরুতেই খেয়াল করা দরকার জে, আজকের ইনডিয়ার বিজেপি-শিবশেনাদের ইতিহাশভাবনা এবং পলিটিক্সের গোড়াটা জে কংগেরেছেই আছিলো, শেইটা পাওয়া জাইতেছে ঐ ১৯৫০ শালে কংগেরেছের বানানো ইনডিয়ার কন্সটিটুশনের ভিতরেই! কেননা, মিথ (মহাভারত) মোতাবেক ‘ভরত’ আছিলেন ‘আর্জাবর্তে’র বাদশা, হিমালয় থিকা শাগর তক আছিলো তার এম্পায়ার বা বাদশাহি এবং শেই বাদশাহির নামই ভারত। খেয়াল করেন, শুরুটাই হইতেছে রেছিস্ট জমিনে, এরিয়ান দেশ হিশাবে দাবি করা হইতেছে এইখানে, রেশিয়াল ছুপ্রিমেছিতে শুরু হইতেছে বয়ান।

তারপর দ্যাখেন, এই ‘ভরতে’র কোন হিস্ট্রিকেল বা আর্কিওলজিকেল এভিডেন্স নাই মিথ/পুরান-বেদের বাইরে। ওদিকে, এইটারে আমরা নিতে রাজি হইলেও হিমালয় থিকা শাগর মানে আজকের পাকিস্তানের শিন্ধু নদির দুই পাড় ধইরা হিমালয় থিকা আরব শাগরে গেলেই তো মিলতেছে হিশাব! কিন্তু না, মিথের শুবিধা মোতাবেক এইটারে মনের খায়েশ মোতাবেক ছড়ানো জাইতেছে–আজকের বিজেপির ইতিহাশভাবনায় এই ভারতের মানে উত্তরে হিমালয়, পচ্চিমে হিন্দুকুশ পাহাড়, দখিনে ইনডিয়ান ওশেন, পুবে লাওছ-কম্বোডিয়া পার হইয়া এমনকি ইন্দোনেশিয়াও এই ভারতের ভিতরে। ইনডিয়া নিজেরে ‘ভারত’ নামে ডাকতে/ডাকাইতে চায় ঐ রেছিস্ট দেমাগ আর মিথ মোতাবেক ইতিহাশ বানাবার খোয়াব এবং ফিকির করার বাশনায়। আমরা কি জয়েন করবো তাতে?

এখন ভাবেন তো, হজরত জাহেদ তার এই ভিডিও বয়ানে শরকারি বয়াতির কাম করতে নাইমা হজরত আসিফ নজরুল, মতি-মাহফুজ আনামের মিডিয়া ইত্তাদিরে ডিফেন্ড করতে নামছেন, কেননা, কেউ কেউ ওনাদের হজরত জাহেদের ভাশায় ‘ভারতের এজেন্ট’ কইছে; মানে ইনডিয়ারে ‘ভারত’ নামে ডাকা লোকজনরে ডিফেন্ড করতে নামছেন এমন একজন জিনি নিজেও ইনডিয়ার বিজেপির ইতিহাশভাবনার গাহেক হইয়া ইনডিয়ারে ভারত নামে ডাকেন।

আমি তাইলে কইতেছি জে, ইনডিয়ার এজেন্ট মানে ইনডিয়ার এজেন্সির চাকরি করা না, ইনডিয়ারে ছেরেফ ভারত নামে ডাইকাই ইনডিয়ার এজেন্ট হওয়া জাইতেছে এবং শেইটা শর্ব-হজরত জাহেদ বা মতি-মাহফুজ বা পিনাকি বা ইলিয়াসও হইতে পারেন! বুইঝা বা না বুইঝা ইনডিয়ার অফিশিয়াল ইতিহাশভাবনার গাহেক হইয়াই ইনডিয়ার ইতিহাশ আর খোয়াবরে আগাইয়া দিতে পারেন আপনে, এবং ঐটাই ইনডিয়ার এজেন্ট হওয়া!

এই ইতিহাশভাবনায় কেন এজাজত দিয়া আপত্তি করা দরকার আমাদের? ধরেন, আমি আপনারে কইলাম, আজকে থিকা আমি তোর বাপ, আমারে আব্বা ডাকবি, তোর বংশ একদিন একটা মহা জাতি হবে, আমি হবো শেই জাতির আব্বা। আপনে কি তখন আমার কেন জাতির আব্বা হওয়া উচিত না, বরং আপনের নিজের হওয়া উচিত–শেই আলাপ করবেন, নাকি আমি আদৌ আপনের বাপই না, শেই আলাপ করবেন? আমি জেমন হাসিনা রেজিগনেশন চাই নাই কখনো, হাসিনার কাছে কখনো কোন আবদার করিও নাই, করতে মানাও করছি শবাইরে, অন্তত ২০১৪ শালের পর থিকা, কেন? কারন, হাসিনা ২০১৪ শাল থিকাই বাতিল পিএম আমার কাছে, জবরদখলকারি, তার রেজিগনেশন চাইলেও শুরুতেই তারে হক/বৈধ পিএম হিশাবে মাইনা নিতে হয়! বাতিল হইলো বাতিল, তার কাছে চাওয়া জায় না কিছু, চাইলেই তারে মোরাল এজাজত দেওয়া হয়, এবং শেইটাই তার পেরাইমারি এজেন্ডা! জে কোন জবরদখলকারি শুরুতেই চায়, তার কাছে আবদার পেশ করুক তার দখলের লোকজন, গোলামদের জে মালিকরা পিটাইতো, তার পিছে আছে ঐ ছাইকোলজি। ঠিক এইশব মাজেজা/মোটিভ থিকাই ইনডিয়া চায়, আমরা তারে ‘ভারত’ নামে ডাকি! তাই দেখবেন, ইনডিয়ার কলামিস্টরা বাংলাদেশের মিডিয়ায় লিখলে ইনডিয়া না লেইখা ভারত লেখে, আজকেও বাংলা-টিরিবিউনে পড়লাম একটা! ভারত নামে ডাইকা হিমালয়ের দখিনের এই তাবত জমিনে ইনডিয়ার দাবি এবং এখতিয়ারে মোরাল এজাজত দিয়া ফেলি আলগোছে, ইনডিয়ার কান্ধে চইড়া ইতিহাশ থিকা তার পছন্দের মিথে ঢুইকা পড়ি আমরা, ফলে ‘দেশভাগ’ লইয়া আমাদের বেশুমার কান্দন আশতে থাকে!

কিন্তু ইতিহাশের এই শব খুটিনাটি এখনো কমনছেন্স হইয়া ওঠে নাই, তাই ন্যারেটিভের অমন ফান্দে পড়াকে আমরা কতকটা বেনিফিট অব ডাউট দিতেই পারি! তবে ইনডিয়ার অফিশিয়াল ঐ মিথিকেল ইতিহাশ এবং দাবির মায়া কাটাইয়া ওঠা দরকার আমাদের এবং একদিন হজরত জাহেদরা বুঝবেন, এমনটাই আশা করি আমি; শেই আশাতেই কইলাম অতো কথা।

বরং আরো কয়েকটা ব্যাপার একটু নাড়াচাড়া করা জাইতে পারে। দ্যাখেন, মনে-হুশে-চেতনে ইনডিয়ার দালাল হইতে ঐ ইতিহাশভাবনা লাগেও না আশলে! আপনে জদি এইটা মানেন জে, হাসিনা এবং তার আওমি-বাকশালি দখলদার শরকার আছিলো ইনডিয়া নামের রিজিওনাল মোড়লের তাবেদার লোকাল মাফিয়া, তাইলে এই হাসিনা এবং আওমিনাগর জে কেউ অটোমেটিক ইনডিয়ার দালাল হইয়া পড়ে কিনা? এখনকার বাংলাদেশের মুজিবছানারা কেন ইনডিয়ার অটো-দালাল না, জুক্তি দিয়া বুঝান আপনে। আরেক দিক দিয়া ভাবেন, বাংলাদেশে ইনডিয়া কারে খমতায় দেখতে চাইবে–আমারে নাকি একজন মুজিবছানারে? আমার কাছে নাকি একজন মুজিবছানার কাছে বাংলাদেশে ইনডিয়ার শার্ধ নিরাপদ?

এখন কন তো, হজরত আসিফ নজরুল, মতি-মাহফুজ, ফারুকি, শাখাওয়াত–এরা কি মুজিবছানা না? এরা কি এমনকি হাসিনারে খেদাইয়া দেবার পরেও আওমি লিগের তারিফ করে নাই? শেখ মজিবরের বাকশাল জে ফেছিজম আছিলো, উনি আর রঠা আছিলেন হাসিনার বুনিয়াদি ঝান্ডা, এইটারে তারা অশিকার কইরা জাইতেছে না হরদম? কোন জুক্তিতে ওনাদের তাইলে আমরা ইনডিয়ার দোস্ত না বইলা পারি, ইনডিয়ার এজেন্ট হইতে আর কি লাগে–পে চেক দেখাইতে হবে!?

হজরত জাহেদের একটা জুক্তি হইলো, হজরত আসিফ নজরুলরা হাসিনা খেদানি মুভমেন্টে কতোটা শরিক আছিলো, শেইটা খেয়াল করলেই ওনাদের আর নিন্দা করার উপায় থাকে না! আজব জুক্তি। আইউবরে খেদাইতে ভুট্টো শবচাইতে বড়ো মুভমেন্ট করছিলেন, তাতে কি উনি আদৌ কম কম পচ্চিম পাকিস্তানি আছিলেন? ওদিকে, উনিই কিন্তু (খুব শম্ভব) ড. সলিম খানদের দিকে ইশারা কইরা কইতেছেন জে, একদম লাস্ট মোমেন্টে বড়ো বড়ো কথা কইছে হাসিনার বিপক্ষে, কিন্তু ২০১৮ শালের ইলেকশনের পরেও হাসিনার লগেই আছিলেন ওনারা! মানে মনে হাসিনার লগে থাইকাও হাসিনার বিপক্ষে পজিশন লওয়া জায়; তাইলে ঐটা কেন হজরত আসিফ নজরুলের বেলায় খাটবে না? আবার রেভলুশনের পরে কি কেউ পজিশন পাল্টাইতে পারে না? বাস্তবে বহু লোকই এইটা করছে; ছাত্রজনতার লিডারদের ভিতর শিবিরের ২/৩ জন বাইর হবার পরে জুলাই রেভলুশনে শরিক হওয়া অনেকেই ধোকাবাজির নালিশ করছেন এবং এমনও কইছেন জে, আগে বুঝলে তারা নামতেন না, হাসিনার কথায় তখন একিন না কইরা ভুল করছেন তারা! শবচে মজার ব্যাপার হইলো, শেখ মজিবরের ব্যাপারে হাসিনা জেই বেলাছফেমি আইন করছিলো, তার পিছের জুক্তি আছিলো ঠিক এইটাই! মানে, উনি জেহেতু বাংলাদেশ পয়দা হবার ঘটনায় মস্ত পাটে আছিলো, তাই পরের শেখ মুজিবের বিপক্ষে কোন আওয়াজ করা জাবে না, বেলাঙ্ক চেক দিতে হবে ওনারে! হজরত জাহেদের আবদার, হজরত নজরুলদেরও তেমন বেলাঙ্ক চেক দিতে হবে।

হজরত জাহেদ ছিরিয়ার কথাও টানছেন, বাশার আছাদ পালাবার পরে তার পিএম থাইকা জাওয়া, ছিরিয়ার পাওয়ার টেরান্জিশনের লগে বাংলাদেশের পেছিডেন রাইখা দেবার ঘটনারে মিলাইছেন। কেমনে জে মিলাইলেন! বাশার আছাদ আছিলেন ছিরিয়ায় হেড অব এস্টেট, বাংলাদেশে শেইটা হাসিনা নাকি পেছিডেন চুপ্পু? ছিরিয়ায় নতুন কেউ পেছিডেন হবেন, এখন হেড অব এস্টেট নাই কোন, পিএম হেড অব এস্টেট না, বিপ্লবিদের মর্জি মোতাবেক কাম করবেন উনি, করতে বাদ্ধ; কিন্তু বাংলাদেশে পেছিডেন চুপ্পু কি ছিএ হজরত ইউনুসের নিচের কেউ, নাকি খোদ হজরত ইউনুসই অফিশিয়ালি নিচের পোস্টে আছেন?

এইখানেও হজরত জাহেদ মজার বাহানা করতেছেন একটা; ছিরিয়ার কথা আনলেও এইটা চাইপা গেছেন জে, ছিরিয়ার কন্সটিটুশন ৩ মাশের জন্ন মুলতবি রাখা হইতেছে, ৩ মাশে দরকারি ধোলাইয়ের পরে কন্সটিটুশন ফিরবে বইলা জানাইতেছে বিপ্লবিরা।

হজরত জাহেদ নালিশ করছেন একটা–জারা বিপ্লব কইতেছে, হাসিনার কন্সটিটুশন মুলতবি/বাতিল করতে কইতেছে, পেছিডেন চুপ্পুরে শরাইতে চাইতেছে, তারা একটা চরম রাইটিস্ট বিপ্লব করার ধান্দা করতেছে আশলে! তার নালিশের তির ফরহাদ মজহার-পিনাকি-ইলিয়াসদের দিকে, এই ব্যাপারে আমি নিজেরেও রাখলাম, চুনোপুটি হিশাবে আমি ওনার রাডারে না থাকলেও।

উনি পিনাকি-ইলিয়াসদের বানোয়াট নালিশের কথা কইতেছেন, আবার নিজেই ১০০% বানোয়াট নালিশ করতেছেন! কোন একটা দিক থিকা রাইটিস্ট বলা জায়, তেমন কোন কন্সটিটুশন/রাশ্টো বানাবার দাবি আমরা কবে করলাম? জেই ফরহাদ মজহার বহু কিছিমের বিপ্লবের কথা আগে কইছেন, শেই লোকও তো হয়তো আমাদের চাপেই কিলিয়ার কাট কইছেন জে, উনি একটা ‘বুর্জোয়া ডেমোক্রেছি’ চাইতেছেন, আমিও ‘লিবারাল ডেমোক্রেছি’র কথা কইছি, হজরত জাহেদের শামনে, এক লগে বশা মজলিশেই কইছি, পিনাকিও কইছে; আমাদের নালিশ হাসিনা, তার বানানো কন্সটিটুশন এবং ফেছিজমের বিপক্ষে, এইটারে খেদাইতে চাইছি আমরা, হাসিনার পালানোতেই ফেছিজমের উৎখাত হয় নাই বইলা দাবি করতেছি আমরা।

এই আমরা রাইটিস্ট আর হাসিনার ফেছিস্ট কন্সটিটুশন খুব ছেন্ট্রিস্ট? ইনডিয়ার বিজেপি আর তাদের ইতিহাশভাবনার লগে মিলানো, বাংলাদেশের মানুশকে ‘বাংগালি’ নামে পরিচয় করাইয়া দেওয়া রেছিজম রাইটিস্ট না, রাইটিস্ট হইলাম আমরা জারা জাস্টিছ, হিউম্যান ডিগনিটি, ফিরিডম অব কনশ্যেন্স, লিবারাল ডেমোক্রেছির কথা কইতেছি, দাবি করতেছি, তারা? বড়োই আজব নালিশ!

ওনাদের ছেন্ট্রিস্ট হওয়া বলতে কি বোঝায়, একটু খেয়াল করেন আপনারা:

১. হাসিনার বানানো জুডিশিয়ারি, হাসিনার চামচা ফোর্থ কেলাশ উকিলগুলারে জজ বানাইয়া গত ১৫ বছরে জেই জুডিশিয়ারি হাসিনা বানাইছে, শেই ছিস্টেম আর জজেরা বহাল থাকা/রাখা।

২. হাসিনার বুরোক্রেছি বহাল রাখা; আদালতে কতো জনের নিয়োগ বাতিল হবার পরেও তাদের পোরমোশন এবং নয়া পোস্টে আমলাগিরি করতে থাকা।

৩. হাসিনার ছাত্রলিগের আখড়া বানানো পুলিশ বহাল রাখা, পুলিশের পারমিশন লইয়া পলিটিক্স, রিমান্ড, লাঠিপেটা, ডিজিটাল ছিকিউরিটি এক্ট, পাবলিক দপ্তরে পারমিশন লইয়া ছবি তুলতে হবে–এমন শকল কালাকানুন বহাল রাখা।

৪. হাসিনার করা হাজার হাজার মামলা এখনো চলতে থাকা, শেই শব মামলায় এখনো জেলে ভইরা রাখা।

৫. হাসিনার কন্সটিটুশন, জেইটার ভিতর দিয়া জেইটারে পাল্টাবার কোন উপায় না, শেইটারে বহাল রাখা।

৬. জুলাই রেভলুশনের শকল মেমোরি একে একে গায়েব কইরা ফেলা; একটা পাবলিক আর্কাইভ এখনো করতে না পারা, এমনকি শহিদদের একটা লিস্টি, আহতদের একটা লিস্টি এখনো করতে না পারা।

৭. হাসিনার কোলাবরেটররা বহাল তবিয়ত থাকা।

৮. হাসিনার শাশন জে আদৌ ফেছিজম আছিলো, শেইটাই শরকারিভাবে শিকার না করা।

৯. হাসিনা এবং আওমি লিগেরে কেমনে পলিটিক্সে ফেরত আনা জাবে, শেই ব্যাপারে শরকারিভাবেই মদদ দেওয়া।

১০. গুম-খুন-আয়নাঘর ইত্তাদি লইয়া এখনো কোন ফর্মাল ইনভেস্টিগেশন শুরু না করা।

১১. বাজার ছিন্ডিকেটকে আরামে রাখা।

তো, এই হইলো ওনাদের ছেন্ট্রিস্ট হওয়া; বাংলাদেশে ওনাদের এমন ছেন্ট্রিস্ট হওয়ার বাইরে ইনডিয়ার জন্ন লাইকেবল ঘটনা বাকি থাকে কি আর…!

#রকমশাহেরবয়ান ১৩ ডিশেম্বর২০২৪

Series Navigation<< নেচারাল হ্যাবিট্যাট, হিস্ট্রিওগ্রাফি এবং রেডিকালাইজেশন
The following two tabs change content below.
Avatar photo

রক মনু

কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →