Main menu

নেচারাল হ্যাবিট্যাট, হিস্ট্রিওগ্রাফি এবং রেডিকালাইজেশন

This entry is part 13 of 14 in the series রকম শাহ'র বয়ান

পোজেক্টটা বুঝতে হবে আপনাদের।

ইজরাইল রাশ্টো পয়দা হবার আগে জায়নিজম কি, শেইটা ভালো বোঝা জায় নাই; ফিলিস্তিনে আগেই কতোগুলা রায়ট ঘটার পরেও অনেকেই খুব শম্ভব জায়নিজমের ব্যাপারে মায়া করতেন। ইসকনকে আপনার বুঝতে হবে জায়নিজমের প্যারালাল হিশাবে উইথ এ পোস্ট-কলোনিয়াল ফ্লেভার।

ইসকনের পোজেক্টটা কেমন তাইলে? ছেরেফ ইসকনে নজর দিয়া এইটা বুঝবেন না, বরং এইটারে পলিটিকেল এবং কালচার-ছিভিলাইজেশনাল হিস্ট্রিওগেরাফির কনটেক্সটে বশাইয়া বুঝতে হবে।

পোস্ট-কলোনিয়াল এবং ছিভিলাইজেশনাল ইশুটা বুঝতে মাথায় রাখতে হবে বিবেকানন্দকে। বিবেকানন্দ ‘ছিভিলাইজেশনাল প্রাইড’-এর ছবক দিয়া গেছেন, কলোনিয়াল ইনডিয়ায় বড়ো হইয়াও। এই গর্বের গোড়ায় আছে ইউরোপিয়ানদের বরাবর এরিয়ান হিশাবে নিজেদের ইংরাজের ‘রেশিয়াল কাজিন’ মনে করা। এনশিয়েন্ট ইনডিয়া হইলো এরিয়ান কির্তি, তাই শেই এরিয়ানদের বাছুর হিশাবে বামুন-খত্রিয়েরা গর্ব করতে পারে এবং ইংরাজের কলোনিয়াল শাশনের ভিতরেও ঐখান থিকাই বিবেকানন্দের দেমাগ এবং গর্ব পয়দা হইছে।

এই ভাবনার ভিতর রেছিজম থাকলেও এইটা ততো ঝামেলার হইতো না; ঝামেলা হইতেছে তখন, জখন এই নজরে পুরা হিন্দু-শনাতন ধর্মরে বোঝাবুঝি শুরু হইলো এবং কওম/কম্যুনিটি উতরাইয়া ঐ জায়নিজমের মতোই হিন্দু-শনাতনিদের ‘নেচারাল হ্যাবিট্যাট’ হিশাবে ইনডিয়ারে দেখা শুরু করলো কংগেরেছি-আরএছএছ-বিজেপির হিস্ট্রিওগেরাফি।

‘নেচারাল হ্যাবিট্যাট’ আইডিয়াটা একটু বোঝা দরকার আমাদের: জেমন ধরেন, ইলিশ মাছের নেচারাল হ্যাবিট্যাট আছে বা কাদা-কাকড়া বা শুন্দরবনের হরিনের বা ঘুঘুর বা পেংগুইনের; এই ছেইম আইডিয়া মানুশের বেলায় খাটে না, মানুশের কালচারাল এচিভমেন্ট তার ছার্ভাইভাল খমতা এতোই বাড়াইয়া দিতে পারছে জে, এমনকি পুরা এই পিথিবি তো বটেই, মংগলকেও তার হ্যাবিট্যাট ভাবতে শুরু করছে! মানুশের বেশুমার খমতা থাকবার পরেও এমনকি মানুশের একটা ধর্ম বা রেছ বা জাতি নিজের ‘নেচারাল হ্যাবিট্যাট’ হিশাবে জখন কোন একটা জমিনকে শাব্যস্ত করে তখন হাজার হাজার বছর ধইরা মানুশের মাইগ্রেশনকে অ্যাবনর্মাল হিশাবে ধরা হইতেছে! দুরে দুরে চইলা গেলেও ঐ ভাবনা ঐ ধর্ম বা রেছ বা জাতিকে শেই ইমাজিন্ড/কল্পনার নেচারাল হ্যাবিট্যাটে ফিরতে ডাকতে থাকে! জায়নিজম ঠিক এই কামটাই করে এবং তার ফলাফল হিশাবেই আমরা প্যালেস্টাইনে জেনোছাইড দেখতেছি! পিছনের মোরালটা এমন জে, ফিলিস্তিনিরা, ইহুদি বাদে জে কেউ প্যালেস্টাইনে আশলে দখলদার, মাইগ্রেশন জেইখানে অ্যাবনর্মাল! তাই ইতিহাশের শকল নড়চড় আনডু করতে চায় ইজরায়েল, জেইখানে কিনা খোদ তাদের ক্লেইমটাই খুবই মিথিক্যাল, অন্তত জায়নিস্ট একিন মাত্র, জায়নিজমের বাইরের মানুশের তেমন একিন থাকার পক্ষে হিস্ট্রিকেল এভিডেন্স পেরায় গরহাজির!

জায়নিজম খুব শম্ভব তাদের নেচারাল হ্যাবিট্যাটের আইডিয়া উনিশ শতের জার্মান ওরিয়েন্টালিজম থিকা নিছে, কিন্তু ঐটার ফর্মুলেশন জায়নিস্টদের (থিওডোর হার্জেল) হাতেই এবং মর্ডান ইনডিয়া আবার জায়নিজমের কাছেই ঐ ফর্মুলেশনের ছবক লইছে।

ইনডিয়ার রেছিস্ট এরিয়ান-দেমাগি বামুন-খত্রিয়েরা তাদের নেচারাল হ্যাবিট্যাট হিশাবে জেই জমিনকে শাব্যস্ত করছে তার নাম ‘ভারত’; এইটার শিমানা হইলো পচ্চিমে হিন্দুকুশ মাউন্টেন, উত্তরে হিমালয়, দখিনে ইনডিয়ান ওশেন, পুবের শিমানা একটু ঝাপশা, মৌরিয়ান-মুঘল-বিটিশ ইনডিয়ার পুবের শিমানা খুব শম্ভব, আজকের অর্থে মায়ানমারের পচ্চিম শিমানা। তাদের নেচারাল হ্যাবিট্যাটের এই আইডিয়া মোতাবেক তাইলে এই জমিনে শকল মাইগ্রেশন অটোমেটিক বাতিল–ছেরেফ মানুশ না, চিন্তা এবং ধর্মও! কিন্তু খোদ ঐ এরিয়ান-দেমাগি বামুন-খত্রিয় নিজেই তো হিজরত কইরা এইখানে আশছে–তাইলে উপায়?

এই প্যারাডক্স মিলাইতে তাদের হিস্ট্রিওগ্রাফি ‘আউট অব ইনডিয়া’ থিয়োরি পয়দা করছে! এই থিয়োরি মোতাবেক এরিয়ানরা ইনডিয়ায় আশে নাই, বরং বাকি দুনিয়ায় এরিয়ানরা গেছে ইনডিয়া থিকা, ওনাদের ‘ভারত’ই এরিয়ানদের আদি নিবাশ, জদিও শকল হিস্ট্রিকেল-আর্কিওলজিকেল-জেনেটিক এভিডেন্স ওনাদের হিস্ট্রিওগ্রাফির উল্টা! শদগুরু, ছাই দিপক, অভিজিৎ চাড্ডা–এমন কতোগুলা লোক এই হিস্ট্রিওগ্রাফি ফর্মুলেশনে কাম করতেছে এখন। এবং ওনাদের মতের এই আদি এরিয়ানদের ধর্ম হইলো শনাতন ধর্ম, কেতাব হইলো বেদ, ইতিহাশ হইলো রামায়ন-মহাভারত, তাই হিন্দু-শনাতনিদের নেচারাল হ্যাবিট্যাট হইলো ‘ভারত’।

তাই এই জমিনে পয়দা হয় নাই, এমন শকল গোড়ার মানুশ বা চিন্তা বা ধর্ম মানেই বিদেশি ইনভেডার; এবং তাই পাকিস্তান বা বাংলাদেশ বা মোছলমান বা আরবি হইলো বিদেশি দখলদার, এই দুইটা রাশ্টো অটোমেটিক বাতিল! জেই জুক্তিতে ইজরায়েলের জায়নিজমের হিস্ট্রিওগ্রাফির কাছে ফিলিস্তিনিরা দখলদার, শেই জুক্তিতেই পাকিস্তান-বাংলাদেশের মোছলমানরা ‘ভারত-ভুমি’র দখলদার, বিদেশি ইনভেডার। শেই কারনেই পুরা ইন্ডাছ ছিভিলাইজেশন আজকের পাকিস্তানে পড়লেও তার মালিকানার দাবি করতে পারে ইনডিয়া এবং ঐটারেও ইনডিয়ান-এরিয়ান (ওনাদের মতে এরিয়ান মানেই নেচারালি ইনডিয়ান!) ছিভিলাইজেশন হিশাবেই দাবি করে তারা।

তাইলে একটা হিস্ট্রিওগ্রাফি পাইতেছেন, এইবার এইটার পলিটিকেল পোজেক্টটা খেয়াল করেন। এই হিস্ট্রিওগ্রাফির পলিটিকেল এজেন্টের নাম বিজেপি, তাদের পলিটিকেল পোজেক্ট হাছিল করাই বিজেপির পলিটিকেল ডিউটি। মানে হইলো, ‘ভারত-ভুমি’ থিকা দখলদার খেদানো, হিন্দু-শনাতনিদের নেচারাল হ্যাবিট্যাট ফেরত লওয়া। এবং ঐ হ্যাবিট্যাট হইলো ঐ শিমানার ভিতরের পুরাটা, মানে ‘ভারত-ভুমি’, জদিও ওনাদের মিথের খোদ শেই ‘ভারত’ আশলে এখনকার ইনডিয়ার মহারাশ্টের ছোট্ট একটা জমিন!

এই পলিটিকেল পোজেক্ট হাছিল করতে শুরুতেই দরকার হইলো, ঐ জায়নিজমের মডেলেই দুনিয়া শকল হিন্দু-শনাতনির ইউনিফিকেশন। এইটা কেমনে শম্ভব, জদি কিনা এই জমিনের শনাতন ধর্মে বহুভাগ, বেশুমার দেব-দেবি, বহু জাত-বর্নে ভাগ হইয়া আছে! ইতিহাশে এই ভাগগুলার ভিতর মারামারিও হইছে বেশুমার; তাইলে উপায় হইলো, কোন একটা ইউনিফাইড পরিচয় বানানি! তাই বাদশা অশোক হিন্দু-শনাতনিদের জেনোছাইড করলেও তারে ছেরেফ এরিয়ান বাদশা হিশাবে দ্যাখে তারা, এই ‘ভারত-ভুমি’র কির্তিমান বাছুর বা শন্তান। বাস্তবে ওনাদের ‘ভারত-ভুমি’র শিমানার আইডিয়া অনেকখানি খাড়াইয়া আছে অশোকের এম্পায়ার আর আকবর-আওরঙ্গজেবের হিন্দুস্তানের ম্যাপের উপর! লগে ছেরেফ জোগ হইছে তামিলনাডু।

এই ইউনিফিকেশনের ভিতর একটা পোস্ট-কলোনিয়াল ফেলেভার আছে; শেইখান থিকাই ‘শনাতনি’ নামটা এখন এতো শুনতেছেন। ঐ হিস্ট্রিওগ্রাফিতে ‘হিন্দু’ হইলো বিদেশিদের দেওয়া নাম, এইটারে এখন তারা দেখতে চায় আমেরিকায় ‘নিগার’ শব্দের বরাবর হিশাবে। তার উপর হিন্দু কইলেই জাত-পাত-বর্নের ভাগাভাগি ভাইশা ওঠে। এই দুইটা মুশকিলের আছান ঘটাইতেই নিজেদের রিনেম কইরা ‘শনাতনি’ হইছেন তারা।

কিন্তু ছেরেফ নাম পাল্টাইলেই তো হবে না; আরো দরকার ইউনিফাইড গড, নবি, মচ্ছব, পলিটিকেল আইকন, জিকির। ইসকনের দায়িত্ত ঠিক এইখানে।

ইউনিফাইড গড-কাম-নবি হইলেন কানাই (জেছাছের ফর্মে ভাবেন, জে গড, শে-ই নবি।), জিকির হইলো, ‘জয় ছিরিরাম’, পলিটিকেল আইকন (রাশ্টের মডেলও) হইলেন ‘রাম (মোছলমানদের খিলাফতের আইডিয়া দিয়া এইটার মর্ডান ফর্মুলেশন ঘটাইছে।)’, মচ্ছবের নাম ‘হোলি’। ধর্ম-কেতাব হইলো ‘বেদ’, ইতিহাশ হইলো ‘রামায়ন-মহাভারত’।

ইসকন শারা দুনিয়ায় দরকারি ঐ ইউনিফিকেশনের কাম করতেছে, কানাই-পিরিতির ছবক দিয়া হিন্দু-শনাতনিদের রেডি করতেছে (পিরিতির পলিটিক্স কেমন, শেই ব্যাপারে আমার আরেকটা লেখা পড়তে কইবো।)

এইটা ভক্তির (পিরিতি+রেছপেক্ট) ফর্মে কাম করবে, ঐ হিস্ট্রিওগ্রাফিতে জেই বাতিল রাশ্টো পাকিস্তান আর বাংলাদেশ আছে, শেইখানকার হিন্দু-শনাতনিদের ইউনিফাই করবে, ‘নিখিল ভারত’ হিস্ট্রিওগ্রাফির ছবক দিয়া তাদের মনে ‘হেচারাল হ্যাবিট্যাট’, এরিয়ান-ছিভিলাইজেশনাল দেমাগ জাগাইয়া তুলবে, এবং ‘নিখিল-ভারত’-এর তরে জান কোরবান করার মতো হিম্মত পয়দা করবে হিন্দু-শনাতনি মনে। এমন হিম্মত জেইটা ‘শাতিমে রাছুল’-এর ব্যাপারে বহু মোছলমানের রিয়েকশনের বরাবর রিয়েকশন দেবার তাকত পয়দা করবে হিন্দু-শনাতনিদের মনে, তারা জাতে রাম বা কানাই’র ব্যাপারে ছেইম রিয়েকশন দিতে পারে।

আমাদের আরো বুঝতে হবে, কেন ইসকনের এই ফর্মেই কাম করতে হয়, হরেক বাহানা বাদ দিয়া আরো ডাইরেক হবার উপায় নাই! খেয়াল করেন, ভিকটিমাইজেশনের (বেদখল) আইডিয়ার ভিতর দিয়া ইউনিফিকেশনের দিকে ডাকের জোর বাড়ে, নিজেদের ভিতরের বহু ডিভিশন মুলতবি রাখতে রাজি হবার শম্ভাবনা পয়দা হয়; পিরিতি এমন একটা জিনিশ জেইটা বিলাভেডের উপর হামলার ভায়োলেন্ট জবাব দিতে মানুশের ইনেট/ডিফল্ট ভায়োলেন্ট খাছলতরে আনলিশ করে। এইগুলার বাইরে আছে ইন্টারনেশনাল আইন; ইউএন মেম্বারদের ভিতর একে অপরের শিমানা মাইনা নেবার চার্টার/চুক্তি আছে; ঐ হিস্ট্রিওগ্রাফি তো এখনো ঐ চার্টার না মানার হিম্মত/তাকত পয়দা করতে পারে নাই। তাই বাহানা দরকার, নাইলে তো পুরা পলিটিকেল পোজেক্টটাই মুলতবি রাখতে হবে!

আমাদের জন্ন চিন্তার ব্যাপার হইলো, এই ব্যাপারগুলা ইউরোপ-আমেরিকারে বোঝানো মুশকিল হবে; কেননা, ঐগুলা তো ঐ ‘নেচারাল হ্যাবিট্যাট’-এর শিমানার বাইরে, তাই ঐখানে ইসকনের কায়কারবার ছেরেফ ভক্তি আর ইউনিফিকেশন, কলোনিয়াল ইউরোপিয়ান মাইন্ডছেটকে পোস্ট-কলোনিয়াল জবাব দেওয়া, হিন্দু-শনাতনিদের ভিতরের ইনফিরিয়রিটি উতরাইয়া ইউরোপ-ছেমিটিক ধর্মরে টক্কর দেবার হিম্মত বাড়ানো।

কিন্তু জতোই কঠিন হৌক, ঐ হিস্ট্রিওগ্রাফির পাটাতনে খাড়াইয়া আরএছএছ-বিজেপি-ইসকনের পলিটিকেল পোজেক্ট খোলাশা করতে থাকা। এবং এই ব্যাপারে হিন্দু-শনাতনিদের ভিতর থিকাই কতোগুলা চিন্তা হাজির হওয়া দরকার, তাদের কম্যুনিটিরে ঔন করা মেম্বার হিশাবেই! জেনারেল হিন্দু-শনাতনিদের মনে ঐ হিস্ট্রিওগ্রাফির আছর ঠেকাইতে হবে আমাদের! কম্যুনিটির ভিতর থিকাই বহু বয়াতি জদি দেখাইতে থাকেন জে, ঐ হিস্ট্রিওগ্রাফি রেছিস্ট এবং ভুল, ইতিহাশে ঐটার পক্ষের এভিডেন্স নাই কোন, এইটা আপনাদের ছ্যাডিস্ট-খুনি বানাইতে চায়, আপনাদের মানবিক গুনগুলিকে মুইছা দিয়া পেরায় মানুশই থাকতে দিতে চায় না…!

হুশিয়ার বেরাদার্ছ!

২৮নভেম্বর২০২৪



রিলিভেন্ট আলাপ

পিরিতের পলিটিক্স

দুনিয়ায় শবচে কম বোঝা কিন্তু শবচে বেশি চর্চা হওয়া জিনিশটার নাম খুব শম্ভব পিরিত বা পেম বা ভালোবাশা বা ইশক বা মহব্বত!

পিরিত বা মহব্বত মানুশকে কি বানাইতে পারে, শেইটা বুঝতে পেরায়ই ভুল করি আমরা; হলিউডে কয় বছর আগের একটা মুভির নাম জন উইক; তার আগে টারান্টিনোর একটা মুভি আছে, কিল বিল। এইগুলা রিভেন্জ এস্টোরির মুভি; শারা দুনিয়ায় এমন হাজারো ফিকশন আছে। রিভেন্জ এস্টোরির মোটামুটি কমন একটা থিম হিশাবে পাইবেন পিরিত-মহব্বত। জন উইক ছিনামায় ক্যান্সারে মরা বউয়ের আখেরি তোফা হিশাবে দেওয়া কুত্তার পোরতি মহব্বত থিকা এমন রিভেন্জ লয় জন উইক/কিয়ানু রিভস্, এমনই মোটিভেশন দেয় তারে ঐ মহব্বত, শে কয়েকশো খুন কইরা পুরা মেছমার কইরা দেয় তার ফর্মার দোস্তদের! আর কিল বিল ছিনামায় নিজের বাছুরে মহব্বত উমা থারম্যানরে খুনাখুনি থিকা রিটায়ারমেন্টে পাঠায়, তার পর শেই বাছুর হারাইয়া ছিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের শবচে বেলাডি-ভায়োলেন্ট রিভেন্জের ছফরে নামে শে! ও আচ্ছা, জন উইকও রিটায়ারমেন্টেই আছিলো, শেও পেশায় একজন ভাড়াটে খুনিই।

এরা দুইজনেই আগে থিকাই টেরেইন্ড কিলার, কিন্তু পিরিত-মহব্বতই তাদের থামায়, আবার এইটাই তাদের আরো বেশি খুনের মোটিভেশন দেয়।

মানুশের মহব্বতের উপর হামলা হইলে মানুশ জেই ‘ডাই হার্ড/ডাই ফর’ রিভেন্জের ছফরে নামে, তাতে জে মানুশ ভায়োলেন্ট হয়, এইটা মানুশকে শিখাইতে হয় না, এইটা অটো-রিফ্লেক্স, মানুশের খাছলতের ভিতরেই আছে ভায়োলেন্স, ইতিহাশে মানুশের রিয়াল ‘জেহাদ’ বরং আছিলো নিজের ভিতরের ভায়োলেন্স কনটোল করার ছবক, শান্তিচুক্তির জরুরত বোঝা এবং আমল করা, এইটার নামই ‘বিইং ছিভিল’!

ইতিহাশে মস্ত আর্মি লইয়াও জুদ্ধে হারার বহু ঘটনা আছে, তার শবগুলাতেই গোড়ায় আছিলো ঐ মহব্বতের অভাব, কিশের তরে জুদ্ধ–মহব্বতের কোন ছেন্টার না পাওয়ায় মোটিভেশনের তুমুল অভাব; উল্টা দিকে পুচকে আর্মি লইয়া জেতার শকল ঘটনাই ঐ মহব্বত নামের মোটিভেশন থিকা হইছে।

জুদ্ধের এই গোড়ার মামলাটা, মহব্বতের এই ছিলছিলা বাংলায় পয়লা কিলিয়ার-কাট বুঝছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র। ‘বন্দে মাতরম’ হইলো মহব্বতের নছিহত; আনলাইক বিদ্দাশাগর বা রঠা, ইংরাজের শাশন লাইক করতেন না বঙ্কিম, কিন্তু নিজে আছিলেন শরকারি কাজি (জজ), ইংরাজ খেদাবার নছিহত করার উপায় আছিলো না তার। উনি তাই ছাফ ছাফ নিয়ত কইরা মহব্বতের ছবক দিতে চাইছেন; ওনার হিশাব আছিলো এমন: বাংলার (এবং হিন্দুস্তানের) মানুশকে জদি মহব্বতের শাচ্চা ছবক দেওয়া জায়, শেই মহব্বতই তাদের ভিতরের ইগো ইগনাইট করবে, মহব্বতই হইলো আলটিমেট মোটিভেশন, ফিরিডমের। উনি তাই দেশের পোরতি মহব্বত শিখাইতে চাইছেন বাংগালিরে (হিন্দু বাংগালি কইতে হয় আশলে!), হিন্দুস্তানিদের।

এখন, খেয়াল করার ব্যাপার হইলো, বঙ্কিম আছিলেন একজন হিন্দু (ইদানিং খুব শম্ভব ইনডিয়ান বিজেপির ভাপে বাংলাদেশের বহু ‘হিন্দু’ নিজেদের ‘শনাতনি’ নামে ধর্ম-পরিচয় দিতেছেন) বাংগালি; এবং মহব্বতের ধর্ম/কালচার/ইতিহাশ আছে, শকল ধর্মে/কালচারে/জামানায় মহব্বত একই ছুরতে, শব্দে, ভাবে, ফর্মে হাজির হয় না। একজন হিন্দু দেশের পোরতি মহব্বত দেখাইতে দেশের ভিতর মাকে দেখাটা খুবই নর্মাল, এমনকি অবভিয়াছ! দুর্গা/কালি/মনশার কথা ভাবেন, পরে অবনিন্দ্রনাথ জেই ‘ভারতমাতা’ আকলেন, শেইটাও হিন্দু হিশাবে খুবই নর্মাল, এমনই হবার কথা। রঠার ‘শোনার বাংলা’ও তাই।

ইতিহাশে দ্যাখেন, বন্দে মাতরম জেই মহব্বত পয়দা করে মনে, রায়টের ভিতর দিয়া শেই মহব্বতের মোটিভেশনই কিন্তু দেখতেছেন আপনে! এইটার দোশ বঙ্কিমেরে দেয় অনেকে; কিন্তু এইটা ভুল হবে। আমাদের বুঝতে হবে, হিশাব করতে হবে এইটা জে, বন্দে মাতরমের জে ‘মা’, তার দুশমন কারা, শেই দুশমন কেমনে চিনলো বিটিশ ইনডিয়ার হিন্দুরা, হিন্দু বাংগালিরা? এইখানে আরো খেয়াল করতে কইবো, ‘আল্লাহু আকবর’ বইলা মোছলমানরা খুন করছিলো, শেইটা তো শেই মোছলমানদের খুনই, শেইটা তো ‘আল্লাহু আকবরের’ দোশ না! তেমনি বন্দে মাতরম বইলা খুন করলেই শেইটা বঙ্কিমের কান্ধে অটোমেটিক বর্তায় না।

বঙ্কিমের ঐ ‘মায়ের’ দুশমন জে মোছলমান, এইটা চিনাইছে পরের কংগেরেছ–আরএছএছ! বঙ্কিমও আলবত মোছলমানদের লাইক করতেন না, কিন্তু হিন্দু হিশাবে শে কেন লাইক করবে, শেই আশা কেন করবো আমরা!? বাংলার মানুশ জে হিন্দু থিকা মোছলমান হইছে, এইটা বঙ্কিমের কাছে আলবত ছ্যাড ঘটনা একটা, কিন্তু আখেরে ‘বাংগালি মোছলমান’ জে বাস্তবতা, এইটা মাইনা নিছেন উনি, হিন্দুদের বরং তালাশ করতে কইছেন, কেন মোছলমান হইলো তারা, কেন নিজের ধর্ম ছাইড়া গেলো! এর লগে বাংলার ছুলতানি আমলরেই বঙ্কিম বাংলার রিয়াল ‘রেনেছা’ হিসাবে আইডেন্টিফাই করছেন, চৈতন্নদেবরে কইছেন শেই রেনেছার ‘অবতার’।

বঙ্কিম ঐ রিয়ালিস্ট হিন্দু আছিলেন, বাংলার কিশান লইয়া তার এবং তার ভাই শন্জিবচন্দ্রের লিটারেচারে বাংলার মোছলমানদের পাইবেন, বঙ্কিম কেমনে মাইনা নিছিলেন, শেইটা বুঝতে ‘রহিম শেখ’ দেখেন এবং ‘চিরস্থায়ি বন্দোবস্ত’ বা ইংরাজের ঐ পয়লা রিয়াল আকামও ওনারা দুইজনেই পয়লা দেখছিলেন।

কংগেরেছ তাইলে কি করলো? বঙ্কিম জেইটারে মহব্বতের ছবক হিশাবে হিন্দুদের দিছেন, শেইটারে কংগেরেছ শকল হিন্দুস্তানিদের উপর চাপাইয়া দিছে, এইটাতে নারাজ হইছে মোছলমানরা, এবং খুবই জাস্টিফাইড কারনে। কংগেরেছের ন্যারেটিভে মোছলমান হইলো দুশমন, তাদের ‘ভারত’ হিন্দুদের ‘নেচারাল হেবিট্যাট (ফিলিস্তিন জেমন জায়নিস্ট ভাবনায় ইহুদিদের!)’ এবং কেবল হিন্দুদেরই, হিন্দুরাই এইটার মালিক। বৌদ্ধ বা জৈনদের তারা হিন্দু হিশাবেই দেখতো, গৌতম বা কবির বা মহাবির একেকজন অবতার কংগেরেছের হিস্ট্রিওগেরাফিতে। কংগেরেছের এই পালে হাওয়া দিতেই রঠা বঙ্কিমের ঐ ভাবের একটা চিপ তরজমা ছাড়লেন বাজারে–’শোনার বাংলা’। রঠার ভিতর বঙ্কিমের ঐ রিয়ালিস্ট হওয়া নাই, ‘শোনার বাংলা’ চিরস্থায়ি বন্দোবস্তের পক্ষের গান এবং এইটার দুশমন ইংরাজ না মোটেই, মোছলমান!

এখন খেয়াল করেন, বন্দে মাতরম বা শোনার বাংলা কেমন গান; এই গান দুইটা দেশকে দেখাইতেছে ‘মা’ হিশাবে, এইটা হিন্দুধর্মের ‘এনিমিজম’ মোতাবেক ঠিকাছে, মা তাদের দেবি, ভক্তি শেইখানে নর্মাল, পুজা করাও; কিন্তু ছেমিটিক ধর্মে তো এনিমিজম নাই, তাই ইহুদি-খিরিস্টান-মোছলমানরা কালচারালি ‘মা’ হিশাবে দেখবে না, তাদের জন্ন এইটাই নর্মাল। বাংলায় হিন্দু আছে, মোছলমান আছে, আরো বহু ধর্মের লোক থাকলেও ঐ দুইটাই নাম্বারে শবচে বেশি। একজন হিন্দু তার মহব্বতের ছুরত হিশাবে মা, ভক্তি, পুজা জেমন করবেন, তেমনটা তো মোছলমানদের কাছে আশা করার উপায় নাই! মোছলমানরা তা করবে না, কিন্তু হিন্দুরা তেমন করলে মোছলমানদের আপত্তি করারও উপায় নাই কোন, হিন্দুদের ১০০% হক আছে তাদের ধর্ম পালন করার, তাদের ধর্মে মহব্বতের জেই ছুরত, তারে আমল করার। নিজের ধর্মের আমল করাটা নর্মাল; ‘বনমালি তুমি, পর-জনমে হইও রাধা’–এইটা শুন্দর একটা গান, একজন হিন্দু পিরিতকে কেমনে দ্যাখে, একজন নাগরের বিরহ আর বেদনা আমরা বুঝতে পারি আমরা; তেমনি সুমনের ‘জাতিস্মর’ গানেও ‘পর-জনম’ পাইতেছেন, বা জিবনানন্দের ‘আবার আশিবো ফিরে’। কিন্তু আপনে জদি কন জে, একজন মোছলমানের বাংগালি হইতে অমন এনিমিজম বা পর-জনমে একিন করা লাগবে, তাইলে তো মুশকিল! আপনে তখন ‘শোনার বাংলা’ দিয়া ছেরেফ হিন্দুর মনে মহব্বত জাগাইছেন না আদৌ, আপনে ‘শোনার বাংলা’র দুশমন হিশাবে মোছলমানদের দেখাইয়াও দিতেছেন!

কিন্তু খেয়াল করেন, আরেকজন হিন্দুরই লেখা আরেকটা গান, ‘এমন দেশটি কোথা খুজে পাবে নাকো…’, এই গানে কিন্তু এনিমিজম নাই! বন্দে মাতরম বা শোনার বাংলার লগে ডি এল রায়ের এই গানের রিয়াল ফারাক হইলো এইখানে! এই গান হিন্দু-মোছলমান বা জে কোন বাংগালিরেই মহব্বতের ছবক দিতে পারে। হিন্দুদের কাছে গান পেরায়ই এবাদতের একটা ভংগিমা, হিন্দুরা ঐ ৩টা গানেই তার এবাদতের বাশনাও পুরাইতে পারে; মোছলমানরা ঐ এবাদত করবে না, কিন্তু ডি এল রায়ের গানের ভিতর তারা পাইতে পারে মহব্বতের শাচ্চা ছবক! দেশের ব্যাপারে নজরুলের একটা গানে বরং মোছলমানের এবাদতের বাশনা পুরন হয়–এই শুন্দর ফুল…মিঠা নদির পানি…খোদা তোমার মেহেরবানি। কোন একটা গান (বা জে কোন আর্টই তো) শবাই এক অর্থে গায় না, শোনে না; ডি এল রায়ের গানটা হিন্দুরা তার মতো কইরা গাইতে শুনতে পারে, এবাদত হিশাবেই দেখতে পারে, তাদের ‘মা’কেও পাইতে পারে, কিন্তু মোছলমানরা তাদের দেশ, জনমের জমিনের পোরতি মহব্বতের ছবক হিশাবে নেবে; ডি এল রায়ের গানটা ইংরাজি ‘কান্ট্রি রোড’ গানটার মতো, ফানা হবার মতো একটা মহব্বতের গান। কিন্তু বন্দে মাতরম বা শোনার বাংলায় এনিমিজম না দেখার তেমন উপায় নাই একজন মোছলমানের!

আমি আরেকটা গান লাইক করি, দেশের পোরতি মহব্বতের গান হিশাবে আরেকটা কারনে এইটারে আমি আগাইয়া রাখি–হায়রে আমার মন মাতানো দেশ। এইটা খান আতার লেখা; বাংলাদেশ নামের জেই টেরিটরি, এই রাশ্টের নাগরিকদের শবচে কমন মিউজিক আর ভাশা খান আতার এই গানে আমি বেশি পাই। এইটাও মহব্বতের ছবক দেয়, ধর্মের লিমিট উতরাইয়া হিন্দু-মোছলমানের কমন মহব্বতের ছবক খান আতার গানেও আছে। এবং এই গানটা খুব শম্ভব ডি এল রায়ের ভাবেরই একটা তরজমা।

গায়ের জোর, চাপাইয়া দেওয়া আর দখলদারি মনের বদলে আমরা জদি গনতান্ত্রিক হই, হইতে চাই, দেশের নাগরিকদের কবুলিয়তের ভিতর দিয়া ডিছিশন লইতে রাজি হই, তাইলে শকলে শরিক হইতে পারবে আরামে, তেমন কোন জিনিশকেই কমন হিশাবে রাখা উচিত আমাদের। এক দিকে কোন একটা কওম তার তার মতো গান, মহব্বত বা এবাদত করবে, চাকমা [উত্তন পেগে মেগে মেগে–এই গানটারে ভাবেন] বা মান্দিরা তাদের মহব্বতের গান গাইবে, আরেক দিকে কমন একটা পেলাটফর্ম থাকবে, শকলের গলা মেলাবার, এই দুইয়ে কোন বিরোধ/মুশকিল নাই, চাপাইয়া দেওয়া আর দখলদারি মন না থাকলে এইগুলা খুবই শম্ভব, এবং শাচ্চা ছিভিল হওয়া মানে অন্নের হক মাইনা নেওয়া, কবুলিয়তকেই শবচে উপরে রাখা।

শাচ্চা কবুলিয়ত ছাড়া দুনিয়ায় শাচ্চা কোন শান্তিচুক্তি হইতে পারে না।

বাড়তি নোট: দুই মাশের বেশি আগে এই লেখাটা খতম কইরা পোস্ট করার পরে পরেই মনে পড়ছিলো জে, একটা ভাবনা বাদ পড়লো লেখায়! এখন, নভেম্বরের আখেরি শপ্তায় আইশা চিটাগাং-এ ইসকন লইয়া কিছু ঘটনায় লেখাটা এডিট করার মোটিভেশন পাইলাম। আন্দাজ করি, পুরানা ভাবনার লগে নতুন ঘটনাগুলাও একটু ছুইয়া জাইতে পারবো!

তো, বাদ পড়া পুরানা ভাবনা আছিলো, ‘শাতিমে রাছুল’ লইয়া মোছলমানদের জেনারেল রিয়েকশন। খেয়াল করলে দেখবেন, এইটার গোড়ায় আছে মোছলমানদের ভিতরে থাকা ‘রাছুলে মহব্বত’। রাছুলে এই মহব্বতই তাদের চালায়, মহব্বতের বাইরে আর কোন ছবক দরকার নাই!

ওদিকে, ইসকন ছবক দেয় কানাই-পিরিতের। ভক্তিকে ধরা জায় পিরিত বা মহব্বতের লগে রেছপেক্টের মিলনের ভিতর দিয়া পয়দা হওয়া একটা শরবত! একটা বিদেশি অর্গানাইজেশনের বাংলাদেশি শাখা হিশাবে ইসকন জদি শনাতনিদের বহু ভাগ–দেবতা এবং অবতার, আপার কাস্ট-দলিতের ফ্যাছাদ উতরাইয়া নিখিল শনাতনি ইউনিফিকেশনের (বেদ-কানাই-রাম-হোলি, এই চারের জেনারেল পাটাতনে শকল শনাতনিরে আনা।) খোয়াব থিকা কানাই-ভক্তিরে ঢুকাইতে থাকে শনাতনিদের মনে, এই ভক্তরা তাদের মহব্বতের কানাইয়ের তরে কি কি করতে পারে, শেইটা ভাবতে হবে আমাদের! ইসকনের হেড কি কানাইর অবতার একজন? উনিও কি কানাই-ভক্তির শরিক একজন? তার ভক্তরা ঐ পিরিতি-ভক্তির মোটিভেশন থিকা কি কি করতে পারে? চিটাগাং-এ সাইফুল উকিল খুনের ঘটনায় ইসকনের ভক্তি-পিরিতির রিশতা বিচার করা দরকার আমাদের!

আমাদের বুঝতে হবে জে, ইসকন হইলো ইনডিয়ার বিজেপি-আরএছএছের পলিটিকেল পোজেক্ট, এর লগে হিন্দু-শনাতন ধর্মের পেরায় কোন রিশতাই নাই, কয়েকটা টোকেন টার্ম লওয়া বাদে! বাংলাদেশের জেনারেল হিন্দু শনাতনিরা কানাইতে রাধার পিরিতি রাখুক, ইসকনের কানাই-ভক্তির গাহেক হইয়া ইনডিয়ার পলিটিকেল পোজেক্টে শরিক না হৌক, শেই আশাই করবো আমি! হিন্দুকুশের পুবে আর হিমালয়ের দখিনের পুরা জমিন দখলের পায়তারায় বাংলাদেশের হিন্দুরা কেন ইনডিয়ার বিজেপির তাবেদার হইয়া থাকবে!

১২ছেপ্টেম্বর/২৭নভেম্বর২০২৪

লগে পড়েন:

কানাই-পিরিতি হিন্দু-শনাতনিদের জন্ন এমনিতে ভালো ব্যাপারই; ঝামেলা হইলো, বাংলায় কানাই হইলেন চৈতন্নের কানাই, কিন্তু এখনকার ইসকনের কানাই শেই কানাই না!

রাধা এইখানে আরাধনা থিকা আশছে, এইখানে কানাই-পিরিতি অনেকটা ছুফি ইছলামের ভক্তি-পিরিতির তরিকার মতো; হিন্দু-শনাতনিদের এই কানাই-পিরিতি আরেকটা কারনে বেশ দরকারিও–এইটা জাতপাতের জুলুম থিকা রেহাই পাবার একটা উপায়ও বটে! খেয়াল করলে দেখবেন, বোশ্টম কবিদের পেরায় শবাই দাশ, তারা পদবিতে আগে কেউ বামুন থাকলেও বোশ্টম হবার পরে নিজের পরিচয় দিতেছেন দাশ হিশাবে।

অতি দুখের ব্যাপার হইলো, ইসকন জেই কানাই-পিরিতির উকিল, শেই কানাই হেনরি কিছিন্জার টাইপের একজন, এই জামানায় জার কাম হইলো, ‘নিখিল ভারত’ বানানো, আর এই কিছিন্জারের পলিটিকেল কলেমা হইলো ‘জায় ছিরিরাম’! এই কানাইরে বানাইছে ইনডিয়ান বিজেপি-আরএছএছ, ইসকনও তাই, ইন্টারনেশনালিজমের বাহানার ভিতর দিয়া!

এখন, এই ইসকন তো তার এজেন্ডা মোতাবেকই থাকবে; তার পলিটিক্স হইলো, মামুলি/জেনারেল হিন্দু-শনাতনিদের তার গাহেক বানানি এবং এইটা কামিয়াব হইতে হইলে বাংলাদেশের মোছলমানদের ব্যাপারে কতোগুলা ডরের কেচ্ছা বানাইতে হয়, ‘নিখিল ভারতে’র হিস্ট্রিওগেরাফি খাওয়াইতে হয়।

এই ইতিহাশের ভিতর দিয়া হজরত ফরহাদ মজহারের ইসকন ভিজিট/ছফরকে বোঝা দরকার আমাদের! আমাদের আশা করতে হবে জে, হজরত মজহারের এই ভিজিট দেশের মোছলমানদের ব্যাপারে ইনডিয়ান বিজেপি-ইসকনের জেই পোপাগান্ডা, তারে একটু হইলেও দুর্বল করবে! দেশের জেনারেল হিন্দু-শনাতনিদের ইসকনের গাহেক হওয়াটা একটু হইলেও মুশকিলে পড়বে!

দেশের কতক মোছলমানের থিকা হিন্দু-শনাতনিদের বাচাইতে জেমন ছিকিউরিটি দিতে হবে আমাদের, তেমনি ইনডিয়ান বিজেপি-আরএছএছ-ইসকনের থিকাও তাদের বাচাইতে হবে!

আমাদের পড়শিদের বাচাইতে হবে আমাদের, ওনারা ছাড়া এমনকি আমাদের বিয়ার মিশ্টি বা কোরবানির ছুরিও চলবে না! ওনারা জেন দেশের মোছলমানদের চাইতে ইনডিয়ার বিজেপি-ইসকনরে কাছের ভাবতে না পারে, দরকারি ততোটা ভালোতা দেখাইতে হবে মোছলমানদের! ওনারা জেন কানাইরে নিতে জাইয়া হেনরি কিছিন্জারকে কোলে তুইলা না নেয়, শেই দোয়া করতে হবে মোছলমানদের…!

১৯নভেম্বর২০২৪

Series Navigation<< হিস্ট্রিওগেরাফি এন্ড পলিটিকেল লয়ালটিডাকনামের পলিটিক্স >>
The following two tabs change content below.
Avatar photo

রক মনু

কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →