Main menu

থামতে পারার আর্টটা জানা খুবই দরকারি – মিলান কুন্দেরা

This entry is part 28 of 29 in the series ইন্টারভিউ সিরিজ

ট্রান্সলেটর’স ইন্ট্রো

আমার কাছে কুন্দেরা যত না পলিটিকাল তার থেকে বেশি ফিলোসফিকাল। অন্তত আমি কুন্দেরাকে যতবার যেভাবে পড়ছি, তাতে মনে হইছে কুন্দেরা তার নভেলে পলিটিক্সের থেকে ফিলোসফির নজরে বেশি নোকতা নিছেন। তার মানে এই না যে তার নভেলে পলিটিকাল নোকতা টানা যাবে না, কিন্তু নভেলগুলা গুরুত্বপূর্ণ হইতে পারে এইদিক থেকে যে রাইটার ক্যামনে তার নভেলের ভিতর দিয়া ফিলোসফিকাল কোশ্চেন ফর্ম করতে পারেন, এবং একইসাথে সেগুলার আন্সার খুঁজতে পারেন একটা দেশের হিস্ট্রি ও পলিটিকাল চেইঞ্জের আলোকে তার ভাল দৃষ্টান্ত তার কাজ।

কুন্দেরা ছাত্রবয়সে একবার কম্যুনিস্ট পার্টিতে জয়েন করছিলেন, পরে তারে ছাঁটাইও করা হইছিল তার স্বাধীন চিন্তাভাবনা ও ইন্ডিভিজ্যুয়ালিস্টিক ডিজপজিশনের কারণে। তখন কেবলই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হইছে। ইউরোপিয়ান দেশগুলা কমন ওয়েলফেয়ার জায়গা খুঁজবার ট্রাই করতেছিল। সোভিয়েত-ঘেঁষা কম্যুনিস্ট আদর্শের হাওয়া তখন জোরালো। চেক-প্রজাতন্ত্রে কম্যুনিস্ট বিপ্লব মারফত তার প্রভাব আরও বেশি ছিল। কুন্দেরা কম্যুনিজমের সাথে সম্পর্ক তাই একরকম জটিলই বলা চলে। দেশ, আদর্শ এবং পলিটিক্স- এই সমস্ত জায়গায় কুন্দেরা একরকম নন-কনফর্মিস্ট- যার ফলে তার নাগরিকত্বই একসময় বাতিল কইরা দেয়া হয়।

কিন্তু কুন্দেরার এই নন-কনফর্মিস্ট জায়গা বুঝতে গেলে দেখা যায়, আসলে নভেলের সাধারণ ন্যারেটিভ ধরে বুঝলে কুন্দেরার নভেল যতটা পলিটিকাল মনে হয়, আসলে তার থেইকা বেশি ফিলোসফিকাল। এখন পলিটিকাল-ফিলোসফিকাল কোনটার ভার কার থেকে বেশি সেই খাজুরে আলাপে যাব না। এই ইন্টারভিউ থেকেও যেই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট উইঠা আসছে যে কুন্দেরার কাছে নভেল ফিলোসফিকাল এনগেজমেন্টের জায়গা। কিছু কোশ্চেন আন্সার করবার মিডিয়াম হইতেছে নভেল।

এই কাজ তিনি করছেন তার ক্যারেক্টারের ভিতর দিয়া, যেইখানে তার ক্যারেক্টার-সকল খুবই রিফ্লেক্টিভ, মেডিটেটিভ এবং থিংকিং-লাইক। টমাস, সাবিনা, তেরেজা এবং লুদভিক এরা তাদের চিন্তার মারফতে একটা বেসিক কোশ্চেন আন্সার করবার চেষ্টায় থাকে। দা আনবিয়ারেবল লাইটনেস অফ বিয়িং-এ যেমন কিচের কোশ্চেন, দা বুক অফ লাফটার এন্ড ফরগেটিং-এ যেমন তামিনার জীবন-মৃত্যুর গভীর মেটাফিজিকাল কোশ্চেন- এগুলা পুরা নভেলের স্টেইজটাই সেট কইরা দেয়। এবং ইন্টারভিউ থেকে ক্লিয়ার হবে, তার এই কোশ্চেনগুলা কোন র‍্যান্ডম জায়গা থেকে উঠে আসা না, বরং গভীর স্টাডি-রিসার্চ থেইকা উঠে আসা। আরেকদিক থেকে বলতে গেলে তার নভেল অনেকখানিই মেটা-ক্রিটিক অফ লাইফ।

কুন্দেরার নভেলে আরেকটা ইম্পর্ট্যান্ট জায়গা আছে, যেইটা হইতেছে তার ক্যারেক্টারের মেডিটেশন। এই কথা ইন্টারভিউতেও উঠে আসছে বেশ কয়েকবার। তামিনা, তেরেজা, তমাস, সাবিনা- এরা নভেলে কোন প্যাসিভ এজেন্ট হিসেবে কাজ করে না। বরং পুরো নভেলের ন্যারেটিভ তৈরিতে, স্ট্রাকচার ডেভেলপে এদের থিংকিং, মেডিটেশন, রিফ্লেকশন সবকিছুই খুব জোরালো রোল প্লে করে। সেদিক থেকে কুন্দেরার ক্যারেক্টারগুলা খুব অদ্ভুতভাবে, স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে পারে এই নভেলসবে।

দ্য জোকের কেইসে লুসি একটা সোশিও-পলিটিকাল কনটেক্সট থেকে ইল্যুসিভ, এবং একিসাথে তার এক্সিস্টেন্স তার হিস্ট্রি-এবানডানমেন্ট-ট্রমা অনেককিছুই দিয়া ডিফাইনড। আবার একইসাথে আমরা তার জীবন দেখতেছি কোন শব্দ দিয়া না, বরং তার জীবন যাপনের সাইলেন্সের ভিতর দিয়া। এর মধ্য দিয়া কুন্দেরা ডিল করতেছেন এক্সিস্টেন্স ইটসেলফকে (যেখানে শব্দের থেকেও এক্সিস্টেন্সটা তার কাছে মেইন থিম)। একইভাবে আবার দা আনবিয়ারেবল লাইটনেস অফ বিয়িং-এ আমার সবচে ইন্টারেস্টিং লাগে সাবিনাকে। সাবিনার কমিটমেন্ট ইস্যু আছে যার কারণ হয়তো তার হিস্ট্রি যেইখানে বিট্রেয়ালের দাগ অনেক গভীর। আমরা সাবিনাকে পাই কমপ্লেক্স একটা ক্যারেক্টার হিসাবে- যার স্যাটিসফ্যাকশন না দিতে পারে ফ্রাঞ্জ না দিতে পারে টমাস। এবং শে একইসাথে ফুল-ফ্লেজড ইন্ডিপেন্ডেন্ট উইম্যান। তার লাইফ ফুল অফ কিচ, এবং যা থেকে সাবিনা পালায়ে বাঁচতে চায়। কিংবা অন্য কথায় কিচ মানে হইতেছে ফুল অফ শিট। কুন্দেরার উপন্যাসকে যদি আরও প্রিসাইস করতে চাই, তাহলে হয়তো এরকম দাঁড়ায়: ক্যারেক্টারের এক্সিস্টেন্সের থ্রুতে সোশিও-পলিটিকাল এনালাইসিস। মেটা-ফিলোসফিকাল কোশ্চেন যেখানে আমাদের লিড করে বুঝে উঠতে আমরা ঠিক কোথায় যাইতেছি।

কুন্দেরার এন্ট্রিপয়েন্ট হইতেছে তাই তার নভেলের ক্যারেক্টার। আমার কাছে মনে হইছে কুন্দেরা তার ক্যারেক্টারের থ্রুতে নভেলে ঢুকেন, এবং সেইখান থেকেই জার্নিটা শুরু।
Continue reading

পলিটিকাল ডাইরি – ২০২৪ (দুই)

This entry is part 2 of 4 in the series পলিটিকাল ডাইরি

জুলাই ২১, ২০২৪: রবিবার, সকাল ১০:২৬

ক্রনিকলস অফ কমপ্লিট শাটডাউন (১)

কারফিউ অনির্দিষ্টকালের জন্য একসটেনড করা হইছে। আজকে আর আগামিকালকে ‘সাধারন ছুটি’। সব কিছু বন্ধ কইরা দেয়া হইছে।

দুই দিন হইলো ইন্টারনেট কানেকশন নাই। বাংলাদেশি টিভি-চ্যানেলগুলাতে গতকাল (২০ জুলাই, ২০২৪) দুপুরের পর থিকা আর কোন খবর নাই, সরকারি-ভাষ্য প্রচার করে যাইতেছে। ১৬ পাতার জায়গায় ৮পাতার ডেইলি-স্টার ছাপা হইতেছে দুই দিন ধইরা; অইখানেও খবর বেশি নাই, কারন কোন ডেটা ট্রান্সফার করতে পারার কথা না। দেশে কত শত লোক খুন করা হইছে, সেইটা জানার কোন উপায় নাই।

“পলক” নামের এক স্ক্রাউনড্রেলের মেসেজ পাঠানো হইছে ‘গভ. ইনফো’ নাম্বার থিকা। মুশকিল হইতেছে আওমি-বাটপারগুলা দেশের মানুশ-জনরে মুর্খ মনে করে, তা নাইলে এই মেসেজ পাঠানোর কথা না। এর মানে হইতেছে, অরা আরো খুন করবে, আরো মানুশ গুম করবে, সিচুয়েশন ‘নরমাল’ করতে পারলে আরো মানুশরে ফাঁসি’তে ঝুলাবে। একটা কমপ্লিট ‘জরুরি অবস্থা’র দিকে দেশরে নিয়া যাবে।

একটা ইকনোমিক ডিজাস্টার’রে পলিটিকাল ডিজাস্টার বানায়া ছাড়বে। নাউ বাংলাদেশ ইজ আ কান্ট্রি উইথ নো হোপ!

২১ জুলাই, ২০২৪ রবিবার (বিকাল ৬:৩৫)

হাইকোর্ট-সুপ্রিমকোর্ট হইতেছে “জ্বী হুজুর” “ইয়েস স্যার” সিল মারার জায়গা; অযোগ্য এবং অর্থব লোকজনরে বড় বড় পজিশনে বসায়া রাখা হইছে, যাদের নিজেদের কোন বিবেক তো না-ই, বুদ্ধিও নাই কোন; স্বৈরাচার, নয়া বাকশাল অদেরকে যা করতে বলে, তা-ই করে, এইবারও তার কোন ব্যতিক্রম হয় নাই; যেইখানে ৩০% মুক্তিযোদ্ধা-কোটা রাখা হইছিল সেইখানে সব মিলায়া কোটা রাখার রায় দিছে আজকে ৭%; এখনো সরকারি গেজেট হয় নাই, চাইলে সরকার এইটা চেইঞ্জ করতে পারে

কিনতু ঘটনা এইটা না, ১২১ জন মানুশ খুন কইরাও শান্তি হয় নাই খুনি হাসিনার; হাজার হাজার মানুশরে গুম-খুন করার অভিযান চালু করছে কারফিউ দিয়া, ‘সাধারন ছুটি’ দিয়া, ইন্টারনেট বন্ধ রাইখা; উই আর ইন কমপ্লিট ডার্ক

কালো রঙের শাড়ি পইরা ভাষন দিতে আসছিল, যতদূতের মতো সারা বাংলাদেশ ব্ল্যাক-আউট কইরা দেয়া হইছে এখন; কেউ জানে না কখনো মুক্তি পাবো আমরা এই ব্ল্যাক-আউট থিকা…

সন্ধ্যার শেষে রাত আসতেছে, আজকে রাতে কতো মানুশ খুন করা হবে আমরা জানি না, আমরা কোনদিনও জানতে পারবো কিনা জানি না…


জুলাই ২২, সোমবার (সকাল ৯:৪০)

ক্রনিকলস অফ কমপ্লিট শাটডাউন (২)

ইন্টারনেট ছাড়া আজকে ৩দিন। বিষুদবার রাত থিকা সব ধরনের ইন্টারনেট কানেকশন অফ করে রাখা হইছে, বন্ধ কইরা দেয়া হইছে।

রাস্তায় লোক মারা শেষ, এখন ঘরে ঘরে ঢুইকা মানুশ খুন করা হবে। স্টুডেন্ট মুভমেন্টের ৩-৪জনরে জিম্মি কইরা নানান নাটক করা হইতেছে। কারফিউ আজকেও আছে, ‘সাধারন ছুটি’-ও। অরা ভাবতেছে ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে’ আসলে পরে কারফিউ উইথড্র করবে, এখনো ডরাইতেছে, কারফিউ উইথড্র করলে হাজার হাজার লোক আবার রাস্তায় নাইমা আসবে; ইন্টারনেট ওপেন কইরা দিলে বাংলাদেশের মানুশ আবার কথা-বলা শুরু করবে…

নয়া-বাকশালের হাত থিকা কনট্রোল ছুইটা গেছে, টিভির মিডিয়া-রিয়ালিটিতে কেউ আর বিলিভ করে না, এই সাজানো-গোছানো রিয়ালিটি তাদেরকে কবরে নিয়া যাইতেছে; তারা চাইতেছে সবকিছু কবরের মতো নিরব, সুনসান হয়া উঠুক; জীবনরে অরা ডরাইতেছে, চুপ করায়া দিতে চাইতেছে, কিনতু রাস্তায় নামতে না দিলেই মানুশের রেইজ কইমা আসবে না, কথা বলতে না দিলেই মানুশের চিন্তা-ফিলিংস মইরা যাবে না…

‘পরিস্থিতি’ কখনোই ‘নিয়ন্ত্রনে’ আসবে না; ইন ফ্যাক্ট ‘নিয়ন্ত্রনে’ ছিল না কখনোই, বরং মানুশরে ভয়-ভীতি দেখায়া চুপ করায়া রাখা হইছিল, এখন খুন করার ভিতর দিয়া সেই ভয়-ডর ভাইঙ্গা দেয়া হইছে, মানুশ ডরাইতে রাজি হইতেছে না আর, আর এইরকম যদি চলতে থাকে, আর দুই–চাইরদিন যদি কারফিউ চলে, মানুশ না খাইতে পাইরা বাধ্য হয়া রাস্তায় নাইমা আসবে…

২২ জুলাই ২০২৪ সোমবার (দুপুর ১২:১৬)

নয়া বাকশালের লোকজন নিজেরা যেইরকমের বলদ অন্যদেরকেও তা-ই মনে করে; যেইখানে মুভমেন্টের লোকজন ইন্টারনেট ওপেন কইরা দিতে বলতেছে, সেইখানে নিজেরা ইন্টারনেটের লাইন কাটতে যাবে কেন! মানে, এইসব গাঁজাখুরি জিনিস বলতেছে সারাক্ষন…

কারফিউ দিয়া কতোদিন মানুশরে বন্দি কইরা রাখতে পারবে এরা! কারফিউ দিয়া, ইন্টারনেট বন্ধ কইরা “জনমনে স্বস্তি” ফিরানোর কোন বেবস্থা হইতেছে না, বরং মানুশের ক্ষোভ আরো বাড়ায়া দেয়া হইতেছে, একটা অবৈধ-সরকারের শাসন টিকায়া রাখার জন্য বাংলাদেশের প্রতিটা মানুশরে সাফার করানো হইতেছে আজকে

২২ জুলাই ২০২৪ সোমবার (রাত ২০:১৩)

শেখ হাসিনার আক্রোশ থিকা এইটা ক্লিয়ার যে, এই মুভমেন্টের ব্যর্থতারে পুঁজি কইরা বাংলাদেশে বিরোধি-দল (যত ছোট-ই হোক) নিশ্চিহ্ন কইরা দেয়া হবে, কোন চিহ্ন আর রাখা হবে না

বাংলাদেশে এর পরে যদি কোন মুভমেন্ট হয়ও, সেইখানে মানুশ মারা গেলেও তাদের পাশে দাঁড়ানোর মতো, কথা বলার মতো কেউ থাকবে না

বাংলাদেশে বিরোধিদল-বিহীন একটা টোটাল সাইলেন্স এসটাবলিশড করার সরকারি-নাম হইতেছে “জনমনে স্বস্তি ফিরায়া নিয়া আসা”


২৩ জুলাই ২০২৪, মঙ্গলবার (সকাল ১০:১২)

ক্রনিকলস অফ কমপ্লিট শাটডাউন (৩)

ইন্টারনেট ব্ল্যাক-আউটের আজকে ৫ নাম্বার দিন। ‘সাধারন ছুটি’ ও কারফিউ চলতেছে ৩ দিন ধইরা। হাজার হাজার মানুশ গ্রেফতার করা হইতেছে – এই নিউজ পত্রিকা আর টিভি’তেই বলা হইতেছে। ভয়’টা আরো ছড়ায়া দিতে চাইতেছে, আরো পাকাপোক্ত করার জন্য এই কাজ করা হইতেছে। মানুশের সাফারিংসের চাইতে, ইকনোমিক লসের চাইতে ক্ষমতায় থাকাটা বেশি জরুরি খুনি হাসিনার কাছে।
Continue reading

দেবাশিসের ডিজিটাল ড্রয়িং

বাছবিচারের এই আয়োজনে জুলাই-আগস্টের সময়কালের ‘ছবি’ গুলিই আছে। চলমান নানান অকল্পনীয় ঘটনাপ্রবাহের রিফ্লেকশন আছে, সচেতন সিদ্ধান্ত আছে আবার অজ্ঞান বা আনকনসাসও হাজির আছে। অনেকক্ষেত্রে এই আনকনসাস শুধু ব্যক্তিগত না, যৌথও বটে। তবে আমি এখানে কালেক্টিভ আনকনসাস নিয়ে বিস্তারে যাব না। সচেতন সিদ্ধান্ত এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা  তুলে ধরতে কিছু বাক্যখরচ করবো। অজ্ঞানের বাছবিচারের কাজটা আপাতত দর্শক-রিডারের দরবারেই থাকুক। আবার গণঅভ্যুত্থানের বিস্তৃত তত্ত্বায়ন বা চিহ্নায়ন করার সাধও নাই। যদিও কিছু ইঙ্গিত থাকলেও থাকতে পারে।

জুলাইয়ের শুরুর দিকেই খেয়াল করছিলাম কোটা সংস্কারের জন্য দাবি উঠছে ঢাকায়। দাবিতো ঠিক না, দাবির মেজাজটা আবদারের। মনে মনে একটু হতাশ এবং রাগও হচ্ছিল। স্বৈরাচার-মাফিয়ার কাছে আবদার কিসের? এই মনঃক্ষুণ্ণ অবস্থায় নিজেকে সম্পৃক্ত করতে ভেতর থেকে সায় দিচ্ছিল না। মনে পড়ে জুলাইয়ের ৮ তারিখে ‘ফ্যাসিস্ট তাড়াও ন্যায্যতা পাও’ এবং ‘বাটপার হটাও সমতা পাও’ নামে দুইটা কাজ করি। শুধু কথার কথা না, কথার সাথে ছেলে মেয়েদের সংগ্রামী শরীরী ভাষাও কল্পনা করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু এই বিষয়ে আর আগাই নাই। কিন্তু জুলাইয়ের ১৫-১৬ তারিখ নাগাদ পরিস্থিতি ভিন্ন বাঁক নিয়ে সবকিছু বদলে দেয়। হাসিনাশাহীর সেই চিরাচরিত ডিহিউমানাইজিং স্টাইলে দেয়া বক্তব্যে সব বদলে যায়। রাজাকারের ট্যাগ শুনে মানুষের মাথার তার শেষ পর্যন্ত ছিঁড়ে যায়। “তুমি কে? আমি কে? রাজাকার রাজাকার। কে বলেছে? কে বলেছে? স্বৈরাচার স্বৈরাচার।”- স্লোগান শুনে টের পেলাম অবস্থা আগের মতন নাই। দ্রোহের আগুন জ্বলে গেছে। আমারও দ্বিধার বাঁধটা ভেঙ্গে গেলো। এই আন্দোলনের মধ্যে বৃহত্তর দ্রোহের শক্তি টের পাই আর নিজেও সম্পৃক্ত হয়ে যাই। কিন্তু দুই দিন না যেতেই জুলাইয়ের ১৮ তারিখে ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট কারণে বাংলাদেশের সাথে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো। শুরু হল অনিঃশেষ অনিশ্চয়তা, আশংকার দিন। এই পুরাটা সময় নিজের কাণ্ডজ্ঞানের উপর ভরসা রাখতে হয়েছে। সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে থাকা নানা শ্রেণী-পেশার প্রবাসী বাংলাদেশীরা ছাড়া কারো মাথা ব্যাথা ছিল না।  নানান উদ্যোগ-আয়োজন-সমাবেশের জন্য কিছু কাজ উন্মুক্ত করে দিতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ছাত্র আন্দোলনের সাথে প্রাথমিক অভিজ্ঞতা থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিছুটা হয়তো কাজে লেগেছে। ব্ল্যাক আউটের সময় অনেক টেমটেশন সামাল দিতে হয়েছে। কেউ কেউ অনেক স্বৈরাচারী আকাঙ্ক্ষা প্রচার করতে ফুসলিয়েছেন, কেউ কেউ হাসিনার বিকল্প নাই বলে ভয় দেখিয়েছেন। এসব প্রলোভন-টোপ-ফাঁদ সামাল দিতে হয়েছে। এমন দুর্বল সময়ে, অনিশ্চয়তার মধ্যে অনেকেই খারাপ আচরণ করেছেন। পরিচিত বর্গের কিছু মানুষ হুমকি ধামকি দিয়েছেন, আমি কেন হিজাবি বা মাথায় ঘোমটা দেয়া নারীদের ছবি আঁকছি! আমার কাজের সাথে পরিচয় নাই বোঝাই যাচ্ছে। তারা সকল আর্টিস্টকেই নাদান মনে করেন। যেন আন্দাজে করেছি। গণমানুষের আকুতিতে, গণঅভ্যুত্থানের কল্পনায় কি ‘গণের’ উপস্থাপনা থাকবে না? তাহলে গণঅভ্যুত্থান কোথায়? ৫ আগস্টের আগেই, যতদূর সম্ভব, সীমিত কারিগরি দক্ষতায় যা কল্পনা করেছি, সেটাই মূর্ত করার চেষ্টা করেছি। গণঅভ্যুত্থান শব্দটাও নানান মানুষের চেষ্টায় জন পরিসরে চাউর ছিল।  গণঅভ্যুত্থান যে হবে সেটা কে জানতো। আকাঙ্ক্ষায় হয়তো ছিল। তাছাড়া ঘটনাবহুল প্রায় ২০ দিনের গতিপ্রকৃতির ধাক্কা ছবিগুলিতে পড়েছে নিশ্চয়ই।   নানা শ্রেণী-পেশা-লিঙ্গের মানুষের বহুত্ববাদী কল্পনাটা শুধু কথার কথা না, এই গণঅভ্যুত্থানের চরিত্র একটু তত্ত্বায়ন বা বাছবিচারের চেষ্টা করলেই ব্যাপারটা বোঝা যাবে। আশা করি নানান পেশাজীবী এবং ডিসিপ্লিনের কামেল লোকজন কাজটা করবেন, নিয়তির কাছে সবটা ছেড়ে দিবেন না। Continue reading

মাজার ভাঙ্গা নিয়া কয়েকটা কথা

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

মজার ভাঙ্গা নিয়া কয়েকটা কথা

দেশে মন্দির ভাঙ্গার সময়ে যে অল্প সময়ের মধ্যে আমরা ভাঙ্গা ঠেকানোর একটা উদ্যোগ দেখলাম, সেইটা মাজার এর ক্ষেত্রে এখনো দেখা গেল না। এই ঘটনা এইটাই প্রমান করে যে, কালচারাল আর পলিটিকাল স্পেস হিসাবে মাজার এখনো গরীবের জায়গা হইয়াই হাজির আছে। মুসলমান এবং হিন্দু দুই গরীবেরই জায়গা। সেকুলার এবং ইসলামি দুই মিডিল ক্লাস এর কাছেই মাজার এর তেমন কোন ভ্যালু নাই। সেকুলারের জন্য এইটা শাড়ি পাঞ্জাবী পইড়া পুজা দেখতে যাওয়ার মত কোন ঘটনা না, ছবিও তো দেয়া যায় না নিজের চেহারার লগে গরিবের চেহারার, একই লগে। ইসলামী মিডিল ক্লাস তো ইদানিং ইউটিউব চ্যানেল বানাইয়া মাজারের আশে পাশে গিয়া হেনস্থা করে লোকজনরে যে তারা ইসলামের ব্যাপারে কিছু যানে কিনা। ফলে মাজারের মুসলমান আর হিন্দু দুই গরীব মেজরিটি হইয়াও, সোশ্যাল মিডিয়ায় এনাফ সমবেদনা উৎপাদনে ব্যার্থ হইয়া, নদী ভাঙ্গগনের মত ভাঙ্গগনের কবলে পড়ছে।

ইসলামী বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে একটা জিনিষ মাথায় না রাখলে ভ্যাজালে পড়তে হবে অনেক, সেইটা হইল পেরিফেরি বা স্পেসেফিক কোর এর বেসিসে ঠিক করা হয়। ফিকহি আলাপে এইগুলার জটিলতা নিয়া প্রচুর আলার হইয়া আছে আগে থিকাই। স্পেসেফিক যদি কোর এর আইডিয়া থিকা সইরা যায়, তাইলে স্পেসেফিক এর সাপোর্টে সহিহ হাদিস থাকলেও বুদ্ধিমানের কাজ হইতেছে কোর এর সাথে মিলাইয়া নেয়া। সাধারন মানুষের লাইগা এত কিছু করার টাইম না থাকার কারনে তারা ইস্তেখারা করতে পারে সন্দেহ হইলে। যেহেতু ফিতরা মানুষরে সত্যের দিকেই টানবে। বাকি কাজ আলেম-ওলেমাদের। যেহেতু ১৬ বছরে প্রচুর আওয়ামী আলেম তৈরি হইছে, ফলে এই কাজগুলা করার মত কামেল আলেম-ওলামারা সাইডে পইড়া গেছেন। আমাদের কাজ হইতেছে নতুন দেশে আলেম-ওলামাদের ও স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ আর সুযোগ কইরা দেয়া। নানা মতের আলেম ওলামারা যেন আলাপ করতে পারে, পাবলিকের সামনে তাদের মত নিয়া, সেই যায়গাগুলা তৈরি করা।

মাজার ভাঙ্গার এই ইস্যুতে ঝামেলা গুলা কি কি আসলে? ধইরা নিতেছি সমস্যা ইসলামিক লাইনেরই। ফলে ঐ লাইনের সমস্যা গুলা দেখার একবার চেষ্টা করি। পয়লা সমস্যা হইল অলি-আউলিয়া আসলেই আছে কিনা এই আইডিয়া নিয়া। বিশেষ কইরা মাজার ইস্যুতে, যেহেতু অনেকেই দাবি করেন যার মাজার সে আসলেই অলি-আউলিউয়া ছিল কিনা তার প্রমান কি? এই আলাপের বেইজ আপনি পাবেন কোরআনে, অনেক বার আল্লাহ্‌ বলতেছে আল্লাহ্‌ যারে ইচ্ছা তারে সম্মানিত করে, এবং কিছু লোককে বেশি করে অন্যদের থিকা। Continue reading

মীম ও অন্য কয়েকটা কবিতা

ইলিউশন

যে দৃশ্যই চোখে পড়ে, তোমরা বলো, স্বপ্ন — আল মাহমুদ

তাপমাত্রা ১৩। শৈত্যপ্রবাহ।
কিছু মেইনস্ট্রিম দুঃখ, সোয়েটার, মাফলার
আর ডান হাতে মোবাইল ফোন
(৯৯ পয়সা কলরেট, আনলিমিটেড ইন্টারনেট)
গরম রাখে আমাদের।

তোমার হাতে এরোসল আর
ফুসফুসের ভিতর দৌড়াদৌড়ি করতেছে একটা তেলাপোকা

রাস্তার আমকুড়ানিদের ঢিলটা গিয়া পড়লো
আর্মি অফিসারের বউয়ের উপর

এক পা। এক পা। এক পা।
ও আমার অবাস্তব পাখি তুমি চলিয়া গেলে বাস্তব পালক ফেলিয়া।
আর ঘড়ির মতো এক অনুভূতি
(এইটাকে ইলিউশনও বলতে পারো
যতক্ষণ না এইটা তোমাকে যন্ত্রণা দেয়)
আমার বুকের ভিতর তাপমাত্রার মতো ছড়াচ্ছে।

একটা প্যাশনেট ক্লাসরুমে
সাইকোপ্যাথের মতো নর্মাল হয়ে
বসে আছে একটা প্যাশনলেস ছেলে
ডিসাইড করতে পারতেছে না
পড়াশোনার বাইরে আর কি করা দরকার তার

প্রিটেনশান পছন্দ না বলে
কানে ইয়ারফোন লাগায়ে মনের কথা শুনতেছে কেউ কেউ

তোমার এজমা একটা মানুষ হয়ে
শ্বাস নিতেছে তোমার খুব কাছে

তুমি এই ইলিউশনকে ভেঙে দাও
যদি পারো
চোখ দিয়ে
কান দিয়ে
শরীর দিয়ে
হত্যা করো এই মনের পশুকে

.
মিউজিয়ামের
স্পষ্ট কাঁচের ভিতর অস্পষ্ট আয়না
হলুদছোপ, কালো দাগ, ময়লা
.

আমি যে তোমাকে ভালোবাসি
এটা সম্ভবত একটা আইরনি। পরিহাস।
কিন্তু আমি যদি জানতাম আমি তোমাকে কখনোই পাবো না,
তাইলে তো আমি তোমাকে কখনোই পাইতাম না।

তোমার মন তোমার ভিতরে
তোমার শরীর তোমার বাইরে
আর টিভি স্ক্রিনের মতো ব্রেইন ওয়েভগুলা
ধরে রাখে তোমার মনকে
শরীরকে
তোমাকে

এই নাটকের একমাত্র এক্টর তুমি
যে জেনুইন, বিলিভেবল, কনভিন্সিং (ট্রাস্ট মি ডার্লিং)
ঘুমভাঙা ফুলের উপর ভোরের হাওয়ার মতোন
তোমার চোখে সত্যিকারের পানি

আমাদের ভালোবাসার ফেরেশতা একে অপরকে
দেখার জন্য আমাদের যে চোখ উপহার দিছিলো
তা অন্ধ করে ফেলছিলো আমাদের। কিন্তু
অন্যরা তার আগেই দেখে ফেলছিলো,
আমি তোমার মতো হলেও
তুমি মোটেই আমার মতো ছিলা না।

কে তুমি?
(সে কি তুমি নও, ওগো তুমি নও)
[আমার চোখের পিক্সেলে, নার্ভের টিউবগুলায়
পারদের মতো উঠা নামা করতে থাকলা]

চোখ তোমার ইমাজিনেশনকে আহত করে কারণ
সমস্ত স্বপ্নই দুঃস্বপ্ন। কান তোমার সুরকে ভেঙে দেয়
কারণ সমস্ত কথাই তীক্ষ্ণ (যা আমরা শ্রবণ করিলাম ও
অমান্য করিলাম)। আর শরীরের ক্ষমতা অনেক,
সে নিজেকে চোখে চোখে রাখে সবসময়, আড়াল হইতে দেয় না।

“মানুষ যখন আমাকে রিল্যাক্স করতে বলে তখন মনে হয়
তারা চায় না আমি প্রোগ্রেস করি। আর মানুষ যখন আমাকে
চেষ্টা করতে বলে, আমি নিজেকে
আরো হেইট করি”
আমি তো একটা মেশিন
আমি তো একটা আত্না
.

ঘুমের ভিতর মাথাব্যাথার মতো
তুমি এখন তোমার রুমে
পকেটে থাকা ফোনের মতো
তুমি এখন আমার ঘুমে

এখন একটা ঢেউয়ের মতো আন্দোলিত কর আমাকে,
ভাসাও, ডুবাও, তারপর ভাসাও আবার। আকড়ায়ে ধরো আমাকে
নরম শুশুকের মতো, ধারালো হাঙরের মতো।
একটা দুর্ঘটনা যা ঘটতে পারে নাই কখনো,
বা একটা সুপষ্ট প্রমাণ যা এখনো পাঠানো হয় নাই আসমান থেকে,
সেই নিয়তির মতো বিন্ধা ফেল তুমি আমাকেও।

এখন আমার বন্ধ চোখের নীল শিরাগুলির উপর
কমলা রঙের কুসুম। যেন ভোরের মতো হালকা শরীর নিয়ে
(খাট নাই, পালং নাই) আমার চোখ জুড়ে বসছো তুমি,
আর আমি চোখ মেললেই চমকায় উঠবে ধান খাইতে আসা সব পাখি।

Continue reading

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
জীবিকার জন্য একটা চাকরি করি। তবে পড়তে ও লেখতে ভালবাসি। স্পেশালি পাঠক আমি। যা লেখার ফেসবুকেই লেখি। গদ্যই প্রিয়। কিন্তু কোন এক ফাঁকে গত বছর একটা কবিতার বই বের হইছে।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →