Main menu

একজন লেখকরে রিস্ক নিতে হয়, সে যা দেখে সবকিছুরেই লিখতে পারার বিষয়ে – জেমস বল্ডউইন

This entry is part 22 of 28 in the series ইন্টারভিউ সিরিজ

১.
জেমস বল্ডউইন জন্মাইছিলেন ২ আগস্ট, ১৯২৪। আজকে থেকে প্রায় একশো বছর আগে। একশো বছর আগে আম্রিকার অবস্থা কেমন ছিল? সেইটা সম্ভবত আঁচ করা যায় বল্ডউইনের এই ইন্টারভিউটা পড়লে। তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কঠিন বিচ্ছিন্নতা এবং রেসিয়াল অপ্রেশনের বাস্তবিকতায় আইন জারি করার পক্ষে যে আন্দোলন এবং প্রতিবাদ শুরু হইছিল বিশ শতকের শুরুতে তার শেষ দশ বছরের মাথায় বল্ডউইন তার ক্যারিয়ার শুরু করেন। বল্ডউইন আম্রিকান রেসিয়াল অপ্রেশনের রগরগে পরিণতির সাক্ষী হইছিলেন। ওনার বন্ধুর ব্রিজ থিকা লাফ দিয়া আত্মহত্যা করা, চল্লিশ ডলার নিয়া প্যারিসে চইলা আসা। এগুলা তো এক ধরণের ঘটনাই। সম্ভবত একজন লেখক তৈরী হয় তার সমাজের নানান ঘটনার ভেতর দিয়া, একটা এগজিস্টিং বাস্তবতা এবং পরে সম্ভাবনাময় এক বাস্তবতার ভেতর দিয়া। বল্ডউইন তো অন্য যেকোনো কিছুই হইতে পারতেন, যেমনটা উনি ইন্টারভিউতে বলতেছিলেন। তবু লেখকই হইলেন এবং একজন এংরি ইয়ং ম্যান।

২.
বল্ডউইন তার বাস্তবতারে ফিকশনালাইজ করছেন। ওনার আত্মজিজ্ঞাসা, সোসাইটির সাথে তার নিজের সম্পর্ক, নানান ডিলেমা এবং মানসিক জটিলতার ভেতর দিয়া যে উনি গেছেন, সেইগুলাই উনি ডিল করছেন তার লেখায়। অই সময়ের মেসকুলিনিটি, সেক্সুয়ালিটি, রেস এবং ক্লাস নিয়া যে সোশ্যাল ন্যারেটিভ তার বিপরীতে একজন সোশ্যাল অবজারভার হিশাবে তার খ্যাতি “সিভিল রাইটস মুভমেন্ট” ও “গে লিবারেশন মুভমেন্ট” এর সময় দেখা যায়। তার উপন্যাসের প্রোটাগনিস্ট একচেটিয়াভাবে শুধু আফ্রিকান আম্রিকান না, র‍্যাদার গে, বাইসেক্সুয়াল কারেক্টারও যা আসলে অই সময়ের বাস্তবতাটারেই রিফ্লেক্ট করে।

৩.
মরিস ব্লাশোর ‘লিটারেচার এন্ড দ্য রাইট টু ডেথ’ যেইটা মূলত ফ্রয়েডের ‘আনকনশাস’ এর উপর বেস করে লেখা। সেইখানে তিনি বলতেছেন, কেউ লেখালিখি শুরু করেন একটা প্রশ্ন থিকা, একটা জিজ্ঞাসা থিকা। কিন্তু আপনি যখন লিখতে বসেন এবং শেষপর্যন্ত আপনার লেখা হয়ে যায়, কিন্তু লেখার পরে আপনি সেই প্রশ্নের উত্তর আর খুঁজে পান না। যেমনটা বল্ডউইন বলতেছেন যে, লেখালিখির ব্যাপারটাই হইতেছে কিছু একটা খুঁজে বের করা, কিন্তু আপনি সেইটা আসলে আর খুঁজে পান না। সেই প্রশ্নাতীত একটা জায়গা থিকা তিনি তার অভিজ্ঞতাগুলারেই লিখছেন। এবং পরবর্তীতে ‘জিওভানিস রুম, ‘গো টেল ইট অন দ্য মাউনটেইন’ এর মতো ফিকশনসহ নন-ফিকশন ‘দ্য ফায়ার নেক্সট টাইম’, ‘নোটস অফ এ নেটিভ সন’ এর মতো বইগুলা ছিল তার সোশ্যাল-পলিটিক্যাল কনশাসনেসের ভেতর দিয়া আম্রিকান আধাসত্য, ব্লাশফেমি এবং মিথ্যার বিপরীতে একধরণের পাল্টা বয়ান তৈরী করা, অপ্রেসড এবং অপ্রেসর উভয়েরই মানসিক প্রভাবরে ডিল করা যা অই সময়ের আত্মাভিমানী সমাজের কাছে এক ধরণের অস্তস্তিকর সত্যের প্রকাশই ছিল।

৪.
একটা ইন্টারভিউ মূলত একজন লেখকের থট-প্রসেসটারে ধরতে কিছুটা সাহায্য করে। কিভাবে একজন লেখক কিছু জিনিস এডপ্ট করতেছে আর কিভাবে কিছু জিনিসরে বাতিল করতেছে সেইদিকে নজরটারে নিয়া যায়। বল্ডউইন এইখানে নানান বিষয় নিয়াই আলাপ করছেন। তার আর্লি এইজ, স্ট্রাগলিং সময়ের কথা, অন্য রাইটারের সাথে তার ভালো-মন্দ সম্পর্ক, ইভেন ফিকশন লেখার নানা টেকনিক্যাল ব্যাপার নিয়াও ডিটেইল আলাপ আছে। সব মিলায়ে, অই সময়ের ইউরোপ-আম্রিকার রেসিয়াল কনটেক্সটারে বোঝা যাবে ভালো।

সাঈদ শ’
এপ্রিল, ২০২৩

এই ইন্টারভিউ দুইটা নেওয়া হইছে লেখক হিশাবে জেমস বল্ডউইনের সংগ্রামের পছন্দের দুই জায়গায়। প্রথমে আমরা প্যারিসে দেখা করছিলাম, যেখানে উনি লেখক হিশাবে বাইড়া ওঠার প্রথম নয় বছর কাটাইছে এবং তার প্রথম দুইটা উপন্যাস লিখছেন, গো টেল ইট অন দ্য মাউন্টেইন আর জিওভানিস রুম। পাশাপাশি তার সবচে পরিচিত প্রবন্ধ সংগ্রহ, নোটস অফ এ ন্যাটিভ সন। উনি বলেন, প্যারিসেই উনি প্রথম নিজের সাথে এবং আম্রিকার সাথে তার বিদীর্ণ সম্পর্কের সঙ্গে পরিচিত হন। আমাদের পরের আলাপটা হইছিলো সেন্ট পলে ডি ভেন্সের বল্ডউইনের বাড়িতে পাউট্রেস-এন্ড-স্টোনে, যেখানে লাস্ট দশ বছর ধইরা সে তার বাড়িটা বানাইছে। আমরা আগস্টের এক সপ্তাহে একসাথে লাঞ্চ করছিলাম তার মরশুমি গেস্ট ও সেক্রেটারি সহ। শনিবারে, অসহনীয় গরম আর আর্দ্রতার মধ্যে একটা ঝড় উঠছিলো, যার ফলে বাতজনিত কারণে তার লেখার হাত (বাম) এবং কব্জিতে ব্যথা হইছিলো। ঝড়ের কারণে অনিয়মিত বিদ্যুতের ঘাটতি আমাদের পাশের টেপ-মেশিনটার ব্যাঘাত ঘটাইছে। ব্ল্যাকআউটের সময় এলোমেলোভাবে বিষয়গুলা নিয়া আলাপ করতাম বা ড্রিংকে চুমুক দেওয়ার সময় নীরব হয়া থাকতাম।

বল্ডউইনের আমন্ত্রণে রবিবার ফিরা আসি, সূর্য জ্বলতেছিলো এবং বাইরে আমরা একটা পিকনক টেবিলে লাঞ্চ করতে সক্ষম হইছি, কুঞ্জছায়াঘেরা বিস্তৃত জমি যেইখানে ফলের গাছগুলা আর দেখার মতো ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলবর্তী দৃশ্য। বল্ডউইনের মেজাজ আগেরদিনের চাইতে অনেকটা প্রফুল্ল হয়া উঠছে, এবং আমরা তার অফিসে ঢুকি আর পড়াশুনা করি যেইটারে তিনি তার “টর্চার চেম্বার’ হিশাবে বইলা থাকেন। বল্ডউইন স্ট্যান্ডার্ড লিগ্যাল প্যাডে লঙহ্যান্ডে লিখতেছেন, (‘আপনি সংক্ষিপ্ত ঘোষণামূলক বাক্যগুলি অর্জন করেন’) যদিও একটা বড়, পুরানা এডলার ইলেকট্রিক তার ডেস্কের একপাশে বইসা আছে — একটা আয়তকার ওক তক্তা যার দুইপাশে বেতের চেয়ার বসানো। একটা লেখার জায়গা এবং বেশ কয়েকটা খসড়া দিয়া স্তূপ করা হইছে; একটা উপন্যাস, একটা নাটক, আঁকা ছবি, আটলান্টা শিশুর হত্যার উপরে প্রবন্ধ, এগুলা সর্বশেষ ‘দ্য এভিডেন্স অফ থিংস নট সিন’-এ সংকলিত। তার রিসেন্ট কাজের মধ্যে আছে দ্য ডেভিল ফাইন্ডস ওয়ার্ক, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে জাতিগত পক্ষপাত ও ভয়ের বিরুদ্ধে এক ধরণের আক্রমণ, একটা নোবেল, জাস্ট এবভ মাই হেড, যা ১৯৬০-এর দশকে সিভিল-রাইটস এক্টিভিস্ট হিশাবে তার অভিজ্ঞতা থিকা লেখা।

জর্ডান এলগ্রাবলি
১৯৮৪

ইন্টারভিউয়ার: আপনি কি বলবেন কিভাবে স্টেট ছাইড়া আসলেন?

বল্ডউইন: আমি ভাইঙা পড়ছিলাম। আমি প্যারিসে আসছিলাম চল্লিশ ডলার নিয়া, কিন্তু আমারে নিউ ইয়র্ক থিকা বাইর হইতে হইছিল। আমার অবস্থা তখন নানান মানুষের দুরবস্থায় পীড়িত ছিলো। একটা সময়, পড়াশুনা আমারে লম্বাসময়ের জন্য দূরে নিয়া গেছিলো। তখনো আমারে রাস্তাঘাট, অথরিটি আর ঠাণ্ডার সাথে ডিল করতে হইছে। আমি জানতাম শাদালোক হওয়ার অর্থ কি, আমি জানতাম একটা নিগ্রো হওয়ার অর্থই বা কি এবং আমি জানতাম আমার লগে আসলে কি ঘটতে যাইতেছিল। আমি আমার ভাগ্য হারায়া ফেলছিলাম। আমি জেলে যাইতেছিলাম, আমি কাউরে খুন করতে যাইতেছিলাম অথবা খুন হইতে। জর্জ ওয়াশিংটন ব্রিজ থিকা লাফ দিয়া আমার বেস্টফ্রেন্ড দুই বছর আগে সুইসাইড করছিল। Continue reading

লাবিব ওয়াহিদের কবিতা (২০২৩)

সারাদিন বাসায় থাকা ভালো

সারাদিন বাসায় থাকা ভালো,
দক্ষিণের থাইগ্লাস থেকে
পূর্বের বারান্দা হয়ে
উত্তরের শাদা দেয়াল পর্যন্ত

একুরিয়ামের মাছের মতো
দেয়ালে দেয়ালে বাড়ি খাওয়া ভালো,

সারাদিন শুয়ে বসে থাকা ভালো,
বিছানার চার কোণায় পালা করে
পা ছেড়ে দিয়ে আর পা ভাঁজ করে
কিছুই না করা ভালো,

সারাদিন চুপ থাকা ভালো,
নিজে নিজে হেসে ওঠা ভালো,

রোদের সাবান গায়ে মেখে
মিষ্টি আলুর চামড়া ছেলা ভালো,

ফ্রিজের ভিতর ক্ষির মালাইয়ের
আইস ক্রিম থাকা ভালো,

সারাদিন বাসায় থাকা ভালো


সাদিয়া তাবাসসুম

এরমধ্যে আমাদের মোবাইল সেট
চেঞ্জ হইছে অনেকবার,
এইচ-টি-সি’র তো
মোবাইল ব্যবসা-ই উঠে গেছে,
এরমধ্যে ওবামা গেছে, ট্রাম্প গেছে,
বাইডেন যাবে, মেবি ট্রাম্প আসবে আবার

বার্নি কিছু করতে পারে নাই,
বার্নি’কেও এখন আমাদের
টিনএজের মতো পুরান মনে হয়

টিকটক এসে বদলে দিছে ফেসবুক – ইনস্টা’কেও,
মেসেঞ্জার আর হোয়াটসঅ্যাপের তো এখন
বটগাছের মতো শিকড় – ডালপালা,

চিন্তা করো নিম্বাজ আর ইবাডি’র কথা শুনলে
অনেকে তো এখন চোখ গোল-গোল করে রাখবে

কোথাও তোমার আর একটাও ছবি নাই,
যাদের কাছে আমি তোমার গল্প করতাম
তারাও আমার জীবনে নাই আর

চিন্তা করো কতো সময় চলে গেছে,
কিন্তু চোখ বন্ধ করলে তোমার মোলায়েম মুখ
এখনো কাতর হয়ে আমাকে বলে,
এরকম করিয়ো না লাবিব, সব ঠিক হয়ে যাবে


ভালো আর লাগবে না

ভালো আর লাগবে না,
কারই বা ভালো লাগে বলো
একটা ফটোগ্রাফ হয়া থাকতে,
একটা “দেখুন ভিডিও সহ” নিউজ হয়া থাকতে,
একটা সিনেমার পোস্টার, একটা নভেলের মেইন কারেক্টার,
একটা পলিটিকাল স্লোগান হয়া থাকতে কতক্ষণ
ভালো লাগবে তোমার? ভালো আর লাগবে না
একটা কনটেন্ট হয়া থাকতে, একটা সিজি, একটা গ্রেড,
একটা রেটিং হয়া থাকতে ভালো আর লাগবে না তোমার,
একটা স্টোরি, একটা মোটিভেশন, একটা শিক্ষামূলক গল্প,
একটা ইউনিক পেইন্টিং, একটা এবস্ট্রাক্ট আর্ট,
একটা এড্রেনালিন রাশ –
যেটাই হও না কেন, ভালো আর লাগবে না তোমার,
ভালো লাগা শেষ, তোমার দেরী হয়ে গেছে আসতে

Continue reading

বুক রিভিউ: মুহূর্তের ভিতর মুহূর্ত গইলা পড়ে

কেটাগরি: কবিতা
বইয়ের নাম: একটা পাখির গল্প একটা ঝাঁকের চেয়ে কত আলাদা
রাইটার: মাসিয়াত জাহিন
পেইজ: ৬৪
দাম: ১৫০ টাকা

কবিতা আমি কেমনে বুঝি? এইটা নিয়া আমি ভাবছি। ইন্ট্রোস্পেকশনের মত। আমি যে কিছু কবিতার সাথে এক ধরনের ইউনিফিকেশনের মত টের পাই আমার এক্সিস্টেন্সের সাথে, এইটা তো হয়। আবার কবিতা বা সাহিত্য, ইন জেনারেল, পড়ার ক্ষেত্রে, ক্রিটিকের ক্ষেত্রে আমার লিটারারি থিওরি, পোয়েটিক ডিভাইস, এইসব খুব মাথায় চলে তাও না। মানে, ওর কবিতা তো চিত্রকল্প নির্ভর, বা ছন্দ, অলংকার ইত্যাদি বিশয় আশয়, এমনে তো হয় না আমার। আমি দেখছি, কবিতারে আমি বোধের বাইরে থেকে বিচারই করতে পারি না। একটা সুইট স্পট আছে, সেই জায়গায় নক করতে হয়। কবিতা অবস্কিওর ফিলিংগুলারে কানেক্ট করতে পারতাছে কিনা এইটা আমার কবিতা বোঝাবুঝির কোর জায়গা খেয়াল করলাম। মানে কবিতা থিমেটিকালি পলিটিকাল, সোশাল, সাইকোলজিকাল যেইটাই হউক, আমার কনশাস ভাবনার লেয়ারগুলির নিচে চাপা পড়া, খুবই জ্যান্ত কিন্তু ভাশাহীন শিলাস্তর অব্দি ড্রিল করতে পারছে কি না, এইটা হইল আমার প্রধান বিবেচনা।

কেমনে বুঝির পর আরেকটা ডেডলক হইলো কী বুঝলাম। কবিতায় এইটা একটা ইশু। অনেক সময়ই, বিশেশ কইরা, কবিতার ক্ষেত্রে একটা কবিতা আমরা বুইঝা যাই পড়ার সাথে সাথে, কিন্তু বুঝাইতে গিয়া বিব্রত হইতে থাকি। কোন একটা ইমোশনাল-ইডিওলজিকাল হরাইজনরে ইনভোক করতে, ক্যাপচার করতে কবিতা যে ল্যাংগুয়েজ সিস্টেম নিয়া ডিল করে, সেইটা ওই পার্টিকুলার ওয়েতে ঘইটাই থাকে একটা পার্টিকুলার ইমোশনরে বুঝাইতে। আমি আমার নৈমিত্তিক ভাশা দিয়া যদি ওইটা এক্সপ্রেস করতে পারতামই তাইলে আর কবিতাটার দরকার হয় না। মানে কবিতাটাই বুঝাইতেছে ওইটা যা বুঝানোর জন্য লেখা হইছে। এর বাইরে অন্য কোনোভাবে বুঝাইতে গেলে একধরণের ট্রান্সফরমেশন ঘটবে যা কবিতাটার রিডিউসড এক্সপ্রেশনই হবে।

মাসিয়াত জাহিনের কবিতা নিয়া আলাপ করতে গিয়া এই দ্বিবিধ সংকট মনের ভেতর টের পাই। তারপর এইটার মিমাংসা দেখলাম এই টের পাওয়ার ভেতর আছে। মানে বোঝাবুঝির পরে আমাদের সামনে কতগুলা গেট যে আনলক হইল, সেইখান থেকে আমরা কিছু টের পাই। নতুন ধরনের উৎকন্ঠা? যা-ই হোক, মাসিয়াতের কবিতার লাইনেই কওয়া যায় প্রথমে ব্যাখ্যা দিয়া ভাল্লাগা উড়ায়া দেয়ার ধুমধাম চেষ্টা না কইরা, বরং টের পাওয়ার জায়গাটা নিয়া কথা বলা যাইতে পারে বৈ কি। কিন্তু তারপরও এইটা ব্যাখ্যাই- এক ধরনের অবিচার কবিতাগুলির প্রতি। Continue reading

আপনার যেইটা বলা লাগবে সেইটাই আপনার ফর্মটা ঠিক করে দিবে – ডোরিস লেসিং

This entry is part 21 of 28 in the series ইন্টারভিউ সিরিজ

ডোরিস লেসিং, কেউ কেউ তারে প্রফেট বইলা ডাকতো, উনি সেইটা পছন্দ করতেন না। তার ছবি দেখলে মনে হয় কিছু মুখ আছে, যাগো দিকে তাকাইলে তারা দেখতে সুন্দর কিনা এই প্রশ্ন ইনকনসিকুয়েনশিয়াল হয়ে যায়। তার জন্ম ১৯১৯ সালে, ইরানে। জাতে ব্রিটিশ। তিনি সাহিত্যিক, ২০০৭ সালে নোবেল পাইছিলেন। বাপের কর্ম আর বাতিকের সুবাদে জন্মের পর ১৯২৫ সাল পর্যন্ত কাটছে ইরানে, এরপর রোডেশিয়ায়। ইংল্যান্ডে ফিরতে ফিরতে তার ১৯৩৭। তাই ব্রিটিশ হইয়াও সে খুব একটা ব্রিটিশ না।

তার মৃত্যুর পর গার্ডিয়ানে যে অবিচুয়ারি বাইর হয়, সেইখানে লেখা হইছে সে জীবনে অনেক কিছু হইছে। কোনো সময় কমুনিস্ট সোশাল রিয়েলিস্ট, কোনো সময় দায়ে পড়ে নারীবাদী, কিছুকাল খুঁজলেন সুফীবাদ, হইলেন ক্যাসান্দ্রা (গ্রীক পুরাণে আছে, অ্যাপোলো এই নারীরে আশির্বাদ দিছিলো, তার প্রফেসি সব সত্যি হবে আর অভিশাপ দিছিলো, কেউ তার কথা বিশ্বাস করবে না), এরপর নিজেই নিজেরে বসাইলেন কসমিক অ্যানথ্রোপলজিস্টের পদে।

কসমিক অ্যানথ্রোপলজিস্টরা হইলো অ্যানথ্রোপলজিস্ট, যারা কয় মানবজাতি বিশ্বজগৎ সম্পর্কে যা ভাবে তা তাগো সমাজের কাঠামো তৈরিতে বিশাল গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হইয়া দাঁড়ায়। ক্যাসান্দ্রা বা প্রোফেটের ব্যাপার যেইটা হইলো, উনি নাকি অনেক আগে থেকেই বুঝতে পারতেন রাজনীতি, সমাজ এইগুলার ট্রেন্ড কী হইতে যাচ্ছে। এবং তার লেখাপত্তরে সেইসব পাওয়া যাইতো‌। যেমন এহন তো আমরা টেররিস্ট শব্দডা ধুমসে সবাই জানি। কিন্তু ১৯৮৫ সালে তেমন কেউ জানতো না। কথাই হইতো না এইডা নিয়া। অথচ তহন উনি লিখলেন ‘দ্য গুড টেররিস্ট’। সেইখানে আবার দেখাইলেন, জীবনে কিছুই যেমন ঠিকঠাক চলে না, যেমন চলার কথা তেমন চলে না, তেমন টেররিস্টরাও ঠিকঠাক কইরা টেররিস্টগিরি করতে পারে না। তারে কেউ কেউ কয় শেপ শিফটার। কারণ উনি একেক সময় একেক রকম লিখছেন। কোনো সময় হার্ডকোর রিয়েলিজম আবার কোনো সময় নির্জলা ফ্যান্টাসি।

এই ইন্টারভিউতেই কইছেন, রিয়েলিস্টরা তারে কয় ফ্যান্টাসি রাইটার, ফ্যান্টাসিওয়ালারা কয় উনি লেখেন রিয়েলিজম। গার্ডিয়ান তার অবিচুয়ারিতে কইছে তার ছোটগল্প, উপন্যাস এইগুলা হইলো ভয়ানক রকমের মৌলিক। দ্য গ্রাস ইজ সিঙ্গিং (১৯৫০), দ্য চিলড্রেন অফ ভায়োলেন্স সিকোয়েন্স (১৯৫২-৬৯), দ্য গোল্ডেন নোটবুক (১৯৬২)– এইগুলারে বিবেচনা করা হয় ২০ শতকের ক্লাসিক। আরো আছে কানোপাস ইন আরগোস (১৯৭৯-৮৩) নামের সায়েন্স ফিকশন সিরিজ, মেমোয়ার্স অফ এ সার্ভাইভার (১৯৭৪), গুড টেররিস্টের কথা তো আগেই কওয়া হইছে, লাভ, এগেইন (১৯৯৬) এইসব। এইগুলা একটা আরেকটার চেয়ে অনেক আলাদা। আর জেন সমার্স নামে যে খেলাটা খেললেন, সেইটা নিয়া টমাস ফ্রিক-ই খুঁচায়া খুঁচায়া শুনছেন।

ফ্রিক এই ইন্টারভিউটা নিছিলেন ১৯৮৮ সালে, দ্য প্যারিস রিভিউ পত্রিকার জন্য। ইন্টারভিউয়ের এক জায়গায় লেসিং বলছেন,‌ তার লেখা পইড়া পাঠক এক ধরণের গোসল দিয়া ওঠে, এইরকম ভাবতে তার ভালো লাগে। তার ইন্টারভিউ পইড়াই অনুবাদক ভালো একটা গোসল দিয়া উঠছে। লেখা পইড়া না জানি কী হবে।

অক্টেবর, ২০২৩

ডোরিস লেসিং-এর এই ইন্টারভিউটা নেওয়া হইছিলো ম্যানহ্যাটনের ইস্ট ফোর্টিজে, রবার্ট গটলেইবের বাসায়। ভদ্রলোক অনেকদিন ধরে নফ (Knopf) পাবলিকেশনে লেসিং-এর সম্পাদক ছিলেন। এখন উনি নিউ ইয়র্কারের এডিটর। ম্যানহ্যাটনে লেসিং আসছেন অল্প কয়দিনের জন্য, একটা কাস্টিং-এর কাজে। উনার ‘দ্য মেকিং অফ দ্য রিপ্রেসেন্টেটিভ ফর প্ল্যানেট এইট’ উপন্যাস নিয়া অপেরা বানাইতে চান ফিলিপ গ্লাস। সেখানে লিব্রেটো (libretto) লেখছেন ডোরিস (লিব্রেটো হইলো অপেরার গানের লিরিক্স)। এই অপেরার প্ল্যান খালি বদলাইতেছে। ইন্টারভিউটার সময় ঠিক করার জন্য বেশ কয়েকদফা পোস্টকার্ড চালাচালি করা লাগছে লেসিং-এর সাথে। উনি আবার বেশিরভাগ সময় পোস্টকার্ডে যোগাযোগ করেন, যেগুলা সাধারণত ব্রিটিশ মিউজিয়াম থেকে নেওয়া।

টেপ রেকর্ডার রেডি করতে করতে লেসিং বলতেছিলেন, “একসারি বাড়ির পেছনে বাগান, তাও কি গ্যাঞ্জাম ভাবো একবার।” হাত তুলে রাস্তার ওইপাশে টাউন হাউজ দেখায়ে বললেন, ওইখানে ক্যাথরিন হেপবার্ন থাকে। এরপর কিছুক্ষণ শহর নিয়াই কথা হইলো। চল্লিশ বছর ধইরা লন্ডনে আছেন উনি, এরপরো মনে হয়, “শহরের সবকিছু সবসময়ই অসাধারণ!” আরেকখানে সে যা বলছিলো, তা আরেকটু বেশি কড়া, “ধরো যদি জানা যায়, বিল্ডিং-এর সাইজ আমাদের এমনে প্রভাবিত করে যে আমরা ভাবতেও পারি না, তাইলে আমি মোটেও অবাক হবো না।” বয়স পাঁচ বছর হওয়ার আগে ছয়মাস লন্ডনে ছিলেন ডোরিস, বলতেছিলেন, “আমার মনে হয় বাচ্চাদের নিয়া ঘুরাঘুরি করা উচিত। বাপ-মায়ের জন্য ঝামেলার হইলেও বাচ্চাদের জন্য বিষয়টা খুবই ভালো।”

ইন্টারভিউটা নেওয়া হয় বাগানের বারান্দায় বসে। কালো চুলগুলার মাঝে দুই একটা সাদা হয়ে গেছে। মাঝখানে সিঁথি করে সেগুলা পিছন দিকে খোপা করা। পরনে ছোটোখাটো স্কার্ট, ব্লাউজ আর জ্যাকেট। দেখতে বইয়ের কভারে থাকা ফোটোর মতোই লাগতেছিলো উনারে। ক্লান্ত কিছুটা, তা গত কিছুদিনের ব্যাপক ঘুরাঘুরির ফল। গলার স্বর তেজী আর সুরালো, একই সাথে তীক্ষ্ণ আর বিস্মিত, আকুল আর রসালো।

টমাস ফ্রিক
১৯৮৮

ইন্টারভিউয়ার: আপনি তো পারস্য দেশে জন্মাইছিলেন, যেইটা এখন ইরান। আপনার বাপ-মা ওইখানে গেছিলো কেমনে?

ডোরিস লেসিং: আমার আব্বা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সৈনিক ছিলেন। যুদ্ধ শেষে উনি আর ইংল্যান্ডে থাকতে পারেন নাই। ওই দেশ তখন তার কাছে অনেক ছোটো মনে হইতো। যুদ্ধের ময়দানে সৈন্যদের এতো বিশাল অভিজ্ঞতা হয় যে, এরপর তারা আর বাড়িতে টিকতে পারে নাই। তাই আব্বা তার ব্যাঙ্কের কাছে বলে তারে অন্য কোথাও পাঠায় দিতে। তো তারা তারে পারস্য পাঠায় দেয়। ওইখানে আমাদেরকে অনেক বড় একটা বাড়ি দেয়া হইছিলো, যেইখানে ঘরগুলাও ছিলো বিশাল। অনেক জায়গা ছিলো আশেপাশে। এমনকি চড়ার জন্য ঘোড়াও দিছিলো আমাদের। সককিছু অনেক খোলামেলা, অনেক সুন্দর ছিলো। আমি জাস্ট শুনলাম যে, ওই শহর এখন ভাইঙ্গা ফেলছে। ওইটা ছিলো একটা সময়ের স্মৃতি। ওইটা ছিলো অনেক পুরান পুরান বাজার আর সুন্দর সুন্দর বিল্ডিং-এর শহর। কেউ খেয়ালই করলো না। এতো কিছু ভাংছে যে আমাদের আর খেয়াল করার টাইম নাই। তো তারপর তারে তেহরান পাঠানো হয়। ওইটা দেখতে খুব বাজে একটা শহর। তয় আমার মা সেইখানে অনেক ভালো ছিলো, কারণ সে একটা গ্রুপের সাথে মিশা শুরু করে। সেইটার নাম ছিলো “লেগেশন সেট’’। মা ওদের সাথে থাকা প্রতিটা সেকেন্ড খুব এনজয় করত। প্রতিরাতেই তাদের ডিনার পার্টি থাকতো। এরপর ১৯২৪ সালে আমরা ইংল্যান্ড ব্যাক করি। ওইখানে তখন এম্পায়ার এক্সিবিশন নামে এক মেলা চলতেছিলো (মাঝে মাঝেই গল্প উপন্যাসে এর নাম শোনা যায়) যেইটার একটা বিশাল বড় প্রভাব থাকার কথা সেইসময়। সেই মেলায় দক্ষিণ রোডেশিয়ার যে তাবু ছিলো, সেইখানে বিশাল বড় বড় যব, ভুট্টো এইসব সাজানো ছিলো। ওদের স্লোগানে “পাঁচ বছরে বড়লোক হয়ে যান” আর এইরকম অনেক হাবিজাবি লেখা ছিলো। এইগুলা দেখে আমার রোমান্টিক আব্বা ব্যাগপত্র গোছানো শুরু করলো। যুদ্ধের সময় পায়ে আঘাত পাওয়ার জন্য উনি পেনশনের সামান্য কিছু টাকা পান – পাঁচ হাজার পাউন্ড মতো – সেইটা নিয়া উনি চললেন অজানা এক দেশে, কৃষক হওয়ার জন্য। Continue reading

আমি কেন লিখি? – গোলাম মোস্তফা

আমি কেন লিখি?

প্রশ্নটার জবাব দেওয়া কঠিন। সেই ১৯১৩ সালে আমি যখন Class X এ পড়ি—তখন থেকে এ-তক (হিসেব করে দেখুন কতো বছর হবে) লিখেই চলেছি। কিন্তু একদিনের তরেও প্রশ্নটা কেউ তো কোনোদিন করেনি, অথবা নিজেও ভাবিনি যে আমি কেন লিখি। পরিণত বয়সে এই প্রশ্নটা তাই আত্মদর্শনের সুযোগ দিল। জীবনের অতল গহনে তলিয়ে গিয়ে আজ এ প্রশ্নের জবাব আমাকে দিতে হবে ।

একজন বিখ্যাত লেখককে এই প্রশ্নটাই করা হয়েছিল। তার উত্তরে তিনি বলেছিলেন: “I write for myself” (অর্থাৎ আমি আমার নিজের জন্যই লিখি।) কথাগুলির মধ্যে গভীর সত্য নিহিত রয়েছে। আমারও এই উত্তর — আমি আমার নিজের জন্য লিখি। সমাজ বা পাঠক আমার লেখা থেকে কতোটুকু আনন্দ পাবেন বা উপকৃত হবেন সে কথা ভেবে লিখি না, না লিখে থাকতে পারি না তাই লিখি। লেখার ভিতরে একটা সৃষ্টির উল্লাস আছে এবং আত্ম-প্রকাশের তাকিদ আছে। লিখলে আমি আনন্দ পাই এবং আমার কল্যাণ হয় — এইটেই হলো আমার লেখার মূল প্রেরণা। দেহের ক্ষুধার জন্য যেমন খাই, আত্মার ক্ষুধার ও বিলাসের জন তেমনি লিখি। কোনো কিছু লেখার পূর্বে আমি যা থাকি, লেখার পরে আমি তার চেয়ে উন্নততর হই, অধিকরত জ্ঞানী হই; সমুখের পানে, অজানার সন্ধানে এক কদম এগিয়ে যাই। লেখার আগে আমার দৃষ্টিতে আমার ধ্যান-ধারণায় যা অস্পষ্ট থাকে, লেখার পরে তা মার্জিত ও পরিচ্ছন্ন হয়। কোথা হতে যেন একটা নূতন আলো এসে আমার অন্তলোককে উদ্‌ভাসিত করে দিয়ে যায়। আমার সব লেখাই তাই আত্মকেন্দ্রিক। আমাকে কেন্দ্র করেই নানা শাখা-প্রশাখায় আমার লেখা পল্লবিত হয়ে আছে। অন্য কথায়, আমিই নানা ছন্দে নানা গানে বিকশিত হই। আমার আত্মা- আমার খুদাই হলো তাই আমার লেখার উৎস-মূল। আমার লেখার উদ্দেশ্য তাই যতোটা না সত্য প্রকাশ, ততোটা আত্ম-প্রকাশ। আমার লেখার তাই আমি প্রকাশিত হবো, নানা বৈচিত্র্য নানা রসে নানা ছন্দে নানা আমি স্পন্দিত হবো, নিখিল মনে আমাকে নিয়ে জাগবে বিস্ময়, জাগবে কৌতূহল, জাগবে নব নব জিজ্ঞাসা – এই বিপুল আরচেতনা ও অহমিকা থেকেই আমার সব লেখা উৎসারিত হয়।

দেহের প্রয়োজনে ভাত খাই, আত্মার প্রয়োজনে লিখি । নিজের জন্য প্রত্যেকেই লেখে। বড় বড় কবি-দার্শনিকরা নিজেকেই তো প্রকাশ করে গেছেন। শিল্প-সাহিত্যে ব্যক্তি-স্বাতন্ত্র্যের মূল্যই বেশি। বিশ্বমনের সমীকরণের মধ্যে কোনো চমৎকারিত্ব নাই। ব্যক্তিগতভাবে কে কেমন করে জীবন ও জগতকে দেখেছেন, সেইটে জানাই বড় কথা। কবি হাফিজের মনে কী রং লেগেছিল, চোখে কী স্বপ্ন নেমেছিল, মিলন ও বিরহকে কিভাবে তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, সেই কথা জানতেই তো আনল। তাঁর ‘দিওয়ান’ তো সেই জন্যই আমাদের ভালো লাগে। শেখ সাদী, ওমর খৈয়াম, রবীন্দ্রনাথ, ইকবাল প্রত্যেকের বেলাই এ-কথা খাটে। বস্তুতঃ বিশ্বসাহিত্য কেউ জোর করে লিখতে পারেনা। আত্ম-সাহিত্যই সত্য হলে বিশ্বসাহিত্যে রূপান্তরিত হয়। Continue reading

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →