‘শোনার বাংলা’র এছথেটিক দলা
ক।
আমার বউ আর আমার বড়ো মাইয়ার নাম পার্লিন অপার। ওর একটা পেন্সিল বাক্স আছিলো; শক্ত পেলাস্টিকের। ভাংছে। ও নিজেই হয়তো। জানি না। তাই ও আমারে এইবার বাক্সের বদলে ব্যাগ কিনতে বললো।
ইশকুল থিকা দুই মাইয়ারে লইয়া বাশার নিচে আইলাম, গেটে ওদের নামাইয়া আমি একটা বিড়ি ধরাইলাম [ 🙁 , ছাইড়া দিবো, কছম! ], তারপর গেলাম ইছলামিয়া লাইবেরিতে। কিনা ফেল্লাম একটা ব্যাগ, ১৮০ টাকার নিচে নামাইতে পারলাম না, ছ্যাড!
এই দোকানে এছি আছে, কিন্তু পরে একটা কাচা পেপে কিনতে হবে, তাই বের হইয়া আশতেছিলাম। তখন দেখলাম, ‘কিআ’। অনেকগুলাই, অক্টোবর২০২৪ ইশু। একবার ভাবলাম জিগাই–কেমন কেনে লোকে, কারা? বাদ দিলাম পরে; জবাব শুইনা মন খারাপ হইয়া জাইতে পারে! আর এইগুলা আমার ততো জানাও লাগে না, আমি মোটামুটি আন্দাজেই কাম চালাইতে পারি! জেইটা আন্দাজেই চলে, শেইটা জাইনা লাভ কি আর 🙂 ! আর লোকের জবাবে অতো ভরশাও পাই না আমি, মানুশ হইলো আর্টিশ, মোটিভ মোতাবেক বানাইয়া কইতে পারে কাহিনি, আশলে কয়টা বেচা হয়, শেইটা ব্যাপার না ততো!
এনিওয়ে, আমি ‘কিআ’ উল্টাইয়া দেখলাম একটু; বিজনেছ ভালোই মনে হইলো, মেলা অ্যাড, বেইচা পয়শা উশুল করা লাগে না ওনাদের, আন্দাজ করলাম!
তো, দেখলাম, এডিটর হইলেন আনিসুল হক বুয়েটিয়ান। বাকি রাইটারদের ততো চিনলাম না।
শুরুতে কিছু চিঠিপত্র, তারপরেই আনিসুল হকের লেখা; উনি আলো’র কাহিনি কইছেন দেখলাম; নাহ, বুয়েটিয়ান দেইখা ভাইবেন না জে, অপটিক্স–উনি আন্ধারের উল্টাদিকে আলো’র কাহিনি কইতেছেন, ঐ ‘আলোকিত মানুশে’র কেচ্ছা আর কি!
কইতেছেন জে, দেশের তরুনরা নাকি নয়া শুরুজ উঠাইছেন দেশে; কাভারেও একটা ছবি, বেশুমার তরুন বাংলাদেশের নিশান লইয়া চিল্লাইতেছে, শেই ছবি; এই তরুনদের মনে হইলো শবাই বাংলা মিডিয়ামের হইবেন–মানে এস্টেরিওটাইপ মোতাবেক ছবি একখান।
নজরুলের একটা কবিতা দিয়া শুরু করছেন উনি, একটু পরেই রঠায় চইলা গেছেন, তারপর আলো আর আলো। এইখানে খেয়াল করার ব্যাপার হইলো, এই জে নয়া শুরুজ/আলো, শেইটা কিন্তু কোন আন্ধারের পরে আশে নাই, আগে কোন রাইত আছিলো না, ডিফরেন্ট আলো আছিলো খুব শম্ভব। আরো মজার ব্যাপার হইলো, এই লেখার কোথাও আওমি লিগ নাই, হাসিনা নাই, বাকশাল নাই, ফেছিজম নাই, পুলিশ বা তাদের গুলি নাই, শহিদও নাই–এই আলো খুবই আছমানি ব্যাপার।
এইটার টার্গেট রিডার কারা? ১২/১৫ বছরের বাচ্চারা খুব শম্ভব, হাই ইশকুলের মাইয়াপোলারা হবার কথা। পরথম আলোর ‘বন্ধুশভা’র পোলামাইয়াপান হয়তো এইটা টার্গেট খদ্দের।
Continue reading