Main menu

বাংলা ভাষা নিয়া কয়েকটা নোকতা

This entry is part 20 of 22 in the series লেখার ভাষা

ভাষার মান ইজ্জত

ছবি দিয়া কইতে পারলে বেটার হইতো। কিন্তু গুলশান-বনানী-বারিধারা এলাকায় যারা ঘুরাফিরা করেন তাদের সবারই চোখে পড়ার কথা জিনিসটা। যে, সব দোকানের নাম তো ইংলিশ আর দোকানের সাইনবোর্ডও ইংলিশেই লেখা আছিলো।

কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষদিক থিকা মেবি কোন কারণে (হইতে পারে, সরকারি আদেশে) মেইন সাইনবোর্ডের পাশে একটা ব্যানারে বাংলা হরফে লেইখা টানানো হইছে। তো, ব্যাপারটা খুবই মজার হইছে, নানান কারণেই।[pullquote][AWD_comments][/pullquote]

এক তো হইলো, নামটা তো ইংলিশ, বাংলায় কোন অনুবাদ করা হয় নাই। ইংলিশটাই বাংলায় লেখা হইছে, যেমন Nando’s-রে লেখা হইছে ন্যান্দো’স (বানানটাও খেয়াল করেন, নান্দু’স লেখলে তো খুবই বাজে লাগতে পারতো , ভুলও হইতো একরকম) … এইরকম। তো, বাংলা হরফে/ওয়ার্ডে ইংলিশ পড়তে একটু আনইজিই লাগতেছে। আবার একটু হাসিও আসতেছে।

হাসি আসতেছে মেইনলি দুইটা কারণে। একটা তো হইলো যে, ইংলিশগুলি তো আসলে ওয়ার্ড না খালি, ব্রান্ড লগোও, আর বাংলাগুলি তো খালি নাম; বেশিরভাগ কেইসেই। আর বাংলা লেখাটা যেই সারফেইসে আছে সেইটা ইনফিরিয়রও।

ইংলিশগুলি মেইন সাইন, লাইট-টাইট আছে আর বাংলাগুলি তো টেম্পোরারি, ব্যানারে লেখা। এইটা হয়তো ফর দ্য টাইম বিং, পরে হয়তো মেইন সাইনেও বাংলা ওয়ার্ডে লেখা হইবো দোকানের নাম, কিন্তু বাংলায় ব্রান্ড লগো বা নেমোনিক করাটা তো রেয়ার ঘটনা, ক্যালিগ্রাফি করতে গেলে আবার ইসলামিক হয়া যাবে না তো?

তবে সবচে মজার যেই ঘটনা’টা ঘটতে পারে বইলা ভাবতেছি, এই ঘটনা যদি ধানমন্ডি’র দিকে ঘটে, তখন কি হবে? মানে, ওইদিকের অনেক দোকানের নাম এমনিতে বাংলা, কিন্তু লেখা হইতেছে ইংলিশে। যেমন, pakwan, এইটারে যদি বাংলায় ‘পাকোয়ান’ লেখে, তাইলে দোকানের মান-ইজ্জত বইলা কি কিছু থাকবে! খুবই ছোটলোকি ব্যাপার হয়া যাবে না তখন। নাকি না?

মার্চ ২০, ২০১৮


ভাষার জেলখানা

“জেলে কতগুলি কথা ব্যবহার হয় যা বাইরের লোক সহজে বুঝতে পারবে না। আমি যখন প্রথম জেলে আসি তার পরদিন সকালে একজন কয়েদি ‘পাহারা’ এসে আমার ও আমার সাথী কয়েকজনকে বলল আপনাদেরকে ‘কেসটাকেোলে’ যেতে হবে। আমরা তো ভেবেই অস্থির। বাবা ‘কেসটাকোল’ কি জিনিস?… কেস টেবিল থেকে ‘কেসটাকোল’ নতুন একটা ইংরেজি শব্দ কয়েদিরা জন্ম দিয়েছে। এররকম অনেক শব্দ ও নাম জেলখানায় আছে।” (কারাগারের রোজনামচা, শেখ মুজিবুর রহমান, পেইজ ৩০ – ৩১)
এইটা আরেকটা ফেভারিট জায়গা আমার। একটা শব্দ একটা ল্যাঙ্গুয়েজ থিকা আরেকটা ল্যাঙ্গুয়েজে কেমনে ট্রাভেল করে… চিন্তার একটা ব্যাপার তো আছেই, ভোকাবুলারি বা রিদমের আর সাইন বা হরফেরও। যেইরকম ম্যাক্সমূলার হইছিলেন মোক্ষমূলার, আলকেমি হইছে কেমেস্ট্রি। এইরকম ট্রাভেলিংগুলিরে লোকেট করতে পারা যায় শব্দের ভিতর দিয়া। এক একটা জায়গায় গিয়া, ভাষাতে গিয়া একটু অন্যরকম হইতেছে। কোন না কোনভাবে কোন না কোনকিছু থাইকাই যাইতেছে হয়তো। যেই দুনিয়াতে আমরা থাকি, সেইটা এইরকম ভাষার জেলখানাই মনেহয়।

নভেম্বর ১৭, ২০১৭


কোজাগরী

কোজাগরী শব্দটার মিনিং আমি জানতাম না। লোকজন কয়, টিভিতে দেখায়, কোজগরী চাঁদ, জি-বাংলা টিভিচ্যানেলে একটা সিরিয়ালও আছে এই নামে। গতকালকে ছিল, এই কোজাগরী চাঁদের রাত। তো, অনলাইনে সার্চ দিয়া দেখলাম যে, এইটার মানে হইতেছে ‘কো জাগর্তি’; এই মিনিংয়ের পিছনে একটা কাহিনি আছে। [বেশিরভাগ শব্দেরই, বিশেষ কইরা বিশেষণের এইরকম থাকার কথা।] কাহিনি’টা হিন্দু ধর্মের। [ইসলাম ধর্মের শব্দও থাকতে পারে এইরকম, সেক্যুলার-ধর্মেরও…]

দেবী লক্ষী বিষ্ণুলোক থিকা দুনিয়াতে আইসা মানুষের ঘরে ঘরে গিয়া জিগান, “কে জাইগা আছো?” [এইরকম বাক্য পাইলাম, কবিতার লাইন হইতে পারে এইটা – “নিশীথে বরদা লক্ষী কোজাগর্তিভাষিনী”।] তো কেউ জাইগা থাকলে, উনার ডাকে রেসপন্স করলে তার ঘরে গিয়া সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, ধন-সম্মান দিয়া আসেন।

মেবি হিন্দুধর্মের রেওয়াজগুলা কইমা আসতেছে বইলা খোঁজ-খবর নিয়া মিনিংটা জানতে হইছে আমারে। প্রাকটিস’টা চালু থাকতে আলাদা কইরা জানতে হইতো না, জানার মধ্যেই থাকতো কোন না কোনভাবে। মানে, আমাদের লাইফে বাঁইচা থাকার কারণেই কিছু শব্দ চইলা আসে, বাতিল হয়, মিনিংও পাল্টায় [যেমন, প্রাইভেট কার শব্দটা ১০০/১৫০ বছর আগে বাংলায় থাকাটা রেয়ার; ঘোড়ার গাড়ি সম্মানের ব্যাপার, গরু’র গাড়ি ব্যাপারটা রিকশা’র মতো হওয়ার কথা, কিন্তু ঘোড়ার গাড়ি এখন তো সর্ট অফ এন্টিক জিনিস, গরুর গাড়ি মানে স্লোনেস…]

ব্যাপারটা এইরকম না যে, প্রতিটা শব্দের সাথে একটা কইরা মিনিং অ্যাটাচড থাকে। আমরা কিছু কমন প্রাকটিসের ভিতর দিয়া, অনুমানের ভিতর দিয়া বরং ব্যাপারটারে আন্দাজ করি।

অক্টোবর ১৬, ২০১৬

 

ভাষা আন্দোলন

জিন্নাহ কিন্তু ইংলিশেই কইছিলেন – “উর্দু’রে স্টেট ল্যাঙ্গুয়েজ করার কথা; উর্দুতে কন নাই। আর যেই স্টুডেন্ট এইটার প্রতিবাদ করছিলো, সে কিন্তু ‘না’ কয় নাই; ‘নো’-ই কইছিলো! ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং না? যেই দুইটা ভাষা’র লাইগা ফাইটটা চলতেছে, সেই দু্ইটা নাই; এইটা নিয়া কথা হইতেছে অন্য আরেকটা ভাষাতেই। হোয়াই? (মানে, হোয়াই তো বাংলা-ই, তারপরে ব্র্যাকেটে লিইখা দিলাম, কেনোও?)

আরেকটা ঘটনার কথা বলি, দার্জিলিংয়ে ঘুরতে গেছি, ২০১০-এ। দার্জিলিংয়ের আদিবাসীরা বাংলা কওয়ার ট্রাই করলেও, শিলিগুড়ি’র বাঙ্গালীরা দেখি বাংলাদেশি বাংলা কইলে আমরার লগে হিন্দিতেই কথা কয়।  (মানে, এইরকমই মনে হইছিল আমার।) তো, আমরাও ইংরেজিতেই কথা কইলাম। অফিসের মিটিংয়ে একজন অ-বাংলাদেশি থাকলেই দেখবেন ইংরেজি কওয়া লাগে, ইভেন সব বাংলা জানা লোক থাকলেও। জিন্নাহও আসলে ইংরেজি জানা লোকদেরকেই শুনাইতে চাইতেছিলেন (উনার উর্দু না বলতে পারা’র কথা মনে রাইখাই বলতেছি)। যারা খালি বাংলা জানে, ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়া উনারা কিছু কইতে পারবে এইরকম গণতন্ত্রে উনি বিলিভই করেন নাই আসলে। যিনি রিভোল্ট করলেন, উনি জিন্নাহরে জানাইতে চাইছিলেন, বাংলা তো আমরা জানি, ইংরেজির ভিতর দিয়াই। উনি খালি জিন্নাহরেই প্রটেস্টই করছেন, অথরিটি’টারে যে উনি চিনেন এইটাই জানাইছেন। মজার ব্যাপার হইলো, “অরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়…” গানটা নিয়া; ‘কাইড়া’, কি রকম অদ্ভূত বাংলা! লিখতে গেলেও ফানি লাগে, ব্যাপারটা! এই বাংলা-ভাষা ভাষা আন্দোলনের ‘নো’ বেঙ্গলিরা চাইছিলেন বইলা মনে হয় না।

অগাস্ট ১, ২০১৬

 

প্রমথ চৌধুরীর মুখের ভাষা

বাংলাভাষা লেখার এখনকার যে তরিকা সেইটা একরকম মোস্টলি প্রমথ চৌধুরী’র (১৮৬৮ – ১৯৪৬) আর্গুমেন্টগুলির উপর বেইস কইরাই চলতেছে। ভাষা নিয়া চাইরটা লেখা আছে উনার- কথার কথা (১৩০৯), বঙ্গভাষা বনাম বাবু-বাংলা ওরফে সাধুভাষা (১৩১৯), সাধুভাষা বনাম চলিত ভাষা (১৩১৯) আর আমাদের ভাষাসংকট (১৩২৯)।

 

promoth_indira

 

তখন বাংলাভাষা লেখা হইতো মোস্টলি সাধুরীতি’তে। মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালংকার’রা সংস্কৃত কলেজে যেহেতু অনুবাদ করতে করতে বাংলাভাষা বানাইছিলেন ওইটা ডিকশনারি বেইজড একটা জিনিস ছিলো। লেখার ভাষা ছিলো মুখের ভাষা থিকা ডিফরেন্ট একটা জিনিস, যত ডিফরেন্ট তত বেশি লিখিত, মানে সাহিত্য – বিচারের ধরণটা এইরকমই ছিল (এখনো আছে মনেহয় কিছুটা; দাঁত-ভাঙা কবিতা দেখা তো যায়)। প্রমথ চৌধুরীরা (লগে আরো কয়েকজন আছিলো) কইলেন এইসব বাদ দিতে হবে, মানুষ তো আগে কথা কয়, তারপরে লিখে; আর মানুষ লেখে মানুষরেই বোঝানো লাইগা, সো যেমনে মানুষ বাংলাভাষাতে কথা কয় লিখিত বাংলাভাষা সেইটার কাছাকাছি হওয়া লাগবে, ডিফরেন্স কমানো লাগবে।

তো, যখনই মুখের ভাষা’র কথা বলতেছেন তখন নরমালি প্রশ্ন আসে, কার মুখের ভাষা? কোন জায়গার মুখের ভাষা? এর উত্তরও উনি দিছেন; বলছেন, যেইখানকার উচ্চারণ স্পষ্ট, যেমন দক্ষিণবঙ্গের মানুষের উচ্চারণ, সেইটারে নিতে হবে। আর বেশ কয়েকবারই বলছেন যে, ‘কলিকাতার ভদ্রসমাজের ভাষা’রেই নিতে হবে। কারণ কলকাতা হইতেছে সেন্টার (বঙ্গভঙ্গ হয়া গেছিলো ততদিনে, কিন্তু উনি যেহেতু বঙ্গভঙ্গ মানেন নাই, ঢাকারে সেন্টার ভাবতে পারেন নাই আর); ‘বাংলাদেশের সকল প্রদেশের অসংখ্য শিক্ষিত ভদ্রলোক’রা কলকাতায় থাকেন।

আমার সমস্যাটা এই ‘ভদ্রলোক’দের নিয়াই। তার মানে এই না যে, প্রমথ চৌধুরী খালি ভদ্রলোকদের শব্দই নিতে কইছেন; উনি ‘ইতর শব্দ’ বাদে সমাজে অন্য সব ক্লাসের মধ্যে চালু থাকা শব্দও লেখায় নিতে চাইছেন। কিন্তু যখনই আপনি ‘মুখের ভাষা’ নিতেছেন একটা ডমিনেন্ট ক্লাসের ভাষারে না নিয়া আপনার উপায় নাই। না চাইলেও মনেহয় এইটা অটোমেটিক্যালি চইলা আসার কথা, কারণ অ্যাজ অ্যা ভদ্রলোক আমি চাইলে সিলঅটি ভাষা লিখতে পারবো না (লন্ডনীরা বলেন, কিন্তু লেখেন না)। ‘ভদ্রলোক’ ক্লাসটা সাম সর্ট অফ সুপিরিয়রিটি ছাড়া একজিস্ট করতে পারার কথা না। আর সেই সুপিরিয়রিটিরে সেন্টারে রাইখা যখন ভাষার মধ্যে অন্য ক্লাসের শব্দগুলিরে ইনসার্ট করতে থাকবেন দেখবেন খুবই ফানি লাগতেছে ব্যাপারটা। ‘আপনি’ না কইয়া ‘আপনে’ কইলেই এনাফ অপমান/ফান করা যাইতেছে, জাস্ট পেরিফেরির শব্দগুলা ইউজ কইরাই। ইভেন আপনি ফান না করতে চাইলেও এরা ফানি, বেশিরভাগ সময়।

এই কারণে প্রমথ চৌধুরী’র ‘মুখের ভাষা’ লিখিত বাংলাভাষারে সাধুভাষা থিকা যদ্দূর ফ্রিডম দিতে পারার কথা, দিছে; এখন বরং একটা অবস্টেকল হিসাবেই সামনে আসতেছে। নিজেরে ওই ‘সেন্টার’ পয়েন্টে আর আপগ্রেড করতে পারতেছে না। এই ‘মুখের ভাষা’ একদিক দিয়া প্রমিত ভাষার ভিতর দিয়া সুইসাইড করতেছে, আবার ভদ্রলোকের ভাষার ভিতর ‘ইতর শব্দ’ ঢুকাইয়া বেলুনটারে বড় করতে করতে ফাটাইয়া ফেলতেছে, এমনকি নানান ধরণের আঞ্চলিকতার পট্টি লাগাইয়াও এই ফর্মটার আর সারভাইব করা যাইতেছে না।

লেখার ভাষারে সবসময় একটা ওয়াইডার অডিয়েন্সের সীমানার মধ্যে যাইতে পারতে হবে। ম্যাক্সিমামটারে না ধইরা মিনিমামটরে ধরতে হবে। যাঁরা লিখার ভিতর দিয়া কথা বলেন না, তাঁদেরকেও (চন্দ্রবিন্দু কনশাসলিই দিছি) আপনার লেখার কাস্টমার (গ্রাহক’রে বাদ দেন) বানাইতে হবে। কিন্তু এইটারে ফান বা অপমান হিসাবে ট্রিট করে আমাদের এই ‘মুখের ভাষা’। আমার ধারণা, লেখক-সমাজ এই ‘মুখের ভাষা’ এখনো ছাড়তে পারতেছেন না খালি ‘ভদ্রলোক’ থাকার লোভে। বাঁইচা থাকলে মানুষের লোভ কিছু থাকেই; ইন দ্যাট কেইস, নতুন নতুন ‘লোভ’ করতে পারাটা মেবি ভালো।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৬

 

ভাষা, ক্লাস সুপিয়রিটির একটা ঘটনা

মতিকণ্ঠ একটা সময় খুব পুপলার আছিলো, এখন ইআরকি যেমন। হিউমিলেশনও আছে। আর হিউমিলেশন আছে বইলাই হিউমার করাটা পসিবল হয়, বেশিরভাগ সময়। এই হিউমিলেশন যতোটা না ঘটনার (মানে, নাই যে সেইটা না), তারচে বেশি ভাষা থিকাই আসে।

মানে ঘটনা, সেইটা যা-ই হোক, এর যে রিপ্রেজেন্টশন, সেইটাই হইলো ঘটনাটা। ঘটনা আসলে ভাষার ভিতর দিয়াই ঘটে। আর ভাষারে আপনি যতো কব্জির জোর দিয়া ঘুরাইতে থাকবেন ঘটনা ততোই ঘটতে থাকবো। এমনিতে পত্রিকা-টিভি-রেডিও’র ভাষাই হইলো আমাদের জীবনের ঘটনা। এর বাইরে গল্প-কবিতা ত থাকলোই।

মানে, আপনি জানেন যে, পাখিটারে কয়, বক-পাখি; এখন আপনি বক-পাখি না কইয়া কইলেন, বগা-পাখি। এতে কইরা বক-পাখি ইন্সট্যান্ট বগা-পাখি হয়া যায় না খালি, তার যে দুইটা পা সেইগুলা ঠ্যাং হয়া যাইতে পারে। পাখি হিসাবে আরোবেশি পাতলা, এমনকি পাখি-ই হইতে পারলো না, মনে করেন। মানে, এইরকম মনে করাটা সম্ভব হইতে পারে। খালি বক-পাখি থিকা বগা-পাখি লিখার কারণেই।

এখন রিডার হিসাবে এনাফ লিটারেট না হইলে আপনি এই বক-পাখি আর বগা-পাখি’রে আলাদা করতে পারবেন না। আর মজাটা এইখানেই এমপ্লিফাই হইতেছে যে, কেউ কেউ হয়তো বুঝতেছেও না! না-বোঝার যদি কেউ না-থাকে, বোঝাটার মিনিং তৈরি হইতেছে না।

আমি মনে হয় ব্যাপারটা ক্লিয়ার করতে পারতেছি না। এইজন্য ভাবলাম, মতিকণ্ঠের ভাষাটারে অনুবাদ কইরা দেই।

জাস্ট একটা এক্সম্পাল হিসাবেই মতিকণ্ঠের ভাষারে বাংলা একাডেমি’র ভাষায় কনর্ভাট করার চেষ্টা করলাম। মূল লেখা পড়েন (http://bit.ly/1D77UtF), হাইসা নেন।

তারপরে নিচেরটা পড়েন।

তখন কিছুটা বোঝা যাইতে পারে, এই যে ভাষা, এইটা একটা ক্লাস সুপিয়রিটির ঘটনারে কিভাবে আপহোল্ড করে।

_________________________

সাংবাদিকতা করে বার্গম্যান আর টাকা খরচ হয় আমার: ড. কামাল

 বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে মনগড়া বিতর্ক সৃষ্টির অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের রায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও কানে ধরে দাড়িয়ে থাকার শাস্তি পাওয়ায় বিদেশি সাংবাদিক ডেভিড ব্যার্গম্যানের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের সংবিধানের প্রনেতা দলের অন্যতম সদস্য, খ্যাতনামা আইনজীবী ও দেশের একমাত্র নির্ভরযোগ্য সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানের শ্বশুর গনফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং অনেক রাজনৈতিক জোটের সহায়ক ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশের সংবিধানের পিতা সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন ওরফে আইনের ময়দানে কিংবদন্তী ফুটবলার কামাল হোসেন।

 আজ আদালতের রায় ঘোষনার পর এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন কামাল হোসেন।

 নিজ চেম্বারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংবিধান-বিশেষজ্ঞ বলেন, আমি বাংলার সংবিধানের পিতা, সংবিধান-বিশেষজ্ঞ। ডেভিড বার্গম্যান আমার জামাতা। অতএব লক্ষ লক্ষ বৎসর ধরে চলে আসা পারিবারিক রীতি অনুযায়ী বাংলার সংবিধান সম্পর্কে ডেভিডের শালী। আর শালীর সঙ্গে দুলাভাইয়ের সম্পর্ক যে এই বাংলায় কত মধুর, তা বিস্তারিত বলে আপামর দুলাভাইদের চঞ্চল করতে চাই না। অথচ শালীরূপী সংবিধানের সংগে মধুর দুষ্টামি করার কারনে এই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল ডেভিডকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে দিল। শুধু জরিমানা করেই এই নিষ্ঠুর ট্রাইবুনাল থামে নি, তাকে কানে ধরে কাঠগড়ায় দাঁড় করে রেখেছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

 হুহু করে কেঁদে উঠে আইনের ময়দানে কিংবদন্তী ফুটবলার কামাল হোসেন বলেন, যখন সংবিধান লিখতে বসছিলাম, তখন একটি বিশেষ ধারা সংযোজন করে যদি আজ সংবিধান-বিশেষজ্ঞদের ফ্যামিলি মেম্বরদের জন্য সংবিধানের সঙ্গে সকল প্রকার মশকরাকে বৈধ করে দিতাম, আজ আমাদের ডেভিডকে কানে ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো না, আমার পকেট থেকেও পাঁচ হাজার টাকা খরচ হতো না।

 অশ্রু মুছে সংবিধান-বিশেষজ্ঞ বলেন, ডেভিড শালা অকর্মণ্য, কোন কাজকর্ম করে না। সারাদিন ট্রাইবুনালে, নুরুল কবীরের কার্যালয়ে আর মগবাজারে পড়ে থাকে। রাতে বাড়ি এসে বলে, বাবা ভাত খাবো। ওকে লালন পালন করতে গিয়ে আমার চেম্বারের সব আয় রোজগার খরচ হয়ে যাচ্ছে। দুই ঈদে আড়ং থেকে পাঞ্জাবী কিনে দিতে হয়, ব্রান্ডের শাট কোট সুট বুট ঘড়ি ফাউন্টেন পেন ইত্যাদিও আমাকে যোগাতে হয়। নাতী নাতনীর মুখের দিকে তাকিয়ে তাও মেনে নেয়া যায়, কিন্তু এই শালা বিদেশি অকর্মন্য’র ব্লগিং বাবদ জরিমানার টাকাও যদি আমাকে পরিশোধ করতে হয়, তাহলে তো পথের ফকির হয়ে যাব।

 এক পর্যায়ে বার্গম্যানের প্রতিও ক্ষোভ প্রকাশ করে সংবিধান-বিশেষজ্ঞ বলেন, হাটহাজারি’র খলিফা আল্লামা শফী হুজুর যা বলেছেন, ঠিক বলেছেন। এই নাস্তিক ব্লগারের সঙ্গে একমাত্র কন্যার বিয়ে দিয়ে আজ আমি ডুবতে বসছি। এই অকর্মন্য ব্লগ দিয়ে ইন্টারনেট চালায় আর ৫ হাজার টাকা খরচ হয় আমার পকেট থেকে। তার বদলে যদি টবী কেডমেনের শ্বশুর হতাম, আজ আমার এই গরিবি দশা হতো  না।

 পকেটে হাত দিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে কামাল হোসেন বলেন, বাংলার আর কোন বাবা যেন লন্ডনের ঘরজামাই ঘরে এনে আমার মতো লালবাতি না জ্বালায়।

জানুয়ারি ১, ২০১৫

 

কাজী নজরুল ইসলামের ভাষা

কাজী মোতাহার হোসেন লিখতেছিলেন –

সে যুগে (১৯১২) চোস্ত ভাষা বলতে বঙ্কিমী ভাষাই বুঝাত;… দেখা যায় ততদিনে (১৯১৯) ভাষাটা অনেকটা রাবীন্দ্রিক হয়ে এসেছিল আর ভাবও প্রায়ই রবীন্দ্রনাথের থেকে ধার করা… একটা সময়  (১৯২৬) লক্ষ করলাম, আমার ভাষার বঙ্কিমী ও রাবীন্দ্রীক ভাব কেটে গিয়ে একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য এসে পড়েছে। দীর্ঘ সমাস, আর দুরূহ শব্দ বিদায় নিয়েছে; ভাষা হয়ে উঠেছে সহজ, প্রাঞ্জল আর বাহুল্যবর্জিত বা অনাড়ম্বর – যাতে পরিমাণ মত মূর্চ্ছনা থাকলেও গিটকারীর প্রাধান্য নেই। (কাজী মোতাহার হোসেন, আমার সাহিত্যিক জীবনের অভিজ্ঞতা, স্মৃতিকথা, প. ৭৩ – ৭৫)।

যদিও উনি ক্লেইম করছেন যে, বঙ্কিম ও রবীন্দ্রনাথের চাইতে উনার ভাষা চেইঞ্জ হয়া আসছে, ততো একটা হয় নাই আসলে; বাহুল্যঅনাড়ম্বর আর প্রাঞ্জলতা   এইসবকিছু রয়া গেছিল বা আছে; এই যে চেইঞ্জ, এর গরিমা উনি দিছেন ওই সময়কার মুসলমান লেখকদের কনশাস এফোর্ট’রে, শিখা-গোষ্ঠীরে; হয়তো এইটা উনারে দাবি করতে হেল্প করছে, কিন্তু সাহিত্যে বুঝতে পারা এবং লিখতে পারা দুইটা আলাদা আলাদা ঘটনা; উনার ভাষা-বদল বইলা যদি কিছু ঘইটা থাকে সেইটা জায়েজ করার কথার মতো সাহিত্যিক উদাহারণ হিসাবে তার আগ পর্যন্ত কাজী নজরুল ইসলামই আছিলেন।

নজরুল যতোটাই কবি হইছেন তার কারণ উনার বিদ্রোহ, প্রেম, হিন্দু-মুসলিম ইত্যাদি জিনিস না; বরং ওই সময়কার এস্টাবলিশ যে সাহিত্য-রুচি তার বাইরে গিয়া উনি সাহিত্যরে ডিকটেড করার ট্রাই করছেন, এই ভাষা-ব্যবহারের জায়গাটা এইরকম একটা ঘটনা। এইটাই উনারে আলাদা কইরা রাখছে, এখনো (আলগা করো গো খোঁপার বাঁধন, মেরা দিল ওহি পে ফাঁস গায়ি… গানটা শোনা যাইতে পারে এইখানে)। উনার ভাষা কিছু এফেক্ট রাইখা গেছে বাংলা-সাহিত্যে, এখন এর সিগনিফিকেন্স যারা আবিষ্কার করতে গেছেন, তারা এই প্রেজেন্সগুলারেই গ্লোরিফ্লাই করছেন নিজেদের সাহিত্য-বুঝ দিয়া এবং কাজী নজরুল ইসলাম তার শব্দ ব্যবহার দিয়াই আইডেন্টিফাইড হইছেন এবং হইতেছেন।

এখন শব্দ ত আর খালি শব্দ না, এইটা দিয়া আপনি একটাকিছু বলার চেষ্টাটাই করতেছেন; নজরুলের এই বলার-জায়গাটা ঠিক ‘আধুনিক’ না এইরকমও বলছেন মনেহয় বুদ্ধদেব বসুরা। এর আন্ডারলায়িং মিনিংটা হইলো যে, উনার শব্দের রেফারেন্সগুলা ইউরোপীয়ান কালচারের বা থটপ্রসেসের ভিতর থিকা আসে নাই। 1  এর বিপরীতে মনে হইতে পারে যে, এইটা আসছে একধরণের মুসলিম কালচারের রেফারেন্স থিকা (পরে ফররুখ আহমেদও এই রাস্তায় সার্চ করছেন); ওই সময়ের খেলাফত আন্দোলন হয়তো এইরকম একটাকিছু ভাবতে নজরুলরেও কনফিডেন্স দিয়া থাকতে পারে, কিন্তু ন্যাশন বা জাতি’র ভাবনা একটা ল্যান্ডের সাথেই জড়িত (একটা ইমেজারি বিষয় হইলেও) এবং নজরুলের মুসলিম-জাতির যে ভাবনা (যদি সেইটা থাকেও) সেইটা ভারত-ভূমিতে নিজের জায়গা কইরা নিতে পারে নাই। যার ফলে শব্দগুলার বেশ এতিম অবস্থাই, যেন বাপ মা নাই। কারণ, এর অরিজিন আর বাংলার মাটিতে যেন নাই!

একটা সেন্স অফ অরিজিনালি থিকাই ন্যাশনের কল্পনাটা আসে; তার মানে এই না যে, একটা অরিজিনালিটি আছে, বরং একটা অরিজিনালিটিরে যে অ্যাজিউম করা, সেইটা নজরুল করতে পারেন নাই। ভারত-ভূমি থিকা সরতে গিয়া সনাতন-ভারত মানেই যে হিন্দু-জীবন – বাঙালি সাহিত্যিকদের এই আবিষ্কারেই তিনি ফিরা আসছেন। হয়তো একটা সমঝোতায়ও যাইতে চাইছেন যে আরব বেদুইনরা ইন্ডিয়ায় আসার পরে তো আর আরব বেদুইন না!

তো, কাজী নজরুল ইসলামের এই শব্দ ইউজ করার তরিকা দেইখা আমাদের কিছুটা হইলেও ফিল করতে পারার কথা যে, এই যে সনাতন-ভারত, অরিজিনাল বাংলা… এইগুলা আসলে এক রকমের ইউরোপীয়ান ইনোভেশনেরই ঘটনা।

অক্টোবর ২০, ২০১৪

 

বাংলাভাষার ভিতর হিন্দু থাকাটা প্রায় অটোমেটিক একটা ব্যাপার

ভাষার দিক দিয়া, ধর্ম পরিচয় হিসাবে বাংলাভাষার ভিতর হিন্দু থাকাটা প্রায় অটোমেটিক একটা ব্যাপার, যেমন, ভগবান; এইটা লেখাটাই স্বাভাবিক, মানে নরমাল বাংলাভাষা। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ র বইয়ে একটা লাইন আছে এইরকম –

নামাজের সময় ভগবানকে প্রশ্ন করলাম – এ কোন্ পশুর কাছে পাঠালে। (আমার কথা। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ। অনুলেখক শুভময় ঘোষ। পৃষ্টা ৫০ -৫১)

ইভেন ঈশ্বরও টু সাম এক্সটেন্ড, একসেপ্টেবল (বরং এইটাই প্রমিনেন্ট এখন)। কিন্তু আল্লা একটা ইন্টারভেনশন, বাহ্যিক ব্যাপার মনে হইতে পারে, বাংলাভাষায়।

হইতে পারে আলাউদ্দিন খাঁ এই জায়গাটাতে ‘আল্লা’-ই কইছিলেন, কিন্তু ভাষা-আন্দোলনের বছরেও (১৯৫২তে) বাংলা-ভাষায় ‘আল্লা’ শব্দটা জায়েজ হইতে পারে নাই, ‘ভগবান’-ই সহি ছিল, লিখার লাইগা। এইরকম হইছিল কিংবা হয় নাই, সেইটার চাইতে আমি সন্দেহের জায়গাটাতেই জোর দিতে চাই যে, হইতে পারে। সম্ভাবনাটা ভ্যালিড।

ভাষার এইরকমের ধর্ম-অভ্যাসরে বাদ দিয়া গেলে অনেক অর্থ এড়াইয়া যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয় এবং আমাদের রিডিং আরো বেশি সেক্যুলার হইতে থাকে, সমালোচনার মধ্যে; মনে হইতে পারে পৌত্তলিকতারে পার হয়া আমরা আধুনিক হইতে পারলাম!

বাঙালির আধুনিক হওয়া মানে ইংরেজ হওয়া, মোগল-আমলের পরে। এই যে গোস্ত, পোলাও, বিরিয়ানী – এইগুলা মোগল হিসাবে মুসলমানের খাওয়া; নতুন এবং ইনভেনটেড। কিন্তু মাছ ‘আদি বাঙালি’ খাবার, এই ‘আদি’ এবং ‘মুসলমান’ও আসলে এক ধরণের ইংরেজী আবিষ্কার।

অগাস্ট ২২, ২০১৩

 

বাংলাভাষার হেফাজতকারী প্রথম আলো পত্রিকা কি ‘পারমিশন’ বলার ‘অনুমতি’ দিবে না?

‘৪৮ ঘণ্টা পর আর সমাবেশের পারমিশনের (অনুমতি) জন্য অপেক্ষা করব না।’ – খালেদা জিয়া, প্রথম আলো পত্রিকার খবর (নিউজ)।

11928_10151348275277093_1087324168_n

খালেদা জিয়া যে উনার বক্তৃতায় ‘পারমিশন’ শব্দটা কইছেন, সেইটারে ব্রাকেটে ‘অনুমতি’ বইলা পরিচয় করাইয়া দিছেন নিউজ রাইটার আর এডিটর। কিন্তু এই পরিচয় বা অনুবাদ এর উদ্দেশ্যটা সর্ম্পকে সচেতন হওয়াটা জরুরি। এর মানে এই না যে, যারা প্রথম আলো পত্রিকা পড়েন, তারা ‘পারমিশন’ শব্দের অর্থ জানেন না, বরং উনারা পারমিশন শব্দের জায়গায় যে ‘অনুমতি’ শব্দটা ব্যবহার করা দরকার, এই সাজেশনই দিতে চাইছেন।

তবে খালেদা জিয়া যে ‘অনুমতি’ না কইয়া ‘পারমিশন’ কইছেন এইটাতে আমি সার্পোট করি। কারণ, পারমিশন শব্দের যে র’নেস (রুক্ষতা) এবং স্যাটায়ার (কটাক্ষ) সেইটা অনুমতি শব্দের আনুগত্যের মধ্যে নাই। এক দিক থিকা এইটা শেখ মুজিব এর ‘দাবায়া’ শব্দেরই মতোন অনেকটা।

মে ৫, ২০১৩

 

ইন্ডিয়ান বাংলা

ইন জেনারেল, ইন্ডিয়ান বাংলার তুলনায় নেটে বাংলাদেশি ভিডিও কনটেন্ট মনেহয় বেশ কম। যার ফলে, ভাষার মিলের কারণে ইন্ডিয়ান অনেক ইস্যুরে বাংলাদেশের ইস্যু বইলা মনেহয়। এর মধ্যে, একটা ইস্যু হইলো, হিন্দির কারণে বাংলা-ভাষা মইরা যাইতেছে!

কিন্তু এইটা এন্টায়ারলি ইন্ডিয়ান বাংলার একটা ক্রাইসিস। অইখানে, মানে, পশ্চিমবঙ্গে ইউটিলিটির দিক দিয়া থার্ড ল্যাঙ্গুয়েজ হওয়ার কথা, হিন্দি আর ইংলিশের পরে। বাংলাদেশে, নিজেদের বাসা-বাড়িতে চাকমা, গারো, মনিপুরি’রাও তো নিজেদের ভাষায় কথা কয়; কিন্তু অফিস-আদালতে তো বাংলাতেই কথা কইতে হয়। রাষ্ট্র, অ্যাজ অ্যান এজেন্সি, ডাইভারসিটি’রে খুব একটা অ্যাকোমোডেড করতে পারার কথা না, করেও না। ইন্ডিয়াতে এই কারণে ইংলিশ বা হিন্দি না বইলা থাকতে পারাটা কঠিনই হওয়ার কথা। পলিটিক্যাল কারণেও নর্থ ইন্ডিয়ান স্টেটগুলার ল্যাঙ্গুয়েজই ডমিনেন্ট হইতে থাকার কথা, আরো।

সেকেন্ডলি, পশ্চিমবাংলার যেই বাংলা, সেইটা রিজিড অনেক; ফেক্সিবল না, মানে, ফেক্সিবল শব্দটাই নাই মনেহয়, অদের বাংলা-ভাষায়। 🙂 এখনো ইংলিশ হয়া আছে। এইরকম ‘হিন্দি-শব্দ’ নিয়াও অরা ডরে ডরে থাকে মনেহয়। তো, এইরকম শব্দের বেড়া দিয়া মানুষের কথারে বান্ধা যায় না। আরো দুয়েক জেনারেশন কান্দাকাটিই করতে পারবে হয়তো বড়জোর।

জুন ১৩, ২০১৯

 

হারাম ও হালাল শব্দ

Narcos দেখতে গিয়া একটা জিনিস মনে হইতেছিলো, এতো যে স্প্যানিশ কথা ইউজ করছে ডায়ালগে; বাংলাদেশ নিয়া, ধরেন মুসা বিন শমসের বা আর কাউরে নিয়া কোন সিরিজ বানাইলে এতো বাংলা ডায়ালগ কি বলানোর সাহস করতে পারতো কোন ডিরেক্টর? (যদিও স্প্যানিশ সেকেন্ড মোস্ট স্পোকেন ল্যাঙ্গুয়েজ আর বাংলা ৬/৭ নাম্বার, তারপরেও, মনে হইলো।)

এইটা মনে হওয়ার আরেকটা কারণ হইতেছে, তাহমিমা আনামের দ্য গোল্ডেন এইজ কিছুটা পড়ার এক্সপেরিয়েন্স। ওইখানে উনি ফজরের আযান’রে লিখতেছিলেন dawn azan, আলুভাজি’রে লিখতেছিলেন potato bhaji, এইরকম। মানে, বাংলা-ভাষায় ‘ইংলিশ’ শব্দ যেমন ইউজ করতে পারি না, একইরকমভাবে ইংলিশ লিখতে গেলে মনেহয় ‘বাংলা’ শব্দ লেখাটা হারাম। 🙁 ভাষার ব্যাপারে, এই যে একটা ‘অরিজিনালিটি’র সেন্স – এইটা ঝামেলার, একটা ভাষার যে কালচার তারে আধা-মাধাভাবে রিপ্রেজেন্ট করে বরং।

তো, বাংলা লিখলে ‘ব্যবহার’ না লিইখা ‘ইউজ’ লেখা’টা যেমন হারাম না, এইরকমভাবে ‘মসকিয়েটো-নেট’ না লিইখা ‘মশারি’ লেখা যাইতে পারে তো, ইংলিশ লেখার সময়!

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯

 

বাংলা কবিতা ও বাংলা ভাষা

ভাষা দিয়া কবিতা লেখা হয়, কিন্তু ভাষাটাই কবিতা না!… আমি নিজেও ‘ভাষা’রে রাজনৈতিক বিষয় হিসাবেই দেখি তত্ত্ব-এর জায়গা থিকাই, কিন্তু এই কারণেই আমার কবিতা ‘জায়গা’ কইরা নিতে পারবে এই আশা আমার নাই।

লিখতে গেলে ভাষা বিষয়ে একটা চুজিং লেখকরে করতেই হয়। এইখানে যে ‘রাজনীতি’টা আছে সেইটারে বাদ দিয়া সাহিত্য করাটা সম্ভব না। মরার পরে অমরত্ব পাওয়ার লাইগা কবিতা লিখলে সেইটা অবশ্যই ভিন্ন ঘটনা! কিন্তু ভাষা নিয়া এতকিছু বলা হইছে যে, মনে হইতে পারে এইটাই একমাত্র জিনিস। বঙ্গের কবি উৎপলকুমার বসু এবং বিনয় মজুমদার রেটরিক করতে গিয়া কবিতারে ভাষা পর্যন্ত আটকাইয়া নিজেদের গলায় যে ফাঁস লাগাইছেন, সেইটা টাইনা খোলার দায়িত্ব বাংলা-কবিতারে দিতে আমি রাজি না।

কিন্তু সাহিত্য-তত্ত্ব ত জরুরি একটা জিনিস, ছন্দ জানার মতোই প্রায়! ছন্দ না জাইনা যেমন একটা ছন্দের মধ্যেই কবিতা লিখতে পারেন, তত্ত্ব না জাইনাও একটা তত্ত্বরে আপহোল্ড করতে পারেন কেউ। এইটা রেটরিক অর্থে বলা না।

এপ্রিল ৩, ২০১৪

 

প্রমিত এখন আর কোন স্মার্ট ঘটনা না

কয়েকদিন আগে এক ফ্রেন্ডের সাথে কথা কওয়ার সময় কইতেছিলাম, লোকাল ল্যাঙ্গুয়েজে কথা কইতে পারাটাই এখন স্মার্টনেস, ঢাকা শহরে। আগের দিনে মফস্বলের লোকজনের যেমন নিজেদেরকে ডিসটিংগুইশ করার লাইগা ‘শুদ্ধ-ভাষায়’ কথা কইতো। কিন্তু এখন সো-কল্ড প্রমিত বা শুদ্ধ-ভাষায় কথা কইতে গেলে ভোদাই হইতে হবে, ডেফিনেটলি। (ইংলিশ ওয়ার্ড ইউজ কইরাও পার পাইবেন না।)…

এইটার মানে এইরকম না যে, আপনে ‘প্রমিত’ থিকা বাইর হয়া গেলেন, বরং ‘প্রমিতগিরি’রে বাঁচায়া রাখার লাইগাই এইটা করা লাগে! একই পেরিফরি’তে থাকে আসলে গ্রাম আর শহর; প্রমিত আর অ-প্রমিতের ঘটনাগুলা। আমি শহরে থাকি, কিন্তু আমার মধ্যে শহুরেপণা নাই – এইটা প্রমাণ করা যে লাগে, সেইটা থিকা বুঝতে পারা’র কথা যে এই ক্যাটাগরিটাই আসলে ঘটনা। এইখানে আপনে গ্রাম হন বা শহর, প্রমিত বা অপ্রমিত, একই।

এই ক্যাটাগরিগুলা কালচারালি আর এফেক্টিভ না। টাকার অভাবে গরিব লোকজনও এখনো শহরে চইলা আসছে না! 🙂 মানে, শহরে থাকাটাই আর এলিট ঘটনা না বা শুদ্ধ-ভাষা কইতে পারা’টা। এই যে এইটাই এনাফ না – এই বেদনা আরো কিছুদিন ভিকারুন্নেসা বা বাংলা-ভাষার থাইকা যাবে মনেহয়।

জুন ২৯, ২০১৮

 

ভুল ভাষা

“…সে (মান্টো) ইন্টার পরীক্ষায় দুবার ফেল করেছে, তিনবারের বার পাশ করেছে তাও থার্ড ডিভিশনে। আর সবচেয়ে তাজ্জব ব্যাপার হল সে ফেল করেছিল উর্দু ভাষা ও সাহিত্যে। এখন… চারদিকে বলাবলি হয় যে মান্টো নাকি উর্দু সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ লেখক।… আমি এ ব্যাপারে একদম স্থির নিশ্চিত যে এখনও উর্দু ভাষাটা তার ভাল করে রপ্ত হয়নি। শিকারি যেমন জাল হাতে প্রজাপতি ধরতে ছোটে, সে তেমন ভাষার পিছনে তাড়া করে বেড়ায়। আর ভাষা তাকে ফাঁকি দিয়ে আঙুলের ফাঁক দিয়ে গলে যায়।”
/মান্টো কে?, সাদাত হোসেন মান্টো

……………………..

‘ভাষা’ বইলা যেই গ্রামার আছে তারে আনলার্ন করাটা জরুরি। মান্টো’র কথা থিকা এইটা আবার শিখলাম আমি। অনেকে আছেন কন যে, “ছন্দ জানার পরে তারপরে ছন্দ বাদ দেয়ার সাহস দেখাইতে হবে…”, এইরকম। মানে, ভাষা, ছন্দ, সবকিছুরে এক একটা পাত্থর বানায়া রাইখা দিছে যে, শিখতে হবে! বা ‘শিখতে হবে’ ব্যাপারটা ইটসেলফ এতোটা সেক্যুলার আর সিঙ্গুলার একটা ঘটনা আমাদের ভাবনায়!

এইখানে মান্টো’র ওই ‘স্যাটায়ার’টা তো আছেই, যে আমি ‘শিক্ষিত’ না; যেইখানে উনি উনার লিটারারি ক্যারিয়ার শুরুই করছেন ফরাসি, রাশান আর বৃটিশ সাহিত্য ট্রান্সলেট করার ভিতর দিয়া। সেইখানে উনার ইন্টার ফেইলের ঘটনা, তাও উর্দু ভাষায়, বলা’টা স্যাটায়ারই। কিন্তু উপমাতে গিয়া উনি ‘সত্যি’ জিনিসটারে বইলা ফেলতে পারছেন। মানে, স্যাটায়ারটারে উনি স্যাটায়ার হিসাবে অউন করতেছেন না, বরং স্যাটায়ারটারে একটা ট্রুথের জায়গা থিকা মিনিং দিতে চাইতেছেন। যদিও না-পারা’টার কথাই বলছেন, কিন্তু এইটারে একটা সময়ের আন্ডারস্ট্যান্ডিং থিকাও রিড করা যায়। এইটা উনার ‘না-পারা’ তো অবশ্যই, কিন্তু এইটা সহজে অ্যাচিভ করতে পারা’র ঘটনা না।

ভাষা দিয়া আমরা ‘জানা’ জিনিসটারে রিভিল করি, কমিউনিকেট করি, কন্সট্রাক্টও করি। কিন্তু একইসাথে ভাষা জিনিসটা যে ‘না-জানা’রে নিয়া আসে তারে মানতে পারাটা জরুরি তো! ইভেন, আর্ট জিনিসটা মেবি ওইটুকই। আমি জানি যে, আমি জানি না। উর্দু ভাষা জানেন না বইলাই মান্টো উর্দুভাষাতে বলতে পারতেছেন, ব্যাপারটারে প্যারাডক্সিক্যাল জায়গাতে লিমিট কইরা ফেললে ভুল হবে। বা তার জীবন-কাহিনি দিয়া ফিল-আপ কইরা ফেললেও মেবি।

মানে, এই মাপামাপি’র ঘটনা তো আছেই, যার সাফারিংস যতো বেশি লাইফে, তার আর্ট যেনো ততো মহান হইতে পারলো! খুবই বুলশিট জিনিস এইগুলি। বরং উল্টাটা অনেকবেশি পসিবল, যে আর্টের অলিগলির ভিতরে যতো ট্রাভেল করতে থাকে, তার সাফারিংস বাড়তে থাকে ততো বেশি। আবার না-ও হইতে পারে। ব্যাপারগুলা এতো বেশি লিনিয়ার না, কোনসময়েই।

ঘটনা কখনোই ফ্যাক্ট দিয়া ঘটে না (মানে, ফ্যাক্টগুলারে ইগনোর করার কিছু নাই, এইগুলা আছে), বরং আমাদের পারসপেক্টিভগুলার ভিতর দিয়া, ভিজিবল হইতে থাকার কথা।

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮

 

কনটেক্সটটাই মেইন

অনেকদিন ধইরাই আমি বইলা আসতেছি এইটা, এই যে ইউরোপিয়ান হওয়া বা প্রাচ্য-ঘরানার কথা; যে, আমরা কোনদিন ‘আধুনিক’ হইতে পারবো না বা আমরা ‘আগেই আরো আধুনিক ছিলাম’ টাইপের কথা-বার্তাগুলা নিয়া। কান্ট, হেগেল হওয়া বা আমরা হওয়ার কিছু নাই। এইরকম কম্পারিজনের। এইখানে দুইটা বা একটা রেফারেন্স সিস্টেম কাজ করে না।

যে কোন ঘটনা, আইডিয়া, শব্দ, একটা ভাষা বা কালচার থিকা যখন আরেকটা ভাষা বা কালচারে ট্রান্সফার হয়, সেইটা একইরকম থাকতে পারার কোন কারণই নাই। তার মানে, এইটাও না যে, এরা আলাদা আলাদা কোন জিনিস; বরং এক রকমের ওভারল্যাপিংয়ের ঘটনাই। তো, এইখানে রিডিংটা তৈরি হয় রেফারেন্স সিস্টেমটারে ধইরা। এখন একটা ‘ইউরোপিয়ান নলেজ সিস্টমটারে’ ধইরা আমরা কথা বলতেছি, এর আগে যেমন ছিলো, পার্সিয়ান; তারো আগে গ্রীক… এইরকম। তার মানে এইটা না যে, এই রেফারেন্সটারেই ‘অরিজিনাল’ ধইরা নিবো আমরা বা এর এগেনেস্টে অন্য একটা কিছুরে। বরং এই যে, অরিজিনাল ‘আধুনিক’ বা অরিজিনাল ‘আমরা’ বইলা একটাকিছুরে লোকেট করতে চাওয়া, এই ইনটেনশনটা, ঝামেলার।

অগাস্ট ১, ২০১৯

 

ক ল স… ঠিলা

আমার দোস্ত মুকুল একবার এই কাহিনি শুনাইছিলো আমারে। অদের বাসা ছিল নারায়রণগঞ্জের, বন্দরে। বন্দরের কলোনি’তে থাকতো অরা। অইখানে, পাশের বাসায় এক বাচ্চা’রে তার মা পড়াইতেছে। পড়তে গিয়া, কলস কি জিনিস – বাচ্চায় বুঝতেছে না; তো, মা তারে কইলো যে, এই যে বাসায় ঠিলা’টা আছে, এইটা হইতেছে, কলস! তখন বাচ্চা’টা বুঝলো। আর বানান কইরা জোরে জোরে পড়তে লাগলো, ক, ল, স… ঠিলা! বারবার এইভাবেই পড়তে লাগলো, ক ল স… ঠিলা! (মানে, ক ল স হইতেছে বানানটা, কিন্তু উচ্চারণটা বা জিনিসটা হইতেছে, ঠিলা।) 🙂

তো, আমাদের বাংলা-ভাষা নিয়া এই কথা মনে হইলো। এইখানে নতুন কইরা একটা ‘মান-ভাষা’ বানানোর কিছু নাই, বরং যেই ‘কমন ভাষা’ আছে তারে মাইনা নেয়ার কনটেক্সট’টা তৈরি করাটা জরুরি। ঠিলা’রে কলস না বানায়া, ঠিলাও যে কলস – এইটারে মানতে পারাটা দরকারি।

এমনিতে, ‘পানি রাখার পাত্র’র চাইতে ওয়াটার জার-ই বেশি ‘বাংলা’ হইতে থাকার কথা, এখন। যদিও গুগুল ট্রান্সলেট কইতেছে, ওয়াটার-জারের ‘আসল’ বাংলা হইতেছে, উদকুম্ভ! :p

ভাষার জায়গায়, এই যে ‘আসল’, ‘অরিজিনাল’ অ্যান্ড ‘প্রকৃত’ – এইসব জিনিসরেই আগে সন্দেহ করাটা দরকার। এইসবকিছুর বাইরে ভাষা বরং ব্যবহারেরই একটা ঘটনা।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯

 

ভাষা ও চিন্তা

খালি শব্দ দিয়া ভাষা যতোটা না চেইঞ্জ হয় তার চাইতে বেশি হয় শব্দ ইউজ করার প্যাটার্নের ভিতর দিয়া।

এই ইউজটা ঠিক বাইরের কোন জিনিস না; বরং চিন্তা’র কারণে ভাষা বাঁক খায়; মানে, নতুন একটা চিন্তা এগজিসটিং ভাষার প্যাটার্নের ভিতর দিয়া বলাটা টাফ হওয়ার কথা। একইসাথে যখন ভাষার অন্য অনেক প্যাটার্নগুলা পসিবল হয়া উঠে সেইটা নতুন চিন্তার জায়গাগুলারেও স্পেইসটা দিতে পারে তখন।

মানে, কমিউনিকেট করার ব্যাপারটা তো আছেই, কিন্তু এই যে ফিক্সড বা ‘শুদ্ধ’ কোন ফর্মের ভিতর না থাকতে পারা, ভাষার; সেইটা ঠিক আলাদা কোন জিনিস না।

/২০১৭

Series Navigation<< বাংলা ভাষার আধুনিকায়ন: ভাষিক ঔপনিবেশিকতা অথবা উপনিবেশিত ভাষাখাশ বাংলার ছিলছিলা >>
The following two tabs change content below.
Avatar photo
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →