Main menu

ইন্টারভিউ: মার্গারেট এটউড

মার্গারেট এটউডের কাজ সাধারণত ফেমিনিস্টরা খুব গুরুত্বপূর্ণ আকারে দেখেন, তুলে ধরেন৷ প্রথমত, তার উপন্যাসে নারীর অবস্থান খুব শক্তিশালী। আবার এও সত্য তার উপন্যাসে পুরুষের অবস্থান আছে । এ বিষয়ে সুজি বাল্ডউইন ১৯৯৭ সালের এক ইন্টারভিউয়ে এটউডকে জিগাইলে, এটউড জবাব দেন, আমার উপন্যাস নারীবাদী কারণ এইটা যে সময়ে পাবলিশ হইছে, ১৯৭২ সালে, তখন যেকোন উপন্যাসে যদি কোন নারী চরিত্র থাকে তাইলে তো অইটা নারীবাদিই হইব! আমার উপন্যাসে নারী চরিত্র আছে, আবার পুরুষ চরিত্রও আছে। আপনি নারী চরিত্র বাদ দিয়া যেইভাবে কোন উপন্যাস লিখতে পারবেন না, তেমনি পুরুষ চরিত্র বাদ দিয়াও কোন উপন্যাস লিখতে পারবেন না। এটউড তার স্বভাবসুলভ নরম, মিষ্টি ভাষায় অবশ্য এই কথাগুলা বলতেছিলেন। তবুও মনে হইলো, হয়তো এটউড নিজেকে কোন নির্দিষ্ট জেন্ডারের ভিড়ে দেখতে চান নাই। এমনকি ফিমেইল রাইটস মুভমেন্ট যেই অর্থে ‘নারী’ ধারণাটারে সংজ্ঞায়িত করে, এটউড সম্ভবত সেইভাবে নারীকে দেখেন না। বরং জেন্ডার ধারণাটারে এটউড ক্রিটিকালি দেখার একটা আয়নাতে রাখতে পছন্দ করেন। ইন্টারভিউয়ের একটা জায়গায়, নারীসুলভ দৃষ্টিভঙ্গি, পুরুষালী দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে তিনি আপত্তি জানান। তার কাছে এই দুইটা ধারণাই ধোঁয়াটে কিংবা অস্পষ্ট। বরং ‘পয়েন্ট অফ ভিউ’ বা দৃষ্টিভঙ্গিরে একটা সেপারেট ধারণা হিসাবে বিবেচনা করলে কোন জেন্ডার যে এই ধারণাটারে নিজের রঙ মাখায়া নিতে পারে সেই সম্ভাবনার জন্যেই হয়তো পুরুষালী, নারীসুলভ কোন ব্যাপার এটউডের কাছে অর্থহীন। এইটা অনেকটা স্টেরিওটাইপড ধারণার বিরুদ্ধে, তার একটা অভিযান। কিন্তু প্রচলিত স্টেরিওটাইপের বিরোধিতার ক্ষেত্রেও এটউডকে ভিন্ন বলে মনে হয়। একটা জায়গায় তাকে প্রশ্ন করা হইছিলো, বাচ্চাজন্ম দেয়াতে বাধ্য করাকে আপনে কীভাবে দেখেন? তার কথা হইতেছে, যেকোন অধিকারের আন্দোলন আসলে খুব বেশি সময়নির্ভর, সিচুয়েশন নির্ভর। অনেকসময় মানুষই নির্ধারণ করে আমরা হয়তো ‘জন্ম দিতে বাধ্য করার’ যুগে আছি। আমরা যদি নিজেরাই জন্মদানের সিস্টেম বন্ধ কইরা দিই, জন্ম তখন বাধ্য হইয়াই দিতে হবে। এটাকে যেমন একজন শিশুর জন্যে জন্মানোর অধিকার হিসাবে চিহ্নিত করা যায়, অন্যভাবে বাধ্য কইরা জন্ম দেয়ার একটা ঘটনাও বলা যায়। অর্থাৎ শিশুরও তো জন্মাবার অধিকার আছে, সেই অধিকার মিটাবার জন্যে আমিও তো একজনরে জন্ম দিতে বাধ্য করতেই পারে। লেজিটিমেসির কথা এইখানে মুখ্য না। বরং একেকটা সিচুয়েশনাল ফোর্স, আমাদের কীভাবে বাধ্য করে নতুন ধারণার জন্ম দিতে অথবা নতুন ধারণার বিরোধিতা তৈরি করবার ‘খোঁচা’ দিতে পারে সেইটার দিকেই এটউড ইঙ্গিত করছিলেন।

এই উদাহরণ টানা হইছে, এটউডের চিন্তাপ্রক্রিয়ার ভিন্নতা বুঝানোর লাইগা। এটউড ‘সহজ’ বলতেও সহজ বুঝান না, অন্যকিছু বুঝান, ‘সেক্স’ বলতেও সেক্স বুঝান না, অন্যকিছু বুঝান এবং যখন দ্য হ্যান্ডমেইড’স টেইল পড়া হয়, লোকে যা ভাবে ‘ভবিষ্যতের বর্ণনা’, এটউড সম্ভবত তাও বুঝান না। এটউড ‘ভবিষ্যতের বর্ণনা’ করেন না বরং তিনি এমন একটা পৃথিবীর কথা ভাবেন, যেইখানে ‘সম্ভবত’ আমাদের বাস করতে হতে পারে। উমবের্তো একোর সেই কথা, ইন্টেলেকচুয়ালরা ভবিষ্যতের জন্যে কাজ করে— মার্গারেট এটউডও ভবিষ্যত নিয়া কাজ করছেন, বর্ণনা করতে আগান নাই। এইজন্যেই তিনি ইন্টেলেকচুয়াল, জ্যোতিষী নন। তিনি বরং আগ্রহী আমরা কিরকম ভবিষ্যতে থাকতে পারি সেই চিন্তায়। এইজন্য তিনি বর্তমানে টেকনোলজি নিয়া চরম উচ্ছ্বসিত। টেকনোলজির সম্ভাবনা নিয়া তার আগ্রহ বর্তমান সময়ে তার টুইট, কর্মকাণ্ড দেখলেই বোঝা যায়। এই থেকে আরেকটা জিনিস প্রমাণিত হয়, তিনি কোন একটা ‘ভবিষ্যত’-এ আগ্রহী নন বরং তার সম্ভাবনা যেগুলা অনেকরকম হইতে পারে তাতে চোখে দিতে তার ইচ্ছা বেশি।

ইন্টারভিউটাতেও এই এটউডকে আমরা বারবার পাবো— ভিন্ন ধারণা নিয়া, তার শৈশব নিয়া, তার অনেকগুলা প্যারালাল জীবন নিয়া, লেখালেখির তরিকা, জেন্ডারসহ বিভিন্ন দিক নিয়া এটউডের সংবেদনশীল আলোচনা। এটউডের কবিতার মতোও যা অনেক ইন্টারেস্টিং।

তৌকির হোসেন
১০ মার্চ ২০২০
যাত্রাবাড়ি, ঢাকা

………………………………………………………………

ফ্রগলেস’ কবিতার ম্যানুস্ক্রিপ্ট যেইটা এই ইস্যুতে ছাপা হইছে, কবিতাটা মার্গারেট এটউড সুইডেনের গথেনবার্গে থাকাকালীন এসএএস হোটেলের বেডসাইড নোটপ্যাডে লিখছিলেন। সেইখানে এটউড নর্ডিক বইমেলার জন্যে গত সেপ্টেম্বরে গেছিলেনঃ ‘আমি এই ধরণের পরিস্থিতিতে প্রচুর লিখে গেছি। হয়তো এইটা হোটেল রুমে কিংবা প্লেনে থাকার কারণে সম্ভব হয়, যেইখানে ফোনের ক্রিং ক্রিং শব্দ নাই অথবা কারো কোন নজরদারি নাই। আর সেইসাথে জেটল্যাগের ধকল তো আছেই, সে ধকলে সব বাধা কাইটা যায়।

মার্গারেট এটউড জন্ম নিছিলেন ১৯৩৯ সালে, অন্টারিওর অটাওয়াতে। শিশুকালে উত্তর কুইবেকের বন্য পরিবেশের সংস্পর্শ তিনি পাইছিলেন। একই সাথে অটাওয়া, সল্ট সেইন্ট মারি এবং টরেন্টোতেও তার অনেক সময় কাটছে। স্কুলে পুরা এক বছর কাটাবার আগে তার বয়স ছিলো এগার বছর। হাইস্কুলে থাকতে এডগার অ্যালেন পো থিকা ইন্সপায়ার্ড হইয়া তিনি কবিতা লিখতে শুরু করছেন। ষোল বছর বয়সে তিনি লেখালেখির ক্যারিয়ারে নিজেরে সাব্যস্ত করেন, ছয় বছর পরে তার প্রথম কবিতার বই ‘ডাবল পার্সিফোন’ প্রকাশিত হয়।

তার দ্বিতীয় কবিতার বই ‘দ্য সার্কেল গেইম’ তারে গভর্নর জেনারেল’স এওয়ার্ড (কানাডার সর্বোচ্চ সাহিত্যিক সম্মাননা) আইনা দেয়— এবং সেইখান থেকে এটউড কানাডার লেখাপত্রে একজন প্রধান ফিগারে পরিণত হন। ১৯৭২ সালে এটউড কানাডার সাহিত্যের উপর বিতর্কিত এক ক্রিটিকাল স্টাডি বাইর করেন— সার্ভাইভাল: আ থিমাটিক গাইড টু কানাডিয়ান লিটারেচার— যা তুমুল আলোচনার জন্ম দেয়। সেই বইয়ে তিনি দাবি তুলেন, কানাডার সাহিত্য, দেশটার  ‘সার্ভাইভাইভাল’ এবং ‘সাবমিসিভনেস’-এর জায়গা দুইটারে বারবার রিফ্লেক্ট করে। এই সাবমিসিভ ব্যাপার আসছে দীর্ঘদিন আমেরিকার দ্বিতীয় সারির মিত্র, কলোনি থাকবার কারণে। দেশটার বিস্তৃত জমির অশান্ত রূপের কারণেও হয়তো কানাডিয়ান সাহিত্য এমন চেহারা পাইছে। এই ভলিউম পাবলিশ হবার কারণে এটউডরে টরোন্টো ছাড়তে হয়, যেইখানে আনাসি প্রকাশনী সংস্থাতে এডিটর হিসাবে তিনি কাজ করতেন। সেইখান থেকে তিনি চলে আসেন অন্টারিওর অ্যালিস্টনের একটা ফার্মে, যেখানে এটউড ফুল টাইম লেখালেখির কাজ শুরু করেন।

এটউড উনিশটার মতো কবিতাসংগ্রহের বই পাবলিশ করছেন— দ্য সার্কেল গেইম (১৯৬৪), দ্য জার্নালস অফ সুজানা মুডি (১৯৭০), পাওয়ার পলিটিক্স (১৯৭১), ইউ আর হ্যাপি (১৯৭৪), ট্রু স্টোরিজ (১৯৮১) এবং ইন্টারলুনার (১৯৮৪)— কিন্তু তিনি সবচেয়ে পরিচিত তার উপন্যাসের জন্যে যেগুলার ভিতর নাম করা যায়— সারফেসিং (১৯৭২), লেডি ওরাকল (১৯৭৬), ক্যাট’স আই (১৯৮৮) এর। তার সর্বাধিক পঠিত উপন্যাস হইতেছে দ্য হ্যান্ডমেইড’স টেইল (১৯৮৬), যেইখানে তিনি গোঁড়া ধর্মতন্ত্রের মধ্যে নাগরিক জীবনযাপনের দুর্দান্ত চিত্র তুইলা ধরছেন, যে উপন্যাস এটউডকে দ্বিতীয়বারের মতো গভর্নর জেনারেল’স এওয়ার্ড আইনা দেয় এবং যা থেকে সাম্প্রতিককালে ওয়েবসিরিজও বানানো হইছে। তিনি বাচ্চাদের জন্যে দুইটা বই লিখছেন— আপ ইন দ্য ট্রি (১৯৭৮), অ্যানা’স পেট (১৯৮০) এবং দুইটা ছোট গল্পের বই— ড্যান্সিং গার্লস (১৯৭৭), ব্লবিয়ার্ড’স এগ (১৯৮৩)। অক্সফোর্ডের কানাডিয়ান কবিতা এবং ছোটগল্পের এন্থোলজি সম্পাদনা করছেন। শ্যানন র‍্যাভেনেলের সাথে যৌথভাবে সম্পাদনা করছেন দ্য বেস্ট আমেরিকান শর্ট স্টোরিজের ১৯৮৯ সালের ভল্যুম।

এটউডের কাজে সামাজিক ক্ষেত্রে নারীর অবস্থানের প্রশ্ন সবসময় আসছে এবং ফেমিনিস্টরা প্রায় তার কাজকে তাদের আন্দোলনের জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করছে। এটউড তার কাজে অন্যান্য পলিটিকাল এবং ফিলোসফিকাল ইস্যুরেও থিম হিসাবে নিয়া আসছেন, যেমন কানাডার আইডেন্টিটি তৈরি করার স্ট্রাগল কিংবা সাম্প্রতিক বছরগুলায় তার মানবাধিকার নিয়া আলাদা কনসার্ন— এইসব।

প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির কাছেপিঠে একটা বাড়িতে ইন্টারভিউটা নেয়া হইছিলো। ইউনিভার্সিটিতে মাঝেমধ্যে এটউড বইপুস্তক সাজেস্ট করতে এবং লেকচার দিতে যান। এটউড লেখা পইড়া আমরা যেমনটা তারে ভাবি, তিনি ব্যক্তি হিসাবেও সেইরকম— তীক্ষ্ণ।  দুইটা দিন, ঘন্টার পর ঘন্টা ধইরা, যখন বাইরের মাঠে টিনএজ পোলাপান বাস্কেটবল খেলতেছিলো কিংবা গানবাজনা করতেছিলো, মানুষজন এক ঘর থেইকা আরেক ঘরে হাঁটাচলায় ব্যস্ত আছিলো, পাশের রুমে টিভিতে ফুটবল খেলা হইতেছিলো, এটউড তখন বসা, মনোযোগ তার তীব্র, কোনরকম পাশ কাটানি ছাড়া প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর ধৈর্য সহকারে দিতেছেন। পয়েন্ট থিকা তিনি কখনোই সরে যান নাই কিংবা তারে ক্লান্তও লাগে নাই। বরং মনে হইতেছিলো, তার বইগুলার ন্যারেটরদের একজন বাস্তবে উঠে আসছে, সামনে বইসা প্রশ্নের উত্তর দিতেছে শান্ত ভঙ্গিমায়।

ম্যারি মরিস
১৯৯০ 

 

ইন্টারভিউয়ারঃ আপনার কাজে সার্ভাইভালের থিম কি ন্যাচারালি আসছে?

মার্গারেট এটউডঃ আমি কানাডার উত্তরাঞ্চলের বনজঙ্গলের পরিবেশে বড় হইছি। সেইখানে টিকে থাকবার লাইগা আপনারে ন্যাচারালি কিছু জানা লাগেই৷ আমি যখন বড় হইতেছিলাম, তখনও এই সার্ভাইভাল জিনিসটারে ফর্মাল কোর্সের মাধ্যমে শিখানো হইতো না, কিন্তু কিছু বেসিক জিনিস যেমন যদি কখনো বনে হারায়া যাওয়া  তখন কী করতে হয় এইগুলা আমারে এমনিতেই শিখানো হইছে। এই জিনিসগুলা অটোমেটিক ওয়েতে আসে, সহজে এবং নগদে। আমার জীবনের শুরু থেকেই এই সার্ভাইভাল একটা অংশ হয়া দাঁড়াইছিলো।

ইন্টারভিউয়ারঃ ঠিক কোন সময়ে আপনি সার্ভাইভালকে শারীরিক একটা স্ট্রাগল থেকে নিয়া গিয়া ইন্টেলেকচুয়াল বা পলিটিকাল স্ট্রাগলের জায়গা থেকে ভাবা শুরু করছেন?

এটউডঃ যখন থেকে আমি কানাডারে একটা দেশ হিসাবে ভাবা শুরু করলাম, তখন আমার কাছে পরিষ্কার হইয়া গেলো সার্ভাইভাল আমাদের দেশে একটা জাতীয় অবসেশন। ষাটের দশকে যখন আমি আমেরিকায় আসলাম, আমি অনুভব করলাম কেউই আসলে জানে না কানাডা দেশটা কোথায়। তাদের দেশটা সম্পর্কে জানার দৌড় হইতেছে, তাদের পরিচিত কেউ হয়তো সেইখানে মাছ ধরতে গেছিলো বা এইরকম কিছু। যখন আমি হার্ভার্ডে ছিলাম, এক মহিলা তার বাসায় সন্ধ্যায় দাওয়াত দিছিলো, সেইখানে বলা হইছিলো ‘ফরেন স্টুডেন্ট’ হিসাবে আমারে নেটিভ পোশাক পইরা আসতে। কিন্তু, আমি আমার নেটিভ পোশাক বাড়িতে ফেলে আসছিলাম আর আমার কোন স্নোশুও ছিলো না। সুতরাং, আমি ওইভাবেই গেছিলাম, বেচারি মহিলার সাথে, নেটিভ পোশাক ছাড়া, যাবতীয় খাবারদাবার সামনে নিয়া সেইটা এক অকওয়ার্ড পরিস্থিতি। আমরা ওয়েট করতেছিলাম অন্যসব স্টুডেন্টদের জন্যে, যারা ফরেন এবং যারা নিজেদের নেটিভ পোশাক পইরা আসবে- যেইটা আদতে হয় নাই; কারণ সবাই জানতো ফরেন স্টুডেন্টরা রাতে বাইর হয় না।

ইন্টারভিউয়ারঃ বহিরাগত হওয়ার যে ভাব, সেই থিম নিয়া আপনি তো বেশ ভালোই লেখালেখি করছেন।

এটউডঃ “আপনি বাইরের, আপনি বহিরাগত” এই ধরণের ভাবনা কিন্তু চারদিকে ছড়ায়া আছে। একটা দেশের কেন্দ্রের কেন্দ্রে থাকলে, কিংবা ধরেন আমেরিকার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলে, আপনি এই ধরণের মামলা এড়াইতে পারেন। একটা সাম্রাজ্যের কেন্দ্রে আপনার অভিজ্ঞতারে আপনি বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা হিসাবে ভাবতে পারেন। সাম্রাজ্যের বাইরে কিংবা প্রান্তে, সেইটা সম্ভব না।

ইন্টারভিউয়ারঃ দ্য জার্নালস অফ সুজানা মুডির শেষদিকে আপনি মেনশন করছিলেন, আমেরিকার মানসিক অসুখ যদি মেগালোম্যানিয়া১ (নিজেরে বড় ভাবা, অতিরিক্ত প্রায়োরিটি দেয়া) হয়, কানাডার ক্ষেত্রে সেইটা প্যারানয়েড সিজোফ্রেনিয়া। একটু ব্যাখা করবেন?

এটউডঃ আমেরিকা হইতেছে বড় এবং শক্তিশালী। কানাডা অন্যদিকে ডিভাইডেড এবং দুর্বল। হয়তো আমার ‘অসুখ’ বলাটা উচিত হয় নাই। হয়তো আমার বলা উচিত ছিলো ‘মানসিক অবস্থা’। পোলারা আমারে জিগায়, আপনার নারী চরিত্রগুলা এত প্যারানয়েড থাকে ক্যানো? এইটা প্যারানয়া না। এইটা বরং তাদের সিচুয়েশনের একটা স্বীকৃতি। তেমনি, আমেরিকারে বড় এবং শক্তিশালী ভাবাটা কোন ডিল্যুশন না। এইটা বড় এবং শক্তিশালী৷ হইতে পারে, এই আমেরিকার আরও বড়, আরও শক্তি অর্জনের ইচ্ছাটা এর অসুস্থতার অংশটুকু থেকে আসা। প্রত্যেকটা কানাডিয়ানের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক জটিল কিসিমের, আর অন্যদিকে আমেরিকানরা কানাডারে এমন একটা জায়গা ভাবে যেইখান থেকে হয়তো বাতাস আসে। কীভাবে আপনি নিজেরে একটা অসম ক্ষমতা-সম্পর্কের ভিতর থেইকা দেখেন, সেইটা দিয়া এই  জটিলতারে বুঝা যাইতে পারে।

ইন্টারভিউয়ারঃ এই রাজনৈতিক সম্পর্কের ভিতর দিয়া আপনি কানাডা এবং কানাডিয়ান সাহিত্যরে কীভাবে দেখেন?

এটউডঃ কানাডা আসলে দখল হওয়া কোন দেশ না। বলা যায় এই দেশটারে শাসন করা হয়। একটা দখল হওয়া দেশে বিষয়গুলা বেশ সোজাসাপ্টা— সেইখানে হিরো, ভিলেনদের স্পষ্ট কইরা চিনা যায়। সম্পর্কের এই জটিলতার মধ্যে একটা জিনিস অবশ্যই সত্য, আমেরিকা যেকোন কিছুরে আগ্রহ কইরা নিজের ভিতরে নিয়া নিতে পারে। দেশটা সেই অর্থে খুবই আন্তরিক। কানাডিয়ান লেখকরা আমেরিকায় ভালো সময় পার করতে পারে, যেইটা খোদ নিজের দেশ কানাডাতেই সম্ভব না। কারণ, কানাডায় বাস করাটা হইতেছে অনেকটা ছোট শহরে থাকার মতো। যদি এইখানে আপনার পা হুট করে ভাইঙা যায়, লোকে আপনার চারপাশে ভিড় কইরা খাড়াবে, কী হইলো কী হইলো; কিন্তু অন্যদিকে আপনার মোজা আর আপনার সাইজ বেখাপ্পা হয়, লোকে সেইটারে অন্যচোখে নিবে। এলিস মুনরোর একটা বইয়ের নাম ছিলো দ্য বেগার মেইড ইন ইউনাইটেড স্টেটস, বইটা কানাডায় পরিচিত, হু ডু ইউ থিংক ইউ আর… মানে অনেকটা এইরকম, তুমি নিজেরে কী ভাবো? প্রধানমন্ত্রীর মতো আচরণ করতেছ নাকি? আমেরিকা সফলতা ভালোবাসে, যেইখানে আমেরিকান ড্রিম হইতেছে যে কেউ চেষ্টা করলে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হইতে পারবে কিংবা পিপল ম্যাগাজিনে এন্ট্রি পাইতে পারে। কিন্তু, কানাডাতে বিষয়টা হইতেছে, আপনি যদি এইরকম কিছু কইরা ফালাইতে পারেন, লোকে হয়তো সেইটা ভালোভাবে নিবে না। জানালা দিয়ে অসংখ্য চোখ আপনারে এইখানে দেখতেছে সবসময়।

ইন্টারভিউয়ারঃ আপনারে কোনখানে লেখক হিসাবে ভালোভাবে মর্যাদা দেয়া হয় বলে আপনি মনে করেন?

এটউডঃ আমি কানাডাতে মারাত্মক আক্রমণের শিকার হই, অনেক পার্সোনাল আক্রমণও আসে। এইটার কারণ কানাডা থিকা আমি আসছি। পরিবারের মধ্যে মারামারি বেশি হবে এতো জানা কথা। যদি আপনি বেচাবিক্রির হিসাব ধরতে যান, যেইখানে রাস্তাঘাটে লোকে আমারে চিনতে পারতেছে, তাইলে অবশ্যই সেইটা কানাডাই হবে। আমেরিকাতে যদি আমি কানাডার মতো বই বেচতে পারতাম, তাইলে হয়তো আমি বিলিয়নিয়ার হয়া যাইতাম।

ইন্টারভিউয়ারঃ পুরুষদের তুলনায় নারীদের কি পাবলিশ হওয়াটা তুলনামূলক কঠিন?

এটউডঃ আমার মনে হয়, প্রশ্নটা খুব ব্রড হইয়া গেছে। যেমন, আমরা কি উত্তর আমেরিকা না আয়ারল্যান্ড নাকি আফগানিস্তান বুঝাইতেছি? জেন্ডার বাদে তো অন্যান্য ক্যাটাগরিও আছে। যেমন, বয়স, ক্লাস, চামড়ার রঙ। এলাকা। জাতীয়তা। আগের পাবলিকেশন। সেক্সুয়াল অরিয়েন্টেশন। আমার মনে হয়, প্রশ্নটা আমরা অন্যভাবে সাজাইতে পারি এবং এইভাবে জিজ্ঞেস করতে পারি, একজন নারীর জন্যে তার সমবয়সী, একই শ্রেণির, একই বর্ণের, একই জাতীয়তার কিংবা একই এলাকার এবং প্রায় সমান ট্যালেন্টের বা এইরকম কিছুসহ এমন পুরুষের তুলনায় প্রথম উপন্যাস বাইর করাটা কি কঠিন? লাতিন আমেরিকান নারী লেখকদের অভিজ্ঞতার কথা বললে (যাদের সংখ্যা আসলে অনেক, কিন্তু যারা অনুবাদ করা হয় নাই বলে তেমন পরিচিত না) উত্তরটা হবে, হ্যাঁ। বিভিন্ন দেশের নারীদের কথা চিন্তা করলে পাবলিশ হওয়ার রাস্তাটা খুবই কঠিন। মিডল ইস্টের কথা চিন্তা করেন কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার একজন কৃষ্ণাঙ্গ নারীর কথা ভাবেন। আদতে, তাদের কাছে লেখালেখি কঠিন একটা কাজ হিসাবে আবির্ভাব করে। কিংবা তাদের জন্যে শিক্ষিত হওয়া কঠিন। নারীদের লেখালেখির বাধাগুলা একটা একটা করে আসতে থাকে সেই প্রথম বয়স থেকেই এবং বেসিক কিছু জায়গায় সেই বাধাগুলা আঁটোসাঁটো হইয়া বসে।

কিন্তু, আমরা যদি উত্তর আমেরিকার কথা ভাবি, তাহলে অবশ্যই প্রকাশকরা সেই বইগুলাই ছাপাইতে চান যেইগুলা তারা বেচতে পারবেন। প্রকাশকরা একটা বই ছাপাইবেন কিনা— সেইটা পুরুষ, নারী নাকি কচ্ছপ লিখলো তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ— অডিয়েন্স সেইটা কীভাবে নিবে সেই ইস্যু। আমার মনে হয় না বই প্রকাশের ক্ষেত্রে নারীদের বই ছাপানো যাবে না কিংবা কোনরকম কোটা পলিসি এই আমেরিকা অঞ্চলে আছে। তবে এইটা সত্য, প্রকাশিত বইয়ের একটা বড় সংখ্যাই পুরুষ লেখকদের দিয়া লিখিত হয় কিংবা রিভিউ করা হয়। তারপর আছে রিভিউয়ের সাবজেক্ট, যারে বা যার কাজরে রিভিউ করা হইতেছে। এই অংশেই বরং আপনি জেন্ডার বায়াস দেখতে পাবেন কিংবা অন্যান্য সবধরণের বায়াস।

ইন্টারভিউয়ারঃ একজন পুরুষের পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে লেখাটা কি কঠিন?

এটউডঃ আমার বইয়ের বেশিরভাগ ‘স্পিকার’ কিংবা ন্যারেটিভ পয়েন্ট অফ ভিউগুলা নারীদের, কিন্তু আমি মাঝেমধ্যে এমনসব চরিত্রের পয়েন্ট অফ ভিউও ব্যবহার করছি, যেগুলা পুরুষদের। খেয়াল করেন, আমি ‘পুরুষের পয়েন্ট অফ ভিউ’ বলার চেষ্টা করি নাই, এড়াইয়া গেছি। আমি ‘পুরুষের পয়েন্ট অফ ভিউ’ যেমন বিশ্বাস করি না, তেমনি ‘নারীর পয়েন্ট অফ ভিউ’-ও বিশ্বাস করি না। বরং দুইটা দিকেরই বোঝাপড়ার ভালো জায়গা আছে। তবে এইটাও সত্য পুরুষরা হয়তো কিছু নির্দিষ্ট ধারার চিন্তা করবে না কিংবা আচরণেও দেখাবে না; একই সত্যটা নারীদের জন্যেও প্রযোজ্য। তাই যখন আমি পুরুষ চরিত্র ব্যবহার করি তখন গল্পটা অবশ্যই এমন একটা কিছু নিয়া হইতেছে, যেইটা ওই চরিত্র ছাড়া দেখানো সম্ভব না কিংবা গল্পটাই বদলায়া যাইতো যদি আমি নারী চরিত্র দিয়া সেইটা দেখাইতাম। যেমন গ্রান্টাতে আমার রিসেন্টলি একটা গল্প ছাপা হইছে আইসিস ইন ডার্কনেস নামে। গল্পটা একজন মহিলা আর একজন পুরুষের মধ্যকার এক ধরণের আলগা সম্পর্ক নিয়া। মহিলা হইতেছেন একজন কবি আর লোকটার মহিলার উপর সিরিয়াস ক্রাশ আছে। মহিলা ওই লোকের জীবনরে যেইভাবে প্রভাবিত করে সেইটাও গল্পে আছে। যদি আমি গল্পটা ওই মহিলার পার্সপেক্টিভ থেইকা বলতাম… যাই হোক, আপনি রোমান্টিক মায়া আছে এই ধরণের গল্প মোহের সেই অবজেক্টের জায়গা থেকে বলতে পারবেন না। হয়তো বলতে পারবেন কিন্তু ইমোশনের ফ্লেভার পুরাপুরি ধইরা রাখতে পারবেন না। তখন গল্পগুলা “ব্যালকনির বাইরে দাঁড়ায়ে কোনো মাদারচোদ ভিতরে উঁকিঝুঁকি মারতেছে” ধরণের গল্প হবে। কিন্তু ওই মাদারচোদের কাহিনী বা পার্সপেক্টিভ হয়তো জানা যাবে না।

ইন্টারভিউয়ারঃ আপনি কি শুধু লেখা পইড়াই লেখকের জেন্ডার বলতে পারবেন?

এটউডঃ মাঝেমাঝে শিওর করে বলতে পারি, কিন্তু সবসময় না। ইংল্যান্ডের চার্চের একজন প্রিস্ট নিয়া একটা বিখ্যাত কেস আছে, সে কইছিলো সে নাকি কোন লেখা পাবলিশ করাইতে পারে না। তাই সে পূর্ব এশিয়ার একজন মহিলার নামে লিখছিলো, উপন্যাসটা পরে ভাইরাগো এক্সেপ্ট করছিলো। নারীরা একজন পুরুষ পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে লিখতে পারে না কিংবা লেখা উচিত না, এই বক্তব্য নিয়া তখন নানাধরণের মতামত চালু ছিলো। পুরুষরা নারী লেখকরা তাদের কীভাবে পোট্রে করে এইটা নিয়া খুব খুঁতখুঁতে, কিন্তু সত্যটা হইতেছে ফিকশন এবং থিয়েটারের বেশিরভাগ খতরনাক, ভয়ানক পুরুষ চরিত্রগুলা কিন্তু পোলা লেখকদের হাত ধইরাই লেখা হইছে। ওই জোকটার কথা মনে পড়ে— একটা লোকের দুর্গন্ধভরা পা, ঠিকবেঠিকের বালাই নাই, খাইতে ক্যামনে বসতে হয় তা জানে না— এই সবকিছুই ঠিক আছে, যদি সেইটা কোন পোলা লেখে; যদি একই জিনিস কোন মাইয়া লেখে, তাইলে অবশ্যই শে পোলাদের ঘিন্না করে। পুরুষদের আত্মসম্মানবোধের ঝামেলা আছে। যদি কোন মাইয়া পুরুষ চরিত্র লেখে, সেইগুলা অন্য পোলাদের চোখে ‘দুর্বল’ হিসাবে চিহ্নিত হয়; যদি কোন পোলা কোন পুরুষরে কিচেনে বসায়া দিয়া লেখে, তাইলে সেইটা রিয়ালিজম ইত্যাদি ইত্যাদি।

আমরা কোন বইয়ের কভার দেইখা জাজ কইরা ফেলতে এত অভ্যস্ত হইয়া গেছি। “অথেন্টিসিটি” এখন একটা কনসার্ন হইয়াই খাড়াইছে। আমি ক্রিয়েটিভ ফ্রিডমের পক্ষে। একজন শে কিংবা সে যেভাবে লিখতে ফিল করে, সেভাবেই তার লেখা উচিত। তারপর তার রেজাল্ট দেইখা জাজ করা উচিত, সে বা শে কী লিখলো। ফ্ল্যাপে লেখকের ছবি দেইখা না।

আপনার প্রশ্ন এইটাও আগে থেকে ধইরা নেয়, ‘নারী’ হইতেছে একটা ফিক্সড নাম্বার এবং কিছু পুরুষ এই নাম্বারটারে অন্যদের তুলনায় ‘ভালো’ কইরা দেখাইতে পারে। আমি আর যাই হোক এই নাম্বারটা যে ধরাবাঁধা তা বিশ্বাস করি না। কোন একটা, সহজ, স্থির “নারীর পয়েন্ট অফ ভিউ” নাই। বরং বলা উচিত, যে কারোর, যে কোন ধরণের ভালো লেখা সারপ্রাইজিং, জটিল, শক্তিশালী হইতে পারে এবং ভিতরে নাড়া দিতে পারে। পুরুষরা যারা স্টেরিওটাইপড নারী নিয়া লেখে কিংবা স্টাফড ফার্নিচার অথবা সেক্স এইডের মতো নারীদের ট্রিট করে, তারা আসলে নিজেদের গোপন জীবনটারেই তুইলা আনে। হয়তো একটা পয়েন্ট পর্যন্ত এই জানাটা কাজের হইতে পারে। কিন্তু সেইটারে লেখকের মনের ভিতর থিকা বাইরে নিয়া গিয়া খাঁটি জীবন হিসাবে ধইরা নেয়াটা উচিত হবে না।

………………………………………….

ইন্টারভিউ’র এই বইটা অর্ডার করতে ক্লিক করতে পারেন এই লিংকে:
https://www.facebook.com/pg/PrintPoetryInterviewSeries/posts/?ref=page_internal

 

The following two tabs change content below.
Avatar photo

তৌকির হোসেন

জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →