Main menu

ট্রেডিশন অ্যান্ড দ্য ইন্ডিভিজ্যুয়াল টেলেন্ট – টি. এস. এলিয়ট


ইংরেজি লেখার বেলায় আমরা ট্রেডিশন নিয়া খুব কমই আলাপ করি। কখনো যদি ট্রেডিশনের কথা তুলিও, তা হয় মেইনলি এর না থাকা নিয়া কান্নাকাটি। আমরা ঠিকমত কোনো ট্রেডিশনরে চিহ্নিত করতে পারি না, সর্বোচ্চ আমরা বলতে পারি অমুকের কবিতা ট্রেডিশনাল, বা, কোনো ক্ষেত্রে একটু বেশিই ট্রেডিশনাল। নিন্দা করা ছাড়া কোনো ক্ষেত্রে এই শব্দটা তেমনএকটা আমরা ইউজ করি না। আর নাইলে মাঝে মাঝে কোনো আর্কেওলজিকাল রিকন্সট্রাকশনের ব্যাপার বুঝাইতে এইটা ভালো অর্থে ইউজড হয়। মানে ইংরেজদের কানে এই শব্দ শুনলে ওই আর্কিওলজি ছাড়া আর তেমনকিছু আসে না মাথায়।

এই শব্দটা আমাদের জ্যাতা কিংবা মরা কবিদের নিয়া আলাপের ক্ষেত্রে আসার চান্স খুবই কম আসলে। প্রতিটা দেশ, প্রতিটা জাতির মাইন্ডেরই কেবল ক্রিয়েটিভই না, একটা ক্রিটিকাল টার্নিং পয়েন্টও থাকে; আর এই ক্রিয়েটিভ জিনিয়াসের চাইতে ক্রিটিকাল ঘাটতিগুলা নজরের আড়ালে থাইকা যায়। ফ্রেঞ্চ ভাষায় যে বিশাল পরিমাণে ক্রিটিকাল রাইটিংস বের হইসে তা পইড়া আমরা জানি, বা মনে করি যে আমরা ফ্রেঞ্চদের ক্রিটিকাল মেথড বা তাদের স্বভাবের ব্যাপারে জানি। আমরা মনে করতে পারি (এতই বেহুশ আমরা) যে ফ্রেঞ্চরা একটু বেশিই ক্রিটিকাল, বা এমনকি মাঝে মাঝে এই ভাইবা নিজেরা একটু ভাবও নিতে পারি যে ফ্রেঞ্চরা আমাদের চাইতে কম স্পন্টেনিয়াস। হয়তো আসলেই তাই। কিন্তু আমাদের মনে রাখা দরকার যে ক্রিটিসিজম শ্বাস নেয়ার মতই স্বাভাবিক ব্যাপার, এবং কোনো বই পড়ার পর আমাদের মাথায় যেই যেই চিন্তাগুলা আসে বা মনে যেই ফিলিং জন্মায় তা নোট কইরা রাখার মধ্যে দোষের কিছু নাই। তবে এই প্রসেসে আমাদের মধ্যে একটা টেন্ডেন্সি থাকতে পারে কোনো কবিরে অন্যান্য কবিদের চাইতে তার আলাদা স্টাইলের ভিত্তিতে প্রশংসা করার। আমরা খুব মনে করি যে তার কাজের এই অংশগুলাতে তার স্বাতন্ত্র‍্য বা একদম তার নিজস্ব কিছু খুঁইজা বাইর করসি। তার আগেকার লেখকদের, স্পেশ্যালি একদম ইমিডিয়েট আগেকার লেখকদের থিকা তার ডিফারেন্স খুঁইজা বাইর করতে পারলে আমরা খুব খুশি হই। কিন্তু এই প্রেজুডিসটা বাদ দিয়া কোনো কবিরে যদি আমরা পড়তে যাই, তাইলে দেখবো একজন কবির কেবল বেস্টই না, বরং তার সবচেয়ে স্বতন্ত্র অংশটার মধ্যেই আগেকার মরা কবিরা, তার পূর্বপুরুষেরা তাদের অমরত্ব সবচেয়ে দাপটের সাথে জানান দেয়। এমনকি এইখানে আমি কবির ইম্ম্যাচিউরড বয়সের কপি করার পিরিয়ডটার কথা বলতেসি না, বরং তার ফুল ম্যাচিউরিটির টাইমের কথাই বলতেসি।

ট্রেডিশন দিয়া যদি আমরা বুঝি আমাদের আগেকার লেখকরা যা লেইখা গেসেন তাই অন্ধভাবে ফলো কইরা জাবর কাটা, তাইলে এইটার অত দরকার নাই। আমরা জানি এইরকম লেখাগুলা কত সহজেই ধূলায় হারায়া যায়। আর এইরকম রিপিটেশনের চাইতে নতুন কিছু অবশ্যই বেটার। কিন্তু ট্রেডিশন তো আসলে আরো অনেক ব্যাপক গুরুত্বের একটা জিনিস। এইটা কেউ জন্মসূত্রে পায় না, এইটার দাবিদার হওয়ার জন্য প্রচুর শ্রম দেয়া লাগে। প্রথমত, এইটার জন্য দরকার একটা হিস্টরিক সেন্স, এবং এইটা ছাড়া পঁচিশ বছর বয়সের পরও কবি থাকতে চায় এমনকারো পক্ষে আগানো সম্ভব না আসলে। আর এই হিস্টরিক সেন্স আসলে অতীতরে অতীতের জায়গা থিকা না, বরং বর্তমানেও অতীত কতটা প্রবলভাবে রইসে সেইটা টের পাইতে পারার জায়গাটা আরকি। এই হিস্টরিক সেন্সটা থাকলে একজন লেখক শুধু তার জেনারেশনের পালসই না, বরং সে তার লেখায় নিজের দেশ আর হোমার হইতে শুরু কইরা পুরা ইউরোপের সব গ্রেট লেখকদের প্রেজেন্সরে একইসাথে ধরতে পারবে। এই হিস্টরিক সেন্সটা আসলে একই সাথে টাইমলেসনেস, আবার টাইমের সেন্স, কিংবা দুইটারে একইসাথে ফিল করতে পারার ব্যাপার, আর এইটাই একজনরে ট্রেডিশনাল রাইটার বানায়। এবং এইটাই লেখকরে আগামী টাইমে নিজের জায়গাটা বুঝতে হেল্প করে, তার নিজের রেলেভ্যান্সটা।

কোনো কবি, এমনকি কোনো আর্টিস্টই একলা একলা নিজের মিনিং পাইতে পারে না। তার সিগনিফিকেন্সের জায়গাটাই হইসে অতীতের পোয়েট কিংবা আর্টিস্টদের সাথে তার বোঝাপড়া। আপনি তারে একলা মূল্যায়ন করতেই পারবেন না; তুলনা আর কনট্রাস্টের হিসাবে তারে আপনার অতীতের মরা আর্টিস্টদের পাশাপাশি বসাইয়া দেখতে হবে। আর এইটা আমি আসলে স্রেফ হিস্টরিকাল ক্রিটিসিজম না, এস্থেটিক ক্রিটিসিজমের জায়গা থিকাও বলতেসি। আর একজন পোয়েটের ভিতর ভিতর এই সেন্সটা থাকা, আগেকার লেখকদের ফলো করার ব্যাপারটা একপাক্ষিক না। একটা নতুন ওয়ার্ক অফ আর্ট জন্মাইলে গোটা আর্টের ইতিহাসে ওইটার আগেকার আর্টগুলাতেও তার প্রভাব পড়ে। আগেকার মহান ওয়ার্ক অফ আর্টগুলা নিজেদের মধ্যেই একটা অর্ডার ক্রিয়েট কইরা নেয়, এবং যখন ওইখানে আরেকটা নতুন (সত্যিকারের নতুন) ওয়ার্ক অফ আর্ট আইসা ঢুকে, তখন ওই অর্ডারটা চেঞ্জ হইয়া যায়। তো এর পরে প্রত্যেকটা আর্টের একে অপরের সাথে রিলেশনগুলাও নতুন কইরা এডজাস্ট হয়। আর যারা ইউরোপিয়ান, বা ইংরেজি সাহিত্যের এই অর্ডারটা মাইনা নিসেন, তাদের কাছে এইটাও অসম্ভব মনে হবে না যে বর্তমান যতটা অতীত দ্বারা চালিত হয়, অতীতও ততটাই বর্তমান দ্বারা এফেক্টেড হয়। আর যেই পোয়েট এই ব্যাপারটা মাথায় রাখতে পারবে, সে অনেক বড় বড় জটিলতা আর রেসপনসিবিলিটির জায়গাগুলাও ধরতে পারবে।

আর খুব পিকুলিয়ার সেন্সে এইটাও তার মাথায় থাকবে যে তার সব কাজ অবশ্যই অতীতের লেখকদের ক্রিয়েট করা স্ট্যান্ডার্ডের প্রেক্ষিতে বিচার করা হবে। আমি কেবল বলতেসি জাজড হবে, সেই স্ট্যান্ডার্ডের প্রেক্ষিতে নতুন লেখকদের কাজের হাতপা কাটার কথা আমি বলতেসি না। আগেকার লেখকদের চাইতে তার লেখা ভালো হইসে নাকি খারাপ হইসে এইসব না। স্রেফ একটা জাজমেন্ট, যেইখানে দুইটা জিনিসরে পাশাপাশি রাইখা জাস্ট একটারে দিয়া আরেকটারে একবার তুলনা কইরা দেখা। স্রেফ পুরাতন স্ট্যান্ডার্ড মাইনা চলাটা আসলে কোনো কাজের কথা না, কারণ তাইলে আর নতুন কোনো ওয়ার্ক অফ আর্ট জন্মাবে না, আর যেই আর্ট নতুন না সেইটা আসলে কোনো আর্টই না। আর আমরা এইটা বলি না যে নতুন কোনোকিছু বেশি ভ্যালুয়েবল কারণ ওইটা ফিট ইন করতে পারে, বরং আমরা এইটার ফিট ইন করতে পারার যোগ্যতারে এইটার ভ্যাল্যুর টেস্ট হিসেবে দেখি। এইটা আসলেই সত্য, আর এই টেস্টটা খুব আস্তে আর সাবধানে এপ্লাই করা দরকার, কারণ আমরা কেউই আসলে একদম নিখুঁত জাজ হওয়ার দাবি করতে পারি না। আমরা বলিঃ এইটা ফিট ইন করতে পারতেসে, আর সম্ভবত এইটার ভিতর ইন্ডিভিজুয়ালিটিও আছে, বা এইটারে ইন্ডিভিজুয়াল মনে হইতেসে, ফলে এইটা ফিট ইন করতে পারবে হয়তো। কিন্তু আসলে আমরা খুব নিশ্চিত কইরা বলতে পারবো না যে এইটা ওই দুইটার একটা এবং অন্যটা না।

পাস্টের সাথে পোয়েটের রিলেশনের ব্যাপারটা আরেকটু সহজ কইরা বলতে গেলেঃ পাস্টরে সে স্রেফ একটা বিশাল ঢেলার মত দেখবে না, আবার নিজের পছন্দমত ২-৪টা কবির উপর বেইস কইরাও নিজেরে ফর্ম করবে না, আর নিজের পছন্দের কোনো পিরিয়ডের মত কইরা নিজেরে ফর্ম করলেও হবে না। ফার্স্টটা একদমই মাইনা নেয়া যায় না, সেকেন্ডটা প্রত্যেক কবির ইয়ুথের একটা গুরুত্বপূর্ণ এক্সপেরিয়েন্স, আর তিন নাম্বারটা খুব প্লেজেন্ট আর ডিজায়ারেবল একটা সাপ্লিমেন্ট। একজন পোয়েটের এইটা খুব ভালোমত বুঝতে হবে যে আর্টের স্রোতরে খুব স্পষ্টভাবে আলাদা আলাদা ধারায় ভাগ করা যায় না। আর তারে এই অবভিয়াস জিনিসটাও খুব ভালোমত বুঝতে হবে যে আর্ট কখনোই ঠিক ইম্প্রুভ করে না, বরং আর্টের ম্যাটেরিয়াল সবসময় বদলাইতে থাকে। আর তারেও এইটাও বুঝতে হবে যে গোটা ইউরোপের কালেক্টিভ মাইন্ড, তার নিজের দেশের কালেক্টিভ মাইন্ড–যা সে একসময় বুঝবে যে তার একলার মাইন্ডের চেয়ে অনেক ইম্পর্ট্যান্ট–এই মাইন্ডটা সবসময়ই বদলায়, কিন্তু এই বদলটা হইসে একটা ডেভেলাপমেন্ট, অথচ এইটা কিছুই কখনো বাদ দেয় না। হোমার হইতে শেক্সপিয়র, এমনকি ম্যাগডেলেনিয়ান নকশাকারদের পাথরের খোদাইরেও সে রাইখা দেয়। এই ডেভেলাপমেন্টটা হয়তো স্রেফ একটা পুনর্সংস্কার, কারণ জটিলতা তো আর্টিস্টের পয়েন্ট অফ ভিউতে কোনো ডেভেলাপমেন্ট না। এমনকি সাইকোলজিস্টদের চোখেও হয়তো এইটা কোনো ডেভেলাপমেন্ট না, অন্তত যতটা আমরা ভাবি, হয়তো শেষমেষ স্রেফ মেশিনারি আর ইকোনমিক্সের জটিলতার ভিত্তিতেই এইটা ডেভেলাপমেন্ট। কিন্তু পাস্ট আর প্রেজেন্টের পার্থক্যটা হইলো আমাদের কনশাস প্রেজেন্ট আসলে আমাদের পাস্টেরই এওয়্যারনেস।

কেজানি বলসিলোঃ “মরা রাইটারদের সাথে আমাদের দূরত্ব অনেক বেশি, কারণ আমরা এখন তাদের চাইতে অনেক বেশিকিসু জানি।” আসলেও এইটাই, আর আমাদের এই জানা তাদের উপরই ভিত্তি কইরা।

তবে এই ব্যাপারে আমার প্রায়ই একটা অবজেকশনের মুখে পড়তে হয়। অবজেকশনটা হইলো এই হিস্টরির সেন্স ডেভেলাপ করতে হইলে অস্বাভাবিক লেভেলের পড়াশুনা থাকা দরকার, কিন্তু যেকোনো কবির জীবন ঘাইটা দেখলেই এই দাবি ধোপে টেকে না। তার উপ্রে আবার এমনও বলা হয় যে বেশি পড়াশুনা করলে কবির পোয়েটিক সেন্স মইরা যায় বা নষ্ট হইয়া যায়। আবার ওইদিকে আমরা মনে করি কবির এতটুকু পড়াশুনা থাকা দরকার যাতে তার মিনিমাম একটা ধারণক্ষমতা জন্মায় আর সে অলস পইড়া না থাকে৷ কিন্তু নলেজরে আসলে এইভাবে ইউজফুলনেস দিয়া আটকাইয়া বিচার করাটাও বাজে ব্যাপার। কেউ কেউ খুব সহজেই নলেজ শুইষা নিতে পারেন, আর যারা একটু স্লো তাদের বহু ঘাম ঝরাইতে হয়। শেক্সপিয়র শুধু প্লুটার্ক পইড়া যতটা হিস্টরি শুইষা নিতে পারসিলেন, তা অন্য মাইন্সেরা পুরা ব্রিটিশ মিউজিয়াম থিকাও পারতো না। যেই জায়গায় জোর দেয়া দরকার তা হইলো একজন পোয়েট যেন পাস্টের একটা কনশাসনেস ডেভেলাপ করতে থাকেন এবং এই প্রসেস যেন সে তার পুরা ক্যারিয়ার ধইরা জারি রাখেন।

এতে যা ঘটে তা হইলো আর্টিস্ট ক্রমাগত নিজেরে আরো ভ্যালুয়েবল কিছুর সামনে সারেন্ডার করে। আর্টিস্টের প্রগ্রেস হইলো আসলে একটা কনসটেন্ট আত্ম-কোরবানি, ক্রমাগত নিজের পার্সোনালিটির বিলুপ্তি।

তবে আর্টিস্টের এই ডিপার্সোনালাইজেশনের প্রসেস আর এইটার সাথে ট্রেডিশনের সেন্সের রিলেশনটা ব্যাখ্যা করা এখনও বাকি আছে। এই ডিপার্সোনালাইজেশনের ক্ষেত্রে বলা যায় আর্ট অনেকটা সাইন্সের কন্ডিশনে পৌঁছায়া যায়। তো আমি এইটার একটা এ্যানালজি হিসেবে আপনাদের ইনভাইট করতেসি, যখন একটা সুন্দরমত ফিলিয়েটেড প্লাটিনামরে অক্সিজেন আর সাল্ফার ডাই-অক্সাইডে ভরা একটা চেম্বারে ঢুকানো হয়, তখন যা ঘটে তা ইমাজিন করতে।

 


অনেস্ট ক্রিটিসিজম আর সিন্সিয়ার এ্যাপ্রিসিয়েশন পোয়েটের না, বরং পোয়েট্রির দিকে ডিরেক্টেড হয়। আমরা যদি নিউজপেপারের ক্রিটিকদের কনফিউজড গেঁজানি আর ওই একই পপুলার রাইটারদের নিয়া লেখা ফুসফুসানিতে নজর দেই তাইলে অনেক লেখকেরই নাম পাবো। কিন্তু এইসব নামের লিস্টফিস্ট বাদ দিয়া যদি আমরা একটা ভালো কবিতা এনজয় করতে চাই, তা আমরা বেশিরভাগ সময়ই পাই না। আমি চেষ্টা করসিলাম কোনো কবিতার সাথে অন্য রাইটারদের লেখা অন্য কবিতার মধ্যকার রিলেশনটা পয়েন্ট আউট কইরা দেখাইতে। আর আমি চাইসিলাম পোয়েট্রিরে সামগ্রিকভাবে আজ পর্যন্ত লিখিত সব কবিতার একটা জ্যাতা সমষ্টি হিসেবে দেখতে। আর এই ইমপারসোনাল থিওরির আরেকটা দিক হইলো একটা কবিতার সাথে তার অথোরের রিলেশন। আর আমি একটা এনালোজির মাধ্যমে হাল্কা ইশারা করসিলাম যে একজন ইমম্যাচিউর পোয়েটের চাইতে একজন ম্যাচিউর পোয়েটের পার্থক্য তার পার্সোনালিটিতে না, বা এইজন্য না যে তার লাইফ অনেক ইন্টেরেস্টিং এবং তার অনেককিছু বলার মত আছে, বরং একজন ম্যাচিউর পোয়েটের স্পেশ্যালিটি হইলো উনি বিভিন্ন ধরণের স্পেশাল ফিলিংরে একে অপরের সাথে নতুন কম্বিনেশনে মিশতে দেয়ার পারফেক্ট মিডিয়াম হিসেবে কাজ করতে পারেন।

আমি যে এনালোজিটা দিসিলাম তা ছিল ক্যাটালিস্টের। উপরে যেই দুইটা গ্যাসের কথা বললাম সেই দুইটা গ্যাস যখন প্লাটিনামের ফিলামেন্টের প্রেজেন্সে একসাথে মেশে, তখন তারা সালফিউরাস এসিড গঠন করে। এই ঘটনাটা ঘটে কেবল যদি প্লাটিনামটা ওইখানে থাকে; অথচ এই নিউলি ফর্মড এসিডটার মধ্যে প্লাটিনামের কোনো নিশানা থাকে না, আবার প্লাটিনামটাও এই প্রক্রিয়ায় বিন্দুমাত্র এফেক্টেড হয় না। একজন পোয়েটের মাইন্ডও ওই প্লাটিনামের টুকরাটার মত। যদিও তা আংশিকভাবে বা অনেকটাই তার লাইফের এক্সপেরিয়েন্স দ্বারা এফেক্টেড হবে, কিন্তু আর্টিস্ট যত পারফেক্ট হবেন, তার ভিতরকার যেই সত্তা ক্রিয়েট করে আর যেই সত্তা সাফার করে তারা তত আলাদা হবে; আর তার মাইন্ড তত পারফেক্টলি তার প্যাশনগুলারে ডাইজেস্ট কইরা কাজে লাগাইতে পারবে, যা তার আর্টওয়ার্কের ম্যাটেরিয়াল।

আর এক্সপেরিয়েন্স হইলো যেই এলিমেন্টগুলা ক্যাটালিস্টের প্রেজেন্সে প্রবেশ করে। আর আপনি দেখবেন, এক্সপেরিয়েন্স হয় দুই পদেরঃ ইমোশন্স আর ফিলিংস। একজন লোক যে একটা আর্টওয়ার্ক এনজয় করতেসে সেই এক্সপেরিয়েন্সটা আর্ট-না এমন যেকোনো এক্সপেরিয়েন্সের চাইতে আলাদা। ওই আর্টটা একটা ইমোশন দ্বারা ক্রিয়েটেড হইতে পারে, আবার অনেকগুলা ইমোশনের কম্বিনেশনেও হইতে পারে; আবার বিভিন্ন ফিলিংস, যা রাইটার নিজের নির্দিষ্ট কিছু সহজাত শব্দ, ফ্রেজ বা ইমেজের মাধ্যমে পোর্ট্রে কইরা ফাইনাল রেজাল্টটা ক্রিয়েট করেন। অথবা গ্রেট পোয়েট্রি হয়তো কোনোপ্রকার ইমোশনের ডিরেক্ট ইউজ ছাড়াই ক্রিয়েট হয়: স্রেফ ফিলিংস দ্বারা কম্পোজড হয়। ইনফার্নোর ক্যান্টো ১৫ হইলো ওই সিচুয়েশনের ইমোশনেরই একটা বিল্ড-আপ, কিন্তু ওইটার এফেক্টটা আনা হইসে তুমুল কমপ্লেক্স ডিটেলের মাধ্যমে। আর এই অধ্যায়ের শেষ শ্লোকটা একটা ইমেজ পয়দা করে, যেই ইমেজের সাথে একটা তীব্র ফিলিং এ্টাচড থাকে। এই ইমেজটা আস্তে আস্তে “আসে”, ফট কইরা আগেকার ঘটনা হইতে জন্মায় না, বরং এই ইমেজটা পোয়েটের মাথায়ই সাসপেনশনে ছিল যতক্ষণ না এইটারে এ্যাড করার মত প্রপার কম্বিনেশনে আইসা পৌঁছাইলো। পোয়েটের মাইন্ডটা আসলে এমন একটা ঝুড়ি যেইখানে অসংখ্য ফিলিংস, ফ্রেজ, ইমেজরে ধইরা জমা কইরা রাখে, আর ওইগুলা ওইরকমই থাকে যতক্ষণ না নতুন একটা কম্পাউন্ড ক্রিয়েট করার মত সব পার্টিকেল আইসা একসাথে জড়ো না হয়।

আপনি যদি দুনিয়ার সবচাইতে সেরা কিছু কবিতার রিপ্রেজেন্টেটিভ কিছু প্যাসেজ তুইলা আনেন, তাইলে দেখবেন এই কম্বিনেশনগুলা কত রকমের ভ্যারাইটির হয়। আর আপনি দেখবেন রাইটিং এর মাহাত্ম্যের যেকোনো সেমি-এথিকাল মানদণ্ড নির্ধারকরা কিরকম ভুলটা করে। কারণ আসলে ইমোশনের ইনটেনসিটির গ্রেটনেস না, বরং আর্টিস্টিক প্রসেসটার ইনটেনসিটি, বা বলা যায় প্রেশার, যার আন্ডারে এই ফিউশনটা হয়, সেইটাই ম্যাটার করে। পাওলো আর ফ্রান্সেস্কোর অংশটা একটা নির্দিষ্ট ইমোশনরে ক্যাপচার করে, কিন্তু একটা কবিতার ইনটেনসিটি আসলে ওই কবিতাটা যেই এক্সপেরিয়েন্সের ইনটেনসিটির পোর্ট্রে করতে চাইতেসে বইলা মনে হয় তার চাইতে আলাদা। এইটা কোনোভাবেই ক্যান্টো ২৬-এ ইউলিসিউসের যাত্রার চাইতে বেশি ইনটেন্স না, অথচ এইটা কোনো নির্দিষ্ট ইমোশনের উপর সরাসরি ডিপেন্ডেন্ট না। গ্রেট ভ্যারাইটি পসিবল হয় যখন রাইটার অনেকগুলা ইমোশনরে নিয়া একসাথে জারিত করতে পারেন। এগামেমননের মার্ডার, কিংবা ওথেলোর দুঃখের সিনগুলা অরিজিনাল ঘটনার অনেক কাছাকাছি একটা ফিলিং দিতে পারে, যা দান্তে অতটা পারে না। এগামেমননে আর্টিস্টিক ইমোশনটা এমন যে আপনারে একদম একচুয়াল ঘটনার সামনে আইনা দাঁড় করাবে, মনে হবে আপনি সামনে থিকা দেখতেসেন; আর ওথেলোতে, একদম প্রোটাগোনিস্টের জায়গায় নিয়া যাবে। কিন্তু তবু, আর্ট আর একচুয়াল ঘটনার মধ্যে ফারাক থাকবেই। মার্ডার অফ এগামেমননে যেই কম্বিনেশন তা হয়তো ইউলিসিউসের যাত্রার সমান কমপ্লেক্স। দুই ক্ষেত্রেই বিভিন্ন এলিমেন্টের একটা ফিউশন হইসে। কীটসের কবিতায়ও আপনি দেখবেন এমন অনেকগুলা ফিলিংস আইসা মিলতেসে যার সাথে নাইটিংগেলের কোনো সম্পর্কই নাই, তবু ওই ফিলিংগুলারে নাইটিংগেল, হয়তো তার সুন্দর নামটার জন্যই, একসাথে আইনা মিলাইতে পারসে।

যেই পয়েন্ট অফ ভিউটারে আমি এটাক করতে চাইতেসি তা হইলো কবিতায় পোয়েটের আত্মার সার ঢাইলা দেয়া হয় এই মেটাফিজিকাল থিওরিটা। কারণ আমি বলতে চাইতেসি যে, একজন পোয়েটের এক্সপ্রেস করার মত কোনো পার্সোনালিটি নাই, আছে একটা নির্দিষ্ট মিডিয়াম, আর এইটা স্রেফ একটা মিডিয়ামই, কোনো পার্সোনালিটি না। আর এই মিডিয়ামে বিভিন্ন এক্সপেরিয়েন্স আর ইমপ্রেশন অদ্ভূতভাবে মিল্যামিশ্যা আনএক্সপেক্টেড ফল দেয়। পোয়েটের প্রাইভেট লাইফে যেই এক্সপেরিয়েন্স বা ইমপ্রেশনগুলা খুব ইমপর্ট্যান্ট তা হয়তো কবিতায় কোনো স্থানই পাইবে না, আবার যেগুলা কবিতায় খুব গুরুত্ব পাইবে তা হয়তো কবির নিজের লাইফে খুব নগন্য জিনিস।

আর এখন আমি একটা প্যাসেজ কোট করতেসি যেইটা মোটামুটি অপরিচিত আছে, ফলে এইটার প্রতি এই অবজারভেশনের মাধ্যমে নতুন কইরা একটু লাইট ফেলা যায়, বা অন্ধকারঃ

“And now me thinks I could e’en chide myself For doating on her beauty, though her death Shall be revenged after no common action.

Does the silkworm expend her yellow labours For thee? For thee does she undo herself?

Are lordships sold to maintain ladyships For the poor benefit of a bewildering minute?

Why does yon fellow falsify highways,

And put his life between the judge’s lips,

To refine such a thing – keeps horse and men To beat their valours for her?”

 

এই প্যাসেজটাতে পজিটিভ আর নেগেটিভ ইমোশনের একটা কম্বিনেশন আছে: একইসাথে বিউটির প্রতি একটা প্রচণ্ড স্ট্রং এট্রাকশন, আবার এর কনট্রাস্টে আগলিনেসের প্রতি একটা তুমুল ফ্যাসিনেশন যা ওই বিউটিরে নষ্ট করে। এই দুইটা কনট্রাসটিং ইমোশনের ব্যালেন্স এইখানে যেই ড্রামাটিক সিচুয়েশনে আছে তার সাথে স্পিচটা ভালোই মানানসই, কিন্তু স্রেফ এই সিচুয়েশনটা এনাফ না। এইটা হইসে, বলা যায়, ড্রামাটার দ্বারা প্রোভাইডেড একটা স্ট্রাকচারাল ইমোশন। কিন্তু প্যাসেজটার পুরা এফেক্ট, তার ডমিনেন্ট টোনটার পিছনে কারণ হইসে অনেকগুলা টুকরা টুকরা ফিলিংস, যার সাথে আবার কতগুলা ইমোশন, যেগুলার একে অপরের সাথে তেমন প্রকট কোনো সম্বন্ধও নাই, এগুলা একসাথে মিইলামিইশা আমাদের একটা নতুন আর্টিস্টিক ইমোশন দিতেসে।

পোয়েটের পারসোনাল ইমোশন, বা তার লাইফের কোনো ঘটনা দ্বারা জন্মানো ইমোশনগুলার কারণে পোয়েট রিমার্কেবল বা ইন্টেরেস্টিং হয় না। তার নিজের ইমোশন হয়তো খুব সিম্পল, ফাত্রা, ফ্ল্যাট। কিন্তু তার কবিতার ইমোশন হবে খুবই কমপ্লেক্স, কিন্তু আবার তা এমন মানুষের ইমোশনের কমপ্লেক্সিটির মত না যারা জীবনে অনেক কমপ্লেক্স আর অস্বাভাবিক ইমোশনের মধ্য দিয়া যায়। তবে অন্যরকম লেখা লিখতে গিয়া কবিরা একটা ভুল করে, তা হইলো এক্সপ্রেস করার জন্য নতুন নতুন ইমোশন খুঁজতে যাওয়া। আর ভুলভাল জায়গায় এই নতুনত্বের খোঁজ করতে গিয়া ফলাফল হয় উলটা। একজন পোয়েটের কাজ নতুন নতুন ইমোশন খোঁজা না, বরং অর্ডিনারি ইমোশনগুলারেই ইউজ কইরা কবিতায় ইউজ করতে পারার মত বানানো, এমনসব ফিলিংস এক্সপ্রেস করা যা ওই পোয়েটের নিজের ইমোশনেই নাই৷ আবার যেইসব ইমোশন সে কোনোদিন এক্সপেরিয়েন্সই করে নাই, ওগুলাও সে কবিতায় কাজে লাগাবে। এইজন্য আমাদের কবিতা হইসে “নির্মল স্মৃতিতে ভাইসা ওঠা আবেগ” [ওয়ার্ডসওয়ার্থ] এমন ধারণারেও ভুল ভাবতে হবে। কারণ এইটা ইমোশনও না, স্মৃতিও না, আর মিনিং এর ডিসটোরশন ছাড়া, নির্মলও না। কবিতা হইতেসে এমন কোনো এক্সপেরিয়েন্সের প্রতি আলাদা কনসেন্ট্রেশন যা কোনো প্র‍্যাকটিকাল মানুষের কাছে এক্সপেরিয়েন্স বইলা মনেই হবে না, আর এই কন্সেন্ট্রেশান হইতে জন্ম নেয়া নতুন একটা জিনিস। আর এই কন্সেন্ট্রেশানটা খুব কনশাসলি বা ইচ্ছা কইরা হয় না। এই এক্সপেরিয়েন্সগুলা “স্মৃতিতে ভাইসা” ওঠে না, বরং “নির্মল” আবহাওয়া পাইলে তারা আপনাআপনিই একত্র হয়। কিন্তু অবশ্যই এইটাই সব না। কবিতা লেখার প্রসেসে অনেক বড় একটা অংশেই পোয়েটরে কনশাস থাকতে হয় আর নিজের থিকা কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ইন ফ্যাক্ট, একজন খারাপ পোয়েট হইলেন তিনি যিনি যেই জায়গায় কনশাস হইতে হবে সেই জায়গায় আনকনশাস থাকেন, আর যেইখানে আনকনশাস থাকতে হবে ওইখানে কনশাস হইয়া ওঠেন। এই দুইটা ভুলই একজন কবিরে বেশি “পারসোনাল” বানায়া ফেলে। পোয়েট্রি ইমোশনরে আলগা কইরা ছাইড়া দেয়ার জায়গা না, বরং ইমোশন হইতে পালানোর জায়গা; পোয়েট্রি পার্সোনালিটির এক্সপ্রেশন না, বরং পার্সোনালিটি হইতে পালানো। কিন্তু, অবশ্যই, যাদের কোনো পার্সোনালিটি বা ইমোশনই নাই তারা এগুলা হইতে পালাইতে চাওয়ার কোনো অর্থ খুঁইজা পাবেন না।

 


কোনো ডাউট ছাড়াই, মানুষের মাইন্ড হইতেসে একটা বাতেনি জিনিস, যার কোনো নাগাল পাওয়া যায় না। [এরিস্টটল]

এই প্রবন্ধটা মেটাফিজিক্স বা মিস্টিসিজমের একদম সামনের দুয়ারে হানা দিয়া এমন প্র‍্যাকটিকাল কনক্লুশনে আসছে যা পোয়েট্রি নিয়া ইন্টেরেস্টেড যেকোনো রিসপনসিবল লোক এপ্লাই করতে পারবে। পোয়েটের প্রাইভেট লাইফ হইতে পোয়েট্রির দিকে মানুষের নজর টানতে যাওয়া একটা ভালো এইম। কারণ এতে কইরা একচুয়াল পোয়েট্রির ভালোমন্দ নিয়া মানুষ ভাবতে শুরু করবে। এমন অনেকেই আছে যারা ছত্রে ছত্রে সহজ-সরল ইমোশনের এক্সপ্রেশনরে এপ্রিশিয়েট করেন, আর তার চাইতে কম আছে যারা একটা কবিতার টেকনিকাল এক্সিলেন্সটা এপ্রিশিয়েট করতে পারেন। কিন্তু খুব কম লোকই টের পায় একটা কবিতায় কোনো ইমোশনের অসাধারণ এক্সপ্রেশন, যেই ইমোশনের প্রাণ কবিতাতেই, ওই পোয়েটের জীবনীতে না। একটা আর্টের ইমোশন সবসময়ই ইমপারসোনাল। আর একজন পোয়েট এই ইমপারসোনালিটির পর্যায়ে পৌঁছাইতে পারে না যতক্ষণ না সে “যা করতে হবে” তাতে নিজেরে সারেন্ডার করতে পারতেসেন। আর “কী করতে হবে” এইটা উনি তখনই জানতে পারবেন যখন উনি স্রেফ প্রেজেন্টে না, বরং পাস্টের প্রেজেন্ট মোমেন্টটাতেও বাস করতে পারবেন, আর যখন উনি কেবল যা ডেড, তাই না, যা অলরেডি লিভিং, তা নিয়াও এওয়্যার থাকতে পারবেন।

The following two tabs change content below.
Avatar photo

মাহীন হক

মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →