Main menu

সিনস অফ সিনেমা (ফার্স্ট পার্ট)

[অনেক সিনেমা দেখা না হইলেও কিছু সিনেমা তো দেখা হইছে আমার। মানে, আমরা এমন একটা ভিজ্যুয়ালের টাইমে আছি, যেইখানে না চাইলেও সিনেমা দেখা লাগে আমাদের। সিনেমা-দেখা দিয়া অনেক কিছু বুঝি আমরা, অনেক কিছু বুঝাইতেও পারি। তো, সিনেমা দেখতে দেখতে দেখছি যে, কিছু সিনের (scene-ই, তবে sin-ও হইতে পারে) কথা মনে আছে। অইরকম কিছু সিন নিয়া কিছু কথা বলার ইচ্ছা আছে। এইখানে ফার্স্ট পার্টে ৭টা সিনের কথা বলা হইছে। আরো কিছু বলার ইচ্ছা আছে।]

…  …  …

সিনস অফ সিনেমা (১)
বেটার কল সল (২০১৫ – ২০২২) : সিজন ৪, এপিসোড ১০, ডিরেক্টর – ভিন্স জিলিয়ান 

এইটার কথা ফার্স্টে মনে হইলো। বেটার কল সল সিরিজের একটা সিন।

ড্রাগ ডিলারদের জন্য মেক্সিকোর বর্ডার থিকা আম্রিকাতে একটা পাইপলাইন বানানোর জন্য জার্মাান ইঞ্জিনিয়াররে ভাড়া করে গাস ফ্রিং; অইটার তদারকি করে মার্ক। খুবই সিক্রেট প্রজেক্ট এবং অনেক লম্বা সময় ধইরা চলে। তো, মেইন ইঞ্জিনিয়ার একবার পালায়া গিয়া তার বউয়ের লগে দেখা করে। তখন ইঞ্জিনিয়াররে খুন করা ছাড়া আর অন্য কোন উপায় তো থাকে না! এইরকম একটা ব্যাকগ্রাউন্ড। বউয়ের লগে লাস্টবার ফোনে কথা বলার পরে খুব নরমালি ইঞ্জিনিয়ারটা হাঁটতে থাকে, আর তারে পিছন থিকা মার্ক গুলিটা করে। ৩:৪৭ থিকা ৪:০৩ পর্যন্ত ফ্রেমটা। ভ্যান গঁগের স্টেরি নাইটসের কথা মনে হইছে আমার। ইঞ্জিনিয়ারটা বলেও, নিউ মেক্সিকোতে এতো বেশি তারা দেখা যায়! আমি আরেকটু ভালো কইরা দেখি!

ভিডিও’টার কোয়ালিটি’টা ভালো না। স্পষ্টভাবে বুঝা যায় না এইখানে। কিন্তু খুবই পোয়েটিক ফ্রেমটা।

গ্রিক ট্রাজেডি কেন ভালো – এইটা মনে হইতেছিল, কারণ এইখানে নিয়তি অনেক পাওয়ারফুল। এইখানেও একটা ‘নিয়তি’ সিচুয়েশন ক্রিয়েট করা হইছে। ইঞ্জিনিয়ার যখন ভুলটা কইরা ফেলছে, এইটারে তো আন-ডু করার বা মাফ করার আর কোন উপায় নাই! তাইলে পুরা বিজনেসটাই রিস্কে পইড়া যাবে, এর সাথে রিলেটেড সবার, সবকিছু। এই কারণে রিস্ক তো নেয়া যাবে না, ইঞ্জিনিয়ারের মরাই লাগবে। এইটা ইঞ্জিনিয়ারও নিয়তি হিসাবে মাইনা নেয়। তো, খালি ফ্রেমটা, এর ভিতরে যে নিয়তির ট্রাজেডি, এইটাই মেলানকলিক কইরা তোলে আসলে।

তো, এই জায়গাতে আমার একটা কথাও আছে। এইটা আম্রিকান সিরিজগুলাতে এতোটা পোয়েটিকভাবে না থাকলেও রিভেঞ্জের জায়গা থিকা নানাভাবে আছে, বা থাকে। যে, যে খুন করতেছে, সে তো আসলে খুন করতে চায় না, বাধ্য হয়া করতেছে! যে মারা যাইতেছে, সেও অনেকসময় বুঝে যে, তার মারা যাওয়া ছাড়া কোন পথ নাই, এটলিস্ট না-বুঝলেও এইভাবে কাহিনিতে দেখায়। এইটা খুবই প্রব্লেমেটিক। কেউ একজনরে আপনি হেইট করেন; এখন হেইট করার লাইগা তারে যেমন ‘খারাপ মানুশ’ বানাইতে হয়, এইরকম খুন করার আগে, খুনটারে নিয়তি বইলা ভাবতে পারতে হয়। এর ভিতর দিয়া খুন করাটারেই জায়েজ করা হয় না খালি, গ্লোরিফাইও করা হয় আসলে।

এইটা খুব প্যারাডক্সিক্যাল লাগতে পারে যে, কাহিনিটারে বা এর এসেন্সটারে আমি সার্পোট করতেছি না, কিন্তু সিন’টারে আমি এপ্রিশিয়েট করতে পারতেছি; কেমনে? আমার ধারণা, এইটা হইতে পারতেছে এসথেটিকস ও এথিকসরে আলাদা করতে পারার ভিতর দিয়া; যদিও এতোটা আলাদা আলাদা না ঘটনাগুলা। যখন আমি এসথেটিক্যালি জিনিসটারে সুন্দর বলতেছি, তখন এর এথিকসটার প্রতিও সার্পোট থাকে তো কিছুটা; মানে, আমি মনে করি, নিয়তি বইলা একটা জিনিস আছে, এবং লাইফের সার্টেন ঘটনা, আমরা বুঝতে পারি বা না-পারি, আমাদের নিয়তি হিসাবে হাজির হইতে পারে। এইটুক এথিক্যাল সার্পোট আমার এইখানে আছে। কিন্তু একইসাথে আমি মনে করি, এই ‘নিয়তি’ জিনিসটারে রিভেঞ্জের কাঁচামাল হিসাবে ইউজ করা যায় না। মার্ক এবং ওয়েগনার দুইজনই, এই রিভেঞ্জের জায়গাটারে যতটুক এড়াইতে পারছেন, ততটুকই এই সিনটারে সুন্দর কইরা তোলছে আসলে।

 

 

সিনস অফ সিনেমা (২)
কিল বিল ভলিউম ২ (২০০৪): কোয়ান্টিন টারানটিনো (ডিরেক্টর), উমা থারম্যান, ডেভিড কারাডিন

এই ৮ মিনিটের মতো সিনটার পুরাটাই আমার পছন্দের। লাস্ট এনকাউন্টার’টা। যখন কিডো বিল’রে ফাইনালি খুন করে। খুবই সিনেমাটিক একটা জিনিস। মানে, সিনেমা বলতে যেই সাসপেন্স, মেলোড্রামা, রোমান্টিকতা, রিভেঞ্জ, টুইস্ট’রে আমি বুঝি মোটামুটি সবগুলাই এই ৭/৮ মিনিটের মধ্যে আছে। উরাধুরা ডায়ালগ একেকটা।

কনফ্লিক্টের পুরা সামারি’টা এইখানে বলা হয়। কিন্তু একটা জিনিস গোপন থাকে, কিডো’রে বিল পাঠায় একটা বুড়া মার্শাল আর্টিস্টের কাছে একটা কৌশল শিখতে যেইটার পাঁচ’টা টেকনিক দিয়া হার্ট ব্রাস্ট কইরা মাইরা ফেলা যায়। কিন্তু অই বুড়া তো খুবই জাউরা। সারাদিন খাটায়া মারে, কিন্তু কিছুই শিখায় না। কিডো’র পরে আরেকজন যায় শিখতে, শে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়া বুড়াটারে মাছের কাঁটা খাওয়াইয়া মাইরা ফেলে। কিডো যে এই টেকনিক শিখছিল, এইটা লাস্ট মোমেন্টে গিয়া রিভিল হয়। বিল কয়, তুমি যে এইটা শিখছিলা, আমারে বলো নাই ক্যান! কিডো কয়, মনেহয় আমি খারাপ-মানুশ, এই কারণে বলি নাই। বিল কয়, না, তুমি ব্যাড-পারসন না, তুমি টেরিফিক-পারসন।… অনেক সময় দেখবেন একটা ক্রুশিয়াল জিনিস শেখা অনেক কঠিন কাজ। কিন্তু কষ্ট কইরা শিখছেন বইলাই সেইটা যখন-তখন ইউজ করতে হবে, এমন কোন কথা তো নাই! বরং দেখা যাবে জীবনে কোনদিন সেইটা কাজেই লাগলো না। বলার তো কোন দরকারই পড়ে না অনেকসময়।…

বিল আর কিডো, এরা তো একজন আরেকজনরে ভালোইবাসে, কিন্তু একজন আরেকজনরে খুন করা ছাড়া কোন অপশন নাই এখন। বিল তো খুনই করে কিডো’রে। খুন কইরা তাঁর বাচ্চারে নিয়া চইলা আসে। কিন্তু কিডো হাসপাতাল থিকা, কবর থিকাও বাঁইচা উইঠা আসে। একে একে সবাইরে খুন করে। ইটস অ্যা স্যাড, সুইট অ্যান্ড বিউটিফুল রিভেঞ্জ। ড্রিম ফুলফিলিং একটা জিনিস। সিনেমা বা আর্টও আসলে এই জিনিসটাই। এইটা খুব হ্যাপি বা স্যাড জিনিস না, বরং ফুলফিলিং একটা জার্নি। (মানে, রিভেঞ্জের জায়গা থিকা দেখতে গেলে ভুল হবে, জার্নিং’র জায়গা থিকা দেখতে হবে আসলে। ফরিদউদ্দিন আত্তারের কনফারেন্স অফ দ্য বার্ডসে যেমন, তত্ত্ব-কথা না বুঝলেও জার্নিং’টা যেমন টের পাওয়া যায়…) আমার ধারণা, হলিউডি সিনেমা বইলা যেই জিনিস আমরা জানি, সেইটা এই সিনটার মতো আর কোন সিন এতোটা সুন্দরভাবে সামারাইজ করতে পারে নাই। (ফেমিনিজম নিয়া কিছু কইলাম না, অইটা আমার ধারণা, আপনারা বুইঝা নিতে পারবেন। সবাই তো কম-বেশি বুঝেনই এখন 🙂 )

 

সিন’স অফ সিনেমা ৩
হোয়েন হ্যারি মিটস স্যালি (১৯৮৯): ফেইক অর্গাজম, মেগ রায়ান

এইটাও আমার পছন্দের একটা সিন। হোয়েন হ্যারি মেটস স্যালি (১৯৮৯) সিনেমার। দেড় মিনিটের একটা ঘটনা। পারফর্মেন্সটা মেগ রায়ানের।

কাহিনি’টা হইতেছে হ্যারি আর স্যালি দুইজন ফ্রেন্ড। এরা নানান জিনিস নিয়া আলাপ-টালাপ করে, কিন্তু অদের মধ্যে প্রেম হয় না, আবার অন্যদের লগে রিলেশনে তাদের নিজেদের স্পার্কটা মিস করে অরা। হ্যারি তার প্রেমিকার কথা কইতেছিল স্যালি’রে। তো, যা হয় ব্যাপারটা ‘নারী ভার্সেস পুরুষ’-এর ইউনিভার্সাল আলাপে চইলা যায়।

হ্যারি কয় আমার লগে তো ভালো সেক্সুয়াল বন্ডেজ ছিল অর (তার প্রেমিকার)। স্যালি কয় কেমনে বুঝলা তুমি? হ্যারি কয়, এইগুলা তো বুঝা যায়, স্যাটিসফেকশনের জিনিসগুলা। স্যালি কয়, ও, বুঝা যায়, ফেইক করা যায় না? হ্যারি কয়, এইগুলা আবার ফেইক করে কেমনে! ইম্পসিবল!

তো, মেগ রায়ান তাঁর বেস্ট পারফর্মেন্সটা দেয় তখন। রেস্টুরেন্টে বইসা ফেইক অর্গাজমটা কইরা দেখায়। পুরা রেস্টুরেন্টের লোকজন হা হয়া তাকায়া থাকে! পারফর্মেন্সটার শেষে এক বুড়া-বেটির কাছে ওয়েটার যায় অর্ডার নিতে, শে প্রাউডলি কয়, অই মেয়েটা যেই জিনিস খাইতেছে অইটাই খাবো আমি!

মানে, জনরা হিসাবে এইটা তো রোমান্টিক-কমেডি একটা সিনেমা। তো, অইখানে এইরকম জিনিস থাকা লাগে।

সিন’টা খালি ফেমিনিজমের জায়গা থিকা খুব ‘শক্তিশালী’ ভিজ্যুয়াল না, বরং আমি দেখি এইটা বদ্রিয়াঁ’র সিমুলেশন অ্যান্ড সিমুলাক্রা’র লাইভ শো-ও একটা। ব্যাপার’টা এইরকম না যে, আমরা সুখ বইলা একটাকিছুরে এক্সপেরিয়েন্স করি, বরং আগে ধইরা নেই যে, এইটা এইটা (ইকনোমিক ফ্রিডম, সুন্দর-স্মার্ট পার্টনার, ব্লা ব্লা ব্লা…) হইতেছে সুখ, দ্যান অই সুখের একটা ম্যানিফেস্টশনও তো লাগে! জিনিসটারে ‘ফেইক’ বললে আসলে কমই বলা হবে। একটা ফেইক রিয়ালিটিতে ফেইক না হইতে পারাটা বরং রিয়েল হইতে পারে না এতোটা! এই জাতীয় একটা ঘটনা আছে এইখানে।

এবং আরো অনেককিছুই। বর্ণনা ও ব্যাখ্যাসহ এবং এর বাইরেও। যেমন হ্যারি আর স্যালি’র ফ্রেন্ডশিপের জিনিসটা, তখনকার সময়ে একটা জরুরি সামাজিক প্রশ্ন 🙂 ছিল, নারী ও পুরুষের মধ্যে সেক্সুয়াল রিলেশন ছাড়া কি ফ্রেন্ডশিপ পসিবল? অথচ হ্যারি আর স্যালি সবই করতে পারতেছে, সেক্স ছাড়া। তো, এখন আমরা বুঝতে পারি যে, এইগুলা ওভার-রেটেড জিনিস, পারসোনাল এক্সপেরিয়েন্স ছাড়াই বুঝতে পারি যে, মোটামুটি আজাইরা আলাপই এইগুলা। কিন্তু এইরকম এভারেজ একটা জিনিসরে ডিল করতে গিয়া, স্টানিং একটা জিনিস রিভিল কইরা ফেলছেন স্ক্রিপ্ট রাইটার Nora Ephron. যেইটা সেক্সুয়ালিটি নিয়া একটা সত্যি-বলার জায়গাতে আটকায়া থাকে নাই, রিয়ালিটি ও রিলেশনের জায়গাটারেও রিলিভেন্ট কইরা তুলছে।… বা যেইটারে আমরা বাংলায় বলি ‘যৌন সুড়সুড়ি’ অইটা কিন্তু হলিউডের সিনেমা-ধারণা থিকাই আসছে একভাবে।… এইরকম আরো কিছু আলাপ হইতে পারে।… বা সাউন্ডও যে একটা স্ট্রং সেনসেশন। কয়দিন আগে মনে হইছিল, কোন দুক্খের সিনে মাস্তির একটা মিউজিক ছাইড়া দেন, ব্যাপারটা আরেকটা রকমের কিছু হয়া যাবে তখন।… এইরকম।

Nora Ephron’রে নিয়া একটা ডকুমেন্টারি আছে, Everything is Copy নামে। অইখানে এই সিনটা নিয়া বলতেছিলেন, ডিরেক্টরের লগে বাহাস করতে গিয়া এই জিনিসটা আসছিল উনার মাথায়, তারপরে সিনেমাতে রাখার ব্যাপারেও অনেক বাহাস করতে হইছে তাঁরে। সিনটা নিয়া উনার নিজেরও কিছু কথা আছে।

হাউএভার, এইসব আলাপ ছাড়াও জিনিসটা ইন্টারেস্টিং। (কমেন্টে ইউটিউব লিংকটা দিতেছি।)

[এই নামে (ফেইক অর্গাজম) আমি একটা কবিতাও লেখছিলাম:

ভাইব্রেটর: সারাক্ষণ সুড়সুড়ি দিতে পারার মতোন জীবন, আমি কি চাইছিলাম!
সেক্স-ডল: অলস, নিস্তেজ, নির্বাণের মতোন জীবন – এইটা তো আর না আমি। আই রিকোয়ার ফারদার ডেভেলাপমেন্ট।

/অক্টোবর, ২০১৫]

 

সিনস অফ সিনেমা ৪
লা মিজারেবল (২০১২): আই ড্রিমড অ্যা ড্রিম, আনা হ্যাথওয়ে

এই সিন’টার কথা না বললে তো আসলে পাপ হবে। 🙂 এই ৪/৫ মিনিটের সিনটার জন্য আনা হ্যাথওয়ে মনেহয় অস্কারও পাইছিলেন, বেস্ট সার্পোটিং রোল (ফিমেইল) হিসাবে। (কি রকমের জেন্ডার-বায়াসড দেখছেন প্রাইজগুলা! হইতে পারতো বেস্ট লিড-রোল, বেস্ট সার্পোটিং-রোল; অথচ মেইল/ফিমেইল ভাগ করার ভিতর দিয়া এক ধরণের জেন্ডার পোর্টেট করার দায়িত্বও তো নিয়া নেয় ভিজ্যুয়ালগুলা যে, জেন্ডার ফুটায়া তুলতে হবে!)

পুরা সিনেমাটাতে সিনটা মনেহয় বেশ আলগা জিনিসই। মানে, প্যারিসের অবস্থা কি রকমের খারাপ – সেইটা বুঝানোর লাইগা এইটা রাখা হইছে, ছোটবেলায় নভেল’টা পড়ার সময়ও কারেক্টারটারে খেয়াল করি নাই তত একটা। কিন্তু সিনেমাটা দেখার ৯ বছর পরে এই সিনটার কথা-ই মনে আছে।

পুরা সিনটাতে রিমার্কেবল জিনিস হইতেছে আনা নোংরা, বিশ্রী বা অসুন্দর হইতে ডরান নাই; কান্দা তো কোন সুন্দর জিনিস না, বরং বেশিরভাগ সময়ই টেরিবল একটা ফিলিংস। সুন্দর/অসুন্দরের চিন্তা থাকে না তখন, খালি কান্দাটারে বাইর কইরা দিতে হয়। আর আনা’র মতন সুন্দর একজন পারসন যখন এইটা করতেছেন, এর ক্রুয়েলিটি’টা আরো ভিজিবল হইতে পারতেছে তখন।

আগে একবার বলছিলাম, এইখানে আনা হ্যাথওয়ে’র প্রিন্সেস ডায়েরিজের একটা মেমোরিও ব্যাকগ্রাউন্ডে একটা ফিল দেয়ার কথা, ঘটনা হিসাবে। মানে, কোনকিছু সিনেমাতে ঘটতেছে বইলা জিনিসটা রিয়েল না – তা না, বরং সিনেমা-দেখার মেমোরি তো বাস্তবে ঘটা অনেক ঘটনার চাইতে মোর রিয়েল। আনা হ্যাথওয়ে বা অন্য সেলিব্রেটিরা যে পাদ দেন না, তা তো না; কিন্তু উনাদের সার্টেন ইমেজই পাই আমরা সবসময়; যে, মাধুরী দীক্ষিত খালি সারাক্ষণ সুন্দর কইরা হাসতেছেন বা সারা-জীবন ধইরা ‘চোলি কি পিছেই’ যেন নাচতেছেন! মানে, উনার লাইফে হয়তো একটা দিনের শ্যুটিং, কিন্তু এইটা হাজার হাজার মানুশের মনে রয়া গেছে। তাদের কেউ বাস্তবে উনারে দেখলে অইটার কথাই মনে হবে। এইরকম আনা হ্যাথওয়ের যেই সিনেমাটিক ইমেজ, সেইটা হইতেছে – কিউট! সেই ব্যাকগ্রাউন্ডটা থাকার কারণে ব্যাপারটা আরো স্টানিং হইছে এইখানে।

কিন্তু অইটা বাদেও, খুবই ভালো একটা পারফর্মেন্স এইটা। কি টেরিবল একটা গান। সং অফ লাভ অ্যান্ড ডিজএপয়েন্টমেন্টস।

 

সিনস অফ সিনেমা ৫
ফিলাডেলফিয়া (১৯৯৩): অপেরা সিন; টম হ্যাংকস, ডেনজেল ওয়াশিংটন

তখনো LGBT-মুভমেন্ট এতোটা হট, সেক্সি ও ফ্যাশনেবল ইস্যু হয়া উঠতে পারে নাই, বা হয়া-উঠার শুরুর দিকের সিনেমা এইটা। টম হ্যাংকস খুব বড়সড় একটা ল-ফার্মের উকিল, কিন্তু এডইস ধরা পড়ার পরে এবং তার সেক্সুয়াল অরিয়েন্টশন যে গে, সেইটা জানাজানি হওয়ার পরে তারে ল-ফার্ম থিকা বাদ দিয়া দেয়া হয়। তার নামে তলে তলে, মানে পাবলিকলি না, কিন্তু গল্প-গগুজবের মাধ্যমে কমিউনিটিতে এমনভাবে ব্যাড-নেইম ছড়ায়া দেয়া হয় যে, তারে আর কেউ কাজ দেয় না; তার দেনা-পাওনা না বুঝায়া দিয়া তারে টার্মিনেট করা হয়। তখন টম হ্যাংকস যখন মামলা করে, তার পক্ষে কোন উকিলও সে পায় না। ডেনজেল ওয়াশিংটন হইতেছে কালা হওয়ার কারণে উকিল হিসাবে কোন ক্লায়েন্ট পায় না; সে টম হ্যাংকসের পক্ষে আদালতে দাঁড়াইতে রাজি হয়। কিন্তু অদের মধ্যে অইরকম ট্রাস্ট তৈরি হইতে পারে না, কারণ ‘ক্রিশ্চান মোরালিটি’র জায়গা থিকা ডেনজেল টম হ্যাংকসের জায়গাটারে অইভাবে নিতে পারে না। (ক্লাসের ব্যাপারটাও ছিল মনেহয় কিছুটা।) এইরকম একটা সিচুয়েশনে একদিন টম হ্যাংকসের বাসায় যায় ডেনজেল ওয়াশিংটন।

আলাপ-টালাপ শেষ হওয়ার পরে, টম হ্যাংকস জিগায়, অপেরা শোন নাকি তুমি? ডেনজেল কয়, না, না, এইগুলা আমার জিনিস না। টম হ্যাংকস একটা অপেরার মিউজিক ছাইড়া, সেইটার ‘ব্যাখ্যা’ দিতে থাকে (ফিল করতে থাকে)। বলতে থাকে যে এইটা হইতেছে ফ্রেঞ্চ রেভোলেশনের সময়ের একটা কাহিনি। একটা মব একটা বাড়িতে আগুন দিছে, আর একটা মা তাঁর বাচ্চাগুলারে বাঁচানোর ট্রাই করতেছে। অইটা মিউজিকে রিফ্লেক্ট হইতেছে। টম হ্যাংকসও মিউজিকের আপ-ডাউন, টোনের ভিতর দিয়া ‘মানবতার’ কথা বলতে থাকে, যে আমি হইতেছি গড, আমি হইতেছি লাভ!

মানে, ফিলোসফিক্যাল জায়গা থিকা দেখতে গেলে তো ক্রিটিক্যাল হওয়া ছাড়া উপায় নাই, কিন্তু টম হ্যাংকস যেইভাবে তার ইমোশনরে দেখাইতেছে আর ডেনজেল ওয়াশিংটন (অডিয়েন্সের রোলটাতে) যেইভাবে এনগেইজ হইতেছে, সেইটা ট্রুলি একটা সিনেমাটিক মোমেন্ট। সিনেমা জিনিসটারেই যেন পোর্টেট করতেছে! লাভলি একটা জিনিস হইছে।

এই সিনেমার মনেহয় হিন্দি একটা রিমেইক হইছে। মানে, ইস্যুটা ও কাহিনিটা নিয়া। কিন্তু এইরকম কোন সিনেমাটিক মোমেন্ট ক্রিয়েট করার কথা মনেহয় ভাবতে পারার কথা না। মানে, আর্টের সাবজেক্টটাই যে আর্ট না, কাহিনিই যে গল্পটা না – এইটা সবাই টের পাইতে পারবে, এই এক্সপেক্টশনটা একটু বাড়াবাড়িই হওয়ার কথা, বেশিরভাগ সময়।

 

 

সিনস অফ সিনেমা ৬:
নবাব সিরাজদৌলা (১৯৬৭): বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা, আনোয়ার হোসেন

পাবলিক মেমোরি’তে বাংলা-সিনেমা’র সবচে রিমার্কেবল সিন মেবি হইতেছে নবাব সিরাজদৌলা সিনেমাতে আনোয়ার হোসেনের শুরুর দিকের ডায়ালগটা: ‘বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা…’ বইলা যেই এক মিনিটের ভাষণ’টা দেন। এইটা (বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা) যে একটা টার্ম হয়া গেছে, সেইটাতে সিনেমার এই সিনটার একটা ক্রেডিট থাকার কথা।

একটা ক্রুশিয়াল টাইমে খান আতাউর রহমান এই সিনেমা বানাইছিলেন। তখন, ১৯৬৭ সালের দিকে ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ’ বাংলাদেশে জাইগা উঠতেছে। হিটও হওয়ার কথা সিনেমাটা। জনরা হিসাবে ‘যাত্রা-সিনেমা’ হিসাবেই ট্রিট করার কথা, বাংলা-সিনেমার হিস্ট্রিতে। কারণ ততদিনে রূপবান সুপার-ডুপার হিট হওয়ার কারণে আরো ২০/৩০টা ‘ফোক-ফ্যান্টাসি’ সিনেমা বানানো হয়া গেছে। কিন্তু ফিল্মের মেমোরি তো অনেক স্ট্রং হয়, আর ‘বাংলা-সিনেমার’ দর্শক তো হইতেছে ‘গ্রামের অশিক্ষিত’ লোকজন 🙂 তো, এই সিনেমার ভিতর দিয়া তাদের কাছে ‘বাঙালি’ যে আলাদা একটা আইডেন্টিটি সেই ধারণাটারে নিয়া যাওয়া গেছিল। যদিও বিহার আর উড়িষ্যা নাই, বাংলা তো ফিরায়া নিয়া আসা যাইতে পারে!

তবে আনফরচুনেট ঘটনা হইলো, যেই খান আতাউর রহমান এই ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ’ ছড়ায়া দেয়ার কাজ করছিলেন, তারেই পরে আলমগীর কবির’রা ‘পাকিস্তানিদের দোসর’ বইলা টিটকারি করছেন, আশির দশকে।

আর সিনেমার দর্শক হিসাবে আমাদের যেইটা মনে রাখা দরকার, সিরাজদৌলা ‘জাতীয়তাবাদী’ হওয়ার কোন কারণই নাই। অই সময়ে এইসব ধারণাগুলা তৈরি-ই হয় নাই। মানে, ভালো-কাজ কইরা, পাবলিকের লগে থাইকা তো নবাবি ধইরা রাখার উপায় নাই কোন। নবাবি দেয়ার অথরিটি তো হইতেছে দিল্লীর সমরাটদের! পিপলস অথরিটি’র কোন নাম-নিশানা ছিল না – তা না, কিন্তু পাওয়ার ব্যাপারটা এই জায়গা থিকা ফাংশন করতো না।…

তো, এই জাতীয়তাবাদী আবেগরে সন্দেহ করার পরেও এর মধ্যে যে ইমোশন আছে ‘নিয়তির কাছে হাইরা যাওয়া’ হিসাবে, সেইটা টাচ করার কথা আমাদেরকে। আমরা জানি নিজেদের লোকদের কাছ থিকা ধোঁকা খাইয়া সিরাজদৌলা হাইরা যাবেন; কিন্তু তার আগে উনি যে হারতে রাজি না – এই স্পিরিট’টাই ঘটনা এইখানে।

আরেকটা জিনিস হইতেছে, বাংলা-সিনেমাতে গানের পরে ডায়ালগ একটা ক্রুশিয়াল জিনিস। বাংলাদেশের আর্ট-ফিল্মগুলা দেখবেন এই জিনিসটারে খুব হেইট করে; কথা-কওয়াটারে ‘যাত্রা’ টাইপের একটা জিনিস মনে করে। বাদ দিতে পারলে যেন বেটার। যত ডায়ালগ তত যেন ‘স্থূল-রুচি’র ঘটনা! এতো দুঃখী চোদনাগুলা যে কেমনে হয়! যা-ই হোক… এইগুলা নিয়া তো বই-ই লেখছি আমি। এইখানে আর কথা না বাড়াই।

[এই লিংকের ৭:৪০ টু ৮:৪১’তে এই সিনটা আছে]


সিনস অফ সিনেমা ৭
ওয়াইল্ড স্ট্রবেরিজ (১৯৫৭): ড্রিম সিন, ইঙ্গমার বার্গম্যান

এইটা হইতেছে আমার দেখা ফার্স্ট আর্ট-ফিল্ম। সিনেমা যে এইরকম হইতে পারে – এই সিন দেখার আগে আমরা (আমি আর শুভ্র) ভাবতেই পারি নাই। পুরা ভেবাচেকা খায়া গেছিলাম। সিনেমা, যেইটা কিনা ড্রিমি ড্রিমি ঘটনা, সেইখানে ড্রিম দেখাইতেছে আরেকটা! আর ড্রিমের ভিতরে লোকটা আবার নিজেরেই দেখতেছে, যে কিনা আসলে সে কিনা শিওর হইতে পারতেছে না! মানে, অই লোকটা যদি সে হয়া থাকে তাইলে সে নিজে কি? মারা গেছে অলরেডি? নাকি নিজের মারা-যাওয়াটার ভিতর সে ট্রান্সফর্মড হইতেছে?…

এইসবকিছু প্যারাডক্স হিসাবে অনেকদিন পর্যন্ত তো নতুন ছিল। এখন হয়তো কিছুটা cringe লাগতে পারে, মানে, যদি কারো লাগে, তারে দোষ দেয়ার মতো কিছু আমি দেখি না। বারবার একই ফুল, পাখি, গান, একই হাসি, একই ভঙ্গিমা দেখাইতে দেখাইতে ‘কর্মাশিয়াল ফিল্মগুলা’ যেমন আমাদেরকে ক্লান্ত কইরা ফেলছে; আর্ট-ফিল্মগুলাও কম-বেশি প্যাটার্ন হিসাবে বার্গম্যানের সিনেমাটিক কোশ্চেনগুলারে এক্সপ্লোর করতে করতে কিছুটা ফেড বানায়া ফেলার কথা। যে, একটা বলতে গিয়া আমরা আরেকটা কিছু বুঝাইতেছি তো! সেক্স করতে গিয়া যেমন আমরা সেক্স করতেছি না খালি, ফ্রি-উইলও চর্চা করতেছি, এইরকম ফানি জায়গাতে চইলা যাইতেছে অনেকসময়।

তো, এই রিপিটেশন বার্গম্যানের দোষ না। বা উনি এইটা ফার্স্ট করছেন বইলাই গ্রেট না এতোটা, সিগনিফিকেন্ট তো অবশ্যই। বরং উনি উনার মতো কইরা সিনেমার জায়গাটারে এক্সপ্লোর করার সাহসটা করছেন – এইটা হইতেছে ঘটনাটা। আর এইটা যে উনি খুব দরদ দিয়া, চিন্তা দিয়া, নিজের একটা টেকনিক দিয়া করতে পারছেন, সেইটার মেবি সবচে বেস্ট ডেমোনেস্ট্রেশন হইতেছে এই ড্রিম সিনটা।

The following two tabs change content below.
Avatar photo
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →