Main menu

কতো দেরি, আর দেরি নাই! – মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র

[১৯৬৫ সালের ২৫শে মার্চ মন্টগোমরি’তে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র এই ভাষণ দিছিলেন। সিভিল রাইটস মুভমেন্টের অংশ হিসাবে নিগ্রোদের ভোটার হিসাবে মানার দাবি’তে (যেইটা পরে ১৯৬৫ সালের জুন মাসে পাস হইছিল) সেলমা থিকা মন্টগোমরি, এই ৫৪ মাইলের একটা লং মার্চ আয়োজন করে সাউদার্ন ক্রিশ্চিয়ান লিডারশিপ কনফারেন্স (এসসিএলসি) এবং স্টুডেন্ট ননভায়োরেন্ট কো-অর্ডিনেটিং কমিটি (এসএনসিসি) এবং আরো কয়েকটা অর্গানাইজেশন। অইদিন ২৫ হাজার লোক আলবামার স্টেট বিল্ডিংয়ের সামনে জমায়েত হয়, কিং অইখানে এই ভাষণটা দেন। ]

মন্টগোমরি, আলা!

আমার জিগরি আর সারাজীবনের বন্ধুরা, রালফ আবারনাথী (Ralph Abernathy), আর অন্য সব বিখ্যাত আম্রিকানরা যারা এই মঞ্চে বইসা আছেন, আলবামা স্টেটের আমার বন্ধুরা আর সহকর্মীরা, আর সব স্বাধীনতাকামী মানুশেরা, যারা সারা দেশ থিকা, সারা দুনিয়া থিকা আজকে বিকালে এইখানে একসাথে হইছেন, আপনারা জানেন: গত রবিবারে, আমরা আট হাজারেরও বেশি মানুশ আলবামা’র সেলমা (Selma) থিকা একটা বিশাল হাঁটা শুরু করছিলাম। আমরা হেঁটে আসছি নির্জন উপত্যকা আর কঠিন পাহাড়গুলার ভিতর দিয়া। আমরা হেঁটে আসছি আঁকাবাঁকা হাইওয়েগুলি দিয়া আর জিরাইছি পথের পাশে পাথুরে জমিতে। আমাদের অনেকের মুখ জ্বলে গেছে গনগনা সূর্যের তাপে। আমাদের মধ্যে অনেকেরই ঘুমাইতে হইছে সত্যিকারভাবেই কাদামাটিতে। আমাদের ভিজতে হইছে বৃষ্টিতে। [অডিয়েন্স:] (বলেন) আমাদের শরীর ক্লান্ত আর আমাদের পায়ে ঘা হয়া গেছে।

কিন্তু আজকে আমি যখন আপনাদের সামনে দাঁড়াইছি আর সেই গ্রেট মার্চের কথা মনে করতেছি, আমি বলতে পারি সিস্টার পোলার্ডের (Sister Pollard) কথা – সত্তর বছর বয়সের একজন নিগ্রো মহিলা যিনি আমাদের কমিউনিটিতে থাকতেন, বাস বয়কটের সময় – আর একদিন, হাঁইটা যাওয়ার সময় তারে জিগানো হইলো, উনি বাসে উঠতে চান কিনা। আর যখন উনি জবাব দিলেন, “না,” লোকটা তারে বললো, “ঠিকাছে, আপনি কি টায়ার্ড হন নাই?” আর উনার ব্যাকরণ-না-মানা তেজ দিয়া, উনি কইলেন, “আমার ঠ্যাং টায়ার্ড হইছে, কিন্তু আমার আত্মার শান্তি আছে।” আর এই বিকালবেলায় একটা সত্যিকারভাবে আমরা বলতে পারি যে আমাদের পা’গুলা টায়ার্ড হইছে কিন্তু আমাদের আত্মায় শান্তি আছে।

অরা আমাদেরকে বলছিল আমরা এইখানে আসতে পারবো না। আর এইখানে এমন লোকও ছিল যারা বলছিল আমাদেরকে এইখানে আসতে হইলে তাদের ডেডবডি’র উপর দিয়া এইখানে আসতে হবে। কিন্তু পুরা দুনিয়া আজকে জানে যে আমরা এইখানে আসছি আর আলবামা স্টেটের পাওয়ারের সামনে আমরা আইসা দাঁড়াইছি যারা বলছিল “আমরা কাউরে আমাদের ধারে-কাছে কাউরে আসতে দিবো না!

এখন এইটা একটা একসিডেন্ট না যে আম্রিকান হিস্ট্রি’র এই গ্রেট মার্চ আলবামা’র মন্টগোমরিতে বাতিল করা হবে। জাস্ট দশ বছর আগে, এই শহরেই, নিগ্রোদের স্ট্রাগলের একটা নতুন ফিলোসফি জন্মাইছিল। এই সাউথে মন্টগোমরি হইতেছে ফার্স্ট শহর যেইখানে পুরা নিগ্রো কমিউনিটি একসাথে হইছিল আর পুরানা-দিনের জালিমদের পুরাদমে মোকাবেলা করছিল। এই স্ট্রাগলরে ভিতর দিয়া, বাসের সিট আলাদা করার নিয়মের বাইরেও কিছু জিনিস জয় করা গেছিল; একটা নতুন আইডিয়া, বন্দুকের চাইতে বা ক্লাবের চাইতে পাওয়ারফুল কিছু। নিগ্রোরা এইটা নিছে আর সারা সাউথ জুইড়া এই মহান লড়াইগুলাতে ছড়ায়া দিছে যা জাতিরে জাগায়া তুলছে , সারা দুনিয়ারে জাগায়া তুলছে।

তারপরও, দুঃখজনকভাবে, আলবামা’র মাটিতে এই ঝড়-ঝাপটার লড়াইগুলা সবসময় আমাদেরকে করতে হইছে আর জিততে হইছে। মন্টগোমরি’র পরে, মিসিসিপি’তে, আরাকানসে, জর্জিয়াতে আর অন্য জায়গাগুলাতেও বীরের মতো লড়াইগুলা ছড়ায়া পড়ছিল। কিন্তু ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না বার্মিংহামে বিভাজনের বিশাল মূর্তি আম্রিকার বিবেকরে রক্তাক্ত করতে শুরু করছিল।

শাদা আম্রিকা বার্মিংহ্যামের ঘটনা দিয়া গভীরভাবে জাইগা উঠছিল কারণ সে দেখছিল নিগ্রোদের পুরা কমিউনিটি কিভাবে সন্ত্রাস ও বর্বরতার বিরুদ্ধে তাদের রাজকীয় অবজ্ঞা আর বীরত্বপূর্ণ সাহস দিয়া রুখে দাঁড়াইছিলো। আর ডেমোক্রেসির স্পিরিটের এই কুয়া থিকা, এই জাতি কংগ্রেসরে বাধ্য করছে আইন বানাইতে এই আশাতে যে এইটা বার্মিংহ্যামের দাগ মুইছা দিবে। ১৯৬৪ সালের সিভিল রাইটস অ্যাক্টস নিগ্রোদেরকে তাদের প্রাপ্য মর্যাদার কিছু অংশ দিছে কিন্তু কোন ভোট ছাড়া এইটা হইতেছে শক্তি ছাড়া মর্যাদা।

আরো একবারের মতন নন-ভায়োলেন্ট আন্দোলনরে তলোয়ার খাপ থিকা বাইর করছি আমরা, আর আরো একবারের মতন বিপদের মোকাবেলায় একটা পুরা কমিউনিটি একসাথে ঘুরে দাঁড়ািইছিল। আরো একবার মরতে-থাকা শাসনের বর্বরতা চিল্লায়া উঠছিল সারা দেশে। যদিও সেলমা, আলবামা মানুশের কনশাসনেসের একটা শাইনিং মোমেন্ট হয়া ছিল। যদি আম্রিকার বাজে দিকটা অন্ধকার রাস্তায় ওত পাইতা থাকে, আম্রিকার ভালো দিকটা সারা জাতির মধ্যে জাইগা উঠছিলো তারে পার হওয়ার লাইগা। আম্রিকান হিস্ট্রিতে এর চাইতে সম্মানের আর অনুপ্রেরণার এইরকম কোন একটা মোমেন্ট ছিল না যেইখানে সেলমা’তে একতাবদ্ধ নিগ্রোদের সাথে পাদ্রীদের মিছিল আর প্রতিটা রেইসের সাধারণ যেইভাবে বিশ্বাসের সাথে বিপদের মোকাবেলা করছে।

খারাপ আর ভালোর লড়াইটা সংকুচিত হয়া আসছিল সেলমা’র এই ছোট কমিউনিটিতে ম্যাসিভ পাওয়ার তৈরি করছিল পুরা জাতি’রে ঘুরায়া দিছিলো নতুন একটা পথে। একজন প্রেসিডেন্ট যিনি দক্ষিণে জন্মাইছেন তার সেই সেন্সিটিবিটি আছে এই দেশের ইচ্ছারে ফিল করতে পারার আর একটা ভাষণে যেইটা হিস্ট্রিতে থাইকা যাবে হিউম্যান রাইটসের জন্য সবচে প্যাশোনেট আবেদন হিসাবে যা কোন প্রেসিডেন্টই করেন নাই আমাদের জাতির কাছে, উনি আবেদন জানাইছেন ফেডারেল গর্ভমেন্টের কাছে শত-বছরের পুরানা এই ক্ষয়টারে বন্ধ করার জন্য। প্রেসিডেন্ট জনসন খুব ঠিকভাবে নিগ্রোদের সাহসের প্রশংসা করছেন জাতির কনশাসনেসরে জাগায়া তোলার জন্য।

আমাদের দিক থিকা সেইসব শাদা আম্রিকানদেরকে আমাদের মন থিকা রেসপেক্ট জানাইতে হবে যারা কুৎসিত রীনি-নীতি আর সুবিধার বিপরীতে তাদের গণতান্ত্রিক ট্রাডিশনরে জিয়াইয়া রাখছেন আর আগায়া আইসা আমাদের হাতগুলা ধরছেন। মন্টিগোমরি থিকা বার্মিংহ্যাম, বার্মিংহ্যাম থিকা সেলমা, সেলমা থিকা মন্টগোমরি, ক্ষতগুলার একটা ট্রেইল আর যা বেশিরভাগ সময়ই ছিল রক্তাক্ত, এখন এইটা অন্ধকার থিকা বাইর হয়া আসা একটা মহাসড়ক হয়া উঠছে। আলবামা চেষ্টা করছে শয়তানরে পোষ মানাইতে আর রুখে দিতে, কিন্তু শয়তান দমবন্ধ মৃত্যুর মতো ঘুইরা বেড়াইতেছে এই স্টেইটের ধুলা-ভরা পথে আর রাস্তায়। এই কারণে আমি আজকে বিকালে আপনাদের সামনে দাঁড়াইছি এই দৃঢ় বিশ্বাস নিয়া যে, জাতি-ভেদ মরার অবস্থায় আছে আলবামা’তে, আর একমাত্র অনিশ্চিত ব্যাপার হইতেছে জাতি-ভেদকারী’রা আর ওয়ালেস জানাজাটারে কতোটা কস্টলি কইরা তুলতে পারে।

আলবামা’তে আমাদের পুরা ক্যাম্পেইনটা করা হইছে ভোটের অধিকার’টারে কেন্দ্র কইরা। আজকে সারা দেশের এবং দুনিয়ার চোখ ফিরানোর লাইগা আমরা ফোকাস করছি ‘ভোটের অধিকার’ দেয়ার চূড়ান্ত ডিনায়ালটারে, আমরা সবচে গোড়ার জিনিসটারে খোলাসা করছি, যেইটা এই সাউথল্যান্ডে রেসিয়াল ভেদাভেদের আসল কারণ। সিভিল ওয়ারে ঠিক পরেই রেসিয়াল ভেদাভেদ’টা একটা ‘ওয়ে অফ লাইফ’ হিসাবে রেসগুলার ভিতরে ঘৃণার একটা ন্যাচারাল রেজাল্ট হিসাবে আসে নাই। জাতিভেদের কোন রেসগুলার ভিতরে তখন ছিল না। আর প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ সি. ভ্যান উডওয়ার্ড (C. Vann Woodward) উনার বইয়ে, দ্য স্ট্রেইঞ্জ ক্যারিয়ার অফ জিম ক্রু (The Strange Career of Jim Crow)’তে স্পষ্টভাবে দেখাইছেন, রেসগুলার ভিতরে জাতিভেদ ছিল সত্যিকারভাবে একটা পলিটিক্যাল কৌশল উঠতি বড়লোকদের কারণে সাউথে এইটা করা হইছিল সাউদিয়ার্ন মানুশজনের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার লাইগা আর পুরা দেশের মধ্যে সাউথের লোকের শ্রমই হইতেছে সবচে শস্তা। আপনি দেখেন, এই খুব সহজ একটা ব্যাপার, সিভিল ওয়ারের পরের বছরগুলাতে গরিব শাদা লোকদেরকে উপাস-রাখার মতন বেতন দিয়া বাধ্য করা হইতো। কেন, যদি খামারে গরিব শাদা লোকেরা বা কারখানাতে মিল-ওয়ার্কাররা কম বেতন নিয়া কথা তুলতো, তাইলে খামারি’রা বা মিল মালিকরা তাদেরকে থ্রেট দিতো যে তাদেরকে বরখাস্ত কইরা নিগ্রো দাসদেরকে নিয়া নিবে আর তাদের চে-ও কম বেতন দিবে। এইভাবে, সাউথে বেতন অস্বাভাবিক রকমে কম রাখা হইছে।

রি-কনস্ট্রাকশন বছরগুলারে শেষ দিকে, খুবই সিগনিফিকেন্ট একটা জিনিস ঘটলো। (উনার কথা শুনেন) অইটারে বলা হয়, পপুলিস্ট মুভমেন্ট। এই মুভমেন্টের লিডার’রা গরিব শাদা লোকজনদেরকে জাগায়া তুললেন আর আগেরদিনের নিগ্রো স্লেভদেরকে, এই কথা জানাইলেন যে, উঠতি বড়লোক’রা নিজেদের ইন্টারেস্টের কারণে তাদেরকে ঠকাইতেছে। খালি এইটাই না, উনারা নিগ্রোদেরকে আর শাদা লোকদেরকে একসাথে করলেন একটা ভোটিং ব্লক হিসাবে যা সাউথে পলিটিক্যাল পাওয়ারের জায়গাতে, কমান্ড করার জায়গাতে বড়লোকদের ইন্টারেস্টের জন্য থ্রেট হয়া উঠছিল।

এই থ্রেট মোকাবেলা করার জন্য, সাউথের এলিট’রা সাথে সাথে এই জাতিভেদের সমাজ তৈরি করার কৌশল দেয়। (ঠিকাছে) আমি চাই আপনারা এইখানে এই জিনিসটা ঠিকমতো ফলো করেন কারণ রেসিজমের আর ভোটের অধিকারের গোড়াগুলা দেখার জন্য এইটা জরুরি। মাস-মিডিয়া কন্ট্রোল করার ভিতর দিয়া, তারা হোয়াইট সুপ্রিমেসি’র ধারণাটারে সংশোধন করে। এর ভিতর দিয়া অরা গরিব শাদা লোকদের চিন্তারে আটকায়া দেয়, তাদের মনে মেঘ তৈরি করে যাতে কইরা পপুলিস্ট মুভমেন্টের আসল ইস্যু অরা দেখতে না পায়। আর এইভাবে তারা সাউথের আইনের বইয়ে ঢুকায়া দেয় যে নিগ্রোদের আর শাদাদের এক সমান হওয়া, এক লগে থাকাটা একটা ক্রাইম। আর অরা এইটা করছিল। এইভাবে পঙ্গু করে দিছিল আর ধীরে ধীরে ধ্বংস করে দিছিল উনিশ শতকের পপুলিস্ট মুভমেন্ট’টারে।

যদি স্লেভারির যুগটারে বলা যায় যে, শাদা মানুশের দুনিয়া নিয়া নিছিল আর নিগ্রোদেরকে জিসাস দিছিল’ তাইলে এইটাও বলা যাইতে পারে যে, রি-কন্সট্রাকশনের যুগে সাউদার্ন এরোস্ট্রোক্যাসি দুনিয়াটা নিয়া নিছিল আর গরিব শাদা মানুশদেরকে দিছিল জিম ক্রো (Jim Crow)। সে তারে দিছিল জিম ক্রো। (হা হাহ্) আর যখন তার কুঁচকায়া যাওয়া পেট খাবারের জন্য কাইন্দা উঠতো, যা তার খালি পকেট দিতে পারতো না, সে জিম ক্রো খাইতো, একটা সাইকোলজিক্যাল পাখি যে তারে বলতো সে যতো খারাপ-ই থাকুক, সে তো একটা শাদা মানুশ, কালা মানুশের চাইতে বেটার। (ঠিকাছে স্যার) আর সে জিম ক্রো খাইতো। (হা হাহ্) আর যখন তার না-খাওয়া বাচ্চারা খাওয়ার লাইগা কানতো যা তার কম বেতন দিয়া সে কিনতে পারতো না, সে বাসগুলাতে, দোকানগুলাতে, রাস্তায় আর পাবলিক বিল্ডিংগুলাতে জিম ক্রো’র সাইনগুলা দেখাইতো। আর তার বাচ্চারাও, জিম ক্রো’রে খাওয়া শিখছিল, (বলেন) সাইকোলজিক্যাল বিস্মরণের লাস্ট থানা ছিল সেইটা।

https://www.youtube.com/watch?v=NUlG13r1y1I

এইভাবে, নিগ্রোদের আর শাদা জনগণ একইভাবে (হাহ হা) ব্যালটের ফ্রি এক্সাসাইজের হুমকিটা একটা বিভেদের সমাজের এস্টাবলিশমেন্টে পরিণত হইলো। অরা গরিব শাদাদের থিকা টাকা-পয়সা আলাদা কইরা দিলো; অরা সাউদার্নের লোকজনরে ধনী শাদাদের থিকা আলাদা কইরা দিল; অরা সাউদার্ন চার্চগুলারে ক্রিশ্চিয়ানিটি থিকা আলাদা কইরা দিল; অরা সাউর্দানের মনগুলারে সৎ চিন্তা করা থিকা আলাদা কইরা দিল; আর অরা নিগ্রোদেরকে সবকিছু থিকা আলাদা কইরা দিল। এইটাই হইলো যখন সাউথের নিগ্রো আর শাদা জনগণ একসাথে হওয়ার আর একটা গ্রেট সোসাইটি তৈরি করার থ্রেট দিছিল: একটা ন্যায়বিচারের সমাজ যেইখানে একজন আরেকজনের দুর্বলতা নিয়া খেলবে না; একটা সমাজ যেইখানে লোভ আর গরিবি’রে তাড়ায়া দেয়া হবে; একটা ভাই-ভাইয়ের সমাজ যেইখানে প্রতিটা মানুশ রেসপেক্ট আর সম্মান আর মানুশের ব্যক্তিত্ব নিয়া থাকতে পারবে।

ন্যায়বিচারের অনুকরণ যখন আম্রিকান মনের উপরে অপরাধী হয়া বইসা ছিল সেইখান থিকা অনেক লম্বা পথ আমরা পার হয়া আসছি । জেমস ওলডন জনসন (James Weldon Johnson) খুব সুন্দরভাবে এইটা বলছেন। উনি বলছিলেন:

এমন একটা পথ পার হয়া আসছি আমরা
যেইখানে পানির সাথে কান্না রাখা আছে।
আমরা মাড়ায়া আসছি আমাদের পথগুলা
কতলের খুনের ভিতর দিয়া ভাসতে ভাসতে।
মন-খারাপের অতীতের ভিতর দিয়া,
এখনো দাঁড়ায়া আছি আমরা শেষে
যেইখানে শাদা চকচকা
আমাদের উজালা তারা দেখা যাইতেছে।

আজকে আমি সেলমা শহররে বলতে চাই, আজকে আমি আলবামা স্টেইটরে বলতে চাই আজকে আম্রিকার জনগণরে বলতে চাই আর সারা দুনিয়ার জাতিদেরকে বলতে চাই, যে আমরা আর ফিরা যাবো না। আমরা এখন চলতেছি।

জ্বী, আমরা এখন চলতেছি আর রেসিজমের কোন ঢেউ আমাদেরকে থামাইতে পারবে না। আমরা আসতেছি এখন। আমাদের চার্চগুলা পুড়ায়া ফেইলা আমাদেরকে থামানো যাবে না। আমাদের ঘরে বোমা মাইরা আমাদেরকে ফিরায়া রাখা যাবে না। আমরা আসতেছি এখন। আমাদের পাদরিদের আর ইয়াং লোকজনরে মাইরা, পিটাইয়া আমাদেরকে সরানো যাবে না। আমরা আসতেছি এখন। যারা খুন করার জন্য পরিচিত তাদেরকে জেলখানা থিকা ছাইড়া দিয়া আমাদেরকে দমানো যাবে না। আমরা আসতেছি এখন। একটা আইডিয়ার মতন, যার সময় আসছে এখন, এমনকি কোন বিশাল আর্মির দল আইসাও আমাদেরকে থামাইতে পারবে না। আমরা আসতেছি আজাদির জমিনের দিকে।

আসেন আমরা আমাদের বিজয়ের মার্চ কন্টিনিউ করি, আমাদের আম্রিকান ড্রিমরে বাস্তব কইরা তুলি। আসেন আমরা বিভেদের বাড়িগুলার ভিতর দিয়া মার্চ করি যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রতিটা বস্তি বা সোশ্যাল আর ইকনোমিক ভেদাভেদ দূর হয়, আর নিগ্রোরা আর শাদারা পাশাপাশি ঠিকঠাক, নিরাপদ আর জঞ্জালমুক্ত বাসাবাড়িতে না থাকতে পারে। আসেন আমরা মার্চ করি বিভেদের স্কুলগুলাতে (আসেন আমরা মার্চ করি, বলেন এইটা) যতক্ষণ না পর্যন্ত আলাদ-আলাদা আর নিম্নমানের শিক্ষার প্রতিটা কণা অতীতের একটা জিনিস হয়া উঠে, আর নিগ্রোরা আর শাদারা একজন আরেকজনের পাশে সামাজিক-দরদের ভিতর ক্লাসরুমে বসতে না পারে।

আসেন আমরা মার্চ করি গরিবির হটানোর জন্য (আসেন আমরা মার্চ করি) যতক্ষণ না পর্যন্ত আম্রিকান বাপ-মা’রে একবেলা না খায়া থাকতে হয় যাতে তাদের বাচ্চারা খাইতে পারে। আসেন মার্চ করি গরিবি হটানোর জন্য যতক্ষণ পর্যন্ত না কোন মানুশ খিদা নিয়া হাঁইটা যায় আমাদের শহর আর মফস্বলগুলাতে চাকরির খোঁজে, যেই চাকরি আসলে নাই কোথাও। আসেন আমরা গরিবি হটানোর জন্য মার্চ করি (আসেন আমরা মার্চ করি) যতক্ষণ না পর্যন্ত মিসিসিপি’র কোঁচকানো পাকস্থলিগুলা খাবার পাইতেছে, (ঠিকাছে এইটাই) আর আপ্পালাচিয়া’র অলস ইন্ড্রাষ্ট্রিগুলা দখল করা হইতেছে আর নতুন কইরা চালু করা হইতেছে আর ঘামতে থাকা বস্তিগুলাতে বিধ্বস্ত জীবনগুলা একসাথে হইতেছে আর নতুন কইরা বানানো হইতেছে।

আসেন আমরা ব্যালট বাক্সগুলাতে মার্চ করি (আসেন, মার্চ করেন) ব্যালট বাক্সগুলাতে মার্চ করি যতক্ষণ না পর্যন্ত পলিটিক্যাল এরিনা থিকা রেইস-বাটপার’রা বাতিল না হয়া যায়। আসেন আমরা মার্চ করি ব্যালট বাক্সগুলাতে যতক্ষণ না পর্যন্ত রক্তপিপাসু দাঙ্গাবাজদের লাফাইতে থাকা বাজে কাজগুলা ভালো সিটিজেনদের দেইখা-শুইনা করা ভালো কাজগুলাতে বদলায়া না যায়। আসেন আমরা ব্যালট বাক্সগুলাতে মার্চ করি (আসেন আমরা মার্চ করি) যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের জাতির ওয়ালেসেগুলা নিরবতার ভিতর হারায়া না যায়।

আসেন আমরা ব্যালট বাক্সগুলাতে মার্চ করি (আসেন আমরা মার্চ করি) যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের সিটি কাউন্সিলররা, স্টেইটের আইনসভার সদস্যরা, আর ইউনাইটেড স্টেটসের কংগ্রেস মানুশেরা যারা ন্যায়বিচারের সাথে কাজ করতে, দয়ার সাথে ভালোবাসতে, আর মহান খোদার লগে বিনয়ের সাথে হাঁটতে ডরাবে না।

আসেন আমরা ব্যালট বাক্সগুলাতে মার্চ করি (আসেন মার্চ করি আমরা। মার্চ) যতক্ষণ পর্যন্ত না ব্রাদারহুড একটা ওপেনিং প্রেয়ারের একটা মিনিংলেস শব্দের বাইরে কিছু না হয়া উঠতেছে, বরং যেইদিন থিকা প্রতিটা আইনি এজেন্ডার নিয়ম হয়া উঠতেছে। আসেন আমরা ব্যালট বাক্সগুলাতে মার্চ করি যতক্ষণ না পর্যন্ত আলবামার সব জায়গাতে খোদার সন্তানেরা দুনিয়ায় ভদ্রতার সাথে আর সম্মানের সাথে হাঁটতে না পারে।

এই জায়গা থিকা এই মার্চ করা’তে ভুল কিছু নাই। বাইবেল আমাদেরকে বলে যে, জশোয়ার বিশাল মানুশেরা খালি হাঁইটা গেছিল জেরিকো শহরের ওয়ালগুলা ধইরা আর ফ্রিডমের বাঁধাগুলা ঝরঝরাইয়া পড়ছিল। আমি এই পুরান নিগ্রো স্পিরিচুয়াল পছন্দ করি, “জশোয়া জেরিকোর ময়দানে যোগ দিছিল।” এইটা সহজ, তারপরও কালারফুল, বাইবেলের হিস্ট্রির গ্রেট মোমেন্টের নজির, এইটা আমাদেরকে বলে যে:

জশোয়া জেরিকোর যুদ্ধের ময়দানে যোগ দিছিল,
জশোয়া জেরিকোর যুদ্ধের ময়দানে যোগ দিছিল,
আর দেয়ালগুলা ঝরঝর কইরা পড়ছিল।
জেরিকোর ওয়ালগুলাতে অরা উইঠা আসে, হাত দিয়া ভাঙ্গে।
“যাও অদের মইষের শিং ভাইঙ্গা ফেলো,” জশোয়া চিল্লায়া কয়,
“কারণ এই লড়াই চলতেছে আমার হাতের মুঠাতে।”

এই কথাগুলা আমি আপনাদেরকে দিতেছি যেইরকম এইগুলা আমাদেরকে দিছিল অ-চেনা, অনেক-আগে মারা-যাওয়া কালা-চামড়ার কেউ একজন। কোন না কোন ভাবে অনেক আগে দন্ডপ্রাপ্ত কোন চারণ কবি এই লাইনগুলা লিখছিলো তার পরের লোকজনের জন্য গ্রামারের ধার না ধাইরা আর আজকে এখনো আমরা সবাই মন থিকা এইটা গাইতে পারি। (হাহ হা)

এই লড়াই আমাদের হাতে। আর আমরা এর উত্তর দিতে পারি ক্রিয়েটিভ নন-ভায়োলেন্সের ভিতর দিয়া যার ডাক আসতেছে উপর থিকা, যেইখানে আমাদের লড়াই আমাদেরকে ডাক পাঠাইতেছে নতুন দিকে যাওয়ার। সামনের এই রাস্তা সবসময় সহজ না। (না) এইখানে কোন চওড়া হাইওয়ে নাই যা আমাদেরকে নিয়া যাবে সহজে আর নিশ্চিন্তে কুইক সলিউশনগুলার দিকে। কিন্তু আমাদেরকে চলতে পারতে হবে।

কয়েক রাত আগে, আমার ডেস্কে ল্যাম্পলাইটের হালকা আলো’তে, আমি আবার আমাদের সময়ের সুন্দর সাইনগুলা দেখতেছিলাম, ভবিষ্যতের আশা আর প্রমিজে ভরপুর। (হা হাহ) আর আমি নিউজপেপারে এক যুগ আগের একটা ছবি দেইখা হাসতেছিলাম, চেহারাগুলা এতো উজ্জ্বল, এতো বিষন্ন, আমাদের সাহসী বীরদের, মন্টিগমির মানুশদের। এই লিস্টে সবার নাম যোগ হইতে পারে যারা লড়াই করছে, আর, হ্যাঁ, মারা গেছে আমাদের সময়ের নন-ভায়োলেন্ট আর্মি: মেডগার এভার্স, (বলেন) লাস্ট সামারে মিসিসিপি’র তিনজন সিভিল রাইটস ওয়ার্কার, (হা হাহ) উইলিয়াম মোর, যার কথা অলরেডি বলা হইছে, রেভারেন্ড জেমস রিভ জেমস লী জ্যাকসন আর বার্মিংহ্যামে রবিবার সকালে চার্চ অফ গডে যেই চারজন বাচ্চা মেয়ে মারা গেছে। কিন্তু এ্ইসবের পরেও আমাদেরকে পথ চলতে হবে আর নিশ্চিত করতে হবে যে উনারা অকারণে মারা যান নাই। তারা যখন জিম ক্রো’র বাঁধাগুলা পার হয়া দৃঢ় পায়ে হাঁটতেছিল ফ্রিডমের দিকে তাদের পায়ের প্যাটার্ন ছিল জশোয়া’র মার্চ করতে থাকা লোকদের মতো আর দুনিয়া কাঁপতেছিল তাদের পদধ্বনির নিচে।

আমার লোকেরা, আমার লোকেরা, শোনেন। এই লড়াই আমাদের হাতে। এই লড়াই আমাদের হাতে মিসিসিপি’তে, আলবামা’তে আর পুরা ইউনাইটেড স্টেটসে। আমি জানি এইখানে একটা কান্না আছে আজকে আলবামা’তে (হা হাহ) আমরা অনেকগুলা এডিটোরিয়ালে এইটা দেখছি: “কখোন মার্টিন লুথার কিং, এসসিএলসি, এসএনসিসি, আর অইসব সিভিল রাইটস আন্দোলনকারীরা আর সব শাদা পাদরি’রা আর লেবার লিডার’রা আর স্টুডেন্টরা আর অন্যরা আমাদের কমিউনিটি থিকা বাইর হবে আর আলবামারে নরমালি চলতে-ফিরতে ফিরা যাইতে দিবে?”

কিন্তু আমি একটা মেসেজ দিতে চাই যে আমি আজকে সন্ধ্যায় আলবামা ছাইড়া যাইতে চাই। (বলেন এইটা) আর ঠিক কইরা বললে এইটাই আমরা চাই না, আর আমরা এইটা হইতে দিবো না, কারণ আমরা জানি, এইটা হইতেছে এই নরমাল চলা-ফেরা যা ম্যারিয়নে জিমি লী জ্যাকসনরে মর্মান্তিকভাবে খুন করছিল। (বলেন) এইটা হইতেছে নরমাল চলা-ফেরা যা বার্মিংহ্যামে রবিবার সকালবেলায় চারজন সুন্দর, নিরীহ, ইনোসেন্ট বাচ্চামেয়েরে মাইরা ফেলছিল। এইটা হইতেছে নরমালি চলা-ফেরা যা হাইওয়ে ৮০’তে স্টেইটের সৈন্যরা টিয়ার গ্যাস আর ঘোড়া ইউজ করছিল আর ডান্ডা দিয়া আন-আমর্ড লোকজনরে পিটাইছিল যারা স্রেফ ন্যায়বিচারের জন্য মার্চ করতেছিল। (বলেন, স্যার) এইটা হইতেছে নরমাল চলা-ফেরা যা আলবামার সেলমা’তে একটা ক্যাফেতে রেভারেন্ড জেমস রিভ’রে জঘন্যভাবে পিটাইছিল।

এইটা নরমাল চলা-ফেরা যা আমাদের সারা দেশে যা বস্তুগত সমৃদ্ধির বিশাল সাগরের মাঝখানে নিগ্রোদেরকে ফেলে রাখছে গরিবির একটা আইসল্যান্ডে। এইটা নরমাল চলা-ফেরা যা আলবামা’তে একজন রেজিস্টারর্ড ভোটার হইতে বাঁধা দেয়। না, আমরা আলবামারে (সামনে আগান) নরমাল চলা-ফেরায় ফিরা যাইতে দিবো না। [হাততালি]

একমাত্র যেই নরমাল চলা-ফেরায় আমরা রাজি আছি সেইটা হইতেছে যা খোদার সব সন্তানদের সম্মান আর সামর্থ্যরে স্বীকার করে। একমাত্র যেই নরমাল চলা-ফেরায় আমরা রাজি আছি তা হইতেছে যেই নরমাল চলা-ফেরা মাইনা নেয় যে ন্যায়বিচার পানির মতো নাইমা আসবে, আর সত্যের অধিকার’রে একটা বিশাল স্রোতের মতো মাইনা নিবে। একমাত্র সেই নরমাল চলা-ফেরা আমরা মাইনা নিবো যা হইতেছে ব্রাদারহুডের নরমাল চলা-ফেরা, সত্যিকারের শান্তির নরমাল চলা-ফেরা, ন্যায়-বিচারের নরমাল চলা-ফেরা।

আর আমরা আজকে বিকালে যখন আমরা চলে যাবো, আসেন আমরা আগের চাইতে আরো বেশি এই লড়াইয়ের আর নন-ভায়োলেন্সের প্রতি কমিটমেন্ট নিয়া ফিরা যাই। আমি আপনাদেরকে জানাইতে চাই যে, সামনে আরো কঠিন দিন আছে। আমাদেরকে আরো একটা ঋতু সাফার করতে হবে আলবামা’র অনেক ব্ল্যাক বেল্টের দেশগুলাতে, মিসিসিপির আরো অনেকগুলা এলাকাতে, লুসিয়ানার অনেকগুলা এরিয়াতে। আমি আপনাদেরকে জানাইতে চাই যে, আরো অনেক জেলের সেল আমাদের জন্য অপেক্ষা করতেছে, আর অন্ধকার আর কঠিন সময়। কিন্তু যদি আমরা এই বিশ্বাস নিয়া আগাইতে থাকি যে নন-ভায়োরেন্স আর তার পাওয়ার অন্ধকার গতকালগুলারে উজ্জ্বল আগামীকালে ট্রান্সফর্ম করতে পারবে, তাইলে এই অবস্থাগুলারে আমরা চেইঞ্জ করতে পারবো।

আর এই কারণে আজকের এই বিকালে আপনাদের কাছে আমি হাতজোর কইরা বলতেছি যখন আমরা আগায়া যাবো: নন-ভায়োলেন্সের প্রতি কমিটেড থাকেন। আমাদের উদ্দেশ্য কখনোই শাদা মানুশদেরকে পরাজিত করা বা অপমান করা না, বরং তাদের ফ্রেন্ডশিপ আর আন্ডারস্ট্যান্ডিং জিতা। আমাদেরকে এর শেষটা দেখতে হবে যেইখানে আমরা চাইতেছি একটা সমাজ যা ভিতর থিকা শান্তিতে থাকবে, একটা সমাচ যা তার কনশাসনেসের উপরে চলবে। আর সেইটা শাদা মানুশের একটা দিন হবে না, কালা মানুশের দিন হবে না। সেইটা হবে মানুশের জন্য মানুশের একটা দিন।

আমি জানি আজকে আপনারা জিগাইতেছেন, “আর কতোদিন লাগবে এইটা হইতে?” (বলেন, স্যার) কেউ জিগাইতেছেন, “আর কতোদিন প্রেজুডিস মানুশের ভিশনরে অন্ধ কইরা রাখবে, তাদের জানা-বোঝারে অন্ধকার কইরা রাখবে, উজ্জ্বল-চোখের উইজডমরে তার পবিত্র সিংহাসন থিকা সরায়া রাখবে?” কেউ জিগাইতেছেন, “জখম-হওয়া ন্যায়বিচার কখন সেলমা আর বার্মিংহ্যামের রাস্তায় আর সাউথের সব কমিউনিটির উপর উপুর হয়া পইড়া থাকা থিকা উইঠা দাঁড়াবে তার লজ্জার ধুলা থিকা মানুশের সন্তানদের মধ্যে কখন তার সুপ্রিম রাজত্ব শুরু করবে?” কেউ জিগাইতেছেন, “কখন এই একলা রাতের নিশাচর বুকের মাঝখানে আশা’র ঝলমলা তারা জাইগা উঠবে, (বলেন, বলেন, বলেন) ক্লান্ত, ভয়ের শিকলে বান্ধা আত্মাগুলার ভিতর থিকা আর মরণের হাতকড়া থিকা খোলা হবে? আর কতোদিন ন্যায়বিচার ঝুলে থাকবে ক্রুশে, (বলেন) আর সত্য এই ভার বইবে?”

আমি আজকে বিকালে আপনাদেরকে বলতে আসছি, এই মোমেন্টটা যতোই কঠিন হোক, এই ঘন্টাটা যতোই হতাশার হোক, এইটা বেশিক্ষণ থাকবে না, (না স্যার) কারণ “যেই সত্য দুনিয়াতে মিশায়া দেয়া হইছে আবার জাইগা উঠবে”

কতো দেরি? আর বেশি দেরি নাই, কারণ “কোন মিছা কথা সারাজীবন বাঁইচা থাকতে পারে না।”

কতো দেরি? আর বেশি দেরি নাই (ঠিকাছে। কত দেরি) কারণ “যেই বীজ আমরা বুনছিলাম সেই ফসল আমরা তুলবো।”

কতো দেরি? (কতো দেরি?) আর দেরি নাই: (আর দেরি নাই)
সত্য সবসময় থাকে ফাঁসির কাঠে, (বলেন)
মিথ্যা সবসময় থাকে সিংহাসনে,
তারপরও অই ফাঁসির কাঠে দুলতে থাকবে ফিউচার,

আর, না-জানার অস্পষ্টতার পিছনে,
খোদাতালা দাঁড়ায়া আছেন ছায়াতে,
তার উপর থিকা উনি দেখতেছেন।

কতো দেরি? বেশি দেরি নাই, কারণ নীতির দুনিয়ার ভাঁজ অনেক লম্বা, কিন্তু এইটা ঝুঁইকা থাকে ন্যায়বিচারের দিকে।

কতো দেরি? বেশি দেরি নাই, (বেশি দেরি হবে না) কারণ:

আমার চোখ দেখতেছে খোদার রহমত আমাদের দিকে আসতেছে;
উনি আসতেছেন ক্রোধের আঙুরগুলা যেইখানে রাখা ছিল সেই পুরানারে পদদলিত কইরা;
উনি উনার নিয়তির ব্রজপাতের ভয়ংকর ধারালো তরবারি খুলে আসতেছেন;
উনার সত্য আগায়া আসতেছে।

উনি উনার শিঙ্গা বাজায়া দিছেন আর সেইটা উনি ফিরায়া নিবেন না;
উনার বিচারের সিটে বইসা উনি মানুশের হৃদয়গুলারে টাইলা দিতেছেন
ও, আমার আত্মা, তাড়াতাড়ি আসো, উত্তর দাও তারে! লুটায়া পড়ো আমার পায়ে!
আমাদের খোদা আগায়া আসতেছে।

আমাদেরকে রহমত দেন, খোদা! আমাদেরকে রহমত দেন খোদা! আমাদেরকে রহমত দেন, খোদা! আমাদেরকে রহমত দেন, খোদা!

উনার সত্য আগায়া আসতেছে।

বইটা কিনতে পারেন এই লিংকে:
https://www.rokomari.com/book/215996/i-have-a-dream

The following two tabs change content below.
Avatar photo
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →