Main menu

মানুশ

This entry is part [part not set] of 11 in the series রকম শাহ'র বয়ান

ইছলামি ভাবুক-বয়াতি বা বহু মোছলমান ভাবুক বয়াতির একটা ভাবনা দেখি পেরায়ই জে, ইছলামকে লিবারালাইজ করার কিছু নাই, কেননা, তাতে শুরুতেই মাইনা নেওয়া হয় জে, ইছলাম ইনকমপ্লিট, এবং ইছলাম মোটেই তা না–জিন্দেগির তাবত ফয়ছালা/নিদান/দাওয়া ইছলামে আগেই হাজির আছে।

কেউ একজন মোছলমান না হইলে এনাদের ঐ দাবি না মানারই কথা, কিন্তু একজন মোছলমানের জন্ন ঐ দাবিটা ১০০% হক কথা, আলবত। কিন্তু বাস্তবে ঐ দাবির ফল কি হয়? ইছলামকে লিবারালাইজ করার পেরেশার এবং মোছলমান ভাবুক-বয়াতিদের ঐ দাবির দুশমনির বাস্তব ফল হইলো, লিবারালিজমের শকল ফিচারকে ডিনাই করা, লিবারালিজম আর ইছলাম–দুইটা খুবই উল্টা জিনিশ হইয়া পড়া!

এইখানে কইয়া নিতে হয় জে, লিবারালিজম জতো না দর্শনের টার্ম, তারচে বেশি পলিটিকেল টার্ম, মানে দর্শন আর পলিটিক্সের খুব ঘন রিশতা থাকার পরেও আমরা জেই অর্থে ডিছিপ্লিনগুলা ভাগ করি, করতে রাজি হই, একাডেমিক/দপ্তরি কামের ক্যাটেগরি হিশাবে; এই অর্থে লিবারালিজম আমার হিশাবে দর্শনের আরেকটা টার্মের পলিটিকেল মেনিফেশ্টেশন, শেইটা হইলো, হিউম্যানিজম। আজকে আমরা হিউম্যানিজমকেও অনেক বেশি পলিটিকেল টার্ম হিশাবেই দেখি, কিন্তু থিয়োলজির উল্টাদিকে ছাইন্টিফিক-রেশনাল ডিছকোর্ছের এরিয়ায় দর্শনের টার্ম হিশাবেই হিউম্যানিজমের আশল ছেন্টার। তাই এইখানে লিবারালিজম আর হিউম্যানিজম, দুইটা টার্মই এস্তেমাল করতেছি, আলাপের ফোকাছটা দর্শনে নাকি পলিটিক্সে বেশি করতে চাইতেছি, ছেরেফ শেই হিশাবে পড়তে কইবো টার্ম দুইটারে।

তো, ঐ দল দুইটা আমার হিশাবে ইছলাম আর লিবারালিজম, দুইটারই কতগুলা মর্মে নজর দেন না বা দেখতে পান না বা এড়াইয়া থাকেন!

ইছলাম আর খিরিস্টানিটি, দুইটাই আব্রাহামিক ধর্ম আর লিবারালিজমকে অনেকেই খিরিস্টানিটির ভিতর দিয়া পয়দা হওয়া বয়ান হিশাবে দ্যাখে। ওদিকে, লিবারালিজমের ভিতর থিকা তেমন কোন কনফেশন না থাকলেও ইছলামের ভিতর খিরিস্টানিটির ব্যাপারে একটা কনফেশন আছে। ইছলাম খিরিস্টানিটির পরের ধর্ম এবং দুইটা একই খোদার বন্দেগি করে, ইছলাম তাই, তার বয়ান মোতাবেক, নয়া জামানায় জেছাসের অধরা কাম পুরা করতে আইছে দুনিয়ায়। লিবারালিজম দুনিয়ায় ইছলাম জারি হবার অনেক পরের ঘটনা, এবং দুইটাই জদি খিরিস্টানিটির পরের পোজেক্ট হয়, খিরিস্টানিটির বয়ানের কন্টিনুশন হয়, তাইলে এই দুইয়ের, মানে ইছলাম আর লিবারালিজমের ভিতর কি কোন রিশতাই নাই!?

লিবারালিজম আমার হিশাবে খিরিস্টানিটির কন্টিনুশন না, বরং রিয়েকশন, দর্শনে খিরিস্টান থিয়োলজির জবাবে জেই ছাইন্টিফিক-রেশনাল ইশকুল হিশাবে জেই হিউম্যানিজম পয়দা হইলো, থিয়োলজির লগে গাটছড়া বান্ধা ফিউডালিজমের পোরতি শেই হিউম্যানিজমের পলিটিকেল জবাবের নাম লিবারালিজম এবং এই রিয়েকশনটা পয়দা হইতে ইছলামের জরুরত আছিলো খুবই! হিমালয়ের দখিনের এই ভুবনে জেমন বৈষ্ণব ধর্ম পয়দা হইতে ছুফি বয়ানের জরুরত আছিলো বা পরের রামমোহনের বেরাম্ম ধর্ম পয়দা হইতে খিরিস্টানিটির, লিবারালিজমের বেলায় তেমনি ইছলাম!

খেয়াল করলে দেখবেন, লিবারালিজম খিরিস্টানিটির গোড়ার জেই ভাবনার রিয়েকশন, ইছলামও শেই ভাবনায় নজর দিছে এবং দরকারি জবাবও বানাইছে! এবং খিরিস্টানিটির শেই ভাবনার নাম হইলো, মানুশ! খিরিস্টানিটি, ইছলাম আর হিউম্যানিজম (পলিটিকেল ডিছকোর্ছ হিশাবে লিবারালিজম), এই তিনটা বয়ান মানুশ বলতে খুবই জুদা জিনিশরে বোঝে; খিরিস্টানিটিতে অরিজিনাল ছিনের ভিতর দিয়া মানুশ মানে হইলো একটা পাপের ফল, মানুশ পাপি, এই দুনিয়ায় মানুশের শকল দুর্দশা-খারাপির (পানিশমেন্ট আশলে) গোড়ার কারন ঐ অরিজিনাল ছিন। হিউম্যানিজম মানুশকে ঐ অরিজিনাল ছিন থিকা আজাদ কইরা লিবারালিজম হইয়া উঠলো, ঐ আজাদির নামই লিবার্টি এবং ঐ কারনেই লিবারালিজমরে খিরিস্টানিটির রিয়েকশন কইলাম।

তো, অরিজিনাল ছিন থিকা আজাদ কইরা লিবারালিজম কই লইয়া গেল মানুশকে? লিবারালিজম কইলো, মানুশ পাপি না তো বটেই, মানুশ বাই ডিফল্ট ভালো, ছেরেফ ভালো না, মানুশ এমনকি জাস্ট বা ছহি, বুদ্ধিমান, মানুশের এলেমের বাইরে কিছু নাই এবং মানুশের মানুশ হওয়াটাই কাফি, আর কিছু দরকার নাই, মানুশ পারে, মানুশ তার নিজের ইতিহাশের কারিগর।

এই হিউম্যানিজম/লিবারালিজমের আগে ইছলামও খিরিস্টানিটির ঐ অরিজিনাল ছিনে নজর দিছে এবং মানুশের ব্যাপারে লিবারালিজম থিকা খুবই জুদা ডিছিশন পয়দা করছে ইছলাম। ইছলাম কইতেছে জে, মানুশ আশরাফুল মাকলুকাত– দুনিয়ার শকল এস্পেছিসের ভিতর মানুশ শবচে ভালো; তার মানে এই ভালোতা তুলনামুলক, অতুল ভালো না, একদম ছহি বা এবছলুট ভালো কইতেছে না ইছলাম। কারন কি? কারন মানুশ বুদ্ধিমান হইলেও শেই বুদ্ধি দিনদুনিয়ার শকল পর্দা ভেদ কইরা জাইতে পারে না, তার এলেম আছে, কিন্তু তা লিমিটেড, মানুশ আখেরে আরেকটা এস্পেছিস বা মাকলুকাতই, মস্ত জগতের তুলনায় অতি পুচকে! তাবত দুনিয়ার তুলনায় মানুশ এতোই পুচকে জে, মানুশ পয়দাও করতে পারে না, নিজের মরনও ঠেকাইতে পারে না।

তাইলে খেয়াল করেন, খিরিস্টানিটি আর লিবারালিজম হইলো একটা লাইনের দুইটা এক্সট্রিম এন্ড আর ইছলাম হইলো শেই লাইনের মাঝামাঝি বিন্দুটা; ইছলাম জেই মদ্ধপথের কথা কয়, তার গোড়ার মর্ম এইটা, মানুশের ব্যাপারে ইছলামের বয়ান হইলো খিরিস্টানিটির বয়ানের মেরামত করা ভার্শন, রিয়েকশন হিশাবে লিবারালিজমের মতো একদম উল্টাদিকে চইলা জায় নাই ইছলাম। ইছলামের বয়ানে দুনিয়ায় মানুশ খিরিস্টানিটি মোতাবেক পাপের ফল না, বরং খোদার পেলান, মানুশ বাই ডিফল্ট পাপি না, আবার লিবারালিজমের বয়ান মোতাবেক আজাদও না পুরা। ভালো-খারাপ বিচারের খমতা মানুশের আছে, শেই অর্থে ফিরি উইল আছে মানুশের, কিন্তু লিবারালিজমের ফিরি উইলের মতো তা পুরা শাধিন না; এই কারনে শাধিন না জে, ইছলামে ঐটা মানা করা হইছে, বরং পুরা শাধিন হওয়া অশম্ভব।

এখন বাস্তবে জদি নজর দেন, দেখবেন জে, লিবারাল রাশ্টোগুলা নিজেদের লিবারাল পরিচয় দিলেও তারা হিউম্যানিজমের লিবার্টি চর্চা করে না, বরং মানুশ বলতে এই রাশ্টোগুলা ইছলামের মানুশকেই বুঝায়, খিরিস্টানিটির মানুশও না, লিবারারিজমের মানুশও না! বরং এখনকার ইছলামি রাশ্টোগুলা লিবারালিজমের মানুশের ডেফিনিশন চর্চা করে অনেক বেশি! এই কথায় টাশকি খাইতে পারেন, কিন্তু এইটা হাচা কথা একদম। এখনকার ইছলামি রাশ্টোগুলা দেখেন, এইগুলাতে কতগুলা মানুশ শব বোঝেন, তারা এক্সট্রিম ডিছিশন নেন, তারা অলওয়েজ ছহি, তারা খোদার এখতিয়ার লইয়া শাশন করেন, ইছলামের মদ্ধপথের মানুশ না তারা, বরং হিউম্যানিজমের মানুশ দাবি করতেছেন তারা নিজেদের এবং ঐ ঐ দেশের বেশিরভাগ মানুশকে তারা ইছলামের মানুশের ইজ্জতই দেন না, বরং মর্ডান গোলামির জামানার ছেলেভ বা গোলাম হিশাবে দ্যাখেন বাস্তবে! তারা জে লিবারালিজমের মানুশের আইডিয়া চর্চা করেন, শেইটা আমাদের নজরে পড়ে না ঐ গোলামির হুকুমত কায়েম থাকায়, ছেরেফ শাশক ৫% নিজেদের লিবারালিজমের মানুশ হিশাবে দেখায়!

এখন, এই জামানার লিবারাল রাশ্টোগুলা বাস্তবে মানুশকে ইছলামের মানুশ হিশাবে বিচার করলেও চেতনায় তারা ভাবে জে, এই মানুশের গোড়া হিউম্যানিজম/লিবারালিজম! তাতে কতগুলা ঝামেলা হয় এবং মর্ডান মানুশের বহু মুছিবতের গোড়ায় আছে ঐ মিছিং লিংকের (তাদের ভাবনার গোড়ায় ইছলাম থাকাটারে গায়েব কইরা ফেলা) ব্যাপারটা! নিজেদের ছিটিজেন মানুশকে পুরা আজাদি দিতে পারে না তারা, কিন্তু শেইটা ইছলামের বয়ান মোতাবেক মানুশকে বোঝার কারনে না (তারা তো বোঝাবুঝির ব্যাপারে ইছলামকে দরকারিই ভাবে না), বরং রাশ্টো হিশাবে শাশনের দরকারেই তারা ছিটিজেন মানুশকে কনটোল করে! ওদিকে, তারা আবার মর্মে লিবারাল হইতে চাইবার কারনে ছিটিজেনদের অমনে বন্দি কইরা রাখায় একটা নয়া গিল্ট পয়দা হয়! তাই কতগুলা জিনিশ মানুশ আর মানুশের শমাজের জন্ন খারাপ জাইনাও তারা লিবার্টির নামে ঐগুলায় এজাজত দেয়; ঐগুলাতে এজাজত দেওয়া বেশ শোজাও, ফায়দাও আছে! কারন ঐ লিবার্টিগুলা রাশ্টো এবং শাশনে কোন ঝামেলা করে না, বরং রাশ্টো এবং শাশন লইয়া মাথা ঘামাবার দরকার এবং টাইম কমাইয়া দেয়! জেমন ধরেন, গে বিয়ার মুভমেন্ট বা ধরেন চয়েছ ভাবনা–নিজের বডি বা পোশাক। কিন্তু আপনের জদি শাচ্চা লিবার্টিই থাকে, তাইলে আপনে এস্পাইং করতে পারবেন না কেন, আপনে ডেনমার্কের ছিটিজেন হইয়া কেন চায়নার পক্ষে কাম করতে পারবেন না? লিবারালিজমের মানুশ জদি নিউজিল্যান্ড শাচ্চাই চর্চা করতো, বা জে কোন দেশ, তাইলে শেই দেশে আইন বইলাই কিছু থাকার কথা না, কেননা, আইন মানেই মানুশকে কনটোল করা, লিবারালিজমের মানুশের আইডিয়ায় ঐ কনটোলের এস্পেস নাই কোন!*

শাচ্চা লিবার্টি আপনাকে নেচারাল ছিলেকশনে একজন খেলোয়াড় বানাবে, কম্পিটিশনের ভিতর দিয়া আপনে ইভলভ্ করতে থাকবেন, দুনিয়ায় এইভাবে ছেরেফ বেস্টরা থাকতে থাকবে, কেবল বেস্টের জিনে ছয়লাপ হইয়া জাবে দুনিয়া। মজার ব্যাপার হইলো, দুনিয়ার ভাবুকদের ভিতর শাচ্চা লিবার্টির গান জিনি গাইছেন, বাস্তবের লিবারালিজম তারেই শবচে বেশি ঘেন্না করে, তার মুরিদ হওয়ারে নাৎশি বইলা গালি দেয়! হুম, নিৎশে হইলেন শেই ভাবুক, শাচ্চা লিবার্টির খোয়াব নিৎশের মতো কেউ দ্যাখে নাই আর, দুনিয়ায় কেবল নিৎশেই বিবেক মুলতবি রাখতে পারছেন, মানে শনাতন বিবেক, লিবারালিজমের আগের বিবেক; নিৎশে কইতেছেন, বিবেক একটা ফালতু জিনিশ, বিবেক মানে ফিরি উইলের খোজা হওয়া, বিবেক মানে খারাপের শাশন চলতে থাকা এবং এইখানে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে জে, নিৎশের খারাপ মানে দুর্বল, নিৎশে এইভাবে এথিক্স রিডিফাইন করতেছেন।

এইখানে আমার দুশমনরা কইবে জে, তাইলেই দেখো, নিৎশের মুরিদরা জদি আজকের লিবারালের কাছে গালি, তাইলে লিবারালিজম তো নিৎশের মানুশ চর্চা করে না! তাইলে তোমার পয়েন্টটা কি!?

আমার পয়েন্ট হইলো, তুমি (দুনিয়ার লিবারাল রাশ্টোগুলা) জদি লিবারালিজম চর্চাই না করো, তাইলে শেইটা গোপন কেন রাখো? কেবল গোপন না, তুমি লিবারালিজম চর্চা করতেছো বইলাই হরদম এলান করতে থাকো, কেন?

খেয়াল করেন, লিবার্টি তুমি দিবা না, ফিরি উইলকে বাস্তবে তুমি বিবেক (কনশ্যেন্স) অর্থে দেখতে থাকবা, কিন্তু হরদম তুমি মাপতে থাকবা–কে/কারা কতটা ফিরি! ইউএন রেজুলেশন খেয়াল করেন, মেম্বারদের জন্ন পজিটিভ ইনডেক্সগুলা খেয়াল করেন–কত কিছিমের ফিরিডম মাপতে থাকে, মাপার ওকালতি করে ইউএন! আপনে জদি ফিরিডম মাপতে থাকেন, ফিরিডম জদি হয় আপনের মনজিল তাইলে আপনে তো ফিরিডম চাইতেই থাকবেন এবং আপনের আখেরি মনজিল তখন নিৎশের মানুশ, বিবেক থিকা আজাদ হওয়াই আপনের শাচ্চা ফিরিডম এবং জতোখন তা হইতে না পারতেছেন, গোলামির ভিতর আছেন আপনে।

নিৎশের বা লিবারালিজমের শাচ্চা মানুশ কোন রাশ্টোই চর্চা না করলেও কোন দেশের মানুশ কতটা নিৎশের মানুশ হইতে পারলো, শেইটা মাপতে থাকার জেই প্যারাডক্স, তার কারন হইলো, নিৎশে বাদে লিবারালিজমের কোন ভাবুকই বিবেক থিকা আজাদ হওয়া তো দুর, তেমন কিছু ভাবতেও পারেন নাই, বরং একদমই উল্টা, তারা জে লিবারাল, ঐখানে তারা জাইতেছেই বিবেকের তাড়নায়! তাদের লিবারাল হওয়া আশলে খুবই মরাল ডিছিশন, দার্শনিক ছফরের কোন আলটিমেট ডেছটিনেশন না, নিৎশের মতো! ফলে তারা নেচারালিস্ট হইয়াও বিবেক বহাল রাইখা খুবই শনাতন মানুশ! ফলে বাস্তবে জেই লিবারাল রাশ্টোগুলা দেখি, এমনকি লিবারালিজমের ভাবুক আর ভাবনাগুলা, তা শবই দার্শনিক প্যারাডক্সে ভরা।

এই প্যারাডক্স হয়তো পাত্তা দেবার দরকার নাই আমাদের, মানে পলিটিকেল ডিছকোর্সে, এমনকি ঐটা আশলে খুবই পলিটিকেল ফিলোজফির মামলা হবার পরেও, মানে ঐগুলা পিওর দর্শনের লোকের ফয়ছালার তরে ছাইড়া দেবার কথা ভাবতে পারতাম আমরা, জদি ঐটার মারাত্তক কন্সিকোয়েন্স না থাকতো!

আশলেই ঐটার মারাত্তক কন্সিকোয়েন্স আছে; ভাবনা হিশাবে হিউম্যানিজম/লিবারালিজম এবং তার চর্চা হরদম লিবারালিজমের ঐ শাচ্চা মানুশের নিশানই উড়ায় এবং ঐখান থিকাই দুনিয়ার ইউটোপিয়াগুলা পয়দা হইতে থাকে! এবং ঐ প্যারাডক্স ঠিকঠাক খেয়াল না করায় মার্ক্সিজমের মতো পলিটিকেল থিয়োরিগুলাও আখেরে ইউটোপিয়া হইয়াই থাকতে থাকে। এবং ঐ প্যারাডক্সের ব্যাপারে কালেকটিভ বেলাইন্ডনেসের কারনে এক ইউটোপিয়া আরেক ইউটোপিয়ারে ইউটোপিয়া কইয়া গালি দেয়!

জর্জ অরওয়েল জখন শোভিয়েত ইউনিয়নকে এনিমেল ফার্ম কইয়া গালি দিলো, শে কি তখন নিৎশের মানুশের ওকালতি করতেছিলো? না। শে আশলে মানুশের বিবেককে এমনই এক ডিফল্ট ভালো ব্যাপার কইতেছে জে, মানুশকে ছাইড়া দেবার ভিতর কোন রিস্ক দেখতেছে না হজরত অরওয়েল। ওদিকে, উনি জেই লিবারাল রাশ্টের অল্টারনেটিভ এনিমেল ফার্মের ছাবটেক্সটে ছাজেস্ট করতেছেন, ঐগুলা লিটারেচার, ইশকুলের কারিকুলাম থিকা লিগাল ইন্সটিটুশন এবং ফেমিলির ভিতর দিয়া বিবেকের ছবক দিতে থাকে হরদম, নিৎশের মানুশ হওয়া ঠেকাইয়া রাখতেছে ঐগুলা দিয়া; শোভিয়েত ইউনিয়ন লিবারালদের বিবেককে ছেরেফ আরেক তরিকায় ডিফাইন করে এবং শেই ছবক দিতে চাইতেছে! মার্ক্সিজম মানুশের মুক্তির কথা কইতে থাকে, লগে ভাবতে থাকে জে, মানুশের ডিফল্ট বিবেক হইলো, তার (মার্ক্সিজমের) আইডিয়ার পোরলেতারিয়েতের কালেকটিভ বিবেক; তা জেহেতু রাস্তবে নাই, তাই মানুশকে তার আরো বন্দি কইরা পোরলেতারিয়ের বিবেকের ছবক দিতে হয়, বাদ্ধ করতে হয়! এইখানে নিৎশের লগে মার্ক্সের একটা খাতিরের শম্ভাবনা না দেইখা থাকা কঠিন; তার তার জামানায় চলতি লিবারালিজম জে আদতে মেটাফিজিকেল, রেশনাল নেচারালিস্ট না, এই ব্যাপারে দুইজন আশলে একমত। তারপর নিৎশে বিবেককে বাদ দিয়া বেক্তি মানুশকে আজাদ করতে চাইছেন, আর মার্ক্সেও আশলে বিবেক একটা ইরিলেভেন্ট জিনিশ, ধনদৌলত বা উৎপাদনের উপায় বা কেপিটাল লইয়া শমাজের ভিতর অটোমেটেড ডায়ালেক্টিকস মানুশের ইতিহাশকে আগাইয়া নিতেছে এবং আগাইতে আগাইতে শমাজ একদিন কমুনিজমে হাজির হবে। এইটা ছাইন্স, রেশনাল আর নেচারাল ঘটনা, মানুশের বিবেক তারে চালাইতেছে না, বিবেক তাই ম্যাটেরিয়াল/নেচারাল ঘটনায় ইরিলেভেন্ট! দুই জনেই তাই ধর্মরে বোঝার ব্যাপারেও কাছাকাছিই আশলে, বাস্তবে জদিও উল্টা লাগতে পারে! মানে নিৎশের কাছে ধর্ম হইলো পাওয়ারফুল মানুশকে বাইন্ধা রাখতে দুর্বলের হাতিয়ার, জুদ্ধে না পাইরা/নেচারাল ছিলেকশনে হারার পরে মেটাফিজিকেল দড়ি বানাইয়া শক্তিমান মানুশকে (ছুপারহিউম্যান) বান্ধা; আর মার্ক্সে ব্যাপারটা উল্টা, ধর্ম শক্তিমানের হাতিয়ার, পোরলেতারিয়েতকে কনটোল করার দড়ি। ধর্ম পোরলেতারিয়েতকে মেটাফিজিকেল কইরা রাখে, তাই ‘কেলাশ চেতনা’ ঠিকঠাক ডেভলাপ করতে পারে না, তাই ডায়ালেক্টিক্সের গতি কমাইয়া দেয় ধর্ম, পিছের দিকে টাইনা ধরে পরগতি!

তো, চলতি লিবারালিজম আর মার্ক্সিজম, দুই পক্ষই তাইলে দুই কিছিমের বিবেক পয়দা করতে চায়, ছবক দেয়, কিন্তু মুখে কয় মুক্তির কথা! মর্ডান দুনিয়ায় ডিপ্রেশন বা মনমরা মানুশের পয়দা হবার বড়ো কারনটাও শম্ভবত মুক্তির ব্যাপারে ঐ ধানাপানাইর ভিতর পাবো আমরা! মর্ডান মানুশ লিবার্টির ছবক পাইয়া নিজেরে আজাদ ভাবতে থাকে, কিন্তু বাস্তবে তার দেখা পায় না এবং কিছু দিনের ভিতরই বুইঝা ফেলে জে, মুক্তির কোন শম্ভাবনা নাই! নিজের ভিতর ইউটোপিয়া বানাইয়া জখন দ্যাখে জে, তা হইতে পারে না মর্ডান রাশ্টে, এইটা এক বিরাট শক, মানুশকে তছনছ কইরা ফেলতে পারে ঐ শক!

খেয়াল করেন, ‘মানুশের জন্ন অশম্ভব কিছু নাই’, ‘ফলো ইয়োর হার্ট’–এমন কথাগুলা আশলে নিৎশের শাচ্চা হিউম্যানিজম থিকাই কেবল পয়দা হইতে পারে, বাস্তবের লিবারাল রাশ্টে জেই হিউম্যানিজম চর্চা হইতেছে, তাতে পয়দা হইতে পারে না। ফলে ঐগুলা মানুশকে মানুশের চাইতে বড়ো কইরা দেখাইতে থাকে, কিন্তু বাস্তবতা শেইটা ডেলিভারি দিতে পারে না এবং মর্ডান ডিপ্রেশনের গোড়াটা এইখানে!

ছো, কইতেছি জে, লিবার্টির আইডিয়া ভুয়া, ঐটা খিরিস্টান অরিজিনাল ছিনের এক্সট্রিম উল্টা রিয়েকশন, বাস্তবের মানুশের ব্যাপারে ভাবনা না ততো! মানে এইটা বেশ মজার জে, জেই হিউম্যানিজম এম্পিরিছিজমের চর্চা করার কছম খাইলো, ছাইন্টিফিক মেথডের ভিতর দিয়া গেয়ানের তালাশ করতে শুরু করলো, শেই হিউম্যানিজম মানুশের তারিফ বা ডেফিনিশনের বেলায় এম্পিরিক্যাল থাকলো না আর, এইখানে ছাইন্টিফিক মেথড মুলতবি রাইখা মেটাফিজিকেল একটা আইডিয়ার ছেরেফ রিয়েকশন হইয়া নয়া মেটাফিজিক্স হইয়া পড়লো!

তুলনায় ইছলামের মানুশ দেখতে পারি আমরা; ধর্ম আর মেটাফিজিক্সের রিশতা লইয়া একটা অবজেক্টিভ ডিছিশনে পৌছানো মানুশের বুদ্ধির বাইরে ভাবি আমি, তাই ইছলামের মানুশের আইডিয়ার ভিতর পছিবলি জে মেটাফিজিকেল পাট আছে, তার ফয়ছালা না কইরাই ইছলামে মানুশের জেই দুনিয়াবি ম্যাটেরিয়াল অর্থ আছে, তার লগে ছাইন্টিফিক/এম্পিরিক্যাল মানুশের মিল বা ফারাক তালাশ করা জাইতে পারে; আগেই কতগুলা পয়েন্ট কইছি, আরো দুয়েকটা কথা কইতে পারি।

দ্যাখেন, ‘মানুশ মরবে, মরে’–মানুশের ব্যাপারে ছিম্পল এই কথাটা এম্পিরিক্যাল এস্টেটমেন্ট হিশাবে আছে কতকটা, পুরাটাই আছে কিনা, কনফাম না আমি, কিন্তু শাচ্চা হিউম্যানিজমে এই কথাটা থাকতে পারে না! মরন নামের ঘটনাটা হিউম্যানিজমের একটা ডিফিট, একটা আনছলভড এক্সিডেক্ট, এখনো ঘটে, মানুশ ঠেকাইতে পারতেছে না এখনো, এখনো জানাবোঝা কমপ্লিট হয় নাই, হবে, কোন একদিন পারবে মানুশ, পারতেই হবে, নাইলে মানুশ আর কতটা মানুশ!

হিউম্যানিজমের ঐ মানুশের তুলনায় ইছলামের মানুশ এম্পিরিক্যালি আমাদের চেনাজানা মানুশের মতো–মরে এবং মরবে। ছিম্পল।

হিউম্যানিজমের মানুশ মরন উতরাইয়া উঠতে চায়, কিন্তু বাস্তবে আরো বেশি খুনের আয়োজন করে! এইটা বেশ মজার ব্যাপার জে, জারা মরন উতরাইয়া উঠতে চাইতেছে এতো, তাদের ভিতরেই ছুইছাইডের রেট বেশি! আগে জেমন কইতেছিলাম, ইউটোপিয়া আর খোয়াব জখন বাস্তবে পাবার আশা দ্যাখে না আর, তার জরুর ফল হইলো ডিপ্রেশন; মন মরে আগে তাদের, তারপর নিজেদের পেয়ারা দেহ হইয়া ওঠে কারাগার! ডিফিট শইতে পারে না তারা, ডাইনোছর হইয়া বাচতে চায়, তারপর নেচারাল ছিলেকশনে হারে, তারপর ডাইনোছর হিশাবে মরে, তেলাপোকা হইয়া বাচার বদলে! কাহলিল জিবরানের শেই শিয়ালের চাইতে হাজার গুন বেশি হিম্মত দেখাইতে হয় তার, শেই শিয়ালের মতো কইতে পারে না জে, ‘a mouse will do!’ (কেচ্ছাটা এমন: একটা শিয়াল শকাল বেলায় নিজের ছায়ার দিকে চাইলো, তারপর মনে মনে কইলো, আজকে দুপুরের খাবারে আমার তো একটা উট লাগবে! তারপর শে উটের তালাশে নামলো, কিন্তু কোন উট ধরতেই পারলো না! দুপুর হইলো, খিদা লাগলো শিয়ালের, তখন নিজের ছায়ায় হঠাৎ আবার নজর পড়লো তার, তখন কইলো, ‘একটা ইদুরেই চলবে তো!’)।

কিন্তু এইটার তুলনায় মারাত্তক হইলো, হিউম্যান ক্লোনিং। মরন উতরাইয়া ওঠার ছফরের পয়লা কদম হইলো, মরনেরে পিছাইয়া দেওয়া। মেডিকেল ছাইন্স শেইটা কদ্দুর করছে, মেডিছিন-টেকনোলজি দিয়া। কিন্তু আরো পিছাইতে হইলে মানুশের বডি রিনিউ করতে হবে। নিজের ক্লোনকে নিজেরই নিউ বডি হিশাবে ভাবার মওকা আছে কতক, ছেরেফ মাইন্ড টেরান্সফার এখনো ঘটাইতে পারে নাই মানুশ।

কিন্তু ক্লোন লইয়া আরেকটু ভাবা দরকার আমাদের। আপনের ক্লোন মানে আপনের বডির এস্পেয়ার পার্টস, জেনেটিকভাবেই অবিকল, তাই শবচে খাপে খাপ; তাই মরন পিছাইতে এখন শবচে দরকারি কামের নাম অর্গান ফার্মিং (never let me go নামের একটা ছিনামা/নভেল [ইশিগুরো] দেখতে কইবো এই ব্যাপারে)।

হিউম্যানিজমের মানুশ আরেক কদম আগাইলেই নিৎশের মানুশ হইয়া উঠবে, তার ফলে মরাল ডিলেমা বাগড়া দিতে পারবে না আর, এবং তাইলেই অর্গান ফার্মিং পছিবল, ১০০% ।

ওদিকে, হালের এনভায়রনমেন্টালিজমের কথা ভাবেন; হিউম্যানিজমের মানুশ বেক্তিরা নিজেরে এস্পেশাল (ছুপার হিউম্যান) ভাবতেই পারে, কিন্তু মানুশ আর এস্পেশাল কোন মাকলুকাত থাকে না, এস্পেশাল ভাবতে গেলেই মানুশ মেটাফিজিকেল হইয়া উঠতেছে! বেক্তি মানুশেরা ‘উইল টু পাওয়ার’ থিকা আর শব মানুশকে খরচ করার মতো, এমনকি আগাছা ভাবে! এখন এই ভাবনার লগে এনভায়রনমেন্টালিজমের পছিবল কোরোছওভার বা ইন্টারকোর্ছ ভাবেন; তাইলে দেখবেন, মানুশ মাইরা পাখি শকুন পালা (বাড়ানো) কত শোজা হইয়া ওঠে! আপনের বাগানে চমৎকার অর্গানিক শার হইতে পারে একটা মানুশের বাচ্চা। ওভারপপুলেটেড দুনিয়ার মনোহর ফয়ছালা হাজির করতে পারে ঐ ইন্টারকোর্ছ।

খুনের আর শব আয়োজনের আলাপ না করি বরং; মানে নিউক্লিয়ার-কেমিকেল উইপন, দোরোন ইত্তাদি! কেবল এইটাই খেয়াল করতে কইবো জে, মানুশের পারার লিস্টিতে ঐগুলা মস্ত মস্ত নাম এবং ঐগুলায় এমনকি নন-নিৎশে হিউম্যানিজমের বিবেকও এজাজত দেয়, এমনকি মানুশ বাচাবার দরকারেই নাকি ওগুলা পয়দা করছে ঐ ঐ রাশ্টোগুলা! [খোদায় বিলিভার একজনের নজরে দেখলে ঐগুলার আরেক কিছিমের পারপাছ পাওয়া শম্ভব বরং; হয়তো খোদার পেলান ঐগুলা; ভাবেন, শেই ডাইনোছরের জামানায় জদি এখনকার উইপন ছিস্টেম থাকতো, তাইলে হয়তো শেই এস্ট্রয়েড, জেইটা আইশা পিথিবির গায়ে পড়ায় বেশিরভাগ অর্গানিজম/মাকলুকাত খতম হইয়া গেল, শেই এস্ট্রয়েডটারে হয়তো আছমানে থাকতেই হাওয়ায় উড়াইয়া দিতে পারতো পিথিবির মানুশ বা অমানুশেরা! হয়তো আগামিতে তেমন কিছু হবে, তার আগে মানুশের ভিতরের শয়তান ওগুলার ভুল এস্তেমাল করতেছে এখন! খেয়াল করলে দেখবেন, অমন উইপন ছিস্টেম পিথিবির এলাকাগুলায় ভাগে ভাগে আছে, কেবল আফ্রিকার কোন একটা দেশে দরকার আর!]

খুনের এই শব আয়োজনের বাইরেও হিউম্যানিজম কতগুলা কাম করছে; কিছু ব্যাপার আছে জেইগুলা নন-নিৎশে হিউম্যানিজমই পয়দা করছে, কিন্তু তার আখেরি মনজিল নিৎশের হিউম্যানিজমই।

টুরুথ, ফ্যাক্ট/এভিডেন্স লইয়া ভাবেন একটু। খোদায় বিলিভার একজন খোদার এভিডেন্স দেখতে পায় দুনিয়ায়, খোদায় একিন করে, কিন্তু ফ্যাক্টের কেলেইম করতে পারে না তারা। আচ্ছা, এই তিনের রিলেশন লইয়া আরেকটু তলাইয়া ভাবা দরকার আমাদের।

এভিডেন্সের আরেকটু বুঝবার মতো বাংলা হিশাবে ‘আলামত’ কইলাম আমরা; তাইলে ফ্যাক্ট কি? ফ্যাক্ট হইলো, এবছলুট জানার কেলেইম। খোদায় বিলিভারের কাছে আলামত দেইখা আন্দাজ করার একটা ব্যাপারের নাম টুরুথ, এইখানে এবছলুট জানার কেলেইম নাই। তাই টুরুথ খুবই ফেলেক্সিবল (truths may bend.), তাই ছাবজেক্টিভ। দিন দুনিয়া দেখাদেখির তরিকার তফাত বিচার কইরা আমি মোটামুটি ৩টা দলে ভাগ করি মানুশ: ১. আমরা টুরুথ পুরা জানি না (খোদাই ভালো জানে), আন্দাজ করি, ঘটনাটা এমন। ২. টুরুথ বইলা কিছু নাই। ৩. ওকে, ফ্যাক্ট দেখি আমরা, ফ্যাক্ট (আলামত না কিন্তু) পাইলে টুরুথ পুরা জানলাম আমরা, না পাইলে শেইটা মিছা (এইখানে একটা ছুডো ছাইন্টিফিক মেথডের কেলেইম আছে; ছুডো কইতেছি কারন, ছাইন্স মানুশের পুরা না জানার শম্ভাবনা হাজির রাখে, তাই ভুলের শম্ভাবনাও; কিন্তু হিউম্যানিজমে মোটিভেটেড ছাইন্টিফিক মেথড ঐ শম্ভাবনা হাজির রাখে না আর। বাংলাদেশের এবং দুনিয়ার বিগ্গানমনস্করা হইলো তাই এই কিছিমের! মজার ব্যাপার হইলো, জেই মেটাফিজিক্স থিকা বাইরাইতে হিউম্যানিজমের এতো ফিকির, ঐ মোটিভেশন জে খোদ তারেই শেই মেটাফিজিকেল কইরা তুললো তখন, শেইটা ততো আর খেয়াল করলো না শে!)।

ফ্যাক্ট-লাভিং মানুশেরা তাই ফ্যাক্ট ভালোবাশে খুব। টুরুথ জতো বেন্ড করে, ফেলেক্সিবল, ফ্যাক্ট তা না; ছাইন্টিফিক মেথড জদি আলামত উতরাইয়া, আলামতের ডিডাকশনের ভিতর দিয়া ফ্যাক্টে লইয়া জাইতে পারে আমাদের, তাইলেই টুরুথ জানলাম আমরা। বাস্তবে ঐ ৩ নাম্বার দলের লোকেরা ফ্যাক্ট দিয়া টুরুথ রিপ্লেছ করছে, ফ্যাক্টই টুরুথ, খোদ পুরানা টুরুথের ফেলেক্সিবিলিটি খুবই নাপছন্দ তাদের।

‘কোলাজ কনজেঙ্কচার’ একটা পোবলেম, অংকের পোবলেম, লোথার কোলাজ নামে এক অংকবিদ ১৯৩৭ শালে এইটা হাজির করছেন। এইটা এমন একটা ঘটনা আপনে জেইটারে ফ্যাক্ট চেক করতে পারতেছেন না। আলামত হাজির আছে বেশুমার, শকলের আন্দাজও মোটামুটি একই, কিন্তু টুরুথ কইতে পারতেছেন না। তবু এইটারে টুরুথ ধইরা লইছে অংকবিদেরা, ফ্যাক্ট-চেক/পুরুভ না কইরাই!

তো, ঘটনাটা এমন: জে কোন একটা পজিটিভ নাম্বার নেন, শেইটা জোড় হইলে ২ দিয়া ভাগ করেন, ভাগফল জোড় হইলে আবার ২ দিয়া ভাগ করবেন, এমনে চলবে; ভাগফল জখন বেজোড় হবে তখন ৩ দিয়া গুন কইরা ১ জোগ করবেন [ ক÷২ (জদি ক জোর হয়) আর ৩ক+১ (ক জদি বেজোড় হয়)]। এমনে আগাইতে থাকলে শকল নাম্বারের শিরিজই আখেরে ১-এ পৌছাবে! জেই নাম্বার দিয়াই এইটা টেস্ট করা হইছে, একই ঘটনা পাওয়া গেছে, মানে বেশুমার আলামত পাওয়া জাইতেছে,কিন্তু ঘটনা হিশাবে এইটারে টুরুথ কইতে পারতেছেন না, কারন পুরুভ করা জায় নাই এইটা! ব্যাপারটা অনেকটা ‘মানুশ মরে’ দিয়া ‘মানুশ মরবে’ কইবার মতো।

এইটা লইয়া অংকবিদেরা নাকি এমনই আউলা হইয়া গেছিলো জে, এমন একটা কথা ছড়াইয়া গেলো জে, এইটা শোভিয়েত ইউনিয়ন ছাড়ছে (এখনকার কম্পিউটার ভাইরাসের মতো অনেকটা) জাতে আমেরিকানরা এইটা লইয়া বিজি থাকবে, ফলে তাদের ছাইন্টিফিক ডেভলপমেন্ট থাইমা থাকবে! কোন এক অংকবিদ কইতেছেন জে, এমন পোবলেমের ফয়ছালা করবার তাকত অংকের হয় নাই এখনো!

ওদিকে, ফিজিক্সে ‘লাইলি-মজনু রিশতা’ নামে একটা ব্যাপার আছে, ইংরাজিতে জেইটারে ‘কোয়ান্টাম এনটেংগেলমেন্ট’ কয়। এইটা এমন জে, দুইটা বস্তুর, ধরেন দুইটা কয়েনের এমন রিশতা থাকতে পারে জাতে একই মোমেন্টে টছ করলে একটার হেড পড়লে আরেকটার টেল পড়বে; ঐ কয়েন দুইটা বিলিয়ন লাইট-ইয়ার দুরে রাইখা একই মোমেন্ট টছ করলে একই ঘটনা ঘটবে! এই রিশতা, কমুনিকেশন কেমনে ঘটে দুইটা বস্তুর, বুঝতে পারে না/জানে না ফিজিক্স।

তো, তুমুল হিউম্যানিজমে মোটিভেটেড না জেই অংকবিদ বা বস্তবিদ, শে তার বিদ্দা লইয়া অতো দেমাগ দেখায় না, নিজেদের বুদ্ধি আর লজিক কতটা লিমিটেড, শেইটা তারা বোঝে/জানে, এবং তাদের জানা টুরুথ জেন বা এই একটাই! উনিশ শতের দিকে হয়তো হিউম্যানিজমে মোটিভেটেড হওয়া বাদে পচ্চিমে ছাইন্টিস্ট হইতে পারতো না কেউ! কিন্তু আইনেস্টাইনের পরে, ফিজিক্সে রিলেটিভিজম আর কোয়ান্টাম ফিজিক্স শবাই মাইনা নেবার পরে আগের শেই তুমুল হিউম্যানিজম দর্শনে আর বিগ্গানে অতো একচেটিয়া নাই আর।

কিন্তু ছাইন্টিফিক মেথড ঐ দুই শাছরোর বাইরে জারা ইউজ করতে চাইলেন, ছোশিওলজি বা জার্নালিজম, তারা টুরুথের ভিতর ঐ আন্দাজের ব্যাপারটা রাখতেই রাজি হইলেন না আর, তারা আলামত দেইখা আনবেন্ডেবল ফ্যাক্ট হিশাবে টুরুথ বানাইতে থাকলেন!

ভাবের এই দরিয়ায় নামাইয়া ফ্যাক্ট-চেকের ব্যাপারটা ভাবা দরকার আমাদের। পুরানা কিছিমের জার্নালিজমেই কোন একটা খবরের গোড়ায় পুরানা কিছিমের টুরুথ/ ঘটনা আছে কিনা, কতটা আছে, নাকি পুরাটাই ফিকশনাল, শেইটা বিচার করা জায়, কিন্তু ফ্যাক্ট-চেক নামে একটা জিনিশ হালে খুব পাইতেছি আমরা। তার পিছে খোদা রিপ্লেছ করতে চাওয়া ঐ হিউম্যানিজমের মস্ত উশ্কানি আছে।

কিন্তু ভাবের ইতিহাশ খুব শিধা রাস্তায় হাটে না; ইছলামের থিকা বহু কিছু লইবার পরেও হিউম্যানিজমের পলিটিকেল ডাল হিশাবে লিবারালিজমে বাস্তবে জেমনি ইছলামের পারভার্শন পাইতেছি আমরা, হিউম্যানিজমের ভাপে পয়দা হইলেও ফ্যাক্ট-চেকিং তেমনি খুবই জুদা কিছু হইয়া উঠতে পারে! ভাশা এবং ভাবের ব্যাপারে জেনেওলজি আমাদের রাস্তাটা দেখাইতে পারে ছেরেফ, কিন্তু ভাবের গোড়া আর ডালের রিশতা ততো অর্গানিক (জেমন গাছের মতো) না ঠিক।

জে কোন কামই ছাবজেক্টিভ, কে করতেছে, শেই হিশাবে কোন একটা কামের ফল পাল্টাইয়া জাইতে পারে। ফ্যাক্ট-চেকিং তেমনি কে করতেছে, শেইটা দেখা দরকার আমাদের, বাংলাদেশ বা ইনডিয়ার মতো দেশে, গ্লোবাল ছেন্টার থিকা জারা চিন্তা খয়রাত করে পেরায়ই, তারো থিকা বেশি করে কাম আর মেথড, এই শব দেশে ঐ ছেন্টার থিকা আশা জে কোন মাল হুশিয়ার নজরে বিচার করা দরকার। কেন দরকার, আরেকটু বুঝাইতে দুয়েকটা নজির পেশ করতেছি। বাংলাদেশে এখনকার বাকশালি হুকুমতে দেখেন, হিজড়াদের পুলিশে চাকরি দেবার কথা কইতেছে দখলদার মাফিয়া শরকার, তেমনি মাইয়া, কানা-খোড়া মানুশ বা এনভায়রনমেন্ট লইয়া অনেক নাটক-কেরিকেচার দেখি আমরা, এগুলা শবই লোক(বিদেশি)দেখানি, লিবারাল পচ্চিমা কামের নকল, ছেরেফ টার্ম আর কয়েকটা ছবিটবি-নিউজ করাই টার্গেট, তাতে ইন্টারনেশনাল ফোরামগুলায় কতগুলা দাবি করার মওকা গজায়, দেশটা দখল কইরা থাকায় ইন্টারনেশনাল এজাজত জোগাড় করার মওকা বানাইয়া দেয় ঐ নকলগুলা!

ফ্যাক্ট-চেকিংও এইখানে তেমনি টার্মিনোলজি, মেথড আর কামের আমদানি মাত্র, গোড়ার হিউম্যানিজম ততো নাই বা তলাইয়া দেখেই নাই তারা। আবার বাস্তবে কতগুলা জরুলি নাক গলানির ভিতর দিয়া বাংলাদেশ বা ইন্ডিয়ার ফ্যাক্ট-চেকাররা কতগুলা পছিবল খুনাখুনি/জেনোছাইড ঠেকাইয়া দিতেছে হয়তো! ইনফো-জোয়ারের এই জামানায় বাংলাদেশে ফেছবুক বা ইনডিয়ায় whatsapp গুরুপের ভিতর দিয়া মব বানাইয়া অর্গানাইজড কেরাইম ঘটে, ঘটাবার আয়োজন চলে পেরায়ই; এবং এইগুলার শুরুটা পেরায় ১০০% ইশুতেই মিছা কথা/বানোয়াট (ফিকশনাল) ঘটনা, ভুয়া কোটেশন দিয়া হয়; ফ্যাক্ট-চেকারদের তখন তখনই জরুলি নাক-গলানি (ইন্টারভেনশন) ঐশব মবের অর্গানাইজিং কাহিল কইরা দিতে পারছে পেরায়ই। এগুলারে বাহবা দিতেই হবে আমাদের।

তবু জেই মেথড আর কামের নকল এইগুলা, তা জেহেতু ছেন্টারে এখনো চলতেছে পুরাদমে, গোড়ায় হিউম্যানিজমের মর্ম লইয়াই চলতেছে, আরো পাওয়ারফুল হইতেছে, তাই ঐ ছেন্টারের লগে তাল মিলাইতে মিলাইতে এদিকে একটা প্যাটার্ন পয়দা হয়। আবার, হিউম্যানিজমের রাস্তায় ওঠার পরে পচ্চিমেও জেমন আখেরে নিৎশের দরবারে হাজির হইতেছে অনেকেই (একই রাস্তায় পরের কদম দেওয়া তো খুবই নেচারাল ঘটনা), তেমনি ফ্যাক্ট-চেকিং করার বেলাতেও কেউ কেউ ঐ প্যাটার্ন ধইরা পরের কদমটা দেবেন না, শেই গেরান্টি তো দেবার উপায় নাই! তখন কেমন ফ্যাক্ট-চেকিং পাইতে পারি আমরা? কেউ একজন খোদার ফ্যাক্ট-চেকিং করতে নামতে পারে, কেউ বা আদম-হাওয়া বা মনু’র ফ্যাক্ট-চেকিং করতে পারে। তখন মব ঠেকানি ফ্যাক্ট-চেকিং নিজেই মব অর্গানাইজিং উছিলা হইয়া উঠবে এবং কেবল শেই শেই ফ্যাক্ট-চেকার না, তাবত ফ্যাক্ট-চেকারই টার্গেট হইয়া উঠবে মবের! কয় বছর আগে জেমন ব্লগার-নাস্তিক খেদানি মব গজাইছিলো, ব্লগার-নাস্তিকরা তারপর বিদেশে শেলটার লইয়া চইলা গেল, আজকের বাংলাদেশে জেমনি কেউ আর ব্লগার পরিচয় দেয় না, তেমনি আরেকটা মব এই ফ্যাক্ট-চেকারদের খেদাইয়া দিতে পারে! হিউম্যানিজমের বাড়-বাড়ন্ত শমাজে জেই রিয়েকশন পয়দা করে, আখেরে তা শমাজের রেডিকালাইজেশনই বাড়াইয়া তোলে! কেবল বাংলাদেশ বা ইনডিয়ায় না, ওয়েস্টার্ন ইউরোপ আর আমেরিকা-কানাডাতেও রেডিকালাইজেশন বাড়তেছে, এন্টি-ইমিগেরান্ট, হোয়াইট ছুপ্রিমেছিস্ট, জেনোফোবিক, হোমোফোবিকরা আর কয়েক বছরের ভিতরেই একদম ইলেকটেড হইয়া গদিতে বশতে জাইতেছে ঐ শব দেশেে! আমাদের মনে রাখা দরকার, দুনিয়ার ৯৫% মানুশ ইমানদার, খোদায় ভরশা আছে তাদের, ফ্যাক্ট-চেকিং-এর পরোয়া করে না তারা, টুরুথের ব্যাপারে খুবই মেটাফিজিকেল তারা এবং এই ৯৫% মানুশের বিপক্ষে জুদ্ধ শুরু করাটারে এলেমদারি কোন কাম ভাবার উপায় নাই!

ওদিকে, টুরুথ লইয়া আরো কিছু ঘটনা দেখবার আছে আমাদের। পাওয়ার জে পাওয়ার, তার একটা নিশানা হইলো, শে কোন একটা মিছা কথারে একিন করবার মতো টুরুথ হিশাবে হাজির করতে পারে, আবার কোন টুরুথের পশার কতটা ঘটবে তারো লিমিট বাইন্ধা দিতে পারে; মানে পাওয়ার টুরুথ এবং ইনফো কনটোল করতে পারে এবং শেই কারনেই ঐটা পাওয়ার!

তাইলে ফ্যাক্ট-চেকিং জখন শমাজে কোন একটা টুরুথের বিলিভেবল হইয়া ওঠার এছেন্সিয়াল মেথড হবে, তখন ঐটারে পাওয়ার নিজের দরকারে এস্তেমাল করবে এবং তা অলরেডি করতেছে।

কোন একটা শরকার পাবলিকের নজরের বাইরেই তার বেশিরভাগ কাম করে, বাংলাদেশের মতো বাকশালি হুকুমতে পাবলিকের দেখবার নজর পেরায় ১০০% বান্ধা, জেই রাশ্টের খমতা পাবলিকের কবুলিয়ত আর নজরদারির জতো বাইরে, টুরুথের উপর শেই খমতার একচেটিয়া ততো বেশি। কিন্তু শেই শরকারকে পাবলিক ততো কম একিন করে কিন্তু শকল দপ্তর পাবলিকের নজরের বাইরে থাকার কারনে ইনফো ততো কম। পাবলিক তখন কি করে? পাবলিক তখন আন্দাজ করে, এইটার লগে ঐটা মিলাইয়া হিশাব করতে থাকে। পাওয়ার তখন ফ্যাক্ট-চেকিং এস্তেমাল করে, পাবলিকের জে কোন শন্দেহ আর আন্দাজকে পাওয়ার গুজব হিশাবে ক্যাটেগরাইজ কইরা পাবলিকের ইস্পিরিটকে ডিমরালাইজ কইরা দেয়। এই টেকনিকটা অলরেডি শিখে ফেলছে পাওয়ার, তাই ইনডিয়ার মোদি বা বাংলাদেশের বাকশাল বা আমেরিকার টেরাম্পেরা আগে ফ্যাক্ট-চেকিং-এ নাক শিটকাইলেও এখন আর ততো করে না, বরং পাওয়ারের খাদেম একদল ফ্যাক্ট-চেকার বানাইতে মন দিছে তারা! খোদ ফ্যাক্ট-চেকিং না, এখন ছেরেফ কোন কোন ফ্যাক্ট-চেকার নাপছন্দ তাদের, তাগো জেলে ঢুকাইলেই কেল্লা ফতে এবং ইনডিয়ায় মোদির বিজেপি শেই হিশাবেই একজন ফ্যাক্ট-চেকারকে জেলে ঢুকাইছে।

ফ্যাক্ট-চেকিং আর হিউম্যানিজমের রিশতার কারনেই হয়তো জার্নালিজমের আর কতগুলা বেরান্চ বা ডাল থিকা নিজেরে জুদা করে। হালের ফ্যাক্ট-চেকিং খুবই ডিজিটাল-ভার্চুয়াল দুনিয়ার ঘটনা; অনলাইন মানুশজন, জারা একটা নয়া নামও পাইছে–নেটিজেন, তারা কোন একটা ইশুতে জখন খুব এনগেজড হইতে থাকে, কোন একটা কনটেন্ট জখন ভাইরাল হইতে থাকে, ফ্যাক্ট-চেকাররা তখন ঐ কনটেন্টে/ইশুতে নজর দেয়। তাতে একটা ভাইরাল ইশু আখেরে ফ্যাক্ট-চেকার অর্গানাইজেশনগুলার জন্ন ‘কিলিকবেইট’ হিশাবে কাম করে। নেট দুনিয়ায় উড়তে থাকা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারে এইভাবে নিজেদের ভাগটা পকেটে ভরতে পারেন ওনারা। ওনারা এইভাবে নেটিজেনদের ইউজ করেন এবং জেইগুলা ভাইরাল ইশু না, শেইগুলার কিলিকবেইট হবার পোটেনশিয়াল কম। এই ঘটনাটার কাভার হিশাবে ওনারা জার্নালিজমের আর কতগুলা ডাল থিকা ফ্যাক্ট-চেকিং-কে জুদা করেন। জেমন ধরেন, বাংলাদেশের র‍্যাব কোরোছফায়ারে একজনরে খুন কইরা পেরেছনোট দিলো, শেইটা ছাপাইলো একটা পোপার, র‍্যাবের ভার্শনটাই ছাপাইলো; এইটা কি ফ্যাক্ট-চেক করার মতো একটা ব্যাপার?

ফ্যাক্ট-চেকাররা কইতেছেন জে, না, এইটা ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজমের আওতায় পড়ে। এর মানে কি খাড়াইলো, ফ্যাক্ট-চেকিং-এ কি ইনভেস্টিগেশন নাই? আছে, তবু ঐটা কেন তার আওতার বাইরে? খেয়াল করেন, এমন একটা নিউজ মোটেই ভাইরাল হবার মতো কিছু না, একটা লোক মরছে, তার নিউজ, শেইটা মার্ডার কিনা, র‍্যাবের দাবিগুলা ঠিক কিনা, তার জাচাই তো করাই জাইতে পারে, কিন্তু এমন একটা কোরোছফায়ারের নিউজ কিলিকবেইট হিশাবে খুবই পচা! কিন্তু ধরেন, আমেরিকায় পুলিশের হাতে মারা জাওয়া একজন বেলাক মানুশ লইয়া খুব হুলাহুলি চলতেছে, শবাই দাবি করতেছে জে, ঐটা ঠান্ডা মাথার খুন, খুব গরম হইয়া উঠলো আমেরিকা, তখন ঐটার কিলিকবেইট হবার পোটেনশিয়াল বাইড়া গেল! তখন দেখা গেল জে, চেকাররা নামছে ফ্যাক্ট-চেকিং করায়, তখনই আর ঐটা ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজমের আওতায় থাকলো না জেন, ফ্যাক্ট-চেকিং’র আওতার বাইরে থাকলো না আর! ছো, টার্ম মাত্রই ফেলেক্সিবল, জেকোন টার্মকে অনেকদুর পর্জন্ত লম্বা করা জায় টাইনা!

এনিওয়ে, শমাজে বা রাশ্টে বাস্তবে টুরুথ কেমনে কাম করে, শেইটা আরেকটু বোঝা দরকার আমাদের, তাইলে আমরা হয়তো আনবেন্ডেবল ফ্যাক্টের বদলে বেন্ডি টুরুথ আরেকটু বেশি লাইক করতে পারবো। বেন্ডি টুরুথের বেস্ট নজিরটা পাইবেন আদালতে! এভিডেন্স বাছবিচার কইরা আদালত একটা রায় দেয়, শেই রায় ঘটনাটার একটা শাচ্চা চেহারা হাজির করে, শেই হিশাবে রায়টা দেয় কোন একটা আদালত। পরে দেখা গেল, আপিল হইছে, নয়া এভিডেন্স হাজির হইছে বা আগের এভিডেন্সের কতগুলা জিনিশ বানোয়াট! আপিলে তখন দেখা গেল জে, ঘটনাটার চেহারাই পাল্টাইয়া গেছে! আপিল জজ তখন ঘটনাটার আরেকটা ভার্শন বানাইয়া দেয়। তাইলে কোনটা টুরুথ? দুইটাই। এভিডেন্স জখন জেমন, ঘটনার চেহারাও তখন এভেইলেবল এভিডেন্স মোতাবেক। মানে জে কোন আদালতের জে কোন একটা রায় আশলে এভেইলেবল এভিডেন্স মোতাবেক একটা আন্দাজি টুরুথ এবং ঐটা বেন্ডেবল! তার মানে মর্ডান লিবারাল দুনিয়ার আদালত আশলে আন্দাজকেই টুরুথ হিশাবে পেশ করে এবং তার পাল্টাবার রাস্তা রাইখা দেয়! ফলে আদালত ফ্যাক্ট-চেকিং করে না, ঘটনার আনবেন্ডেবল কোন ভার্শন পেশ করে না, আশল ঘটনা অবিকল না জানার ব্যাপারটা মাইনা লইয়াই রায় দিতেছে আদালত।

আলটিমেট টুরুথ জানার দাবি না করাটা মানুশকে মানুশ হিশাবে বহাল রাখে। শমাজে মানুশ আলটিমেট টুরুথ না জাইনাই জিন্দেগি পার করে, হাচা-মিছার ফয়ছালা করে, ব্যাপারটা কন্ট্রাডিক্টরি মনে হইতে পারে, কিন্তু ঐটাই বাস্তব। মানুশের জন্ন টুরুথ আর বিবেকের কোন একটা শমঝোতা দরকার হয়।

দরকার হয়, জদি আমরা দুনিয়ায় মানুশের থাকাটা নর্মাল ভাবতে রাজি হই, বাইচা থাকাটা দরকারি ভাবি, বাচাইয়া রাখাটাও। ইতিহাশে বিবেক বাদে দিন-দুনিয়ারে বোঝার পয়লা এটেম্পট্ মনে হয় গৌতম বুদ্ধের, বুদ্ধ দেখলাম শোপেনহাওয়ারের পেয়ারা ভাবুক আছিলেন, শোপেনহাওয়ারের ভক্ত আছিলেন আবার নিৎশে। হেগেল থিকা বাইরাইতে শোপেনহাওয়ারের মদদ লইছেন হয়তো মার্ক্স। বুদ্ধের চিন্তা করতে বিবেক লাগে নাই, কিন্তু চিন্তা কইরা উনি জেইখানে হাজির হইলেন, তা আখেরে বিবেকের খুবই অবিকল একটা হালত পয়দা করে মনের (কামে বান্ধা না থাকতে চাওয়া আখেরে আরেকজনরে ব্যথা না দেবার দশায় পৌছায়!)। মার্ক্সও বিবেক বাদেই জেইখানে হাজির হইছেন, শোশন থিকা মুক্তির জেই ছাইন্টিফিক রাস্তা হাজির করলেন, শেইটাও বিবেকের ছাজেশনের লগে মেলে!

কেবল নিৎশেই বিবেকের ধার না ধাইরা পাগল হইছেন! বিবেক থিকা আজাদ হওয়া মানুশকে ঐ দশায় লইয়া জায় নিৎশের হিউম্যানিজম! মেটাফিজিক্স থিকা মানুশকে আজাদ করতে চাইছেন নিৎশে, পরে পুরানা মেটাফিজিক্স থিকা আজাদ হইয়া এক পার্ছোনাল মেটাফিজিক্স বানাইছেন, শামাজিক মেটাফিজিক্স থিকা বাইরাইয়া অমন পার্ছোনাল মেটাফিজিক্স জাপন করতে থাকারেই হয়তো শমাজ ‘পাগল’ হওয়া কয়!

মানুশ অতিরিক্ত চিন্তা করে, একটা বাঘের মতো খাইয়া আর লাগাইয়াই ঝিমাইতে থাকে না; তাই মানুশের আর্ট আছে, বাঘের নাই। আর্ট হইলো মেটাফিজিক্স, মেটাফিজিক্স তাই মানুশের পিরিডেছটিনেশন।

পচ্চিমে মানুশের এই ডিফল্ট ফিচার হয় লিবারালিজমের শিন্দুকে গোপন কইরা রাখে, অথবা অশিকার করে; খিরিস্টানিটির রিয়েকশন বানাইতে জাইয়া হয় ইছলামের আছর লুকায়, অথবা নিৎশে হইয়া ওঠে। এবং এই পচ্চিমের আছর এখন শারা দুনিয়ায়; তাই চিন্তার ব্যাপার এইটা।

কেননা, ঐ গোপনতা জেই আজাদির বাশনা পয়দা করে মনে, তা ইউটোপিয়া আর ইউফোরিয়ায় লইয়া জায় মানুশকে, আবার জখন অশিকার করে, তখন আরেকটা পার্ছোনাল মেটাফিজিক্স বানায়, আখেরে একটা ছুইছাইডাল বানায়, অথবা আরেকটা বানায় খুনি (আমেরিকা, ছুইডেনে ইশকুলে, মার্কেটে ঢুইকা হঠাৎ গুলি করতে থাকা মানুশগুলার কথা ভাবেন।)।

এইখানে আমার খাছলত আর তাকত মোতাবেক পেরায় না পড়া থিকাই দুয়েকজনের নাম লইতে চাইলো মন! নোয়া হারারি একজন; পোস্ট-মর্ডানিজম, ফেমিনিজম, মার্ক্সিজমের লগে জুদ্ধ করতে থাকা জর্ডান পিটারছেন আর বেন শাপিরো আছেন। ওনারা জাদের লগে জুদ্ধ করতেছেন, শেই লিবারালরা আছেন। ময়দানে ভাবনার জুদ্ধ করতে থাকা ঐ লোকগুলার ভিতর কমন কিছু ফিচার দেখতে পাই আমি, এই এতো দুর থিকা! হজরত পিটারছেনও আশলে লিবারাল, উনি ফিরিডম অব এক্সপ্রেশনের কথা জপতে থাকেন হরদম বা বেন শাপিরোও। ছো, ওনারা আশলে ইউটোপিয়াই করতে থাকেন, ফিরিডম ওনাদের ঐখানে লইয়া জায়, এইখানে নিৎশের মুরিদ ওনারা! আবার ওনাদের নিৎশের মুরিদ বইলা গালি দেওয়া লোকেরা আরো বেশি মুরিদ নিৎশের! কেননা, তারা মানুশের খোদা হইয়া ওঠার ওকালতি করতে থাকেন, তুমুল হিউম্যানিস্ট। মানুশের খোদা হইয়া ওঠাটা হারারি খেয়াল করছেন মনে হইলো। ওদিকে, ঐ দুই দলই আরেক দিক দিয়া মরালিস্ট আবার! ঐভাবে নিৎশে থিকা বাইরাইয়া জাইতেছেন আবার। আমি এই কন্ট্রাডিকশনের দিকেই নজর দিতে কইতেছি! এনারা শবাই মানুশকে বোঝাবুঝির বেলায় চিন্তার ইতিহাশে ইছলামের আছরটা হয় লুকাইছেন, নাইলে শত শত বছরের (রেনেছার পর থিকা, কুরুছেডের ফোবিয়া আর ঘেন্নার পয়জন হয়তো!) গোপনতার খাছলতের বেখেয়াল শিকার! ওনারা খিরিস্টানিটির রিয়েকশনে পয়দা হওয়া চরম হিউম্যানিজমের ছিপাই হইয়াও নিৎশেরে এড়াইয়া থাকতে চাওয়া টেরাজেডির নটনটি! হজরত পিটারছেন জেমন চিল্লাইতে থাকেন, ‘তোমার নিজের রুম ছাফ করো’; উনি মর্ডান (হিউম্যানিস্ট) মানুশের ছাইকো-ডায়াগনোছ করতেছেন তার দার্শনিক পাটাতনের তালাশ মুলতবি রাইখা! ফলে ডায়াগনোছিছ গলদ থাইকা জাইতেছে, উনি বাহানায় ভুলাইয়া বিজি রাখতে চাইতেছেন, ঐ মানুশেরা জাতে এক্সট্রা-লার্জ চিন্তার ফুশরতই না পায়! হজরত পিটারছেন আশলে একটা ললিপপ এবং এইটা তিতা লাগবে কতখন পরেই, এই ললিপপ ইউটোপিয়া থিকা নাজাত দিতে পারবে না ঐ মানুশকে! কেননা, ভাবনার জেই পাটাতন ঐ মানুশকে নিজের ম্যাগনিফাইড ছেল্ফ দেখায়, শেইটা শমান বহাল থাকতেছে, চরম আজাদির নেশা জিন্দাই থাকতেছে তলে তলে। বাস্তবে হজরত পিটারছেন আশলে পাওয়ারের ভাড়াটে টেমিং এজেন্ট হিশাবে কাম করতেছেন, গরিবেরা জাতে ডিস্টাব না করে, কিছু ধনি জাতে নিৎশের ছুপারহিউম্যান হবার দিকে আরামে আগাইতে পারে কদমে কদমে! ছ্যাডলি, এইটা হজরত পিটারছেনের এজেন্ডা না, কিন্তু ভুল ডায়াগনোছিছে জেই ভুল নিদান দিলেন উনি তার আখেরি ফলটা অমন হইয়া উঠতেছে আলগোছে!

মানুশকে তার ডিফল্ট ফিচারে জতোদিন না ভাববে ঐ পচ্চিম, ততোদিন ঐগুলা বাড়তে থাকবে, টেরাজেডির ফল ফলতে থাকবে এবং আমরাও শেই আছরের নিচে থাকতে থাকায় আমরাও ঐদিকে কদমে কদমে আগাইতেছি। আমাদের আজাদি দরকার পচ্চিমের হিউম্যানিজমের এই ফাপানো অথবা মিছা বেলুনের জেলখানা থিকা।

এলাহি ভরশা।

//জুন-জুলাই ২০২২
#রকমশাহেরবয়ান

পরের কিস্তি হিসাবে পড়তে পারেন এই লেখাটা:
ছুপারহিউম্যান

Series Navigationবেক্তি বনাম শমাজ বনাম রাশ্টো >>
The following two tabs change content below.
Avatar photo

রক মনু

কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →