Main menu

ফোরো ফারোখজাদের কবিতা

একই সময়ে যখন সাহিত্য ও কলা আর পেরায় সবকিছুই যখন পুরুষের আধিপত্যে, খুব কম নারী মাত্র কবি হিসাবে সম্মান পাইতেন, ইরানের কবি ফোরো ফারোখজাদ ঐসময় সেক্স আর সমাজের বাঁধা উপেক্ষা করি, একজন নারী কোনটা প্রকাশ করতে পারবে না পারবে, সেন্সুয়ালিটির লগে জড়িত সীমানা অতিক্রম করি সামনে আসেন।

নিউ ইয়র্ক টাইমের সূত্রে আমির আলী রিডজির লেখা থেকে জানতে পাই,
একজন রেডিও ইন্টারভিউয়ার ফোরো ফারোখজাদের লেখাকে মেয়েলি বলে চিহ্নিত করলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।

একজন সাহসী কবি হিসাবে তিনি অন্ধকারযুগের রীতিকে তুচ্ছ করি বলেন, “হিউম্যানিটিই আসল, নর কিংবা নারী হওয়া না”

বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আত্মরক্ষা করে, নারীর ভিতরের সত্তার লগে যুদ্ধ করে (যা ট্যাবু হিসাবে বিবেচিত) তাদের ইনটিমেট সিক্রেট, ডিজেয়ার, দুঃখ, কষ্ট আর একই সাথে ভালো লাগা-মন্দ লাগা যা অধিকাংশ নারীর নিরবতার ভিতরেই থাকি যায়, তা নিয়েই তিনি লেখালেখিতে হাজির হন। ওনার শারীরিক ও মানসিক অন্তরঙ্গতার প্রকাশ, যা ইরানী নারীদের কবিতায় অনুপস্থিত ছিল, তাঁরে সমালোচনার কেন্দ্রে বসায়, এমনকি ঐসময়কার বুদ্ধিজীবীদের মধ্যেও।

এসব কারণে তিনি নৈতিক অবক্ষয়সম্পন্ন নারী হিসাবেও চিহ্নিত ছিলেন।

ফোরা ফারোখজাদ শুধু একজন ইরানী কবিই নন, ফিল্ম ডিরেক্টরও ছিলেন। ফারোখজাদ নিঃসন্দেহে বিশ শতকের ইরানের সবচাইতে প্রভাবশালী কবিদের একজন। তিনি একজন বিতর্কিত আধুনিক কবি ও প্রথাবিরোধী ব্যক্তি। তাঁর জন্ম তেহরানে ১৯৩৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর। সাত ভাইবোনের মধ্যে তিনি একজন। তিনি নবম গ্রেড পর্যন্ত স্কুলে যান। এরপর পেইন্টিং ও সিলাইয়ের কাজ শিখেন মেয়েদের স্কুলে। ১৬ বছর বয়সে ওনার বিয়া হয় স্যাটেয়ারিস্ট পারভেজ শাপুরের লগে। বিয়ার পর ওনারা আহভাজে চলি গেলে এর একবছর পরে ওনার একমাত্র পোলার জন্ম হয়। দুই বছরের মধ্যে, ১৯৫৪ সালে, তাঁদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আর বাচ্চার কাস্টডি চলে যায় পারভেজের কাছে। এরপর ফারোখজাদ তেহরানে ফিরি আসেন কবিতা লিখতে আর ১৯৫৫ সালে “Captive” নামে তাঁর লেখার পয়লা ভলিউম প্রকাশ করেন।

শুরু থেকেই ফারোখজাদের লেখা একজন ডিভোর্সি, বিতর্কিত, শক্ত নারীকণ্ঠেের হওয়াতে নানান সমালোচনা ও সরাসরি বিরোধিতার শিকার হয়। ১৯৫৮ সালে নয়মাস তিনি ইউরোপে কাটান আর এ সময় ওনার মিট হয় ফিল্ম মেকার ও লেখক ইব্রাহীম গোলেস্তানের লগে, যিনি তাঁকে পুনরায় শক্তি জোগান তাঁর নিজস্বতা প্রকাশ ও স্বাধীন চলাফেরায়। তাবরীজে গিয়ে ইরানিদের লেপরোসিতে আক্রান্ত হওয়া নিয়ে ফিল্ম বানানোর আগে তিনি তাঁর লেখাগুলার দুইয়ের অধিক ভলিউম প্রকাশ করেন, “The Wall” ও “The Revelion” নামে। ওনার ১৯৬২ সালের “The House is Black” নামের এক ডকুমেন্টারি ফিল্ম বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড জয় করে। এসময় শ্যুটিংয়ের ১২ দিনের মধ্যে তিনি হোসাইন মনসুরির লগে এটাচড হন। তিনি ঐ পোলার পালক নেন, আর তারে পালতে তাঁর মার বাসায় নিয়ে যান। ১৯৬৩ সালে তিনি “Reborn” বইটা প্রকাশ করেন। আর তাঁর কবিতাও তখন স্বতঃস্ফূর্ত ও পরিপূর্ণ বিকাশ লাভ করে আর আগের ইরানি আধুনিক কবিতার লগে একটা স্বতন্ত্র পার্থক্য তৈয়ার করে নিজস্ব আসনে বসে।

এই তুখোর কবি মাত্র ৩২ বছর বয়সেই ফেব্রুয়ারী ১৩, ১৯৬৭ সালে মারা যান রোড এক্সিডেন্টে। এত অল্প বয়সে মারা গেলেও তিনি আবালবৃদ্ধবনিতা অনেকেরই প্রিয় হয়ে যান। তাঁর কবিতা গান, পেইন্টিংস আর প্রবন্ধ লেখারেও অনুপ্রাণিত করে। অথচ ইসলামী বিপ্লবের পরে তাঁর কবিতা পেরায় এক দশকেরও বেশি সময় নিষিদ্ধ আছিল। Nasser Saffarian তিনটা ডকুমেন্টারী তৈয়ার করেন ওনার উপর The Mirror of the Soul(2000), The Green Cold (2003),Summit of the Wave (2004) নামে।

ওনার কবিতা ইংরেজিতে তরজমা করেন Soleh Wolpe, Sin: Selected poems of Forough FarrokhZad, ,The Sad Little Fairy Maryam Dilmaghani। এছাড়াও গুগলে ছড়ানো ছিঁটানো অনেক জায়গা থেকে ওনার কবিতাগুলা পাইছি। ওনার কবিতার প্রকাশভঙ্গি আর অভিজ্ঞতায় নতুন ধরনের স্বাদ থাকাতে এক পড়াতেই ভালো লাগি যায় আমার। তো, খুঁজতে যাই দেখলাম বাংলায় মলয় রায় চৌধুরী ওনার কিছু কিছু কবিতা তরজমা করছেন। বিষয়বস্তুর দিক থেকে যদিও মোটামুটি ওগুলা আলাদাই আর ভাষার দিক থেকেও। ভালো লাগার জায়গা যেহেতু ব্যক্তিভেদে ভিন্ন, আমিও কিছু কবিতা তরজমা করলাম পড়তে যাই, হয়ত কারো না কারো ভালো লাগি যাবে। ইরানের মত জায়গায় বিশ শতকের একজন নারীর লেখায় এরকম ধার আর স্বতঃস্ফূর্ততা, আশা করি একদম ভিন্ন রকম একটা জার্নিই হবে কবিতাপ্রেমী যেকারোর জন্যে।

রাবিয়া সাহিন ফুল্লরা

পুনর্জন্ম

আমার পুরা অন্তর এক কুয়াশাচ্ছন্ন কবিতা—
যা তোমারে বারবার আওড়ায়ে এর মধ্য দিয়ে নিজেরে বয়ে নেয়
সেই চির উম্মোচিত আর কুসুমিত ফজরের দিকে।
এই কবিতায়, আমি তোমার নামে লম্বা দম ফেলি, আহ!
এই কবিতায়, আমি তোমারে কলম করি লাগাই গাছে, পানিতে আর আগুনে..

সম্ভবত জীবন এমন এক লম্বা পথ—
যা একজন মহিলা ঝুড়ি নিয়ে পার হয় প্রত্যেকদিন।
সম্ভবত জীবন এমন এক ছাদ—
যার লগে একটা পুঁথি থেকে নিজেরে ঝুলায়ে দিছে কোন পুরুষ।
সম্ভবত জীবন স্কুল থেকে বাড়িতে ফেরা এক শিশু।
সম্ভবত জীবন কোন সিগারেটের আগুন—
দুইজন পিরীতাহতের মধ্যকার জীবননাশক নিরবতা
অথবা সেই বিহবল পথ—
যা কোন পথিকেরে উষ্টা খাওয়ায়
আর কোন পথিকেরে ফাঁপা হাসিতে জানায়, সুপ্রভাত!

সম্ভবত জীবন সেই দমবন্ধ মূহূর্ত—
যখন আমার দিষ্টি নিজেই ধ্বংস হয়ে গেছিল তোমার চোখের পুতলিতে
আর তা এমন এক বোধ—
যা আমি মিলাইতে পারব চান্দের ধারণার লগে আর আন্ধারের শুভেচ্ছায়—
একটা রুমে কারোর নিঃসঙ্গতার পরিমাপে

আমার অন্তর
একজনের পিরীতের মাপে তাকায়ে আছে

নিজের সুখের মতন নরমাল ছুতার দিকে
ফুলের টবে ফুলের মনোরম কোমলতার দিকে
আমাদের পুষ্পশয্যায় রোয়া চারাগাছের দিকে
ক্যানারীদের গানের দিকে—যারা একটা জানলার আয়তন গায়

আহ!
এই আমার কপাল
এই আমার কপাল
আমার কপাল—
একটা আসমান, যা আমার থেকে লুট হওয়া একটা পর্দার পতন
আমার কপাল নামতেছে এক পরিত্যক্ত সিঁড়ি বাই
আর যোগ দিতেছে কিছু ক্ষয় আর স্মৃতিকাতরতার লগে
আমার কপাল স্মৃতির বাগানে এক নিরানন্দ হাঁটাহাঁটি
আর একটা ভয়েসের দুঃখে মরতে থাকা—
যা আমারে কয়:

“আমি তোমার হাত ভালোবাসি”

আমি আমার হাতরে রুয়ে দিব ফুলের বিছানায়
আমি গজাবো, আমি জানি, আমি জানি, আমি জানি
আর চড়ুইগুলা ডিম পাড়বে
আমার কালিমাখা আঙুলের শাখায় শাখায়
আমি ঝুলাবো আমার কান ঘিরে
জমজ লাল চেরীর এক জোড়া কানের দুল
আমি ডালিয়ার পাপড়ি রাখব আমার নখে

সেখানে এক সরুগলি আছে, ঐসব বালকেরা যেখানে খেলে
যারা আমার লাভার আছিল একসময়
অমনই আলুথালু চুল, পাতলা ঘাড় আর রোগা পায়ে—
আর এখনো ভাবে সেই ছোট্ট মেয়েটার নিষ্পাপ হাসির কথা—
যে এক রাতে বাতাসে উড়ি গেছিল

সেখানে এক সরুগলি আছে
যা আমার অন্তর চুরি করছে
আমার শৈশবের জায়গা থেকে
এই পরিমাণের জার্নি সময়ের লগে
আর এই পরিমাণ বাঁজা সময়রে পুরা করছে
একটা সচেতন সিনারীর স্বর—
একটা আয়নায় লীন হওয়া থেকে ফিরা—
এইভাবেই
কেউ মারা যায়
আর কেউ বাঁচি থাকে।
কোন জালিয়াই কিন্তু মুক্তা ধরে না
একটা খাদায় বইতে থাকা সামান্য ধুঁয়া থেকে

আমি চিনি
দরিয়ায় আলতো করে নরম হয়ে বইতে থাকা
এক দুঃখি মেছোকন্যারে—
তার অন্তর এক কাঠের বাঁশির মধ্যে
এক দুঃখি মেছোকন্যা–যে রাতে একটা চুমুতেই মরি যায়….

 

বাতাস আমাদের উড়ায়ে নিবে

আমার ছোট্ট রাইতে, আহ!
গাছের পাতার লগে বাতাসের ডেইট আছে যেন
আমার ছোট্ট রাইতে
ঐখানে ধ্বংসের গোঙানি শোনা যায়
শোনো, অন্ধকারের বইতে থাকা তুমি কি শুনতে পাও?
আমি এই পরম সুখের দিকে তাকায়ে থাকি কোন অপরিচিতার মতন
যেন আমি আমার হতাশায় এডিক্টেড হয়ে আছি

শোনো, অন্ধকারের বইতে থাকা তুমি কি শুনতে পাও?
কী যেন পার হয়ে যাইতেছে এই নিশিরাইতে
আর এই ছাদের মাথায়
অস্থির আর লাল হয়ে আছে চাঁদও
যেখানে ক্ষয়ে যাওয়া একটা চিরন্তন ডর
মেঘ—যেন বিলাপকারীদের শোকযাত্রার মতন
অপেক্ষা করতেছে বিষ্টি আসার সেই মূহূর্তটার জন্যে
একটা মূহূর্ত
আর
এরপরে কিছুই না
রাইত এই জানলার ভিতর দিয়েই কাঁপে
আর দুনিয়া পাক খায় একটা পরিণতির দিকে
এই জানলার ভিতর দিয়েই
যেন অজানা কিছু তোমারে আর আমারে নজরে রাখতেছে

ও সবুজ—মাথা থেকে পা পর্যন্ত,
একটা জলন্ত স্মৃতির মতন তোমার হাত রাখো
আমার কোমল হাতে,
তোমার ঠোঁট দাও
আমার নরম ঠোঁটের সোহাগে।
আর
এই উষ্ণ হওয়ার অনুভবের মতন করি
বাতাস আমাদের উড়ায়ে নিবে
বাতাস আমাদের উড়ায়ে নিবে।

 

রাইতের ঠান্ডা হাইওয়েতে

আমি কখনো আপসোস করি না,
এই রেজিগনেশনের বা
এই পেইনফুল সারেন্ডারের কথা মনে করি।
মূলত আমার কর্মের চূড়ান্তেই
আমি চুমা খাইছি আমার জীবনের ক্রুশে।

রাইতের ঠান্ডা হাইওয়েতে
কাপলগুলা সবসময় আলাদা হয় দ্বিধা লই
সেইখানে কোন শব্দ নাই,
জাস্ট বলতে থাকা ভয়েস,
গুডবাই, গুডবাই।

আমি আপসোস করি না।
এটা এমন—যেন আমার অন্তর বইতেছে
সময়ের বিপরীতে
জীবন আমার অন্তরের ইকো হবে
আর বাতাসের লেকে ভাসমান
হলুদ ডেইজির বীজ
আমারে পুনরায় তৈয়ার করবে।

তুমি কি দেখো ক্যামনে আমার স্কিন
এত সুন্দর ছড়াইছে?
ক্যামনে দুধ তৈয়ার হইছে আমার ব্রেস্টের ঠান্ডা নীল শিরাগুলাতে?
ক্যামনে রক্ত থেকে পেশী তৈয়ার হইতে নিছে
আমার সহনশীল কোমরে।

আমিই তুমি, তুমি—
আর একজন যে ভালোবাসে
একজন যারে হঠাৎ করি তারমধ্যে পাই
একটা বোবা কোদাল হিসাবে হাজারো অদ্ভুত অজানায়।
আমিই দুনিয়ার উম্মত্ত কামনা
যে, সব পানি চুষতেছি
জমিটারে পোয়াতী করবো বলে।

আমার দূরবর্তী স্বর শোনো
ভারী কুয়াশার মধ্যে ফজরের গজলের,
আর নিরব আয়নায় দেখো
ক্যামনে কিসের সাথে আমার হাত সরি যায়
আমি ছু্ঁই, একাধিকবার, সব স্বপ্নের গভীরতম আন্ধারে
আর একটা ব্লাডস্টেইনের মতন জীবনের ইনোসেন্ট সমৃদ্ধিতে
দাগ কাটি আমার অন্তরে।

আমি আপসোস করি না।
ডার্লিং, কথা কও আমার
অন্য আমার লগে
একই পিরীতিকাতর চোখে
যাকে তুমি আবার পাইবা রাইতের এই ঠান্ডা হাইওয়েতে।
আর আমার কথা ভাইবো তার পীড়িত চুমুতে,
তোমার চোখের তলদেশের মিষ্টি কথায়।

 

কোনো একজন যে অন্যকারো মতো না

আমার একটা স্বপ্ন আছে—
কেউ একজন আসতেছে
একটা লাল তারার স্বপ্ন দেখছি আমি
আমার চোখের পাপড়িগুলা তখন পিটপিটাইতেছিল
আর আমার জুতাগুলা খটখটায়ে মনোযোগ চাইতেছিল
কসম! আমি যেন আন্ধা হয়ে যাই
যদি আমি মিছা কই..
আমি স্বপ্ন দেখছি ওই লাল তারার
যখন আমার ঘুম আসে নাই
কেউ আসতেছে
কেউ আসতেছে
বেটার কেউ

এমন কেউ, যে অন্যকারোর মতো না
না বাবার মতো
না ওয়াসির মতো
না ইয়াহিয়ার মতো
না মায়ের মতো
আর সে তেমনই হবে যেমনটা সে
তার হাইট সন্দ্বীপের বাড়ির চারপাশের গাছেদের চাইতেও বেশি
তার ফেইস মাহদীর ফেইসের চাইতেও ব্রাইট
আর এমনকি সে সায়িদ জাভেদের ভাই—যিনি পুলিশে যোগ দিছেন আর উর্দিও পরছেন, তার ভয়েও ভীত না
আর এমনকি সায়িদ জাভেদের ভয়েও ভীত না—
যে আমাদের বাড়ির সব রুম দখল করি রইছে
আর তার নাম আম্মা ঠিক যেরকম কইছে
দোয়ার একদম শুরুতে আর একদম শেষে—
হয় “বিচারকের বিচারক”
নয় ” দরকারের দরকার”
আর চোখ বন্ধ অবস্থায়ই সে
পড়তে পারে থার্ড গ্রেড বইয়ের সব কঠিন শব্দ
আর
আর এমনকি সে বিশ মিলিয়ন থেকে এক হাজারে যাইতে পারে ভাবি
একটু একটু করে আগায়ে আসা ছাড়াই
আর সে সায়িদ জাভেদের স্টোর থেকে যা দরকার ধারেই কিনতে পারে।
আর সে কিছু একটা করতে পারে যাতে নিয়ন খোদার চিহ্ন— যা ছিল ভোরের মতন সবুজ,
যা আবারো ঝলমলাবে বায়তুল মোকাররম মসজিদের আকাশে।

.
কী ঝকঝকা আলো!
কী ঝকঝকা আলো!
আমি ইয়াহিয়ার জন্যে
ঘোড়ার গাড়ি আর হারিকেন পাইতে চাই খুব
আর আমি খুব চাই ইয়াহিয়ার ঘোড়ার গাড়িতে মেলনের মাঝখানে বসে
মোহাম্মদপুর ঘুরে বেড়াইতে।

.
এই জায়গার চারপাশে ঘুরা যে কী আনন্দের!
এই ছাদের উপরে ঘুমানো যে কী আরামের!
মেল্লী পার্কে যাওয়াটাও যে কী আনন্দের!
পেপসি খাইতে যাওয়াও যে কী আনন্দের!
ফারদিনের মুভি যে কী দারুণ!
আর আমি যে কী পছন্দ করি এইসব ভালো জিনিস
আর আমি খুব চাই
সায়িদ জাভেদের মাইয়ারে টানতে।

কেন আমি এত ছোট—
যে বড়রাস্তায় হারাই যাইতে পারি?
কেন আমার বাপজান হারাইবো না বড়রাস্তায়—
যে এতটা ছোট না
এমন কিছু করো যাতে এই লোক
যে আমার স্বপ্নে হাজির হইছে
সে আমারে বড় করি দিতো পারে
আর কসাইঘরের লোকজনের আর চারপাশের
যেখানে এমনকি তাদের বাগানের সমস্তটা রক্তাক্ত
আর এমনকি উঠানের কোণায় থাকা পুকুরের পানিও রক্তাক্ত,
এমনকি তাদের জুতার তলা পর্যন্ত রক্তে চপচপায়
কেন তারা কিছু করতেছে না?
কী অলস শীতকালীন এই সূয্যের আলো!

আমি ছাদের সিঁড়িটা ঝাড়ু দিই দিছি
আর আমি জানলাগুলাও ধুই দিছি
ক্যামনে বাপজান স্বপ্নে আসলেন
শুধুমাত্র এই ঘুমেই?
আমি ছাদের সিঁড়িটা ঝাড়ু দিই দিছি
আর আমি জানলাগুলাও ধুই দিছি।

কেউ একজন আসতেছে
কেউ একজন আসতেছে
কেউ একজন—যে আন্তরিকতা থেকেই আছে আমাদের লগে
তার নিঃশ্বাসেই আছে আমাদের লগে
তার স্বরেই আছে আমাদের লগে

কেউ একজন—যে আসতেছে
তারে থামানো যাবে না
হাতকড়া পরানো বা জেলেও দেওয়া যাবে না
কেউ একজন যে জন্ম নিতেছে
ইয়াহিয়ার পুরান কাপড়ের তলে
আর দিনে দিনে
বড় হয় আর হইতেই থাকে
কেউ একজন আসতেছে বিষ্টি থেকে
বিষ্টিতে কাদা ছিটানির শব্দ থেকে
পেন্টোনিয়া গাছগুলার ফিসফিসানি থেকে
কেউ একজন আসমান থেকে আসতেছে
তুফখানি স্কয়ারে
আতশবাজির রাইতে
টেবিল ক্লথে ছড়ায়ে পড়তে
আর রুটিরে ভাগ করতে
আর পেপসি বিলি করি দিতে
আর মেল্লি পার্করে ভাগ করতে
আর হুপিং কফ সিরাপ বিলি করতে
আর রেজিস্টেশান ডে তে স্লিপ বিলি করতে
আর সবাইকে হসপিটালের ওয়েটিং রুমের নাম্বার দিতে
আর রাবার বুট বিলাইতে
আর ফারদিনের মুভির টিকিট বিলি করতে
আর সায়িদ জাভেদের মাইয়ার জামা বিলাইতে
আর বিলাইতে যা যা বেচা হয় নাই
আর এমনকি আমাদের শেয়ার আমাদেরকে দিতে
আমার এমনই একটা স্বপ্ন আছে।

 

লাল গোলাপ

লাল গোলাপ
লাল গোলাপ
লাল গোলাপ

আমারে সে একটা গোলাপের বাগানে নিয়ে গেলো
আন্ধারে, একটা গোলাপ খুঁচি দিলো আমার চুলে
তারপর
একটা লাল গোলাপের পাপড়িতে সে আমারে সোহাগে মাতাইলো!

ও অবশ পায়রাসোনারা,
কুমারী বাঁজা গাছেরা, আন্ধা জানলাসকল!
দেখো! আমার কইলজার ভিত্রে, আমার তলপেটে
একটা লাল গোলাপ ফুটতে নিছে।

লাল গোলাপ
লাল,
একটা বিপ্লবের পতাকার মতন–লাল!

(ইশ) একটা বাবু!
একটা বাবু(আমার পেটে)!

 

পাখিটা মরি যাইতে পারে

আমার দুঃখ লাগে
আমার নিরাশ লাগে

আমি বাইরে যাই আর
গুমোট রাইতের নরম খোলসে ঘষি
আমার উদাসীন আঙুলগুলারে

আমি দেখি যে যোগাযোগের সব আলোই আন্ধার হয়ে আছে
আমাদের সাথে রিলেইট করার সব লেইনই ব্লকড হয়ে আছে

কেউ আমারে পরিচয় করাবে না সূয্যের লগে
কেউ আমারে নিবে না পায়রার ভীড়ে

এই পাখিরে মনে রাইখো
পাখিটা মরি যাইতে পারে…

 

উপহার

আমি তোমারে আন্ধারের শেষমাথা থেকে নিশিরাইতের কথা কইতেছি
আর ঘুটঘুইট্টা ছায়ার গা ছমছমানির কথা।

ডার্লিং! যদি তুমি আমারে দেখতে আসো
আমারে একটা হারিকেন আনি দিও
আর একটা জানলা কাটি দিও কইলাম।

আমি তাকায়ে থাকতে পারমু তাইলে
হ্যাপি লেইনের হৈচৈমুখর ভীড়ের দিকে।

 

গুটানো পুতুল

এর চাইতে বেশি, হুম
এর চাইতে আরো বেশি চুপও থাকতে পারে কেউ।

মরা মাইনষের মতন
একটা স্থির চাউনি লই
কেউ ঘন্টার পর ঘন্টা তাকায়ে থাকতে পারে
একটা সিগারেট থেকে ওঠা ধুঁয়ার দিকে
একটা কাপের গড়নের দিকে
কম্বলের উপরে থাকা একটা ফ্যাকাশে ফুলের দিকে
দেয়ালের উপরে থাকা একটা ঝাপসা স্লোগানের দিকে।

ভাঁজওয়ালা আঙুলে
কেউ সরাইতে পারে এই পর্দা
আর দেখতে পারে
এই চিকনগলির ভারী বিষ্টি পড়া,
দরজায় দাঁড়ায়ে একটা বাচ্চার
রঙিনঘুড়িগুলা গুটায়ে নেয়া,
আর হৈচৈমুখর কোন ভিড়ে
একটা লক্করঝক্কর মালগাড়ির
মগবাজার ছাড়ি যাওয়া।

এই পর্দার পাশে
পাথর হয়ে দাঁড়াইতে পারে কেউ
এমনকি আন্ধা আর বয়রা হয়েও।

পুরাই মিছামিছি আর একদম দূরের হয়েও কেউ
হাউকাউ করতে পারে “ভালোবাসা” কই।
কোন পুরুষের চড়ানো বুকে
হতে পারে কেউ চলনসই সুন্দর নারী।

চামড়ার টেবিলক্লথের মতন গতর লই
দুইটা বড় আর শক্ত ব্রেস্ট লই
একটা মাতাল, উম্মাদ আর টোটোকোম্পানির লগে বিছানায় যায়ও
পবিত্র ভালোবাসারে কলঙ্ক দিতে পারে কেউ।

চতুরামি করি কেউ নিচে নামতে পারে
যত গভীর রহস্যের।
কেউ ধরি ফেলতে পারে শব্দের চালাকি,
সহজেই আবিষ্কার করতে পারে আজাইরা উত্তর;
আজাইরা উত্তর, হুমম, পাঁচ নয়ত ছয় লেটারের।

ঝোঁকানো মাথায়
একটা কবরের ঠান্ডা সোনালি গিরিলের সামনে
কেউ একটা জীবন জী-হুজুর করিই কাটায়ে দিতে পারে।
কেউ খোদারে বিছরায়ে পাইতে পারে কোন নামহীন কবরে।
অচল পয়সার লোভে
কেউ যেকারোর বিশ্বাস নিয়ে ব্যবসা করতে পারে।
সফরের নামাজের কোন পুরানা মুসল্লির মতন
কেউ কোন মসজিদের কোণায় বসি নরম হইতে পারে।
শূন্যের মতন অটল হইতে পারে কেউ
যোগ, বিয়োগ বা গুণ করার পরও।
তাদের রাগের মূহূর্তে
কেউ তোমারে ভাবতে পারে, এমনকি তোমার চোখেরেও।
তাদের বাতিল জুতার মতন আজাইরা সময়ে
কেউ কারো বেসিনে পানির মতন শুকায়েও যাইতে পারে।

শরমে
কেউ আড়াল করতে পারে
কখনো একলগে থাকার সুন্দরতা।
আজার মইধ্যে
একটা পুরাতন, মজার চাউনিওয়ালা স্ন্যাপশটের মতন
কোনদিনের খালি ফেরেমে কেউ দেখাইতে পারে
কোন ফাঁসি, কুরুশারোহণ বা কোন আত্মাহুতির ছবি।
কেউ দেয়ালে মুখোশ দিয়ে দোরাকাউয়াটারে ঢাকি দিতে পারে।
আবার কেউ এসবের চাইতে আরো ফাঁপা কোন ছবির লগেও মানায়ে নিতে পারে।

গুটানো পুতুলের মতন হইতে পারে কেউ
আর দুনিয়ার দিকে তাকাইতে পারে কাঁচের চোখ দিয়ে।
লেইস আর রঙচঙ লাগায়ে
কেউ বছরের পর বছর মিছাকথাও কইতে পারে।
একটা লাশ
কফিনের ভিতর খড়ে মোড়ায়ে
কামের তাড়নায় টাচ করতে করতে
একদম হুদাহুদিও কেউ
হাউমাউ করি কইতে পারে
“আহ, আমি কত সুখি রে!”

 

বন্দিনী

তোমারে চাই, অথচ আমি এটাও জানি
কখনো আমার কইলজার লগে লাগায়
তোমারে আজা করি ধরতে পারব না আমি।
তুমি ত ঐ ফরসা আর ফকফকা আসমান
আর আমি, এই খাঁচার কোণায় থাকা একটা বন্দি পাখি।

ঠান্ডা আর অন্ধকার বারগুলার পিছন থেকে
তোমার দিকে আমার ছলছল চোখে তব্ধ হয়ে তাকানো আমি
ভাবি, একটা হাত আমার দিকে আগায়ে আসতে পারে
আর আমি আচমকা আমার দুইটা ডানা ছড়ায়ে দিতে পারি তোমার দিকে।

আমি কোন অবহেলার মূহূর্তের কথা ভাবি,
যখন এই দমবন্ধ খাঁচা থেকে উড়ি যাইতে পারব,
খাঁচাওয়ালার মুখের দিকে তাকায়ে হাসব আর চিরতরে এ জীবন ছাড়ি
তোমার লগে আমি বিছরাবো একটা নতুন জীবন।

আমি এইসবই ভাবি, অথচ আমি জানি
এক মরা ছাড়া, আমি কখনোই পারব না এই খাঁচা ছাড়ি যাইতে।
এমনকি যদি এই খাঁচাওয়ালাও চায় আমারে যাইতে দিতে
দম বা বল কোনটাই আমার নাই আর উড়ার জন্যে।

বারগুলার পিছন থেকে, প্রতিটা সুন্দর সকাল দেখি আমি
দেখি, আমার বাবুর চোখ গুলা আমার দিকে তাকায়ে মিটমিটায়ে হাসে
আর যখন আমি একটা খুশির গান শুরু করি
তার ঠোঁটগুলা ননাই করতে আগায়ে আসে আমার দিকে।

ও দরদের আসমান, যদি একদিন আমি
এই দমবন্ধ খাঁচা থেকে উড়ি যাইতে চাই
আমি আমার জাদুর ভিজা চোখের দিকে তাকায়ে কী বলবঃ
“আমি বন্দি পাখি আছিলাম রে, আমারে রেহাই দে?”

আমি ত সেই মোমবাত্তি, যে তার অন্তর জ্বালায়ে
একটা ধ্বংসাবশেষরে আলোকিত করে,
আর যদি আমি দমবন্ধ অন্ধকারের কাছে যাইতে চাই,
আমি ত আমার ঘরের কাছেই নাই হয়ে যাব রে।

 

লেটার অন

একদিন আমার মউত আসবে
হতে পারে এটা উজ্জ্বল, বসন্তের কোন ভোর
হতে পারে দূরবর্তী শীতের কোন সইন্ধ্যা
অথবা খুব সম্ভবত কুয়াশার,
বা তুষারপড়া গুমোট কোন রাইত

ঐদিন বিষণ্ন,
ঝলমল অথবা মেঘলাও হতে পারে, তবুও
এটা হবে বাকিসব দিনের মতন
একটা ফাঁপা দিন
ফিউচারের একটা মিথ্যা রচনা
অতীতের একটা পিকচার

ঐ দিন,
অন্ধকার গুহার মতন হবে আমার চোখ
ঠান্ডা মার্বেলের মতন হবে আমার ফেইস
আর আমারে নেয়া হবে
একটা চটজলদির ঘুমের জন্যে
আমার রঙিন সব স্বপ্ন পিছনে ফেলি

আমার হাতগুলা ফ্যাকাশে হয়ে যাবে
আমার কাব্যিকতা খাঁচা ছাড়ি পলাবে
আমার রূহ তার শেষ লাইনের কম্পনেই হারায় যাবে
আর তারপর, সেখানে না থাকবে কোন দুঃখ, ব্যথা আর চোট

এই দুনিয়া,
একনাগাড়ে আমার নাম ধরি ডাকবে
এইভাবেই তারা পৌঁছাবে আমারে কবরে রাখতে
ওহ, বেবাক রাইতে সম্ভবত আমার লাভার যারা
কিছু ফুল রাখবে আমার কবরের উপ্রে

তারপর,
আমার দুনিয়ার গাঢ় ছায়াটা
হঠাৎ করেই দূরে সরি যাবে
আর ভরা চান্নি পসরে, এক রাইতে
অপরিচিতজনেরা পড়বে আমার কবিতা

কোন এক কড়কড়া রইদের দিনে,
তারা আমার ছোট্ট রুমে হাঁটাহাঁটি করবে
আমার স্মরণে
এরপর আমার আয়নাতে তখনও
তারা দেখবে এক গোছা চুল
জীবনের অনেক অনেক চিহ্ন
আমার আঙুলের ছাপসকল

আমার আত্মা—
একটা পালতোলা নৌকার মতন
এইটা আমার গতর থেকে আমারে মুক্ত করি পলাবে
চোখের সীমানা থেকে জাস্ট নাই হয়ে যাব আমি
একটা ছন্নছাড়া ঘুড়ির মতন, অপার ভ্রমণে।

দিন এত জলদি সপ্তা হয়ে যাবে
আর সপ্তা এত দ্রুত মাস হয়ে যাবে যে
তোমরা ঘড়ির চোখে পলকহীন তাকায়েই থাকবা
মিছামিছি অপেক্ষা করবা
আমার চিঠির, আমার কলের।

বাট এরপরও,
আমার লাইফলেস বডি শান্তভাবেই রেস্ট নিবে
তোমাদের থেকে
তোমাদের অন্তরের খোঁয়াড় থেকে, দূরে
মাটির শব্দহীন আজায়।

পরে
এই সূয্য, এই বাতাস আর এই বিষ্টি
আমার কবরের ঠান্ডা পাথরগুলারে পলিশ করি দিবে
আর সবশেষ আমি মুক্ত হবো
একেবারে মুক্ত হবো
পুনরায় ফিরি আসার মিথ,
নাম আর যশের বাইরে।

 

The following two tabs change content below.
Avatar photo

ফুল্লরা

পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
Avatar photo

Latest posts by ফুল্লরা (see all)

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →