Main menu

ফিকশন হইলো ফ্রিডম – সুসান সনট্যাগ

This entry is part 16 of 27 in the series ইন্টারভিউ সিরিজ

সুসান সনট্যাগের জন্ম ১৯৩৩ সালের জানুয়ারিতে, নিউ ইয়র্ক সিটিতে। লেখালিখি, ফিল্ম বানানো, থিয়েটার, পলিটিকাল অ্যাক্টিভিজম- সবকিছুই করছেন। বেশ ছোট থাকতেই উনার বাবা মারা গেছিলেন, মাও দূরে দূরেই থাকতেন। আনহ্যাপি চাইল্ডহুড পার করছেন বই পইড়া, নিজের ম্যাগাজিন বানায়া। পনের বছর বয়সে হাইস্কুল পাশ কইরা বার্কলিতে ঢুকেন, পরে শিকাগো ইউনিভার্সিটিতে চইলা আসেন। ওইখানে লিটারেচার পড়তে গিয়া উনি সেরা কয়েকজন টিচারের মেন্টরশিপ পান, উনি পরে যাদেরকে উনার ইনফ্লুয়েন্সও ধইরা নিছেন। ১৯৫১ সালে গ্র্যাজুয়েট করার পর হার্ভার্ডে লিটারেচার আর ফিলোসফিতে পোস্টগ্র্যাজুয়েশন করেন। এরপর কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি, সারাহ লরেন্স কলেজ, হার্ভার্ডে উনি রিলিজিয়ন আর ফিলোসফি পড়াইছেন। প্রথম নভেল দা বেনেফ্যাক্টর (১৯৬৩) বের হওয়ার পর উনি পড়ানো ছাইড়া দেন, কারণ উনার কাছে একসাথে একাডেমিক লাইফ আর লেখালিখি চালানোটা বেমানান মনে হইছিল।

সনট্যাগের এসেগুলা মডার্ন কালচারের ম্যালা দিকগুলারে সিরিয়াস ফিলোসফিকালভাবে দেখে। পার্টিসান রিভিউতে পাবলিশড নোটস অন ক্যাম্প (১৯৬৪) এসেতে উনি আর্টকে নতুন ভাবে চিনাইছেন, আর্টের বিভিন্ন মিথরে ডিবাংক করছিলেন। এই লেখাটা দিয়া উনি আরো পরিচিত হইছিলেন, মাদমোজেল ম্যাগাজিনের মেরিট অ্যাওয়ার্ড পাইছিলেন। স্টাইলস অফ র‍্যাডিকাল উইল এ উনি পর্নোগ্রাফিকে লিটারেচারের আলাদা একটা ক্যাটেগরিতে ফেলার ইম্পর্ট্যান্স নিয়া লিখছেন। দা বেনেফ্যাক্টর এর আগে উনি পার্টিসান রিভিউ, নিউ ইয়র্ক রিভিউ অফ বুকস এর মত পিরিওডিকালের জন্য এসে লিখতেন, যেগুলা পরে এগেইনস্ট ইন্টারপ্রিটেশন (১৯৬৬) এ পাবলিশড হইছে। উনি এইটাতে বলছেন, “ক্রিটিসিজমের কাজ হইলো দেখানো যে আর্টটা আসলে কেমন। আর্টের পিছের মিনিং দেখানো ক্রিটিসিজমের কাজ না।” উনার পরের নভেল ডেথ কিট (১৯৬৭) এর পরে বেশ বড়সড় গ্যাপের পর ভলকানো লাভার (১৯৯২) আর ইন আমেরিকা (১৯৯৯) পাবলিশড হয়, দুইটাই হিস্টোরিকাল নভেল। এর মাঝে এসে লিইখা গেছেন, স্টাইলস অফ র‍্যাডিকাল উইল (১৯৬৯), অন ফটোগ্রাফি (১৯৭৭), আন্ডার দা সাইন অফ স্যাটার্ন (১৯৮০),ইলনেস অ্যাজ মেটাফোর (১৯৭৮)। ইলনেস অ্যাজ মেটাফোর লেখার সময় উনার ক্যান্সার ছিল, নিজের লাইফের এক্সপিরিয়েন্স আর এইডসের কথা এইটাতে উইঠা আসছে।

উনি ট্রাভেলিং কইরা বেড়াইতেন। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় দুই সপ্তাহ নর্থ ভিয়েতনামে থাকছিলেন। সেই এক্সপিরিয়েন্স নিয়া লিখছিলেন ট্রিপ টু হ্যানয় (১৯৬৯)। ইন্টারভিউ নেয়ার সময় বসনিয়া যুদ্ধ চলতেছিল, উনি সারায়েভোতে বারবার যাওয়া আসা করতেছিলেন, কন্ট্রিবিউট করতেছিলেন। সারায়েভোর সিজের সময় উনি ওইখানের একটা থিয়েটারে একটা নাটক নামাইছিলেন, যদিও সেই এরিয়াতে সাড়ে তিন বছর ধইরা কারেন্ট অফ করা ছিল, তাই মোমবাতি জ্বালায়া কাজ করতে হইছিল। উনারে সেইখানকার অনরারি সিটিজেনশিপ দেয়া হয় আর ২০১০ সালের দিকে সারায়েভোতে ন্যাশনাল থিয়েটার চত্বরের নাম উনার নাম অনুসারে রাখা হয়।

ক্রিটিসিজম আর ফিকশন লেখার পাশাপাশি নাটক আর ফিল্মেও উনি সমানভাবে ইন্টারেস্টেড ছিলেন। ’৬৭ সালের ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভালে জুরর ছিলেন, নিজেও কয়েকটা ফিল্ম বানাইছেন- ডুয়েট ফর ক্যানিবালস (১৯৬৯), ব্রাদার কার্ল (১৯৭১), প্রমিজড ল্যান্ডস (১৯৭৪)। ন্যাশনাল বুক ক্রিটিক সার্কেল অ্যাওয়ার্ড, ম্যাকআর্থার ফেলোশিপ, ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ড, জেরুসালেম প্রাইজসহ বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড পাইছেন। সনট্যাগ ২০০৮ সালে ৭১ বছর বয়সে ক্যান্সারে মারা যান।

/রূপকথা নাওয়ার, ২০২২

ইন্টারভিউয়ার: আপনি লেখালেখি কবে শুরু করছেন?

সুসান সনট্যাগ: শিওর না। কিন্তু মনে আছে, নয় বছর বয়সে আমি সেল্ফ-পাবলিশিং শুরু করছিলাম। চার-পাতার একটা মাসিক নিউজপেপার বের করছিলাম, বিশ কপি বানায়া আশেপাশের মানুষের কাছে পাঁচ পয়সা দামে বেচতাম। আমি যা যা পড়তাম, ওইসবের সাথে মিলায়া জিনিসপাতি লিখতাম। কয়েক বছর ধইরা এই পেপারটা চলছিল। মনে পড়তেছে, ওইটাতে গল্প, কবিতা আর দুইটা নাটক ছিল, একটা ক্যারেল চাপেকের আর.ইউ.আর, আরেকটা এডনা সেইন্ট ভিন্সেন্ট মিলের আরিয়া দে কাপো থেকে ইন্সপিরেশন নিয়া লেখা ছিল। যুদ্ধটুদ্ধর বর্ণনাও দিতাম- মিডওয়ে, স্তালিনগ্রাদের। তখন ধরেন ১৯৪২, ১৯৪৩, ১৯৪৪ সাল চলতেছিল- তাই আমি আসল নিউজপেপার থেকে দেইখা সাবধানে ছোট কইরা লিখতাম।

ইন্টারভিউয়ার: এই ইন্টারভিউটা আমাদের বারবার পোস্টপোন করা লাগছে কারণ আপনারে বারবার সারায়েভোতে যাওয়া লাগতেছে। আপনি আমারে বলছেন, এই ট্রিপগুলা আপনার জন্য পুরা অন্যরকম এক ধরণের এক্সপিরিয়েন্স হয়া গেছে। তো ভাবতেছিলাম যে আপনার কাজ আর জীবনে যুদ্ধ ব্যাপারটা বারবার কেমনে আসে।

সনট্যাগ: বারবার আসতে থাকে। আমেরিকার বোমাবাজির সময়ে আমি দুইবার নর্থ ভিয়েতনামে গেছিলাম। প্রথমবার যাওয়ার পরে ট্রিপ টু হ্যানয় এ আমার এক্সপিরিয়েন্স লিখছিলাম, আর যখন ১৯৭৩-এ ইয়ম কিপুর যুদ্ধ শুরু হইলো, আমি প্রমিজড ল্যান্ডস ফিল্ম বানাইতে ইজরায়েল গেছিলাম, ফ্রন্ট লাইনে ছিলাম। বসনিয়া আসলে আমার দেখা থার্ড যুদ্ধ।

ইন্টারভিউয়ার: ইলনেস অ্যাজ মেটাফোর এ আপনি মিলিটারি মেটাফোর ইউজ করারে ধুয়ে দিছেন। দা ভলকানো লাভার-এর ন্যারেটিভ ক্লাইম্যাক্সটা যুদ্ধের ভয়াবহতার একটা ভয়ানক রিটেলিং। আর আমি যখন আপনারে আমার এডিট করা ট্রান্সফরমিং ভিশনঃ রাইটার্স অন আর্ট বইটাতে কন্ট্রিবিউট করতে কইলাম, আপনি গয়ার দা ডিজাস্টারস অফ ওয়ার নিয়া লিখলেন।

সনট্যাগ: যুদ্ধের মধ্যে ট্রাভেল করাটা একটু অড লাগতে পারে। আমি একটা ট্রাভেলার ফ্যামিলি থেকে আইছি, এইটা শুইনাও ব্যাপারটা সবার কাছেই অড লাগতে পারে। আমার বাপ নর্দান চায়নার একজন পশম ব্যবসায়ী ছিলেন। জাপানিজ ইনভেশনের সময় উনি ওইখানেই মারা গেছিলেন, আমার বয়স তখন পাঁচ বছর। আমার মনে আছে, ১৯৩৯ এর সেপ্টেম্বরে আমি “বিশ্বযুদ্ধ” এর ব্যাপারে শুনছিলাম। আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে, আমার ক্লাসের বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল স্প্যানিশ সিভিল ওয়ারের একজন রিফিউজি। আমার মনে আছে ১৯৪১ এর ৭ ডিসেম্বর কী প্যানিকটা করতেছিলাম। আমি একটা ফ্রেজ নিয়া প্রায়ই ভাবতাম, সেইটা হইলো “ঝামেলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত”- যেমন “ঝামেলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত মাখন পাওয়া যাবে না”। এই ফ্রেজটা যে কী অড, কেমন অপটিমিস্টিক, তখন এইগুলা নিয়া চিন্তাভাবনা করাটারে এনজয় করতাম।

ইন্টারভিউয়ার: রাইটিং ইটসেলফ-এ, রলা বার্থরে নিয়া আপনি লিখছিলেন যে আপনি উনার লেখার একটা ব্যাপারে সারপ্রাইজড, সেইটা হইলো উনার কোন লেখাতেই উনি যুদ্ধ শব্দটাও মেনশন করেন নাই – যেইখানে উনার বাপ ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড ওয়ারের প্রথম দিকের একটা যুদ্ধে মারা গেছিলেন (বার্থ তখন একদম বাচ্চা), আবার উনি নিজেও জার্মানির অকুপেশন, সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ারের সময় বাঁইচা ছিলেন। কিন্তু আপনার লেখাতে যুদ্ধের কথা প্রায়ই উইঠা আসে।

সনট্যাগ: আমি এইটার উত্তর এমনে দিতে পারি – একজন রাইটার দুনিয়ার দিকে অ্যাটেনশন রাখেন।

ইন্টারভিউয়ার: আপনি একবার প্রমিজড ল্যান্ড নিয়া লিখছিলেনঃ “আমার সাবজেক্ট হইলো যুদ্ধ, আর যেই যুদ্ধ ধ্বংস আর মৃত্যুর জঘন্য শিওরিটি দেখায় না, সেইটা একটা ডেঞ্জারাস মিথ্যা।”

সনট্যাগ: এইরকম ডিক্টেটর মার্কা টোন শুইনা একটু ক্রিঞ্জ খাইলাম, কিন্তু… হ্যাঁ।

ইন্টারভিউয়ার: আপনি কি সারায়েভোর যুদ্ধের ব্যাপারে লিখতেছেন?

সনট্যাগ: না। মানে, এখনো না, প্রবাবলি একটা লম্বা টাইমের জন্য না। এসে বা রিপোর্টের মত কইরাও লিখব না। আমার ছেলে ডেভিড রিফ আমার আগে থেকেই সারায়েভোতে যাতায়াত করতেছে, স্লটারহাউজ নামে এরকম একটা এসে-রিপোর্ট পাবলিশ করছে। বসনিয়ান জেনোসাইড নিয়া ফ্যামিলিতে একটা বই-ই যথেষ্ট। তাই আমি সারায়েভো নিয়া লিখার জন্য ওখানে যাইতেছি না। ওখানে আপাতত যত বেশি আমার পক্ষে থাকা পসিবল- উইটনেস করার জন্য, মাতম করার জন্য, কন্ট্রিবিউট করার জন্য। রাইটারের ডিউটি থেকে না, একজন মানুষ, যে রাইট কাজে বিশ্বাস করে, তার যেই ডিউটিগুলা থাকে, সেইখান থেকে।

ইন্টারভিউয়ার: আপনি কি সবসময় রাইটার হইতে চাইছিলেন?

সনট্যাগ: আমার যখন ছয় বছর বয়স, আমি ইভ কুরির (মাদাম কুরির মেয়ে) লেখা মাদাম কুরির বায়োগ্রাফি পড়ছিলাম, তো তখন প্রথমে কেমিস্ট হইতে চাইছিলাম। তারপর চাইল্ডহুডের একটা লম্বা সময় আমি ডাক্তার হইতে চাইছিলাম। এরপরে লিটারেচার আমারে খায়া দিলো। আমি আসলে সব ধরণের লাইফ লিড করতে চাইছিলাম, আর লেখকের লাইফটারে সবচেয়ে ইনক্লুসিভ মনে হইছিল।

ইন্টারভিউয়ার: রাইটার হিসাবে আপনার কি কোন রোল মডেল ছিল?

সনট্যাগ: অফ কোর্স আমি নিজেরেলিটল উইমেন এর জো ভাবতাম। কিন্তু জো যা লিখত আমি ওইটা লিখতে চাইতাম না। তারপর মার্টিন ইডেন-এ আমি একজন রাইটার-ক্যারেক্টার পাইলাম যার লেখার সাথে আমি নিজেরে আইডেন্টিফাই করতে পারছিলাম, তাই আমি তখন মার্টিন ইডেন হইতে চাইছিলাম, অবশ্যই জ্যাক লন্ডন তারে যেই বিশ্রি ফিউচার দিছিল ওই পার্ট বাদে। আমি নিজেরে একজন হিরোইক ‘স্বশিক্ষিত’ মানুষ হিসাবে দেখতাম (আই গেস আমি ছিলামও)। লেখালেখির লাইফের প্যারা নেওয়ার জন্য ইন্টারেস্টেড ছিলাম। রাইটার হওয়ারে আমি হিরোইক কাজ ভাবতাম।

ইন্টারভিউয়ার: অন্য কোন মডেল?

সনট্যাগ: পরে আমার বয়স যখন তের বছর, আমি আন্দ্রে জিদের জার্নালগুলা পড়লাম, যেইখানে সেরা সেরা প্রিভিলেজ আর প্যাশনের কথা লিখা ছিল।

ইন্টারভিউয়ার: আপনার কি মনে আছে কখন থেকে আপনি পড়তে শুরু করেন?

সনট্যাগ: আমি যতদূর জানি, তিন বছর বয়স থেকে। যাইহোক, আমার মনে আছে, ছয় বছর বয়সে আমি আসল বই পড়া শুরু করি- বায়োগ্রাফি, ট্রাভেল বুক। তারপর পো, শেক্সপিয়ার, ডিকেন্স, ব্রন্টে, ভিক্টর হুগো, শোপেনহাওয়ার, প্যাটার ধরি। আমার চাইল্ডহুড লিটারেচারের আনন্দ দিয়া পার করছি।

ইন্টারভিউয়ার: আপনি নিশ্চয় অন্য বাচ্চাদের তুলনায় আলাদা ছিলেন।

সনট্যাগ: ছিলাম কি? আমি ভান ধরতেও ওস্তাদ ছিলাম। নিজেরে নিয়া এতকিছু ভাবতাম না, আরও ভালো কিছুতে থাকতে পাইরা খুব খুশি থাকতাম। কিন্তু আমি অন্য জায়গায়ও যাইতে চাইতাম। বই পইড়া আমি শিওরভাবে আমার আলাদা ব্লিসফুল দুনিয়ায় চইলা যাইতে পারতাম। বই পড়া আর মিউজিকের জন্য আমার ডেইলি এক্সপিরিয়েন্স এমন ছিল, আমি এমন এক দুনিয়ায় থাকতাম যেখানে আমি যেসব জিনিস দিয়া নিজেরে ব্যস্ত রাখতাম, সেইসব জিনিসরে মানুষ চুদতও না। আমার মনে হইত আমি অন্য গ্রহ থেকে আইছি, যেন আমি ওই যুগের ইনোসেন্ট কমিক বুক্ (এইটাও আমার নেশা ছিল) থেকে উইঠা আসা কোন ফ্যান্টাসি। অফ কোর্স মানুষ আমারে কোন নজরে দেখে এইটা নিয়াও আমার তেমন একটা সেন্স ছিল না। আসলে, আমি কখনো ভাবিই নাই যে মানুষ আমারে নিয়া ভাবতেছে। মনে আছে, আমার তখন চার বছর বয়স, পার্কে একবার আমার আইরিশ ন্যানি মাড় দেয়া সাদা ইউনিফর্মের একজনরে কইতেছিল, সুসান খুবই ‘হাই-স্ট্রাং’ (সেন্সিটিভ)। আমি তখন ভাবতেছিলাম, শব্দটা তো বেশ ইন্টারেস্টিং। আমি কি আসলেই তাই?

ইন্টারভিউয়ার: আপনার পড়াশোনা নিয়া কিছু বলেন।

সনট্যাগ: পাবলিক স্কুলেই পড়ছি, একেকটা স্কুল আগেরটার চেয়ে বাজে ছিল। কিন্তু চাইল্ড সাইকোলজিস্টদের যুগের আগেই স্কুল স্টার্ট করতে পাইরা লাকি ছিলাম। লিখতে পড়তে পারার আগেই আমারে ক্লাস থ্রিতে উঠায়া দিছিল, পরে আরেকটা সেমিস্টার স্কিপ করায়া দিল, তো আমি পনের বছর বয়সেই নর্থ হলিউড হাই স্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েট কইরা বের হয়া গেলাম। এরপর বার্কলিতে সেরা একটা এডুকেশন পাইলাম, তারপর শিকাগো ইউনিভার্সিটির সো কল্ড হাচিনস কলেজে পড়লাম, পরে হার্ভার্ড আর অক্সফর্ডে ফিলোসফিতে মাস্টার্স করলাম। পঞ্চাশের দশকের বেশিরভাগ সময় আমি স্টুডেন্টই ছিলাম। আমার এমন কোন টিচার ছিল না যার কাছ থেকে আমি কিছু শিখি নাই। আমার সব ভার্সিটির মধ্যে সবচেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট শিকাগো ইউনিভার্সিটির টিচারদের আমি খুব রেস্পেক্ট করি- তিনজনকে আমি গ্রেটফুলি আমার ইনফ্লুয়েন্স মনে করিঃ কেনেথ বার্ক, রিচার্ড ম্যাককিওন, আর লিও স্ট্রাউস।

ইন্টারভিউয়ার: টিচার হিসাবে বার্ক কেমন ছিলেন?

সনট্যাগ: কোন টেক্সট বুঝার জন্য উনার নিজের একটা কমপ্লিটলি ফ্যাসিনেটিং তরিকা ছিল। এক বছর ধইরা উনি আমাদের ক্লাসে কনরাডের ভিক্টরি ওয়ার্ড বাই ওয়ার্ড পড়াইছেন। বার্কের কাছ থেকে আমি পড়তে শিখছি। উনি যেমনে শিখাইছেন আমি আজও তেমনেই পড়ি। উনি আমারে নিয়া ইন্টারেস্টেড ছিলেন। হিউম্যানিটিজ-৩ কোর্সে উনারে টিচার হিসাবে পাওয়ার আগেই উনার কয়েকটা বই আমি পড়ছিলাম। খেয়াল কইরেন, উনি তখনো অত চেনাশোনা ছিলেন না আর কখনো কোন আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট পান নাই যে কীনা হাইস্কুলে থাকতেই উনার লেখা পড়ছে। উনি আমারে উনার লেখা টোওয়ার্ডস আ বেটার লাইফ নভেলটার এক কপি দিছিলেন, বিশের দশকে হার্ট ক্রেন আর জুনা বার্নসের সাথে গ্রিনউইচ ভিলেজে অ্যাপার্টমেন্ট শেয়ারিং নিয়া কাহিনি শুনাইছিলেন- বুঝেনই তো, শুইনা আমার কী অবস্থা হইছিল। উনিই প্রথম মানুষ ছিলেন যার লেখা বইয়ের কপি আমার কাছে আগে থেকেই ছিল। (অবশ্য আমি টমাস মানরে চৌদ্দ বছর বয়সে দেখছিলাম, কিন্তু আমি একা ছিলাম না, অডিয়েন্স ছিল আমার সাথে। এই কাহিনি আমি পিলগ্রিমেজ গল্পটাতে বলছি।) রাইটাররা আমার কাছে মুভি স্টারের মতই দূরের ছিল।

ইন্টারভিউয়ার: আপনি আঠার বছর বয়সে শিকাগো ইউনিভার্সিটি থেকে বি.এ. করছেন। আপনি কি ততদিনে জানতেন যে আপনি রাইটার হবেন?

সনট্যাগ: হ্যাঁ, কিন্তু তাও আমি গ্র্যাজুয়েট স্কুলে গেছি। আমার মাথায় এইটা আসেই নাই যে আমি রাইটার হিসাবে নিজেরে সাপোর্ট করতে পারব। আমি একজন গ্রেটফুল, লক্ষ্মী স্টুডেন্ট ছিলাম। আমি ভাবছিলাম পড়ায়া আমি খুশি থাকব, আর ছিলামও। অফ কোর্স, লিটারেচার না, ফিলোসফি আর ধর্মের ইতিহাস শিখানোর জন্য নিজেকে কেয়ারফুলি প্রিপেয়ার করছিলাম।

ইন্টারভিউয়ার: কিন্তু আপনি তো কেবল আপনার টোয়েন্টিজ পর্যন্তই পড়াইছেন, আবার ইউনিভার্সিটিতে পড়ানোর একগাদা অফারও না কইরা দিছেন। আপনি কি এইজন্য না করছেন কারণ আপনি মনে করেন যে একইসাথে একজন একাডেমিক আর ক্রিয়েটিভ রাইটার হওয়া বেমানান?

সনট্যাগ: হ্যাঁ। বেমানানের চাইতেও বাজে। আমি দেখছি কেমনে একাডেমিক লাইফ আমার জেনারেশনের বেস্ট রাইটারদের শেষ কইরা দিছে।

ইন্টারভিউয়ার: আপনারে ইন্টেলেকচুয়াল কইলে কি আপনি মাইন্ড করেন?

সনট্যাগ: আমারে কেউ কিছু বলুক এইটাই তো পছন্দ করি না। শব্দটা আমার কাছে নাউনের চাইতে এডজেক্টিভ হিসাবেই বেশি সেন্স মেক করে – যদিও, এমনে বলাটা অনেকের কাছে বিশ্রিভাবে অড লাগতে পারে, বিশেষ কইরা মানুষটা যদি নারী হয়। এইটা দেইখা আমি আমার আইডিওলজির প্রতি আরো কমিটেড হই – বর্তমানে চলতেছে এমন অ্যান্টি-ইন্টেলেকচুয়াল ক্লিশের অপোজিশন করি, যেমন- হার্ট ভার্সাস হেড, ফিলিং ভার্সাস ইন্টেলেক্ট, আরো কত কী।

ইন্টারভিউয়ার: আপনি কি নিজেরে ফেমিনিস্ট ভাবেন?

সনট্যাগ: এই লেবেলটা অবশ্য আমি মাইন্ড করি না। তারপরেও… এইটা কি একটা নাউন? মনে হয় না।

ইন্টারভিউয়ার: নারী রাইটারদের মধ্যে কারা আপনার কাছে ইম্পর্ট্যান্ট?

সনট্যাগ: অনেকেই। সেই সোনাগন, অস্টেন, জর্জ এলিওট, ডিকিনসন, উল্ফ, স্ভেতিভা, আখমাতোভা, এলিজাবেথ বিশপ, এলিজাবেথ হার্ডউইক… লিস্ট এইটার চেয়েও বড়। কালচারের দিক থেকে দেখলে নারীরা হইলো মাইনরিটি। আমার মাইনরিটি কনশাসনেস দিয়া আমি সবসময়ই নারীদের এচিভমেন্টে খুশি হই। রাইটারের কনশাসনেস দিয়া আমি যেকোন রাইটাররেই রেসপেক্ট করি, উনি নারী হোক বা পুরুষ।

ইন্টারভিউয়ার: লেখালেখির যেই মডেলই আপনারে ছোটবেলায় ইন্সপায়ার কইরা থাকুক, আমার মনে হয় বড় হয়া আপনার লেখালেখির ঝোঁকের আইডিয়াটা আমেরিকানের চেয়ে ইউরোপিয়ান বেশি।

সনট্যাগ: শিওর হয়া বলতে পারতেছি না। আমার মনে হয় এইটা আমার প্রাইভেট একটা ব্র্যান্ড। টোয়েন্টিথ সেঞ্চুরির সেকেন্ড হাফে আইসা প্রবাসী না হয়াও আমি ইউরোপে আমার এডাল্ট লাইফের একটা বড় অংশ কাটাইতে পারছিলাম, ইউরোপের প্রতি ভালোবাসা দেখাইতে পারছিলাম। এইটাই আমার আমেরিকান হওয়ার তরিকা। গার্ট্রুড স্টাইন যেমন কইছিলেন, “শিকড় থাইকা লাভ কী যদি আপনি এই শিকড়গুলারে আপনার সাথে নিতে না পারেন?” শুনতে জিউ-ইশ লাগলেও এইটা খুবই আমেরিকান একটা কথা।

ইন্টারভিউয়ার: আপনার থার্ড নভেল দা ভলকানো লাভার রে আমার কাছে বেশ আমেরিকান লাগে, যদিও কাহিনিটা এইটিন্থ সেঞ্চুরির ইউরোপের।

সনট্যাগ: এইটা আমেরিকানই। একজন আমেরিকান বাদে কেউ দা ভলকানো লাভার লিখতে পারত না।

ইন্টারভিউয়ার: দা ভলকানো লাভার এর সাবটাইটেল হইলো “একটা রোমান্স”। এইটা (নাথানিয়েল) হথর্নের রেফারেন্স, তাই না?

সনট্যাগ: এক্স্যাক্টলি। হথর্ন উনার দা হাউজ অফ সেভেন গেবেলস এর প্রিফেসে যা কইছিলেন ওইটা নিয়া ভাবতেছিলাম, “যখন একজন রাইটার নিজের কাজরে রোমান্স কয়, এইটা বুঝাই যায় যে উনি কাজটার ফ্যাশন আর ম্যাটেরিয়াল, দুই দিক থেকেই একটা সার্টেইন এরিয়া দাবি করতে চান। উনি যদি একটা নভেল লিখতেন, এইটুকু ভাবার অধিকার উনার আছে বইলা মনে করতেন না। আমার ইমাজিনেশন নাইনটিন্থ সেঞ্চুরির আমেরিকান লিটারেচার দিয়া মার্ক করা- ফার্স্টে পো দিয়া, যারে আমি অল্প বয়সে বালপাকনা অবস্থায় পড়ছিলাম, যার লেখাতে ইমাজিনেশন, ফ্যান্টাসি আর নিরাশার মিক্সচার আমারে জাদু কইরা রাখছিল। পোর গল্প এখনো আমার মাথায় ঘুরে। তারপর হথর্ন আর মেলভিল দিয়া মার্ক করা হইছে। আমি মেলভিলের অবসেসিভনেসরে ভালোবাসি। ক্লারেল, মোবি-ডিক। আর পিয়েরে- একজন একাকী হিরোইক রাইটারের ভয়াবহ ফেইলিওরের কাহিনি।

ইন্টারভিউয়ার: আপনার প্রথম বই দা বেনেফ্যাক্টর তো একটা নভেল ছিল। এরপর থেকে আপনি এসে, ট্র্যাভেল কাহিনি, গল্প, নাটক, সাথে আরো দুইটা নভেল লিখছেন। আপনি কি কখনো এক ফর্মে লেখা শুরু কইরা আরেক ফর্মে চেঞ্জ করছেন?

সনট্যাগ: না। শুরু থেকেই আমি সবসময় জানি কোনটা কী হবে, আমার জন্য লেখার প্রত্যেকটা ওয়েভ একটা ফর্মের আইডিয়া থেকে আসে। শুরু করতে হইলে আমার শেইপটা থাকা লাগবে, আর্কিটেকচারটা লাগবে। নাবোকভের চাইতে ভালো আমি বলতে পারব নাঃ “কোনো জিনিসের প্যাটার্ন জিনিসটার আগে আসে”।

ইন্টারভিউয়ার: রাইটার হিসাবে আপনি কেমন ফ্লুয়েন্ট?

সনট্যাগ: আমি প্রায় এফোর্ট ছাড়াই, বেশ জলদিই উইকেন্ড আর দুই সামার জুইড়া দা বেনেফ্যাক্টর লিইখা শেষ করছি (আমি কলম্বিয়া কলেজের রিলিজিয়ন ডিপার্টমেন্টে পড়াইতেছিলাম); ভাবছিলাম একটা মজার সিনিস্টার কাহিনি কইতেছি যেইটা নস্টিসিজম নামের কিছু বিশেষ নাফরমানী ধর্মীয় আইডিয়ার ফিউচারের কথা বলে। প্রথমদিকের এসেগুলাও সহজেই আসছিল। কিন্তু আমার এক্সপেরিয়েন্সে রাইটিং এমন এক এক্টিভিটি যেইটা প্র্যাকটিসের সাথে সহজ হয় না। উল্টাটা হয়।

ইন্টারভিউয়ার: আপনার জন্য কোনকিছুর শুরু কেমনে হয়?

সনট্যাগ: সেন্টেন্স দিয়া শুরু হয়, ফ্রেজ দিয়া শুরু হয়, তারপর আমি ধরতে পারি যে কিছু আসতেছে। বেশিরভাগ সময় এইটা একটা ওপেনিং লাইন হয়। কিন্তু মাঝে মাঝে আমি উল্টা ক্লোজিং লাইনরে শুনতে পাই।

ইন্টারভিউয়ার: আপনি একচুয়ালি লিখেন কেমনে?

সনট্যাগ: আমি একটা ফেল্ট-টিপ পেন দিয়া লিখি, বা মাঝেমাঝে পেন্সিল দিয়া, হলুদ বা সাদা লিগাল কাগজে- আমেরিকান রাইটারদের ফেটিশ যেইটা। হাতে লেখার স্লো ব্যাপারটারে আমি পছন্দ করি। তারপর আমি টাইপরাইটারে টাইপ কইরা সেই কাগজে দাগাই। তারপর রিটাইপ করতে থাকি, হাতে লিইখা আর টাইপরাইটারে সরাসরি টাইপ, দুইভাবেই কারেকশন করি, যতক্ষণ না আমার মনে হয় যে এইটারে এর চেয়ে বেটার আর করা পসিবল না। পাঁচ বছর আগ পর্যন্ত এমনেই চলতেছিল। এরপর থেকে আমার লাইফে কম্পিউটার আসছে। সেকেন্ড বা থার্ড ড্রাফটের পর এইটা কম্পিউটারে যায়, তাই আমি পুরা ম্যানুস্ক্রিপ্ট রিটাইপ করি না। কম্পিউটার থেকে প্রিন্ট করায়া হার্ডকপিগুলা হাতে নিয়া রিভাইজ করি।

ইন্টারভিউয়ার: এমন কিছু কি আছে যা আপনাকে লেখালেখি শুরু করতে হেল্প করে?

সনট্যাগ: পড়া- যেইটা আমি যা লিখতেছি বা লেখার আশা করতেছি তার সাথে রেয়ারলি রিলেটেড। আমি আর্ট হিস্টোরি, আর্কিটেকচারাল হিস্টোরি, মিউজিকোলজি, ম্যালা সাব্জেক্টের একাডেমিক বই পড়ি। আর কবিতা। শুরু করাটা অনেকটা লেখালেখিরে পিছায়া দেয়া, পইড়া আর মিউজিক শুইনা পিছায়া দেয়া, যেইটা আমারে জাগায়া তুলে আবার রেস্টলেস কইরা তুলে। না লিখা নিয়া গিল্টি ফিল করা।

ইন্টারভিউয়ার: আপনি কি ডেইলি লিখেন?

সনট্যাগ: না। হুটহাট লিখি। আমি লিখি যখন আমার লিখতেই হবে, কারণ ভিতরে প্রেশার বাড়ে, আর যখন আমি যথেষ্ট কনফিডেন্ট ফিল করি যে মাথার ভিতরে কিছু ম্যাচিউর হইছে, আমি লিখতে পারব। কিন্তু যখন লেখালেখি চলতে থাকে, আমার আর অন্যকিছু করতে ইচ্ছা করে না। বাইরে যাই না, বেশিরভাগ সময় খাইতে ভুইলা যাই, খুব কম ঘুমাই। এইটা কাজ করার খুবই আনডিসিপ্লিনড ওয়ে, আমারে বেশি প্রোডাক্টিভও বানায় না। কিন্তু আমি অন্য অনেককিছু নিয়া একটু বেশিই ইন্টারেস্টেড থাকি।

ইন্টারভিউয়ার: ইয়েটসের একটা ফেমাস কথা আছে যে মানুষরে তার লাইফ আর কাজের মধ্য থেকে চুজ করতেই হবে। আপনার কি এইটারে সত্যি মনে হয়?

সনট্যাগ: উনি আসলে কইছিলেন যে একজনরে লাইফের পারফেকশন আর কাজের পারফেকশনের মধ্য থেকে চুজ করতেই হবে। ওয়েল, লেখালিখিই তো লাইফ – অদ্ভুত ধরণের একটা লাইফ। অফ কোর্স, আপনি যদি লাইফ মানে অন্য মানুষের সাথে লাইফরে বুঝেন, তাইলে ইয়েটসের কথাটা সত্যি। লেখালেখির জন্য বড়সড় একটা সময় একা থাকা লাগে। এই চয়েসটার হার্শনেসরে কমাইতে আমি সবসময় লিখি না। আমি বাইরে যাইতে পছন্দ করি – যেইটার মধ্যে ট্রাভেলিং পড়ে; আমি ট্রাভেল করার সময়ে লিখতে পারি না। আমি কথা বলতে পছন্দ করি। আমি শুনতে পছন্দ করি। আমি দেখতে পছন্দ করি। মেইবি আমার এটেনশন সারপ্লাস ডিজর্ডার আছে। আমার জন্য দুনিয়ার সবচাইতে সহজ কাজ হইলো এটেনশন দেয়া।

ইন্টারভিউয়ার: আপনি কি লিখতে লিখতে রিভাইজ করেন? নাকি পুরা একটা ড্র‍াফট শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওয়েট কইরা পুরাটা একসাথে রিভাইজ করেন?

সনট্যাগ: আমি লিখতে লিখতে রিভাইজ করি। করতে মজাই লাগে। অধৈর্য হই না। কোনকিছু মনমত না হওয়া পর্যন্ত আমি ওইটার উপর বারবার কাজ করতে রাজি। শুরুগুলাই কঠিন হয়। আমি সবসময়ই ভয় আর টেনশনের সাথে শুরু করি। নিৎশে কইছেন যে লেখালেখি শুরু করার ডিসিশন নেয়াটা একটা ঠাণ্ডা পুকুরে ঝাঁপ দেয়ার মত। লেখার তিন ভাগের এক ভাগ লিইখা শেষ করার পর আমি ধরতে পারি যে লেখাটা ভালো হইছে কীনা। তারপর আমার কাছে তাসগুলা আসে আর আমি আমার চাল দিতে পারি।

ইন্টারভিউয়ার: ফিকশন লিখা আর এসে লিখার মধ্যে কি কোন ডিফারেন্স আছে?

সনট্যাগ: এসে লিখাটা সবসময়ই প্যারা লাগছে। এগুলা অনেকগুলা ড্রাফটের মধ্য দিয়া যায়, আর দেখা যায় শেষে যেইটা বাইর হইছে ওইটার সাথে ফার্স্ট ড্রাফটের রিলেশন প্রায় নাই বললেই চলে; বেশিরভাগ সময় এসে লিখতে লিখতে চিন্তাভাবনা চেঞ্জ কইরা ফেলি। ফিকশন আরো সহজে আসে, এই সেন্সে যে শেষে যা আসবে সেইসব জিনিসপাতি ফার্স্ট ড্রাফটেই থাকে- টোন, ভোকাবুলারি, পেইস, প্যাশন।

(টু বি কন্টিনিউ…)

Series Navigation<< সমাজের উন্নতি করা বা সমাজ পরিবর্তনের উপায় বাতলাইয়া দেওয়া ক্রিটিসিজমের কাজ না – হ্যারল্ড ব্লুম (পার্ট ১)উডি এলেনের ইন্টারভিউ: সমস্যা হইতেছে ক্রিয়েটিভ হওয়ায় কিছু গ্ল্যামার আছে >>
The following two tabs change content below.
Avatar photo

রপকথা নাওয়ার

জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →