Main menu

উডি এলেনের ইন্টারভিউ: সমস্যা হইতেছে ক্রিয়েটিভ হওয়ায় কিছু গ্ল্যামার আছে

This entry is part 17 of 27 in the series ইন্টারভিউ সিরিজ

উডি এলেন কে?

অনুবাদকের ভূমিকায় উডি এলেনের পরিচয় না দিলেও কি চলতো?। উডির উইকি পেইজে গেলেই তার সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়। কিন্তু তাও আমি দুইটা কারণে সংক্ষেপে পরিচয় দিচ্ছি।

প্রথমত, উইকিপিডিয়ায় পাওয়া যাবে না অথচ এই বইয়ের জন্য প্রাসঙ্গিক- এমন কিছু তথ্য শেয়ার করা।
দ্বিতীয়ত, এই ইন্টারভিউটার কন্টেক্সট ও গুরুত্ব সহজে বোঝা যাবে। বোঝা যাবে কেন প্যারিস রিভিউর মতো প্রভাবশালী ম্যাগাজিন তাদের হিউমারিস্টদের ইন্টারভিউ সিরিজ- ‘আর্ট অফ হিউমার’-এর শুরুটা কেন উডি এলেনকে দিয়া করছে।

এ্যামেরিকান ফিল্ম কমেডির সবচে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের একজন উডি এলেন।

ইনসিকিউরড, নার্ডি ও সোশ্যালি অকওয়ার্ড কমিক ক্যারেক্টারের যে গ্রহণযোগ্যতা বা নব্বয়ের দশক থেকে ‘কুল’ হয়ে ওঠা, কিংবা ২১ শতকের বিগ ব্যাং, সিলিকন ভ্যালি কিংবা এই টাইপ সিটকমে প্রচুর জনপ্রিয় ও স্বাভাবিক হয়া ওঠা- সেইটা তৈরিতে, ৭০ আর ৮০’র দশকের উডি এলেনের ভূমিকা কম না। বাংলাদেশি কমেডিতে বা কমিক টেম্পারমেন্টে হুমায়ূন আহমেদের চুটকিমূলক হিউমারের ব্যাপক যেমন প্রভাব, এ্যামেরিকায়, বিশেষভাবে, সমাজের মিসফিট বা ইনসিকিউরড চরিত্রওয়ালা কমেডিতে কাছাকাছি ধরণের প্রভাব উডি এলেনের।

এলেন স্টুয়ার্ট কনিগসবার্গ ওরফে উডি এলেন ফিল্মমেকার হিসেবে মশহুর। যদিও স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান, লেখক, ফিল্ম-মেকার, নাট্যকার –ইত্যাদি অনেকগুলা পরিচয় তার আছে। আরেকটা খ্যাতি অল্প বয়সী নারীদের সঙ্গে প্রেম, যার একটা বড় অংশ স্ক্যান্ডালাস এবং উডির সিনেমাতেও সেইসব সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসি ও নিউরোসিসের প্রতিফলন আছে।

সেক্স ও আর্ট বাদে, উডি এলেনের মুভির চরিত্ররা জীবনের অর্থ বা মানে নিয়া সবচাইতে বেশি কথা বলে। ফিল্ম, নাটক বা লেখা সবগুলা ফর্ম মিলায়ে জীবনের মানে বা মুল্যের ব্যাপারে তার বানানো চরিত্রদের কোনো কন্সিসটেন্ট পজিশন আছে কি? অহরহ জোক, রোমান্টিক প্রেম বা আর্টের থ্রুতে নিজেরে এক্সপ্রেস করার বাসনা আর স্ট্রাগল থাকা সত্ত্বেও, আমি মনে করি, উত্তরটা ‘হ্যা।’

আর সেইটা হইতেছে, জীবন গভীরভাবে অর্থহীন একটা ঘটনা। এই বইয়ে আলাপচারিতাতেও তার এমন জীবন দর্শনের কিছু ছাপ পাওয়া যাবে। উডির বেশিরভাগ মুভিতে মৃত্যু বারবার ঘুরে ফিরে আসে। যদিও মৃত্যুর ব্যাপারে তার মন্তব্য কী এই প্রশ্নের জবাবে প্রায়ই বলেন, ‘আইম স্ট্রংলি এগেইন্সট ইট’। কোনো কিছু নিয়া উডির অবসেশন থেকে থাকলে সেইটা হইতেছে জীবনের অর্থহীনতা ও মৃত্যু।

কে এম রাকিব
মে, ২০২২, মিরপুর ১১.৫, ঢাকা।

নিউ ইয়র্করা জানেন, উডি এলেন তাদের উদ্ভট বাসিন্দাদের একজন- ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে নিকস [১] দেখেন, সোমবার সন্ধ্যায় মাইকেল’স পাবে ক্লারিনেট বাজান, এলেইন’স রেস্টুরেন্টের টেবিলে মাঝেমধ্যেই হাজির হন। অথচ তারে আউটগোয়িং বলা কঠিন, লাজুক স্বভাবের উডি তার লেখায় জরায়ুতে ফিরে যাওয়ার তীব্র ইচ্ছা প্রকাশ করছেন- যে কারও জরায়ুতে। অনেকগুলা মিডিয়ামে উডির সৃষ্টির সংখ্যা অনেক- সাহিত্য, থিয়েটার, সিনেমায়। যদিও তিনি একবার বলছেন, ‘আমি একজন কাজপাগল লোক। যেকোনো মুহূর্তে যা আমি করতেছি না, ওইটা করতেই আমার সবচে ভালো লাগে’।

এলেনের কমেডি ক্যারিয়ার শুরু হইছে তরুণ বয়সে একটা এড এজেন্সিতে জোক সাবমিট করার মাধ্যমে। ১৯৫৩ সালে, তার ভাষায় ‘কলেজের নিষ্ফলা একটা বছর শেষে স্কুল ছেড়ে’ দেন উডি। আশা ছিলো গ্যারি মুর আর সিডে সেজারের টিমের জোক লেখক হবেন। ষাইটের দশকে গ্রিনউইচ ভিলেজ ক্লাবে [২] তার স্ট্যান্ডআপ শোগুলা তারে ভাল পরিচিতি আইনা দেয়, এবং টিভিতেও কয়েকবার পারফর্ম করেন। ১৯৬৫ সালে, তিনটা সফল কমেডি রেকর্ড প্রডিউস করার পরে, অভিনেতা ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে এলেনের অভিষেক হয়, ‘হোয়াটস নিউ, পুসিক্যাট?’ সিনেমায়।

১৯৬৯ সালের, ‘টেইক দ্য মানি এন্ড রান’ তার প্রথম সিনেমা যেইটার খালি লেখক বা অভিনেতাই না, পরিচালকও উডি। তার শুরুর দিকের সিনেমাগুলা (ব্যানানাজ, স্লিপার, লাভ এন্ড ডেথ) যদিও ক্রিটিকদের প্রশংসা পাইছে, ১৯৭৭ সালে এ্যানি হল, – যেইটা চারটা একাডেমি এওয়ার্ড পায়, – রিলিজের পরপরই উডি এলেন আমেরিকান সিনেমার অসাধারণ একজন নির্মাতা হিসাবে স্বীকৃতি পাইতে শুরু করেন৷

সেই থেকে আরও ১৫টা ফিল্ম বানাইছেন, যেন প্রতিবছর একটা করে মুভি নামাইতেছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকটা নাটকও লিখছেন যার মধ্যে সবচেয়ে সফল ডোন্ট ড্রিংক দ্য ওয়াটার এবং প্লে ইট এগেইন, স্যাম, থেকে মুভিও বানানো হইছে।

এলেন তিনটা ছোট হিউমারের বই – গেটিং ইভেন, উইদাউট ফিদারস, ও সাইড এফেক্টস – পাব্লিশ করছেন যার বেশিরভাগই নিউ ইয়র্কার ম্যাগাজিনে আগেই ছাপা হইছিলো।

এই ইন্টারভিউয়ের অধিকাংশ, এলেইন’স রেস্টুরেন্ট- এর ডিনারের ফাকে ফাকে নিছেন মিচিকো কাকুতানি ১৯৮৫ সালে। এরপর, সম্পাদকেরা, মি. এলেনের সাথে চিঠি ও ফোনে আলাপের ভিত্তিতে ইন্টারভিউটারে আপডেট করেন।

ইন্টারভিউয়ার: আপনি কি মনে করেন, হিউমারিস্ট একটু ভিন্ন দৃষ্টিতে দুনিয়ারে দেখে?

উডি এলেন: হ্যাঁ। আমি মনে করি কমিক পারস্পেক্টিভ বলে একটা ব্যাপার আছে, যা কিছু ঘটুক না কেন হিউমারিস্ট কমিক ফিল্টারে দেখে। যদিও দীর্ঘমেয়াদী না, এইটা শর্ট টার্মে একটা ভালো ডিফেন্স মেকানিজম। ফলে এইটারে নবায়ন করে যাইতে হয়। লোকে তাই সেইসব কমিকদের নিয়াই কথা বলে যারা সবসময় একটিভ। অনেকটা এমন যে সবসময় সেন্সিবিলিটিরে একটিভ রাখতে হয়, যাতে আপনি অল্প পেইনের ভিতর দিয়া যাইতে পারেন।

ইন্টারভিউয়ার: ব্যাপারটা ইউনিক, তাই না?

এলেন: এইটা জীবনের সাথে ডিল করার একটা রাস্তা। লোকে মনে করে, ফানি হওয়াটা খুব কঠিন কিছু, যেইটা আসলে হাস্যকর। আপনি হইতে পারলে, কঠিন কিছু না। অনেকটা, ভালো আকতে পারে এমন কাউরে বলার মতো যে, ‘মাই গড, পেন্সিল আর কাগজ নিয়া সারাদিন, বইসা থাকলেও ওই ঘোড়াটা আঁকতে পারতাম না। আমি পারি না। তুমি কী নিখুত পারলা!’ তখন সেই কেউ ভাবলো, এ আর এমন কি! চার বছর বয়স থিকা আমি এই কাজ কইরা আসতেছি। কমেডির ব্যাপারেও আমার এমন মনে হয়, – পারলে এইটা তেমন কঠিন কিছু না। এমন না যে শেষ পর্যন্ত তৈরি হওয়া জিনিসটা কিছু না, কিন্তু প্রক্রিয়াটা সহজ। কিছু লোক আছে, অবশ্যই, যারা স্বভাবের দিক দিয়াই ফানি, কিছু লোক ফানি না৷ এইটা প্রকৃতির খেয়াল।

ইন্টারভিউয়ার: কোন কোন লেখকের লেখা পইড়া আপনার প্রথমবার নিজেরও লিখতে ইচ্ছে হইছে?

এলেন: যতদূর মনে পড়ে, প্রথমবার আমি হাসছি ম্যাক্স শুলমানের [৩] লেখা পড়তে গিয়া ৷ আমার বয়স তখন পনেরো ৷ তার কিছু পুরান বই আমার কাছে আছে। সবচাইতে ফানি লাগতো, দ্য জেব্রা ডার্বি বইটা…বিস্তৃত অর্থে ফানি। অবশ্য, কোন প্রেক্ষিতে বইটা লেখা হইছে সেইটা আপনি এপ্রিশিয়েট না কইরা পারবেন না: বইটা লেখা হইছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ফেরত ভেটেরানদের নিয়া। তারপর আবিষ্কার করলাম, রবার্ট বেঞ্চলি [৪] আর এস জে পেরেলম্যান [৫], অন্য দুইজন ফানি লেখক যারা আসলেই ওস্তাদ লোক ছিলেন। এক রাত্রে, এলেইন’স রেস্টুরেন্টে পেরেলম্যানের সাথে আমার দেখা হইছে৷ গেছিলাম মার্শাল ব্রিকম্যানের সাথে। এক ওয়েটার কাছে আইসা একটা কার্ড ধরায়ে দিলো। কার্ডের পেছনে এমন কিছু লেখা ছিলো যে, আপনার সাথে একটা টনিক খাইতে খাইতে কথা বলতে ভাল্লাগবে। মনে হইলো শহরের বাইরের কোনো টুরিস্ট হবে হয়তো, এবং কার্ডটা ফালায়ে দিলাম। ঘন্টা দেড়েক পর, কে জানি বললো, কার্ড পাঠাইছে এস জে পেরেলম্যান। আমি ফ্লোর থেকে কার্ডটা কুড়ায়ে আমি কোনায় তার কাছে দৌড়ায়ে গেলাম। পরেও তার সাথে দেখা হইছে, আমার সাথে সবসময়ই সে মাই ডিয়ার টাইপ ছিলো। শুনছি, তার ব্যাপারে অনেকের অভিজ্ঞতা ভালো না, কিন্তু তার ওই দিকটা আমি কখনও দেখি নাই।

ইন্টারভিউয়ার: আপনি লেখালেখি শুরু করছেন কবে?

এলেন: পড়তে শেখার আগে। আমি সবসময়ই লিখতে চাইতাম। লেখা শুরুর আগে আমি কাহিনী বানাইতাম। ক্লাসের জন্যে আমি প্রচুর কাহিনী বানাইতাম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, আমি সিরিয়াস লেখার যতটা ফ্যান, কমিক লেখার ততটা ফ্যান কখনই ছিলাম না। কিন্তু দেখলাম, কমিক মোডে আমি লিখতে পারি, প্রথম দিকে লিখতাম শুলম্যানের অনুকরণে বা মাঝেমধ্যে পেরেলম্যানের। আমার অসফল কলেজ লাইফে, আমার সমস্ত লেখাই শুলমানের ভালো বা বাজে অনুসরণ। নিজের ব্যক্তিত্বের কোনো ছাপ সেখানে একদমই ছিলো না।

ইন্টারভিউয়ার: আপনার নিজের ভয়েস আবিষ্কার করলেন কিভাবে? এইটা কি ধীরে ধীরে ঘটছে?

এলেন: না, দূর্ঘটনাক্রমে ঘটছে বলা যায়। আমি গদ্য লেখা পুরোপুরি ছাইড়া দিছি, এখন টিভির জন্যে লিখতেছি। থিয়েটারের জন্য তখন লিখতে চাইছিলাম, একই সময় আমি কমেডিয়ান হিসাবে ক্যাবারে এ্যাক্টেও কাজ করছি। একদিন প্লেবয় ম্যাগাজিন তাদের জন্যে কিছু লিখতে বললো, যেহেতু আমি তখন একজন উঠতি কমেডিয়ান। ফলে আমি তাদের জন্যে দাবা নিয়া একটা লেখা লিখলাম। তখন আমি লুই ল্যাসের [৬] সাথে বিবাহিত হবো হবো করতেছি – কিন্তু বিবাহিত না। সে লেখাটা পইড়া বললো, আরে! এইটা তো দারুণ। তোমার উচিত লেখাটা দ্য নিউ ইয়র্কার-এ পাঠানো। আমার কাছে, আমার প্রজন্মের প্রায় সবার কাছে, নিউ ইয়র্কার তখন বিশাল জায়গা। যাহোক, ঝোঁকের বশে পাঠায়ে দিলাম। যখন এক লোক ফোন কইরা বললো, আমি যদি কিছু জায়গায় চেঞ্জ আনি, লেখাটা তারা ছাপাবে। আমি লেখাটা নিয়া আবার বসলাম, কিছু অদল-বদল ঘটলো আর তারা ছাপাইলো ৷ ঘটনাটা আমার আত্মবিশ্বাস বাড়ায়ে দিছে।

তো, ভাবলাম, তাদের জন্যে অন্য কিছু লিখবো। দ্বিতীয় বা তৃতীয় যে লেখা নিউ ইয়র্কারে পাঠাইছি, তা স্টাইলের দিক দিয়া ছিল খুবই পেরেলম্যানধর্মী। তারা ছাপাইছে, মন্তব্য আসলো যে লেখাগুলা খুব অনুকরণ করা এবং আমিও একমত হইছিলাম। ফলে, পরবর্তী লেখাগুলিতে নিউ ইয়র্কার ও আমার চাওয়া ছিলো পেরেলম্যানের ঘোর থেকে বের হয়া আসা। ধীরে ধীরে তার থেকে অনেক দূরে সরে আসছি আমি। গদ্যে যতটা সম্ভব জটিলতা ধারণ করা যায়, পেরেলম্যানে তা ছিলো। খুবই বৈচিত্রময় হিউমার ভঙ্গি। আর যত দিন গেছে আমি সরলতার দিকে আগাইছি।

ইন্টারভিউয়ার: এই বদলটা কি ফিল্মেও সমান্তরালে আনার চেষ্টা করছিলেন?

এলেন: আমার কাছে সমান্তরাল মনে হয় না। আমার অভিজ্ঞতা বলে, বিভিন্ন মিডিয়ামে লেখা খুবই ভিন্ন ভিন্ন ব্যাপার। স্টেজের জন্যে লেখা ফিল্মের জন্যে লেখার চাইতে একদম আলাদা৷ আবার ফিল্ম ও স্টেজের চাইতে গদ্য খুবই অন্যরকম। আমার মনে হয়, লেখার মধ্যে সবচেয়ে কঠিন হইলো গদ্য। কারণ লেখা শেষে, এইটাই এন্ড প্রডাক্ট৷ আপনি বদলাইতে পারেন না। নাটকের ক্ষেত্রে, এইটা এন্ড প্রডাক্ট না। অভিনেতা আর ডিরেক্টরের জন্যে ক্যারেক্টার ডেভেলাপ করার উপায় মাত্র চিত্রনাট্য। ফিল্মের ক্ষেত্রে, কোনো একটা সিনের জন্যে আমি জাস্ট কিছু নোট নিয়া রাখি। আপনার এতো কিছু লেখার দরকার নাই, সিনের কথা মাথায় রাইখা কিছু নোট নিলেই হবে, যা আসলে অভিনেতা আর ক্যামেরার কথা চিন্তা কইরা লেখা। আর আসল চিত্রনাট্য দরকার বাজেট আর কাস্টিং এর জন্যে। যদিও শেষ পর্যন্ত আদি স্ক্রিপটের সাথে ফাইনাল জিনিসটার মিল খুব একটা থাকে না – অন্তত আমার ক্ষেত্রে না।

ইন্টারভিউয়ার: তার মানে উপন্যাসের মত ফর্মেটে আপনার কন্ট্রোল অনেক বেশি।

এলেন: একটা মজা তো বটেই যে আপনার কন্ট্রোল থাকে। আরেক ধরণের আনন্দ হইতেছে যে লেখা শেষে আপনি কুচিকুচি কইরা ছিড়া ফালায়ে দিতে পারেন। মুভির ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি এমনটা পারেন না। পছন্দ না হইলেও রাইখা দিতে হবে। বলতে পারি, গদ্য লেখকের জন্যে সময়টা কাটে ভালো। সকাল বেলা ঘুম থেকে উইঠা, পাশের রুমে একলা লিখতে শুরু করার মজা, ঘুম থেকে উইঠা মুভি শুট করার চাইতে বেশি। মুভি বানানোর চাপ বেশি। শারীরিক কসরতের মামলা আছে। নির্দিষ্ট জায়গায়, নির্দিষ্ট টাইমে আপনারে হাজির থাকা লাগবে। এবং লোকের উপ্রে আপনি নির্ভরশীল। নরম্যান মেইলার [৭] বলছেন যে, আজকের দিনে তিনি ক্যারিয়ার শুরু করলে নভেলিস্ট না হইয়া ফিল্মেই যাইতেন। আমি মনে করি ফিল্ম ইয়াং লোকদের জিনিস। বেশিরভাগ সময় খুব শ্রমসাধ্য। একটা নির্দিষ্ট মাত্রার পরে, আমি এইটা চাই বলে মনে হয় না, মানে এইটা ভাবতে ভাল্লাগে না যে আমার পুরা জীবন আমি সকাল ছয়টায় ঘুম থেকে উঠবো, ৭ টার মধ্যে ঘর থেকে বের হবো যাতে কনকনে ঠান্ডা কোনো রাস্তায় বা একঘেয়ে মাঠের মধ্যে শুটিং এ যাইতে পারি। এইটা খুব আনন্দের কোনো ব্যাপার না ৷ এর চাইতে বাড়িতে বইসা এটা-সেটা করা মজার ৷ টেনেসি উইলিয়ামস [৮] বলছেন, নাটকের ক্ষেত্রে সবচাইতে বিরক্তিকর ব্যাপার হইলো, আপনারে নিজেরেই প্রডিউস করতে হয়৷ খালি লিখা ফালাইলেন আর ড্রয়ারে ফালায়ে রাখলেন তা হবে না। কারণ চিত্রনাট্য লিখে শেষ করে আপনি ওইটারে একটা আকার দিছেন এবং ওইটা বাদ দিয়া অন্য কিছু করতে চান। বইয়ের ক্ষেত্রে আপনি এইটা পারেন। নভেলিস্ট হওয়ার দিকে টান বেশি থাকা স্বাভাবিক। হওয়াটা একটা আকাঙ্ক্ষিত বিষয়৷ কল্পনা করেন, কোলেট তার প্যারিসের এপার্টমেন্টে বইসা জানলা দিয়া বাইরে তাকায়ে আছে, লিখতেছে। খুবই আকর্ষনীয় জীবন। সত্যি বলতে, প্যারিসে ‘লাভ এন্ড ডেথ’ সিনেমার কাজ করতে গিয়া আমি একটা উপন্যাসের ফার্স্ট ড্রাফট লিখছিলাম। হাতে লেখা সেই ড্রাফট আমার বাসায় এখনও আছে, ড্রয়ারের গ্রাফ পেপারের উপ্রে। দীর্ঘদিন ধরে এইভাবেই পইড়া আছে। যখন আমার সিনেমা বানানোর মতো এনার্জি থাকবে না, সেইদিনের জন্যে এইটা জমায়ে রাখতেছি। যতদিন আমার ভোরবেলা উইঠা সিনেমার শুটিং যাওয়ার তাকত আছে, ততদিনে এই উপন্যাস আমি লিখতে চাই না। এইভাবে ভবিষ্যত উপন্যাসের দিকে তাকায়ে থাকা মন্দ না। জানি, একদিন তারা একদিন আমার সিনেমা বানানো পছন্দ করবে না। তারা বলবে, আমরা চাইনা আপনি আর সিনেমা বানান। অথবা আমি নিজেই হয়তো ক্লান্ত হয়া পড়বো। আশা করি আমার জন্যে তখন উপন্যাস থাকবে। মানে এইটা খুব কঠিন চ্যালেঞ্জের ব্যাপার না, কিন্তু একটা উপন্যাস, একটা কাহিনী যা খালি ওইভাবেই বলা যাবে। উপন্যাসটার কাহিনী নিয়া একটা নাটক বা সিনেমা বানানোর কথাও মাঝেমধ্যে ভাবছি কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার, বিষয়টা এইভাবে কাজ করে না। এইটা যদি আদৌ কাজ করে তা উপন্যাসের ফর্মেই করবে। করবে খালি গদ্যেই।

ইন্টারভিউয়ার: উপন্যাসটা লেখা হইলো কিভাবে? অনেক দিন ধইরা কি লেখার কথা ভাবতেছিলেন?

এলেন: একদমই না। প্রথম পৃষ্ঠা থেকে শুরু করছি। মঞ্চে লেখার পুরান অভ্যাস থেকে এইটা হইছে। ফার্স্ট এ্যাক্ট লেখার আগে থার্ড এ্যাক্ট, বা সেকেন্ড এ্যাক্টের বিচ্ছিন্ন ঘটনা আমি ভাবতে পারি না। শেষে যা ঘটবে – চরিত্রদের মধ্যে মেলামেশা, কাহিনীর আগায়ে যাওয়া – তা শুরুতে ঘটে যাওয়া অংশের উপর খুব নির্ভরশীল।

আমি সিকুয়েন্সের বাইরে লেখার কথা ভাবতে পারি না। আমি নাটকের ক্লাসিক ন্যারেটিভ ফর্মটাই পছন্দ করি৷ এইটা উপন্যাসেও পাইতে ভাল্লাগে৷ পরিস্কার কাহিনী নাই এমন উপন্যাস আমার ভাল্লাগে না। বালজাক বা টলস্টয় নিয়া বইসা পড়া, অন্য আরও অনেক কিছু সাথে -ব্যাপক মজা। নাটকের পর্দা উঠলো অথচ লোকের গার্বেজের ক্যানের দিকে এখনও মনোযোগী, বুদ্ধিবৃত্তিক জায়গায় থেকে আমি হয়তো নাটকটারে প্রশংসা করতে পারি, কিন্তু আমার কাছে ওই নাটকের খুব একটা দাম নাই। আমি বেকেট দেখছি, আরও অনেক আভা-গার্দিস্ট দেখছি, কন্টেমপরারি অনেক নাটক দেখছি। এবং ফলে আমি বলতে পারি, হ্যা এইটা খুব বুদ্ধিদীপ্ত, গভীর কিন্তু আই ডোন্ট রিয়েলি কেয়ার। অথচ আমি যখন চেখভ অথবা ও’নিল দেখি – যেখানে নারী-পুরুষ মানবিক টানাপোড়েনের কাতর – আমি মুগ্ধ হই। জানি এইটা এই সময়ে বলা খুবই আনফ্যাশনেবল, কিন্তু ধরেন, ভাষানির্ভর এই বিষয়গুলা – চতুর শব্দের খেলা – এইগুলায় আমার আগ্রহ নাই। আমি লোকের পরিস্কার, কখনও বা কাব্যিক কথাবার্তা শুনতে চাই। ‘ডেথ অফ এ সেলসম্যান’ বা ‘এ স্ট্রিটকার নেইমড ডিজায়ার’ দেখলে চরিত্রের প্রতি আপনি আগ্রহী হবেন, এরপর কী ঘটবে-নিয়া কৌতূহলী হবেন। লিংকন সেন্টারের জন্যে একটা নাটকের আইডিয়া যখন আমার মাথায় আসলো- দ্য ফ্লোটিং লাইটবালব- তখনই আমি ঠিক করে রাখছি, সিম্পল সিচুয়েশনে রেগুলার লোকের কাহিনী নিয়া আমি লিখবো ৷ এর বাইরের যেকোনো কিছু না করার ব্যাপারে আমি খুব সতর্ক ছিলাম। অদ্ভুত ব্যাপার হইতেছে, ফিল্মের ক্ষেত্রে আমি সতর্ক হওয়ার চাপ অতটা ফিল করি না। সময় আর বিমূর্ত ভাবনা প্রকাশের ক্ষেত্রে ফিল্মে আমি অনেক বেশি ফ্লেক্সিবল।

১.
নিকস নিকারবকারের শর্ট ফর্ম। মূলত নিউ ইয়র্ক সিটির ম্যানহাটন ভিত্তিক প্রফেশনাল বাস্কেটবল টিম। বাস্কেটবল ফ্যান উডির এক সময় ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে নিকসের ম্যাচে নিয়মিত দর্শক ছিলেন।

২.
গ্রিনউইচ ভিলেজ ক্লাব একটা আন্ডারগ্রাউন্ড বার। উঠতি কমিকদের ওপেন মাইক স্ট্যান্ড-আপ কমেডির জন্যে বিখ্যাত। নিউ ইউর্ক শহরের পশ্চিমে অবস্থিত গ্রিনউইচ ভিলেজ, ১৯ শতক থেকেই অপ্রথাগত লাইফস্টাইলের আর্টিস্ট ও ভবঘুরেদের এলাকা হিসেবে বহুল পরিচিত বইলা অনেকে গ্রিনউচি ভিলেজরে বলেন, ভবঘুরেদের রাজধানী।

৩.
ম্যাক্সিমিলিয়ান ‘ম্যাক্স’ শুলমান (১৪ মার্চ ১৯১৯- ২৮ আগস্ট ১৯৮৮) আম্রিকান সাহিত্যিক, স্ক্রিপ্টরাইটার ও হিউমারিস্ট।

৪.
রবার্ট বেঞ্চলি (১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৮৯- ২১ নভেম্বর ১৯৪৫) আম্রিকান হিউমারিস্ট, অভিনেতা, নাট্যসমালোচক। সিম্পল কথাও নানা চমকপ্রদ ভঙ্গিতে বলতে পারতেন বইলা ইংরেজিভাষী হিউমার লেখকদের কাছে এখনও বেঞ্চলি সম্মানীত। নমুনাঃ Drawing on my fine command of the English language, I said nothing. উডি এলেনের শুরুর দিকে কমেডি ও হিউমার জাতীয় লেখা বেঞ্চলি আর এস. জে. পেরেলম্যান দিয়া ব্যাপক প্রভাবিত।

৫.
এস. জে. পেরেলম্যান (১ ফেব্রুয়ারি, ১৯০৪- ১৭ অক্টোবর ১৯৭৯) পুরা নাম সিডনি জোসেফ পেরেলম্যান। আম্রিকান হিউমারিস্ট। চিত্রনাট্যও লিখতেন; ইনফ্যাক্ট, ১৯৫৬ সালে স্ক্রিপ্টের জন্যে অস্কারও পান। তবে পেরেলম্যানের খ্যাতি মূলত দ্য নিউ ইয়র্কারে দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশিত তার হিউমার কলামের জন্যে। উডি এলেনের গদ্যে, -অন্তত শুরুর দিকে- পেরেলম্যানের প্রভাব ছিলো ব্যাপক।

৬.
লুই ম্যারি লাসে আম্রিকান অভিনেত্রী, লেখক, পার্ফমিং আর্ট টিচার। এলেনের সাথে ল্যাসের বিয়া ১৯৬৬ আর ডিভোর্স হয় ১৯৭০ সালে। এলেনের হোয়াট’স আপ, টাইগার লিলি? (১৯৬৬) -তে ভয়েস আর্টিস্ট হিসাবে কাজ করছেন। এছাড়া এলেনের তিনটা মুভি টেইক দ্য মানি এন্ড রান (১৯৬৯), ব্যানানাজ (১৯৭১) এভ্রিথিং ইউ অলওয়েজ ওয়ান্টেড টু নো এবাউট সেক্স (বাট ওয়্যার এফ্রেইড টু আস্ক) (১৯৭২)-মুভিতে অভিনয় করেন ল্যাসে। সর্বশেষ ‘স্টারডাস্ট মেমরিজ (১৯৮০)-এও ছোট্ট একটা রোল প্লে করছেন।

৭.
নরম্যান কিংসলি মেইলার (৩১ জানুয়ারি ১৯২৩- ১০ নভেম্বর ২০০৭) আম্রিকান নভেলিস্ট, সাংবাদিক, নাট্যকার, এক্তিভিস্ট, অভিনেতা ও ফিল্ম নির্মাতা। দ্য নেকেড এন্ড দ্য ডেড এবং দি এক্সিকিউশনার’স সং বইয়ের জন্যে বিখ্যাত।

৮.
টেনেসি উইলিয়ামস (২৬ মার্চ ১৯১১- ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩)
পুলিৎজার বিজয়ী আম্রিকান নাট্যকার টমাস ল্যানিয়ের উইলিয়ামস থার্ড। লেখক নাম টেনেসি উইলিয়ামস নামেই পরিচিত। ২০ শতকের আম্রিকান সেরা তিন নাট্যকারের একজন ধরা হয়। তার বিখ্যাত নাটক এ স্ট্রিটকার নেইমড ডিজায়ার ও ক্যাট অন এ হট টিন রুফ।

[টু বি কন্টিনিউ…]

Series Navigation<< ফিকশন হইলো ফ্রিডম – সুসান সনট্যাগআপনি আসলে কে সেইটা ঠিক বুইঝা উঠতে পারার আগে আপনি লিখতে পারবেন না – সালমান রুশদি >>
The following two tabs change content below.

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →