Main menu

একটা নভেলে যদি লিটেরারি ট্রুথ থাকে ওইটার আর কিছু লাগে না – এলেনা ফেরান্তে

This entry is part 19 of 27 in the series ইন্টারভিউ সিরিজ

কারো নাম শুনলে উনার চেহারাটা মাথায় ভাসা নরমাল, কিন্তু এলেনা ফেরান্তের কেসে এই জিনিস হবে না, কারণ আজ পর্যন্ত উনি ‘এলেনা ফেরান্তে’ হয়া তেমন কারো সামনে আসেন নাই। নামটাও আসল না, কিন্তু মানুষ এই নামেই উনাকে ইটালির গ্রেটেস্ট রাইটারদের একজন হিসাবে চিনে। উনার জন্ম নেপলসের এক দর্জি পরিবারে। ক্লাসিকাল লিটারেচার নিয়া বেশ জানাশোনার জন্য ক্রিটিকরা ধইরা নিছেন উনি লিটারেচার নিয়া পড়াশোনা করছেন।

ফেরান্তে উনার লেখার স্টাইলে এক ধরণের ট্রুথ ইউজ করেন, যেটারে উনি লিটারেরি ট্রুথ বলেন। উনার লেখা বেশ ডিটেইল্ড, অথেন্টিক ফিল করায়। ক্রিটিকরা উনার এই ট্রুথ ব্যাপারটা বেশ পছন্দ করেন, প্রেইজ করেন। মানুষের মনের জটিলতার ডিপ আন্ডারস্ট্যান্ডিং নিয়া মানুষের সম্পর্কগুলা, প্রতিদিনের স্ট্রাগল আর আনন্দগুলা আনসেন্সর্ড অবস্থায় উনার লেখায় দেখা যায়। উনার চরিত্রগুলার কমপ্লেক্স সম্পর্ক আর সাইকোলজিকাল অবস্থা বেশ ইমোশনালি পাওয়ারফুল থাকে, বিশেষ কইরা নারীদের মধ্যের সম্পর্কগুলা এম্প্যাথি নিয়া বেশ অথেন্টিকভাবে দেখান। উনার কাজের মধ্যে ফেমিনিস্ট থিম, ফিমেল এক্সপেরিয়েন্স নিয়া আলাপও দেখা যায়। প্যাট্রিয়ার্কাল সোসাইটি নারীদের কেমনে মার্জিনালাইজ কইরা রাখছে, দমায়া রাখছে এই আলাপ উইঠা আসে। উনার কারেক্টাররা স্ট্রাগল করে, নিজেদের জীবন নিজের কন্ট্রোলে নেয়, দুনিয়ায় নিজের জায়গা বের কইরা নেয়। আবার উনার লেখা মোরালওয়ালা বা উপদেশমার্কাও না। উনার প্রত্যেক কারেক্টার একেকজন রিয়েল মানুষের মত, প্রত্যেকের খারাপ দিক আছে, চাওয়াপাওয়া আছে, কন্ট্রাডিকশন আছে।

উনার প্রথম নভেল ট্রাবলিং লাভ ১৯৯২ সালে পাবলিশড হইছিল। নিয়াপলিটান নভেলস বের হওয়ার পর উনি ইন্টারন্যাশনালি পরিচিতি পান। এই সিরিজের চারটা নভেল (মাই ব্রিলিয়ান্ট ফ্রেন্ড, দা স্টোরি অফ আ নিউ নেম, দোজ হু লিভ এন্ড দোজ হু স্টে, আর দা স্টোরি অফ দা লস্ট চাইল্ড) এলেনা আর লিলা নামের দুইজনকে নিয়া লিখা, যারা ৫০ এর দশকে নেপলসের একটা গরিব পাড়ায় বড় হইতেছিল। নেপলসের একটা কালারফুল, ক্লিয়ার পোর্ট্রেয়াল, ফিমেল ফ্রেন্ডশিপ, ৫০ এর দশক থেকে বর্তমান ইটালির সোশাল আর পলিটিকাল চেঞ্জগুলার একটা স্ট্রং বর্ণনার জন্য নিয়াপলিটান নভেলগুলার ভালো নাম হইছে। এই নভেলগুলা চল্লিশটারও বেশি ভাষায় অনুবাদ করা হইছে, বিক্রি হইছে লাখ-লাখ কপি।

নিয়াপলিটান নভেলস ছাড়াও উনি আরো কয়েকটা নভেল লিখছেন। দা ডেইজ অফ এবান্ডনমেন্ট (২০০২), দা লস্ট ডটার (২০০৬), দা লায়িং লাইফ অফ এডাল্টস (২০২০) ছাড়াও ফ্রান্তুম্যাগলিয়া: আ রাইটারস জার্নি (২০০৩) নামে একটা নন-ফিকশনও লিখছেন। এছাড়াও ইটালিয়ান নিউজপেপার লা রিপাবলিকাতে উনি রেগুলারলি কলাম লিখেন। ফিকশনগুলার মত উনার নন ফিকশনও একই থিমে থাকে, যেমন কন্টেম্পোরারি ইটালিতে নারীর স্ট্রাগল, বা সোশাল আর পলিটিকাল চেইঞ্জের কারণে ইন্ডিভিজুয়াল বা কমিউনিটির উপর কী চাপ আসে। ফিমেল ফ্রেন্ডশিপের জটিলতা, ইটালির সোশাল ক্লাস, পলিটিকাল বা কালচারাল চেইঞ্জের ব্যাপার প্রায়ই উনার লেখাতে দেখা যায়। ইটালির সবচেয়ে প্রেস্টিজিয়াস আওয়ার্ড স্ট্রেগা প্রাইজসহ অনেক আওয়ার্ডই পাইছেন, ম্যান বুকার প্রাইজের জন্য ২০১৬ সালে শর্টলিস্টেডও হইছিলেন। এত সাক্সেসের পরেও ফেরান্তে সবসময়ই এনোনিমাস থাকতে চান। উনি চান উনার কাজ দিয়া উনাকে জাজ করা হোক, পার্সোনাল লাইফ আর কাজ নিজের নিজের জায়গায় থাকুক।

রূপকথা নাওয়ার
মে, ২০২৩

….

স্যান্ড্রো আর স্যান্ড্রা ফেরির নেয়া ইন্টারভিউ

গত দশ বছরে এলেনা ফেরান্তের ইংলিশে অনুবাদ করা নভেলগুলা-ট্রাবলিং লাভ, দা ডেইজ অফ এবান্ডনমেন্ট, দা লস্ট ডটার, আর নিয়াপলিটান নভেলস টেট্রালজির প্রথম তিনটা বই- নিজের দেশ ইটালির বাইরে উনার একটা শক্ত ফ্যানবেজ বানায়া দিছে। এই সিরিজের চার নাম্বার বইটা, দা স্টোরি অফ দা লস্ট চাইল্ড ইংলিশেই লেখা হবে, বের হবে এই ফল সিজনে। ইদানীং ফেরান্তেরে উনার জেনারেশনের সবচেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট ইটালিয়ান রাইটার হিসাবে শুনতে পাওয়া বেশ কমন ব্যাপার, যদিও উনার প্রথম নভেল ট্রাবলিং লাভ (১৯৯২) বের হওয়ার পর থেকে উনি কড়াভাবে নিজের প্রাইভেসি মেইনটেইন কইরা চলছেন, এমনকি পাবলিকেও আসেন না। (এলেনা ফেরান্তে একটা বানানো নাম।) আজকের আগে উনি কখনো ফোনে বা সামনাসামনি কোন ইন্টারভিউ দিতে রাজি হন নাই।

স্যান্ড্রো আর স্যান্ড্রা ফেরি – উনার ইন্টারভিউয়াররা (যারা উনার পাবলিশারও), আর তাদের মেয়ে ইভা বলতেছেন কেমনে ফেরান্তের ইন্টারভিউটা নেয়া হইছে:

“ফেরান্তের সাথে আমাদের আলাপ শুরু হইছিল নেপলসে। আমাদের অরিজিনাল প্ল্যান ছিল আমরা নিয়াপলিটান নভেলসে লেখা ওই এলাকাতে ঘুরব, তারপর সাগরপাড়ে হাঁটব। কিন্তু শেষমেশ ফেরান্তে ওই এলাকাতে ঘুরতে যাইতে মানা করলেন। বলছিলেন, কল্পনার জায়গাগুলা খালি বইতেই ঘুরা যায়। যখন সামনাসামনি দেখবেন তখন চিনতে পারবেন না, দেইখা হতাশ ফিল করবেন। মেকিও লাগতে পারে। তো আমরা এরপর সাগরপাড় ঘুইরা আসলাম। সন্ধ্যাবেলায় এমন বৃষ্টি নামল যে আমরা হোটেল রয়াল কন্টিনেন্টালে ফেরত আইলাম। হোটেলটা ক্যাস্টেল ডেল’ওভোর একদম অপজিটে ছিল। (নিয়াপলিটান নভেলগুলাতে ক্যাস্টেল ডেল’ওভোর কথা আছে। এইখানে নভেলের চরিত্রগুলা শান্তি খুঁজতে আসে।)

হোটেলের লবি থেকে আমরা বৃষ্টির মধ্যে হাঁইটা যাওয়া মানুষের ছায়া দেখতেছিলাম, আর কল্পনা করতেছিলাম এই লোকগুলা ওই নভেলগুলারই মানুষ, যাদের আমরা এত বছর ধইরা মনে রাখছি, ভালোবাসছি। নেপলসে দেখা করার তেমন কোন দরকার ছিল না, কিন্তু ফেরান্তে ফ্যামিলি কোন কারণে শহরেই ছিলেন, তাই আমাদের দাওয়াত দিছিলেন। এই সুযোগে আমরা দা স্টোরি অফ দা লস্ট চাইল্ড লেখা শেষ হওয়ার সেলিব্রেশন করলাম। তো আলাপ গভীর রাত পর্যন্ত চলছিল। আবার পরের দিন লাঞ্চ করতে গিয়া (আমরা ঝিনুক খাইতেছিলাম) শুরু হইলো, তারপর আবার রোমে আমাদের বাসায় (এইবার চা খাইতে খাইতে)। শেষের দিকে আমাদের সবার হাতের নোটবুক লেখা দিয়া ভর্তি হয়া গেছিল। এরপর ফেরান্তের ডিরেকশন অনুযায়ী আমরা লেখাগুলারে কম্পেয়ার করলাম, আবার সাজাইলাম।”

/২০১৫

ইন্টারভিউয়ার: আপনি নতুন কোন কাজ কেমনে শুরু করেন?

ফেরান্তে: একদম ঠিক কইরা বলতে পারব না। একটা কাহিনি কেমনে চইলা আসে – এইটা কেউ আসলেই জানে বলে আমার মনে হয় না। কাহিনি চইলা আসার পর এইটা কেমনে আসলো আপনি বুঝানোর চেষ্টা করতে যাবেন, কিন্তু পারবেন না। অন্তত আমার কেসে এইটাই হয়। মেমরির টুকরা টুকরা পার্ট দিয়া একটা বিফোর তৈরি হয়, আর কাহিনি শুরু হওয়ার পর একটা আফটার তৈরি হয়। কিন্তু এডমিট করতেছি, এই বিফোর-আফটার খালি আপনার প্রশ্নের একটা ক্লিয়ার জবাব দেয়ার জন্যই ইউজফুল।

ইন্টারভিউয়ার: “মেমরির টুকরা টুকরা পার্ট” মানে কী বুঝাইতেছেন?

ফেরান্তে: ওইযে ধরেন আপনার মাথায় একটা গানের সুর ঘুরঘুর করতেছে, কিন্তু আপনি জানেন না ওইটা কোন গান। আপনি যখন গানটা গুণগুণ কইরা গাইতে যাবেন, দেখবেন যে যেই গানটা আপনি গাইতে চাইতেছেন, ওইটার জায়গায় অন্য একটা গান গাইতেছেন। বা যখন কোন একটা রাস্তার চিপার কথা মনে পড়বে, কিন্তু মনে করতে পারবেন না চিপাটা আসলে কোথায়- এইরকম ব্যাপার বুঝাইতেছি। কোনকিছুর টুকরা টুকরা জিনিস যখন মাথায় বাজতে থাকে, যেটার আগামাথা খুঁইজা পাওয়া যায় না, আবার মাঝেমাঝে ডিস্টার্বও করে- এমন ফিলিং বুঝাইতে আমার মা ফ্রান্তুম্যাগলিয়া শব্দটা ইউজ করতেন।

ইন্টারভিউয়ার: এই পার্টগুলার কোনটা কি কাহিনির শুরু হইতে পারে?

ফেরান্তে: হ্যাঁ, আর না। ওইগুলা আলাদা হইতে পারে, আবার চেনাও হইতে পারে, যেমন – বাচ্চাকালের জায়গাগুলা, ফ্যামিলি মেম্বাররা, স্কুলের ক্লাসমেটরা, ইনসাল্ট করা কথা, নরমসুরে বলা কথা, টেনশনের মোমেন্টগুলা। একবার যখন আপনি কোন ধরণের একটা সিরিয়াল খুঁইজা পান, তখন আপনি ন্যারেট করা শুরু করেন। কিন্তু সবসময়ই কোন না কোনকিছু থাকে যেইটা কাজ করে না। যেন কাহিনির একেকটা পার্ট অপোজিট দিকে দৌঁড়াইতেছে, একই সাথে কইতেছে আমারে বুঝেন, আমারে শুনেন, আবার লুকায়া ধরা-ছোঁয়ার বাইরেও থাকতে চাইতেছে। ট্রাবলিং লাভ এর কথাই ধরেন। নেপলস, যেখানে আমি জন্মাইছি আর বড় হইছি, বছরের পর বছর ধইরা আমি সেই নেপলসের চারপাশ নিয়া অনেক গল্প মাথায় রাখছি। ছোটবেলায় যেসব ফ্যামিলি ভায়োলেন্স, কান্নাকাটি-চিল্লাচিল্লি দেখছিলাম সেইসব মাথায় রাখছিলাম। এইসব মেমরির উপরেই আমি কাহিনির মেইন কারেক্টার ডিলিয়ারে বড় করছি। আবার মাদার ফিগার যে ছিল, আমালিয়া, সে অনেকটা আইসা চইলা গেল- যেন তারে অলমোস্ট রাখিই নাই। আমি যদি কল্পনায়ও ডিলিয়া আর তার মারে একসাথে দেখতাম, আমার লজ্জা লাগত, অন্যকিছুতে মুভ অন করতাম। এই খাপছাড়া ম্যাটেরিয়াল দিয়া বছরের পর বছর আমি অনেক গল্পই লিখছি। কিছু ছিল ছোট, কিছু বড়, কিছু আবার অনেক বড় – কিন্তু সবগুলাই আমার কাছে আনস্যাটিস্ফায়িং ছিল, আমালিয়ার সাথে রিলেটেডও ছিল না। তারপর একদিন হঠাৎ কইরা অনেকগুলা পার্ট উধাও হয়া গেল, কয়েকটা একসাথে আটকায়া গেল। এইগুলা মিলে মা-মেয়ের ডার্ক ব্যাকগ্রাউন্ড বানাইতে থাকলো। এমনেই দুই মাসের মধ্যেই ট্রাবলিং লাভ চইলা আসলো।

ইন্টারভিউয়ার: আর দা ডেইজ অফ এবান্ডনমেন্ট?

ফেরান্তে: এইটা শুরু করার কাহিনি আরো ঝাপসা। অনেকসময় ধইরাই আমার মাথায় এক মহিলার কাহিনি ঘুরতেছিল। এক রাতে এক মহিলা তার বাসার দরজা লাগাইলো, কিন্তু পরেরদিন সকালে দেখে সে আর দরজা খুলতে পারতেছে না। মাঝেমাঝে অসুস্থ পোলাপান দরজার কাছে আসত, মাঝেমাঝে একটা বিষ খাওয়া কুকুর আসত। তারপর নেচারালিই সবকিছু ঘুইরা ফিরা আমার একটা এক্সপেরিয়েন্সে থাইমা গেলো, কেউ আমারে ছাইড়া যাওয়ার পরে যে হিউমিলিয়েশনটা ফিল করতাম, সেইটাতে। এইটা নিয়া আমি কিছু বলতেও পারতাম না। কিন্তু আমি বুঝাইতে পারব না কেমনে বছরের পর বছর মনের ভিতর ধইরা রাখা ফ্রান্তুম্যাগলিয়া থেকে কয়েকটা পার্ট মিইলা একটা রিজনেবল কাহিনি হয়া যায়। আমার মনে হয় স্বপ্নগুলাও একইভাবে কাজ করে। আপনি যখন ঘুম থেকে উঠে স্বপ্নের ব্যাপারে মনে করার চেষ্টা করেন, বুঝতে পারেন যে আপনি ঘুমের মধ্যে দেখা একই জিনিস মনে করতেছেন না।

ইন্টারভিউয়ার: আপনি কি আপনার দেখা স্বপ্নগুলার ব্যাপারে লিখেন?

ফেরান্তে: যেই অল্পকয়েকবার আমি মনে করতে পারি, হ্যাঁ। ছোটবেলা থেকেই করতেছি। এই প্রাকটিসের ব্যাপারে আমি সবাইরে রেকমেন্ড করব। লেখালেখির একটা এক্সট্রিম পরীক্ষা হইলো স্বপ্নে যা দেখেন ওইটারে জাইগা থাকা অবস্থায় লজিক দিয়া রিজনেবল বানানো। আপনি একদম এক্স্যাক্টলি কোন স্বপ্নরে দুইবার দেখতে পারবেন না। ফেইল করবেনই। কিন্তু “ট্রুথরে ডমেস্টিকেট কইরা” কোন সিগনাল, ফিলিং, কোন ঘটনার ফ্লো’কে শব্দে তুইলা ধরাটা এত সোজা মনে করবেন না।

ইন্টারভিউয়ার: “ট্রুথরে ডমেস্টিকেট করা” মানে কী বুঝাইতেছেন?

ফেরান্তে: ক্লিশে পথ বাইছা নেয়া।

ইন্টারভিউয়ার: কোন সেন্সে?

ফেরান্তে: আইলসামির ঠ্যালায়, পিয়ার প্রেশারে, সুবিধার জন্য, বা ভয় থেকে কাহিনির সাথে বিট্রে করা। মাইনশে যাতে খায় এইজন্য কাহিনিরে ক্লিশে বানানো কোন ব্যাপার না।

ইন্টারভিউয়ার: জেমস উডসহ অনেক ক্রিটিক লেখাতে জেনুইন থাকার জন্য আপনারে প্রেইজ করছেন। লিটারেচারে এই জেনুইন থাকার ব্যাপারটারে আপনি কেমনে ডিফাইন করবেন? আপনি কি এই ব্যাপারটারে অনেক ভ্যালু দেন?

ফেরান্তে: আমি যেইটা ফিল করি, এইটা একটা প্যারা আবার বলতে পারেন এই ব্যাপারটা আমার সব লেখার প্রজেক্টের ইঞ্জিনও। রাইটারদের কাছে সবচেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট প্রশ্ন হইতে পারে যে আমার ম্যাটেরিয়ালের জন্য আমার কী কী এক্সপেরিয়েন্স আছে, কোন কোন এক্সপেরিয়েন্স আমি লিখতে পারব? কিন্তু এইটা আসলে ঠিক না। এইসবের চেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট প্রশ্ন হইলো কোন শব্দটা ইউজ করব, সেনটেন্সে কোন রিদম আছে, আমি যা যা জানি এর সাথে কোন টোন বেস্ট স্যুট করবে? বেস্ট শব্দগুলা ছাড়া, লেখালেখির লম্বা প্র্যাক্টিস ছাড়া যা-ই বের হবে কোনটাই এনার্জেটিক হবে না, ট্রু হবে না। খালি যদি বলি, যেইটা আমরা বলতেই থাকি, যে এইসব ঘটনা আসলেই হইছে, এইটা আমার রিয়েল লাইফ, নামগুলাও রিয়েল, যেসব রিয়েল জায়গায় এই ঘটনাগুলা হইছে আমি ওইগুলা নিয়া বলতেছি – এইগুলা বলা এনাফ না। রাইটিং যদি ভালো না হয়, সবচেয়ে অনেস্ট বায়োগ্রাফিকাল ট্রুথগুলা নিয়াও মিথ্যাচার করতে পারে। লিটারেরি ট্রুথ বায়োগ্রাফার বা রিপোর্টারের ট্রুথ না, এইটা কোন পুলিস রিপোর্ট বা কোর্টের জারি করা কোন শাস্তি না। এইটা ভালো কইরা সাজানো কোন নেরেটিভের লজিকও না। লিটারেরি ট্রুথ পুরাটাই ওয়ার্ডিংয়ের খেল। কেউ সেনটেন্সে যতটা নিজেরে ঢালতে পারবে, লেখাটা তত এনার্জেটিক হবে। আর যখন ট্রুথ কাজ করে, কোন স্টিরিওটাইপ, ক্লিশে বা পপুলার লিটারেচার এইটারে আটকাইতে পারে না। ট্রুথ নিজে থেকেই এইসব স্টিরিওটাইপ, ক্লিশে বা পপুলার লিটারেচাররে নতুন কইরা সাজায়, নতুন আইডিয়াতে ট্রান্সফর্ম করে, সব লিমিটেশনরে সরায়া ইউনিক আর অথেন্টিক কিছু বানায়া দেয়।

ইন্টারভিউয়ার: এই ট্রুথ কেমনে পাওয়া যাবে?

ফেরান্তে: এইটা একটা বিশেষ স্কিল থেকে আসে যেটারে সবসময়ই ইম্প্রুভ করা যায়। কিন্তু আরো বড় কইরা দেখলে, এই এনার্জি হুট কইরা আসে। এমন মনে হয় যেন ব্রেইনের বা পুরা বডির যেসব পার্ট এতদিন ঝিম মাইরা বইসা ছিল, আপনার কনশাসনেসরে বাড়াইতেসে, আপনারে আরো সেন্সিটিভ কইরা তুলতেছে। আপনি বলতে পারবেন না এই ফিলিং কতক্ষণ থাকবে। আপনার ভয় লাগবে যে এইটা হঠাৎ বন্ধ হয়া আপনারে মাঝরাস্তায় ফেলে যাবে। সত্যি বলতে গেলে আপনি কখনই জানতে পারবেন না আপনি রাইটিংয়ের রাইট স্টাইলটারে ধরতে পারছেন কিনা, বা আপনি এইটার বেস্ট ইউজ করতে পারছেন কিনা। যে কেউই রাইটিংরে নিজের জীবনের সব বানাইলে হেনরি জেমসের দা মিডল ইয়ারস এর ডেনকোম্বের মত সিচুয়েশনে পড়বে। ডেনকোম্ব সাকসেসের টপে থাকার সময় মরতে মরতে ভাবে যদি আরেকটা সুযোগ পাওয়া যাইত তাইলে আরেকবার টেস্ট কইরা দেখত যে এখন লাইফে যেই পজিশনে আছে তার চেয়ে ভালো করতে পারত কিনা। আবার, সেই রাইটাররা প্রুস্টের বেরগোটের মতও ফ্রাস্ট্রেটেড ফিল করতে পারে, যখন বেরগোট ভার্মিরের হলুদ দেয়াল দেইখা মন খারাপ কইরা কয়, “আমার তো এমনে লিখা উচিত ছিল”।

ইন্টারভিউয়ার: আপনার প্রথম কবে মনে হইছে যে আপনি ট্রুথটারে লিখতে পারছেন, যেই সেন্সে আপনি ট্রুথরে মিন করেন?

ফেরান্তে: অনেক পরে, ট্রাবলিং লাভ লিখতে গিয়া। এই ইম্প্রেশন যদি না টিকত, আমি বইটা পাবলিশ করতাম না।

ইন্টারভিউয়ার: আপনি বলছিলেন আপনি লম্বা টাইম ধইরা ওইটার নেরেটিভ ম্যাটেরিয়ালের উপর আনসাক্সেলফুলি কাজ করছিলেন।

ফেরান্তে: হ্যাঁ, কিন্তু তার মানে এই না যে ট্রাবলিং লাভ একটা লম্বা টাইমের এফোর্টের রেজাল্ট। পুরাই উলটা ব্যাপার। এর আগে যে বছরের পর বছরের ধইরা আনস্যাটিস্ফায়িং কাহিনি বানাইছিলাম, এফোর্ট সব ওইগুলার পিছনে গেছে। ওইগুলার উপর অবসেসিভলি কাজ করছি, ট্রুথ তো ছিল অবশ্যই- বা বলা যায় যেটুকু ট্রুথ ছিল সেইটুকুও খানিকটা নেপলস, গরিবি, জেলাস ব্যাটা টাইপ কনভেশনাল গল্পের আড়ালে ঢাকা পইড়া গেছিল। তারপর হঠাৎ কইরা লেখাতে রাইট টোন চইলা আসলো, মানে আমার কাছে ওইরকমই লাগছিল। ফার্স্ট প্যারাগ্রাফ থেকে বুঝছি যে এই লেখা এমন একটা কাহিনি বইলা ফেলছে যেইটা তখন পর্যন্ত আমি কখনো ট্রাই করি নাই, যেইটা কখনো ভাবিও নাই – মার প্রতি ভালোবাসার একটা কাহিনি যেইটাতে ইন্টিমেট, ফিজিকাল লাভের সাথে ফিজিকাল হেট্রেড ইকুয়ালি মিশানো। তারপর হুট কইরা আমার মেমরি থেকে একটা ফ্লোয়ের মত ইজিলি শব্দ বের হইতে থাকলো, আমার খুঁজতে হয় নাই। উলটা মনে হইতেছিল শব্দগুলাই আমার সব সিক্রেট ফিলিংরে বের করে আনতেছে। আমি ট্রাবলিং লাভরে এইটার কাহিনির জন্য পাবলিশ করতে চাই নাই, কারণ কাহিনিটা আমারে এম্ব্যারাস করত, ভয় দেখাইত। আমি এইটা পাবলিশ করছি কারণ আমার মনে হইছে প্রথম বারের মত বলতে পারতেছিলাম যে এইভাবে আমারে লিখতে হবে।

ইন্টারভিউয়ার: আপনি বলতে চাইতেছেন আপনার লেখালেখির একটাই তরিকা? এই প্রশ্নটা আসে কারণ অনেক ইটালিয়ান রিভিউয়ার আপনার বইগুলার সাথে অন্য রাইটারদের লেখার স্টাইলের মিল পাইছেন।

ফেরান্তে: যেই দুনিয়াতে লিঙ্গুইস্টিকস প্রায় গায়েব হয়া গেছে, যেখানে ক্রিটিকরা আর স্টাইলরে গুণে না, সেই দুনিয়াতে নিজেরে রাইটার হিসাবে না দেখাইলে এই ধরণের ফালতু ফ্যান্টাসি হবেই। এক্সপার্টরা একটা খালি ফ্রেমের দিকে তাকায়া থাকে। ফ্রেমটাতে রাইটারের ছবি থাকার কথা ছিল। তাদের কাছে ওইসব টেকনিকাল টুলস নাই যেইটা দিয়া এই খালি ফ্রেমটাতে রাইটারের চেহারা না দেইখা কাজগুলা দেখতে পারবে। মানে রিডার হিসাবে তাদের মধ্যে ওই ট্রু প্যাশন আর সেন্সিটিভিটি নাই। তাই তারা ভুইলা যায় যে প্রত্যেকটা লেখার নিজের কাহিনি আছে। নামের ট্যাগ আর কড়া লিঙ্গুইস্টিক টেস্ট করার জন্যই আমরা এত সহজে নিতে পারি যে যিনি ডাবলিনারস লিখছেন উনিই ইউলিসিস আর ফিনেগানস ওয়েক লিখছেন। যেকোন হাই স্কুল স্টুডেন্টের কালচারাল এডুকেশনের মধ্যে এই আইডিয়াটা ঢুকানো উচিত যে একজন রাইটারের যা এক্সপ্রেস করা দরকার উনি ওই অনুযায়ী নিজেরে বদলায়া নেন। উল্টা বেশিরভাগ মানুষ ভাবে যে লিখতে-পড়তে জানা যে কেউই গল্প লিখতে জানে। তারা বুঝে না যে একজন রাইটার আউটকাম কী হবে এইসব না ভাইবা ফ্লেক্সিবল হওয়ার জন্য, বিভিন্ন প্যারা ফেস করার জন্য মেহনত করে।

আমার জন্য ট্রাবলিং লাভ লিখতে পারাটা একটা ছোট মিরাকেল ছিল, যেইটা অনেক বছর প্র্যাকটিসের পরেই আসে। আমার মনে হইছিল আমি একটা সলিড, ক্লিয়ার, কন্ট্রোলড কিন্তু চাইলেই বদলাইতে পারি মার্কা একটা স্টাইল নিয়া আসতে পারছিলাম। যদিও এই স্যাটিসফেকশন বেশিদিন টিকে নাই। প্রথমে কমলো, তারপর গায়েব হয়া গেল। ওই একটা বই থেকে নিজের রাইটিংরে আলাদা করতে আমার দশ বছর লাগছিল। কুয়ার তলানি থেকে ভরা বালতি উঠানোর জন্য যেই শক্ত চেইন থাকে, আমি চাইছিলাম আমার লেখা যেন এইরকম একটা টুল হোক, যেইটা আমি অন্য জায়গায় ইউজ করতে পারব। আমি অনেক মেহনত করছি, কিন্তু শুধু দা ডেইজ অফ এবান্ডনমেন্ট এর সময়ই আমার মনে হইছে যে হ্যাঁ, আরেকটা পাবলিশ করার মত লেখা লিখছি।

ইন্টারভিউয়ার: কখন আপনার কাছে কোনো বইরে পাবলিশেবল লাগে?

ফেরান্তে: যখন বইটা এমন একটা কাহিনি বলে যেইটারে আমি মনের অজান্তে দূরে ঠেলে রাখছিলাম, কারণ আমার মনে হইত না আমি বলতে পারতাম – কাহিনিটা বলতে গেলে আনকমফর্টেবল ফিল করতাম। আবার দা ডেইজ অফ এবান্ডনমেন্ট এর টাইমে রাইটিং খুব অল্প সময়ে, বলা যায় এক সামারে কাহিনিরে ফ্রি কইরা দিছিল। আসলে ফার্স্ট দুই পার্টের জন্য এইটা বলা যায়। তারপর আমি হঠাৎ কইরা ভুল করা শুরু করলাম, আর টোন হারায়া ফেললাম। পুরা ফল সিজন ধইরা আমি লাস্ট পার্ট লিখছি, মুছছি, আবার লিখছি। বেশ অ্যাংজাইটির একটা টাইম ছিল। এই সময় বারবার মনে হইত যে কেমনে গল্প বলতে হয় আমি ভুইলা গেছি। যেই ট্রুথ দিয়া আমি ওলগারে (দা ডেইজ অফ এবান্ডনমেন্ট এর মেইন কারেক্টার) তার ক্রাইসিসে ফেলছিলাম, সেইরকম ট্রুথ দিয়া কেমনে ওলগারে ক্রাইসিসটা থেকে বের করব বুঝতে পারতেছিলাম না। লেখার হাতটা সেইম ছিল, রাইটিংও সেইম ছিল, সেইম ভোকাবুলারি, সেইম সাজানোর স্টাইল, সেইম দাঁড়ি-কমা, কিন্তু টোনটা কেমন বানোয়াট হয়া গেছিল। মাসের পর মাস আমার মনে হইছিল যে আগে যা লিখছি ওইগুলা আমার ক্ষমতার বাইরে ছিল, নিজের কাজের সাথে নিজেরে মিলাইতে পারতাম না। নিজের উপর বিরক্ত লাগত। মনে করতাম নিজেরে খুঁইজা বের করার চেয়ে হারায়ে ফেলি। তারপর আবার কেমনে কেমনে সব ঠিক হইতে থাকলো। কিন্তু এই আজকেও আমি ওই বই আবার পড়ার সাহস পাই না। ভয় করে যে লাস্টের পার্টটুকু শুধু ভালো রাইটিংয়ের একটা ভং ধইরা আছে।

ইন্টারভিউয়ার: আপনার কি মনে হয় আপনার এই এংজাইটির সাথে আপনার নারী হওয়ার কোন কানেকশন আছে? আপনার কাজরে কেউ যেন “মেয়েদের বই” বলতে না পারে এইজন্য কি আপনারে একজন মেইল রাইটারের চেয়ে বেশি মেহনত করতে হয়? মেইল আর ফিমেইল রাইটিংয়ের মধ্যে কি কোন ডিফারেন্স আছে?

ফেরান্তে: আমার নিজের কাহিনি দিয়া এইটার উত্তর দিব। বারো-কি তের বছর বয়সেও আমি শিওর ছিলাম যে একটা ভালো বইয়ে একজন মেইল হিরো থাকতেই হইত, আর এইটা আমারে প্যারা দিত। আর দুই বছর পর এই চিন্তা দূর হইছিল। পনের বছর বয়সে আমি ব্রেভ মেয়েদের ব্যাপারে গল্প লিখতাম যারা বিশাল বড় ঝামেলায় পড়ত। কিন্তু সেই আইডিয়াটা রয়েই গেল, সত্যি বললে, আরো শক্ত হইলো যে সব গ্রেট ন্যারেটর হইলো পুরুষ, আর সবাইকে তাদের মত ন্যারেট করা শিখতে হবে। ওই বয়সে আমি বই গিলতাম, আর অবশ্যই আমার সব মডেলগুলা ছিল ম্যাস্কুলিন। তো আমি যখন মেয়েদের নিয়া গল্প লিখতাম, আমি তাদের একগাদা এক্সপেরিয়েন্স আর ফ্রিডম দিতাম, শক্ত চরিত্রের বানাইতাম, যেইগুলা আমি পুরুষদের লিখা গ্রেট নভেলগুলা থেকে নকল করার ট্রাই করতাম। আমি মাদাম দে লা ফায়েত বা জেন অস্টেন বা ব্রন্টেদের মত লিখতে চাইতাম না। ওইসময় আমি কন্টেম্পোরারি লিটারেচার নিয়া খুব কমই জানতাম। আমি ডেফো বা ফিল্ডিং বা ফ্লবার্ট বা তলস্তয় বা দস্তয়েভস্কি বা হিউগোর মত লিখতে চাইতাম। নারী নভেলিস্টরা যেসব অল্প মডেল দিছিল, মনে হইত ওদের মধ্যে তেমন কিছু নাই। কিন্তু মেইল নভেলিস্টদের মডেলগুলা একে তো সংখ্যায় বেশি ছিল, আবার অনেক চোখ-ধাঁধানোও ছিল। এই ফেইজ অনেক লম্বা সময় ধইরা ছিল, প্রায় বলতে গেলে আমার আর্লি টোয়েন্টিজ পর্যন্ত, আর বেশ ভালোই ইফেক্ট রাইখা গেছে।

ইন্টারভিউয়ার: আপনার কি মনে হয় ফিমেল ফিকশন জাতভাবেই দুর্বল?

ফেরান্তে: মোটেও না। আমি আমার টিনেজকালের অ্যাংজাইটির কথা বলতেছি। অবভিয়াস হিস্টোরিকাল কারণে নারীর লেখা পুরুষের লেখা থেকে সোজাসাপ্টা আর ট্র্যাডিশন মেনে চলা, কিন্তু এর আবার অনেক হাই পয়েন্ট আছে, ফিউচারের নারী রাইটারদের জন্য একটা বেইজ বানায়া দিছে। জেন অস্টেনের কথাই ধরেন। টোয়েন্টিথ সেঞ্চুরি নারীদের জন্য একটা বিশাল চেঞ্জের সেঞ্চুরি ছিল। ফেমিনিস্ট চিন্তাভাবনা আর প্র্যাকটিস গত সেঞ্চুরির সবচেয়ে ডিপ আর র‍্যাডিকাল ট্রান্সফরমেশন আইনা দিছে। আমি নারীর স্ট্রাগল, নারীর ননফিকশন, নারীর লিটারেচার বাদে নিজেরে চিনতেই পারতাম না। এইসবই আমারে এডাল্ট বানাইছে। পাবলিশড আর আনপাবলিশড নভেলিস্ট হওয়ার আমার যে এক্সপেরিয়েন্স, ঐটা ক্লাইমেক্সে আসছে বিশ বছর পর – আমার সেক্স, আর কেমনে এইটা আমারে ডিফারেন্ট বানায় এইটা একটা লেখায় রিলেট করার ট্রাই করতে গিয়া। কিন্তু আমাদের যদি নারী হিসাবে আমাদের নেরেটিভ ট্র্যাডিশনরে পালতে হয়, এর মানে এইটা না যে এতদিন ধইরা আমরা যে সব টেকনিক ফলো কইরা আসছি ওইগুলারে বাদ দিব। আমাদের দেখাইতে হবে যে আমরা শুধু পুরুষদের মত বিশাল, পাওয়ারফুল, রিচ দুনিয়াই বানাইতে পারি না, উলটা আরো ভালো কইরা বানাইতে পারি। এডভান্সড টুল দিয়া আমাদের আরো ভালোভাবে প্রিপেয়ার্ড থাকতে হবে, আমাদের ডিফারেন্স ভালোমত দেখতে হবে। আমাদের গ্রেটেস্ট ফ্রিডম পাইতেই হবে। রাইটাররা যা কিছু জানে, যা ফিল করে – সুন্দর, বিশ্রি বা কন্ট্রাডিক্টরি-উনাদের উচিত এসব ন্যারেট করা নিয়াই চিন্তাভাবনা করা, অন্ধের মত আইডিওলজির ছাঁচে পইড়া না যাওয়া বা রুলস ফলো না করা। লেখালেখির জন্য মেক্সিমাম এম্বিশন, মেক্সিমাম দুঃসাহস আর সিস্টেমেটিক ঘাড়ত্যাড়ামি দরকার।

Series Navigation<< আপনি আসলে কে সেইটা ঠিক বুইঝা উঠতে পারার আগে আপনি লিখতে পারবেন না – সালমান রুশদিপলিটিক্স যা করে সাহিত্য তার চাইতেও দীর্ঘস্থায়ী বিষয়ের মামলা – মারিও বার্গাস ইয়োসা >>
The following two tabs change content below.
Avatar photo

রপকথা নাওয়ার

জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →