Main menu

সাহিত্য কোনো মোরাল বিউটি কনটেস্ট না – ফিলিপ রথ

This entry is part 24 of 27 in the series ইন্টারভিউ সিরিজ

ফিলিপ রথ, যার একটাই পরিচয়, আগাগোড়া লেখক। জীবনভর কন্ট্রাডিক্ট কইরা যাওয়া লোকটার লেখক আইডেন্টিটি নিয়া কইতে গেলেও কন্ট্রাডিকশন প্রাসঙ্গিক হয়া যায়। এতো শৈল্পিক উপায়ে কন্ট্রাডিক্ট কয়জনই বা করতে পারে!

লেখক রথ উপন্যাস লিখছেন, ছোট গল্পও লিখছেন। তাঁর সাহিত্যে উইঠা আসছে কন্টেম্পোরারি পলিটিক্স, কালচার, আর জীবনবোধ। মোটা অংশ জুইড়া লেইখা গেছেন নিজেরে নিয়া। না, ‘অটোবায়োগ্রাফি’ বললে ভুল হইবো। উনি নিজের আইডেন্টিটি নিয়া খেলছেন। এতো বাস্তবের মতো কইরা খেলছেন যে কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা ধরতে গেলে ফিকশনের স্বাদ নেওয়াই উল্টা কঠিন হয়া যাইবো। আর তাই উনি চাইতেনও না কেউ উনার ফিকশনরে দূরে ঠেইলা লেখায় তাঁরে খুঁইজা বেড়াক।

জাকারম্যান, কেপেশ, আর পোর্টনয় – রথের এই কারেক্টারগুলারে উনি নিজের নানা বয়স আর সময়ের লগে মিলায়া, চারপাশের এলিমেন্ট বসায়া, যত্ন দিয়া গড়ছেন – একটা ভাস্কর্যের মতন। পুব-পশ্চিম, রিপাবলিক -টোটালারিয়ান, সেমেটিক-এন্টি সেমেটিক থিকা শুরু কইরা নারী-পুরুষ পর্যন্ত মানুষ-মানুষের সম্পর্ক, আর ক্রাইসিস নিয়া উনি গল্প বইলা গেছেন।

সাইকো-এনালাইসিসের অভিজ্ঞতা তাঁর লেখার মধ্যে বড় ভূমিকা রাখছে। আমজনতা, লোকে কী ভাবলো, পাঠক কী মনে করলো এইগুলারে উনি কখনো গুনেন নাই। নিউ জার্সি থিকা নিউ ইয়র্ক, আমেরিকা থিকা চেকোশ্লোভাকিয়া, ইংল্যান্ড – নানা স্থান-কাল-পাত্র থিকা উনি নিছেন, আর একটার পর একটা নভেল ডেলিভারি দিছেন।

আমেরিকার ইতিহাসের অন্যতম সেরা লেখক রথ দুইটা ন্যাশনাল বুক এওয়ার্ড, দুইটা ন্যাশনাল বুক ক্রিটিকস সার্কেল এওয়ার্ড, তিনটা ফকনার এওয়ার্ড, একটা পুলিৎজার আর ম্যান বুকার ইন্টার্ন্যাশনাল প্রাইজ পাইছেন।

যদিও রথরে চেনার জন্য প্রাইজের এই লিস্ট কাজে আসবো না। নিজের লাইফের সাথে মিল রাইখা এতগুলা নভেল লেখার পরও রথ আদৌ নিজেরে চেনাইতে চাইতেন কিনা সন্দেহ আছে। উনি নিজের জন্যই লিখতেন, কারণ এইটা তারে ভালো রাখতো। পাঠক নিয়া তার তেমন মাথা ব্যথা ছিল না, যদিও এইটাও তাঁর জীবনভর হেঁয়ালির আরেকটা কিনা – জানা সম্ভব না। কারণ, এইটা জিগানোর টাইম ফুরায়ে গেছে।

মোদ্দা কথা, লেখক হিসাবে রথ যতটা মজার, মানুষ হিসাবে ততটাই ডিফিকাল্ট। তারে যদি চিনতেই হয়, কয়টা রথ পইড়া দেখতে পারেন। তবে বইলা রাখতেছি, পুরাপুরি চিনতে না পারলে সেই দায়ভার আমার না। আর তার লেখা বইগুলার কোনো লিস্ট এখানে দিতেছি না (কোনটা রাইখা কোনটা দিবো), সেইটা বরং আপনারা গুগুল কইরা নিয়েন।

১৯৩৩ সালে নিউ জার্সির ইহুদী পরিবারে জন্মানো রথ, ২০১৮ সালে ম্যানহাটনে মইরা যাওয়ার আগে শেষ বয়সে দুঃখ করতেছিলেন, ফিকশন পড়ার এস্থেটিক দিন দিন ‘কাল্ট’ এক্টিভিটি হয়া যাইবো। তাঁর এই ভাবনা কি সত্য হইবো না মিথ্যা? সময়ই বইলা দিবো।

২.
ফিলিপ রথের এই প্যারিস রিভিউ ইন্টার্ভিউটা ৮৪’ সাল পর্যন্ত লেখক রথের পুরা জার্নিটারেই তুইলা ধরছে। একজন সাকসেসফুল নভেলিস্ট, যারে আমেরিকার অন্যতম সেরা সাহিত্যিক ধরা হয়, উনি নিজ মুখে বলতেছেন কেমনে তার লেখার জার্নি শুরু হয়, কেমনে শেষ হয়, লেখার টাইমে তার কী ক্রাইসিস ফেইস করা লাগে—এইটা উঠতি লেখক আর কিউরিয়াস পাঠক, সবার জন্যই দারুণ রিসোর্স হইতে পারে।

অবশ্য উনি এইখানে ফিকশান লেখা শিখায়ে দিছেন, বা কোনো ট্রিক বইলা দিছেন, এমন ভাবাটা ভুল হইবো। উনারে নিয়া মানুষের অনেক প্রি-এজাম্পশনস এইখানে ভাইঙ্গা দিছেন। ফিকশন কেমনে লিখতে হয়? এই প্রশ্নের কোনো প্রি-এজিউমড উত্তর আপনার মনে উঁকি দিতেছে? দিলে উনি সেটাও যে ভাইঙ্গা দিবেন, এইটুকু স্পয়লায় দিয়া রাখতেছি।

কাজের এথিকস, পাঠক নিয়া ভাবনা, আর লেখার ক্রাইসিস উনারে কেমনে প্রভাবিত করে সুন্দর কইরা বুঝায়া দিছেন। অটোবায়োগ্রাফি আর তাঁর উপন্যাস নিয়া পাবলিক কোয়েশ্চান নিয়া বিশাল বাহাস হইছে, সেখানে উইঠা আসছে তাঁর ইন্সপাইরেশন, সিচুয়েশন, আর থট-প্রসেস।

যখন অপ্রিয় কিছু জিগানো হইছে, ডাউন দ্যা উইকেটে আইসা ছক্কা পেটানোর মতো কইরা রথ মারছেন–তাঁর কথা দিয়া। রথের সাথে আপনার মিলা গেলে পিঠে মোলায়েম স্পর্শ টের পাবেন আর না মিললে চাবুকের বাড়ির মতোও লাগতে পারে। যদিও রথ ওসবের থোড়াই কেয়ার করতেন। রথের কাছে সামাজিক মোরালিটি সাহিত্যের সাথে কন্ট্রাডিক্ট করার রাইট রাখে না। তাঁর কাছে যা ঘটে, তা-ই লেখা সাহিত্য। যা ঘটে তা ভালো কি মন্দ–সেইটা আলাদা আলাপ।

যেহেতু ব্যক্তিজীবনের সাথে তাঁর সাহিত্যের অনেক মিল আছে, এই ইন্টার্ভিউতে তাঁর পার্সোনাল লাইফ নিয়াও প্রশ্ন উইঠা আসছে। বিশ্ব রাজনীতি নিয়া, রেজিম নিয়া, ন্যারেটিভের চয়েস নিয়া আর এক গাদা রথ নভেল আর পেছনের ইতিহাস নিয়া তাঁরে প্রশ্নবানে জর্জরিত করছেন হারমিওন লি। আশা করতেছি, এইটা পইড়া মজা পাবেন, জানবেন, আর রথরে ‘একটু’ হইলেও চিনতে পারবেন।

কে, এম ইতমাম ইসলাম
অক্টোবর, ২০২৩

মাথুনের কন্টেম্পোরারি রাইটার সিরিজ নিয়া ফিলিপ রথের কাজের উপরে আমি একটা ছোট বই লিখছিলাম। উনি আমার বইটা পইড়া খুশি হয়া একটা চিঠি পাঠান। এরপরে আমাদের প্রথম দেখা, আর তার পরে উনি আমারে ‘দ্যা এনাটমি লেসন’ বইটার চার নাম্বার খসড়া পাণ্ডুলিপি পাঠাইছিলেন। এই নিয়া আমরা পরে কথাও বলছি। খসড়াটা আমারে পাঠানো কোনো এবনরমাল ঘটনা ছিল না। উপন্যাস শেষ করার আগে রথ এইটা প্রায়ই করতেন। বই ছাপানোর আগে যতটা পারা যায়, উনি কয়টা ইন্টারেস্টেড পাঠকের ক্রিটিসিজম আর ফিডব্যাক শুইনা নিতে পছন্দ করতেন। ‘দ্যা এনাটমি লেসন’ বইটা লেখা শেষ হওয়ার লগে লগে আমিপ্যারিস রিভিও ইন্টারভিউটা নিতে শুরু করছিলাম।

তখন ১৯৮৩ সাল। গরমটা কেবল জাইগা উঠতেছে। পল মলের রয়াল অটোমোবাইল ক্লাবের একটা রুমে আমরা দেখা করি। ইংরেজদের দেশে আইসা কাজ করতে গেলে রথ এই রুমটাই ভাড়া কইরা থাকতেন। রুমটা ছোট ছিল, কিন্তু উনি এইটারেই সুন্দর মতন সাজায়া-গুছায়া অফিসের মতো বানায়া নিছিলেন। আইবিএমের গলফ বল টাইপরাইটার, এলফাবেটিকালি ফাইল সাজানির হোল্ডার, এংলেপইজ বাত্তি, ডিকশনারি, এসপিরিন, কপিহোল্ডার, কারেকশন করার টিপ কলম, একটা রেডিও, ফায়ারপ্লেসের উপর কয়টা বই, এই নিয়াই ছিল তার রুম। ফায়ারপ্লেসের উপরের বইগুলার মধ্যে ছিল নতুন বাইর হওয়া ইরভিং হোয়ের আত্মজীবনী ‘আ মার্জিন অফ হোপ’, এরিক এরিকসনের ‘ইয়াং ম্যান লুথার: আ স্টাডি ইন সাইকোএনালাইসিস এন্ড হিস্ট্রি’, লিওনার্ড উলফের আত্মজীবনী, ডেভিড মাগারশেকের ‘চেকোভ’, জন চিভারের ‘ওহ হোয়াট আ প্যারাডাইজ ইট সিমস’, ফরডাইসের ‘বিহ্যাভারিয়াল মেথডস ফর ক্রনিক পেইন এন্ড ইলনেস’ (জাকারম্যানের যেইটা দরকার), ক্ল্যায়ার ব্লুমের আত্মজীবনী ‘লাইমলাইট এন্ড আফটার’ আর তার লগে কয়টা প্যারিস রিভিউ ইন্টারভিউ। খালি খাওয়ার সময়টা বাদ দিয়া আমরা এই পাক্কা কর্পোরেট সেলে দেড় দিন ধইরা আলাপ করছি। এই দেড়টা দিন উনি মেহমানদারিতে কোনো খামতি রাখেন নাই।

রথের আচার আচরণ তার চেহারার লগে মিলা যায় – একটু দুঃখী-টাইপের, চুপচাপ, সাধারণ জামা-কাপড়, সোনালী ফ্রেমের চশমা, পুরাই আমেরিকান প্রফেশনালের লুক! লুকটা একটা নম্র-ভদ্র, কিন্তু ভালোই চালু ল’ইয়ার, নাইলে কথা কইতে পটু একাডেমিশিয়ানের লগে ভালো যায়।

উনি মনোযোগ দিয়া সব কথা শুনতেন, অনেক ছোট ছোট জোক কইয়া হাসাইতেন, আর নিজেও মজা পাইতে পছন্দ করতেন। তার এই আপাত সরল-সোজা চেহারার পিছেই কেমন জানি হিংস্র মনোযোগ আর মানসিক শক্তি ছিল। তার কাছে সবই ছিল জরুরি আর শিখার মতোন। কোনো অস্পষ্ট আলাপ মাইনা নিতে পারতেন না। মতের অমিল হইলে লোভীর মতোন চাইপা ধরতেন। আর কিছু শুইনা যদি তার একবার মনে হয়– প্যাঁচানো যাইবো, তাইলে আর পার পাওয়া সম্ভব না। উনি খাড়ার উপর ভাবতে পারতেন। হেঁয়ালি কইরা খেলার ছলে আইডিয়া বাইর কইরা নিতেন। এমনভাবে কথা কইতেন যেন নিজের ব্যাপারে কিচ্ছু স্বীকার যাইতে চাইতেছেন না (যদিও মাঝে-সাজে অনেক কথা ডাইরেক্ট বইলা দিতেন)।

তার লগে করা ইন্টারভিউ-এর ট্রান্সক্রিপ্ট বিরাট সাইজের হইছিলো। প্রচুর সময় খাইতেছিল। একদিকে মজার, আবার অগোছালো। বারবার একই কথা ঘুইরা-ফিরা আসতেছিলো। তাই ট্রান্সস্ক্রিপ্টটারে একটু ঘষা-মাজা কইরা, মানানসই সাইজে আইনা, তারে পাঠাইছিলাম। এরপরে উনি আমেরিকায় চইলা গেছিলেন বইলা বড় একটা গ্যাপ পড়ে – ওই টাইমেই উনি ‘দ্যা এনাটমি লেসন’ বইটা ছাপাইছিলেন।

চুরাশি সালের শুরুর দিকে উনি ইংল্যান্ডে ফেরত আসেন। তখন আমি আবার দেখা করতে গেছিলাম। উনি আমার ভার্সনটা রিভাইস দিতেছিলেন, আর আমরা আলাপ কইরা যাইতেছিলাম। লেখাটা ফাইনাল হওনের আগে এই আলাপ থামে নাই।

উনার লগে এই প্রসেসে কাজ করা আমার অনেক ইন্টারেস্টিং লাগছে। ছয় মাস আগে আমি যখন ইন্টারভিউটা নিতেছিলাম, উনি একটা উপন্যাস শেষ করতেছিলেন। আর এখন আরেকটা শুরু করতেছেন। এই ছয় মাসে ইন্টারভিউয়ের মুডই গেছে বদলায়া। এইবারে উনি আরও বেশি খুঁতখুঁতা হয়া আমারে চাইপা ধরতেছিলেন।

একটা ইন্টারভিউ’র এতোগুলা ড্রাফট গেছে বইলা রথ কেমনে কাজ করতেন তার পুরা সিস্টেম ধরা পড়ছে। কাঁচা কাঁচা কথাগুলার উপরে উনি নিজেই হাত চালাইছেন। স্টাইলিশ আর এনার্জেটিক টোন ঢুকাইছেন। লেখা বদলাইছেন। অনেক কিছু টু-দ্যা-পয়েন্টে আইনা সোজা করছেন। আর পুরান আলাপ নিয়া নতুন কইরা ভাইবা নতুন কয়টা আইডিয়াও দিছেন।

শেষমেশ ইন্টারভিউটা দারুণ একটা এক্সাম্পল হয়া দাঁড়াইছে। ফিলিপ রথ নিজেরে যেমনে দেখেন তার বিস্তারিত বর্ণনা এইখানে উইঠা আসছে।

হারমিওন লি,
১৯৮৪

ইন্টারভিউয়ার: আপনি নতুন বই লেখা শুরু করেন কেমনে?

ফিলিপ রথ: বই লেখা শুরু করা কোনো সুখের কাম না। আমি একটা কারেক্টার আর তার অস্বস্তি নিয়া পুরা আন্ধার দেখি। কিন্তু শুরু করতে হইলে কারেক্টারের অস্বস্তি জানা আমার লাগবোই। আমার কাছে সাবজেক্ট নিয়া না জানার থিকা সাবজেক্টটারে ট্রিট করার উপায় না জানা বেশি খারাপ। কারণ দিনশেষে এইটাই সব ঠিক কইরা দেয়।

আমি সবসময় শুরুটা টাইপ কইরা দেখি খুবই বাজে হইছে। যতই আগের লেখা থিকা ছুইটা বাইর হইতে চাইতেছি, বেখেয়ালে পুরান বইগুলার প্যারোডি হয়া যায়। আমি চাইতে থাকি একটা শক্তি আইসা আমারে বইটা আগায়া নিতে হেল্প করুক। একটা চুম্বকের মতন শক্তি আসুক, আর আমারে বইটার কলিজা বরাবর টাইনা নিক। নতুন কিছু লেখার পয়লা কয়টা মাস আমি এই শক্তিটারে খুঁজি।

আমি খালি একটা প্যারা, যাতে প্রাণ আছে খুঁইজা নিতে একশো বা তারও বেশি পেইজ লেইখা ফেলি। আমি নিজেরে বুঝ দিই, ঠিক আছে, এই তোমার শুরু হইছে, এইখান থিকাই হইবো; তোমার বইয়ের প্রথম প্যারা ডান। ছয় মাসের কাজ ঘাইটা লাল কালি দিয়া আন্ডারলাইন করি– প্রাণ ওয়ালা লেখা খুঁজি। কখনো একটা প্যারা, একটা সেন্টেন্স, কখনো অল্প কয়টা শব্দের চাইতে বেশি পাই না। তারপর আমি সেগুলারে আলাদা কইরা কাগজে টুইকা নেই। যা আলাদা কইরা নেই তা এক পেইজের বেশি না হওয়াই নরমাল। তাও আমি যদি লাকি হই, এইটা আমার এক নাম্বার পেইজ হয়। লেখার টোন সেট করতে গিয়াও আমি প্রাণ খুঁজি।

এতো বাজে শুরুর পরে আসে মাসের পর মাস নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না কইরা টাইনা লেইখা যাওয়া। তারপরে আসে ক্রাইসিস যেইখানে আমি নিজের কাজের বিরুদ্ধে যায়া বইটারে ঘৃণা করি।

ইন্টারভিউয়ার: শুরুর আগে বইয়ের কট্টুক আপনার মাথায় থাকে?

রথ: যা থাকলে কাজের কাজ হইতো তার কিছুই থাকে না। এইটা বইলা যা বুঝাইতেছি তা কিন্তু প্রবলেমের সুলিউশন না। প্রবলেমটা কই আমি ঠিক ওইটাই ধরতে পারি না। এইটা অনেকটা এমন – তুমি শুরু করার টাইমেই খুঁজতেছো কই যায়া আটকাবা, কই বিপদের গন্ধ আছে। লেখাটা কঠিন হয়া যাইবো এইটা তোমার প্যারা না। বরং ভাবতেছো লেখাটা যথেষ্ট কঠিন হইবো কিনা। ভাবতেছো আর প্যারা খাইতেছো।

সব যদি অনেক সহজে হয়া যায় আমি ধইরা নেই কিছুই হইতেছে না। এইটাই আমার থামার সিগনাল। আমি বুইঝা ফেলি আমার থামা লাগবো। আমি যদি প্রত্যেকটা বাক্য নিয়া আন্ধার দেখি আর কাতরাই, আমি নিজেরে কই – হ, ঠিক হইতেছে।

ইন্টারভিউয়ার: আপনার কি সবসময় একটা শুরু থাকাই লাগবো? কখনো আপনি শেষটা আগে লেখেন না?

রথ: কইতে পারো শেষ দিয়াই আমি শুরু করি। আজকের এক নম্বর পেইজটা আমি এক বছর পরে ফালায়া না দিলে অইটা দুইশো নম্বর পেইজও হয়া যাইতে পারে।

ইন্টারভিউয়ার: আপনি যে একশো বাতিল পেইজের কথা কইলেন, পেইজগুলা নিয়া আপনি কি করেন? রাইখা দেন?

রথ: নরমালি আমি এইগুলা জীবনেও দেখতে চাই না।

ইন্টারভিউয়ার: দিনের এমন কোনো টাইম আছে যখন আপনি সবচাইতে ভালো কইরা কাজ করতে পারেন?

রথ: আমি সারাদিন কাজ করি। সকাল থিকা সন্ধ্যা, প্রতিদিন। আমি এইখানে এমনে দুই থিকা তিন বছর বইসা থাকলে আমার একটা বই বাইর হইবো।

ইন্টারভিউয়ার: আপনার কি মনে হয় অন্য লেখকরাও এত লম্বা সময় ধইরা কাজ করে?

রথ: আমি অন্য লেখকদের কাজের অভ্যাস নিয়া প্রশ্ন করি না। আমার কিছু যায় আসে না। জয়েস ক্যারল ওটস কই জানি কইছিলো, যখন লেখকরা একজন আরেকজনরে জিগায় তারা কখন লেখা শুরু করে, কখন থামে, কতক্ষণ ধইরা লাঞ্চ করে – তারা আসলে জানতে চায় “ওয় কি আমার মতোই পাগল?” আমি এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই না।

ইন্টারভিউয়ার: আপনার পড়ার অভ্যাস কি আপনার লেখারে এফেক্ট করে?

রথ: আমি সবসময় লেখতে গেলে পড়ি। সাধারণত রাতে। সার্কিট খোলা রাখতে আমি এই টেকনিক খাটাই। নিজের লাইনের কাজ নিয়া ভাবতে যেমন পারি, হাতের কাজ থিকা হালকা রেস্টও নিতে পারি। এইটা কাজে তো দেয়ই, লগে আমার পাগলামিটারেও বাঁচায়া রাখে।

ইন্টারভিউয়ার: লেখা যখন চলতেছে তখন আপনি কাউরে দেখান?

রথ: ভুলগুলা নিজেই পাইকা নষ্ট হইলে বরং আমার লাইগা বেশি লাভ। সবকিছুরই একটা টাইম আছে। লেখার সময় আমি একাই সব দিক ভাইবা নিতে চাই। যখন আমি নিজেই জানি আমার কাজের অর্ধেকও শেষ হয় নাই, তখন অন্যদের প্রশংসা দিয়া করবোটা কি। আমি যতক্ষণ পর্যন্ত শিউর না হইতেছি যে আর আগানো যাইবো না, বা ধইরা না নিতাছি আমার লেখা শেষ হইছে, আমি কাউরে কিছু দেখাই না।

ইন্টারভিউয়ার: আপনি কি লেখার সময় যারা রথ পড়ে তাদের কথা ভাইবা লেখেন?

রথ: না। মাঝে মাঝে উল্টাটা করি। যে রথ পড়ে না, তারে ভাইবা লেখি। চিন্তা করি, “সে কতটা অপছন্দ করবো!” এইটাই আমারে এনকারেজ করার লাইগা যথেষ্ট।

ইন্টারভিউয়ার: আপনি কইতেছিলেন, ‘ক্রাইসিস’ আপনার উপন্যাস লেখার শেষ স্টেপ। যেখানে আপনি লেখা থিকা মুখ ফিরায়ে নেন আর বইটারে ঘৃণা করেন। সবসময়, সব বইয়েই কি এই ক্রাইসিস থাকে?

রথ: সবসময়। মাসের পর মাস পাণ্ডুলিপির দিকে চায়া থাকা আর বলা, “এইটা ভুল—কিন্তু ভুলটা কী?” আমি নিজেরে জিগাই, “যদি বইটা একটা স্বপ্ন হইতো, তাইলে কিসের স্বপ্ন হইতো?” আমি কিন্তু নিজেরে এইসব জিগানোর সময় নিজের লেখার উপর বিশ্বাসটাও ধইরা রাখার চেষ্টা করতেছি। ভুইলা যাইতে চাইতেছি যে আমার লেখা এখনোও শেষ হয় নাই। আর বলতে চাইতেছি, “এইটা জায়গা নিয়া নিছে।” যদিও তখনো ঠিক নিয়া সারতে পারে নাই। এইটা এমন ভাবনা যেইখানে আপনি নিজের সৃষ্টিরে বাস্তবতার বদলে স্বপ্ন হিসাবে ধইরা নিতেছেন। এইটা এমন এক ভাবনা যেইখানে আপনি রক্ত-মাংসের চরিত্ররে কাল্পনিক বানাইতেছেন, আর কল্পনার চরিত্ররে রক্ত-মাংসের ভাবতেছেন।

ইন্টারভিউয়ার: এই ক্রাইসিসগুলা নিয়া আরো কিছু বলবেন?

রথ: দি ঘোস্ট রাইটার লেখার সময় অনেকগুলা ক্রাইসিসের একটা ছিল জাকারম্যান, এমি ব্যালেট আর আন্নে ফ্রাঙ্করে নিয়া। আন্নে ফ্রাঙ্করে এমি বেলেট হিসাবে কল্পনা করা সোজা ছিল না। সে ছিল আমার বইটায় জাকারম্যানের নিজের ইনভেনশন। এইটার অসংখ্য বিকল্প ভাবছি আমি। অনেক ভাইবা পরে ঠিক করছি জাকারম্যানের ইনভেনশন হয়া একটা ইয়াং ওম্যান নিজেরে খুঁইজা পাইলে খারাপ হয় না। সে যে শুধু জাকারম্যানেরই ইনভেনশন ছিল এমনও না, হয়তো নিজেরও ছিল।

জাকারম্যানের ফ্যান্টাসির সব অস্পষ্টতা আর দ্বন্দ্ব সরায়া তারে স্পষ্ট আর শক্তিশালী কইরা তুলার একটা ক্রাইসিস গেছে। লেখার ভিতরের এই প্রবলেম ঠিক করতে যায়া আমার পুরা সামার আর ফল কাইটা গেছিল।

জাকারম্যান আনবাউন্ড বইটার ফার্স্টের দিকেই ওর বাপরে মাইরা ফেলছিলাম। এইটা যে ঠিক করি নাই আগে বুঝি নাই। বুঝার এই ফেইলিওর আমার ক্রাইসিস ডাইকা আনছিল। আমি পরে বুঝতে পারছি ওর বাপরে আমার লেখার শেষের দিকে মারলে বেশি জমতো। বিশেষ কইরা পোলার ব্লাসফেমাস বেস্ট-সেলিং বই বাইর হওনের পর জিনিসটা আরও যাইতো। আমি তাই আবার ট্রাই করছি। কিন্তু দেখি আমি এই ঘটনাটারে ফার্স্টেই রাইখা দিছি। তারপর বলদের মতন লেখার দিকে মাসের পর মাস তাকায়ে ছিলাম, কিছুই বুঝতেছিলাম না। আমি আলভিন পেপলার থিকা আমার বইটারে পুরাই আলাদা করতে চাইতেছিলাম। আর চাইতেছিলাম গল্পটারে একদিক থিকা জমায়া জমায়া আগাইতে, আর হুট কইরা অন্যদিক থিকা একটা সারপ্রাইজ দিতে। কিন্তু শুরুর ড্রাফটগুলারে ফালায়ে দিতে মন টানতেছিল না। হুট কইরা নজরে আইলো উপন্যাসটায় একটার পর একটা এসাসিনেশন, মাইরা ফেলার হুমকি, ফিউনারেল, আর ফিউনারেল হোমগুলা জাকারম্যানের বাপের মৃত্যু থিকা দূরে না নিয়া উল্টা কাছে টানতেছে। এইসব আলামত যখন আপনারে বাঁইধা ফেলতেছে, সিকোয়েন্স সামান্য বদলায়ে দিলে যখন সবকিছু মিলা যাইতেছে, যখন আপনি এই একটা কারণেই সুন্দর মতোন ফিনিশিং লাইন পার হইতে পারতেছেন, তখন কেমনে ঘটনাগুলারে জোর কইরা একটা কনট্রাস্টে ফালায়া সাজাইবেন?

আমি দি এনাটমি লেসন লেখার সময় টাইপরাইটারের লগে মাথা বাইড়াইতে বাইড়াইতে হুট কইরা একটা বিষয় নোটিস করি। এইটা হইলো জাকারম্যান যখন শিকাগোর ফ্লাইটে উইঠা ডাক্তার হইতে চাইতেছিল, তখন তার আসলে পর্নোগ্রাফারের রোল নেওয়া লাগতো। মোরালিটির দাঁড়িপাল্লায় তার একেবারে চরম উগ্র হয়া যাওয়া লাগতো। জাকারম্যান নিজেরে চেইঞ্জ করার ট্রাই মারতে গিয়া যে সেলফ-এস্কেপের স্বপ্ন দেখতো, সেইটা বাকি সবার জীবনের গোলস আর মিনিং তুচ্ছ কইরা দিতেছিল – যেন কোনো মশকরা হইতেছে। এরচাইতে সে যদি তার হাই মোরালিটিরে গুইনা খালি ডাক্তারই হইতো, বা এনার্কিক চিন্তাগুলা বা নিজের অচেনা রাগটারে জড়ায়া নিয়া জাস্ট একটা পর্ণোগ্রাফারের রোল নিতো। মোদ্দা কথা তার যদি একটাই মুড থাকতো, আমি তারে আমার লোক কইতে পারতাম না।

তারে দুইটা মুড ডমিনেট করতো: নিজেরে নিয়া ধুমাইয়া সন্দেহ করার মুড, আর কাউরে গোনার টাইম নাই মুড। তুমি যদি একটা জিউ ব্যাডবয় চাও, ওর মধ্যে সেইটাই পাইবা। সে একটা মুড থিকা বিরতি নিয়া আরেকটায় ঢুকতো। যদিও যা দেখছি আমরা, মনে হইতে পারে এই বিরতির খাতা কইতে গেলে খালিই ছিল।

জাকারম্যানের যেই বিষয়টা আমারে টানতো ওইটা বলতেছি। দুনিয়ার সব লোক নিজেরে নিয়া অনেক দ্বন্দ্বে থাকে। কিন্তু জাকারম্যানের মতো এতো ন্যাংটা হয়া থাকে না। সবার হয় পায়ের তলার মাটি ভাঙ্গা, নাইলে ওই মাটিটাই নাই, কিন্তু তারা এই কনফ্লিক্টের জায়গাটারে লুকায়া রাখার লাইগা কি রকম জানপ্রাণ দিয়া চেষ্টা কইরা যাইতেছে! বেশিরভাগ লোক নিজের দুঃখরে সারায়া তুলতে চায়। এই নিয়াই লাইগা থাকে। অনেকেই আছে যারা মনে করে লুকায়ে রাখলেই সব সারায়া তুলা যাইবো (বা একেবারেই থাকবো না)। কিন্তু জাকারম্যান না পারে লুকাইতে, না পারে সারাইতে। ট্রিলজিটা শেষ হইতে হইতে এইটা সে নিজেও বুইঝা ফেলে। প্রমাণ পায়া যায়। সে যেই রাস্তা ধইরা জীবনটারে টানছে আর কাজগুলারে আগায়া নিছে, তার পুরাটাই ছিল উঁচা-নিচা, ভাঙ্গা-চোরা। কোনোকিছুই তার জন্য সোজা রাস্তায় আসে নাই। আমি তার এই রাস্তা ধইরা হাঁটতে চাইছি।

ইন্টারভিউয়ার: ফিলিপ রথ যখন নাথান জাকারম্যান হয়া যায় তখন রথের কি হয়?

রথ: নাথান জাকারম্যান একটা অভিনয়। এইটা পুরাই অন্যরে কপি করার খেলা, তাই না? অন্যরে কপি করা একটা বেসিক নভেলিস্টিক গিফট। জাকারম্যান এমন একজন লেখক যে ডাক্তার হইতে চাইতেছে, আর পর্নোগ্রাফারের রূপ ধরতেছে। আমি এমন একজন লেখক যে আরেকজন লেখকের রোল নিছি যে ডাক্তার হইতে চাইতেছে কিন্তু পর্নোগ্রাফারের রোল নিছে। আমিই আবার এই রোল নেওয়ার খেলারে বাড়াইতেছি, আরও জমাইতেছি, আর ভাব নিতেছি আমি লেখালেখির দুনিয়ার কোনো পপুলার ক্রিটিক।

ভুয়া বায়োগ্রাফি, মিথ্যা ইতিহাস, নিজের জীবনের আসল ড্রামার লগে আরও অর্ধেকটা কল্পনা মিশায়া একটা অস্তিত্ব বানানো – সেইটা নিয়া লেখাই আমার লাইফ। লেখতে তো কোনো না কোনো আনন্দ থাকা লাগবো, আমার আনন্দটা এইখানে। একটা ভুয়া পরিচয় নিয়া ঘুইরা বেড়ানোতে। একটা কারেক্টারে ঢুইকা যাওয়াতে। কাউরে এমন কিছু বানায়া দেয়াতে যেইটা সে না। ভেক ধরাতে। ধূর্তামি আর চালাকির মাস্কেরেডে। [মাস্ক পইড়া নাচা-কুদা করার প্রোগ্রাম, আর প্রিটেন্ড করার কথা বুঝানো হইতেছে।]

ভেন্ট্রিলোকুইস্টের কথা যদি ধরো, সে এমনে কথা কয় যেন তার আওয়াজগুলা দূরের কারো মুখ থিকা ভাইসা আসতেছে। কিন্তু তারে তুমি নিজের চোখে না দেখতে পাইলে জীবনেও এই শিল্প থিকা মজা পাইতা না। তার শিল্প হইলো অনুপস্থিতি আর উপস্থিতি। সে সবচে বেশি নিজের মতো হয়, যখন সে অন্য কেউ হয়া যায়। পর্দা নাইমা গেলে ‘সে’ আর কেউ থাকে না।

একটা লেখক হয়া তুমি অন্য কারো ভেক ধরতে চাইলে তোমার নিজের বায়োগ্রাফি ফেলায়া দিতে হইবো না। উল্টা তুমি যদি নিজেরে বাদ না দেও, ওইটা আরও বেশি মজার। নিজের আইডেন্টিটিটারে নিজেই ভাঙ্গো, ক্যারিকেচার করো, প্যারোডি করো, টর্চার করো, মানচিত্র বদলায়া ফেলো, এক্সপ্লয়েট করো — সবই তুমি বায়োগ্রাফিটারে একটা আলাদা ডাইমেনশান দিতে করবা। ভাবতেছো, এইটা তোমার মুখের কথারে এক্সাইটিং বানাইবো কেম্নে? লাখ লাখ লোক সেইম জিনিস কইরা যাইতেছে। তয় তারা সাহিত্য দিয়া তাগো এই কাজটারে জাস্টিফাই করে না। তারা এইটাই মিন করে। তুমি খেয়াল করলে অবাক হইবা যে মানুষ তার আসল চেহারার সামনে স্রেফ একটা মুখোশ লাগাইয়া কত মিথ্যা লুকায়া রাখতেছে। পরকীয়া শিল্পে যারা জড়িত ওগো কথা ভাবো একবার: কত চাপ, কত বাঁধা সামলায়া, সাধারণ জামাই-বৌ যাগোরে স্টেইজে তুইলা দিলে সেলফ কন্সশাসের চোটে ভয়ে তাগো হাঁটু কাঁপতো, ঠিক তারাই বাড়ির থিয়েটারে পার্টনার নামের অডিয়েন্সের সামনে যায়া নির্দোষ আর বিশ্বস্ত হওনের নিখুঁত অভিনয় কইরা যায়। কোনো ভুল হয় না। ওগো হাড়ে হাড়ে জিনিয়াসি। গ্রেট, গ্রেট পার্ফরমেন্স। কেমন সাবধানী তয় কতটা ন্যাচারাল এক্টিং! এইগুলা যারা করতেছে তারা কিন্তু এমেচার এক্টর। সুন্দর কইরা ‘নিজেগো’ রোল নিজেরাই প্লে করতেছে। বুঝছো, তোমারে কখন কি বিশ্বাস করানো হইতেছে, তা মাঝে মাঝে টেরও পাইবা না। এখন কও, রস-কষ নাই, কল্পনাশক্তি নাই, বৌয়ের লগে চিট করা একটা মফস্বলী একাউন্টেন্টের চাইতে একটা উপন্যাস লেখক কেন বেটার ভেক ধরতে পারবে না? যার পেশাই কিনা ভেক ধরা?

মনে আছে? জ্যাক বেনার বড়লোক হয়া গরীবি হালে চলার ভেক ধরতো? নিজেরে গাইলাইয়া সে ক্যাটক্যাটা খ্যাপা হওনের ভান করতো। এই ছিল তার কমিক ইমাজিনেশনরে এক্সাইট করার ওয়ে। এইটা সত্য সে হয়তো আর দশটা নরমাল ভালো লোকের মতো ফানি ছিল না – যারা ইউজেএ-এর কাছে চেক পাঠায় আর বন্ধুগো খাওয়াইতে নিয়া যায়। অন্যদিকে সেলাইন কিন্তু ডিফারেন্ট ছিল। যখন সে প্র্যাকটিসে ঠিকমতো খাটতেছে আর পেশেন্টদের কেয়ার করতেছে, তখন মনে হইতেছিল সে উদাস, আর ফিজিশিয়ান হিসাবে নিজের দায়িত্ব বুঝতেছে না। বিষয়টা কিন্তু ইন্টারেস্টিং হয় নাই।

(ইন্টারভিউ’র অংশ)

Series Navigation<< একজন ভালো লেখকের তার নিজস্ব স্টাইল থাকতে হয় – কেনজাবোরো ওয়েএমন এক অডিয়েন্স থাকে যারা আসলে কোথাও এগজিস্ট করে না – হা জিন >>
The following two tabs change content below.
Avatar photo

কে এম ইতমাম ইসলাম

ছোট থিকা টুকটাক লেখালেখি, আর পড়ার অভ্যাস। হাজারটা স্বপ্ন দেইখাও এই ছোট জীবনে বড় কিছু করার সুযোগ হয় নাই। যদি হইয়াও থাকে, হেলায় হারাইছে – হয়তো আলসেমি বা অন্য কোনো কারণে। আজীবন সংগঠন কইরা বেড়ানো, আড্ডাবাজ অথচ চুপচাপ এই লোকটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থিকা অনার্স করছে, মাস্টার্সে ফাঁকি দিছে। জীবিকার তাগিদে কপিরাইটিং করে, পেটের নেশায় মানিক থিকা শিফট করছে এটমিক হ্যাবিটস-এ।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →