Main menu

থামতে পারার আর্টটা জানা খুবই দরকারি – মিলান কুন্দেরা

This entry is part 28 of 28 in the series ইন্টারভিউ সিরিজ

ট্রান্সলেটর’স ইন্ট্রো

আমার কাছে কুন্দেরা যত না পলিটিকাল তার থেকে বেশি ফিলোসফিকাল। অন্তত আমি কুন্দেরাকে যতবার যেভাবে পড়ছি, তাতে মনে হইছে কুন্দেরা তার নভেলে পলিটিক্সের থেকে ফিলোসফির নজরে বেশি নোকতা নিছেন। তার মানে এই না যে তার নভেলে পলিটিকাল নোকতা টানা যাবে না, কিন্তু নভেলগুলা গুরুত্বপূর্ণ হইতে পারে এইদিক থেকে যে রাইটার ক্যামনে তার নভেলের ভিতর দিয়া ফিলোসফিকাল কোশ্চেন ফর্ম করতে পারেন, এবং একইসাথে সেগুলার আন্সার খুঁজতে পারেন একটা দেশের হিস্ট্রি ও পলিটিকাল চেইঞ্জের আলোকে তার ভাল দৃষ্টান্ত তার কাজ।

কুন্দেরা ছাত্রবয়সে একবার কম্যুনিস্ট পার্টিতে জয়েন করছিলেন, পরে তারে ছাঁটাইও করা হইছিল তার স্বাধীন চিন্তাভাবনা ও ইন্ডিভিজ্যুয়ালিস্টিক ডিজপজিশনের কারণে। তখন কেবলই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হইছে। ইউরোপিয়ান দেশগুলা কমন ওয়েলফেয়ার জায়গা খুঁজবার ট্রাই করতেছিল। সোভিয়েত-ঘেঁষা কম্যুনিস্ট আদর্শের হাওয়া তখন জোরালো। চেক-প্রজাতন্ত্রে কম্যুনিস্ট বিপ্লব মারফত তার প্রভাব আরও বেশি ছিল। কুন্দেরা কম্যুনিজমের সাথে সম্পর্ক তাই একরকম জটিলই বলা চলে। দেশ, আদর্শ এবং পলিটিক্স- এই সমস্ত জায়গায় কুন্দেরা একরকম নন-কনফর্মিস্ট- যার ফলে তার নাগরিকত্বই একসময় বাতিল কইরা দেয়া হয়।

কিন্তু কুন্দেরার এই নন-কনফর্মিস্ট জায়গা বুঝতে গেলে দেখা যায়, আসলে নভেলের সাধারণ ন্যারেটিভ ধরে বুঝলে কুন্দেরার নভেল যতটা পলিটিকাল মনে হয়, আসলে তার থেইকা বেশি ফিলোসফিকাল। এখন পলিটিকাল-ফিলোসফিকাল কোনটার ভার কার থেকে বেশি সেই খাজুরে আলাপে যাব না। এই ইন্টারভিউ থেকেও যেই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট উইঠা আসছে যে কুন্দেরার কাছে নভেল ফিলোসফিকাল এনগেজমেন্টের জায়গা। কিছু কোশ্চেন আন্সার করবার মিডিয়াম হইতেছে নভেল।

এই কাজ তিনি করছেন তার ক্যারেক্টারের ভিতর দিয়া, যেইখানে তার ক্যারেক্টার-সকল খুবই রিফ্লেক্টিভ, মেডিটেটিভ এবং থিংকিং-লাইক। টমাস, সাবিনা, তেরেজা এবং লুদভিক এরা তাদের চিন্তার মারফতে একটা বেসিক কোশ্চেন আন্সার করবার চেষ্টায় থাকে। দা আনবিয়ারেবল লাইটনেস অফ বিয়িং-এ যেমন কিচের কোশ্চেন, দা বুক অফ লাফটার এন্ড ফরগেটিং-এ যেমন তামিনার জীবন-মৃত্যুর গভীর মেটাফিজিকাল কোশ্চেন- এগুলা পুরা নভেলের স্টেইজটাই সেট কইরা দেয়। এবং ইন্টারভিউ থেকে ক্লিয়ার হবে, তার এই কোশ্চেনগুলা কোন র‍্যান্ডম জায়গা থেকে উঠে আসা না, বরং গভীর স্টাডি-রিসার্চ থেইকা উঠে আসা। আরেকদিক থেকে বলতে গেলে তার নভেল অনেকখানিই মেটা-ক্রিটিক অফ লাইফ।

কুন্দেরার নভেলে আরেকটা ইম্পর্ট্যান্ট জায়গা আছে, যেইটা হইতেছে তার ক্যারেক্টারের মেডিটেশন। এই কথা ইন্টারভিউতেও উঠে আসছে বেশ কয়েকবার। তামিনা, তেরেজা, তমাস, সাবিনা- এরা নভেলে কোন প্যাসিভ এজেন্ট হিসেবে কাজ করে না। বরং পুরো নভেলের ন্যারেটিভ তৈরিতে, স্ট্রাকচার ডেভেলপে এদের থিংকিং, মেডিটেশন, রিফ্লেকশন সবকিছুই খুব জোরালো রোল প্লে করে। সেদিক থেকে কুন্দেরার ক্যারেক্টারগুলা খুব অদ্ভুতভাবে, স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে পারে এই নভেলসবে।

দ্য জোকের কেইসে লুসি একটা সোশিও-পলিটিকাল কনটেক্সট থেকে ইল্যুসিভ, এবং একিসাথে তার এক্সিস্টেন্স তার হিস্ট্রি-এবানডানমেন্ট-ট্রমা অনেককিছুই দিয়া ডিফাইনড। আবার একইসাথে আমরা তার জীবন দেখতেছি কোন শব্দ দিয়া না, বরং তার জীবন যাপনের সাইলেন্সের ভিতর দিয়া। এর মধ্য দিয়া কুন্দেরা ডিল করতেছেন এক্সিস্টেন্স ইটসেলফকে (যেখানে শব্দের থেকেও এক্সিস্টেন্সটা তার কাছে মেইন থিম)। একইভাবে আবার দা আনবিয়ারেবল লাইটনেস অফ বিয়িং-এ আমার সবচে ইন্টারেস্টিং লাগে সাবিনাকে। সাবিনার কমিটমেন্ট ইস্যু আছে যার কারণ হয়তো তার হিস্ট্রি যেইখানে বিট্রেয়ালের দাগ অনেক গভীর। আমরা সাবিনাকে পাই কমপ্লেক্স একটা ক্যারেক্টার হিসাবে- যার স্যাটিসফ্যাকশন না দিতে পারে ফ্রাঞ্জ না দিতে পারে টমাস। এবং শে একইসাথে ফুল-ফ্লেজড ইন্ডিপেন্ডেন্ট উইম্যান। তার লাইফ ফুল অফ কিচ, এবং যা থেকে সাবিনা পালায়ে বাঁচতে চায়। কিংবা অন্য কথায় কিচ মানে হইতেছে ফুল অফ শিট। কুন্দেরার উপন্যাসকে যদি আরও প্রিসাইস করতে চাই, তাহলে হয়তো এরকম দাঁড়ায়: ক্যারেক্টারের এক্সিস্টেন্সের থ্রুতে সোশিও-পলিটিকাল এনালাইসিস। মেটা-ফিলোসফিকাল কোশ্চেন যেখানে আমাদের লিড করে বুঝে উঠতে আমরা ঠিক কোথায় যাইতেছি।

কুন্দেরার এন্ট্রিপয়েন্ট হইতেছে তাই তার নভেলের ক্যারেক্টার। আমার কাছে মনে হইছে কুন্দেরা তার ক্যারেক্টারের থ্রুতে নভেলে ঢুকেন, এবং সেইখান থেকেই জার্নিটা শুরু।

কুন্দেরার ইউনিভার্সের সাথে পরিচয় থাকলে আপনি এই ইন্টারভিউ নিশ্চয়ই এনজয় করবেন।

তৌকির হোসেন
ডিসেম্বর, ২০২৩
গুলশান, ঢাকা

১৯৮৩, ফল। এই সময়ে প্যারিসে বেশ কয়েকবার আমার কুন্দেরার সাথে দেখা হয়। সেই দেখার আলাপ বিভিন্ন আলাপে ছড়ায়ে গেলেও এইখানে একটা ইন্টারভিউ আকারে হাজির করা হইছে। মন্তপানাসে কুন্দেরার চিলেকোঠায় আমাদের এই কথাবার্তা হইছিল। সেইখানে ছোট একটা ঘরে কুন্দেরার অফিস আর সেইখানেই আমরা বসছিলাম। তার শেলফগুলা দেখলে ক‌োন একটা স্টুডেন্টের শেলফ বইলা ভুল হবে – সেখানে ফিলোসফি, মিউজিকোলজি, পুরানা টাইপরাইটার আর একটা টেবিল রাখা ছিল। দেখলে মনেই হবে না যে এইটা ওয়ার্ল্ড ফেমাস কুন্দেরার স্টাডিরুম। আর দেয়ালে পাশাপাশি দুইটা ফটোগ্রাফ ঝুলতেছে: একটা কুন্দেরার বাবার ছবি যিনি নিজে পিয়ানিস্ট ছিলেন। আরেকটা বিখ্যাত চেক কম্পোজার লিও জানাচেক যারে কুন্দেরা পারসোনালি বেশ এডমায়ার করেন।

আমরা এমনিতে ফ্রেঞ্চ ভাষাতেই কথা বলছিলাম। সেগুলা বেশ ইনফরমাল এবং অনেক সময় ধরে করা হইছিল। কোন টেপরেকর্ডার ইউজ করি নাই, বরং টাইপরাইটার, কাঁচি আর আঠা সেইখানে হেল্প করছে। আস্তেধীরে কাগজ ছেড়াকাটা আর অনেক রিভিশনের পরে, এই টেক্সট দাঁড়াইছে।

এই ইন্টারভিউ যখন নেয়া হইছে, তখন কেবলি কুন্দেরার দা আনবিয়ারেবল লাইটনেস অফ বিয়িং পাবলিশ হইছে। সাথে সাথেই এই বই বেস্ট-সেলার। এই ধরণের হুট কইরা পাওয়া ফেইম কুন্দেরাকে অকওয়ার্ড ফিল করায়। ম্যালকম লাউরির একটা কথা আছে- ‘সাকসেস হইতেছে একটা ভয়ংকর ডিজাস্টারের মতো, ঘরে আগুন লাগার থেকেও ভয়াবহ’। কারণ, ফেইম আমাদের সৌলকে কনজিউম কইরা ফালায়। কুন্দেরার মেইবি লাউরির এই কথা মানবেন। যেমন একবার আমি প্রেসে উনার নভেলের ব্যাপারে কয়েকটা কমেন্ট এমন বলতেছিলাম, উনার জবাব ছিল, ‘আমার জন্য আমি ওভারডোজড হইয়া গেছি!’

এখনকার সময়ে বেশিরভাগ ক্রিটিকের একটা টেনডেন্সি হইতেছে রাইটারের কাজ বাদ দিয়া রাইটারকে স্টাডি করা – রাইটারের পারসোনালিটি, পলিটিক্স এবং প্রাইভেট লাইফ নিয়া একরকম অবসেশনের ভিতরে থাকা। কুন্দেরার নিজের ব্যাপারে কথা বলতে না চাওয়া – এই টেনডেন্সির একটা অপজিট রিএকশন বলা যায়। একবার ল্য ন্যুভে অবজিউভারকে কুন্দেরা বলছিলেন, ‘উপন্যাসের টেলেন্ট আর পোয়েট্রির টেলেন্ট দুইটা আলাদা হয় একজন নিজের ব্যাপারে কথা বলতে চায় কি না চায় সেইটার উপর বেইজ কইরা’।

নিজের ব্যাপারে কথা বলতে না চাওয়ার আরেকটা মানে হইতেছে লিটারেরি কাজকর্ম এবং ফর্মকে মনোযোগে রেখে নভেল – ইটসেলফ নজরে আনা। আর্ট অফ রাইটিং এর এই পারপাজই আমাদের এই ডিসকাশনের প্রধান লক্ষ্য।

/ক্রিশ্চিয়ান স্যালমন, ১৯৮৪

ইন্টারভিউয়ার: আপনি একসময় বলছিলেন যে আপনি নিজেকে ভিয়েনার নভেলিস্টের সারিতে ভাবতে পছন্দ করেন। যেমন এখনকার মডার্ন লিটারেচারের লেখকদের থেকে রবার্ট মুজিল এবং হারমান ব্রশ এনাদের সাথে আপনি নিজেরে মিলাইতে পারেন বেশি। আপনার মতো ব্রশও মনে করতেন সাইকোলজিকাল উপন্যাসের যুগ শেষ হইয়া গেছে। উনি বরং একরকম ‘পলিহিস্টোরিকাল’ নভেলে বিশ্বাস করতেন।

মিলান কুন্দেরা: মুজিল এবং ব্রশ দুজনেই উপন্যাস লেখাটাকে অসংখ্য দায়িত্ব দিয়া জর্জরিত কইরা ফেলছিলেন। তাদের কাছে উপন্যাস লেখা একরকম ইন্টেলেকচুয়াল সিনথেসিসের কাজ ছিল। নভেল লেখাটা একটা শেষ আশ্রয় যেইখানে লেখক তার নিজের জায়গা থেকে পুরা পৃথিবীকে ক্রিটিক করতে পারে। তারা কনভিন্সড ছিলেন উপন্যাসের একটা শক্তিশালী সিনথেটিক ক্ষমতা আছে যেইখানে পোয়েট্রি, ফ্যান্টাসি, ফিলোসফি, ম্যাক্সিম, প্রবন্ধ সবকিছুকে একসাথে কাজ করানো সম্ভব। ব্রশের বেশকিছু চিঠিপত্রে এই বিষয় নিয়া গুরুত্বপূর্ণ কিছু অবজারভেশন আমরা দেখতে পাই। যদিও আমার কাছে মনে হয়, উনার বাছাই করা ‘পলিহিস্ট্রিকাল নভেল’ টার্ম উনার নিয়তটারে ঠিক ভাল কইরা ফুটায়ে তুলতে পারে নাই। ব্রশের নিজদেশি অস্ট্রিয়ান প্রোজের ক্লাসিক যিনি – এডলফটার স্টিফটার উনার ইন্ডিয়ান সামারকেই (১৮৫৭) মনে হইছে আদর্শ পলিহিস্ট্রিকাল নভেল। উপন্যাসটা অনেক বিখ্যাত হইছে। নিৎশে নিজে এইটারে চার জার্মান লিটারেচারের একটা বলে মেনশন করছেন। যদিও এই উপন্যাস এখন আর পড়া অসম্ভব। কারণ এই বই জিওলজি, বোটানি, জুলজি, ক্র্যাফটস, পেইন্টিংস, আর্কিটেকচারের ইনফরমেশনে ঠাশা – এবং এইটা উপন্যাসের চাইতে এনসাইক্লোপিডিয়া হইয়া গেছে যেইখানে মানুষ এবং তার সিচুয়েশনটাই মিসিং! যে কারণে নভেলটা স্পেশাল হইয়া উঠতে পারত, ইন্ডিয়ান সামার সেটারেই একরকম ঢেকে দিছে। কিন্তু ব্রশের কেস এইরকম না। উনি বরং যেইটা আমরা ‘উপন্যাস দিয়া ডিসকভার করতে পারি’ সেইটা লিখতেই আগ্রহী ছিলেন। তিনি এক্সিস্টেন্সরেই নভেলিস্টিক নলেজের একটা এসেনশিয়াল অংশ হিসাবে নিছেন। আমার কাছে ‘পলিহিস্ট্রিকাল’ বলতে এমন একটা এপ্রোচ বুঝি, যেখানে প্রতিটা ডিভাইস, প্রতিটা নলেজের ধরণ একসাথে এক্সিস্টেন্সের সাথে বোঝাপড়া করে। হ্যাঁ, আমার কাছে মনে হয় আমার কাজও এই এপ্রোচের খুব কাছাকাছি ।

ইন্টারভিউয়ার: লে নুভ অবসার্ভেতোরে আপনার লম্বা লেখায় আপনি ফ্রেঞ্চদের ব্রশকে রিডিসকভার করতে বলছিলেন। আপনি ওই লেখায় ব্রশকে যেমন প্রশংসা করছেন, আবার একই সাথে ক্রিটিকালও ছিলেন। একদম শেষে আপনার এরকম একটা লাইন ছিল, ‘সকল গ্রেট কাজ (যেহেতু তারা গ্রেট) পুরাপুরি পারফেক্ট না’।

মিলান কুন্দেরা: ব্রশ উনার কাজ দিয়া আমাদের জন্যে যতটা না ইন্সপায়ার করছেন, তার থেকেও বেশি ইম্পর্টেন্ট হইলো উনার যা টার্গেট করছেন, তার অনেকগুলাই তিনি পুরা করতে পারেন নাই। উনার কাজের এই না পূরণের জায়গাগুলা, নতুন ধরণের আর্ট ফর্ম যেইটা আমাদের প্রয়োজন সেইটা নিয়া ভাবায়। এর মধ্যে আছে: ১। সকল অদরকারি এলিমেন্ট বাদ দেয়া (মডার্ন দুনিয়ায় আমাদের এক্সিস্টেন্সের জটিলতা বোঝার জন্যে যেটা দরকার; আবার একইসাথে স্ট্রাকচারের একটা স্পষ্টতাও থাকা জরুরি) ২। নভেলিস্টিক কাউন্টারপার্ট (যেখানে ফিলোসফি, ড্রিম এবং নেরেটিভ এমনভাবে মেলানো যাতে উপন্যাসের সুর না হারায়ে যায়) ৩। নভেলিস্টিক এসে (যেখানে কোন রকম মেসেজ দেয়ার জরুরত নাই, বরং আইরনি আছে, ইমাজিনেশন, এক্সপেরিমেন্টের যোগ আছে)।

ইন্টারভিউয়ার: এই তিন পয়েন্টে আপনার পুরো আর্টিটিস্টক জার্নিটাই ধরা পইড়া গেল।

মিলান কুন্দেরা: আপনি উপন্যাসের ভিতরে যদি পলিহিস্ট্রিকাল মেডিটেশন আনতে চান – যেইটা দিয়ে এক্সিস্টেন্সের একটা বোঝাপড়া আনবেন, আপনার কোথায় থামতে হবে সেই স্কিলটা থাকা লাগবে। অন্য কথায় – থামতেছেন, ভাঙতেছেন এবং সেইটা দিয়েই বুঝাইতেছেন। তা না হইলে আপনি লেখা বাড়ানোর ট্র্যাপে আটকা পড়বেন। মুজিলের দুই তিনটা উপন্যাসের মধ্যে দা ম্যান উইদআউট কোয়ালিটিজ আমার সবচেয়ে প্রিয়। কিন্তু আমারে এইটার ভয়াবহ দৈর্ঘ্যের প্রশংসা করতে বলবেন না। ইমাজিন করেন, এমন একটা প্রাসাদ যেইটা এতই বড় যে আপনি এক নজরে সেইটা দেখতেছেন না। অথবা ইমাজিন করেন, একটা স্ট্রিং কোয়ার্টেট যেইটা নয় ঘন্টা ধইরা চলতেছে। এগুলা এন্থ্রোপলজিকাল লিমিট – মানুষের মাত্রা ধরে বুঝতে হয়। এগুলা ব্রেক করতে গেলে প্যারা! মানুষের মেমরিরও লিমিট আছে। আপনার পড়া শেষ হইলে, শুরুটাও যেন আপনি মনে করতে পারেন। তা না হইলে, নভেল সেইটার শেইপ হারায়ে ফেলে। এইটার যে আর্কিটেকচার সেইটাও অস্পষ্ট হইয়া পড়ে।

ইন্টারভিউয়ার: দা বুক অফ লাফটার এন্ড ফরগেটিং সাতটা পার্টে ভাগ করা। আপনি যদি পুরা উপন্যাসে কম থামতেন, কম এলিপ্টিসিজম i ব্যবহার করতেন, তাহলে হয়তো সাতটা ফুল-লেন্থ উপন্যাসই লেইখা নিতে পারতেন।

মিলান কুন্দেরা: আমি যদি সাতটা আলাদা আলাদা উপন্যাস লিখতাম, তাহলে আমি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাটাই মিস করতাম: আমি মডার্ন দুনিয়ায় মানুষের এক্সিস্টেন্সের যে জটিলতা সেইটা একটা বইয়ে ধরতে পারতাম না। থামতে পারার আর্টটা জানা খুবই দরকারি। এই আর্টে আপনার জটিলতার একেবারে গোড়ায় গিয়া ধরতে পারতে হবে। এইখান থেকে আমার এক প্রিয় চেক কম্পোজার লিও জানাচেকের কথা মনে পড়ল যারে আমি ছোটকাল থেইকাই লাইক করি। তাকে মডার্ন মিউজিকের দুনিয়ায় অন্যতম সেরা কম্পোজার ধরা হয়। তার মিউজিকরে এসেনশিয়াল জায়গায় রাখার যেই জেদ সেইটা রিভলুশনারি। যেকোন মিউজিকাল কম্পোজিশন অসংখ্য টেকনিক ব্যবহার কইরা তৈরি: আপনি থিমগুলা কিভাবে এক্সপোজ করতেছেন, তার ডেভেলপমেন্ট, বিভিন্ন ধরন, পলিফ‌োনিক অর্কেস্ট্রা, সেই অর্কেস্ট্রায় অন্য সুর দিয়া পুরা করা, আবার ট্রানজিশন করতেছেন ইত্যাদি। এখন একজন না হয় কম্পিউটার দিয়াই মিউজিক তৈরি করতে পারেন, কিন্তু একজন কম্পোজারের মাথায় কিন্তু কম্পিউটার সবসময়ই ছিল – যদি তাদের দরকার হইতো একটা অরিজিনাল আইডিয়া থেকেই কম্পোজাররা পুর‌ো সনাটা লিখা নিতে পারতেন। সাইবারনেটিকালি – সাধারণ কম্পোজিশনের নিয়মের উপর বেইজ কইরা পুরা কম্পোজিশন লিখে নেয়া সম্ভব। জানাচেকের চিন্তা ছিল এই পুরা কম্পিউটারটাই চুরমার কইরা দেয়া। উনি ট্রানজিশন না জাক্সটাপজিশনের দিকে গেছেন, ভেরিয়েশনের জায়গায় রিপিটিশন নিয়া হাজির হইছেন – যেইখানে উনি বিষয়ের একেবারে কোরে গিয়া কথা বলছেন: যেই নোটটা না হইলে না শুধু সেইটারেই রাখছেন, বাকি অদরকারি বাদ দিছেন। উপন্যাস লেখার কায়দাও মিউজিকের মতো: মিউজিকের মতোই এইখানে অসংখ্য টেকনিক আছে। টেকনিক-রুলস যেগুলা রাইটারের কাজে দেয়। একটা চরিত্র প্রেজেন্ট করতেছেন, সেইটা যে সোসাইটিতে আছে তার ধারণা দিতেছেন, তার কাজকর্ম একটা হিস্ট্রিকাল সেটিং-এ বসাইতেছেন, আবার একইসাথে চরিত্রগুলারে ইউজলেস এপিসোডের ভিতর দিয়া নিয়া যাইতেছেন। প্রতিটা সিনারিও চেইঞ্জ হওয়ার সাথে সাথে নতুন এক্সপ‌জিশন, ডেসক্রিপশন এবং এক্সপ্লানেশন তৈরি হইতেছে। জানাচেকের মতো আমিও চাইছি, রুল-টেকনিকের অটোমেটিক কায়দায় উপন্যাস লেখা থেকে বিরত থাকতে, এবং নভেলে শব্দের ইউজ স্পিনিং-এর জায়গায় রাখতে।

ইন্টারভিউয়ার: সেকেন্ড আর্টফর্ম যেটার কথা বললেন – নভেলিস্টিক কাউন্টারপার্ট।

মিলান কুন্দেরা: উপন্যাসরে যদি আমরা একটা ইন্টেলেকচুয়াল সিনথেসিস হিসাবে দেখি, তাহলে পলিফোনির প্রবলেম একদম ধরাবান্ধা। ব্রশের নভেল দা স্লিপওয়াকার্সের তৃতীয় অংশটা চিন্তা করেন: এই পার্ট পাঁচটা আলাদা আলাদা হেটেরোজিনাস এলিমেন্ট নিয়া লেখা: ১। একটা নেরেটিভের পার্ট: যেখান তিনটা মেইন কারেক্টার – প্যাসনিউ, এখ এবং হিউগন ২। হেনা ওয়েল্ডিং এর পারসোনাল স্টোরি ৩। একটা মিলিটারি হসপিটালের ফ্যাকচুয়াল বর্ণনা ৪। স্যালভেশন আর্মি গার্লের নেরেটিভ (তার কথার মধ্য দিয়া) ৫। সায়েন্টিফিক ভাষা দিয়া ভ্যালুর ডিকনস্ট্রাকশন। প্রতিটা পার্ট দুর্দান্তভাবে লেখা হইছে। সব পার্ট কিন্তু একই সাথে ডিল করা হইছে – একটার পরে আরেকটা এইভাবে (অন্য কথায় পলিফোনির মাধ্যমে) এবং তার পরেও পাঁচটা পার্ট একটার সাথে আরেকটা মিলে যায় নাই। আলাদাভাবেই গেছে। এইভাবে দেখলে এইটা আসলে ট্রু পলিফোনি না।

ইন্টারভিউয়ার: পলিফোনির মেটাফর টাইনা আইনা আপনি যে লিটারেচারে ব্যবহার করতেছেন, তাতে আপনার কি মনে হয় না যে আপনি নভেলের উপর কিছু ইম্পসিবল ডিমান্ড নাজিল করতেছেন?

মিলান কুন্দেরা: একটা নভেল বাইরের জিনিসপাতি দুইটা ওয়েতে আনতে পারে। ডন কিহোতে তার ট্রাভেলের টাইমে অনেক কারেক্টারের লগে দেখা যারা উনারে স্টোরিটা গুছায়ে দেয়। এর মাধ্যমে অনেকগুলা ইন্ডিপেনডেন্ট স্টোরি একটা আরেকটার সাথে মিলা নভেলের ফ্রেমের মধ্যে আইসা পড়ে। এইরকম কম্পোজিশন আমরা সতেরশ এবং আঠারশ শতকের নভেলগুলায় দেখতে পাই। ব্রশ অন্যদিকে এশ এবং হিউগনের মেইন স্টোরিতে হানা ওয়েন্ডলিং-এর স্টোরি ফিট করবার বদলে দুইটা স্টোরিই একইসাথে বইলা যাইতে থাকে। এই একইসাথে বইলা যাওয়ার টেকনিক এর আগে সার্ত্রে (দা রিপ্রাইভ) এবং ডন পাসোও ব্যবহার করছেন। তাদের টার্গেট কিন্তু একইসাথে ডিফারেন্ট নভেলিস্টিক স্টোরি বয়ানের মাধ্যমে একরকম হোমোজিনিটি তৈরি করা ছিল। যেখানে ব্রশ একরকম হেটেরোজিনিটি তৈরি করছিলেন। এছাড়াও তাদের এই টেকনিকে কোন কবিতা ছিল না। খুবই মেকানিকাল ছিল। যেই কারণে আমার কাছে ‘পলিফনি’ বা ‘কাউন্টারপার্ট’ ছাড়া আর কোনভাবে এদের ব্যাখা করা পসিবল না। যেই কারণে, মিউজিকের এনালজি অনেকসময় খুব উপকারও দেয়। যেমন দা স্লিপওয়াকারের প্রথম যেই জিনিসটা আমারে খুব আটকায় সেইটা হইলো – থার্ড পার্টে পাঁচটা এলিমেন্ট কোনটা একই সমান না। অন্যদিকে মিউজিকাল কাউন্টারপার্টের গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হইতেছে, সব ভয়েস একই সমান হইতে হবে। ব্রশের কাজে প্রথম এলিমেন্ট (এশ এবং হিউগনের নেরেটিভ) দিয়াই বেশিরভাগ জায়গা ভরাট হইছে, অন্যান্য এলিমেন্ট তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ রোল প্লে করে নাই। আরও ইম্পর্টেন্টলি এই পার্ট আগের দুই পার্টকে একসাথে লিংক কইরা একরকম ইউনিফাই করে। যার কারণে এই ইউনিফাইংয়ের পার্টটা আমাদের বেশি মনোযোগ দখল করে, এবং অন্যান্য এলিমেন্টের রোল সাইডে ফালায়া দেয়। দ্বিতীয় যেই জিনিসটা আমারে ভাবায় – বাখের ফিউগ এর অন্যান্য ভয়েস ছাড়া পুরা হইয়া উঠতে পারে না। কিন্তু হান্না ওয়েন্ডলিং এর গল্প কিংবা ভ্যালু-ডিক্লাইনের এসে এগুলা আলাদা আলাদা কাজ হিসাবেরও নেয়া যাইতে পারে। আলাদাভাবে নিলেও তারা তাদের কোয়ালিটি বা মিনিং কিছুই হারাবে না।

আমার কাছে, নভেলিস্টিক কাউন্টারপয়েন্টের বেসিক শর্ত হইতেছে- ১। বিভিন্ন এলিমেন্টের ইকুয়ালিটি, ২। পুরা জিনিসটার টোটালিটি যেখানে কোন এলিমেন্টরেই আপনি বাদ দিতে পারবেন না। আমার মনে আছে, যেদিন আমি “দা এঞ্জেলস” শেষ করলাম (দা বুক অব লাফটার এন্ড ফরগেটিং এর পার্ট থ্রি), আমার কাজ নিয়া আমি খুবই প্রাউড ফিল করতেছিলাম। আমি শিওর ছিলাম আমি নেরেটিভ ধরার সম্পূর্ণ নতুন এক তরিকা আবিষ্কার করছি। ওই টেক্সট কয়েকটা এলিমেন্ট নিয়া হাজির হইছে: ১। দুইজন ফিমেল স্টুডেন্টদের বর্ণনা এবং তাদের নির্বাণ ২। একটা অটোবায়োগ্রাফিকাল নেরেটিভ ৩। একটা ফেমিনিস্ট বইয়ের ক্রিটিকাল এসে ৪। ফেরেশতা এবং শয়তানের আখ্যান ৫। পল ইলিউয়ার্ডের প্রাগের উপরে উইড়া যাওয়ার ড্রিম-নেরেটিভ। গুরুত্বপূর্ণভাবে এই কোন এলিমেন্টই একটা আরেকটা ছাড়া এগজিস্ট করতে পারে না। একটা আরেকটাকে এক্সপ্লেইন করে, ইল্যুমিনেট করে এবং সবগুলাই দিনশেষে একই প্রশ্নের আনসার খুঁজে – ‘হোয়াট ইজ এন এঞ্জেল?’

পার্ট সিক্সেরও নাম দেয়া- “দা এঞ্জেলস” যেইটার এলিমেন্টস ছিল: ১। তামিনার মৃত্যুর ড্রিম-নেরেটিভ ২। আমার বাবার ডেথের অটোবায়োগ্রাফিকাল নেরেটিভ ৩। মিউজিকোলজিকাল রিফ্লেকশনস ৪। প্রাগকে ঘিরে ভুলে যাওয়ার যে এপিডেমিক শুরু হইছিল তার রিফ্লেকশনস। আর এইখানে আমার বাবার সাথে তামিনার টর্চারের লিংকটা কী ছিল? ওই যে একটা সেলাই মেশিন আর আম্ব্রেলা দুটোর কানেকশানটাই একই থিমে আইনা দিছে। লত্রোমোর বিখ্যাত ইমাজারি যদি ধার করি, নভেলিস্টিক পলিফনি-টেকনিকের থেকেও আসলে একরকম পোয়েট্রি। আমি লিটারেচারে এরকম পলিফনিক পোয়েট্রির আর কোথাও দেখা পাই নাই। ফিল্মে এলেন রেজনোর লেটেস্ট কাজ বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হইছে। তার কাউন্টারপার্ট ব্যবহারের আর্ট খুবই এডমায়ার করার মতো।

(ইন্টারভিউ’র অংশ)

Series Navigation<< একটা নভেলের জন্ম একটা কবিতা দিয়া শুরু হয় – গুন্টার গ্রাস
The following two tabs change content below.
Avatar photo

তৌকির হোসেন

জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →